৬. Start Writing Your Own CV : আমাদের সমস্যাটা হলো যে, আমরা মনে করি সিভি জিনিসটা পড়ালেখার পাট চুকিয়ে চাকরিতে ঢোকার সময় লিখলেই হয়। এটি একটি ভুল ধারণা। পড়ালেখা শেষ করে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষেই সিভি লেখার অভ্যাস করতে হবে এবং প্রতি সেমিস্টার শেষে নিজের সিভি আপডেট করতে হবে। এতে যে লাভটা হয় পুরো সেমিস্টারে কোনো কাজের কাজ করেছ কি না সেটির প্রমাণ পাবে সিভি আপডেট করার সময়। এভাবে পুরো সেমিস্টারে তোমার কৃত কাজের একটা প্রতিফলন পাবে! তাই আর দেরি না করে ঝটপট শুরু করে দাও সিভি লেখা!
৭. Focus on Corporate Grooming : কর্পোরেট জগতটা খুব সহজ কোনো জায়গা না। তুমি কাজ করতে না জানলে, পরিস্থিতির সাথে না মানাতে পারলে এখানে আর তোমার জায়গা হবে না। তাই এই জগতের একজন হতে চাইলে আশেপাশে পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। এই পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে মানিয়ে নেয়াটাই হলো গ্রুমিং। কর্পোরেট জগতে টিকে থাকার জন্যে তাই এই কর্পোরেট গ্রুমিং অতি দরকারি।
৮. Take Part in Extra-Curricular Activities : সহশিক্ষা বা এক্সট্রা কারিকুলার কাজ করতে হবে। সেটি হতে পারে কোনো বিতর্ক প্রতিযোগিতা, হতে পারে কোনো বিজনেস কম্পিটিশন কিংবা MUN। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করতে চাইলে এগুলোর ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে পার তুমি। এছাড়া নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে, তবেই না নিজেকে আদর্শ একজন ছাত্র হিসেবে দেখাতে পারবে!
৯. Find Your Own Mentor : নিজের একজন মেন্টর বা গুরু খুঁজে নিতে হবে যিনি তোমাকে সাফল্যের পথ দেখাবেন, যার কাজে তুমি হবে অনুপ্রাণিত। এই মেন্টর হতে পারেন
এলাকার বড় ভাই, যিনি পরিশ্রম করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন। পারেন কোনো ইন্টারনেট সেলিব্রিটি, যার ভিডিও দেখে তাঁর মতো ভয় জীবন ধারনের চেষ্টা করছ তুমি! যে-ই হোক নিজের গুরুকে নিজেই খুঁজে নিতে হবে!
১০. Become a Software Maestro : সফটওয়্যার নিয়ে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। দক্ষ হতে হবে Powerpoint. Excel ও Word এ। শিক্ষাজীবন থেকে বের হয়ে চাকরির প্রায় সব সেক্টরে এই দক্ষতাটি দারুণ কাজে দেবে। হাজারো চাকরিপ্রার্থীর সাথে তোমার পার্থক্য গড়ে দেবে এই একটি কাজের দক্ষতাই!
.
প্রতিনিয়ত করে চলেছি যে ৪টি ভুল!
ঈদের ছুটিতে বসে বসে আত্মউন্নয়ন বা Self-development-এর কয়েকটা বই পড়ছিলাম। বইগুলো পড়ে মনে হলো, আমি আসলে প্রতিনিয়ত নিজের জীবনে বেশকিছু ভুল করে যাচ্ছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, আরে, এটাই তো ঠিক! কিন্তু বাস্তবে, এই কাজগুলো আসলে ভুল। অন্তত ৪ রকম ভুল আছে যেগুলো বলতে গেলে অজান্তেই করে ফেলি আমরা সবাই। এসব ভুলের ভুল হবার কারণগুলো জেনে নেয়া দরকার, তাই না?
১. ভাবিয়া বলিও কথা, বলিয়া ভাবিও না
বেশ কিছুদিন আগে আমরা টেন মিনিট স্কুলের সবাই মিলে কুমিল্লায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। গভীর রাত, আমি আর আমার বন্ধু শুভ একটা বিষয় নিয়ে বেশ জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুরু করেছি। খেয়াল করে দেখলাম, আমি আসলে আমার মতামতগুলোকেই বারবার ডিফেন্ড করে যাচ্ছি, আর শুভ তার চিন্তা চেতনার সপক্ষে কথা বলে যাচ্ছে।
মিনিট পেরিয়ে ঘণ্টার কাঁটায় আটকে যায়, আমাদের বিতর্ক আর থামে না। একটা পর্যায়ে এসে দেখা যায়, এই আলোচনায় আমাদের কেউই কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না, পুরো বিতর্কের কোনো ফলাফলই নেই! দৈনন্দিন জীবনের ৪টি ভুলের মধ্যে এটাকে বলা যায় প্রথম ভুল।
এখান থেকে একটা বিষয় খেয়াল করলাম, যে নিজের যুক্তিতে অনড় থেকে অন্যের কথাগুলো ঠিকমত না শুনলে আসলেই কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। কোনো ফলাফল পেতে হলে অবশ্যই জানতে হয় অন্যজনের কথা, মন দিয়ে শুনে নিতে হয়। তাই কোনো কথা বলার আগে অন্যরা কি বলছে সেটা শুনে তারপরই কথা বলা উচিত।
২. লেখার আগে একবার ভাবো
আমাদের লেখালেখির অনেকটাই এখন হয়ে গেছে মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় লেখালেখি করেই আমরা ব্যস্ত থাকি। এই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখার আগে একটা জিনিস মাথায় রাখা খুব জরুরি। সেটা হলো, তুমি যাকে উদ্দেশ্য করে কিছু লিখছো বা বলছো, তোমার লেখা পড়ে তার মনে কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে রাখতে হবে।
অতি সম্প্রতি দেখলাম কোনো এক বিউটি কনটেস্টের বিজয়ীকে নিয়ে মানুষের একের পর এক নেগেটিভ কমেন্ট আর পোস্ট। সেগুলোর বেশিরভাগই অশ্রাব্য, তাতে ওই বিজয়ীর কোনো দোষকে নিয়ে সমালোচনার বদলে ঢালাওভাবে গালমন্দ করা হয়েছে বলতে গেলে। এই কাজটা করা উচিত নয়। তুমিই বলো, এই অকারণ অপমান কি মানুষটির জীবনে কোনো ভ্যালু এনে দিয়েছে? তার ভুলগুলো কি শোধরানোর কোনো সুযোগ দেয়া হয়েছে?
একজন মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজ সম্মান রয়েছে। তার কোনো ভুল, তাকে নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে সেটি তুমি অবশ্যই বলবে, কিন্তু সেটি হতে হবে সমালোচনার মধ্য দিয়ে। Constructive Criticism বা গঠনমূলক সমালোচনা কর, তাতে কার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অকারণে মানুষকে ট্রল করা বা অপমান করা- এগুলোতে কিন্তু তোমার নিজেরই সম্মানহানি হয়, অন্যের নয়।