৮. ছোটখাট ব্যবসা শুরুর জন্যে ছাত্রজীবন দারুণ সময়
আমাদের নতুন যে টি শার্টগুলো দেখছ তার ডিজাইনটি আমাদের হলেও আমাদের এক ছেলে তার নতুন করা কোম্পানি থেকে আমাদের এই টি শার্টগুলো বানিয়ে দিয়েছে। এমন আরো অনেক ছোট ছোট আইডিয়ার মাধ্যমে শুরু হতে পারে তোমাদের ছোট ব্যবসার পথচলা যা কিনা হয়ে উঠতে পারে তোমার স্বপ্নের চেয়েও বড়।
৯. ডিজিটাল যুগে কোডারের জুড়ি নেই
আইসিটির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে পুরো পৃথিবী। তুমি যদি কোডিংয়ে ভালো হও তাহলে তুমি এ্যাপস ডেভেলপমেন্ট করতে পার, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে পার, এমন কি হতে পারে তুমি কোনো একটা বড় কোম্পানির জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলেছো! ১০ মিনিট স্কুলে আমরা ডিজাইনার খুঁজি, এনিমেটর খুঁজি এবং অনেক কোডারও খুঁজছি যারা কিনা আমাদের জন্যে নতুন নতুন ফিচার তৈরি করতে পারবে। তাহলে আর দেরি কেন? কোডার হয়ে থাকলে কাজে লাগাও তোমার দক্ষতাকে!
১০. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞ হও
আমরা অনেকেই অনেক ধরনের ইভেন্টে যাই। আমার অনেক বন্ধুই এই ধরনের ইভেন্টে কাজ করছে। হতে পারে ফুড ফেস্টিভাল, কর্পোরেট ইভেন্ট, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এমন আরো অনেক কিছু যা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করে পরিচালনা করাই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মগুলোর কাজ। তোমার যদি এই ব্যাপারে দক্ষতা থাকে তাহলে এমন অনেক ম্যানেজমেন্ট ফার্ম আছে যেখানে তুমি তাদের সাথে কাজ করতে পারো, কিংবা বন্ধুদের নিয়ে নিজেই একটা ফার্ম খুলে ফেলতে পারো!
তাহলে আর দেরি কেন? দ্রুত কাজে লাগাও এই টিপসগুলোকে, খুঁজে নাও তোমার পছন্দের কাজ, আর ছাত্রজীবনেই শুরু কর অর্থ উপার্জন!
.
ডিজিটাল ওরিয়েন্টেশন ও একটি স্বপ্নের কথকতা
আমার এক বন্ধু সেদিন আমাকে বলল, জানিস আয়মান? আমরা না শিক্ষিত হবার আগেই ডিজিটাল হয়ে গিয়েছি। শুনে অবাকই হলাম। প্রশ্ন করলাম, এর মানে কী? উত্তরে সে যা বলল, সেটা অনেকদিন আমার মাথায় থাকবে। বন্ধুটি বলেছিল, আমরা সবাই কিন্তু স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু তে ওরিয়েন্টেশন বা পরিচিতি পেয়েছি। কী করতে হবে, কী করতে হবে না, এসব জ্ঞানও বলতে গেলে সেখান থেকেই জেনেছি আমরা। কিন্তু এই যে ডিজিটাল লাইফে চলে এলাম সবাই, যেমন ফেসবুকের জগতে প্রবেশ করার সময় কোনো ওরিয়েন্টেশন কি পেয়েছি আমরা?
একটু থেকে লম্বা একটা দম নিয়ে আবার বলা শুরু করল বন্ধুটি। আমি ততক্ষণে আশ্চর্য হয়ে ভাবছি আরে আসলেই তো! বন্ধু বলে উঠল, ফেসবুক একটা ভার্চুয়াল জগৎ, তাই বলে যা খুশি তা কিন্তু করা উচিত না। এখানে। কিন্তু আমরা কী করি? মার্ক জাকারবার্গের লাইভ ভিডিওতে গিয়ে সুন্দরমত কমেন্ট করে আসি, ভাই চিকন পিনের চার্জার হবে? ব্যাপারটা কিন্তু নেহাতই রসিকতার পর্যায়ে থাকে না আসলে। কারণটা জানিস?
আমি তখন মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওর কথা শুনছি। কোনোমতে বললাম, নাহ! শুনি কী কারণ! বন্ধুর উত্তর, এই যে বাঙ্গালিদের এরকম কমেন্ট, এগুলো কিন্তু শুধু একজন মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করে না। এগুলো একটা দেশকেও রিপ্রেজেন্ট করে। এসব দেখে বিদেশের মানুষেরা মনে করতেই পারে, বাঙ্গালিরা হচ্ছে বোকা, তারা জানেও না কোথায় কী কমেন্ট করতে হয়। একবার ভেবে দেখেছিস ব্যাপারটা আমাদের দেশের জন্য কী সাংঘাতিক অপমানজনক?
ওর কথা শুনে চিন্তা করে দেখলাম একশো ভাগ সত্যি কথা বলেছে বন্ধুটি। একেবারে মানসম্মানের ব্যাপার দেখছি! ভাবলাম কী করা যায় এটা নিয়ে। তখনই মাথায় আসল, আমি নিজেই একটা ডিজিটাল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে ফেলি না কেন! যেই ভাবা সেই কাজ, শুরু করে দিলাম এই নিয়ে একটা ভিডিও বানানো!
ফেসবুককে কিন্তু আমাদের ডিজিটাল প্রোফাইল বলা যেতে পারে। তোমার বাস্তব জীবনের চেনা মানুষগুলো থেকে এই ভার্চুয়াল জগতের চেনা মানুষের সংখ্যা কিন্তু বেশি। তাই তোমার ডিজিটাল ওরিয়েন্টেশন হবে ফেসবুক প্রোফাইল আর তার ব্যবহারগুলো নিয়েই। ফেসবুককে সঠিকভাবে ব্যবহার করার সবচেয়ে দরকারি ব্যাপারগুলো নিয়ে বলা যাক তাহলে :
১. ফেসবুক আইডি
আমরা আমাদের পরীক্ষার সার্টিফিকেটে আমাদের পুরো নামটাই দেই, তাই না? ফেসবুককে যেহেতু আমাদের ভার্চুয়াল প্রোফাইল বলা হচ্ছে তাই ফেসবুকেও তোমার পুরো নামটা দেয়া উচিত। তোমার নাম সত্যিই যদি অদ্ভুত বালক, এঞ্জেল কণ্যা বা ড্রিম বয় রিফাত না হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলো বাদ দিয়ে তোমার ফেসবুক আইডির নাম দিতে হবে আসল নাম দিয়ে। নইলে কোনো একদিন ফেসবুক সিদ্ধান্ত নেবে, এমন মিথ্যা নামের কারো থাকার সম্ভাবনা নেই, তাই গায়েব হয়ে যাবে তোমার ফেসবুক প্রোফাইল।
২. প্রোফাইল পিকচার
তুমি যদি তোমার প্রোফাইল পিকচারে সালমান খান বা একটা গোলাপ ফুলের ছবি দাও, তখন মানুষ স্বভাবতই মনে করবে যে তুমি তো সালমান খান নও, আর গোলাপ ফুল তো আর ফেসবুক আইডি খুলতে পারে না, তাই তোমার নিশ্চয়ই কোনো কু-মতলব আছে! এরকম অহেতুক সন্দেহ থেকে বাঁচতে নিজের প্রোফাইল পিকচারে নিজেরই একটা ছবি দিয়ে ফেলো, যদি না অন্য কোনো সমস্যা না থেকে থাকে।
৩. ফেসবুক পোস্ট
ফেসবুকের নিউজ ফিডকে বলা যায় ভাচুয়াল জগতের চৌরাস্তা। তুমি কি চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে ইচ্ছেমতো যা মন চায় উল্টোপাল্টা সব বলতে পারবে? পারবে না। সেজন্যে ফেসবুকে কোনো পোস্ট করার আগে একটু ভেবে নেবে, চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে কি এরকম কোনো কাজ করতে পারতে তুমি? না পারলে দয়া করে এমন কোনো পোস্ট করো না যেগুলোর জন্যে তোমার তো বটেই, তোমার ফেসবুক বন্ধুদেরও মানসম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়!