- বইয়ের নামঃ নেভার স্টপ লার্নিং
- লেখকের নামঃ আয়মান সাদিক
- বিভাগসমূহঃ শিক্ষামূলক বই
১. আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও কিছু স্বপ্নের কথা
নেভার স্টপ লার্নিং – আয়মান সাদিক
উৎসর্গ
সৎ, নির্ভীক, আলোকিত ও সুন্দর পৃথিবী গড়ার স্বপ্নে বিভোর দৃঢ়প্রত্যয়ী তরুণ প্রজন্মকে!
ভূমিকা
শেখার কোনো নির্দিষ্ট সময়, স্থান কিংবা সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানছি ও শিখছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাও সমভাবে প্রয়োজনীয়।
আর তাই, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে আমাদেরকে বেশিকিছু কৌশল রপ্ত করতে হবে। এ কৌশল বা আইডিয়াগুলোই আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এ বইটিতে এমনই কিছু ছোট্ট ছোট্ট আইডিয়া, কৌশল, হ্যাঁক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে যাতে করে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়াকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য, কুশলী এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটাকেও প্রাধান্য দেয় এবং প্রিয় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।
.
সূচি
০১ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও কিছু স্বপ্নের কথা। ০২ দৃষ্টিভঙ্গী বদলালেই বদলে যাবে জীবন ০৩ চীনা বাঁশের গল্প ০৪ মাদিবা থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা ০৫ আমার ভর্তি যুদ্ধের গল্প। ০৬ এবার মানসিক অশান্তিকে জানাও বিদায় ০৭ একটি ভিডিও বাঁচাতে পারে লক্ষ প্রাণ! ০৮ দোষটা কি আসলে তেলাপোকার? ০৯ গোলাপি হাতি থেকে রক্ষা পাওয়ার রহস্য ১০ পৃথিবীর সবথেকে ভালো আইডিয়াগুলো কোথায় পাওয়া যায়? ১১ সুন্দর মানসিকতা গড়ে তোলার ৬টি উপায় ১২ সিজিপিএ আসলে কতটা প্রয়োজন? ১৩ মন ভালো করার টোটকা ১৪ একজন বৃক্ষমানবের গল্প ১৫ সময় বাঁচানোর শতভাগ কার্যকর কৌশল! ১৬ ফেসবুক সদ্ব্যবহারের ৩টি কার্যকরী আইডিয়া ১৭ ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের ১০টি উপায় ১৮ ডিজিটাল ওরিয়েন্টেশন ও একটি স্বপ্নের কথকতা ১৯ শিক্ষাজীবনে যে ১০টি কাজ না করলেই নয় ২০ প্রতিনিয়ত করে চলেছি যে ৪টি ভুল! ২১ বিনোদনের ফাঁকে ফোকাস করো নিজের উন্নতি ২২ ভোকাবুলারি জয়ের ৫টি কৌশল। ২৩ অপরিচিতের সাথে কিভাবে ফোনে কথা বলবে ২৪ সালাম দেয়া এবং ভালো গুণের প্রশংসা করা ২৫ তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না থেকে আত্মরক্ষার কৌশল ২৬ একটি কমন অভ্যাস ২৭ পরিশ্রমকে হা বলো ২৮ প্রতিযোগিতায় যে গুণগুলো থাকা প্রয়োজন ২৯ আইডিয়াকে কাজে লাগাও, সাফল্যের পথে পা বাড়াও ৩০ মার্শমেলো টেষ্ট ও দুরদর্শীতা ৩১ নিজেকে জানো ৩২ কিন্তু সিজিপিএ? ৩৩ নিয়ন্ত্রণে রাখো নিজের সুখ ৩৪ হয়ে ওঠো পাওয়ার পয়েন্টের জাদুকর ৩৫ টলারেন্স নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ৩৬ চ্যাটিং করা থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, চ্যাটিং করা ভালো! ৩৭ রাজার অসুখ আর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ৩৮ আমার প্রথম পাবলিক পরীক্ষা আর ডোপামিন ইফেক্টের গল্প ৩৯ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন গড়ে তোলো এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম দিয়ে ৪০ Sunk Cost-কে না বলল, সাফল্যের পথে এগিয়ে চলো! ৪১ ইন্টারভিউয়ের কথকতা ৪২ এখনই লিখে ফেলো তোমার সিভি! ৪৩ ফেসবুকের সঠিক ব্যবহার করে হয়ে ওঠো আদর্শ নাগরিক। ৪৪ সময় নষ্টের মূলে যে ৮টি কারণ ৪৫ সময় ব্যবস্থাপনার ৫টি কার্যকর কৌশল। ৪৬ সমালোচনা ৪৭ নিজেকে জানা, Elevator Pitch এবং আমাদের অবস্থান!
.
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও কিছু স্বপ্নের কথা
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনও তা পুরোপুরি যুগোপযোগি এবং বাস্তব সম্মত হয়ে উঠেনি। শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য এখনও ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের মূল লক্ষ্য ভালো ফলাফল করা অন্যদিকে শিক্ষার লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী, সুস্থ, দক্ষ ও সুন্দর মানসিকতা সম্পন্ন আলোকিত নাগরিক তৈরী। করা। নিরস শিক্ষাপোকরণ যেমন শিক্ষার্থীদের উৎসাহে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তেমনি ভালো ফলাফল করার অসুস্থ প্রতিযোগিতাও শিক্ষার্থীদেরকে প্রকৃত শিক্ষা হতে বঞ্চিত করছে। আমি স্বপ্ন দেখি শিক্ষার্থীরা ফলাফলের উদ্বিগ্নতায় না ভুগে নিত্য নতুন উদ্ভাবনী শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে আনন্দের সাথে তাদের নিজ নিজ পছন্দের বিষয়ে বাস্তব সম্মত ও আধুনিক শিক্ষা অর্জন করবে।
তাই ভাবলাম, স্বপ্নগুলো না হয় লিখেই ফেলি, জানিয়ে দেই পুরো বিশ্বকে!
১. যা শিখছি বুঝে শিখছি :
আমরা অনেক সময় না বুঝে না জেনে অনেক কিছু পড়ে ফেলি, মুখস্ত করে ফেলি। আমরা কিন্তু জানিও না আসলে এই শিক্ষাটা আমাদের ঠিক কোন কাজে লাগবে, কেন কাজে লাগবে।
আমি স্বপ্নে দেখি, এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীরা কোনোকিছু পড়ার আগে জানবে, কেন তারা সেটি পড়ছে? তাদের পরিষ্কার ধারণা চলে আসবে যে, এ বিষয়টি পড়লে তারা এভাবে উপকার পাবে। তাদের মনে আর প্রশ্ন জাগবে না যে, এসব পড়ে কি হবে? কি লাভ?
২. গোল্ডেন নয় শেখার জন্যে পড়ালেখা :
একটা সময় ছিল যে কেউ গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেলে আমার খুব ভালো লাগত। মনে হতো যে অসাধারণ একটা কাজ করে ফেলেছে সেই ছেলেটি বা মেয়েটি। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই। এখন কেউ গোল্ডেন পেলে আমার মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। মনে হয় এই রেজাল্টের জন্যে শিক্ষার্থীটিকে কতই না ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। নিশ্চয়ই তাকে গন্ডায় গন্ডায় কোচিং প্রাইভেট আর মডেল টেস্টের জ্বালাতনে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। রেজাল্ট একটুখানি খারাপ হলে না জানি তার বাবা মা তাকে কত বকাঝকা করেছেন!