আরেকটু ক্যাজুয়াল হলে মেসেঞ্জারে রিমাইন্ডার সেট করে রাখবেন। অনেকে মেইল কিংবা এসএমএস চেক করে না। এসব হতচ্ছাড়াদের লাইনে আনার শেষ উপায় হচ্ছে মেসেঞ্জারে দিনক্ষণ দিয়ে রিমাইন্ডার সেট করে দেয়া। ক্যালেন্ডার বুক করতে হলে আপনার Gmail অ্যাকাউন্টে গিয়ে তারিখ এবং সময় অনুযায়ী সুট বুক করে রাখুন।
*
সহজ সরল কমিউনিকেশন
প্রথম যখন Apple থেকে Ipod বের হয়, তখন অনেক তথ্য দিয়ে সেই পণ্যটা বিক্রি করা যেত। কতটুকু স্টোরেজ, কতটুকু র্যাম, কতগুলো সার্কিট, প্রসেসর আরও কত কী! এত কিছু না বলে কী বলা হলো?
এক পকেটে ১,০০০ গান
মানুষ র্যাম, স্টোরেজ, মেমোরি– এত কিছু না বুঝলেও; ১,০০০টা গান যে শুনতে পারবে–এটা বুঝে। এবং এটাই মার্কেটিং জিনিয়াস। যেকোনো কঠিন জিনিসকে একদম সহজ ভাষায় অন্যের সামনে উপস্থাপন করা। আইনস্টাইনের এমনই এক উক্তি ছিল, আপনি কোনো জিনিস তখন বুঝেছেন, যখন সেটা আপনি একটা বাচ্চাকেও বোঝাতে সক্ষম হবেন।
*
সহজ ভাষায় লেখার চেকলিস্ট!
১) আপনি কি আপনার পাঠক সম্পর্কে অবগত? কে বা কারা আপনার লেখা পড়ছে সেটা কি আপনি জানেন?
২) আপনার লেখায় কি আপনার পাঠক যা জানতে চায় সেটা আছে?
৩) আপনার লেখা কি আপনার পাঠকের মনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে?
৪) আপনার লেখার মাধ্যমে আপনি যে বার্তা কিংবা। শিক্ষা আপনার পাঠকদের মাঝে পৌঁছতে চান সেটা কি সুস্পষ্ট ও নির্দিষ্ট?
৫) আপনার বার্তাটি কি ছোট, অর্থপূর্ণ এবং যৌক্তিক?
৬) আপনার পাঠক কি জানে আপনার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাটাকে সে কীভাবে কাজে লাগাবে?
৭) আপনার ব্যবহার করা অনুচ্ছেদগুলো কি প্রধান ধারণাটা দিয়েই শুরু হয়?
৮) আপনার লেখায় ব্যবহৃত বাক্যগুলো কি শক্তিশালী? বাক্যগুলো কি দৈর্ঘ্যে অনেক বড় বা অনেক ছোট?
৯) লেখাটা কি সংলাপের সুরে পাঠকের ভাষায় লেখা?
১০) শিরোনামগুলো কি লেখা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেয়?
১১) পরিচিত আর অনুভূতি প্রকাশক শব্দের ব্যবহার ঠিকমতো করেছেন তো?
১২) আপনার ব্যবহার করা সংজ্ঞাগুলো কি বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়?
১৩) লেখায় ছক আর তালিকার ব্যবহার রেখেছেন?
১৪) বানান আর ব্যাকরণজনিত ভুলত্রুটি যাচাই করেছেন?
১৫) পড়তে কি সহজ মনে হচ্ছে?
সাবাস! আপনি শেষ করতে পেরেছেন!
*
ব্যক্তিগত প্রশ্ন করার কৌশল
না, আমরা মানুষের বেতন কিংবা বয়স কীভাবে জিজ্ঞেস করতে হয় সেটা। শেখাবো না, কারণ অনেকের জন্যই প্রশ্নগুলো অনেক বেশি স্পর্শকাতর। তবে, এমন কিছু টেকনিক আছে যেগুলোর মাধ্যমে না উত্তর করা কিছু। প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব।
মনে করেন আপনি একটি অফিসে কেমন পলিটিক্স হয়, সেটা বোঝার চেষ্টা করেন তাহলে হয়তোবা প্রশ্ন করতে পারেন :
আপনি কি অফিস পলিটিক্স করেন?
অনেকেই হয়তোবা নিজের ভয়ে অফিস পলিটিক্স করলেও বলবে না। এর চেয়ে আপনি যদি প্রশ্ন করেন,
আপনার কি মনে হয় ৭৫% এর বেশি মানুষ অফিস পলিটিক্স করে এই কোম্পানিতে?
এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কোনো রিস্ক নেই। যদি অনেকেই হ্যাঁ উত্তর দেয়, তাহলে আপনি সামগ্রিকভাবে একটা ভালো আইডিয়া পাবেন যে আসলেও অফিসে পলিটিক্স হয় নাকি না।
*
ইট ডেপেন্ডস (It Depends)
আমি নিজের একটা ওয়েবসাইট বানাতে চাই। কেমন খরচ হবে?
–উপরের প্রশ্নের দুটো উত্তর দিলাম।
১) ভাইয়া, ইট ডিপেন্ডস। বলা যায় না ভাইয়া। একেক ধরণের ওয়েবসাইট বানাতে একেক ধরণের দাম পড়বে।
২) ভাইয়া, এটা কোনো সিস্টেম অনুযায়ী করতে পারলে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে আমাদের টিম ২১ দিনের মধ্যে আপনাকে কাজটা বুঝিয়ে দিতে পারবে। আর সেটা না পারলে আপনার সাথে আরেকদিন একটা মিটিং-এ সব পরিষ্কার করে নিতে হবে।
দুনিয়ার সব কিছুই আসলে ডিপেন্ডস। সবকিছুই কোনো না কোনো কিছুর উপর নির্ভর করে এবং এটা সবাই জানে। তাই, ইট ডিপেন্ডস বলার মতো অনর্থক জিনিস বোধ হয় কমই আছে। যদি বলতেই হয় তাহলে বলেন কিসের উপর নির্ভর করে। যেমন : উপরের উদাহরণে বলতে পারতো, এটা ভাইয়া ডিপেন্ড করে ডোমেইন, হোস্টিং, সাইট বিল্ডিং, ফিচার অ্যাড করাসহ আরও কিছু ব্যাপারের ওপর।
মানুষ প্রশ্ন করলে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ন্যূনতম তথ্যগুলো দিয়ে। রাখবেন। এমন তথ্য যেগুলো তাদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। যখন দরকার হবে, অন্তত আপনার কথা তারা একবার হলেও ভেবে দেখবে।
*
বিপজ্জনক কমিউনিকেশন
মানুষ যখন ঝগড়া করে, তখন সে শুধু নিজের না, তার আশপাশের পুরো পরিবেশটাকেই ডাউন করে ফেলে। কোনো মানুষের মেজাজে যখন বিস্ফোরণ ঘটে, তখন আপনার সেই মানুষটার আশপাশে না থাকাই ভালো। বিভিন্ন শপিংমলে যখন কাস্টমার মারামারির পর্যায়ে চলে যান, তাকে খুব কৌশলে অন্য কাস্টমারদের সামনে থেকে সরিয়ে ফেলার প্রটোকল থাকে। কারণ একজন রাগী মানুষ খালি নিজের না, তার আশপাশের সবার দিনটা খারাপ করে। এখন আপনি যদি সেন্স করতে পারেন যে কেউ ঝগড়া করতে এগিয়ে আসছে, তাহলে আপনার প্রথম টার্গেট হবে ঝগড়া করার পরিবেশটাই না দেয়া। কিন্তু, সব সময় তো সেটা সম্ভব হবে না। তাই, কিছু টিপস মনে রাখতে পারেন যখন উদ্ধত মানুষ আপনার দিনের শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলতে চাইবে।