বায়রন ওয়েববার
১২২. মূর্খ লোক অন্ধের সমতুল্য।
১২৩. যাহারা কেবল নকল করিয়া শেখে, তাহারা নকলের বাহিরে কিছুই দেখিতে পারে না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২৪. অনুমান বা ধারণা থেকেই জ্ঞানের উৎপত্তি।
অ্যারিস্টটল
১২৫. অনুমান থেকেই বৈজ্ঞানিক সত্যের উৎপত্তি। তাই জীবনে অনুমানের গুরুত্ব অপরিসীম।
ড. আহমদ শরীফ
১২৬. বই পড়াকে যথার্থ হিসাবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে, তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।
–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১২৭. পৃথিবী হচ্ছে একটি চমৎকার গ্রন্থ, কিন্তু যে পাঠ করতে জানে না, তার কাছে এর কোনো মূল্য নেই।
–গোলডেনি
১২৮. যে বই পড়ে না, তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্মে না।
–পিয়ারসন স্মিথ
১২৯. আমি তাকে করুণা করি যে প্রতিদিন মাখন খায় অথচ বই পড়ে না।
–মাস হুড
১৩০. দেশে সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রধান উপায় একটাই–তা হল সুলিখিত এবং সৃষ্টিশীল ও মননশীল বই।
ক্যালভিন কলিজ
১৩১. কিছু লোক আছে যারা বই পড়ে শুধুমাত্র বইয়ের বিষ উদ্গীরণ করার জন্য।
–চার্লস ল্যাম
১৩২. বই আপনাকে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সকল কালে নিয়ে যেতে পারে। যে দেশে আপনার কোনদিন যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, বইয়ের রথে চেপে আপনি অনায়াসে সেই দেশে যেতে পারেন।
জসীমউদ্দীন
১৩৩. যে-বই সম্বন্ধে তোমার প্রকৃত ইচ্ছা ও কৌতূহল জাগবে সেই বই আগে পড়বে।
–জনসন
১৩৪. বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান।
–সুইফট
১৩৫. আইনের মৃত্যু আছে, কিন্তু বইয়ের নেই।
–এনড্রিউ ল্যাঙ
১৩৬. গৃহের কোনো আসবাবপত্রই বইয়ের মতো সুন্দর নয়।
–সিডনি স্মিথ
১৩৭. আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু আমার গ্রন্থসমূহ। তোমরা আমার কাছেই থাকো এবং আমাকে আলোর রাজ্যে নিয়ে চলো।
–আব্রাহাম কাওলে
১৩৮. বই কিনলেই যে পড়তে হবে, এইটি হচ্ছে পাঠকের ভুল। বই লেখা জিনিসটা শখমাত্র হওয়া উচিত নয়, কিন্তু বই কেনাটা শখ ছাড়া আর কিছু হওয়া উচিত নয়।
–প্রমথ চৌধুরী
১৩৯. ভালো বই পড়িবার সময় মনে থাকে না বই পড়িতেছি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪০. বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক। সৃষ্টির আদিকাল হইতে মানুষ আসিয়াছে আর চলিয়া গিয়াছে; খ্যতি, মান অর্থ, শক্তি কিছুই কেহ রাখিয়া যাইতে পারে নাই। কিন্তু বইয়ের পাতা ভরিয়া তাহারা তাহাদের তপস্যা, তাহাদের আশা-আকঙ্কা, তাহাদের নৈরাশ্য, কি হইতে চাহিয়া কি তাহারা হইতে পারে, সবকিছু তাহারা লিখিয়া গিয়াছে।
জসীমউদদীন
১৪১. খারাপ বইয়ের চাইতে নিকৃষ্টতম তস্কর আর হয় না।
ইতালীয় প্রবাদ
১৪২. একটি ভালো বই হল বর্তমান ও চিরকালের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বন্ধু।
টুপার
১৪৩. সেদেশ কখনো নিজেকে সভ্য বলে প্রকাশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তার বেশির ভাগ অর্থ চুইংগামের পরিবর্তে বই ক্রয়ের জন্যে হবে।
–ভলতেয়ার
১৪৪. কতগুলি বই সৃষ্টি হয় আমাদের শিক্ষা দেবার জন্যে নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য হল আমাদের এই কথা জানানো যে, বইগুলোর স্রষ্টারা কিছু জানতেন।
–গ্যেটে
১৪৫. উৎকৃষ্ট বইগুলোকে প্রথমই পড়ে ফ্যালো, নতুবা তোমার আর সেই বইগুলি পড়ার সুযোগ হবে না।
–থোরে ১৪৬. যারা বিনামূল্যে বই পেয়েও পড়ে না, তারা অরুচিশীল। শিক্ষিত হয়েও শিক্ষার কলঙ্ক। এ-ধরনের মানুষ কখনোই সুখের পথ পায় না।
অজিত বসু
১৪৭. যার যে বই পড়তে ভালো লাগে, তা-ই তার পড়া উচিত।
স্যামুয়েল জনসন
১৪৮. সুখে-দুঃখে সুন্দর-কুৎসিতে ভাল-মন্দে মানুষের জীবন, আর এক-একটা বই এক-একটি জীবনের প্রতিবিম্ব।
–ড. এনামূল হক
১৪৯. যে বিদ্যা অন্বেষণ করে সে খোদার ইবাদত করছে।
–আল হাদিস
১৫০. বিদ্যা সমাজের অলঙ্কারস্বরূপ এবং শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার জন্য অমোঘ কবচ।
–আল-হাদিস
১৫১. বিশ্বকে জানার আগে নিজেকে জানো, মানুষকে জানো।
–কিপলিং
১৫২. একজন বৈজ্ঞানিক কখনো কিছু প্রমাণ করেন না, তিনি প্রকৃত রহস্য খুঁজে বের করেন।
–স্টিফেনসন
১৫৩. যে অল্প জানে, সে-ই বারবার তার জানাকে পুনরাবৃত্তি করে।
–টমাস এডিসন
১৫৪. মতভেদের তুলাদণ্ডে যাচাই হওয়া পর্যন্ত জ্ঞানের কোনো শাখাই পূর্ণতা লাভ করে না।
শা’বী
১৫৫. সব লোকের ঘাড়েই মাথা আছে, কিন্তু মস্তিষ্ক নেই।
–জুভেনাল
১৫৬. মহাবৈজ্ঞানিকও সংসারে ক্ষুদ্র বাস্তবতায় শিশুর মতো অসহায় বোধ করতে পারেন। বিশেষ ক্ষেত্রে বুদ্ধির ঘাটতি দেখে কাউকে বুদ্ধিহীন বলা যায় না।
১৫৭. জ্ঞান কোনো এক বিশেষ দেশ বা জাতির একচেটিয়া বস্তু নয়।
–মহাত্মা গান্ধী
১৫৮. শিক্ষার শিকড়ের স্বাদ তেতো হলেও এর ফল মিষ্টি।
অ্যারিস্টটল
১৫৯. শিক্ষা ও মেধাই মানুষের বড় সম্পদ।
সামদানী সালাম
১৬০. যে-শিক্ষা আত্মাকে বলিষ্ঠ করে না, দৃষ্টিকে করে না প্রসারিত–তা আদৌ শিক্ষা নয়।
জে. আর. লাওয়েল
১৬১. বিদ্যার আধিক্য দ্বারা বিশেষজ্ঞের পরীক্ষা হয় না।
প্লেটো
১৬২. শিক্ষা হচ্ছে মনের চোখ।
–অজ্ঞাত
১৬৩. যুবসমাজের সঠিক শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মজবুত ভিত্তি।
–এলিজা কুক ১৬৪. বিদ্যাশিক্ষায় লজ্জা করা উচিত নয়, কেননা মূর্খতা লজ্জা থেকেও নিকৃষ্টতর।
ইয়ং
১৬৫. শিশুদের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষা দেওয়া উচিত।
প্লেটো
১৬৬. শিক্ষা ছাড়া প্রতিভাবান ব্যক্তি অনেকটা খনিতে থাকা রূপার মতো।
–জন ফরস্টার
১৬৭. শিখে ভুলে না গেলে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হয় না। স্মৃতিতে তুলে দেওয়া নয়, অন্তর খুলে দেওয়াতেই শিক্ষার সার্থকতা। মনে রাখা মুখস্থ করার চেয়ে অল্প একটু ভালো।