টিভিতে রান্নার অনুষ্ঠান দেখে রান্নাটা না হয় একটু শিখে নিলে! ইংরেজি সিনেমা দেখে ইংরেজি উচ্চারণের দক্ষতাও বাড়িয়ে নিতে পার। দরকার শুধু বিনোদনের পাশাপাশি এই শেখার দিকটায় ফোকাস করা।
৪. ট্রাফিক জ্যাম
সূর্য যেদিক দিয়েই উঠুক, দিনের শেষে রাত আসুক বা না আসুক, ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম থাকবেই- এ যেন এক অমোঘ সত্য। আর এই সত্যকে মেনে নিয়ে জ্যামে বসে বিরক্ত না হয়ে আর জ্যামের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার না করে সময়টা কাজে লাগানোর দিকে ফোকাস করলে কিন্তু অনেক কাজে লাগে সেটা!
এক কাজ করতে পারো। আগের রাতেই ফোনে ইউটিউবে পডকাস্ট সেভ করে রাখতে পার। ডাউনলোড করে নিতে পার অডিওবুক। সত্যিকারের বই পড়ার সময় না থাক, অডিওবুক কানে একটা হেডফোন লাগিয়েই শুনে নিতে পার! তাতে সময়ও বাঁচল, বই পড়াটাও হলো!
আমাদের জীবনে সময় নষ্ট করে এমন বিষয়ের কমতি নেই। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে থেকে যদি আমরা শেখার বিষয়গুলো বের করে আনতে পারি, সেখানেই ফোকাস করি, তাহলে কিন্তু এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে গেল! বিনোদনও হলো, সাথে শেখাও!
৩. ভোকাবুলারি জয়ের ৫টি কৌশল
ভোকাবুলারি জয়ের ৫টি কৌশল
বিভিন্ন ভর্তিপরীক্ষা থেকে শুর করে জীবনের নানা স্তরে ভালো করার ক্ষেত্রে প্রায়ই কাল হয়ে দাঁড়ায় ভোকাবুলারি বা শব্দভান্ডার ভালো না থাকাটা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যে, আমরা ভোকাবুলারি মুখস্থ করে কিছুদিন পরেই আবার ভুলে যাই। এজন্যে ভোকাবুলারিই অনেকসময় আমাদের সফলতা অর্জনের শত্রু হয়ে পড়ে!
একটা ঘটনা বলি। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষা দেয়ার প্রস্ত তি নিচ্ছিলাম, ইয়া মোটা একটা বই মুখস্থ করেছিলাম। একগাদা শব্দ, সব আমার মুখস্থ! কিন্তু হলো কী, যেই না ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলো, হঠাৎ দেখলাম সেগুলো আর আমার মাথায় নেই! বেমালুম ভুলে গিয়েছি প্রায় সবগুলোই!
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্যে কয়েকটা টিপস ফলো করতে পার। চলো দেখে আসি কেমন সেই টিপস :
১. আমরা যখন প্রায় একই বানান বা উচ্চারণের শব্দ বারবার দেখি,আমরা গুলিয়ে ফেলি কোনটি আসলে কোন শব্দের অর্থ। এ জন্য শব্দ মুখস্থ করে পড়ার সময় একটু উল্টেপাল্টে নিতে হবে। প্রথমে না হয় A দিয়ে শুরু এমন একটা শব্দ পড়লে, আর তারপর A যুক্তশব্দ না পড়ে Z দিয়ে শুরু এমন আরেকটা শব্দ পড়ে ফেললে! তাতে আর এ সমস্যাটা হবে না।
২. যদি এমন হয় যে, তুমি একটা শব্দ বেশ কয়েকবার পড়েছ, কিন্তু এখন আর সেটা মনে পড়ছে না। তখন কী করবে? এর প্রস্তুতি নিতে হবে আগেই। কঠিন শব্দগুলো পড়ার সাথে সাথে মনের মধ্যে মজার কোন বাক্য বানিয়ে নিতে হবে ওই শব্দটি দিয়ে। তাতে শব্দার্থ ভুলে গেলেও, বাক্যটি কিন্তু ঠিকই মনে থাকবে! লাইভ ভিডিওটি থেকে দেখে নাও উদাহরণগুলোও!
৩. একই অর্থের অনেকগুলো শব্দ থাকতে পারে, আর সেগুলো প্রায়ই নানা সমস্যার সৃষ্টি করে! এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় খুব সহজ। একটা শব্দ পড়ার সময় চটপট তার Synonym গুলোও পড়ে ফেলো! তাতে একটির জায়গায় অনেকগুলো শব্দ একেবারে শেখা হয়ে গেল!
৪. আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যে আমরা শব্দগুলো মুখস্থ করি এবং কিছুদিন পরই আবার ভুলে যাই। এর সমাধান হচ্ছে Read Memorize-Repeat. অর্থাৎ পড়ে মুখস্থ করে আবারো প্রাকটিস করতে হবে। এ নিয়ে আরো জানতে দেখে ফেলো লাইভ ভিডিওটা!
৫. তোমার যে মোবাইল ফোনটি ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামে চষে বেড়ায়, সেই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেই কিন্তু উন্নত করতে পার ভোকাবুলারি! আমাদের প্রচুর সময় নষ্ট হয় ট্রাফিক জ্যামে। আমরা এই জ্যামে বসে কিন্তু ফোনে ভোকাবুলারি অ্যাপ ব্যবহার করে শিখতে পারি ভোকাবুলারি! এছাড়াও আমাদের 10 Minute School এর Surprise সব সেকশন থেকেও তুমি শিখে নিতে পারো ভোকাবুলারি!
একটুখানি চেষ্টা আর পরিশ্রম করলেই কিন্তু আয়ত্তে আনা ভোকাবুলারির সাতসতেরো! দরকার শুধু সেই মনোযোগ আর নতুন কিছু শেখার আগ্রহ!
.
অপরিচিতের সাথে কিভাবে ফোনে কথা বলবো?
Cold calling বলে ইংরেজিতে একটা কথা আছে। না, এর সাথে ঠান্ডা কথার কোনো সম্পর্ক নেই, ঠান্ডা কথা আবার কী? Cold calling শব্দটার মানে হলো অপরিচিত কারো সাথে প্রথমবারের মতো কথা বলা। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, এগুলো নিয়ে লেখার কী দরকার?
সত্যিটা হলো, এসব নিয়েই জানা দরকার সবার। আমরা ইন্টারনেটে শত শত বস্নগ পড়ি, ইউটিউবে ট্রেন্ডি ভিডিও দেখি। সেখানে শেখানো হয় কীভাবে সুন্দর করে কথা বলে মেয়েদের ইম্প্রেস করতে হয়, কোন স্টাইল ফলো করতে হয় আরো কত কী। অথচ কোনো অফিশিয়াল আলোচনার ক্ষেত্রে সামনাসামনি দেখা সাক্ষাতের থেকে ফোনেই বেশি কথাবার্তা হয়! তাই অপরিচিতের সাথে কীভাবে কথা বলবে, সেটা শিখে নেয়া জরুরী।
প্রথমবার কাউকে ফোন দেয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। এগুলো মেনে চললে ফোনের ওপাশের মানুষটি ভাববে তুমি একশ ভাগ প্রফেশনাল- আর এতে সুসম্পর্কও গড়ে উঠবে!
১. নিজের পরিচয় জানাও আগে
ফোন করলে, ওপাশ থেকে পরিচয় জানতে চাইলো, তুমি বলে দিলে তোমার প্রিয় ডাকনামটি, পাড়াতো ছোটবোনটি তোমাকে যে নামে ডাকে–তাহলে কি ব্যপারটা প্রফেশনাল হলো? একদমই না। তুমি যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ কর, অথবা সে মানুষটি যে প্রতিষ্ঠানের নাম শুনে তোমার সাথে কথা বলতে রাজি হয়েছে, তুমি সে নামটাই বলল। ভাইয়া, আমি টেন মিনিট স্কুল থেকে আয়মান বলছি। এখন শুনতে ভালো লাগছে না?