॥ কন্ট্যাক্ট দিয়ে কমিউনিকেশন
॥ মানুষের নাম্বার চাওয়া
॥ আপনি কি স্প্যাম করছেন?
॥ ডিজিটালি শেয়ার করার কমিউনিকেশন
॥ কমিউনিকেশন এবং আপেক্ষিকতা
॥ রিপ্লাইয়ের কমিউনিকেশন
॥ যাবেন কি যাবেন না?
॥ নিজের সম্পর্কে কথা বলুন
॥ নয়টার ট্রেইন কয়টায় ছাড়ে?
॥ নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে কথা বলা
॥ কার সাথে সবচেয়ে বেশি কথা বলেন?
॥ অর্ডার দেয়া
॥ মেসেজ দিয়ে রাখসি তো!
॥ সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট
॥ হেটারদের সাথে কমিউনিকেশন
॥ পিপল স্কিল : কী এবং কেন?
॥ যেভাবে কখনও কারও সাথে কথা বলা উচিত নয়!
॥ সতর্কতা : কথা বলা ও শোনার সময় যে কাজগুলো করা যাবে না!
॥ সাবধান : আপনি কি একজন Conversation Monster?
॥ সবার প্রিয় হতে চান?
॥ ইংরেজি ভাষা নাকি বিষয়?
॥ সমালোচনার পূর্বশর্ত!
॥ খুদেবার্তার আদবকায়দা
॥ টার্গেট অডিয়েন্স আসলে কারা?
॥ উপস্থাপক হতে চান?
॥ পাবলিক স্পিকিং নিয়ে ভয়?
॥ নিজে নিজে কীভাবে অনুশীলন করবো?
॥ আবদারের কমিউনিকেশন
॥ আপনি কাদের সাথে কথা বলছেন?
॥ অর্থহীন কমিউনিকেশন
॥ ২৪/৭ কমিউনিকেশন ॥
*
প্র্যাক্টিকাল কমিউনিকেশন
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে পৃষ্ঠা-ভরে লিখলেই নাম্বার পাওয়া যায়। যে যত বেশি পৃষ্ঠা নিবে, তার মার্ক তত বেশি। দাঁডিপালা দিয়ে খাতার ওজন মেপে নাম্বার দেয়া হয় বলে অনেকে লেখার মানের চেয়ে লেখার পরিমাণকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বসেন। হ্যাঁ! এইভাবে অনেক নাম্বার পেয়ে কারও কারও গোল্ডেন চলে আসে। কিন্তু, বাস্তবে আপনি মানুষকে রচনা বলতে যান, দেখেন কী হয়। যেখানে মানুষ ফেসবুক পোস্টে See More ক্লিক করে দুই লাইন অতিরিক্ত পড়তে চায় না, যেখানে মানুষের সারাংশ পড়ারই ধৈর্য নাই, সেখানে প্যারাগ্রাফ বলতে চাওয়াটাও অনেক বোকামি। তাই, পরীক্ষার খাতায় প্যারাগ্রাফ লিখতে গিয়ে রচনা লিখে ফেললেও, বাস্তবে যেন আমরা যত কম শব্দে সম্ভব নিজের আইডিয়াগুলো অন্যের সামনে উপস্থাপন করি।
শব্দের সংখ্যা বেশি হলেই যদি মান ভালো হত, তাহলে সাহিত্যে সবচেয়ে। বেশি নোবেল পেত ডিকশনারিগুলো!
*
রিভার্স সাইকোলজি হ্যাকস!
কমিউনিকেশন স্কিল আসলে পুরোটাই সাইকোলজির খেলা। একবার যখন আপনি মানুষকে বুঝবেন, মানুষের মানসিকতা বুঝবেন; তখন কখন, কোথায়, কী বলতে হবে–সেটা আপনি নিজ থেকেই বুঝতে পারবেন। যেমন- আমাদের একটা সাইকোলজি হচ্ছে যে, আপনার যা বলার কথা, তার ঠিক উল্টোটা বললে মানুষ বরং আপনাকে বেশি বিশ্বাস করে ফেলতে পারে। এই ট্রিকটা আমরা অনেক সময় বাচ্চাদের সাথে করে এসেছি। সবজিটা খাও!–এভাবে বললে খাবে না। কিন্তু যদি বলি, আমি জানি তুমি এত পিচ্চি যে এই সবজি খেতে পারবে না। তখন পারলে জেদ করে হলেও সে সবজিটা গিলবে! ইভেন্টে আসলে আমরা অনেক খুশি হব। আমরা চাই যে আপনি ইভেন্টে আসেন। কিন্তু, আপনার খুব যদি কষ্ট হয় তাহলে না বলতেও পারেন। আশা করি আপনার কাছ থেকে দ্রুত উত্তর পাবো।–এত ভদ্রভাবে বললে তো না বলতেও কষ্ট হবে!
*
ইস্যুশন অফ চয়েস
নিচের দুটো অপশন একটু খেয়াল করে দেখুন তো, পার্থক্যটা কোথায়?
অপশন ১ : আপনি কি বইটি কিনবেন নাকি কিনবেন না?
অপশন ২ : আপনি কি স্টুডেন্ট হ্যাকস কিনবেন নাকি কমিউনিকেশন হ্যাকস কিনবেন?
আগে আপনি মনে মনে একটি অপশন সিলেক্ট করে ফেলুন। এবার আসি ব্যাখ্যায়।
অপশন ১ : এ কেনার সিদ্ধান্তটাই নেয়া হয়নি। আপনার সব সময় টার্গেট থাকবে যেন মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটা সহজ করা যায়। এমন যদি হত যে আসল সিদ্ধান্ত অর্থাৎ কেনার সিদ্ধান্তটাই নিতে না হত? ওটাই অপশন। ২-তে পাবেন। খেয়াল করে দেখেন যে দ্বিতীয় অপশনে না কেনার কোনো অপশনই দেয়া হয়নি। ধরেই নেয়া হচ্ছে যে আপনি বই কিনছেন, এখন অপশনাল সিদ্ধান্ত হচ্ছে আপনি কোন বই কিনবেন। এরকম আরেকটা সিচুয়েশন দেই।
অপশন ১ : লাঞ্চের আগে আসবি নাকি পরে আসবি?
অপশন ২ : তুই কি আমার বাসায় আসবি?
এখন আপনি একদম নিশ্চিতভাবে জানেন যে কোনটা বললে আপনার বন্ধুর আসার সম্ভাবনা বেশি। (আর ফ্রি লাঞ্চের কথা বললে কেনই বা আসবে না!)
*
ভালোবাসার কমিউনিকেশন
রেস্টুরেন্টে এক্সট্রা সস চাইতে অনেকে লজ্জা পেলেও ইনবক্সে গিয়ে দেখেন সেই একই মানুষ কবিতা, উপন্যাসে পারলে রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপিয়রকে টেক্কা দিচ্ছে। আসলে, প্রয়োজন আর ইচ্ছা থাকলে আমরা অনেক কিছুই পারি। এবং সেটা আমাদেরকে শিখিয়েও দিতে হয় না। কিন্তু, ওই একই। ব্যাপারগুলো কেন যেন আমরা বাস্তব জীবনে ফলাতে পারি না। কিছু উদাহরণ দেই :
ব্রেকআপের সময় : আসলে তুমি একদম পারফেক্ট! দোষটা আসলে আমার। তুমি আমার চেয়ে আরও ভালো কাউকে ডিজার্ভ করো। রিজেক্ট করার সময় কত দরদভরা যুক্তি! কিন্তু, একটা অকাজের কাজে না বলার সাহস আনতে পারে না নাকি এই একই মানুষগুলো!
ইপ্রেস করার সময় :
তুমি কী চাও?
তোমাকে!
মনের সবচেয়ে গভীর অনুভূতি এক শব্দে বলতে পারে। কিন্তু, ৫ মিনিট দিলেও অনেকে নিজের আইডিয়াটা বলতে পারে না! কথা শুরু করতে চাইলে :
আসোলামু আলাইকুম!
আপনি কি জানেন না যে, সালামের উত্তর দিতে হয়!
ইনবক্সে যেভাবে সালামের চর্চাটা থাকে, ওই একই চর্চাটা ছোট, বড়, রিক্সাওয়ালা, দারোয়ান সবার প্রতি থাকলে কী সুন্দরই না হত। কিন্তু না! অন্যগুলো করতে বললে অনেকের অকওয়ার্ড লাগে!