কী করা যেতে পারে?
৪-৫ জন বন্ধু মিলে একটা গ্রুপ বানান। হোক সেটা আন্ডার গ্রুপ, সমস্যা নেই। আড্ডা দিন তবে ইংরেজিতে। নিয়ম করে প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট করে ইংরেজিতে গল্প করুন। এতে করে দেখবেন আপনার ইংরেজিতে কথা বলার জড়তা কমে যাবে, কথা বলার দ্রুততা বেড়ে যাবে। কয়েক মাস শেষে নিজের পরিবর্তন দেখে নিজেই চমকে যাবেন।
হ্যাঁ, আপনার মনে হতেই পারে যে বন্ধুরা পচাবে। কিন্তু আপনি তো তাদের সাথেই গ্রুপটা বানাবেন যারা নিজেরাও আপনার মতো শিখতে আগ্রহী। তাই না? তখন আপনারা নিজেরা নিজেরা ভুল করলেও কেউ কাউকে পচাবেন। আর এরপর যখন আপনাদের ইপ্রুভমেন্ট অন্যদের চোখেও পড়বে তখন অন্য যে বন্ধুটা আপনাকে প্রথম ব্যঙ্গ করেছিলো, সে ও চাইবে আপনাদের দলে ভিড়তে। এভাবে দেখবেন আপনাদের গ্রুপটা বড় হচ্ছে। আরেকটা কাজ করতে পারেন কিন্তু। যে ৪-৫ জন মিলে আড্ডার গ্রুপ বানিয়েছিলেন, তারাই একটা চ্যাটিং এর গ্রুপ খুলে ইংরেজিতে চ্যাটিং শুরু করে দিন না। দেখবেন ইংরেজি লেখার স্কিলটাও বেশ তাড়াতাড়ি ভালো হচ্ছে। পরীক্ষা তো দেই একদিন। চ্যাটিং করি সারাদিন। তাহলে কোনটা বেশি কাজে দেবে? বাংলিশে চ্যাট করে আপনারও কোনো লাভ নেই। আপনার বন্ধুদেরও। তাই ইংলিশে চ্যাট করে যদি নিজের কমিউনিকেশন স্কিলটা ভালো করা যায় তাহলে কেন নয়?
আর হ্যাঁ, এই চর্চাগুলো নিয়মিত করতে হবে কিন্তু। তা না হলে ফলাফল পাবেন না। তো আজ থেকেই শুরু করে দিন। দেখবেন সম্ভাবনাগুলো ঘুরে। বেড়াবে আপনার আশেপাশেই।
*
সমালোচনার পূর্বশর্ত!
মানুষ জাজমেন্টাল প্রাণি। আর আমাদের কথাবার্তার টপিকও হলো ঘুরে ফিরে মানুষই। মানুষকে নিয়ে কথা বলতে, নিন্দা করতে, জাজ করতে বড় ভালোবাসি আমরা। কাউকে জাজ করবার বেলায় খুব একটা সময় নেই না আমরা। শোনা কথায় কান দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝার মতো ভুলটাও প্রায়শই হয়ে যায় আমাদের। তা কী করে এই ভুল থেকে বেরিয়ে আসা যায়? একটা গল্প বলা যাক! একবার এক লোক সক্রেটিসের কাছে তাঁর বন্ধু সম্পর্কে একটা কথা বলতে গেলো। তিনি প্রত্যুত্তরে তাকে জিজ্ঞেস করলেন তার আনা তথ্যটি ৩ ফিল্টার টেস্টে পাস করবে কি না? লোকটির ৩ ফিল্টার টেস্ট নিয়ে ধারণা ছিলো না! তাই সক্রেটিস তিনটি প্রশ্ন করে ৩ ফিল্টার টেস্টের ব্যাপারে বুঝিয়ে দিলেন।
১. তথ্যটি কি সত্য?
২. তথ্যটি কি কারও সম্পর্কে ভালো কথা?
৩. তথ্যটি কি প্রয়োজনীয়?
লোকটির প্রথম প্রশ্নের উত্তর ছিলো সত্য না মিথ্যা সেটা তার অজানা। সেটি আসলে শোনা কথা।
দ্বিতীয় উত্তর ছিলো, এটি আসলে কারও সম্পর্কে খারাপ কথা।
তৃতীয় উত্তর ছিলো, এটি আসলে শ্রোতার না জানলেও ক্ষতি নেই।
আমাদের শোনা অধিকাংশ কথাই আসলে এমন। তিন ফিল্টারের একটা ফিল্টারও অতিক্রম করে না। অথচ তবুও আমরা শোনা কথায় কান দিয়ে একটা মানুষকে চট করে জাজ করে বসি! এখন থেকে এই অভ্যাসটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
*
খুদেবার্তার আদবকায়দা
দুইটা নমুনা দেখাই বরং
1. Bro wanna talk. Its urgent. Call me.
2. This is my new number. Save it.
ঝামেলাটা এখানে কোথায় বলুন তো? মনে হয় ধরতে পেরেছেন। আচ্ছা বলেই দেই। এখানে নাম পরিচয় কিছুই নেই। কথা হলো কোনো অপরিচিত নাম্বার। থেকে এ ধরণের খুদেবার্তা আসলে মেজাজ খারাপ হওয়াটা কি অন্যায়?
চলুন কথা না বাড়িয়ে বরং খুদেবার্তা লেখার কায়দাকানুনগুলো শিখে ফেলি।
১. পুরোনো কথাই বলি। নাম লিখুন। যাকে খুদেবার্তা পাঠাচ্ছেন তাঁর নামটা উল্লেখ করুন শুরুতে। আমাদের নাম আমাদের খুব প্রিয়। আর নাম উল্লেখ করা হলে প্রাপক অন্তত নিশ্চিত হবে যে মেসেজটা আসলে তাকেই পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক বা সুপারভাইজারের নাম ভুল লেখার কারণে পুরো রিপোর্ট নতুন করে করার তিক্ত অভিজ্ঞতাও আছে অনেকের। তাই নামের বানানটা ঠিকঠাক লিখবেন।
২. একটা কমার (,) অনেক ক্ষমতা। ভুল জায়গায় কমা কিংবা একেবারেই কমা ব্যবহার না করলে আপনার কথার মানেটাই বদলে যেতে পারে।
উদাহরণ দেই
আয়মান ভাইয়া, একটা সমস্যা!
আয়মান ভাইয়া একটা সমস্যা!
তফাতটা বুঝলেন তো?
৩. কী প্রয়োজন বিস্তারিত গুছিয়ে বলুন।
৪. প্রাপকের সময় আর ব্যস্ততাকে সম্মান দেখান।
৫. কাজসংক্রান্ত কথা হলে পরে কখন আর কীভাবে যোগাযোগ করলে প্রাপকের সুবিধা সেটা জেনে নিন।
৬. সব লেখা শেষ হলে একটা লাইন গ্যাপ দিয়ে নিচে, ধন্যবাদ দিয়ে নিজের পরিচয়টা দিয়ে দিন। পরিচয় বলতে নাম, পদবি, কর্মরত সংস্থার নাম লিখে দিলেই হবে। আর যদি শিক্ষার্থী আর প্রতিষ্ঠানের কোনো ক্লাবের সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে ক্লাবের নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামটা উল্লেখ করে দিলেই চলবে। ক্লাবের সদস্য না হলেও সমস্যা নেই, কোন ক্লাস আর স্কুল লিখলেই যথেষ্ট।
এখন থেকে খুদেবার্তা লেখার সময় এই বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখবেন। কারণ, আপনার খুদেবার্তাটাই প্রাপকের কাছে আপনার ফার্স্ট ইম্প্রেশন তৈরি করে দেবে। এটি পড়েই প্রাপক সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি আপনাকে সময়। দেবেন নাকি না।
*
টার্গেট অডিয়েন্স আসলে কারা?
পুঁথিগত সংজ্ঞা না দিয়ে সোজা করে বলি, টার্গেট অডিয়েন্স হলো আপনার কাজ বা প্রোডাক্ট যাদের জন্যে বানানো। এই যে ভিডিও বানানোর পর ভিউ কেন বাড়ে না সেটা ভেবে মাথার চুল ছিঁড়ছেন, ভেবে দেখেছেন কাদের জন্যে ভিডিওটা বানানো, কাদের জন্যে ভিডিওটা কাজে আসবে? সেই জায়গায় ভিডিওটা আদৌ পৌঁছেছে নাকি?