৪. সহমর্মিতা দেখান।
আমাদের মধ্যে দিন দিন সহানুভূতি, সহমর্মিতা কমে যাচ্ছে। আমাদের কাউকে নিয়ে ভাবার সময় নেই, কারও কথা শোনার সময় নেই। ক্রমশ যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি আমরা। আমরা আমাদের আশেপাশের কারও আনন্দে। হই না, তাদের কষ্টে সমব্যথী হই না। এমনকি আমাদের ঠিক পাশের মানুষটার মনের মধ্যে কী চলছে সেটা আমাদের রা। আর আমরা জানার চেষ্টাটাও করি না। কারণ কারও জন্যে আমাদের সময় নেই। আমরা অনেক ব্যস্ত। অথচ আমাদের আশেপাশের সউই হয়তো তার সমস্যার কথাটা খুলে বলতে পারলে হাঁফ ছেড়ে বাচতো।
আপনার কাছে কেউ আগ্রহ নিয়ে কিছু বলতে আসলে এটা তো আমি আগে একেই জানি! বা এই সমস্যায় আমি কত পড়সি! বলে তার জানা, শেখা বা সমস্যাটাকে উড়িয়ে দেবেন না।
নিজের আশেপাশের কাছের মানুষ, বন্ধু, আত্মীয়ের দিকে নজর দিন। ওদের সমস্যার কথা শুনুন। সবসময় সাহায্য করতে নাই বা পারলেন কিন্তু কখনও কখনও যদি কারও সমস্যার কথা গুরুত্ব সহকারে শোনা হয় তাহলেও অপর মানুষটা অনেকখানি হালকাবোধ করেন। আর এতে করে আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন অনেকের কাছের, নিজের আর ভীষণ প্রিয় কেউ।
৫. মহানুভবতা সংক্রামক।
সালাম, কুশলাদি বিনিময়ের মতো ছোট ছোট মহান অভ্যাস আপনাকে অনেকের থেকে আলাদা করে তোলে। এই কথাটা আমি প্রায়ই বলি। আমাদের বাবা আমাদের বন্ধুদেরকে দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রেখেছেন। আর ক্যাটাগরিটাও করা হয়েছে কারা দেখা হলে সালাম দেয় আর কারা দেয় সেটার ওপরে ভিত্তি করে। ব্যাপারটা বেশ মজার কিন্তু।
আপনার করা ছোট্ট কিছু সুন্দর ব্যবহার আর আচরণ যদি অন্য কারও দিন ভালো করে দেয় তাহলে ওই মানুষটার চোখে আপনার প্রিয় হয়ে ওঠাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।
চেষ্টা করুন সালাম দেবার, পরিচিতদের সাথে নিয়মিত কুশল বিনিময় করার, হাসিমুখে কথা বলার, ধন্যবাদ দিন সময়ে-অসময়ে, প্রশংসা করুন যেকোনো ভালো কাজের। দেখবেন আপনার এই ভালো দিকগুলো ছড়িয়ে পড়বে আপনার আশেপাশের মানুষগুলোর মাঝেও।
এখন থেকেই একটু একটু করে ওপরের পাঁচটি দিক নিয়ে নিয়মিত কাজ করা শুরু করুন। দেখবেন আশপাশের প্রতিটা মানুষ আপনাকে কত সহজে আপন করে নিচ্ছে।
*
ইংরেজি : ভাষা নাকি বিষয়?
ইংরেজি হলো একটি ভাষা। আর ভাষার কাজ হলো কমিউনিকেট অথচ আমরা ইংরেজিকে ব্যবহার করি একটি বিষয় হিসেবে। এবং তা লক্ষ্য হলো এ প্লাস পাওয়া। আর এজন্যে আমরা অনেক অনেক গ্রামাতে নিয়ম আর উদাহরণ পড়ি। এবং হয়তো শেষ পর্যন্ত এ প্লাসও পাই। আমরা জানি না এই গ্রামারগুলোর বাস্তবিক প্রয়োগ কেমন হয়। কোনটান সাথে কোনটা কীভাবে সম্পর্কযুক্ত।
ইংরেজির প্রয়োজন কিংবা গুরুত্ব কি মোটে এইটুকুই? এ প্লাস পেলেই হয়ে গেলো?
আমি আমার জীবনে বহু ইভেন্টে গিয়ে স্টুডেন্টদেরকে গিয়ে একটা খুবই সাধারণ প্রশ্ন করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত খুব কম সংখ্যকই সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিল।
Article, Parts of Speech তো সেই শৈশবে পড়ে আসা ব্যাকরণ। আমার প্রশ্ন ছিলো, Article কোন Parts of Speech?
এই প্রশ্ন শোনামাত্র বেশিরভাগই বেশ বিভ্রান্ত হয়ে যায়। দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়। গুটিকয়েক মাত্র সঠিক উত্তরটা দিতে পারে।
আচ্ছা, চিন্তা করে দেখুন তো! আমি যদি এখন বলি,
I have a book.
অর্থাৎ আমার একটি বই আছে। এখানে, book এর আগে a আছে। এই a হলো Article! আর এখানে a আমার কথা কিংবা বক্তব্যের অংশ। তার মানে Article I Parts of Speech! Article কোন Parts of Speech? Article Adjective.
কীভাবে? সেটাও বলছি।
Adjective কী? Adjective হলো যেটা Noun বা Pronoun এর দোষ-গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ নির্দেশ করে! A book, An ant, The man এখানকার Article গুলো প্রতিটা Noun এর সংখ্যা নির্দেশ করছে। তাই Article হলো Adjective.
এই যে আমরা ছোটবেলায় Article, Parts of Speech এতবার পড়েছি, কিন্তু এই দুটোর মাঝেও যে সম্পর্ক আছে সেটা কিন্তু আমরা জানি না।
Tag Question এ আমরা পড়েছি,
He is a boy, isnt he?
কিন্তু কেন হয় এরকম সেটা আমাদের অজানা।
আসল কথা হলো, ইংরেজি নামের ভাষাটাকে বিষয় হিসেবে ব্যবহার করতে ভাষার আসল উদ্দেশ্যটাকেই গুলিয়ে ফেলেছি। ইংরেজিতে কথা বলার প্রসঙ্গ এলেই আমাদের ঘেমেনেয়ে বিশ্রী অবস্থা হয়। আমরা পালিয়ে বাঁচতে উল্টো দিকে দৌড় দেই।
যেহেতু, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার একদম শুরু থেকেই ইংরেজিকে একটা ভাষা হিসেবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়। তাই ভাষা ইংরেজিকে তাতাস্থ করবার দায়িত্বটা আমাদের নিজেরই। কারণ আপনি যদি এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে ইংরেজিতে কথা বলতে অস্বস্তিতে ভোগেন তাহলে প্রতিযোগীতার দৌড়ে আপনাকে পিছিয়ে পড়তে হবে অনেকের চেয়ে। চাকরি পাবার আগে সিভি লিখতে গিয়ে, ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে চাকরি পাওয়া আটকে যাবে। চাকরি যদি পেয়েও যান, প্রেজেন্টেশন দিতে গিয়ে, ইমেইল করতে গিয়ে পদে পদে আপনাকে বিব্রত হতে হবে। ক্লায়েন্ট মিটিংয়ে গিয়ে ইংরেজিতে কথা বলতে না পারার কারণে প্রমোশনটা ঝুলে যাবে। সবখানে অপদস্ত হতে হবে। তাই, শিক্ষাব্যবস্থাকে আসামী না করে এবার মাঠে নামুন।