সাদমান সাদিক
সেলস হেড,
অধ্যয়ন প্রকাশনী
+০১৪০০৩৭৩৯৬৫
*
ডিজিটালি শেয়ার করার কমিউনিকেশন
ডিজিটাল যুগে ফাইল শেয়ার করাটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু, একই সাথে এসেছে সাইবার সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসির সমস্যা। পেশাগত জীবনে ডিজিটাল কন্টেন্টের এই কয়টা বিষয় মাথায় রাখবেন :
১. আমাদের দেশে যদিও ২ যদিও কপিরাইটকে মানুষ খুব একটা তোয়াক্কা করে না, নো ছবি কিংবা কন্টেন্ট ব্যবহারের আগে শিল্পীর পারমিশন ভন্ন কিংবা তাকে রয়্যালটি বাবদ অর্থ দিয়ে দিবেন। কর্পোরেট কোনো কপিরাইটেড কন্টেন্ট পারমিশন ছাড়া ব্যবহার। যদি কারণ কাছে ধরা খান, তাহলে ব্যাপক বিপদে পড়তে পারেন যেমন একটা দৈনিক সাকিব আল হাসানের চিত্র পেপারের ফ্রন্ট আজে ব্যবহার করেছিল। তাও আবার শিল্পীর নাম লেখা অংশটা কেটে তা সেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে কি ঝড়! ওই শিল্পীর সমিশন নিতে কত সময়ই বা লাগতো? কিংবা ক্রেডিট না দিয়ে যত লাখ আমার ব্যান্ডের ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে সম্মানি হিসেবে ৫০ হাজার দিলেও হয়তোবা কমের উপর দিয়ে যেত। ইদানীং আরেকটা জিনিস অনেক হচ্ছে। বিভিন্ন এজেন্সি থার্ড পার্টি দিয়ে ভিডিও বানিয়ে নেয়। এখন অনেকে হয়তোবা জেনে না জেনে কপিরাইটওয়ালা মিউজিক ভিডিওতে দিয়ে দেয়। প্রমোশনের সময় যখন লাখ টাকা ঢেলে বুস্ট করা হয়, তখন কপিরাইট ক্লেইম খেয়ে এজেন্সি, কোম্পানিসহ সবাই ভূত হয়ে যায়! তাই, কন্টেন্টে শেয়ার করার আগে কপিরাইট খেয়াল রাখুন।
২. মানুষের কোন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরলে পোস্টের নিচে তার নামটি মেনশন করুন। পারলে পোস্টের একদম শুরুতেই নামটা মেনশন করুন। যদিও করা উচিত নয়, তবুও, একদম নাম খুঁজে না পেলে সংগৃহীত লিখে দিবেন।
৩. অফিসের ডকুমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে গেলে লিক হয়ে যাবার ভয় থাকে। তাই অনেক কোম্পানি Telegram, WhatsApp, Slack কিংবা Facebook Workplace ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ কাজের জন্য। তবুও অনেক জিনিস লিক হয়ে যায়। এমন অনেক কাহিনী আছে। যেখানে এজেন্সির কাছে পিচ করা আইডিয়া অন্য কোনো জায়গায়। ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে পারমিশন না নিয়ে। সব সময় মনে রাখবেন, সফটওয়্যারের ভুলের চেয়ে মানুষের ভুলে লিক বেশি হয়।
*
ডিজিটাল মোলাকাতের (Icebreaking) কমিউনিকেশন
নতুন কর্মস্থলে কিংবা নতুন কোন টিমের সাথে যখন একটা প্রজেক্ট শুরু হয়, তখন নতুন চ্যাটিং গ্রুপ খোলা হয় Telegram, WhatsApp কিংবা Slack এ। এসব গ্রুপে অনেক সময় প্রজেক্ট চলার মাঝখানে নতুন সদস্য হিসে, আপনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসব গ্রুপে জয়েন করলে চুপ করে বল থাকবেন না। একটা মেসেজে বলে দিন :
১. এই গ্রুপ চ্যাট সংশ্লিষ্ট প্রজেক্টে আপনার কাজ কী?
২. আপনার পদ এবং ডিপার্টমেন্ট
৩. আপনার কন্ট্যাক্ট
একটা উদাহরণ দিয়ে রাখি :
সবাইকে শুভেচ্ছা! আমি সাদমান সাদিক। আমি ডিজিটাল মার্কেটিং সেলস। ফানেলের অ্যানালিটিক্সটা দেখছি। আমি ডেটা অ্যানালিটিক্স টিমে শামীর ভাইয়ার তত্ত্বাবধানে কাজ করছি। যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে পাবেন +0১৪০০৩৭৩৯৬৫ এই নাম্বারে অথবা মেইল করতে পারেন এখানে। sadmansadik@10minuteschool.com
একইভাবে যখন একটা গ্রুপে আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে, সবাইকে বলে সেখান থেকে বিদায় নিন। একটা উদাহরণ দিলাম নিচে :
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমাদের এই বছরের পারফর্মেন্স দারুণ ছিল। অনেক কিছু শেখার ছিল। আজ একটা মিশ্র অনুভূতির মেসেজ আছে। আমার তমুক কোম্পানিতে চাকরি হয়ে গেছে। ১০ জুনের মধ্যে আমি সব কাজ গুছিয়ে চলে যাবো। আপনাদের কাছে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। কোনোদিন কোনো কাজে লাগলে আমার ব্যক্তিগত নাম্বারে +০১৪০০৩৭৩৯৬৫ কল দিয়েন। আল্লাহ্ হাফেজ।–এই বলে চ্যাট গ্রুপ এক্সিট করে ফেলবেন।
এমন অনেকে আছেন যারা চাকরি ছেড়ে দেয়ার পরও চুপ করে গ্রুপে লুকিয়ে থাকেন। অনেকে হয়তোবা খেয়ালও করে না ব্যাপারটা। আমারই চেনা জানা এমন আছে যারা এক কোম্পানি থেকে অন্য প্রতিযোগী কোম্পানিতে গিয়েছে, কিন্তু ঠিকই আগের কোম্পানির প্রজেক্টের চ্যাট গ্রুপের আপডেটগুলো পায়! তাই, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে যখন যার কাজ শেষ, তাকে গ্রুপ থেকে বিদায় জানাবেন, অথবা নিজে বের হয়ে গেলে বিদায় চেয়ে চ্যাট গ্রুপ থেকে এক্সিট করবেন।
৪. কমিউনিকেশন এবং আপেক্ষিকতা
কমিউনিকেশন এবং আপেক্ষিকতা
এই বইয়ের বিষয়বস্তুসমূহ স্থান, কাল এবং পাত্রবিশেষে পরিবর্ধিত, পরিশীলিত ও পরিমার্জিত হতে পারে। এই বইয়ের n-তম মুদ্রণে হয়তোবা আর ইন্টারনেটের অনেকগুলো কমিউনিকেশন হ্যাক প্রাচীন হয়ে যাবে। তাই বইটি যেই বছরেই পড়ছেন না কেন, আপনি যদি বইয়ের মূল কনসেপ্টটা বুঝে আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো খেয়াল করতে পারেন, তবেই আপনি কমিউনিকেশন হ্যাকসের বেসিক বুঝতে পেরেছেন।
*
রিপ্লাইয়ের কমিউনিকেশন
যখন কেউ মেসেজ দেয় অনালাইনে, তখন কেউ মেসেজটা দেখলে seen লেখা আসে। অপর পাশ বুঝে যে মেসেজটা দেখা হয়েছে। কিন্তু, মনে করেন। আপনি মেসেজ করলেন,