ধরো, বাইরে অনেক রোদ। এখন তুমি যদি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দাও যে, বাইরে তীব্র রোদ, Feeling ঘাম ঘাম, তাহলে কিন্তু বাকিরা তোমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে। তোমার কোনো কথাকেই তারা আর গুরুত্বের সাথে নেবে না। তাই ফেসবুকে কিছু পোস্ট করার আগে একটু ভেবে নিলেই দেখবে আর কোনো সমস্যা হবে না!
৪. কমেন্ট
এটাকে বলা যায় সবচেয়ে দরকারি লেসন। আমরা ছোটবেলায় বাবা-মার কাছ থেকে সবাই এই শিক্ষাটা পেয়েছি যে, অপিরিচিত মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হয়। আদবের সাথে কথা বলতে হয় সবার সাথেই। বাস্তব জগতের এই ভদ্রতাটা কিন্তু ভার্চুয়াল জগতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
কেউ একজন কিছু একটা পোস্ট করলো, তাতে আক্রমণাত্মক কমেন্ট, গালাগালি করা কিংবা হুমকি দেয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক না! তুমি হয়তো ভাবছ এ তো সামান্য ফেসবুক, এখানে একটু মারামারি করলে এমন আর কী হবে। কিন্তু এটা ফেসবুক বলেই তোমাকে খুব সহজে ট্র্যাক করা যাবে, ধরে ফেলা যাবে। তাই কমেন্ট করার সময় একটু ভেবেচিন্তে করলেই দেখবে তোমার ভার্চুয়াল লাইফ কত সুন্দর হয়ে গিয়েছে। আমি জানি, তোমরা যারা এই লেখাটা পড়ছে বা নিয়ে ভিডিওটা দেখেছ তোমরা সবাই ফেসবুকের এসব নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। তাই আমি আশা করব তোমরা তোমাদের বন্ধুদেরকেও এই লেখাটার মাধ্যমে জানাবে একটা সুন্দর ভার্চুয়াল লাইফ হবার কথকতাগুলো!
তাতে যেটা হবে, সারা বাংলাদেশ একসময় ঠিকভাবে ফেসবুক ব্যবহার করতে শিখবে। আমাদের একটা সুন্দর ভার্চুয়াল লাইফ হবে। হয়তো মার্ক জাকারবার্গের পরের লাইভ ভিডিওতে চিকন পিন নিয়ে নয়, সায়েন্টিফিক দুর্দান্ত কোনো প্রশ্ন করবে বাঙালিরা, আর বিশ্ব অবাক তাকিয়ে বলবে, শাবাশ! বাংলাদেশ!
.
শিক্ষাজীবনে যে ১০টি কাজ না করলেই নয়
শিক্ষাজীবনে শুধু অন্ধের মত পড়ালেখা করলে যে খুব বেশি দূর যাওয়া যায় না, সেটি আমরা সবাই জানি। পড়ালেখা করে অনেকেই, কিন্তু জীবনে সফলতা পেতে হলে এর পাশাপাশি বেশ কিছু কৌশল জানতে হয়, কিছু কাজে পারদর্শী হতে হয়। তবেই না সফল একজন ব্যক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা যায়।
এমন কিছু কাজ আছে, যেগুলো শিক্ষাজীবনের এই দীর্ঘ সময়টায় না করলে বলা যায় শিক্ষাজীবনই বৃথা। এই কাজগুলোয় নিজেকে পারদর্শী করে তুললে শিক্ষা-পরবর্তী জীবনে সাফল্য পেতে কোনো সমস্যাই হবে না। কারণ এগুলো তোমাকে গড়ে তুলবে একজন অভিজ্ঞ কুশলী হিসেবে, আর চাকরিদাতাদের তো এমন একজনকেই দরকার! আজ এমনই ১০টি কাজের কথা বলব, যেগুলো করলে তুমি খুশি মনে বলতে পারবে, যাক, শিক্ষাজীবনটা বৃথা গেল না তাহলে!
১. Keep the Networking Alive : নেটওয়ার্কিং বলতে বোঝানো হচ্ছে তুমি যে ক্ষেত্রে কাজ করবে, সে ক্ষেত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে পরিচয় রাখা। এতে করে যেকোনো দরকারে তাদের কাছ থেকে সহায়তা পেতে পার তুমি, পরামর্শ পেলে সেটিই বা কম কিসের? ছাত্রজীবন থেকেই নেটওয়ার্কিংটা বাজায় রাখতে হবে। তুমি যে বিষয়ে কাজ করতে চাও, সেই বিষয়ের এক্সপার্টদের সাথে সুসম্পর্ক মাখার চেষ্টা করবে। তাহলেই না এগিয়ে যাওয়া যাবে সাফল্যের অভিযাত্রায়।
আমাদের ক্ষুদ্র এ জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কেটে যায় ছাত্রাবস্থায় এই সময়টাকে কাজে না লাগাতে পারলে বাকি জীবনে হতাশা আর আক্ষেপে কেটে যাবে। সাফল্যের আশাটা ঢেকে যাবে সংশয়ের দোলাচলে। তাই সময় থাকতেই তোমাদের উচিত এ দশটি কাজ সেরে ফেলা। সুন্দর একটি অবষ্যতের জন্যে এটুকু তো করাই যায় তাই না?
২. Use Your Digital Profile : আমাদের সবারই একটা ডিজিটাল প্রোফাইল আছে। সেটি অযথা এ তুলে নষ্ট না করে কাজে লাগাতে হবে। তোমার প্রোফাইল যেন না হয়ে কথা বলে, সেভাবেই সাজাতে হবে সেটি। ধরো, তুমি খুব ভাল। এনিমেশনের কাজ পার। তোমার সেরা কিছু কাজ যদি তোমার ডিজিটাল প্রোফাইলে থাকে, তাহলে যেকোনো প্রতিষ্ঠান যারা ভালো এনিমেটর খুঁজছে, তোমার প্রোফাইল দেখেই তোমাকে পছন্দ করে ফেলতে পারে। এভাবে ভবিষ্যতে এই প্রোফাইলই তোমাকে তোমার কর্পোরেট জীবনে সহায়তা করবে।
৩. Learn a New Language : আধুনিক বিশ্বে সফলতার সূত্র হলো পুরো বিশ্বের সাথে কানেক্টেড থাকা। আর সেটি করতে হলে নিজের মাতৃভাষার পাশাপাশি বিদেশি এক দুইটা ভাষা শিখতেই হবে। ইংরেজি তো আবশ্যক, পাশাপাশি তোমার কার্যক্ষেত্র অনুযায়ী আরেকটা ভাষার বেসিক জ্ঞান নিয়ে রাখলে ভবিষ্যতে তা দারুণ কাজে লাগতে পারে! আর কিছু না হোক, ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হতেই হবে এই ছাত্রজীবনে!
8. Get Used to the Presentation : প্রেজেন্টেশন নিয়ে আমাদের ভয়টা পুরনো। ডায়াসে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গেলে শখানেক প্রেজেন্টেশন দেয়া মানুষটিরও গলা শুকিয়ে যায়, বুক কাঁপে একটু হলেও। এটি থাকবেই। কিন্তু তাই বলে প্রেজেন্টেশন তো খারাপ করা যাবে না! একটি ভালো প্রেজেন্টেশন চাকরিজীবনে সাফল্য পেতে বেশ কাজে দেবে! এজন্যে এটিকে ভয় না পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে এগিয়ে চললে প্রেজেন্টেশনের ভয়টা আর থাকবে না!
৫. Solve Your Own Problems : আমাদের আরেকটা সাধারণ অভ্যাস হচ্ছে যেকোনো সমস্যায় পড়লে সেটির সমাধান না করে সমস্যাটি কে করেছে, কেন হয়েছে এরকম নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকি। কিন্তু কথা হলো যে, সমস্যা যেটাই হোক, যেভাবেই হোক, সমাধান করতে হবে তোমাকেই। সমস্যা দেখে সেটি নিয়ে প্রশ্ন না করে বুদ্ধিমানের মতো সেটির সমাধান করে ফেললেই জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়।