তোমার এলাকায় ডাস্টবিন নেই, সেটা লিখে শেয়ার করে সবাইকে, সবার প্রতিবাদে একসময় ডাস্টবিন আসবেই! ইভ টিজারদের বড় উৎপাত? ছবি আর ভিডিও করে শেয়ার করে দাও, পুলিশকে জানাও। ইভ টিজিং বন্ধ হতে বাধ্য হবে! ফেসবুককে এভাবে কাজে লাগালে জীবন হবে আরো সুন্দর।
২. রক্তদান হোক আরো সহজ
প্রায়ই রক্ত দেবার জন্যে বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠন থেকে পোস্ট আসে। এই পোস্টগুলোয় কেউ সাড়া দিতে দিতে হয়তো রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়! তুমি যদি নিজের ফেসবুকের ছোট্ট যে বায়ো অংশটা আছে, সেখানে তোমার পরিচয়ের পাশাপাশি নিজের রক্তের গ্রুপটাও দিয়ে দাও, তাহলে কিন্তু সবার জন্যেই অনেক সহজ হবে পুরো বিষয়টা! ভেবে দেখো, তোমার একটা বায়োতে ছোট্ট করে গ্রুপ লেখার কারণে হয়তো তুমি রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাতে পারছো!
৩. সামাজিক ইস্যুতে ফেসবুক
ফেসবুককে এখন বলা যায় মানুষের মত প্রকাশের সবথেকে কার্যকর উপায়গুলোর একটা। ফেসবুকে যেভাবে তুমি সমাজের নানা বিষয় নিয়ে বলতে পারো, সামনাসামনিও হয়তো তেমনটা হয় না। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কিন্তু গণসচেতনতা গড়ে তুলতেই পারো তুমি। শাহবাগ চত্বরের সেই আন্দোলনের শুরুটাও কিন্তু ছিল একটা ফেসবুক পোস্ট থেকেই। আর তাই উদ্ভট অপ্রয়োজনীয় ইভেন্ট না খুলে দরকারি ইভেন্টের মাধ্যমে তুমিও গণজাগরনের শুরুটা করতে পারো!
৪. ফেসবুক শপকে কাজে লাগাও
খেয়াল করেছে হয়তো, ফেসবুকে শপ নামে একটা চমৎকার অপশন রয়েছে। এই শপকে ব্যবহার করে কিন্তু অনলাইনে শপিং করতে পারো তুমি, কিছু বিক্রি করতে চাইলে ফেসবুকও কিন্তু দারুণ একটা মাধ্যম! ধরো তোমার একটা জার্সির দোকান আছে। তুমি যদি ফেসবুকে এই জার্সিগুলোকে শপে রাখো, তাহলে নির্দ্বিধায় তোমার দোকানের বিক্রি বাড়বে, জনপ্রিয়তাও বেড়ে যাবে!
৫. গ্রুপ চ্যাটকে বানিয়ে ফেলো শেখার মাধ্যম
আমরা সবাই কোন না কোন ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাটে আছি। হোক সেটা বন্ধুদের গ্রুপ চ্যাট, হোক সেটা ডিপার্টমেন্টের কোন ক্লাবের গ্রুপ চ্যাট, কিংবা ছোটবেলার বন্ধুদের গ্রুপ চ্যাট। সেখানে আমরা সারাদিনই বিভিন্ন বিচিত্র বিষয় নিয়ে বকবক করতেই থাকি। এই গ্রুপ চ্যাটটাকে কিন্তু কোনকিছু শেখার জন্যে দারুণ কাজে লাগানো যায়!
ধরো তুমি ইংরেজি শিখতে চাও। এই গ্রুপ চ্যাটে যদি বন্ধুদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে থাকো, তাহলে তাঁদের যেমন ইংরেজির প্র্যাকটিস হবে, তুমিও কিন্তু এই বিদেশী ভাষাটায় পারদর্শী হয়ে উঠবে! এছাড়া আরেকটা উপকার আছে এখানে। ধরো তোমার ইংরেজি দুর্বল। এমনিতে এই ভাষা প্র্যাকটিস করতে তাই লজ্জা লাগবে তোমাদের। কিন্তু বন্ধুদের মধ্যেই যদি কথা বলল, তাহলে আর লজ্জা কিসের?
ফেসবুক এখন আর কেবল বিনোদনের জায়গা নয়। আর এই ভার্চুয়াল জগতকে নিয়ে কাজ করে আদর্শ নাগরিক হতে পারলে অসাধারণ লাগবে না তোমার?
.
সময় নষ্টের মূলে যে ৮টি কারণ
আমাদের জীবনে সময় খুবই মূল্যবান। বিশেষত, ব্যস্ততার এই গল্প নষ্ট করার কোন মানেই হয় না। তবুও প্রতিনিয়ত সময়ের একটা অew হয়। আমরা এমন কিছু কাজে আমাদের মূল্যবান সময় দেই যোগ আদতে কোন কাজেই আসে না! এই সময় নষ্ট করার জন্যে বলা যায় সে ৮টা কাজ বেশি দায়ী। মজার ব্যাপার হলো, এগুলোর অনেকগুলোই আমরা প্রতিনিয়ত করে আসছি, এবং তাতে কোন সমস্যাও নেই। সমস্যা তখনই যখন দরকারি কাজ ফেলে আমরা এসবের পেছনে সময় নষ্ট করে যাই।
১. ড্রাগস
এটাকে শুধু সময় নষ্টকারী কাজ বলা যায় না। এটা একইসাথে জীবন ধ্বংসকারীও বটে। আমি গত এক বছরে বাংলাদেশের প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ঘুরে এসেছি, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি, এবং এতে একটা ভয়ংকর সত্যির দেখা মিলেছে। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচুর শিক্ষার্থী এই ডাগস এর নেশায় আসক্ত হচ্ছে দিনকে দিন।
হতাশা, ডিপ্রেশনসহ নানা কারণে যেখানে নতুন কোন কাজ করে মনটাকে চাঙ্গা রাখা যেতো, সেখানে এই শিক্ষার্থীরা বেছে নিচ্ছে ডাগসের অন্ধকার রাস্তা। আর এর ফলাফল হচ্ছে ভয়াবহ। নিজের ক্যারিয়ার তো বটেই, জীবন নিয়ে টানাটানি পড়ে যায় অনেক সময় এই ডাগসের কারণে।
তোমরা যারা এই লেখাটা পড়ছো, তোমাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, চেষ্টা করো ডাগস থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকার। আর তোমার কাছের মানুষগুলোকে, তোমার বন্ধুদের এই ভয়াল ডাগসের ছোবল থেকে দুরে রাখার চেষ্টাটাও চালিয়ে যাও। ডাগস মুক্ত তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে নতুন ভোর এনে দেবে, এই স্বপ্নটা কিন্তু সবারই!
২. টিভি
না, টিভি দেখাকে মোটেও আমি ড্রগসের সাথে তুলনা করছি না। আমাদের জীবনে বিনোদনের দরকার আছে, আর টিভি একটা সুস্থ বিনোদন মাধ্যম, তাই টিভি থেকে বিনোদন নেবার পাশাপাশি শেখাও যায় অনেক কিছু।
সমস্যাটা হয় তখনই, যখন এই টিভি দেখাটা হয়ে পড়ে নিয়ন্ত্রণহীন। ফানি বাংলা নাটক দেখে দিন পার করে দেয়া, কিংবা নুডলস দিয়ে মুরগির রোস্ট বানানোর অনুষ্ঠানের পেছনে বড় একটা সময় লাগালে সেটা হতে পারে তোমার ক্যারিয়ারের জন্যে ক্ষতিকর।
টিভি দেখা নিয়ে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু সেটাকেও রাখতে হবে কন্ট্রোলে। ছোটবেলায় মনে আছে? আব্বু আম্মু বলতো যে দুই ঘন্টা পড়লে আধা ঘন্টা টিভি দেখতে দেয়া হবে? সেটাও দিনে একবার মাত্র? এই অভ্যাসটা ধরে রাখার চেষ্টা করো। তাহলেই সময় নষ্ট আর হবে না।