২০১৮-নতুন এই বছরটি হোক আপনার পরিবর্তনের বছর। ফেসবুক ব্যবহার করুন সঠিক নিয়মে, এটাকে কাজে লাগিয়ে শুরু করুন দারুন কিছুর! স্বপ্ন দেখতে শিখুন, স্বপ্ন দেখলে সাফল্য আসবেই!
.
ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের ১০টি উপায়
ছাত্রজীবনটা শুধু নাক মুখ গুঁজে পড়ালেখা করে কাটিয়ে দেবার জনম পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য অর্থ উপার্জরের কার্যক্রমে অংশ নি একদিকে যেমন নতুন কিছু করার জন্য তোমার কাছে অর্থের শক্তি থাকবে তেমনি অন্যদিকে বৃদ্ধিপাবে আত্নবিশ্বাস, প্রকাশ ক্ষমতা, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠালাভের অনেক গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী। আমি যখন ছাত্র ছিলাম, তখন থেকেই অর্থ উপার্জনের কথা ভাবতাম, কারণ এতে ছাত্রজীবনেই স্বনির্ভরশীল। হবার একটা সুযোগ পাওয়া যায়। আজ তাই ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জন করার দারুণ ১০টি টিপস বলবো, যেগুলোর যেকোনো একটি অনুসরণ করলেও এই উপার্জনের ব্যাপারটা অনেক বেশি সহজে হয়ে যাবে।
১. খুঁজে নাও টিউশনি
আমি আমার লাইফের প্রথম টাকা উপার্জন শুরু করি টিউশনি করে। আমার এখনো মনে আছে, তিন হাজার টাকার একটি টিউশনি পেয়েছিলাম ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রকে পড়িয়ে। যেখান থেকে শুরু করি ব্যাচ পড়ানো এবং এভাবে তা আরো বাড়তে থাকে! আজ তোমরা যে ১০ মিনিট স্কুল দেখছো, তার প্রাথমিক খরচগুলো কিন্তু আমার টিউশনির টাকা থেকেই দেয়া হয়েছিল। তাই আজ থেকেই টিউশনি শুরু করে দিতে পারো!
প্রশ্ন আসবে কিন্তু আমি যে টিউশনি পাই না? আমার কী হবে? এক্ষেত্রে আমার প্রথম টিউশনির গল্প বলি। আমরা চার বন্ধু মিলে একটা লিফলেট বানিয়েছিলাম, পড়াতে চাই লিখে। সেগুলো আমাদের এলাকার দেয়ালগুলোয় সেঁটে দিয়েছিলাম সবাই মিলে। শুনতে অবাক লাগবে, কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা সবাই নিজ নিজ টিউশনি পেয়ে গিয়েছিলাম! তুমিও একই কাজ করতে পার, সাফল্য আসবেই!
২. ডিজাইনিং এর দক্ষতা কাজে লাগাও
এটা আমার অনেক পছন্দের একটি কাজ। আমি আমার ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষ থেকেই ডিজাইনের কাজ শুরু করেছিলাম। কিছুদিন পর খেয়াল করে দেখি প্রচুর ডিজাইনিং এর কাজ পাওয়া যাচ্ছে। এখন তো একজন ভালো ডিজাইনারের ডিমান্ড আরো বেশি! তাই তুমি যদি ভালো ডিজাইনিং করতে পার তবে বসে কেন? আজ থেকেই তুমি উপার্জন শুরু করে দিতে পার, শুধু নিজের সামর্থের পরিচয় দেবার অপেক্ষা!
৩, এডিটিং স্কিলের সঠিক ব্যবহার কর :
ভিডিও এডিটিং এর ধারণাটি খুব বেশি পুরনো না হলেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল। তোমরা যারা টেন মিনিট স্কুলের ভিডিওগুলো দেখ তারা খেয়াল করবে, প্রতিটি ভিডিও এডিট করা। এই এডিটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। বর্তমান যুগে সবাই উন্নতমানের ভিডিও চায় কিন্তু ভালো ভিডিও এডিটর পায় না। তাই তোমরা যারা ভালো এডিটিং পার তোমাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ অর্থোপার্জনের!
৪. লেখার হাত ঝালাই করে নাও
লিখতে আমরা সবাই পারি। কিন্তু কজনই বা পারি তার লেখাটা খবরের কাগজে ছাপাতে? তোমার লেখার হাত যদি ভালো হয় তাহলে তোমার সামনে সুবর্ণ সুযোগ! বাংলা কিংবা ইংলিশ যে ভাষাই হোক, চলবে। প্রচুর বস্নগিং সাইট আছে, নিউজ পেপার, অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে যে সব জায়গায় প্রচুর রাইটারের প্রয়োজন এমন কি ১০ মিনিট স্কুলেও। তাই যারা লেখালেখিতে ভালো, এই গুণটি কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জনের পন্থা খুঁজে নিতে পারো!
৫. ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং
বর্তমান প্রজন্মের কাছে সবচাইতে আলোচিত একটি শব্দ ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায় নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে। আমার মনে হয় এ কাজটির মানে তোমরা সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছ।
কোনো একটা বাইরের কাজ তুমি ফ্রিল্যান্সার হয়েই করে দিচ্ছো। ধরো তুমি ডিজাইনিং এ পারদর্শী, কেউ বা আবার ওয়েব ডেভেলপমেন্টে! এমন আরো অনেক কাজ করে দিতে পারছো ফ্রিল্যান্সার হয়েই। তুমি বাংলাদেশে বসে আমেরিকার যে কারো কাজ করে দিতে পারবে। এমন হাজার হাজার কাজ আছে আপওয়ার্কে গেলেই তুমি সে সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পারবে!
৬. কাজ কর এজেন্সির হয়ে
এটি এক ধরনের কোম্পানি যে কোম্পানিগুলো বড় বড় কোম্পানি, ভিডিও এডিটিং করে দেয় ডিজাইনিং করে দেয় প্রেজেন্টেশন তৈরি করে কর্পোরেট ইভেন্ট নামিয়ে দেয়। তুমি যদি এরকম কোনো কাজে পট হয়ে থাকো তাহলে অনেক কোম্পানি তোমাকে খুঁজে নিবে তাদের কাজের জনে। এমন কী চাইলে তুমিও যোগ দিয়ে ফেলতে পার যেকোন এজেন্সিতে!
৭. শখ যখন অর্থ উপার্জনের সহায়ক (ফটোগ্রাফি)
এটি বিশাল এক সুযোগের হাতছানি শিক্ষার্থীদের জন্য। যারা ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি পারো তাদের হয়তো বিস্তারিত বলার দরকার নেই যে কত ধরনের সুযোগের হাতছানি তাদের সামনে!
Wedding Photography, Corporate Photography, Event Photography ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ তাদের জন্যে খোলা রয়েছে। তোমরা যারা ১০ মিনিট স্কুলের ভিডিওগুলো দেখ সেগুলোর পেছনের কলাকুশলীরাও কিন্তু ফটোগ্রাফাররাই! তাই যারা এসবে অনেক পারদর্শী তাদের জন্য বেশ ভালো একটা উপার্জনের মাধ্যম হতে পারে ফটোগ্রাফি।