.
৪২.
এ গল্পের শেষ এখানেই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হল না। রজতকে নিজের সম্পত্তির দাবী লিখে দিয়ে পরের দিন যখন সুজাতা আবার লক্ষ্ণৌ ফিরে যাবার জন্য ট্রেনে উঠে বসেছে এবং কামরার খোলা জানলা পথে তাকিয়ে ছিল, এমন সময় পরিচিত একটি কণ্ঠস্বরে চমকে সুজাতা ফিরে তাকাল।
সুজাতা!
তুমি এসেছ!
হ্যাঁ, একটা কথা বলতে এলাম।
কী?
এখন যাচ্ছ যাও, এক মাসের মধ্যেই আমিও ছুটি নিয়ে লক্ষ্ণৌ যাচ্ছি।
সত্যি?
হ্যাঁ।
কিন্তু কেন?
তোমাকে নিয়ে আসতে।
ঢং ঢং করে ট্রেন ছাড়বার শেষ ঘণ্টা পড়ল। গার্ডের হুঁইসেল শোনা গেল।
কি, তুমি যে কিছু বলছ না? প্রশান্ত প্রশ্ন করে।
কী বলব?
কেন, বলবার কিছু নেই?
ট্রেনটা ধীরে ধীরে চলতে শুরু করেছে তখন। সুজাতার চোখের কোল দুটো অকারণেই ছল ছল করে আসে। সে কেবল মৃদু কণ্ঠে বলে, না।
–: সমাপ্ত :–
Page 51 of 51