তাহলে–
হয়াঁ সুব্রত, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছিল নীরেন ডাক্তার। সে জানত বাপেছেলেতে বিরোধ—আর এও জানত ভবেন্দ্রর অনেক ধার। এই দুটোর সুযোগ নিয়ে সে বেশ কিছু মোটা টাকা দিয়ে ভবেন্দ্রর কাছ থেকে রিভলবারটা বাগিয়ে আনে। মহেন্দ্রনাথ ও মনীন্দ্র গাঙ্গুলীকে হত্যা করবার জন্য এবং সেই হত্যার অপরাধ বেচারি ভবেন্দ্রর ঘাড়ে চাপানোর জন্য। তাতে করে সে ভেবেছিল, কাজও হাসিল হবে আর তাকেও কেউ সন্দেহ করবে না।
কি সাংঘাতিক! সুব্রত বলে।
হ্যাঁ। চমৎকার প্ল্যান করেছিল নীরেন ডাক্তার। কিন্তু মারাত্মক দুটো ভুল করেছিল
সে–
দুটো ভুল! মৃণাল সেন প্রশ্ন করে।
একনম্বর—নিজের টাইপরাইটিং মেসিনে চিঠিটা টাইপ করে, সেই চিঠি মিঃ রায়কে পাঠিয়ে দিয়ে এবং দু নম্বর—তার মামার কাচা উইলটাকে সরিয়ে ফেলে।
কিরীটী একটু থেমে বলতে লাগল, যে মুহূর্তে ব্যাঙ্কের চিঠি দুটোর রহস্য আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় তখনই একটা কথা আমার মনে হয়। ঐ ডাঃ চৌধুরীর ভাইয়ের অর্থই হল হত্যার মূল এবং সে-কথা কে কে জানত! মহেন্দ্রনাথ ও মণীন্দ্র গাঙ্গুলী ছাড়া জানত নিশ্চয়ই ডাক্তার নীরেন। কথাটা মনে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার উপরে আমার সন্দেহ হয়।
কিরীটীর কথা শেষ হল।
সকলেই নির্বাক।