১. নিজের কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নাও
পরিশ্রম করতে আমাদের আলসেমির একটা কারণ হলো বড় বড় কাজ করতে গেলে অনেক বেশি ক্লান্তি চলে আসে। কাজের বহর দেখলেই হতাশ হয়ে যেতে হয় কাজ করার ইচ্ছেই করে না। পরিশ্রম তো অনেক দূরের কথা। তাই যে কাজই হোক, সেগুলোকে যদি আমরা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে শেষ করি, তাহলে একদিকে যেমন দ্রুতগতিতে কাজ এগোবে, অন্যদিকে পরিশ্রম করতেও ক্লান্তি লাগবে না।
২. নিজের লক্ষ্য অর্জনে ফোকাস করো
অন্যের লক্ষ্য কেমন, তারা লক্ষ্য অর্জনে কতদূর গেছে সেদিকে তাকিয়ে হতাশ হবার কোনো কারণ নেই। বড়জোর অন্যের লক্ষ্যপূরণ থেকে উদ্দীপনা নিতে পার তুমি যে, ও পারলে আমি কেন নয়? কিন্তু তুমি তোমার লক্ষ্যে অবিচল থাকবে। লক্ষ্য নিশ্চিত না থাকলে পরিশ্রমে আগ্রহ মেলে না। আর তাই নিজের লক্ষ্যটি ঠিকঠাক রাখো, এগিয়ে চলো পরিশ্রম করে।
৩. ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখো
তোমার জীবনে যেকোনো কাজে হতাশা আসতেই পারে। ভেঙে পড়াটা অস্বাভাবিক না তাই। কিন্তু সেজন্যে পরিশ্রম করা ছেড়ে দেবার কিন্তু কোন কারণ নেই! ইতিবাচক মনোভাব রাখার চেষ্টা করবে সবসময়। মনে রাখতে হাজারো ব্যর্থতার পর যে সাফল্য আসে, সেটির মূল্য সবচেয়ে বেশি।
৪. নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখো
প্রায়ই দেখা যায় যে খুব পরিশ্রমী একজন মানুষের জীবনে বড় রকমের হতাশা যে, নেমে এসেছে। এমন সে হতাশা, মানুষটিকে ভেঙে দিয়েছে ভেতর থেকে। কেন জানো? কারণ তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। যত বড় আঘাতই আসুক না কেন, নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকলে সেগুলোকে মোকাবেলা করা যাবে ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রম দিয়ে।
৫. পরিশ্রমী মানুষের সাথে মেশো
আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি। তা হলো, তুমি যে ধরনের মানুষদের সাথে বেশি চলাফেরা কর, যাদের সাথে বেশি মেশা হয় তোমার, সেই মানুষগুলোর আচার আচরণ, চরিত্রগুলো খানিকটা হলেও তোমার মধ্যে বিরাজ করে। এজন্যে দেখা যায় খুব জ্ঞানী কোনো মানুষের শিষ্যদের। অনেকেই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়।
ইংরেজি ভাষা চর্চা করতে আমাদের নতুন গ্রুপ- 10 Minute School English Language Club-এ যোগদান করতে পারো! এখানেও ব্যাপারটা একই রকম। চেষ্টা কর পরিশ্রমী মানুষদের সাথে পরিচিত হবার তাদের সান্নিধ্য পাবার। এতে করে তোমার নিজের মধ্যেও এক ধরনের পরিশ্রমী মনোভাব চলে আসবে। তুমিও হতে চাইবে তাদের মতো পরিশ্রমী। এভাবে পরিশ্রমের ভূতটাও তোমার মাথায় চেপে বসবে।
বর্তমান যুগ হলো মহা ব্যস্ততার যুগ আবেগের দান নেই এখানে। তাই পরিশ্রমীরাই সফল হবে এই যুগে। তাই সফলতা পেতে হলে অবশ্যই তোমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, অনুশীলন করে যেতে হবে। তবেই পাবে সাফল্যের দেখা!
.
প্রতিযোগিতায় যে গুণগুলো থাকা প্রয়োজন
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনটা অন্য সব সময়ের থেকে আলাদা। নতুন নতুন বন্ধু বান্ধবীর দেখা, আড্ডা, নিজের ক্যারিয়ার গড়ার ভাবনা থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছুর শুরুটা হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার শুরুরটাও এই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই হয়। এগুলো আবার স্কুল কলেজের মতো নয়, এসবের কোনো কোনোটায় সাফল্য বদলে দিতে পারে ক্যারিয়ারের গতিপথ!
বিভিন্ন বিজনেস কম্পিটিশন রয়েছে, যেগুলোয় সাফল্য পেলে নামজাদা সব প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করা যায়, অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ মেলে। সাথে থাকে বড় অঙ্কের প্রাইজমানি, আর হয় অভিজ্ঞতা। এছাড়াও MUN বা Debate এর মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে একদিকে যেমন নিজের Public Speaking Skill বাড়তে থাকে আবার অন্যদিকে নিজের একটা পরিচিতিও হয়, যা ক্যারিয়ারে অনেক কাজে লাগে।
যে কোনো প্রতিযোগিতাই হোক না কেন, এগুলোর জন্যে খুব দরকারি কিছু জ্ঞান মাথায় রাখতে হয়। যেকোন প্রতিযোগিতা, যেখানে কথা বলা বা Public Speaking এর বিষয়টি রয়েছে সেখানেই এই বেসিক বিষয়গুলো জানা খুব বেশি দরকারি হয়ে পড়েঃ
১. সবসময় গল্প দিয়ে শুরু কর
ছোটবেলায় তোমরা সবাই একটা বিষয় নিশ্চয়ই খেয়াল করে থাকবে। ধরো স্কুলের টিচার খুব আগ্রহ করে অনেক বড় কোনো টপিক পড়াচ্ছেন। বিষয় নিয়ে তার আগ্রহের শেষ নেই, কিন্তু পড়াচ্ছেন একঘেয়ে ভাবে, তার পড়ানোতে তোমাদের কোনো আগ্রহ আসছে না। কিছুদিন পর তুমি খেয়াল করলে যে ওই টপিকের কিছুই আর তোমার মনে নেই!
কারণটা কি জানো?
কারণটা হলো তুমি তার পড়ানোয় মোটেও আগ্রহ পাওনি, তাই সে টপিকটা সেই ক্লাসের পরেই ভুলে গিয়েছে। মজার ব্যাপারটা হলো, এই একই টপিক যদি তোমার টিচার একটু মজা করে, একটু গল্প বলে পড়াতেন, তাহলে গল্পের সাথে সাথে কিন্তু তোমার টপিকটাও মনে থাকবে, কোনোক্রমে ভুলে গেলেও গল্পটা তোমার মনে থাকবেই!
তুমি যখন কোনো প্রতিযোগিতায় প্রেজেন্টেশন দিতে যাও, অথবা কথা বলতে শুরু কর, এখানে মনে করবে এই টিপসটির কথা। মনে রাখবে। তোমার সেই টিচারের মতো করে উপস্থাপন করতে দিতে গেলে সেখানে উপস্থিত বিচারকের অবস্থাও হবে সেই তোমার মতো, তারা দ্রুতই আগ্রহ হারাবেন। কিন্তু এর জায়গায় যদি একটু কায়দা করে তুমি গল্প দিয়ে শুরু কর, তাহলে বিচারকদের আগ্রহ পাবে তুমি, আর তাতেই প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সম্ভাবনা অনেকগুণে বেড়ে যাবে!