আমার ক্ষেত্রে আমি একজন শিক্ষক। আমি অনলাইনে পড়াই। আমি একজন বক্তা হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কথা বলি, বক্তব্য দেই। টেন মিনিট স্কুল আমার নিজের একটি উদ্দ্যোগ।
৩. নিয়মিত অনুশীলন করো
প্রতিদিন আয়নার সামনে বারবার অনুশীলন করো। বন্ধুদের সাথেও অনুশীলন করা যেতে পারে। তাহলে, জড়তা কেটে যাবে। অডিও বা ভিডিও রেকর্ডও করা যেতে পারে যাতে করে কণ্ঠের অবস্থা আর বলার ভঙ্গিমা সম্পর্কিত ধারণা পাওয়া যায়।
আমাদের সবার ক্ষেত্রেই এই Elevator Pitch যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করে ফেলাটা খুব জরুরি। তা না হলে, যদি কখনও এমন কোনও বিখ্যাত কেউ বা তোমার খুব প্রিয় কোনও মানুষ কিংবা এমন কারও সামনে তোমাকে পড়তে হয়, যার সাথে দেখা করতে অনেকদিন ধরেই তুমি খুব আগ্রহী ছিলে, যাকে বলার জন্য হয়তো অনেক কথাও তোমার তৈরি ছিলো কিংবা যে হয়তো তোমার খুব বড় কোনও কাজে আসতে পারেন কিন্তু শুধুমাত্র ওই বিশ-ত্রিশ সেকেন্ড সময়টুকুর যথাযথ প্রয়োগ না করতে পারার কারণে তোমার কথাগুলো তাকে বলা হয়ে উঠবে না।
এমনটা আমাদের সবার সাথে ইতিপূর্বে ঘটেছে, এখনও ঘটছে। আর, Elevator Pitch তৈরি না থাকলে ভবিষ্যতেও ঘটবে। যেটা, আশা করি আমাদের কারও কাম্য নয়! আর তাই এক্ষেত্রে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমাদের সবাইকে নিজেদের গন্ডির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে উপস্থাপন করতে শিখতে হবে।
অন্যথায়, এ নেটওয়ার্কিং এর যুগে কেবলমাত্র নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরতে না পারার কারণে অনেক সময় ক্ষেত্রবিশেষে নিজের সর্বোচ্চ টুকু দেওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যেতে পারো।
“Never Stop Learning”