২. ইলাস্ট্রেটরের বিকল্প
ইলাস্ট্রেটরে কাজ করতে গিয়ে অনেকেরই অনেক রকম সমস্যা হয়, যার মূল কারণ হলো এর কাজ বোঝা একটু জটিল। পাওয়ার পয়েন্টে এসব জটিলতার বালাই নেই, তাই প্রথমবার ডিজাইন করতে এসে যে কেউ মহানন্দে চমৎকার সব ডিজাইন করে ফেলতে পারে!
৩. নিজেই তৈরি কর ইনফোগ্রাফিক
ইনফরমেশন আর গ্রাফিক, দুয়ে মিলে ইনফোগ্রাফিক। জটিল সব তথ্য গ্রাফিকে দেখিয়ে সহজে বুঝিয়ে দেবার অস্ত্র হলো ইনফোগ্রাফিক। দারুণ এই জিনিসটি তৈরি করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়!
তোমার পাওয়ার পয়েন্টের স্লাইডটিকে একটু লম্বা করে নাও, তারপর তোমার ছবি আর ইনফরমেশনগুলো সেখানে বসিয়ে ডিজাইন করে ফেললো। তারপর pdf বা ছবি আকারে এক্সপোর্ট করে ফেলো। তাহলেই হয়ে গেল তোমার ইনফোগ্রাফিক!
৪. আর নয় কভার ডিজাইন নিয়ে ঝামেলা
আমরা অনেক সময় অনেক কাজেই কভার ডিজাইন নিয়ে ঝামেলায় পড়ি। ধরো তুমি তোমার ব্যাচ থেকে কোনো ম্যাগাজিন বের করতে চাচ্ছ, সেটির জন্যে কভার ডিজাইন লাগবে। আবার যেকোনো টার্ম পেপার বা এসাইনমেন্টের কভার ডিজাইন করতেও প্রায়ই ঘাম ছুটে যায় সবার। অথচ পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করলে এই কাজটিই হয়ে যায় মহা সহজ! পাওয়ার পয়েন্টে সব ধরনের টুলস দেয়াই আছে, দরকার শুধু তোমার সদিচ্ছা আর সৃজনশীলতা।
৫. নিজের সিভি নিজেই ডিজাইন কর
বিভিন্ন জব সেক্টরে চাকরির জন্যে দরকার হয় একটি সিভি। তোমার সিভিই চাকরির বাজারে তোমার পরিচয়, আর তাই সেটিকে হতে হয় চমৎকার। পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে এই মানসম্মত সিভি তৈরি করা সহজ হয়ে যায় অনেকটাই!
কিংবা ধরো কোনো গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সাথে পরিচিত হতে চাও তুমি। পাওয়ার পয়েন্টে ডিজাইন করা নিজের একটা বিজনেস কার্ড থাকলে ঝট পট তাকে দিয়ে ফেলে স্মার্টলি পরিচিত হতে পার তুমি! দরকার শুধু বিভিন্ন সাইজে ডিজাইন করা তোমার সিভি।
৬. এনিমেশন তৈরি এখন হাতের নাগালে
টিভি বা কম্পিউটারের পর্দায় এনিমেটেড কার্টুন দেখে বিমলানন্দ পাই আমরা সবাই। কিন্তু যদি বলি, এ ধরনের এনিমেশন তুমি ঘরে বসেই করতে পারবে? অবিশ্বাস্য লাগছে না শুনতে? অবিশ্বাস্য হলেও এটি সত্যি। পাওয়ার পয়েন্টের জাদুর ছোঁয়ায় তুমিও পারবে নানা রকম এনিমেশন করে নিজের স্কিল বাড়াতে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে করতে অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে পার এনিমেশনেও।
৭. ওয়েবসাইট ডিজাইন কর নিজেই
আমি যদি বলি, তোমরা এখন যে 10 Minute School এর ওয়েবসাইটটি দেখছ, সেটির পুরো ডিজাইন করা হয়েছে পাওয়ার পয়েন্টে!
অস্বাভাবিক শোনালেও এটাই সত্যি, যে পাওয়ার পয়েন্টের সাহায্যে ওয়েন সাইটের ডিজাইনগুলোও করা সম্ভব। পাওয়ার পয়েন্টে যেসব টুল রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে নিজেই করে ফেলতে পার একটি ওয়েব সাইটের ডিজাইন।
৮. ঝামেলাবিহীন লিফলেট ডিজাইন
ধরো, তুমি ছোটখাট একটা ব্যবসা শুরু করেছে। তোমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এখনো কেউ চেনে না। সবাইকে চেনাতে হলে তাই দরকার ব্যাপক প্রচার। এটির শুরু করতে হবে তোমাকে লিফলেট তৈরি করে। না, অমুক ভাইকে তমুক মার্কায় ভোট দিন; এরকম লিফলেট তৈরি করলে কিন্তু হবে না! পাওয়ার পয়েন্টে একটি স্মাইড নিয়ে সেটি A4 সাইজ করে মনমতো ডিজাইন করে ফেলল। তারপর সেটিকে প্রিন্ট কর। বাস, হয়ে গেল তোমার লিফলেট!
৯. ফেসবুক পোস্ট ডিজাইন করা
তুমি নিশ্চয়ই দেখেছ ফেসবুকে বড় বড় পেজগুলো বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে, যেগুলোর কোনোটিতে হয়তো কোনো বিজ্ঞাপন, কোনোটিতে ঘোষণা আবার কোনো কোনোটি তথ্য নিয়ে। এই পোস্টগুলো কিন্তু তুমিও বানিয়ে ফেলতে পার! কিভাবে?
প্রথমে পাওয়ার পয়েন্টে যাও। এরপর তোমার স্লাইডটাকে Square আকারে রাখো। তারপর ওটার উপরে ডিজাইন করেই ছবি আকারে এক্সপোর্ট কর। এবং এরই সাথে সাথে তুমিও বানিয়ে ফেললে চটকদার ফেসবুক পোস্ট! তাহলে আর দেরি কেন? ঝটপট ঘুরে এসো পাওয়ার পয়েন্টের রাজ্য থেকে আর নিজেকে দক্ষ করে তোলো প্রযুক্তির নতুন এই যুগে।
৪. টলারেন্স নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা
রুটে দুইটা বাস ছিল, একটা হচ্ছে বিআরটিসি আরেকটা হচ্ছে ৪ নাম্বার। সন্ধ্যা বেলায় যখন ক্লাস শেষ হতো বাস গুলায় অনেক ভীড় থাকত। প্রতিদিনই বাস কাউন্টারগুলোয় মজার কিছু ঘটতোই।
মজার বলতে ঝগড়া বাঁধা। দুটাকা বেশি নেয়া থেকে শুরু করে কে কোথায় বসলো কার কোথায় ধাক্কা লাগলো আর কে বের হতে পারছে না এসব, এ ধরনের ঝগড়া সবসময়ই হতো।
তখন মনে হতো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে টলারেন্স বা সহ্য ক্ষমতার মাত্রাটা বোধহয় কম। কিছু হলেই আমরা রেগে মেগে আগুন হয়ে যাই। একটুতেই বিরক্ত বা হতাশ হয়ে যাই।
তো আমি একটা ছোট্ট কাজ করতাম। আমার সাথে যদি কারও ধাক্কা লাগতও, সে রক্তচক্ষু করে তাকানোর আগেই আমি তাকে ছোট্ট করে একটা সালাম দিতাম। বলতাম, আসোলামু আলাইকুম ভাইয়া, I am really really sorry। Thats it। সালাম দিলেই অর্ধেক শান্ত হয়ে যায়। আর স্যরি বললে পুরোপুরি ঠাণ্ডা।
আমার মনে হয় যে হ্যাঁ, বাংলাদেশের মানুষের টলারেন্স মাত্রা কম, কিন্তু এই ছোটখাটো প্র্যাকটিস যদি আমার ধরে রাখতে পারি, আশপাশের মানুষের টলারেন্স একটু হলেও বাড়বে, এবং তোমাকে দেখে আরো কয়েকটা মানুষ হয়তো শিখবে এবং জিনিসটিা Ripple Effect এর মত চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে।