• বইয়ের নামঃ বাণী চিরন্তন
  • লেখকের নামঃ ভবেশ রায়, মিলন নাথ
  • প্রকাশনাঃ অনুপম প্রকাশনী
  • বিভাগসমূহঃ বাণী

 

০১. শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান

শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান
বাণী চিরন্তন
সংগ্রহ ও সম্পাদনা – ভবেশ রায় এবং মিলন নাথ

১. মহামানবের মাধ্যমে আল্লাহ্র প্রথম বাণী ও পড়ো।

–আল-কোরআন

২. বিদ্যান্বেষণের জন্যে যদি সূদূর চীনেও যেতে হয়, তবে সেখানে যাও।

–আল-হাদিস

৩. জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র বস্তু জগতে আর কিছুই নেই।

শ্রীমদ্ভগবত গীতা

৪. নগরের দশজন বীরপুরুষের চেয়েও জ্ঞানী একজন মানুষ বেশি শক্তিশালী।

বাইবেল

৫. যে শিক্ষা গ্রহণ করে, তার মৃত্যু নেই।

–আল-হাদিস

৬. বিদ্যা অর্জন করো; কারণ যে-ব্যক্তি বিদ্যা অর্জন করে সে ধর্মকর্ম করছে। যে ব্যক্তি বিদ্যাচর্চা করে, সে আল্লাহর প্রশংসাই করছে। যে-ব্যক্তি বিদ্যা অন্বেষণ করে, সে খোদার ইবাদত করছে।

–আল-হাদিস

৭. জ্ঞানই শক্তি।

হম্বল

৮. শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন উপাসনার চেয়ে হাজার গুণ ভালো। জর্জ ব্রাউনিং ৯. অশিক্ষিত সন্তানের চেয়ে সন্তান না-থাকা ভালো।

জন হেড

১০. সুশিক্ষিত মানেই স্বশিক্ষিত।

–প্রমথ চৌধুরী

১১. জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও নারীর অবশ্যকর্তব্য।

–আল-হাদিস

১২. অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তা হলে কেউ অজ্ঞ থাকত না।

শেখ সাদি

১৩. দেশে সর্বজনীন শিক্ষার প্রয়োজন। শিক্ষা ছাড়া গণতন্ত্র অচল।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

১৪. অজ্ঞতার দ্বারা কোনো প্রশ্নের সমাধান হয় না।

ডিজরেইলি

১৫. অজ্ঞতা কারাবাসের সমতুল্য।

কার্ভেন্টিস

১৬. অভিজ্ঞতা হল সবচেয়ে বড় স্কুল-শিক্ষক; আর এই স্কুলের বেতনের হার খুব চড়া।

কার্লাইল

১৭. বছর হিসেবে অভিজ্ঞতার হিসেব করা অর্থহীন।

ইরাসস

১৮. অভিজ্ঞতাকে সঞ্চয় করে অনেক মহৎ কাজ করা যায়।

জোসেফ রক্স

১৯. যে নিজেকে চিনতে পেরেছে, সে আল্লাহতাআলাকে চিনতে পেরেছে।

–আল-হাদিস

২০. যে-মানুষ কুশিক্ষা পেয়েছে, সে-মানুষ নিকৃষ্ট; আর যে-মানুষ সুশিক্ষা পেয়েছে, সে-মানুষই শ্রেষ্ঠ।

–আল-হাদিস

২১. যে কাজ করে, তাকে বিশ্বাস করতে হয়; যে গবেষণা করে, তাকে সন্দেহশীল হতে হয়; আর যে বিজ্ঞানের সন্ধানী সে যুগপৎ কর্মী ও গবেষণাকারী।

চার্লস এস. পিয়ার্স

২২. শিক্ষকের মনে আগুন না থাকলে ছাত্রদের মনে আগুন জ্বালাবে কে? তাই সমস্ত শিক্ষাসংস্কারের গোড়ার কথা আদর্শবাদী এবং প্রাজ্ঞ শিক্ষক।

হুমায়ুন কবির

২৩. যে-ব্যক্তির আত্মা হতে অপর আত্মায় শক্তি সঞ্চারিত হয়, তাকে গুরু বলে।

স্বামী বিবেকানন্দ

২৪. গুরু-শিষ্যের আত্মার সম্বন্ধের ভেতর দিয়েই শিক্ষাকার্য সজীব দেহের শোণিত স্রোতের মতো চলাচল করতে পারে। কারণ, শিশুদের লালন-পালন ও শিক্ষণের যথার্থ ভার পিতামাতার উপর। কিন্তু পিতামাতার সে যোগ্যতা অথবা সুবিধা না থাকাতেই অন্য উপযুক্ত লোকের সহায়তা আবশ্যক হয়ে ওঠে। এমন অবস্থায় গুরুকে পিতা-মাতা না হলে চলে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫. গায়ের জোরে সব হতে পারে, কিন্তু গায়ের জোরে গুরু হওয়া যায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬. জ্ঞানের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি শুধুমাত্র চর্চার মাধ্যমেই ঘটে।

টমাস ফুলার

২৭. যে-কোনো শিক্ষাই চর্চা ব্যতীত বলিষ্ঠ হয় না।

ল্যাগল্যান্ড

২৮. ছাত্রজীবনের মতো মধুর জীবন আর নেই। এ কথাটা বিশেষ করে বোঝা যায় তখন, যখন ছাত্রজীবন অতীত হয়ে যায়; আর তার মধুর ব্যথাভরা স্মৃতিটা একদিন হঠাৎ অশান্ত জীবনযাপনের মাঝে ঝকঝক করে ওঠে।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৯. অপরাধ করা ছাত্রদের এবং ক্ষমা করা শিক্ষকের ধর্ম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩০. জানা সত্ত্বেও মেনে না-চলার চেয়ে না-জানাই ভালো।

টেনিসন

৩১. জ্ঞানই মানুষের গৌরব। শিক্ষাই মানুষের বিবেক। বিবেকই মানুষের মুনষ্যত্ব।

মহাত্মা গান্ধী।

৩২. আমরা কেবল আমাদের অতীত স্মৃতিমন্থনে জ্ঞানী হই না। জ্ঞানী হই আমাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব দ্বারা।

বার্নার্ড শ

৩৩. সূর্যের আলোতে যেমন পৃথিবীর সবকিছু ভাস্বর হয়ে ওঠে, জ্ঞানের আলোতে তেমনি জীবনের সকল অন্ধকার আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।

অজ্ঞাত

৩৪. স্বাধীন যুক্তিবিচার ছাড়া কোনো জ্ঞানসাধনাই সার্থক হতে পারে না।

আবুল ফজল

৩৫. আমার জ্ঞান আর কিছুই নয়, কেবল সঞ্চিত অভিজ্ঞতা।

অ্যারিস্টটল

৩৬. মহাজ্ঞানীর মাথা বিনীত সতত
ফলভারে শাখা যথা
থাকে অবনত।

শেখ সাদি

৩৭. বোকা ব্যক্তি সম্পদ পেয়ে যতখানি খুশি হয়, জ্ঞানী ব্যক্তি জ্ঞান আহরণ করে তার চেয়ে অনেক বেশি সুখ ও আনন্দ লাভ করে।

বেকন

৩৮. জ্ঞানীরা ধনসঞ্চয় করেন অর্থপিশাচদের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য।

অ্যারিস্টটল

৩৯. বিধাতা সকল সময় জ্ঞানী লোকদের পক্ষে থাকেন।

মাইকেল ডেটন

৪০. যে-নদী গভীর বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম।

জন লিডগেট

৪১. জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে আত্মা নূতন নূতন প্রেরণা লাভ ও সংগ্রাম করতে শেখে। মূর্খ আত্মার চিন্তা ও সংগ্রামের মূল্য নাই।

–ডা. লুৎফর রহমান

৪২. নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞতার মতো অজ্ঞান আর কিছু নেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৩. অতিশয় অপরাধী লোকেরা কখনো জ্ঞানী হয় না।

টমাস ক্যাম্পবেল

৪৪. অভিজ্ঞতার অনুপাতে নয়, বরং অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষমতার অনুপাতেই মানুষ জ্ঞানী।

বার্নার্ড শ

৪৫. কোনোকিছু শোনামাত্রই যে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে–সে সবচেয়ে নির্বোধ। জ্ঞানীরা শোনামাত্রই বিশ্বাস করে না, খতিয়ে দেখে।

বুল বার্টন

৪৬. আমি এমন একটা রাজ্যের স্বপ্ন দেখি, যে-রাজ্যে বোকা নেই।

টমাস ফুলার

৪৭. অজ্ঞ থাকার চেয়ে না জন্মানোই ভালো, কারণ অজ্ঞতা সব দুর্ভোগের মূল স্বরূপ।

প্লেটো

৪৮. জ্ঞানী লোকেরা নিজেরা যেমন কম ভোগে, তেমনি তাদের সুপরামর্শ অন্যকেও কম ভুগতে সাহায্য করে।

হিউম

৪৯. বোকা বা নির্বোধের কাছ থেকে জ্ঞানী লোকেরা বেশি জ্ঞান লাভ করে এবং জ্ঞানী লোকদের দেখে বোকারা কম জ্ঞান লাভ করে।

বাটো

৫০. বোকারা দুর্ভাগ্যোর মাধ্যমেই জ্ঞান লাভ করে।

ডেমোক্রিটাস

৫১. ইচ্ছে করলে জ্ঞানী হওয়া যায় না, খুব বেশি হলে ধূর্ত হওয়া যায়।

স্যামুয়েল জনসন

৫২. যতদিন স্ত্রীশিক্ষা সমাজে প্রচলিত করা না হইতেছে, ততদিন মুসলমানদের মধ্যে কুসংস্কারের আবর্জনা দূর হইবে না, এবং তাহা না হইলে সমাজে উন্নতি একেবারেই অসম্ভব।

কাজী ইমদাদুল হক

৫৩. অজ্ঞ মানুষেরা নিয়ম মেনে চলে আর জ্ঞানবানরা নিয়ম তৈরি করে।

ক্লাইডিয়ান

৫৪. মূর্খতার চেয়ে বড় পাপ নেই।

সহল ইবনে আব্দুল্লাহ

৫৫. নতুন কিছু জানার যেমন যন্ত্রণা আছে, তেমনি আনন্দও আছে।

ক্রিস্টোফার মর্লি

৫৬. অবশ্য নবীগণ উত্তরাধিকার হিসাবে কোনো স্বর্ণ বা রৌপ্য রেখে যাননি, রেখে গেছেন শুধু জ্ঞান। সুতরাং যে জ্ঞানলাভ করে, সে-ই ভাগ্যবান।

–আল-হাদিস

৫৭. যখন থেকে কল হল বাণিজ্যের বাহন তখন থেকে বাণিজ্য হল শ্রীহীন। প্রাচীন ভেনিসের সঙ্গে আধুনিক ম্যাঞ্চেস্টারের তুলনা করলেই তফাতটা স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাবে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৮. নির্ভুল কল ও ভ্রান্ত মানুষের মধ্যে যদি পছন্দ করিয়া লইতে হয় তবে মানুষকেই বাছিতে হয়। ভ্রম হইতে অনেক সময় সত্যের জন্ম হয়, কিন্তু কল হইতে কিছুতেই মানুষ বাহির হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৯. কলমকে হৃদয়ের জিহ্বা বলা যায়।

কার্ভেন্টিস

৬০. অজানাকে জানার জন্য মানুষের কৌতূহল এবং এই কৌতূহল থেকেই বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু।

ইমারসন

৬১. হাতে কলম, পেটে বিদ্যা থাকলেই লেখা যায় না, প্রতিভা ও মগজ থাকা চাই।

গুন্টার গ্রাস

৬২. আমার মস্তিষ্ক আছে, হাতে আছে একখানা ভালো কলম, আমার ভাবনা কী?

ফ্রাঙ্কলিন

৬৩. কলম হল যন্ত্রপাতির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক; একটা তরবারির চেয়ে ধারালো, লাঠি বা লোহার শলাকার চেয়েও ভয়াবহ।

জন টেইলার

৬৪. অজ্ঞতা থেকেই সর্বপ্রকার কুসংস্কার জন্মে থাকে।

সক্রেটিস

৬৫. কুসংস্কারজনিত কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন যার জীবন, তার জীবনে আলোর প্রবেশ ঘটানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

উইলিয়াম হ্যাজলিট

৬৬. কুসংস্কার মানুষের জীবনে অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে। জর্জ লিলি

৬৭. কোনো চিন্তাবিদ বলেছেন–কুসংস্কার দূর করার চেয়ে পরমাণু বিচূর্ণ করা অনেক সহজতর।

গর্ডন এলপোর্ট

৬৮. অজ্ঞতার বাচ্চাকেই কুসংস্কার বলা হয়ে থাকে।

হেজলিট

৬৯. শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ব্যতীত কুসংস্কারের অন্ধকার দূর হয় না।

আবুল ফজল

৭০. সুশিক্ষিত মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অশিক্ষিত মানুষ সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট। যে-ব্যক্তি শিক্ষিতের সমাদর করে, সে আমাকেই (আল্লাহ) সমাদর করে।

–আল-হাদিস

৭১. জ্ঞানবানেরা যুক্তি ও বিবেক দ্বারা চালিত হয়। অজ্ঞ আর নির্বোধেরা আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়।

আবুল ফজল

৭২. আদর্শ বিদ্যালয় যদি স্থাপন করিতে হয় তবে লোকালয় হইতে দূরে নির্জন মুক্ত আকাশ ও উদার প্রান্তরে গাছপালার মধ্যে তার ব্যবস্থা করা চাই। সেখানে –অধ্যাপকগণ নিভৃতে অধ্যয়ন করা ও অধ্যাপনায় নিযুক্ত থাকিবেন এবং ছাত্রগণ সেই জ্ঞানচর্চার যজ্ঞক্ষেত্রের মধ্যেই বাড়িয়া উঠিতে থাকিবে।

অজ্ঞাত

৭৩. যদি সম্ভব হয় তবে এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে খানিকটা ফসলের জমি থাকা আবশ্যক। এই বিদ্যালয় হইতে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় আহার্য সংগ্রহ হইবে, ছাত্ররা চাষের কাজে সহায়তা করিবে। দুধ, ঘি প্রভৃতির জন্য গোরু থাকিবে এবং গো-পালনে ছাত্রদিগকে যোগ দিতে হইবে। পাঠের বিশ্রামকালে তাহারা স্বহস্তে বাগান করিবে, গাছের গোড়া খুঁড়িবে, গাছে জল দিবে, বেড়া বাধিবে। এইরূপে তাহারা প্রকৃতির সঙ্গে কেবল ভাবের নহে কাজের সম্বন্ধও পাতাইতে থাকিবে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৪. পাঠের অভ্যাস হচ্ছে একমাত্র আনন্দ যার মধ্যে কোনো খাদ নেই। অন্যসব আনন্দ যখন মিলিয়ে যায়, এ-আনন্দ তখনও টিকে থাকে।

অ্যান্থনি ট্রালোপ

৭৫. জ্ঞান মুসলমানদের হারানো ধন, যেখানে যে তা পাবে, সে তার পাওনাদার।

–আল-হাদিস

৭৬. মহৎ ব্যক্তিদের আত্মজীবনীগুলো প্রত্যেকের পাঠ করা উচিত।

ডোরান

৭৭. আমার ব্যাপারে যদি জিজ্ঞাসা কর তা হলে আমি জানি যে, আমি কিছুই জানি

সক্রেটিস

৭৮. মূর্থের উপাসনা অপেক্ষা জ্ঞানীর ন্দ্রিা শ্রেয়।

–আল-হাদিস

৭৯. দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ করো।

–আল-হাদিস

৮০. জ্ঞানসাধকের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চাইতেও পবিত্র।

–আল-হাদিস

৮১. কুসংসর্গে বাস করা অপেক্ষা একা বসিয়া থাকা শ্রেয় এবং একাকী বসিয়া থাকা অপেক্ষা সৎসঙ্গে থাকা ভালো। অসৎ বাক্যলাপ হইতে মৌনতাব্ৰত শ্রেয়তর এবং মৌব্রতের চাইতে বিদ্যানেষীর সহিত বাক্যালাপ শ্রেয়।

–আল-হাদিস

৮২. বিদ্যার মতো চক্ষু আর নেই, সত্যের চেয়ে বড় তপস্যা আর নেই।

–আল-হাদিস

৮৩. মূখের জ্ঞান শোনার চেয়ে জ্ঞানীর ভৎর্সনাও অনেক ভালো।

বাইবেল

৮৪. অজ্ঞতা যে কষ্ট আনে, অজ্ঞ লোকেরা অজ্ঞতার কারণে তা বুঝতে পারে না।

অজ্ঞাত

৮৫. আমরা যতই অধ্যয়ন করি, ততই আমরা আমাদের অজ্ঞতাকে আবিষ্কার করি।

শেলি

৮৬. একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করতে পারে না।

শেখ সাদি

৮৭. পৃথিবীতে মানুষ কী করিয়াছে ও কী করিতে পারে, তাহা না জানা মানুষের শোচনীয় অজ্ঞতা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৮. অজ্ঞতার দ্বারা কোনো প্রশ্নের মীমাংসা হয় না।

ডিজরেইলি

৮৯. অভিধান-ব্যাকরণ অর্থের লোহার সিন্দুক–তাহারা অর্থ দিতে পারে না, বহন করিতে পারে মাত্র। চাবি লাগাইয়া সেই অর্থ লইতে হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯০. এ জগতে তুমি মানুষকে যা কিছু দাও না, জ্ঞান দান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ দান আর নেই। পতিতকে পথ দেখানো, জ্ঞানান্ধকে জ্ঞান দান করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

–ডা. লুৎফর রহমান

৯১. ধারণা আগে, তারপর আবিস্কার তথা বৈজ্ঞানিক সত্য।

অ্যারিস্টটল

৯২. আমাদের মধ্যে যাহা কিছু অমর এবং আমাদিগকে যাহা কিছু অমর করিবে সেই সকল মহাশক্তিকে ধারণ করিবার, পোষণ করিবার, প্রকাশ করিবার এবং সর্বত্র প্রচার করিবার একমাত্র উপায় মাতৃভাষা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯৩. শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯৪. মায়ের মুখের ভাষাকে আমি যেমন শ্রদ্ধা করি, তেমনি তার অশ্লীল প্রয়োগকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করি।

টমাস ডিব ডিন

৯৫. মাতৃভাষা হচ্ছে মন্দিরের মতো পবিত্র, যার পবিত্রতা রক্ষার জন্য জীবন পণ করতে দ্বিধা করা উচিত নয়।

আরসি. ট্রেন্স

৯৬. মাতৃভাষার দাবি স্বভাবের দাবি, ন্যায়ের দাবি, সত্যের দাবি–এ দাবির লড়াইয়ে, কোনো আপোস চলে না। মৃত্যুর কুটি উপেক্ষা করেই তার সম্মুখীন হতে হয়।

আবুল ফজল

৯৭. তুমি যত বড় পণ্ডিত ব্যক্তি হও না কেন, নিজের জীবনে তার প্রতিফলন ব্যতীত তুমি মূর্খ।

–শেখ সাদি

৯৮. যারা লেখপড়া জানে না, তারাই শুধু মূর্খ নয়, যারা জানতে বুঝতে চায় না, যারা প্রশ্ন করতে পারে না, যাদের জ্ঞানতৃষ্ণা নেই–তারাও মূর্খ।

মহাশ্বেতা দেবী

৯৯. মূখের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না, সে তোমার উপকারের চেষ্টা করে তোমার ক্ষতি করবে।

–হযরত আলি (রা.)

১০০. যারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী, তারা শিক্ষিত হলেও মূর্খ।

–এডি ফিশার

১০১. মানুষের সত্যজ্ঞান এক-একটি মতবাদকে আশ্রয় করে নিজেকে প্রকাশ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু সেই মতবাদটি সত্যের শরীর, সুতরাং এক হিসাবে সত্যের চেয়ে অনেক ছোট এবং অসম্পূর্ণ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০২. কোনো মতবাদই দাবি করতে পারে না যে একমাত্র তাদের বিচারবুদ্ধি অভ্রান্ত। আমরা সকলেই ভুল করতে পারি এবং প্রায়ই আমাদের পূর্বের অভিমত পালটাতে হয়।

–মাহাত্মা গান্ধী

১০৩. মতবাদীকে হত্যা করা যায়, মতবাদকে নয়।

–ড. আহমদ শরীফ

১০৪. মনের সত্যিকার ঔষধ হচ্ছে দর্শন।

সিসেরো

১০৫. কোনো ধারণাই এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অন্তরিত হবার সময় পরিবর্তিত হয়ে পারে না।

মিগুয়েল দে উনামুনো

১০৬. সকল মহৎ ধারণাই বিপজ্জনক।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১০৭. চিন্তাকারী মারা যায়, কিন্তু তার চিন্তাসমূহ অবিনশ্বর। মানুষ মরণশীল, কিন্তু ধারণাসমূহ অমর।

–ওয়াল্টার লিপম্যান

১০৮. একজন লোক মারা যেতে পারে, জাতিসমূহের উত্থান ও পতন ঘটতে পারে, কিন্তু একটি ধারণা বেঁচে থাকে।

–জন এফ কেনেডি

১০৯. খারাপ ধারণার বিরুদ্ধে একমাত্র নিশ্চিত অস্ত্র হচ্ছে উন্নততর ধারণা।

হুইটনি গ্রিসওল্ড

১১০. ধারণা নিয়ত পরিবর্তনশীল। তবু বৈজ্ঞানিক সত্য সন্ধানে ধারণার গুরুত্ব অপরিসীম।

বার্ট্রান্ড রাসেল

১১১. দেখবার জন্য আমাদের চোখের যেমন আলোর প্রয়োজন, ঠিক তেমনি কোনো প্রত্যয় অর্জন করবার জন্য আমাদের ভাবনায় প্রয়োজন ধারণা।

–নিকোলাস খাব্রাশ

১১২. ধারণা কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয়, তবু কেউ কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক বৈজ্ঞানিক ধারণাকে বৈজ্ঞানিক সত্য বলে চালিয়ে দিতে চায়, যা নাকি পরবর্তীকালে অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে, হতে পারে বা হয়।

–জন লক

১১৩. যদি তা সঠিক হয় তবে মাত্র একটি ধারণা আমাদের বহুসংখ্যক অভিজ্ঞতা অর্জনের শ্রম থেকে বাঁচিয়ে দেয়।

–জ্যাক মারিতা

১১৪. সার্বিক ও বিমূর্ত ধারণাগুলো মানবজাতির সবচেয়ে ভুলের উৎস।

–রুশো

১১৫. মহৎ ধারণাগুলো দাঁতব্য নয়।

–আরি দ্য থারলা

১১৬. অজানাকে জানতে চাওয়া, অদেখাকে দেখতে পাওয়া, অশ্রুতকে শুনতে পারা, অভাবিতকে ভাবতে পারা, অস্বাভাবিককে স্বাভাবিক করে তোলা, গোঁড়ামি, অন্ধতা ও কুসংস্কার থেকে মানুষকে মুক্তির পথ বাতলানো–একমাত্র দার্শনিকের পক্ষেই সম্ভব।

আবুল ফজল

১১৭, দুর্যোগের পূর্বাভাস দানের ক্ষমতা–এ বিজ্ঞান ও মানুষেরই জয়যাত্রার প্রমাণ।

–কাম্বারল্যান্ড

১১৮. সত্যিকার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সেই ব্যক্তি যার কোনো সুচিন্তা নেই।

–ওসমান হারুনি

১১৯. কোনো বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ না করে তা অনুসরণ করা উচিত নয়।

কার্লাইল

১২০. প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা অদৃশ্যকেও দেখতে পান।

–এলিনস্কি

১২১. অন্ধ লোকের ছুটির দিনও অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

বায়রন ওয়েববার

১২২. মূর্খ লোক অন্ধের সমতুল্য।

১২৩. যাহারা কেবল নকল করিয়া শেখে, তাহারা নকলের বাহিরে কিছুই দেখিতে পারে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৪. অনুমান বা ধারণা থেকেই জ্ঞানের উৎপত্তি।

অ্যারিস্টটল

১২৫. অনুমান থেকেই বৈজ্ঞানিক সত্যের উৎপত্তি। তাই জীবনে অনুমানের গুরুত্ব অপরিসীম।

ড. আহমদ শরীফ

১২৬. বই পড়াকে যথার্থ হিসাবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে, তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১২৭. পৃথিবী হচ্ছে একটি চমৎকার গ্রন্থ, কিন্তু যে পাঠ করতে জানে না, তার কাছে এর কোনো মূল্য নেই।

–গোলডেনি

১২৮. যে বই পড়ে না, তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্মে না।

–পিয়ারসন স্মিথ

১২৯. আমি তাকে করুণা করি যে প্রতিদিন মাখন খায় অথচ বই পড়ে না।

–মাস হুড

১৩০. দেশে সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রধান উপায় একটাই–তা হল সুলিখিত এবং সৃষ্টিশীল ও মননশীল বই।

ক্যালভিন কলিজ

১৩১. কিছু লোক আছে যারা বই পড়ে শুধুমাত্র বইয়ের বিষ উদ্গীরণ করার জন্য।

–চার্লস ল্যাম

১৩২. বই আপনাকে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সকল কালে নিয়ে যেতে পারে। যে দেশে আপনার কোনদিন যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, বইয়ের রথে চেপে আপনি অনায়াসে সেই দেশে যেতে পারেন।

জসীমউদ্দীন

১৩৩. যে-বই সম্বন্ধে তোমার প্রকৃত ইচ্ছা ও কৌতূহল জাগবে সেই বই আগে পড়বে।

–জনসন

১৩৪. বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান।

–সুইফট

১৩৫. আইনের মৃত্যু আছে, কিন্তু বইয়ের নেই।

–এনড্রিউ ল্যাঙ

১৩৬. গৃহের কোনো আসবাবপত্রই বইয়ের মতো সুন্দর নয়।

–সিডনি স্মিথ

১৩৭. আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু আমার গ্রন্থসমূহ। তোমরা আমার কাছেই থাকো এবং আমাকে আলোর রাজ্যে নিয়ে চলো।

–আব্রাহাম কাওলে

১৩৮. বই কিনলেই যে পড়তে হবে, এইটি হচ্ছে পাঠকের ভুল। বই লেখা জিনিসটা শখমাত্র হওয়া উচিত নয়, কিন্তু বই কেনাটা শখ ছাড়া আর কিছু হওয়া উচিত নয়।

–প্রমথ চৌধুরী

১৩৯. ভালো বই পড়িবার সময় মনে থাকে না বই পড়িতেছি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪০. বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক। সৃষ্টির আদিকাল হইতে মানুষ আসিয়াছে আর চলিয়া গিয়াছে; খ্যতি, মান অর্থ, শক্তি কিছুই কেহ রাখিয়া যাইতে পারে নাই। কিন্তু বইয়ের পাতা ভরিয়া তাহারা তাহাদের তপস্যা, তাহাদের আশা-আকঙ্কা, তাহাদের নৈরাশ্য, কি হইতে চাহিয়া কি তাহারা হইতে পারে, সবকিছু তাহারা লিখিয়া গিয়াছে।

জসীমউদদীন

১৪১. খারাপ বইয়ের চাইতে নিকৃষ্টতম তস্কর আর হয় না।

ইতালীয় প্রবাদ

১৪২. একটি ভালো বই হল বর্তমান ও চিরকালের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বন্ধু।

টুপার

১৪৩. সেদেশ কখনো নিজেকে সভ্য বলে প্রকাশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তার বেশির ভাগ অর্থ চুইংগামের পরিবর্তে বই ক্রয়ের জন্যে হবে।

–ভলতেয়ার

১৪৪. কতগুলি বই সৃষ্টি হয় আমাদের শিক্ষা দেবার জন্যে নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য হল আমাদের এই কথা জানানো যে, বইগুলোর স্রষ্টারা কিছু জানতেন।

–গ্যেটে

১৪৫. উৎকৃষ্ট বইগুলোকে প্রথমই পড়ে ফ্যালো, নতুবা তোমার আর সেই বইগুলি পড়ার সুযোগ হবে না।

–থোরে ১৪৬. যারা বিনামূল্যে বই পেয়েও পড়ে না, তারা অরুচিশীল। শিক্ষিত হয়েও শিক্ষার কলঙ্ক। এ-ধরনের মানুষ কখনোই সুখের পথ পায় না।

অজিত বসু

১৪৭. যার যে বই পড়তে ভালো লাগে, তা-ই তার পড়া উচিত।

স্যামুয়েল জনসন

১৪৮. সুখে-দুঃখে সুন্দর-কুৎসিতে ভাল-মন্দে মানুষের জীবন, আর এক-একটা বই এক-একটি জীবনের প্রতিবিম্ব।

–ড. এনামূল হক

১৪৯. যে বিদ্যা অন্বেষণ করে সে খোদার ইবাদত করছে।

–আল হাদিস

১৫০. বিদ্যা সমাজের অলঙ্কারস্বরূপ এবং শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার জন্য অমোঘ কবচ।

–আল-হাদিস

১৫১. বিশ্বকে জানার আগে নিজেকে জানো, মানুষকে জানো।

–কিপলিং

১৫২. একজন বৈজ্ঞানিক কখনো কিছু প্রমাণ করেন না, তিনি প্রকৃত রহস্য খুঁজে বের করেন।

–স্টিফেনসন

১৫৩. যে অল্প জানে, সে-ই বারবার তার জানাকে পুনরাবৃত্তি করে।

–টমাস এডিসন

১৫৪. মতভেদের তুলাদণ্ডে যাচাই হওয়া পর্যন্ত জ্ঞানের কোনো শাখাই পূর্ণতা লাভ করে না।

শা’বী

১৫৫. সব লোকের ঘাড়েই মাথা আছে, কিন্তু মস্তিষ্ক নেই।

–জুভেনাল

১৫৬. মহাবৈজ্ঞানিকও সংসারে ক্ষুদ্র বাস্তবতায় শিশুর মতো অসহায় বোধ করতে পারেন। বিশেষ ক্ষেত্রে বুদ্ধির ঘাটতি দেখে কাউকে বুদ্ধিহীন বলা যায় না।

১৫৭. জ্ঞান কোনো এক বিশেষ দেশ বা জাতির একচেটিয়া বস্তু নয়।

–মহাত্মা গান্ধী

১৫৮. শিক্ষার শিকড়ের স্বাদ তেতো হলেও এর ফল মিষ্টি।

অ্যারিস্টটল

১৫৯. শিক্ষা ও মেধাই মানুষের বড় সম্পদ।

সামদানী সালাম

১৬০. যে-শিক্ষা আত্মাকে বলিষ্ঠ করে না, দৃষ্টিকে করে না প্রসারিত–তা আদৌ শিক্ষা নয়।

জে. আর. লাওয়েল

১৬১. বিদ্যার আধিক্য দ্বারা বিশেষজ্ঞের পরীক্ষা হয় না।

প্লেটো

১৬২. শিক্ষা হচ্ছে মনের চোখ।

–অজ্ঞাত

১৬৩. যুবসমাজের সঠিক শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মজবুত ভিত্তি।

–এলিজা কুক ১৬৪. বিদ্যাশিক্ষায় লজ্জা করা উচিত নয়, কেননা মূর্খতা লজ্জা থেকেও নিকৃষ্টতর।

ইয়ং

১৬৫. শিশুদের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষা দেওয়া উচিত।

প্লেটো

১৬৬. শিক্ষা ছাড়া প্রতিভাবান ব্যক্তি অনেকটা খনিতে থাকা রূপার মতো।

–জন ফরস্টার

১৬৭. শিখে ভুলে না গেলে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হয় না। স্মৃতিতে তুলে দেওয়া নয়, অন্তর খুলে দেওয়াতেই শিক্ষার সার্থকতা। মনে রাখা মুখস্থ করার চেয়ে অল্প একটু ভালো।

–আবদুর রহমান শাদাব

১৬৮. অপরের কাছ থেকে শিক্ষা নেবার পরেই শিক্ষিত হবার কাল উপস্থিত হয়। আপন শিক্ষায় যার আস্থা জন্মায় না, বিদ্যাভিমানে তিনি সারাজীবন উদ্ধৃতি দিয়ে চলেন। গাছে ফল ধরলে ফুলের সাক্ষ্য উপস্থিত করা নিষ্প্রয়োজন।

আবদুর রহমান শাদার

১৬৯. একটি পুরুষমানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি ব্যক্তিকে আর একটি মেয়েকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা।

–আরবি প্রবাদ

১৭০. মানুষের শিক্ষার সেইটুকুই যথার্থ অংশ যেটুকু অন্যকে বিতরণ করা হয়।

–জন, এ. শেড

১৭১. মেজাজ ঠিক রেখে আর বিশ্বাস না হারিয়ে কিছু শোনার মতো যোগ্যতার নামই শিক্ষা।

রবার্ট ফ্রস্ট

১৭২. যারা স্বশিক্ষিত তাদের শিক্ষালয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

বার্নার্ড শ

১৭৩. বস্তুত কোনো শিক্ষালয়ই অসাধারণের পক্ষে যথেষ্ট নয়। অসাধারণ ছাত্রের জন্যে কোন বাঁধাধরা রাজপথ নেই, নিজের পথ সে নিজেই তৈরি করে নেয়।

–সৈয়দ সব্যসাচী

১৭৪. শিক্ষাজীবনের অন্যতম অংশ হচ্ছে সেটুকু, যেটুকু নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করা যায়।

–জে. আর. পাওয়েল

১৭৫. যে নিজে জানে না, সে অন্যে জানে–তাও বিশ্বাস করে না।

–জে. এ. ক্রাডিও

১৭৬. আমরা সর্বদাই অর্ধেক জানি; আর অর্ধেক জানার ভান করি।

এস. টি. কোলরিজ

১৭৭. বিজ্ঞ লোকদের অজ্ঞ লোকের উপর একটা দায়িত্ব আছে, সে-দায়িত্ব তাদেরকে আলোকপ্রাপ্ত করে তোলা।

–এইচ. জি, ভন

১৭৮. বিজ্ঞান শুধু এক বিশেষ জ্ঞানের নাম নয়; একটি বিশেষ প্রণালী অবলম্বন করে যে জ্ঞান লাভ করা যায় আসলে তারই নাম হচ্ছে বিজ্ঞান।

প্রমথ চৌধুরী।

১৭৯. মানুষ অজানাকে জানতে চায় এবং তার ফলেই বিজ্ঞানের সৃষ্টি।

ইমারসন

১৮০. সাধক হবার আগে বিদ্যাশিক্ষা করো।

–হযরত ওমর ফারুক (রা.)

১৮১. বিদ্যা মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধু।

–লর্ড হ্যালিকাস

১৮২. যার বিদ্যা নেই, সে না জানে ভালমন্দ।

শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ।

–হেয়াত মামুদ

১৮৩. অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। জ্ঞানের অমৃত আকণ্ঠ পান করো, নয়তো কোরো না।

–আলেকজান্ডার পোপ

১৮৪. মানুষকে সভ্য করে তোলার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বিদ্যালয়।

টলস্টয়

১৮৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির শিক্ষিত জনশক্তি তৈরির কারখানা; আর রাষ্ট্র ও সমাজদেহের সব চাহিদার সরবরাহ কেন্দ্র। ওখানে ত্রুটি ঘটলে দুর্বল আর পঙ্গু না করে ছাড়বে না।

আবুল ফজল

১৮৬. বিদ্বান লোকই বড় কুঁড়ে; সে পড়াশোনা করেই সময় নষ্ট করে।

জর্জ বার্নার্ড শ

১৮৭. যে-ব্যক্তি বিদ্যান্বেষণের জন্য বের হয়, সে ফিরে না-আসা পর্যন্ত আল্লাহর পথে থাকে।

–আল-হাদিস

১৮৮. বুদ্ধিমান চাষার ছেলে রাজার উজির হয়; আর নির্বোধ উজিরের ছেলে চাষার কাছে ভিক্ষা চায়।

–শেখ সাদি

১৮৯. বিপদের সময় যার বুদ্ধি লোপ পায় না, সে-ই যথার্থ বুদ্ধিমান।–জর্জ উইলকিল ১৯০. বুদ্ধিজীবীরাই দেশের সম্পদ, তাঁরাই দেশের সম্পদ তুলে ধরেন।

লঙফেলো

১৯১. শিক্ষিত বোকারা অশিক্ষিত বোকার চেয়ে বেশি বোকা।

–মোলেরি

১৯২. আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ কোরো না; শেষে তুমিই আহাম্মক সেজে যাবে।

হযরত সোলায়মান (আ.)

১৯৩. যে নিজেকে খুব জ্ঞানী ও বিজ্ঞ মনে করে, খোদার দোহাই, সে সবচেয়ে বড় বোকা।

ভলতেয়ার

১৯৪. মূর্খতা এমন এক পাপ, সারাজীবনে যার প্রায়শ্চিত্ত হয় না।

–আল-ফখরি

১৯৫. অজ্ঞতার দ্বারা দম্ভ বাড়ে, যার সবচেয়ে বেশি জানে বলে ধারণা করে, তারাই খুব কম জানে।

জন গে

১৯৬. যে নিজেই নিজের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করে, সে শিক্ষিত না হয়ে বোকা হয়।

–বেন জনসন

১৯৭. শিক্ষা মনের একটি চোখ।

–জোনাথন সুইফ্ট

১৯৮. শিশুর ধারণক্ষমতা অনুযায়ী তাকে শিক্ষা দেওয়া উচিত; তবেই একদিন সে কালজয়ী বিশেষজ্ঞ হতে পারবে।

প্লেটো

১৯৯. দুষ্কর সাধনা ও তপস্যা ব্যতীত কোনো মহৎব্রত উদ্যাপন করা যায় না।

জগদীশচন্দ্র বসু

২০০. যতদিন স্ত্রী-শিক্ষা সমাজে প্রচলিত করা না হইতেছে ততদিন মুসলমানদের কুসংস্কারের আবর্জনা দূর হইবে না; এবং তাহা না হইলে সমাজের উন্নতি একেবারেই অসম্ভব।

কাজী ইমদাদুল হক

২০১. ধনদৌলত খরচ করলে কমে যায়, কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকে।

–হযরত আলি (রা.)

২০২. যে যত জ্ঞানী হয়, তার দুঃখও তত বৃদ্ধি পায়।

মিল্টন

২০৩. জ্ঞানীলোকেরা দুঃখ অনুভব করেন বেশি।

–বেকন

২০৪. যার জ্ঞান নেই, তার মুক্তি নেই।

–ইমারসন

২০৫. জ্ঞান হচ্ছে মানবমনের সম্পূর্ণ কল্যাণ, দর্শন হচ্ছে জ্ঞানের জন্য অনুরাগ এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রবল প্রয়াস।

–সেনেকো

২০৬. জ্ঞানীলোকের মতামত শোনা এবং অপরের নিকট তা ব্যক্ত করা ভালো কাজ।

জন লিলি

২০৭. জ্ঞানী ব্যক্তিরা মেপে মেপে ঠোঁট নাড়েন।

লর্ড চেস্টারফিল্ড

২০৮. মহৎ লোকেরা সবসময় জ্ঞানী হন না।

বাইবেল

২০৯. অজ্ঞ ব্যক্তিকে করুণা করা যায়, কিন্তু সাহায্য করা যায় না।

সেনেকো

২১০. আমি যাকে অজ্ঞ মনে করি, তার পরামর্শ নিয়ে লাভবান হতে চাই না।

–আর, এইচ. বারহাম

২১১. অন্যের অজ্ঞতাকে জানাও জ্ঞানের একটা বিশেষ অংশ।

জন লিলি

২১২. সাধনার কোনো কোনো ব্যাপারে যদি প্রথমবার ব্যর্থমনোরথ হও, পরামুখ হয়ো না। বারে বারে আঘাত করো, দুয়ার ভেঙে যাবে। তাড়াতাড়ি না করে ধীরে অগ্রসর হও। ধরে থাকো, ক্রমশ তোমার শক্তি ও সুবিধা বাড়তে থাকবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

২১৩. শান্তি এবং যুদ্ধ উভয় ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতা শিক্ষকের ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।

জন লিলি

২১৪. অভিজ্ঞতা হল দুঃখ-কর্মের নির্যাস।

–আর্থার হেল্লেস

২১৫. অভিজ্ঞতা দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়।

ক্যার্ভেন্টিস

২১৬. যে নিজেকে চেনে তার আর কাউকে চিনতে বাকি থাকে না। অতএব যে মিথ্যাকে চেনে, সে মিছামিছি তাকে ভয়ও করে না।

কাজী নজরুল ইসলাম

২১৭. নিজেকে জানো।

–সক্রেটিস

২১৮. চর্চার উপরই অনেক কিছুর বিকাশ ও সাফল্য নির্ভর করে।

ভার্জিল

২১৯. জ্ঞানীলোকের চক্ষু সর্বজনীন ভালোবাসার প্রসারতায় ভরা।

রবার্ট ব্রইন

২২০. আমি নির্বোধের মতো কথা বলতে লজ্জা পাই না, কারণ আমার জানা দরকার।

উইলসন বি. সার্প

২২১. যে বেশি জানে, সে কর্মে বিশ্বাস করে।

এডগার অ্যালেন পো

২২২. আমি জানতে জানতে বৃদ্ধ হচ্ছি; কিন্তু প্রত্যেক দিনের জানাটাই আমার কাছে নতুন মনে হচ্ছে।

টমাস ক্যাম্পাস

২২৩. কোনোকিছু না জানার চেয়ে প্রয়োজনীয় অল্প কিছু জানাও ভালো।

সেনেকো

২২৪. বিজ্ঞান হল কতকগুলো সাফল্যমণ্ডিত ব্যবস্থা ও ধ্যানধারণার সংগ্রহ।

ভ্যালেরি

২২৫. বিজ্ঞ ব্যক্তির কথা শোনা এবং অন্যের কাছে বিজ্ঞানের কথা পৌঁছে দেওয়া, ধর্মীয় কাজের অনুশীলনী থেকেও ভালো।

–আল-হাদিস

২২৬. বিজ্ঞান বইকে অনুসরণ করে না; কিন্তু বই বিজ্ঞানকে অনুসরণ করে।

ফ্রান্সিস বেকন

২২৭. বিদ্যাবৃদ্ধিই যদি উপার্জনের মাপকাঠি হত, তবে মূর্খরা সব না খেয়ে মরত।

শেখ সাদি

২২৮. স্কুল তৈরির মতো মহৎ ও কল্যাণকর কাজ আর দ্বিতীয়টি নেই।

এলিজা কুক

২২৯. শিক্ষাজীবনের অন্যতম অংশ হচ্ছে সেটুকু–যেটুকু নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করা যায়।

জে. আর, লাওয়েল

২৩০. প্রত্যেক লোকের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তা হলে জ্ঞানী হতে পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।

স্যামুয়েল জনসন

২৩১. বুদ্ধিমান লোক নিজে নত হয়ে বড় হয়, আর নির্বোধ ব্যক্তি নিজেকে বড় বলে অপদস্থ হয়।

–হযরত আলি (রা.)

২৩২. বোকারা চিরদিন শূন্য মাঠে গোল করে।

–শেলি

২৩৩. বোকারা ভাবনাচিন্তা না করেই প্রশ্ন করে।

জন ওলকট

২৩৪. মূখের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না; সে তোমার উপকারের চেষ্টা করে তোমার ক্ষতি করবে।

–হযরত আলি (রা.)

২৩৫. একজন শিক্ষকের উপরই বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ। এত বড় দায়িত্বকে তাঁর কোনোমতেই অবহেলা করা উচিত নয়।

–এইচ. জি. ওয়েলস

২৩৬. যারা শিক্ষিত, শিক্ষা তাঁদের পক্ষে অন্য একটি সূর্যস্বরূপ।

হেরাক্লিটাস

২৩৭. শিক্ষা মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধন করে।

স্যার পি. নান

২৩৮. একজন মানুষ তেমনই হবে, যেমন শিক্ষা মা তাকে দিয়েছে।

হাওয়ার্ড জনসন

২৩৯. শিক্ষাই হচ্ছে মানুষের শক্তি। ভাষার মাধ্যমেই সেই শিক্ষা।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

২৪০. জীবনের ব্যাপক সময় ধরেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। শিক্ষার শেষ নেই।

কুপার

২৪১. সাধনা যদি নিষ্ঠাপূর্ণ হয়, তবে সম্পূর্ণ না হোক, আংশিক সাফল্য সে অবশ্যই লাভ করবে।

–হযরত আলি (রা.)

২৪২. জ্ঞান আহরণ করো। জ্ঞানীকে এটা ন্যায়-অন্যায় প্রভেদ করতে সহায়তা করবে, স্বর্গের পথ আলোকিত করবে। মরুভূমিতে এটা যেন আমাদের বন্ধু, নির্জনতায় এ যেন সমাজ সৃষ্টিকারক, নিঃসঙ্গতায় আমাদের সাথি, সুখের সন্ধান দেবে এবং দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা করবে। এ বন্ধুদের মধ্যে অলংকারের ন্যায় এবং শত্রুর বিরুদ্ধে বর্মের মতো।

–আল-হাদিস

২৪৩. এমন কোনো জ্ঞান নেই, যার শক্তি নেই।

ইমারসন

২৪৪. এমন কোনো জ্ঞান নেই, যার মূল্য নেই।

এডমন্ড বার্ক

২৪৫. অজ্ঞদের মরার আগেই মৃত অবস্থায় কালযাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সামহিত; কেননা, তাদের অন্তর মৃত আর মৃতের স্থান কবর।

–হযরত আলি (রা.)

২৪৬. যে নিজের আদেশ নিজে পালন করতে পারে না, সে অন্যের আদেশে চালিত হয়।

ইকবাল

২৪৭. গুরু যদি এক বর্ণ শিষ্যেরে শিখায় কোনো দিন
পৃথিবীতে নাই দ্রব্য যা দিয়ে শোধ দিবে ঋণ।

চাণক্য পণ্ডিত

২৪৮. তুমি যা শিখলে, তা যদি তোমার বাস্তব জীবনে রূপায়িত করতে না পারলে, তবে তুমি মস্ত বোকা।

–শেখ সাদি

২৪৯. চর্চাই সবচেয়ে বড় শিক্ষক; কারণ চর্চার মাধ্যমেই আমরা যে-কোনো জিনিস নিখুঁতভাবে আয়ত্ত করতে পারি।

–পাবলিয়াস সাইরাস

২৫০. কারও অতীত জানতে চেয়ো না, তার বর্তমানকে জানো এবং সে-জানাই যথেষ্ট।

–এডিসন

২৫১. যা তুমি জান না, তা বোলো না। আর যা তুমি জান, তা যথাস্থানে বলতে কুণ্ঠিত হয়ো না।

লোকমান হাকিম

২৫২. যে দুধের কথা কেবল শুনেছে সে অজ্ঞান, যে দুধ খেয়েছে সে জ্ঞানী, আর যে দুধ খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে সে হল বিজ্ঞানী।

বিমল মিত্র

২৫৩. আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ; তাতে আছে গতির আনন্দ, নেই যতির আয়েস।

যাযাবর

২৫৪. মানুষের ধর্মের মধ্যে বিজ্ঞানের স্থান যতটুকু, তার চাইতে বিজ্ঞানের মধ্যে ধর্মের স্থান বেশি।

পেনিন

২৫৫. বুদ্ধিজীবীদের সহজ-সরল চালচলন অন্যের নিকট তাঁদের শ্রদ্ধাভাজন করে তোলে।

উইলিয়াম সি. ওয়াল

২৫৬. প্রতিটি মানুষই নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করে, আর প্রত্যেক মানুষই তার আপন সন্তানকে খুশি দেখতে চায়।

–শেখ সাদি

২৫৭. তুমি যদি মনে কর কোনো বোকা লোকের চেহারা দেখবে না, তা হলে সর্বপ্রথমে তোমার নিজের চেহারা দেখবার আয়নাটা ভেঙে ফেলো।

রাবেলেইস

২৫৮. বোকা লোকেরা হচ্ছে এমন একটা আসন, যার উপর চালাক লোকেরা সহজেই বসতে পারে।

–উইলিয়াম হ্যাজলিট

২৫৯. শিক্ষকের প্রভাব অনন্তকালে গিয়েও শেষ হয় না।

হেনরি অ্যাডামস

২৬০. চিকিৎসা দ্বারা মানুষের রোগমুক্তি হয়, আর শিক্ষা দ্বারা মানুষের আত্মা ও বুদ্ধির বিকাশ হয়।

–আরবি সাহিত্য থেকে

২৬১. শিক্ষা অলংকারের মতো নয়, এর হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বার্স

২৬২. শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য মানুষের চরিত্র গঠন করা।

হার্বার্ট স্পেনসার

২৬৩. জীবনযাপনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা লাভ করাই বাস্তব শিক্ষা।

ডিউই

২৬৪. শিক্ষা মানুষকে সব অবস্থায়ই সহনশীল হতে শেখায়।

–উইলিয়াম বিলনিং

২৬৫. সুশিক্ষার লক্ষণ এই যে, তারা মানুষকে অভিভূত করে না, তারা মানুষকে মুক্তিদান করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৬. শিক্ষা পাইলেই যে লোকে মহৎ উদ্দেশ্য গ্রহণ করে তাহা নহে, স্বাভাবিক বুদ্ধি, প্রবৃত্তি ও ক্ষমতার উপরে ইহা অনেকটা নির্ভর করে।

রবীন্দ্রানথ ঠাকুর

২৬৭. একটি প্রদীপ থেকে শত শত প্রদীপ জ্বালালে যেমন তার আলো এতটুকু কমে।, তেমনি শিক্ষার আলো যত বেশি দান করা যায়, ততই মঙ্গল। জর্জ ম্যাকডোনাল্ড

২৬৮. এমনকি একজন বোকা লোকও যতক্ষণ চুপ করে থাকে ততক্ষণ বিজ্ঞ বলে সম্মান পেতে থাকে।

বাইবেল

২৬৯. জ্ঞানী ব্যক্তি সর্বদা চিন্তান্বিত থাকে। জ্ঞানের অর্ধাংশ ধৈর্য আর অর্ধাংশ ঔদার্য।

–হযরত আলি (রা.)

২৭০. জ্ঞান বড়, বিজ্ঞান নয়।

–প্রবোধকুমার সন্ন্যাল ২৭১. যতদিন লেখাপড়ার প্রতি আকর্ষণ থাকে, ততদিন মানুষ জ্ঞানী থাকে। আর যখনই তার ধারণা জন্মে যে সে জ্ঞানী হয়ে গেছে, তখনই মূর্খতা তাকে ঘিরে ধরে।

সক্রেটিস

২৭২. আল্লাহ আমার প্রতি বাণী প্রেরণ করেছেন : যে-ব্যক্তি জ্ঞানের পথ অনুসরণ করে আমি তার জন্য বেহেশতের পথ সুগম করে দেব। অত্যধিক উপাসনা অপেক্ষা অত্যধিক জ্ঞানই শ্রেয়।

–আল-হাদিস

২৭৩. জ্ঞান এবং কণ্ঠ পরিপক্ক না হওয়া পর্যন্ত বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।

–অলিভার ওয়েনজেড হোমস

২৭৪. জ্ঞানই আনন্দ, নির্জনতার সঙ্গী, জীবনের বন্ধু।

জন হেস্টন

২৭৫. এমন অনেক বিষয় আছে, যে-বিষয় সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকা মানুষের জন্য কল্যাণকর।

ওভিড

২৭৬. অজ্ঞতার মধ্যে জ্ঞানের বিস্তার যেন অন্ধকারের মধ্যে আলোর প্রকাশ।

–ব্রেসি

২৭৭. বাস্তব অভিজ্ঞতা দ্বারা যে-জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব, পুস্তকের সীমাবদ্ধ গণ্ডিতে তা সম্ভব নয়।

লুসি লারকাম

২৭৮. শিক্ষা মানুষকে এক বছরে যা শেখায়, অভিজ্ঞতা বিশ দিনে তার চেয়ে বেশি শেখায়।

–অ্যামব্রোস ফিলিপ

২৭৯. অর্থ দ্বারা কোনো সদ্গুণ জন্মে না; বরং অর্থ এবং অন্যান্য কাম্য বিষয় সদ্গুণ থেকে জন্মলাভ করে।

সক্রেটিস

২৮০. সাধারণ বুদ্ধিটা তত সাধারণ নয়।

–ভলতেয়ার

২৮১. যেদেশে গুণের সমাদর নেই, সেদেশে গুণী জন্মাতে পারে না।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

২৮২. যিনি যথার্থ গুরু তিনি শিষ্যের আত্মাকে উদ্ববাধিত করেন এবং তার অন্তর্নিহিত সকল প্রচ্ছন্ন শক্তিকে ব্যক্ত করে তোলেন।

–প্রমথ চৌধুরী

২৮৩. বৃদ্ধদের প্রতি অবজ্ঞা পোষণ কোরো না। কারণ অভিজ্ঞতার মূল্য অনেক।

ডব্লিউ. বি. র‍্যান্ডস

২৮৪. অনেক সময় বিদ্যার চেয়ে অভিজ্ঞতাই বেশি কাজে লাগে।

জে. আর. লাওয়েল

২৮৫. একজন লোকের জ্ঞানের পরিধি তার অভিজ্ঞতা দ্বারা খণ্ডিত করা যায় না।

জন লক

২৮৬. অভিজ্ঞতা হচ্ছে সুন্দর মজবুত দালান তৈরির উপকরণের মতো।

–ম্যানিনিয়াস

২৮৭. বয়স্কদের জন্য কারাগার অথবা ফাঁসিমঞ্চ নির্মাণ করার প্রয়োজন কমে যাবে, যদি বালকদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যায়।

–এলিজা কুক

২৮৮. আমরা প্রতি বছর ইচ্ছা করলে মেজর এবং অফিসার তৈরি করতে পারি, কিন্তু বুদ্ধিজীবী তৈরি করতে পারি না।

রবার্ট ব্যাটন

২৮৯. যে-ব্যক্তি প্রশ্ন করে কিছু জানতে চায়, সে বোকা হয় পাঁচ মিনিটের জন্য, আর যে জানার ভান করে কখনো প্রশ্নই করে না, সে বোকা থাকে সারাজীবন। চীনা প্রবাদ

২৯০. যখন-তখন বোকার মতো প্রশ্ন করার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই।

–অস্কার ওয়াইল্ড

২৯১. শিক্ষা হচ্ছে ধনাগার ও সংস্কৃতি–মৃত্যুহীন। হেনরি অ্যাডামস

২৯২. প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের ভিত কত মজবুত তা নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের তরুণ সমাজের শিক্ষার উপর।

এইচ. এস. মেরিম্যান

২৯৩. মানুষ তার অন্তরের পবিত্রতা শিক্ষার মাধ্যমেই রক্ষা করতে পারে। শিক্ষাই সর্বশক্তিমান।

জেমস মিল

২৯৪. শিক্ষা ছাড়া কেউ জ্ঞান এবং নিপুণতা লাভ করতে পারে না।

ডেমোক্রিটাস

২৯৫. জ্ঞান মানুষের মধ্যে সকলের চেয়ে বড় ঐক্য। বাংলাদেশের এককোণে যে ছেলে পড়াশুনা করিয়াছে, তার সঙ্গে য়ুরোপ প্রান্তের শিক্ষিত মানুষের মিল অনেক বেশি সত্য তার দুয়ারের পাশের মূর্থ প্রতিবেশীর চেয়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৯৬. শিক্ষা আর অভিজ্ঞতার সমন্বয়েই জীবনে পরিপূর্ণতা আসে। টমাস হুড

২৯৭, সমাজের কল্যাণে মানুষ নামক ব্যক্তিটির ব্যক্তিত্ব যে-উপায়ে সম্যকরূপে বিকশিত হয়, তার নামই শিক্ষা।

–বনফুল

২৯৮. যে শুধু নিজের কথা চিন্তা করে সে অবিসংবাদিতভাবে অশিক্ষিত।

বাটলার

২৯৯. আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না।

–শিলার

৩০০. আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাস হচ্ছে, তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে, পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া যে এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই।

–প্রমথ চৌধুরী

৩০১. বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যাহা কিছু নিতান্ত আবশ্যক তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমনি করিয়া কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু মনের বিকাশ হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩০২. যে-শিক্ষা আত্মাকে বলিষ্ঠ করে না, দৃষ্টিকে প্রসারিত করে না, তা আদৌ শিক্ষা নয়।

–জে. আর. লাওয়েল

৩০৩. মায়ের শিক্ষাই শিশুর ভবিষ্যতের বুনিয়াদ।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৩০৪. একজন শিক্ষিত লোক নিঃসন্দেহে সম্পদশালী লোক।

–লা ফন্টেইন

৩০৫. তরুণ শিক্ষার্থী তার দৈনন্দিন কার্যকালকে তিন ভাগে ভাগ করবে। যথা– পাঠাভ্যাস, পানাহার এবং খেলাধুলা।

জন মিলটন

৩০৬. যারা নিজেকে জেনেছে তারা আর মুখ নয়; তারা জ্ঞানের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

–হ্যাভলক এলিস

৩০৭. শিক্ষার উদ্দেশ্য মনুষ্যত্বের বিকাশ করা, চাকুরী বা শুধু জ্ঞান অর্জন নয়। জ্ঞান খুবই বড় জিনিস। যে জাতি জ্ঞানে যত উন্নত তাদের সম্মান ও ঐশ্বর্য তত উন্নত।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৩০৮. জ্ঞান আহরণ ধাপে ধাপে না হলে তা মোটেও স্থায়ী হয় না।

–বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন

৩০৯. অজানা বিষয়ে জানার নাম বিদ্যা, আর জানা বিষয়কে কার্যে পরিণত করার নাম জ্ঞান।

–আবদুস সালাম খাঁ

৩১০. ধনের মালিকরা প্রায়ই বখিল হয়। তারা মানুষকে পর করে দেয়। কিন্তু জ্ঞানীরা মানুষকে মহব্বত করেন।

–হযরত আলি (রা.)

৩১১. জ্ঞানের শক্তির চেয়ে বড় শক্তি আর নেই।

লা ফন্টেইন

৩১২. অজ্ঞতার ন্যায় মহাশ মানবজীবনে আর নেই।

–ডা. লুৎফর রহমান

৩১৩. ধনদৌলতকে মানুষের পাহারা দিতে হয়, কিন্তু জ্ঞান নিজেই মানুষকে হেফাজত করে এবং মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে।

–হযরত আলি (রা.)

৩১৪. একজন জ্ঞানী ও ভালোমানুষ কখনো হতাশায় ভোগে না।

–ফেবিয়াস ম্যাক্সিমাস

৩১৫. বিদ্যাই হল ভোগের বস্তু, বিদ্যাই এনে দেয় যশ, কল্যাণ, বিদ্যাই হল গুরুর

প্রাচীন কবি

৩১৬. জ্ঞানের প্রথম ধাপ হচ্ছে আমরা যে মূর্খ এই কথা জানা।

সিসিল

৩১৭. জ্ঞানসাধকের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র।

–আল-হাদিস

৩১৮. তুমি প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা পড়ো, তবেই তুমি জ্ঞানী হবে। স্যামুয়েল জনসন ৩১৯. বিতরণের মাধ্যমেই জ্ঞান পূর্ণতা লাভ করে।

ডি. গ্রামে

৩২০. এমন কোনো জ্ঞান নেই যার শক্তি নেই।

–এন. দি. উইনট

৩২১. জ্ঞানই একমাত্র উৎপন্ন সামগ্রী যা খরচ করলে কমতি পড়ে না।

–লাও সি

৩২২. বুদ্ধিমানেরা কোনোকিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে-সম্বন্ধে মন্তব্য করে। নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে।

–হযরত আলি (রা.)

৩২৩. যারা মূর্খ, যারা কোনোকালেই কিছু করবে না, তারাই শুধু বলে অসম্ভব। এ জগতে মানুষের পক্ষে অসম্ভব বলে কিছুই নেই।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৩২৪. আমরা সবাই জানি অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী। কিন্তু কেন ভয়ংকরী তা জানি না। মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান বাড়িয়ে চলার সাধনায় চিরদিন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে থেকেছে আমিত্বের অহংকার। আমি যেটুকু জানি, সেটা জানাই যথেষ্ট–এই অহংকার।

–মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

৩২৫. আজ সাধনাও নাই, সিদ্ধিও নাই; আজ বিদ্যার স্থলে বাচালতা, বীর্যের স্থলে অহংকার এবং তপস্যার স্থলে চাতুরী বিরাজ করিতেছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩২৬. শিশুর প্রথম পাঠ আজ্ঞাপালন হওয়া উচিত, তা হলে দ্বিতীয় পাঠ তুমি যা ইচ্ছা করবে তা-ই হবে।

ফ্রাংকলিন

৩২৭. আমার ব্যাপারে যদি জিজ্ঞেস কর তা হলে আমি জানিয়ে দেব যে, আমি কিছুই জানি না।

সক্রেটিস

৩২৮. জ্ঞানের লক্ষ্য হচ্ছে বুদ্ধির বিশুদ্ধতা।

ইকবাল

৩২৯. তোমার সন্তানকে প্রথমে বড়দের মান্য করতে এবং পরে মিষ্টি আচরণ করতে শেখাও।

ফ্রাংকলিন

৩৩০. গুরু সম্বন্ধে আমাদিগকে প্রথমে দেখিতে হইবে, যেন তিনি শাস্ত্রে মর্মাভিজ্ঞ হন। দ্বিতীয়ত, গুরুর সম্পূর্ণ নিষ্পাপ হওয়া আবশ্যক। তৃতীয়ত, গুরুর উদ্দেশ্য কি দেখিতে হইবে। দেখিতে হইবে তিনি যেন নাম, যশ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য লইয়া শিক্ষা দিতে প্রবৃত্ত না হন। কেবল ভালবাসা, আপনার প্রতি অকপট ভালাবাসাই যেন তাহার কার্যপ্রবৃত্তির নিয়ামক হয়।

–স্বামী বিবেকানন্দ

৩৩১. লোকে গুণকীর্তন করলে নিজেকে গুণী ভেবো না। কেননা লোকের কথায় কয়লা সোনা হয় না।

লোকমান হাকিম

৩৩২. দৃষ্টান্ত এক ধরনের শিক্ষা, যা প্রত্যেকে পড়তে পারে।

গিলবার্ট ওয়েস্ট

৩৩৩. জ্ঞানের চেয়ে কল্পনা বেশি প্রয়োজনীয়।

–আলবার্ট আইনস্টাইন

৩৩৪. অজ্ঞতার শিশুকেই কুসংস্কার বলা হয়ে থাকে।

–হেজলিট

৩৩৫. যার বুদ্ধি নেই, তার থেকে কৃতজ্ঞতার আশা কোরো না।

–হযরত আলি (রা.)

৩৩৬. জ্ঞান নির্জীব আত্মাকে সজীব করে তোলে।

সুইনবার্ন

৩৩৭. তরুণ ছাত্রদের মধ্যে যদি ছাত্রজীবনের আদর্শবাদ প্রবল না থাকে, তবে পরবর্তী জীবনে সংসারের ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে তারা আদর্শবাদী হইবে–এ কল্পনা আরো সুদূরপরাহত।

–হুমায়ুন কবীর

৩৩৮. এ জগতে মানুষকে যা কিছু দাওনা, জ্ঞানদান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ দান আর নেই। পথিককে পথ দেখানো, জ্ঞানান্ধকে জ্ঞান দান করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

–ডা. লুৎফর রহমান

৩৩৯. নকল হচ্ছে আত্মহত্যা।

ইমারসন

৩৪০. দেশের নিরক্ষরতার মূলে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও শিক্ষানীতির প্রভাব যে-কোনো ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার চেয়ে প্রবলতর।

–মুনীর চৌধুরী

৩৪১. নিজের বুদ্ধির ফাঁদে পড়ে যে-ব্যক্তি যন্ত্রণা পায়, সে সত্যিই নির্বোধ।

টমাস মুর

৩৪২. মানুষ বুদ্ধির পরিচয় দেয় জ্ঞানের বিষয়ে, যোগ্যতার পরিচয় দেয় কৃতিত্বে, আপনার পরিচয় দেয় সৃষ্টিতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৪৩. বড় প্রতিভাবান ব্যক্তিদের আত্মজীবনী খুবই সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। ইমারসন

৩৪৪. শিক্ষা জীবিকা উপার্জনের পথ বলে ধরে নেওয়া আমার সামান্য বুদ্ধিতে নিচু বৃত্তি বলে বোধ হয়। জীবিকা উপার্জনের সাধনা হচ্ছে শরীর, আর বিদ্যালয় হচ্ছে চরিত্র গঠনের সাধনা।

মহাত্মা গান্ধী

৩৪৫. প্রতিভা বলে কোনো জিনিস নেই। পরিশ্রম করো, সাধনা করো, প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।

ভলতেয়ার

৩৪৬. প্রতিভাবানদের আবিষ্কৃত জিনিস কখনো মূল্যহীন হয় না।

কুপার

৩৪৭. লুকানো প্রতিভা কোনো সুনামই অর্জন করতে পারে না। ইরাসমাস

৩৪৮. প্রতিভাবান ব্যক্তি কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের সম্পদ নন, বিশ্বের সম্পদ।

চার্লস ডিকেন্স

৩৪৯. শিক্ষা ছাড়া প্রতিভাবান ব্যক্তি অনেকটা খনিতে থাকা রুপোর মতো।

জন ফরস্টার

৩৫০. প্রতিভা তৈরি করা সম্ভব নয়; প্রতিভার জন্ম হয়।

ড্রাইডেন

৩৫১. গুণ থাকলেও চেষ্টা না করলে জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায় না।

–ডা. লুৎফর রহমান

৩৫২. প্রতিভা একভাগ প্রেরণা, আর নিরানব্বই ভাগ কঠিন পরিশ্রম। –এডিসন

৩৫৩. যখন বিশ্বে একটা সত্যিকার প্রতিভার আবির্ভাব ঘটে, তাকে তুমি এই লক্ষণ দ্বারা চিনতে পার যে, স্থূলবুদ্ধি ব্যক্তিরা তার বিরুদ্ধে সব একজোট হয়েছে।

–জোনাথন সুইফ্ট

৩৫৪. যে কখনো প্রশ্ন করে না, সে হয় সবকিছু জানে, নয়তো কিছুই জানে না।

ম্যালকম ফোবাস

৩৫৫. প্রতিভা অর্থাৎ বিরাট ধৈর্য।

বাফন

৩৫৬. বিজ্ঞান হল সংঘবদ্ধ জ্ঞানের সমষ্টি।

হার্বার্ট স্পেনসার

৩৫৭. পুঁথিতে যে-বিদ্যা থাকে, আর পরের হাতে যে-ধন থাকে, দুটিই সমান। দরকারের সময় সে-বিদ্যা বিদ্যা নয়, সে-ধন ধন নয়।

–চাণক্য পণ্ডিত

৩৫৮. বিদ্যা ভালোমন্দ বিবেচনা করিবার শক্তি আনিয়া দেয়। বিদ্যা বেহেশতের পথ আলোকিত করে। ইহা নির্জনে সঙ্গী, মরুভূমিতে সহচর ও ইহা আমাদের বিমলানন্দের দিকে লইয়া যায়, শত দুঃখ বিপদের মধ্যেও আমাদিগকে অটুট রাখে, বিদ্যা সমাজের অলংকারস্বরূপ এবং শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার জন্য অমোঘ কবচ।

–আল-হাদিস

৩৫৯. বাড়িতে বাপ-মা-ভাই-বন্ধুরা যাহা আলোচনা করেন বিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে তাহার যোগ নাই, বরঞ্চ অনেক সময় বিরোধ আছে। এমন অবস্থায় বিদ্যালয় একটা এঞ্জিনমাত্র হইয়া থাকে; তাহা বস্তু যোগায়, প্রাণ যোগায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৬০. বিনয় হচ্ছে জ্ঞানের ফল।

–হযরত আলি (রা.)

৩৬১. বিদ্যার আধিক্য দ্বারা বিশেষজ্ঞের পরীক্ষা হয় না।

–প্লেটো

৩৬২. একজন বিশেষজ্ঞ হলেন তিনি, যিনি ক্রমাগতভাবে অল্প বিষয়ে বেশি জ্ঞান অর্জন করেন।

–নিকোলাস এসবাটলার

৩৬৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জানেন জীবনের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে ছাত্রকে সহায়তা দান করাই তার প্রধান কর্তব্য।

—-অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন

৩৬৪. একটি ডিগ্রি মানে একটি প্রতিশ্রুতি। এ-প্রতিশ্রুতি বিদ্যায়তনিক কৃতিত্ব নয়, জাগতিক স্বীকৃতি। ওজনে একে মাপা যায় না।

–অধ্যাপক জি. জে. হার্টস

৩৬৫. মূর্খতা মানুষের সহজাত রোগ। অনুশীলনের মহৌষধ প্রয়োগ করে সেই রোগের চিকিৎসা করতে হয়।

মওলানা মহিউদ্দিন

৩৬৬. প্রত্যেক জিনিসের কিছু এবং কিছু জিনিসের সবকিছু পড়া ভাল। ব্রোগাহাম

৩৬৭. বিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন একজন মিস্ত্রি, যিনি গঠন করেন মানবাত্মা।

ইকবাল।

৩৬৮. শিক্ষার সবচাইতে বড় অঙ্গটা বুঝাইয়া দেওয়া নহে, মনের মধ্যে ঘা দেওয়া।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৬৯. শিক্ষা উন্নতদের জন্য অলংকার, আর দুর্ভাগাদের জন্য আশ্রয়স্বরূপ।

ডিমোক্রিটাস

৩৭০. বিদ্যা শিক্ষা কাকে বলি? বই পড়া? নানাবিধ জ্ঞানার্জন করা? তাও নয়। যে শিক্ষার দ্বারা ইচ্ছাশক্তির বেগ ও স্ফুর্তি নিজের আয়ত্তাধীন ও সফলকাম হয়, তা-ই শিক্ষা।

–স্বামী বিবেকানন্দ

৩৭১. কয়েকটা পাশ দিলে বা ভাল বক্তৃতা করতে পারলেই তোমাদের কাছে শিক্ষিত হল। যে বিদ্যার উন্মেষে ইতরসাধারণকে জীবন সংগ্রামে সমর্থ করতে পারা যায় না, যাতে মানুষের চরিত্রবল,পরার্থপরতা, সাহসিকতা এনে দেয় না, সে কি আবার শিক্ষা? যে শিক্ষায় জীবনে নিজের পায়ের উপর দাঁড়াতে পারা যায়, সে-ই হচ্ছে শিক্ষা।

–স্বামী বিবেকানন্দ

৩৭২. যে শকটের এক চক্র বড় (পতি) এবং এক চক্র ছোট (পত্নী) হয়, সে শকট অধিক দূরে অগ্রসর হইতে পারে না, সে কেবল একই স্থানে (গৃহকোণেই) ঘুরিতে থাকিবে।

–বেগম রোকেয়া

৩৭৩. বিদ্যা হতে বিনয়ের জন্মলাভ হয়। বিনয়ী না হলে কেহ যোগ্য পাত্র নয়। যোগ্যতায় আসে ধন, ধর্ম লাভ ধনে, ধর্ম হতে যত কিছু সুখ জাগে মনে।

–বিষ্ণু শর্মা

৩৭৪. যে পথে যথাসম্ভব কম জেনে যতদূর সম্ভব বেশি মার্ক পাওয়া যায়, আমরা সেই পথে চলব। এ তো দেকছি শিশুকাল থেকেই ফাঁকি দেয়ার বুদ্ধি অবলম্বন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৭৫. যে সমাজে কিছুই ভাববার নেই, কিছু করবার নেই, সমস্তই ধরাবাঁধা, সে সমাজ কি বুদ্ধিমান, শক্তিমান মানুষের বাসের যোগ্য? সে সমাজ মৌমাছির চাক বাঁধবার জায়গা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৭৬. জ্ঞানী ব্যক্তিরা বিনয়ী হয়।

বি. সি. রায়

৩৭৭. জ্ঞানী ব্যক্তির সব পরামর্শই নির্বিচারে পালনীয় নয়; কারণ জ্ঞানী ব্যক্তিরও ভুল থাকতে পারে।

উইলিয়াম মরিস

৩৭৮. বেফাঁস কথা বলার চেয়ে চুপ করে থাকাটাই নিরাপদ।

–জর্জ হার্বার্ট

৩৭৯. বড় বড় চিন্তাগুলো হৃদয় থেকে উদ্ভূত হতে থাকে।

ভাউভেনারগাস

৩৮০. নিজের একটা চিন্তা অন্যের কাছ থেকে ধার করা দুটো চিন্তার চেয়ে অনেক বেশি দামি।

–গোর্কি

৩৮১. যে-ব্যক্তি বিদ্যা অন্বেষণ করে, সে খোদার ইবাদত করছে।

–আল-হাদিস

৩৮২. শিক্ষা একজন মানুষের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয়।

ফ্রাংকলিন

৩৮৩. একটি উৎকৃষ্ট মাথা বহু মানুষের উপকার করতে পারে।

ভার্জিল

৩৮৪. গাধাকে যদি স্বর্ণ দ্বারাও আচ্ছাদিত করা হয় তবু সে গাধাই থাকবে।

জন মরলে

৩৮৫. মানব চিন্তাধারাই আমাকে মুক্ত অথবা দাস বানাতে পারে।

–জে. জি. হল্যান্ড

৩৮৬. আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু আমার গ্রন্থসমূহ–তোমরা আমার কাছেই থাকো আর। আমাকে আলোর রাজ্যে নিয়ে চলো।

আব্রাহাম কাওলি

৩৮৭. সে-ই সবার প্রিয় হতে পারে যে মাটির ভাষায় কথা বলে।

ফ্রিম্যান

৩৮৮. পৃথিবীতে অজ্ঞ লোকদেরই দম্ভ বেশি।

মারলো

৩৮৯. আমরা যত বেশি পড়াশোনা করব, তত বেশি নিজের অজ্ঞতা আবিষ্কার করে লজ্জিত হব।

জন অলকট

৩৯০. কারও কিছু জিজ্ঞাসার জবাব জানা না থাকলে আমি জানি না একথা বলতে লজ্জাবোধ কোরো না।

–হযরত আলি (রা.)

৩৯১. মানুষ জ্ঞান আহরণ করলে শক্তিকেও সে আহরণ করে এবং এটাই তার হৃদয়ের লুকানো গুণগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে।

মনীষী ওথার

৩৯২. জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু।

–মেরি ডিথ

৩৯৩. জ্ঞানী লোকেরাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে-পবিরতন ঘটে তা মেনে নেয়।

–জে, জি, হল্যান্ড

৩৯৪. আলো যেমন অন্ধকার দূর করে, জ্ঞান তেমনি সমস্ত সংকীর্ণতা দূর করে মানুষকে সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক করে তোলে।

–এ. আর. রবিনানে

৩৯৫. শিক্ষিত জাতিই নিখুঁত গণতন্ত্রের সুন্দর লজ্জামুক্ত জিনিস উপহার দিতে পারে।

–জি, জে, বেইলি

৩৯৬. শুধু বুদ্ধি আর অভিজ্ঞতা থাকলেই হবে না, তোমাকে কৌশলি হতে হবে।

উইলিয়াম ব্রাইয়ান

৩৯৭. একমাত্র শিক্ষাই জাতীয় ও সামাজিক সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান করতে পারে।

জন লিলি

৩৯৮. আমার কলমকে জিজ্ঞেস করো আমি তাকে শাসন করি না, সে-ই আমাকে শাসন করে।

জন টেলর

৩৯৯. কিছু-কিছু বিষয় সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকা মানুষের জন্য কল্যাণকর।

ওদি

৪০০. নতুন চিন্তাভাবনা, ধ্যানধারণা নতুন সময়েরই দিকনির্দেশ করে।

সারা এইচ. পি. হুইটম্যান

৪০১. হয় মানুষের মতো হুঁশ করে কথা বলো, নতুবা গবাদি পশুর মতো চুপ করে থাকো।

হল্যান্ড

৪০২. আমি জ্ঞানী নই, কিন্তু ভাগ্যবান; কাজেই আমি সর্বতোভাবে সুখী।

ডব্লিউ জি. বেনহাম

৪০৩. সে-ই অমর, যে জ্ঞানের জন্য জীবনপণ করে।

–আল-হাদিস

৪০৪. শিক্ষা যে দান করে সে আলোর মানুষ; তা তার জীবন আলোকময় করে।

–আলফ্রেড নোয়েস

৪০৫. সত্যিকারভাবে শিক্ষিত না হলে মর্যাদাবোধ জাগে না।

–মেরি ই বুয়েস

৪০৬. বিদ্যার আধিক্য দ্বারা বিশেষজ্ঞের পরীক্ষা হয় না।

–এম. আরনল্ড

৪০৭. অনেকে দার্শনিকের মতো কথা বলতে এবং বোকার মতো আচরণ করতে ভালোবাসে।

–এইচ. জি. ভন

৪০৮. বারবার ভুল করে ক্ষমা চাওয়ার চেয়ে ভুল কম করা বুদ্ধিমানে কাজ।

–টমাস পেইন

৪০৯. শিক্ষার অর্থ সম্প্রদায় বা জাতিবিশেষের অন্ধ অনুকরণ নহে। ঈশ্বর যে স্বাভাবিক জ্ঞান বা ক্ষমতা (Faculty) দিয়াছেন সেই ক্ষমতাকে অনুশীলন দ্বারা বৃদ্ধি (Develope) করাই শিক্ষা। ঐ গুণের সদ্ব্যবহার করা কর্তব্য এবং অপব্যবহার করা দোষ।

–বেগম রোকেয়া

৪১০. জ্ঞানীর হাত ধরা যায়, কিন্তু বোকার মুখ ধরা যায় না।

জর্জ হার্বার্ট

৪১১. সূর্যের আলোতে যেরূপ পৃথিবীর সকল কিছু ভাস্বর হয়ে ওঠে, তেমনি জ্ঞানের আলোতে জীবনের সকল অন্ধকার দিক আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।

ওমর খৈয়াম

৪১২. এ জগতে একই পুঁথি খোলা রয়েছে–সেই পুঁথিকে শিশু পড়ছে ছড়ার মতো, যুবা পড়ছে কাব্যের মতো এবং বৃদ্ধ তাতেই পড়ছে ভাগবত।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪১৩. এই মহাবিশ্বের স্থানে কোনো কিনারা (edge) নেই, কালে কোনো শুরু কিম্বা শেষ নেই এবং শ্রষ্টার করার মতো তেমন কিছু নেই।

–হকিং

৪১৪. কলেজ তোমায় শুধু পথ দেখিয়ে দেয়। সারাজীবন তোমায় দেখতে হবে, শিখতে হবে, জ্ঞানার্জন করতে হবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

 ০২. শিল্প ও সাহিত্য

১. শিল্প ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে আত্মার খাদ্যের সংস্থান করা যায়।

শেলি

২. সবসময় মনে রাখবেন, শিল্পের মাঝেই শিল্পী বেঁচে থাকে।

রিচার্ড হার্ভে

৩. যন্ত্রণাকাতর মনের জন্য সঙ্গীত ওষুধের কাজ করে।

জন কীটস

৪. শত দুঃখের মধ্যেও সঙ্গীত হৃদয়কে স্পর্শ করে।

জন রে

৫. সঙ্গীত পুরুষের হৃদয় থেকে অগ্নি উৎপাদন করে, আর নারীর চোখ থেকে অশ্রু ঝরায়।

বিটোভেন

৬. সঙ্গীত মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত হৃদয় স্পর্শ করে।

জন ক্রাউন

৭. সাহিত্য হচ্ছে জীবনের সমালোচনা।

ম্যাথু আরলল্ড

৮. সাহিত্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের সুখদুঃখপূর্ণ জীবনের দলিলবিশেষ।

–টমাস মফেট

৯. অভিনয় প্রাণবন্ত না হলে সুসজ্জিত মঞ্চের কোনো মূল্য নেই।

–ডেভিড এভারেস্ট

১০. গান ভালোবাসে না পৃথিবীতে এমন মানুষ বিরল। যদি কেউ থাকে সে নিশ্চয় পাগল।

ইয়ং

১১. ক্ষুদ্র পাখিও তার মধুর কণ্ঠের গান শুনিয়ে মানুষকে পরিতৃপ্ত করতে চেষ্টা করে।

লিন্ডসে

১২. ছেলেরা থিয়েটারে যায় ভুলতে, মেয়েরা মনে করতে।

জর্জ জিন নাথান

১৩. কাকে বলে মঞ্চ? এটা এমন জায়গা, বুঝলে খোকারা, লোকেরা যেখানে গম্ভীর হয়ে ঢোকে, অভিনয় করে দেখায় কমেডি।

লুইগি পিরান্দেল্লো

১৪. সাহিত্য হচ্ছে দেশ ও জাতির জীবনমানসের প্রতিফলন।

ইমারসন

১৫. সাহিত্য মানবতার ছায়া ছাড়া আর কিছু নয়।

হেনরি জেমন

১৬. মানুষ বিশ্বসংসারে যা ভালোবাসে, আর্টের দ্বারা তার স্তব করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭. লেখকের স্বাধীনতা যে শুধু লেখকের জন্য প্রয়োজন তা নয়, সমাজের বৃহত্তম কল্যাণের জন্যও তা অত্যাবশ্যক। ভাষার স্বাধিকারের সাথে লেখকের স্বাধীনতাও চাই।

–আবুল ফজল

১৮. যে-মানুষের হৃদয়ে সঙ্গীতের সুর আছে, প্রেম ও প্রীতি বিনিময়ে সে অদ্বিতীয়।

প্লেটো

১৯. আমার কোন বইতেই আমি ভূমিকা দিই না। যে পাঠক চারশো পৃষ্ঠা বই পাঠ করে কিছুই উপলব্ধি করতে পারবে না, তাকে চার পৃষ্ঠা ভূমিকা দ্বারা কিছুই বোঝানো সম্ভব না।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০. আজ উপন্যাস, কিন্তু পঞ্চাশ বছর পরে ইহিতাস।

–জহুরুল হক

২১. একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশের দাবি মাতৃভাষার দাবি, ন্যায়ের দাবি, সত্যের দাবি।

আবুল ফজল

২২. একজন কবির ঐশ্বর্য হচ্ছে তার কবিতাসম্ভার।

এডমন্ড স্পেন্সার।

২৩. মনেমনে সব মানুষই কবি।

–ইমারসন

২৪. সহজ হওয়ার মাঝে আছে কালচারের পরিচয়। আড়ম্বরের মাঝে দম্ভের। সে দম্ভ কখনো অর্থের, কখনো বিদ্যার, কখনো বা প্রতিপত্তির।

যাযাবর

২৫. আবেগের সঙ্গে ছন্দের সংমিশ্রণেই কাব্যের উৎপত্তি।

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত

২৬. কমল হীরার পাথরটাকেই বলে বিদ্যা এবং তার থেকে যে দ্যুতি ঠিকরে পড়ে তাকে বলে কালচার।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭. ঈশ্বর সব মানুষকে কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছেন, কিন্তু গান গাওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন স্বল্প কয়েকজনকে।

–ওয়াল্টার স্মিথ

২৮. খাঁচার আবদ্ধ পাখির কণ্ঠে যে-গান, সে-গানে তার বন্দিত্বের সুরই ফুটে ওঠে।

উইলিয়াম ফ্রেডরিক

২৯. জীবনে যা ক্ষণিকের, তাকেই মনোজগতে চিরস্থায়ী করবার কৌশলের নামই আর্ট।

–প্রমথ চৌধুরী

৩০. কবিমাত্রই দরিদ্র হতে পারে, কিন্তু তার অন্তরের ঐশ্বর্য তাকে চিরভাস্বর করে রাখবে।

–গোল্ডস্মিথ

৩১. অনুকরণ করার অধিকার আছে তার, যার আছে সৃষ্টি করার শক্তি। আদান প্রদানের বাণিজ্য চিরদিনই আর্টের জগতে চলেছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩২. অনুকরণ চুরি, স্বীকরণ চুরি নয়। মানুষের সমস্ত বড়ো বড়ো সভ্যতা এই স্বীকরণ শক্তির প্রভাবেই পূর্ণ মাহাত্ম লাভ করেছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৩. উপন্যাস মানুষকে জীবন সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। –রবার্ট হেনরিখ . ৩৪. একটা নাটক তোমাকে অবশ্যই ভাবার মতো কিছু একটা দেবে। কোনো নাটক দেখে প্রথমবারই যখন আমি বুঝে ফেলি, তখনই টের পাই জিনিসটি সুবিধার নয়।

–টি. এস. এলিয়ট

৩৫. আমার নাটকে আমি চাই জীবনের দিকে তাকাতে–তাকাতে চাই অস্তিত্বের মূল ভূমির ওপর–যেন মাত্র বাঁক নিলাম আমরা, আর জায়গাটাতে দৌড়ে গেলাম প্রথমবারের মতো।

ক্রিস্টোফার ফ্রাই

৩৬. যে-কোনো সভ্যতার উৎকৃষ্ট ব্যারোমিটার হল তার কবি-সাহিত্যিক।

কৃষণ চন্দর।

৩৭. জগতে যেথা যত রয়েছে ধ্বনি
যুগল মিলিয়াছে আগে।
যেখানে প্রেম নেই বোবার সভা,
সেখানে গান নাহি জাগে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৩৮. স্পষ্ট উচ্চারণ হল ভাষার প্রাণ; উচ্চারণের স্পষ্টতা ভাষাকে অনুভূতি ও সততা দান করে।

–রুশো

৩৯. যে সংগীত ভালোবাসে না সে মানুষ খুন করতে পারে।

–প্রবাদ

৪০. যিনি জীবনকে ভালোবাসেন তিনি সংগীতকে ভালো না বেসে পারেন না।

–সমরেশ বসু

৪১. সংগীতপাগলরা পাগল নয়, সংগীতবিরোধীরাই পাগল।

–বিটোভেন

৪২. তরবারি দিয়ে রাজ্য জয় করা যায়, কিন্তু সংগীত দিয়ে শত্রুকে বন্ধু করা যায়।

–অজ্ঞাত

৪৩. ছবি জিনিসটা হচ্ছে অবনীর, গান জিনিসটা গগনের। অসীম যেখানে সীমার মধ্যে সেখানে ছবি, অসীম যেখানে সীমাহীনতায় সেখানে গান। রূপরাজ্যের কলা ছবি, অরূপ রাজ্যের কলা গান। কবিতা উভচর। ছবির মধ্যেও চলে, গানের মধ্যেও ওড়ে। কেননা, কবিতার উপকরণ হচ্ছে ভাষা। ভাষার একটা দিকে অর্থ আর একটা দিকে সুর, এই অর্থের যোগে ছবি গড়ে ওঠে, সুরের যোগে গান।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৪. সংগীত হচ্ছে সেই পরম ভাষা যা দিয়ে সংগীতশিল্পী প্রত্যেক হৃদয়ের সাথে কথা বলেন।

রিচার্ড ওয়াগনার

৪৫. সংগীতের মাধুর্য তুলনাবিহীন। সংগীত দিয়ে মা তার দুষ্টু শিশুকে ঘুম পড়িয়ে থাকে, প্রেমিক প্রেমিকার মন জয় করে, নিঃসঙ্গ ব্যক্তি নিঃসঙ্গতার দুঃখ ভোলে।

–রিও রেনাল্ড

৪৬. সংগীতের মাধ্যমে যা-কিছু শেষ হয় তা-ই সুন্দর।

রবার্ট বার্নস

৪৭. তোমার গান যদি কাউকে আনন্দ দেয়, দুঃখ ভোলায়, তবেই তো তুমি যথার্থ শিল্পী।

টমাস স্টুড আর্ট

৪৮. শিল্প নিজেকে ছাড়া অন্য কিছুই প্রকাশ করে না।

অস্কার ওয়াইল্ড

৪৯. জগৎ-সংসারকে কৌশলে এড়াতে হলে শিল্পের (আর্টের) অনুশীলনের চাইতে মোক্ষম পন্থা আর দুটি নেই। আবার সংসারাসক্ত হতে হলেও আর্টের অবলম্বন ব্যতীত অমোঘ কিছু নেই।

–গ্যেটে

৫০. সব শিল্পের মূল কথা প্রকাশ। প্রকাশ যত অবাধ ও বিচিত্রমুখি হয়, শিল্পও হয় তত সম্পদশালী।

–আবুল ফজল

৫১. শিল্প আর বিদ্রোহের মৃত্যু ঘটবে সেইদিন যেদিন ভূপৃষ্ঠে একটি মানুষও বেঁচে থাকবে না।

–আলবেয়ার কামু

৫২. শিল্পী নিঃসন্দেহে যুগ-সন্তান, কিন্তু তাই বলে তিনি যদি যুগ-শিষ্য হয়ে পড়েন, তবে সেটাই তার জন্য অত্যন্ত শোচনীয়।

শিলার

৫৩. সাহিত্য ও শিল্পের কাজ মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করা–মনকে শুধু মুগ্ধ নয় হৃদয়কে জাগিয়ে তোলাও।

–আবুল ফজল

৫৪. অব্যয় হল পদের জন্যে কলার খোসা।

ক্লিফটন ফ্যাডিম্যান

৫৫. মনে রাখা ভালো ব্যাকরণই সাধারণ কথাবর্তার উৎস।

সমারসেট মম

৫৬. যতক্ষণ ভালো আছি ব্যাকরণের দরকারটা কী?

–আর্টেমস ওয়ার্ড

৫৭. যে-লেখক ব্যাকরণের রীতিতে লিখতে পারেন না তিনি বন্ধ করে দিন দোকান।

আর্টেমাস ওয়ার্ড

৫৮. নিঃসন্দেহে আত্মতৃপ্তি সাহিত্য ও শিল্পের এক বড় শত্রু। –আবুল ফজল

৫৯. যা সবার ভালো লাগে, যা দৃষ্টিনন্দন, যা প্রাণে এক অপরূপ আবেগ ও আনন্দ সৃষ্টি করে–সেটাই যথার্থ উৎকৃষ্ট শিল্প।

–কামরুল হাসান

৬০. কুরূপা মেয়ের চেয়ে সুশ্রী মেয়ের পতিতাবৃত্তি যেমন সমাজের পক্ষে বেশি অনিষ্টকর, তেমনি সমাজের পক্ষে বেশি মারাত্মক ক্ষমতাশালী পথভ্রষ্ট শিল্পী।

বার্নার্ড শ

৬১. পোষা বাঘ যেমন বাঘ নয়, পোষা শিল্পীও তেমনি শিল্পী নয়।

–আবুল ফজল

৬২. প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই একটা শিল্পীমন ঘুমিয়ে আছে।

বেকন

৬৩. একজন দক্ষ সমালোচককে লেখকের হৃদয়ে স্থান দেওয়া উচিত।

–এইচ. এল. ম্যালফেল

৬৪. আমাদের দেশে পলিটিক্সকে যারা নিছক পালোয়ানি বলে জানে, সব রকম ললিতকলাকে তারা পৌরুষের বিরোধী বলে ধরে রেখেছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৫. হৃদয় যার সঠিক স্থানে নেই, শত চেষ্টা করেও সে কবি হতে পারে না।

রিচার্ড রাওলে

৬৬. কলমকে হৃদয়ের জিহ্বা বলা যায়।

কারভেনটিস

৬৭. কাব্যের একটি গুণ আছে, যা কম লোকেই অস্বীকার করবে ও কাব্য গদ্যের তুলনায় অনেক অল্প কথায় অনেক বেশি ভাব প্রকাশ করে থাকে।

–ভলতেয়ার

৬৮. জগতে যেথা যত রয়েছে ধ্বনি
যুগল মিলিয়াছে আগে।
যেখানে প্রেম নাই বোবার সভা,
সেখানে গান নাহি জাগে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৯. বাঁশি বাজালেই কেউ নাচে না; তার সুরের মধ্যে নাচের উন্মাদনা থাকলেই নাচে।

–ব্রিন্ট হার্টি

৭০. রস জিনিসটা রসিকের অপেক্ষা রাখে, কেবলমাত্র নিজের জোরে নিজেকে সে সপ্রমাণ করিতে পারে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭১. যেখানে সাহিত্য রচনায় লেখক উপলক্ষমাত্র না হইয়াছে সেখানে তাহার লেখা নষ্ট হইয়াছে। যেখানে লেখক নিজের ভাবনায় সমগ্র মানুষের ভাব অনুভব করিয়াছে, নিজের লেখায় সমগ্র মানুষের বেদনা প্রকাশ করিয়াছে, সেইখানেই তাহার লেখা সাহিত্যে জায়গা পাইয়াছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭২. সাহিত্যের ইতিহাস সাধারণত গৌণ লেখকদেরই ইতিহাস, যারা দুই মহৎ লেখকের মাঝখানে স্থান ও কালগত শূন্যতার পূরণ করে মাত্র।

–দেবেশ রায়।

৭৩. প্রয়োজন হলে একজন সৎ, আন্তরিক সাহিত্যিককে জীবনের অন্য সবকিছুই ছেড়ে দিতে হয়। সাহিত্য সতীন পছন্দ করে না।

–বুদ্ধদেব গুহ

৭৪. যিনি লেখক তাকে অনেক কিছুই লিখতে হয়, যা না লিখে তিনি পারেন না।

–জন ক্লার্ক

৭৫. রসের সচ্ছলতায় সাহিত্য হয় না, রসের উচ্ছলতায় সাহিত্যের সৃষ্টি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৬. লেখকের একটি প্রধান কাজ হল তাঁর লেখা মারফত পাঠকের সঙ্গে কমুনিকেশন ঘটানো। আর এই কুমুনিকেশনের জন্য ভাষাকে হতে হবে নির্ভার, মেদহীন এবং ঋজু।

–প্রফুল্ল রায়

৭৭. যদি লেখক হওয়ার বাসনা থাকে তবে লেখো।

ইপিকটিটাস

৭৮. শুধু প্রতিভা থাকলেই লেখক হওয়া যায় না, পেছনে একজনকে থাকতে হবে।

এমারসন

৭৯. একজন লেখক তখনই লেখে–যখন লিখতে বসে তার বিশ্বাস হয় এমন জিনিসটি আগে আর কেউ লেখেনি। পরে হয়তো সে বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হয়। কিন্তু লেখার সময় ঐ বিশ্বাসটুকু চাই-ই চাই। নয়তো লেখা যায় না।

শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়

৮০. সাহিত্যের প্রদীপ লেখকের মগজের তেল দিয়ে জ্বলে।

সাদাত হাসান মিন্টো

৮১. একটি কপোত যদি কপোতীকে দেখে বাকবাকুম করে উঠতে পারে, তা হলে নারীকে নিয়ে একজন পুরুষ গজল বা গল্প লিখলে আপত্তি কী? মেয়েরা কপোতীর চেয়ে অনেক অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং লাবণ্যময়ী।

সাদাত হাসান মিন্টো

৮২. যে নিজের সম্বন্ধে লেখে এবং তার সমকালের ব্যাপারে লেখে, সে-ই একমাত্র ব্যক্তি, যে সব লোকের জন্য লেখে ও সব মানুষের জন্য লেখে।

বার্নার্ড শ

৮৩. লেখকের জন্য লেখার শাসন ছাড়া অন্য কোন শাসন নেই, অন্তত যখন তিনি লিখতে বসেন তখনকার মতো। তখন তিনি শুধু শিল্পী। শিল্পের শাসনে তিনি যুগপৎ বন্দী

–আবুল ফজল

৮৪. শক্তিমান লেখকের একটি গুণ ভাষা ও ভাবে বেপরোয়া হতে তাঁর দ্বিধা নেই।

–আবুল ফজল

৮৫. লেখক আর শিল্পীর পক্ষে ভবঘুরেমি ধর্মবিজয়, কলাবিজয় এবং সাহিত্য বিজয়ের সূচনাস্বরূপ। বাস্তবিক ভবঘুরেমিকে সামান্য জিনিস মনে করা উচিত নয়। ভবঘুরেমি হল সত্যানুসন্ধানের জন্য, শিল্পসৃষ্টির জন্য সদৃভাবনার প্রসবের জন্য দিগ্বিজয়।

রাহুল সাংকৃত্যায়ন

৮৬. সাহিত্যিকের কাছে সত্যই বড় কথা। সত্যের সঙ্গে যদি জাতীয় আদর্শ, ধর্ম বা শাস্ত্রের বিরোধ ঘটে, নিঃসন্দেহে বিনা দ্বিধায় সাহিত্যিক সত্যের পক্ষাবলম্বন করবেন।

–আবুল ফজল

৮৭. বড় লেখকও তাঁর পূর্ববর্তী লেখকের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পারেন না, কিন্তু এক সময় আপনা-আপনি তার নিজস্ক শৈলী বেরিয়ে আসে।

রাহুল সাংকৃত্যায়ন

৮৮. সুলেখকরাই একমাত্র জানেন কখন তাঁর লেখা বন্ধ করতে হবে। –রউক্স ৮৯. শিল্প-সাহিত্যের মধ্যে বেঁচে থাকার মধ্যে রয়েছে গভীর প্রশান্তি।

–টমাস ফুলার

৯০. বিক্রয় তালিকা দিয়ে মহৎ সাহিত্যের মান নির্ণয় করা যায় না সত্য, তবে জনপ্রিয়তা শিল্পের কালোত্তরণের একটি প্রমাণ তো বটেই।

রাধারানী দেবী।

৯১. অন্তরে যার রসের অভাব সে কখনোই রস-সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯২. কিছু দুপাঠ্য গদ্য, দর্শন বা রাজনীতির বক্তৃতা পরিবেশন করে যারা সাহিত্যিকের দায়িত্ব পালন করছেন মনে করেন, আমি তাদের সমর্থন করতে পারি না। কারণ আমি মনে করি শিক্ষকের ভূমিকা গ্রহণ করে তাঁরা পাঠককে অসম্মান করেন। লেখকের সঙ্গে পাঠকের সম্বন্ধ তো বন্ধুত্বের। জ্ঞান বিতরণের অধিকার তো তাঁকে দেওয়া হয়নি, যিনি গল্প উপন্যাসকে সাহিত্যের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছেন।

–শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়

৯৩. মন্দের ওকালতি করিতে কোনো সাহিত্যিকই কোনোদিন সাহিত্যের আসরে অবতীর্ণ হয় না, কিন্তু ভুলাইয়া নীতিশিক্ষা দেওয়া সে আপনার কর্তব্য বলিয়া জ্ঞান করে না। দুর্নীতিও সে প্রচার করে না। একটুখানি তলাইয়া দেখিলে তাহার সমস্ত সাহিত্যিক দুর্নীতির মূলে হয়তো এই একটা চেষ্টাই ধরা পরিবে, মানুষকে সে মানুষ বলিয়াই প্রতিপন্ন করিতে চায়।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৯৪. আমাদের সংস্কৃতির দুঃখজনক একটি দিক হল কবিরা শিল্পচর্চা করার চেয়ে সে বিষয়ে লিখে বা বলে বরং বেশি টাকা কামাতে পারেন।

ডব্লিউ. এইচ. অডেন

৯৫. আমার বইগুলির সঙ্গে যারা পরিচিত, তারাই জানে আমি কোনোদিন কোনো ছলেই নিজের ব্যক্তিগত অভিমত জোর করে কোথাও খুঁজে দেবার চেষ্টা করিনি। ….. সেইজন্যেই আমার লেখার মধ্যে সমস্যা আছে, সমাধান নেই; প্রশ্ন আছে, তার উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ, এ আমার চিরদিনের বিশ্বাস যে সমাধানের দায়িত্ব কর্মীর, সাহিত্যিকের নয়। কোথায় কোন্টা ভাল, কোন্টা মন্দ; বর্তমানকালে কোন্ পরিবর্তন উপযোগী এবং কোটার সময় আজও আসেনি, সে বিবেচনার ভার আমি সংস্কারকের উপরে রেখেই নিশ্চিন্ত মনে বিদায় নিয়েছি।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৯৬. যারা লেখক তারা যদি পঞ্চাশ বছর, একশো বছরের কথা এগিয়ে কল্পনা করতে পারে তবে চলবে না। আজ যাদের মনে হচ্ছে–লোক বিগড়ে যাবে, তখন তাঁদেরই আর সে কথা মনে হবে না। মানুষের “idea” ক্রমেই বদলে যাচ্ছে।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৯৭. একজন নির্বোধ লেখকই কেবল সারাজীবন অর্থ ছাড়া লিখে যায়।

জনসন

৯৮. পৃথিবীতে যা-কিছু মহৎ এবং সুন্দর, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীরা তাকেই চিরঞ্জীব করে রাখেন।

–শেলি

৯৯. গ্রন্থকার কোন বিশেষ জাতি, সম্প্রদায় বা ধর্মের লোক নয়। সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, ইহুদি সমস্তই।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১০০. শ্রেষ্ঠ সমালোচক ও স্রষ্টা নীরবে কাজ করে যায়। ভিড় থেকে বহুদূরে থাকে তারা।

–রঁম্যা রলাঁ

১০১. যে কবিতায় বা ছোট গল্পে অনেক fact আছে, ঘটনা আছে, ভাবটা নিতান্ত সাদাসিদা, সাংসারিক, আমি দেখিয়াছি বেশি লোকেরই তা ভাল লাগে। তারা সেটা বোঝে ভাল, কেননা বোঝা সহজ।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১০২. শিল্পসৃষ্টি কখনোই নীতিহীন হয় না।

রঁম্যা রলাঁ

১০৩. জ্ঞানের কথায় আর ভাবের কথায় একই নিয়ম খাটে না। জ্ঞানের কথাকে ভাষান্তরিত করিলে তাহার তেমন ক্ষতি হয় না, কিন্তু ভাবের কথাকে ভাষাবিশেষ হইতে উৎপাটিত করিয়া তাহাকে ভাষান্তরে রোপণ করিলে তাহার স্ফুর্তি থাকে না, তাহার ফুল হয় না, ফল হয় না, সে ক্রমে মরিয়া যায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৪. সংঘ বা গোষ্ঠীশিল্পীরা শুধু কতকগুলো বাইরের চাকচিক্য আর শেখানো বুলির বাহক। কিন্তু যারা দূরে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁরাই শুধু পারেন কোনো এক বিশেষ সময়ের বা বিশেষ জতির বিশষ কোনো তত্ত্ব খুঁজে বার করতে।

–রঁম্যা রলাঁ

১০৫. লেখা আর লেখকের ধর্ম পাঠককে সচেতন করে তোলা, পাঠকমনে সর্ববিষয়ে জিজ্ঞাসা সঞ্চারিত করা।

–আবুল ফজল

১০৬. একজন কবি বা লেখক কখনো নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে বিচরণ করতে পারেন না।

–টমাস ফুলার

১০৭. যে-কোনো দক্ষ লেখকেরই প্রধান লক্ষ্য পাঠক। যারা পাঠক-সমাদৃত হন না, কেবল তারাই ভিন্ন কথা বলেন।

অক্টাভিও পাজ

১০৮. সব মানুষ অল্পবিস্তর ভাবতে আর অনুভব করতে পারে। কিন্তু প্রকাশ করতে পারে লাখে এক। এখানেই সাহিত্যিকের অনন্যতা। ভাব বা অনুভূতি প্রকাশিত হয়ে দেখা না দিলে সাহিত্য হয় না।

–আবুল ফজল

১০৯. রাষ্ট্র বা রাষ্ট্র পরিচালকরা আর যাকেই ফাঁকি দিতে বা বোকা বানাতে পারুক না কেন, লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের পারে না। লেখকরা একটি তৃতীয় নেত্রের অধিকারী, যে নেত্র দিয়ে তারা সব কিছু দেখতে পায়।

–আবুল ফজল

১১০. জাতিকে নৈতিক আর মন-মানসের দাসত্ব থেকে বাঁচাবার দায়িত্ব লেখক আর বুদ্ধিজীবীদের।

–আবুল ফজল

১১১. শব্দ সত্যি-সত্যি মুখোশ। সত্যকে এটি খুব কমই প্রকাশ করে। সত্যি বলতে কি, বরং লুকিয়ে রাখতে চায়।

–হেরমান হেস

১১২. যে অভিনযে চরিত্রের সাথে সম্পূর্ণ একাত্ম হয়ে চরিত্রটাকে চরিত্রের মতোই ফুটিয়ে তুলতে পারে, যখন মনে হয় না যে এটা অভিনয়, সেই ব্যক্তিই প্রকৃত অভিনেতা।

শম্ভু মিত্র

১১৩. বেপরোয়া হতে না পারলে লেখক নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারেন। বেপরোয়া হওয়া মানে পরিপূর্ণভাবে স্বাধীন বোধ করা।

–আবুল ফজল

১১৪. নির্দোষিতার চাইতে বিবেকের অবস্থান অনেক উঁচুতে।

–টমাস মান।

১১৫. খাঁটি লেখক কখনো হাঁ-হুঁজুরের ভূমিকায় নামতে পারে না। রাজনৈতিক মুক্তির চেয়েও মনের মুক্তি, বুদ্ধির মুক্তি অনেক মূল্যবান।

–আবুল ফজল

১১৬. অনুবাদ যদি স্থানে-স্থানে ব্যাখ্যার আকার ধারণ করে তবে অন্যায় হয়, কারণ, ব্যাখ্যায় অনুবাদকের ভ্রম থাকিতেও পারে। এইজন্য অনুবাদ ও ব্যাখ্যা সব রাখিয়া দিলে পাঠককে বিচার করিবার অবকাশ দেওয়া হয়। মূলের যে সকল কথার অর্থ সুস্পষ্ট নহে অনুবাদে তাহা যথাযথ রাখিয়া দেওয়াই কর্তব্য মনে করি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৭. মানুষ বিকাশধর্মী জীব–তার বিকাশের জন্য এ যাবৎ যত উপায়-উপকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে সাহিত্য শিল্প শ্রেষ্ঠতম। এ বিকাশ মানুষের এত সহজাত যে, মানুষকে মানুষ রেখে এর লোপসাধন কিছুতেই সম্ভব নয়।

আবুল ফজল

১১৮. সাহিত্যে আধুনিকতা মানে সামান্য লাভের জন্য বিরাট দাম দেওয়া আর আঙ্গিকে বিশুদ্ধ আধুনিকতা মানে সব সময় কিছু-না-কিছুটা অশ্লীলতাপ্রবণ।

অস্কার ওয়াইল্ড

১১৯. সাহিত্যের বাণী মাত্রই স্বাধীনতার বাণী। স্বাধীনতা মানে জীবনকে জানা, জীবনের দাবি বুঝে নিয়ে জীবনের রূপায়ণ।

আবুল ফজল

১২০. উত্তমাধম সব উপমাই যাচাই হয়ে তার স্থান পাচ্ছে কাব্যে, সাহিত্যে-শিল্পে। এই যাচাই হাবার দুটো জায়গা–তার একটা হল রসিকের সভা আর একটা হল মহাকালের বিচারালয়।

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২১. শাস্ত্র, রাষ্ট্র ও মতবাদ সবই এক একটা শৃঙ্খল। সাহিত্য মানুষের মনের মুক্তির ক্ষেত্র। তাই সাহিত্যিককে এ-সব শৃঙ্খল ভেঙে ভেঙেই এগুতে হয়।

আবুল ফজল

১২২. সাহিত্য সত্য-মিথ্যায়, জ্ঞানে-অজ্ঞানে, আলোয়-অন্ধকারে, যুক্তি ও অন্ধবিশ্বাসে পার্থক্য সৃষ্টি করে।

–আহমদ শরীফ

১২৩. বর্ণ বা সম্প্রদায়ের নামে অথবা জাতি কি ভাষাগত কারণে সাহিত্য-শিল্পের স্মরণীয় ঐতিহ্য বিশেষকে উপেক্ষা করা মানে নিজের শিল্প সাধনাকে খর্ব করা। ছোটর জন্য বড়কে ত্যাগ করা।

আবুল ফজল

১২৪. পর্যবেক্ষণী মানুষ বিজ্ঞান রচনা করে, চিন্তাশীল মানুষ দর্শন রচনা করে এবং সমগ্র মানুষটি সাহিত্য রচনা করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৫. তালিম দিয়ে কেউ কাউকে সাহিত্যিক বানাতে পারে না।

আবুল ফজল

১২৬. অনুভূতিসঞ্জাত যে ভাব মনে ও মাথায় আলোড়ন জাগায় তাই বাণীরূপ লাভ করে হয় সাহিত্য। পরিণত সাহিত্যে সমন্বিত হয় আদিমতা, বৈদগ্ধ্য এবং পরিণত মনের লক্ষণ, আবেগ ও বুদ্ধির সামঞ্জস্য ও জীবন সম্পর্কে ট্রাজিক চেতনা।

–আহমদ শরীফ

১২৭. সাহিত্যের একমাত্র উদ্দেশ্য রসসৃষ্টি।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

১২৮. সাহিত্যের উদ্দেশ্য আনন্দ দান করা, কিন্তু সে-আনন্দটি গ্রহণ করাও নিতান্ত সহজ নহে, তাহার জন্য শিক্ষা এবং সাহায্যের প্রয়োজন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৯. মানুষের দর্শন-বিজ্ঞান, ধর্মনীতি, অনুরাগ-বিরাগ, আশা-নৈরাশ্য তার অন্তরের সত্য ও স্বপ্ন। এই সকলের সমবায়ে সাহিত্যের জন্ম। অপরাপর শাস্ত্রের ভিতর যা আছে, রস–সব হচ্ছে মানুষের মনের ভগ্নাংশ। তার পুরো মনটার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় শুধু সাহিত্যে।

–প্রমথ চৌধুরী

১৩০. খণ্ড, ক্ষুদ্র ও তুচ্ছকে সমগ্রতার মর্যাদা ও গুরুত্ব দান করাই সাহিত্যিকের কাজ। সাহিত্য তাই যাতে মানুষ আনন্দে করিবে পান সুধা নিরবধি।

আহমদ শরীফ

১৩১. মহৎ শিল্পী মানেই বিদ্রোহী।

আবুল ফজল

১৩২. বটতলার সাহিত্য লেখাও যে কী পরিশ্রমসাধ্য ও কষ্টকর, যারা লেখে কেবল তারাই বোঝে। সাহিত্য ক্ষেত্রে সহজে বাজীমাত করা যায় না।

বুদ্ধদেব বসু

১৩৩. কাঁচা আমের রসটা অম্লরস, কাঁচা সমালোচনাও গালিগালাজ। অন্য ক্ষমতা যখন কম থাকে তখন খোঁচা দিবার ক্ষমতাটা খুব তীক্ষ্ণ হইয়া উঠে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৪. মানবহৃদয়ের মহৎ চিন্তাই সাহিত্যের ভিত্তি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৫. সাহিত্য হচ্ছে মনকে সজীব, সতেজ, সচল ও গ্রহণশীল রাখার এক শ্রেষ্ঠ উপায়।

আবুল ফজল

১৩৬. সহিত শব্দ হইতে সাহিত্যের উৎপত্তি। অতএব ধাতুগত অর্থ ধরিলে সাহিত্য শব্দের মধ্যে একটি মিলনের ভাব দেখিতে পাওয়া যায়। সে যে কেবল ভাবে-ভাবে ভাষায়-ভাষায় গ্রন্থে-গ্রন্থে মিলন তাহা নহে; মানুষের সহিত মানুষের, অতীতের সহিত বর্তমানের, দূরের সহিত নিকটের অত্যন্ত অন্তরঙ্গ যোগসাধন সাহিত্য ব্যতীত আর কিছুর দ্বারাই সম্ভবপর নহে। যে দেশে সাহিত্যের অভাব সে দেশের লোক পরস্পর সজীব বন্ধনে যুক্ত নহে; তাহারা বিচ্ছিন্ন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৭. সাহিত্যিক হিসাবে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য পাঠক-পাঠিকার সহযোগিতা চাই পঞ্চাশ ভাগ, পঁচিশ ভাগ চাই লেখকের সত্যিকার প্রতিভা আর পঁচিশ ভাগ ধৈর্য।

বার্নার্ড শ

১৩৮. রিয়ালিটি শিল্প নয়। জীবন সাহিত্য নয়। শিল্প হচ্ছে সুন্দরতার চয়ন, জীবনের বিস্তার দর্পণ নয়। শতদলের পরিচয় তার পঙ্কিল জন্মস্থানে নয়, তার প্রস্ফুটিত রূপলাবণ্যে, তার নির্মল নৈবেদ্যে।

–শচীন ভৌমিক

১৩৯. সাহিত্য মূর্খদের জন্য নয়, শিক্ষিত, রুচিবান ও বিদগ্ধ ব্যক্তিদের জন্য।

–আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

১৪০. সাহিত্যে মানুষ নিজেরই অন্তরতম পরিচয় দেয় নিজের অগোচরে, যেমন পরিচয় দেয় ফুল তার গন্ধে, নক্ষত্র তার আলোকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪১. সাহিত্য হচ্ছে দেশ ও জাতির জীবন ও মানসের প্রতিফলন।

–এমারসন

১৪২. পৃথিবীতে দশে মিলে অনেক কাজ হয়ে থাকে, কিন্তু সাহিত্য তার অন্তর্গত নয়। সাহিত্য একান্তই একলা-মানুষের সৃষ্টি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৩. ভাবের আদান-প্রদান মানুষকে মানসিক প্রস্তুতি দান করে এবং লেখার সাধনা মানুষকে যথার্থ মানুষ করে তোলে। লেখার অভ্যাস যার কম, তার স্মৃতিশক্তি অসাধারণ হওয়া দরকার।

ফ্রান্সিস বেকন

১৪৪. লোক যদি সাহিত্য হইতে পাইতে চেষ্টা করে তবে পাইতেও পারে; কিন্তু সাহিত্য লোককে শিক্ষা দিবার জন্য কোনো চিন্তাই করে না। কোনো দেশেই সাহিত্য ইস্কুল মাস্টারির ভার লয় নাই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৫. সাহিত্যের বিচার করিবার সময় দুইটা জিনিস দেখিতে হয়। প্রথম, বিশ্বের উপর সাহিত্যকারের হৃদয়ের অধিকার কতখানি; দ্বিতীয়, তাহা স্থায়ী আকারে ব্যক্ত হইয়াছে কতটা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৬. সাহিত্য কখনো কোনো মানুষের, সমাজের বা জাতির ক্ষতি করে না। সাহিত্য হল সুন্দরের সাধনা।

সন্তোষকুমার ঘোষ

১৪৭. শব্দ ও ভাষা গঠনের জন্য নির্ভরশীল হতে হবে লেখকের উপর। শক্তিশালী লেখক জন্ম দেন ভাষার, সৃষ্টি করেন নতুন নতুন শব্দের। আসলে সুন্দর ভাষার জন্ম হয় লেখকের সাধনায়।

ড. শহীদুল্লাহ

১৪৮. শিল্প ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে আত্মার খাদ্যের সংস্থান করা যায়।

শেলি

১৪৯. দ্রিালস জাতিকে জীবন্ত, উদ্বুদ্ধ ও সঞ্জীবিত করিতে হইলে সর্বাগ্রে জাতীয় সাহিত্যের উন্নতি করিতে হয়।

হারানচন্দ্র রক্ষিত

১৫০. এই অভিশপ্ত, অশেষ দুঃখের দেশে, নিজের অভিমান বিসর্জন দিয়ে রুশ সাহিত্যের মতো যেদিন সে আরো সমাজের নীচের স্তরে নেমে গিয়ে তাদের সুখ-দুঃখের বেদনার মাঝখানে দাঁড়াতে পারবে, সেদিন এই সাহিত্য-সাধনা কেবল স্বদেশে নয়, বিশ্ব সাহিত্যেও আপন স্থান করে নিতে পারবে।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৫১. আনন্দ দিতে, মানুষের জীবনের বোঝা কমাতে, তাদের দুঃখ বেদনা, তাদের নিশ্ৰুপ গৃহের মাঝে তাদের বিফল আশা ও তাদের বিষাদময় ভবিষ্যৎ হতে মুক্তি দিতেই সাহিত্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিয়েল ১৫২. সাহিত্যের সঙ্গে সংশ্রবহীন মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক নয়। বাট্রান্ড রাসেল

১৫৩. সাহিত্যসেবকেরা পরস্পরের পরমাত্মীয়। হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, তবু পর নয়–আপনার জন। সাহিত্যিকদের কোনো ধর্ম নেই।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৫৪. ভাষা ও সাহিত্যে পশ্চাদভ্রমণ কোনো কালেই সম্ভব নয়, ভাষা ও সাহিত্য চিরকালই অগ্রসরমান।

আব্দুল মান্নাল সৈয়দ।

১৫৫. মানুষ যখন সাহিত্য রচনায় নিবিষ্টচিত্ত তখন ঠিক হিন্দুও নয়, মুসলিমও নয়। তখন সে তার সর্বজন পরিচিত ‘আমি’টাকে বহুদূরে অতিক্রম করে যায়, নইলে তার সাহিত্য-সাধনা ব্যর্থ হয়।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৫৬. যদি গুণ না থাকে, তা হলে তার অভিনয় করো।

–শেক্সপীয়ার

১৫৭. নাট্যাভিনয়ে আমাদের হৃদয় বিচলিত করিবার অনেকগুলি উপকরণ একত্রে বর্তমান থাকে। সংগীত, আলোক, দৃশ্যপট, সুন্দর সাজসজ্জা, সকলে মিলিয়া নানা দিক হইতে আমাদের চিত্তকে আঘাত করিয়া চঞ্চল করে; তাহার মধ্যে একটা অবিশ্রাম ধারাস্রোত নানা মূর্তি ধারণ করিয়া, নানা কার্যরূপে প্রবাহিত হইয়া চলে–আমাদের মনটা নাট্যপ্রবাহের মধ্যে একেবারে নিরুপায় হইয়া আত্মবিসর্জন করে এবং দ্রুতবেগে ভাসিয়া চলিয়া যায়। অভিনয়স্থলে দেখা যায়, ভিন্ন ভিন্ন আর্টের মধ্যে কতটা সহযোগিতা আছে, সেখানে সংগীত সাহিত্য চিত্রবিদ্যা এবং নাট্যকলা এক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সম্মিলিত হয়, বোধ হয় এমন আর কোথাও দেখা যায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৮. অভিনেতার হাতে যখন টাকা থাকে, তখন চিঠি লেখার প্রয়োজনে সে টেলিগ্রাম করে।

আন্তন শেখভ

১৫৯. ধর্ম, রাষ্ট্র, রাজনৈতিক মতবাদ বা ইজম–এসবের কোনো একটাকে সাহিত্যের প্রতিষ্ঠাভূমি করতে গেলে বনের বাঘকে, খাঁচায় বন্ধ করলে যে দশা হয়, সাহিত্য-শিল্পের সেই দশা ঘটে।

–আবুল ফজল

১৬০. আমাদের ধর্মহীন ধর্মধ্বজীদের নিষেধ মানতে গেলে দেশে সবরকম সংস্কৃতি সাধনার ভরাডুবি অনিবার্য।

–আবুল ফজল

১৬১. সে-ই বড় অভিনেতা সে মানুষকে সমভাবে কাঁদাতে ও হাসাতে পারে।

দিলীপ কুমার

১৬২. অল্প বয়সে কবিতা লেখা ভালো, কিন্তু সমালোচনা লিখতে যাওয়া অন্যায়–সে সাহিত্যের ওপরেই হোক আর নারীর ওপরেই হোক।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৬৩. সুবৃহৎ অনাবরণের মধ্যে অশ্লীলতা নেই। এই জন্যে শেক্সপীয়ার অশ্লীল নয়, রামায়ণ মহাভারত অশ্লীল নয়। কিন্তু ভারতচন্দ্র অশ্লীল, জোলা অশ্লীল। –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৪. দুর্নীতি আর অশ্লীলতাই সাহিত্যের প্রাণ। এই দুইটি সুন্দর হয়েছে যে প্রতিভার হাতে তাকেই আমরা বলি অপরাজেয় শিল্পী।… মানব সৃষ্টিতত্ত্বের মূলে রয়েছে অশ্লীলতার চরম বিলাসকুণ্ড।

প্রবোধকুমার সান্যাল

১৬৫. ত্রুটি, বিচ্যুতি, অপরাধ অধর্মই মানুষের সবটুকু নয়। মাঝখানে তার যে বস্তুটি আসল মানুষ–তাকে আত্মা বলা যেতে পারে–সে তার সকল অভাব, সকল অপরাধের চেয়েও বড়। আমার সাহিত্য রচনায় তাকে যেন অপমান না করি। হেতু যত বড়ই হোক, মানুষের প্রতি মানুষের ঘৃণা জন্মে যায়, আমার লেখা কোন দিন যেন না এত বড় প্রশ্রয় পায়।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৬৬. লেখকদের সমালোচকের সত্যনিষ্ঠ অপ্রিয় সত্য কথা মেনে নেওয়ার মতো সহনশীলতা থাকা চাই।

–আবুল কাসেম ফজলুল হক

১৬৭. শুধু কবিত্বে নয়, সকল প্রকার কারুকলাতেই কারুকারের চিত্তের একটা নির্লিপ্ততা থাকা চাই–মানুষের মধ্যে যে সৃষ্টিকর্তা আছে কর্তৃত্ব তাহারই হাতে না থাকিলে চলে না। রচনার বিষয়টিই যদি তাহাকে ছাপাইয়া কর্তৃত্ব করিতে যায় তবে তাহা প্রতিবিম্ব হয়, প্রতিমূর্তি হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৮. কৃষ্টি যখন বিলাসে পরিণত হয় তখন মানুষ ফলের কথা না ভেবে ফুলের চাষ করে।

আবদুর রহমান শাদাব

১৬৯. ব্যবসাদারিতে নৈপুণ্য বাড়ে, কিন্তু বেদনাবোধ কমে যায়–ময়রা যে কারণে সন্দেশে রুচি হারায়। আমাদের দেশের গাইয়ে-বাজিয়েরা কিছুতেই মনে রাখে না যে, আর্টের প্রধান তত্ত্ব তার পরিমিতি। কেননা রূপকে সুব্যক্ত করাই তার কাজ। বিহিত সীমার দ্বারা রূপ সত্য হয়, সেই সীমা ছাড়িয়ে আকৃতিই বিকৃতি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭০. কেউ কেউ বলছেন, এখন কবিতার যে আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, সে নাভিশ্বাসের আওয়াজ। ওর সময় হয়ে এল। যদি তা সত্য হয়; সেটা কবিতার দোষে নয়, সময়ের দোষে। মানুষের প্রাণটা চিরদিনই ছন্দে বাঁধা কিন্তু তার কালটা কলের তাড়ায় সম্প্রতি ছন্দভাঙা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭১. আধুনকি কালের কবিরা তাদের লেখার কালির সাথে খুব বেশি পরিমাণ জল মিশিয়ে থাকেন।

গ্যেটে

১৭২. যে ব্যক্তি ইতিহাস পড়িবার সুযোগ পাইবে না, কাব্যই পড়িবে, সে হতভাগ্য। কিন্তু যে ব্যক্তি কাব্য পড়িবার অবসর পাইবে না, ইতিহাস পড়িবে, সম্ভবত তাহার ভাগ্য আরও মন্দ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৩. কবিতার বিশেষত্ব হচ্ছে তার গতিশীলতা। সে শেষ হয়েও শেষ হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৪. যাহারা শ্রুতিসুখবাহ ছন্দবন্ধে শব্দের সহিত শব্দ গাঁথিয়া শুধু কথার ছটায় সকলকে মোহিত করিতে চেষ্টা করেন; অশিক্ষিত ইতর লোকেরা তাহাদিগকে কবি বলিয়া আদর করে।

কালিপ্রসন্ন ঘোষ

১৭৫. সাধ্বী স্ত্রী যেমন স্বামীকে ছাড়া আর কাহাকেও চায় না, ভালো কাব্য তেমনি ভাবুক ছাড়া আর কাহারও অপেক্ষা করে না। সাহিত্য পাঠ করিবার সময় আমরা সকলেই মনে মনে অভিনয় করিয়া থাকি; সে অভিনয়ে যে কাব্যের সৌন্দর্য খোলে না সে কাব্য কোনো কবিকে যশস্বী করে নাই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৬. প্রবন্ধের কথা যেখানে থামে সেখানে কেবলমাত্র ফাঁকা। গানের কথা সেখানে থামে যেখানে সুরে ভরাট। বস্তুত সুর যতই বৃহৎ হয়, ততই কথার অবকাশ বেশি হতে চায়। গায়কের সার্থকতা কথার ফাঁকে, লেখকের সার্থকতা কথার ঝাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৭. ইতিহাসের সংশ্রবে উপন্যাসে একটা বিশেষ রস সঞ্চার করে, ইতিহাসের সেই রসটুকুর প্রতি ঔপন্যাসিকের লোভ, তাহার সত্যের প্রতি তাহার কোনো খাতির নাই। কেহ যদি উপন্যাসে কেবল ইতিহাসের সেই বিশেষ গন্ধটুকু এবং স্বাদটুকুতে সন্তুষ্ট

হইয়া তাহা হইতে অখণ্ড ইতিহাস উদ্ধারে প্রবৃত্ত হন, তবে তিনি ব্যঞ্জনের মধ্যে আস্ত জিড়ে-ধনে-হলুদ-সরষে সন্ধান করেন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৮. ছবি হল নীরব কবিতা, আর কবিতা হল এমন একটি ছবি যা কথা বলে।

সিমোনিডেস

১৭৯. জটিল মানুষকে কেউ শ্রদ্ধা করে না। জটিল সাহিত্যও কেউ পছন্দ করে না। জটিলা-কুটিলা একটা ডাইনির বিশেষণ।

–অমীয় চক্রবর্তী

১৮০. কলাবিদ্যার সরলতা উচ্চ অঙ্গের মানসিক উন্নতির সহচর। বর্বরতা সরলতা নহে। বর্বরতার আড়ম্বর-আয়োজন অত্যন্ত বেশি। সভ্যতা অপেক্ষাকৃত নিরলঙ্কার। অধিক অলঙ্কার আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, কিন্তু মনকে প্রতিহত করিয়া দেয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮১. গ্রন্থই আমার প্রভূ, প্রন্থই আমার সঙ্গী।

–জোসেফ হল

১৮২. যার বাগান পুষ্পরাজিতে পূর্ণ এবং যার গৃহ গ্রন্থরাজিতে পূর্ণ, মনের দিকে থেকে সে ঐশ্বর্যবান।

–এন্ডিউল্যাংস

১৮৩. পাঠাগার যেন সর্বকালের স্বাক্ষর।

–উইলিয়াম স্কট

১৮৪. যে বই পড়ে না, তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্ম নেয় না।

গ্রিয়ারসন স্মিথ

১৮৫. কোনো একটি বিষয় যখন বলতে পারছ না, তখন সেটিকে গাও।

–বুমারচেইজ

১৮৬. সবচেয়ে সেরা বাণিজ্য হল গান তৈরি করা, আর দ্বিতীয় সেরা হল সেগুলো গাওয়া।

–হিলেয়ার বেলোক

১৮৭. আইনের মৃত্যু হয়, কিন্তু বইয়ের মৃত্যু হয় না।

বুলওয়ার লিটন

১৮৮. কোনো আসবাবপত্রই বইয়ের মতো চমকপ্রদ নয়।

–সিডনি স্মিথ

১৮৯. কোনো বিশেষ ব্যক্তি কর্তৃক পৃথিবীর কোনো ভাষাই সৃষ্টি হয়নি। মানবসমাজ যুগ যুগ ধরে অলক্ষিতে একটি ভাষা গড়ে তোলে।

–প্রমথ চৌধুরী

১৯০. সব শিল্পকর্মই প্রকৃতির নকল।

–সেনেকা

১৯১. যে-জাতি তার দেশ ও মাতৃভাষাকে যত বেশি মর্যাদা দেবে, সে তত বেশি উন্নত হবে।

–জি. মোল্যান্ড

১৯২. সংগীতের ভাষাই বিশ্বভাষা।

–জন উইলিয়াম

১৯৩. নানান দেশের নানান ভাষা।
বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?

রামনিধি গুপ্ত (নিধুবাবু)

১৯৪. যে সংগীতকে ভালোবাসে, তার নিঃসঙ্গতা সংগীতের মাধুর্যে ভরে ওঠে।

–জন আর্মস্ট্রং

১৯৫. ভাষা হচ্ছে মন্দিরের মতো, যেখানে আত্মা বিচরণ করে।

–লর্ড চেস্টারফিল্ড

১৯৬. বাংলা আমাদের মাতৃভাষা এবং এই মাতৃভাষা ও সাহিত্যের যথোচিত সেবা ব্যতীত আমাদের সামাজিক ও জাতীয় উন্নতি একান্তই অসম্ভব।

–মোঃ ওয়াজেদ আলী

১৯৭. থিয়েটারে না-যাওয়া হল অনেকটা আয়না ছাড়া স্নানঘর বানানোর মতো।

–শোপেনহাওয়ার

১৯৮. আমরা যার মধ্যে বাস করি, এবং কেউ যার মুখোমুখি হতে চাই না, মহৎ নাটক আমাদের সাহস জোগায় তার মুখোমুখি হতে।

থর্নটন ওয়াইল্ডার

১৯৯. আমার ব্যবসা আমার দেহকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং আমার শিল্পকর্ম আমার আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

–ওয়াল্টার ওয়াটসন

২০০. কদর্যের মধ্যে যে সৌন্দর্যের সন্ধান পায়, সে-ই সত্যিকারের শিল্পী।

–জোসেফ ক্যাপ্টেন

২০১. শিল্প একটা জিনিস নয়, একটা পথ।

–হেনরি জেমস

২০২. জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা, সুখ-দুঃখের প্রতিফলন ঘটে একমাত্র সংবাদপত্রেই।

–হেনরি ওয়ার্ড থ্যাচার

২০৩. সংগীত হচ্ছে শাশ্বত ভাষা, যার আবেদন দেশ, কাল পাত্রভেদে অভিন্ন।

–জে. জি. ব্রেইনার্ড

২০৪. যে সংগীত পছন্দ করে না, সে নিজের সঙ্গে প্রতারণা করে।

কীট্‌স্‌

২০৫. সংগীত যখন ভালোবাসার প্রাণ, তখন উচ্চকণ্ঠে গান গেয়ে যাও।

কীট্‌স্

২০৬. অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিকে ভাষার, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের এবং ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করিয়া তোলাই সাহিত্যের কাজ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২০৭. কোনো দেশকে সভ্য ও মানুষ করিবার বাসনা তোমার আছে? তাহা হইলে বিধিব্যবস্থার সঙ্গে সেই দেশের সাহিত্যকে উন্নত করিতে চেষ্টা কর। মাতৃভাষার সাহায্যে সাহিত্যকে উন্নত করিতে হইবে। বিদেশী সাহিত্যে মানব স্বাধীনতার কোনো কল্যাণ হয় না, দেশীয় সাহিত্যকে উন্নত করিতে হইলে আবার বিশ্বের উন্নত সাহিত্যের সার সংগ্রহ করিতে হইবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

২০৮. কোনো লোকের পক্ষে নিজের বিষয়ে লিখতে যাওয়া যেমন তৃপ্তিকর, তেমনি কঠিন। নিজের কোনো অকীর্তির কথা বলতে গেলে বুকে যেমন বাজে, তেমনি আত্মপ্রশংসাও পাঠকগণের নিকট কর্ণপীড়াদায়ক।

–লিংকন

২০৯. সমস্ত গায়কের একটা সাধারণ সমস্যা আছে। যখন বন্ধুদের মধ্যে তারা থাকে, বন্ধুরা গাইতে বললে তারা গায় না; যখন গাইতে বলে না, তখন আর গান গাওয়া থামায় না।

–হোরেস

২১০. ইতিহাস ও উপন্যাসের মধ্যে তফাত কী? ইতিহাসের চরিত্রগুলো সত্য, কিন্তু ঘটনাগুলো নিজের খেয়ালখুশিমতো সাজানো। আর উপন্যাসের চরিত্রগুলো মিথ্যা, কিন্তু ঘটনাগুলো সত্য। তাই সত্য জানতে হলে উপন্যাসের উপর নির্ভর করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

–শংকর

২১১. বাংলা ভাষার মতো এমন একটি বৈজ্ঞানিক, সুপরিকল্পিত এবং সুশৃঙ্খল ভাষা নব্য সভ্য জাতির ভাষাসমূহের মধ্যে দুর্লভ। শহীদ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী।

–হোরেস।

২১২. আল্লাহ্ মানুষকে জ্ঞান দান করেছেন কলমের মাধ্যমে, আর কলমের আশ্রয়

সৈয়দ মুজতবা আলী

২১৩. বই মনের জন্য এক উন্নতমানের ক্লোরোফর্ম।

রবার্ট চ্যাম্মার

২১৪. বই পড়ে মানুষ জ্ঞানী হয়, অজ্ঞানী, এমনকি পাপিষ্ঠ পর্যন্ত।

মুনীর চৌধুরী

২১৫. সাহিত্যচর্চা বিলাস-পরিতৃপ্তি নহে–বিশ্রাম সময়ে বিশ্রম্ভালাপ নহে। সাহিত্য জীবনের সাধ, সাহিত্য জীবনের সাধনা, সাহিত্য আরাধনার ধন। এ যে প্রেমের যোগ, কল্যাণের সাধনা।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

২১৬. সাহিত্য অমৃতায়মান শান্তির উৎস, শক্তির কল্প ফলের রস, তাই এই চির আধিব্যাধি-বিজড়িত, কর্মপতপ্ত, নিরাশা-তুহিনাচ্ছন্ন সংসারে জাতি ইহা পান করিয়া মরণ-তন্দ্রার মধ্যে বাঁচিয়া উঠে, অবসাদের মধ্যে শক্তি পায়।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

২১৭. সবচাইতে চমৎকার ছন্দগুলো অপ্রত্যাশিত এবং জটিল; আর সবচাইতে মনোহর সূরগুলো সরল এবং নিশ্চিত।

ডব্লিউ এইচ অডেন

২১৮. যা অর্থহীন নয়, তার পক্ষে সংগীতের পাশাপাশি যাওয়া সম্ভব নয়।

যোসেফ এডিসন

২১৯. সংগীত আমাদের অঙ্গ। হয় তা আমাদের আচরণ উন্নত করে, নয়তো টেনে নামায় নিচে।

–বোয়েথিয়াস

২২০. যেখানে আছে সংগীত, অশুভ সেখানে নেই।

–কার্ভেন্টিস

২২১. সংগীতের সঙ্গে নৈশভোজ রাঁধুনি আর বেহালাবাদক দুজনের জন্যই অপমানজনক।

–জি. কে. চেস্টারটন

২২২. মাতৃদুগ্ধের অমৃতধারা মাতৃভাষার মধ্যে সঞ্চারিত আছে; তাই মাতৃভাষার সাহায্যে সাহিত্যে যে ভাবপ্রবাহ ফুটে, তাহা জাতির প্রাণের মধ্যে স্পন্দন যোগায়, তাহার প্রত্যেক শোণিতবিন্দু চঞ্চল ও অধীর করিয়া তুলে। সাহিত্য প্রাণের ভাষায় প্রাণের কথা কয়; তাই প্রাণে প্রাণে প্রেরণা ছুটায়।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

২২৩. কবিতা শব্দের ঐকতান; সংগীত স্বরের।

–জন ড্রাইডেন

২২৪. কলম হাঁকিয়া ফেরা
সকল রোগের সেরা।
তাই কবি মানুষেরা
অস্থিচর্মসার।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২৫. কবি এই বিশ্বজগতে তাঁহার হৃদয়ের দৃষ্টি দিয়া একটি অরূপকে দেখিতে পান, তাহাকেই তিনি রূপের মধ্যে প্রকাশ করিতে চেষ্টা করেন। অন্যের দেখা যেখানে ফুরাইয়া যায়, সেখানেও তাহার ভাবের সৃষ্টি অবরুদ্ধ হয় না। সেই অপরূপ দেশের বার্তা তাঁহার কাব্যের ছন্দে নানা আভাসে বাজিয়া উঠিতে থাকে।

জগদীশচন্দ্র বসু

২২৬. বৈজ্ঞানিক ও কবি, উভয়েরই অনুভূতি অনির্বচনীয় একের সন্ধানে বাহির হইয়াছে। প্রভেদ এই, কবি পথের কথা ভাবেন না, বৈজ্ঞানিক পথটাকে উপেক্ষা করেন না।

–জগদীশচন্দ্র বসু

২২৭. কবিরা কালের সাক্ষী আর কালের শিক্ষক
কবিরা অমৃত আর কবিরা অমর।

নবীনচন্দ্র সেন

২২৮. একটি কলমের সাহায্যে যেভাবে হৃদয়ের কথা উৎসারিত হয়, তেমনটি আর কিছুতেই হয় না।

–চার্লস গ্রভিল

২২৯. ক্ষুদ্র পাখিও মধুর কণ্ঠে তার গান শুনিয়ে মানুষকে পরিতৃপ্ত করতে চেষ্ট করে।

–লিন্ডসে

২৩০. মেয়েদের লাইব্রেরিতে ধর্মগ্রন্থ ও পাক-প্রণালী ছাড়া আর কোনো বই থাকা উচিত নয়।

লর্ড বায়রন

২৩১. লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মাপকাঠি। লাইব্রেরির সংখ্যার দিকে নজর রেখে জাতীয় উন্নতি ও সভ্যতার পরিমাপ করলে অন্যায় হয় না।

–মোতাহার হোসেন চৌধুরী

২৩২. ভাষা হচ্ছে মন্দিরের মতো, যেখানে মানুষের আত্মা পরম নিশ্চিন্তে আশ্রয় খোঁজে।

এডওয়ার্ড কোক

২৩৩. ভাষা জিনিসটা পণ্ডিতের হাতের মোরব্বা নয়, দেশের জলবায়ু ও আলোকে ইহা সুষ্ঠু হইয়া থাকে। ইহা স্বীয় জীবন্ত গতির পথে বর্জন ও গ্রহণ করিয়া চলিয়া যায়; স্বীয় ললাটলিপিতে কোনো শিক্ষকের ছাপ মারিয়া পরিচিত হইতে চায় না।

–দীনেশচন্দ্র সেন

২৩৪. ভাষা হল চিন্তার পোশাক।

–জনসন

২৩৫. মাতৃভাষা হচ্ছে মন্দিরের মতো পবিত্র, যার শুচিতা রক্ষার জন্য জীবনপণ করতে দ্বিধা করা উচিত নয়।

–আর. সি. ট্রেন্স

২৩৬. তোমার গান যদি কাউকে আনন্দ দেয়, দুঃখ ভোলায়, তবেই তুমি যথার্থ শিল্পী।

টমাস স্টুড আর্ট

২৩৭. শিল্পকলা মানবতার প্রতিবিম্বের অধিক কিছুই নয়।

হেনরি জেমস

২৩৮. সংবাদপত্র হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্কুল-শিক্ষক। এই সমাপ্তিবিহীন পুস্তক প্রতিটি দেশের জাতীয় গৌরব।

হেনরি ওয়ার্ড

২৩৯. একটি জাতি সৃষ্টি করে সংগীত–সংগীতস্রষ্টা কেবল সেগুলো বিন্যস্ত

–মিখাইল গ্লিনকা

২৪০. সংগীতহীন জীবন একটা ভ্রান্তি। জার্মানরা ভাবে, এমনকি ঈশ্বরও গান গেয়ে থাকেন।

–নিৎসে

২৪১. সংগীতকে যদি মানবভাষায় অনুবাদ করা যায়, তা হলে এ আর অস্তিত্বশীল থাকবে না।

–নিৎসে

২৪২. একটি সংগীতকর্মের মন্তব্য হতে পারে কেবল আর একটি সংগীতকর্ম।

ইগর স্ত্রভিনস্কি

২৪৩. সংগীতের সমঝদারিত্বের প্রধান সমস্যা দাঁড়িয়েছে এই যে, লোকেরা আজকাল সংগীতকে বড় বেশি শ্রদ্ধা করে। তাদেরকে ভালোবাসতে শেখানো উচিত।

ইগর স্ত্রাভিনস্কি

২৪৪. সংগীত হইল সুর, তাল ও সঙ্গতি। মানুষের মনের উপরে ইহার প্রভাব বিদ্যুৎ প্রবাহের ন্যায়। শুনিবার সঙ্গে সঙ্গে ইহা মনকে স্নিগ্ধ করে।

মহাত্মা গান্ধী

২৪৫. সংগীতের ভাষাই সকল মানুষের ভাষা।

লংফেলো

২৪৬. সাহিত্য এমন এক সুগন্ধি যা মানুষকে সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

–টমাস মিল্টন

২৪৭. সকলের সহিত মিলেমিশে যা উপভোগ করা যায় তা-ই সাহিত্য। সাহিত্যে সকল মনের সাহায্য থাকে। সাহিত্যের পাত্র-পাত্রী সবই একটা টাইপ বা নমুনা।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

২৪৮. সাহিত্য কোনো ব্যক্তিবিশেষের ভাবরাজ্যের প্রতিষ্ঠান নয়, এটি সমগ্র জাতির অভ্যন্তরীণ প্রতিচ্ছবি। সাহিত্যের মূল উপাদান জাতীয় চরিত্র, ধর্মতত্ত্ব এবং সভ্যতা।

–কুর থোপ

২৪৯. কবিতা কবির গোপন আর নিজস্ব অনুভবের উন্মোচন পাঠক যা নিজের বলে শনাক্ত করেন।

–সালভাতোরে কোয়াসিমোদো

২৫০. বিজ্ঞান তাদের জন্যে যারা শেখেন, কবিতা যারা জানেন।

–যোসেফ রু

২৫১. কবিতা একটি দরজা খোলা আর বন্ধ করে দেয়া যাতে ভেতরের লোকেরা অনুমান করে নিতে পারে পলকেই কী দেখা গেল।

–কার্ল স্যান্ডবার্গ

২৫২. কবি একটি দোয়েল, যে অন্ধকারে বসে মিষ্টি সুরে আমোদিত করে তোলে নিজেরই একাকীত্ব।

–শেলি

২৫৩. কবিতা হচ্ছে সাহিত্যের বাণী।

–টমাস স্পার্ট

২৫৪. গণমানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য কবিতা অস্ত্রস্বরূপ।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৫৫. পৃথিবীতে যা-কিছু সুন্দর, যা-কিছু মহৎ, কবিতা তাকে চিরঞ্জীব করে রাখে।

–শেলি

২৫৬. লাইব্রেরি আমাদের চিত্তের বিশ্রাম-নীড়, কর্মক্লান্ত জীবনের শ্রান্তিহারা।

–অজ্ঞাত

২৫৭. যেটা বলিবার কথা সেটা পুরা বলা যায় না, ভাষার বাধাবশত কতক বলা যায় এবং কতক বলা যায় না; কিন্তু তবু সৌন্দর্যকে ফুটাইয়া তুলিতে হইবে, কবির এই কাজ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৮. কবি হচ্ছে বুলবুলি পাখির মতো, যে অন্ধকারে বসেও তার মিষ্টি-মধুর কলতানে চারদিক মুখরিত করে তোলে।

–শেলি

২৫৯. কবি হচ্ছে সবচেয়ে খাঁটি ঐতিহাসিক।

–জেমস অ্যান্থনি

২৬০. একজন মহৎ কবি একটা জাতির সবচেয়ে মূল্যবান রত্ন।

–বিটোফেন

২৬১. কবিতা সমস্ত শিল্পকলার জ্যেষ্ঠ ভগিনী এবং সব ভাবধারার জন্মদাত্রী।

–উইলিয়াম করজার্ভ

২৬২. কবিতা হল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হাতিয়ার। কবিতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তির শাণিত অস্ত্র।

–সন্তোষ গুপ্ত

২৬৩. অন্য মানুষের সঙ্গে কবিদের তফাত কী জান? বিধাতার নিজের হাতে তৈরি শৈশব কবিদের মন থেকে কিছুতেই ঘোচে না। কোনোদিন তাদের চোখ বুড়ো হয় না। মন বুড়ো হয় না। তাই চিরদিন তারা ছোটদের সমবয়সী হয়ে থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৪. মিথ্যা কথা বলার জন্য কবিদের অনুজ্ঞা বা লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

প্লিনি দি ইয়ংগার

২৬৫. কলম হল যন্ত্রপাতির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক। এটা তরবারির চেয়ে ধারালো, চাবুক বা লোহার ডাণ্ডার চেয়ে ভয়াবহ।

–জন টেইলার

২৬৬. আমাদের দেশে যাহারা প্রকৃত শ্রোতা, গানটাকে শুনিলেই তাহারা সন্তুষ্ট থাকে, ইউরোপে শ্রোতারা গান গাওয়াটাকে শোনে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৭. মঞ্চ-নাটক একটা মামলা, প্রতিহিংসা নয়। আত্মা এখানে খুলে যায়, নিন্দুকের সংখ্যাবিন্যাসের মতো, শব্দের চাপে। এর জন্যে লোহাগলানো আগুনের প্রয়োজন পড়ে না।

জ্যাঁ জিরাদু

২৬৮. নাটক চায় বিশ্বাসযোগ্যতা। এটি সত্য নিয়ে নাড়াচাড়া করে না, করে প্রতিক্রিয়া নিয়ে।

–সমারসেট মম

২৬৯. আজকার দিনের সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় হল বইকে সমষ্টিগত বা একত্রীভূত

–কার্লাইল

২৭০. পাঠাগার নিঃসন্দেহে লিখিত ভাষার সঞ্চয়কেন্দ্র। এখানে মানুষ বিপুল পৃথিবীর সঞ্চয়ের সঙ্গে পরিচিত হন।

–সৈয়দ আলী আহসান

২৭১. পাঠাগারের সংখ্যা কোনো জাতির সংস্কৃতির মান নির্ণয়ের অন্যতম মাপকাঠি।

–আনোয়ারুল হক

২৭২. বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সঙ্গে কোনোদিন ঝগড়া হয় না, কোনোদিন মনোমালিন্য হয় না।

প্রতিভা বসু

২৭৩. জাতিকে সঠিক পথে চালনার দিশারি হল বই।

–আজহারুল হক

২৭৪. বই পড়ে যে-জ্ঞান অর্জন করা হয়, তার সঙ্গে চোখে দেখার অভিজ্ঞতা যুক্ত হলে তা পূর্ণতা পায়।

–চার্লস ল্যাম

২৭৫. বই কিনে কেউ কোনোদিন দেউলে হয় না।

–প্রমথ চৌধুরী

২৭৬. সুখে-দুঃখে, সুন্দর-কুৎসিতে, ভাল-মন্দে মানুষের জীবন। আর এক-একটা বই এক-একটা জীবনের প্রতিবিম্ব।

–ড. মুহাম্মদ এনামুল হক

২৭৭. একটি চলচ্চিত্র হচ্ছে চিন্তার ঘনীভূত ঝরনা।

জ্যাঁ ককতো

২৭৮. মার্কিন চলচ্চিত্রগুলো অর্ধশিক্ষিতরা তৈরি করেন অর্ধবোদ্ধাদের জন্যে।

জন এরভিন

২৭৯. যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী
সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি ॥
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুড়ায়।
নিজ দেশ ত্যজি কেন বিদেশ ন যায় ॥

–আবদুল হাকিম

২৮০. মাতৃভাষার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা, বাঙ্গালী হইয়া নিজেদের মাতৃভাষা উর্দু বা আরবী বলিয়া পরিচয় দেয়া, কিংবা বাঙ্গালা জানি না ভুলিয়া গিয়াছি এরূপ বলা–এই মারাত্মক রোগ কেবল এক শ্রেণীর মুসলমানের মধ্যেই দেখা যায়। যাহারা এরূপ আচরণ করে তাহারা যে আপন মাতা ও মাতৃভূমির প্রতি নিন্দা প্রকাশ করে এবং নিজ মায়ের এবং দেশের দীনতা জ্ঞাপন করে তাহাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই।

ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

২৮১. কাব্যে ভাষার একটি ওজন আছে, সংযম আছে, তাকেই বলে ছন্দ। গদ্যের বাছ-বিচার নেই, সে চলে বুক ফুলিয়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৮২. ভাষা হচ্ছে ইতিহাসের দলিল এবং কবিতার জীবাত্মা। ইমারসন ২৮৩. মা এবং মায়ের মুখের ভাষা দুটোর মূল্যই সমান।

বেঞ্জামিন হ্যারিসন

২৮৪. ভাষা ও বক্তৃতা দেয়ার শক্তি হল সরাসরি ঈশ্বরের দান।

–ওয়েবস্টার

২৮৫. মায়ের মুখের ভাষাকে আমি যেমন শ্রদ্ধা করি, তেমনি করে অশ্লীল প্রয়োগকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করি।

টমাস ডিবডিন

২৮৬. শিশুর পালন যথা মা-বাপের কর্ম
সমাজ পালনে তথা ভাষা আর ধর্ম।
ধনজন স্বাধীনতা গেলে থাকে আশা
আশা নাই যদি যায় ধর্ম আর ভাষা।

–ভূদেব চৌধুরী।

২৮৭. জীবনের সকল সময়ই মধুর সংগীত দোলা দেয় না, সময়বিশেষে দুঃখ, বিদ্রোহ এবং উন্মাদনা-সৃষ্টিকারী সংগীতের প্রয়োজন অনুভূত হয়।

সুইনবার্ন

২৮৮. পঞ্জিকা হোক কিংবা বোর্ডে-বাঁধানো দাবখেলার ছকই হোক, যা-কিছু মলাটে মোড়া ছাপা জিনিস, তা সবই বই তথা সাহিত্য।

–চার্লস ল্যাম

২৮৯. যেখানে সংগীত আছে, সেখানে বেঁচে থাকার আনন্দ আছে।

–এডমন্ড স্মিথ

২৯০. আমি মুসলমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহকে স্মরণ করার পরই আমি ‘জয় বাংলা’ বলি। মৃত্যুর সময়ও আমি আল্লাহর নাম নিয়ে ‘জয় বাংলা’ বলে ইহধাম হতে বিদায় নিতে চাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

২৯১. কিছু একটা বুঝাইবার জন্য কেহ তো কবিতা লেখে না। এজন্য কবিতা শুনিয়া কেহ যখন বলে বুঝিলাম না তখন বিষম মুশকিলে পড়িতে হয়। কেহ যদি ফুলের গন্ধ শুকিয়া বলে, ‘কিছু বুঝিলাম না’, তাহাকে এই কথা বলিতে হয়, ইহাতে বুঝিবার কিছু নাই, এ যে কেবল গন্ধ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৯২. কবিতা অদৃশ্যের যাজক।

–ওয়ালাস স্টিভেন্স

২৯৩. জ্ঞান দিয়ে কবিরা কাব্য রচনা করেন না, রচনা করেন প্রকৃতির উপহারে, আর পয়গম্বর ও দৈবীপুঁথির সমান এক প্রেরণায়।

সক্রেটিস

২৯৪. কবিতা তা-ই কাব্যের ভেতরে যা তোমাকে হাসায়, কাঁদায়, খোঁচায়, কাপিয়ে তোলে পায়ের নখ, তোমাকে প্ররোচিত করে এই করতে, সেই করতে অথবা কিছুই না করতে, জানায় এই পৃথিবীতে তুমি একা, তোমার আনন্দ আর দুঃখ চিরকাল ভাগ করে নেয়ার এবং চিরকাল একা বইবার।

–ডিলান টমাস

২৯৫. গ্রন্থ শুধু পথনির্দেশের আলোর সংকেতই নয়, সময়ে তা বারুদের চেয়েও বিস্ফোরক এবং সম্রাট বা সেনাপতির কীর্তির চেয়েও দীর্ঘস্থায়ী।

ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন

২৯৬. আমার মনে হয় এদেশে লাইব্রেরির সার্থকতা হাসপাতালের চাইতে কিছু কম নয় এবং স্কুল-কলেজের চাইতে একটু বেশি।

–প্রমথ চৌধুরী

২৯৭. পাঠাগার মানুষের জ্ঞানের অক্ষয় ভাণ্ডাস্বরূপ–চিত্ত-বিকাশের শ্রেষ্ঠ বিহার ক্ষেত্র। আমাদের দেশে পাঠাগার স্থাপনের প্রয়াস যত বেশি হবে, আমাদের ততই মঙ্গল।

মুহম্মদ আবদুল হাই

২৯৮. যদি বইটা হয় পড়ার মতো, তবে তা কেনার মতো বই। –জন রসকিন ২৯৯. বই পড়তে যে ভালোবাসে, তার শত্রু কম।

–চার্লস ল্যাম

৩০০. দেশে সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রধান উপায় একটাই–তা হল সুলিখিত এবং সৃষ্টিশীল ও মননশীল বই।

ক্যালিভন কলিজ

৩০১. আমি তাকে সোনা কিংবা রূপা দিইনি, কিন্তু আমি তার চেয়েও মূল্যবান জিনিস বই দিয়েছি।

–জর্জ ম্যাকডোনাল্ড

৩০২. একটি ভালো বই হল বর্তমান ও চিরদিনের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বন্ধু।

টুপার

৩০৩. যে একটা ভালো বই পাওয়া সত্ত্বেও পড়ে না এবং একটি প্রস্ফুটিত ফুলকে ছিঁড়ে ফেলে তার মতো বোকা আর নেই।

–স্টেফেন গ্রানে

৩০৪. বই বরং ভালোমতন লেখেন পাঠকরা আর পরিষ্কার করে লেখেন বিরোধী পক্ষরা।

–নিৎসে

৩০৫. কারও পক্ষে কোনো গভীর বই বোঝা সম্ভব নয় যদিনা তার অন্তত কিছু অংশ আমরা দেখি বা যাপন করি।

–এজরা পাউন্ড

৩০৬. নৈতিক বা অনৈতিক বই বলে কিছু নেই। আছে কেবল সুলিখিত বা কুলিখিত বই।

–অস্কার ওয়াইল্ড

৩০৭. জীবনে তিন ধরনের সহচর প্রয়োজন–পুরুষলোক, স্ত্রীলোক এবং বই।

–জোসেফ হল

৩০৮. জীবনে মাত্র তিনটি জিনিসের প্রয়োজন–বই, বই এবং বই।

টলস্টয়

৩০৯. বই হল বিশ্বাসযোগ্য আয়নার মতো, যাতে আমাদের মনের প্রতিবিম্ব ধরা পড়ে–জ্ঞানী ও বীরদের মনের প্রতিবিম্বও এর থেকে বাদ পড়ে না।

–গিবন

৩১০. বই লেখাটা নিষ্পাপ বৃত্তি এবং এতে করে দুষ্কর্মের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।

বার্ট্রান্ড রাসেল

৩১১. জ্ঞানীরা বই ব্যবহার করে আর অন্যেরা বই-এর প্রশংসা করে।

বেকন

৩১২. এককালে পৃথিবী বইয়ের উপর কাজ করত, এখন বই-ই পৃথিবীর উপর কাজ করে।

জুবার্ট

৩১৩. বরং প্রচুর বই নিয়ে গরিব অবস্থায় চিলেকোঠায় থাকব তবু এমন রাজা হতে চাই না যিনি পড়তে ভালোবাসেন না।

–মেকলে

৩১৪. পৃথিবীর কোনো জাতি জাতীয় সাহিত্য ছেড়ে বিদেশী ভাষায় সাহিত্য রচনা করে যশস্বী হতে পারেনি।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৩১৫. নদীর গতিপথ যেমন নির্দেশ করে দেওয়া যায় না, ভাষাও তেমনি। একমাত্র কালই ভাষার গতি নির্দেশ করে।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৩১৬. কারও কারও মুখের ভাষাই অস্ত্রের মতো ধারালো।

–জন লাভার

৩১৭. সংগীতের মাধ্যমে যা-কিছু শেষ হয়, তা-ই সুন্দর হয়।

রবার্ট বার্নস

৩১৮. সংগীত হল ভাঙা মনের ওষুধস্বরূপ।

–এ. হান্ট

৩১৯. যে-মানুষের আত্মার সঙ্গে সংগীতের বাস, সে-মানুষই ভালোবাসতে জানে।

–এডমন্ড স্মিথ

৩২০. যে সংগীত ভালোবাসে তার জীবনে নিঃসঙ্গতা থাকে না।

–এডিসন

৩২১. সাহিত্যের কাজ মানুষকে তার চারিদিককার মন্দ শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করে তোলা, তার মধ্যে সমাজ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনকে অগ্রাহ্য করে ন্যায়, সত্য ও আল্লাহকে মেনে নেবার প্রবৃত্তি সৃষ্টি করে দেওয়া।

–ড. লুৎফর রহমান

৩২২. বড় পর্দা একটি বাজে চলচ্চিত্রকে ঠিক দ্বিগুণ বাজে করে তোলে।

–স্যামুয়েল গোল্ডউইন

৩২৩. চলচ্চিত্র হচ্ছে একটি নৌকা যা সবসময়েই ডুবে যাওয়ার পর্যায়ে থাকে। আপনি যখন চলতে থাকেন তখন সবসময়ে এটি তলিয়ে যাবার প্রয়াস পায় এবং আপনাকে এর সঙ্গে টেনে নিয়ে যেতে চায়।

ফ্রাঁসোয়া ক্রুসো

৩২৪. সাহিত্য খেলা নয়, শৌখিনতা তো নয়ই। সাহিত্য জীবনের প্রকাশ, আবার নব-জীবনেরও ভিত্তি।

–শ্রীসোমনাথ মৈত্র

৩২৫. আনন্দ দিতে, মানুষের জীবনের বোঝা কমাতে, তাদের দুঃখ-বেদনা, তাদের পাপ, তাদের নিশ্ৰুপ গৃহের মাঝে তাদের বিফল আশা ও তাদের বিষাদময় ভবিষ্যৎ থেকে মুক্তি দিতেই সাহিত্যের সৃষ্টি হয়েছে।

–ব্রিয়েল

৩২৬. কবিরা সমাজদেহের চক্ষু, বাগানের মুক্ত পাখি এবং সত্যের দর্পণ।

ইকবাল

৩২৭. কবিতাই চিরদিন ভোগ করে
নবীন যৌবন
সৌন্দর্যের সুধাপাত্র চিরদিন,
করে সে চুম্বন।

–গোলাম মোস্তফা

৩২৮. কবিতার দ্বারা আমি বিলাসিতা করিতে চাহি নাই … আমি চিরদিন বলিয়াছি, অদ্যও বলিতেছি যে, সৌন্দর্য সৃষ্টিই কবিতার প্রধান উদ্দেশ্য নয়, কবিতা নীতিপূর্ণ হইবে এবং বিশেষ কিছু শিক্ষা দিবে।

–কায়কোবাদ

৩২৯. মসজিদ পুষ্করিণী নাম নিজ দেশে রহে।
গ্রন্থকথা যথাতথা ভক্তিভাবে আলাউল কহে৷৷

–আলাউল

৩৩১. বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক, সৃষ্টির আদিমকাল হইতে মানুষ আসিয়াছে আর চলিয়া গিয়াছে; খ্যাতি, মান, অর্থ, শক্তি কিছুই কেউ রাখিয়া যাইতে পারে নাই। কিন্তু বইয়ের পাতা ভরিয়া তাহারা তাঁহাদের তপস্যা, তাঁহাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, তাঁহাদের নৈরাশ্য, কি হইতে চাহিয়া কি তাঁহারা হইতে পারেন নাই সবকিছু তাঁহারা লিখিয়া গিয়াছেন।

জসীম উদ্দীন

৩৩২. জীবনটা বই দিয়ে ঘেরা নয় ঠিকই, তবে জীবনকে বুঝতে হলে, অভ্যাসের সংস্কারের বেড়া ভাঙতে হলে বই চাই।

সরোজ আচার্য

৩৩৩. ব্যায়ামের দ্বারা যেমন শরীরের উন্নতি হয়, পড়াশুনার দ্বারা মনেরও তেমনি উন্নতি হয়ে থাকে।

–এডিসন

৩৩৪. বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানবসমাজকে সভ্যতা টিকাইয়া রাখার জ্ঞান দান করে। অতএব, বই হইতেছে সভ্যতার রক্ষাকবচ।

–ভিক্টর হুগো

৩৩৫. সাহিত্য ও সংস্কৃতি দেশ ও জাতির দর্পণবিশেষ।

–উইলিয়াম ডানলপ

৩৩৬. কোনো কোনো বইয়ের কথা অসঙ্গতভাবেই ভুলে যাওয়া হয়; তবে অসঙ্গতভাবে কোনো বইকেই স্মরণে রাখা হয় না।

–ডব্লিউ এইচ অডেন

৩৩৭. হৃদয়ের স্পর্শ যেখানে আছে, সেটাই গ্রন্থ।

–হেনরি ডনডিক

৩৩৮. সমালোচক তারাই যারা সাহিত্য ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।

–ফ্রাংকলিন

৩৩৯. সাহিত্যখ্যাতি এমন খ্যাতি, যা মানুষের হৃদয়ে চিরদিন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকে।

–হেনরি কিং

৩৪০. ছবি হচ্ছে শব্দহীন এক অনবদ্য কবিতা।

–ওয়াশিংটন আলস্টন

৩৪১. সেই নাটকই আসল নাটক, যার মধ্যে যে মানুষ যা চায় তা-ই পায়।

–শংকর

৩৪২. নৃত্য হচ্ছে সংগীত ও ভালোবাসার সন্তান।

স্যার জন ডেভিস

৩৪৩. মাতৃভাষার এমনি মহিমা যে কথা বলাটাই আনন্দের বলিয়া মনে হয়। বাঙ্গালা যে আমার মাতৃভাষা সে কথাটা আপনাদের সমক্ষে জোর গলায় বলিতে আমার একটু দ্বিধা হয় না। কারণ তাহা না হইলে আমার নিজের মাকেই অস্বীকার করিতে হয়।

–তাসাদুক আহমদ

৩৪৪. ভালো কবিতা বাস্তবতার জন্যে এক অবদান। একটা ভালো কবিতা সহযোগিতা করে জগতের গড়ন আর তাৎপর্য বদলে দিতে, সহযোগিতা করে কারও নিজের আর তার চারপাশের জগৎ সম্বন্ধে ধারণা বাড়িয়ে দিতে।

–ডিলান টমাস

৩৪৫. মহৎ কবিরা, সত্যি যারা মহৎ কবি, পৃথিবীর সকল প্রাণীর মধ্যে সবচাইতে অকবিসুলভ। কিন্তু গৌণ কবিরা সবসময় চমকপ্রদ।

অস্কার ওয়াইল্ড

৩৪৬. কিছু বই আছে যেগুলোর স্বাদ গ্রহণ করে দেখতে হয়, আরেক ধরনের বই আছে যেগুলো গলাধঃকরণ করতে হয়। আরেক ধরনের বই আছে যেগুলো পড়ে গলাধঃকরণ করতে হয় এবং হজম করতে হয়।

ফ্রান্সিস বেকন

৩৪৭. যে লেখক হতে ইচ্ছে করে, তার প্রথমে ছাত্র হওয়া উচিত। ড্রাইডেন ৩৪৮. লেখাটা হল মানুষের সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন।

শংকর

৩৪৯. নোংরা লেখার চেয়ে নোংরা জিনিস আর কিছু নেই। –জি. জে. নাথন

৩৫০. যে-লোক তার নিজের লেখা বইয়ের সম্বন্ধে কথা বলে থাকে, তাকে সে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা চলে, যে তার নিজের ছেলের গুণ সম্বন্ধেই বেশি বড়াই করে থাকে এবং এ-কাজটা খুবই লজ্জাকর।

–ডিজরেইলি ৩৫১. একগাদা বই সংগ্রহে রাখা সেগুলো পুড়ে ফেলারই বিকল্প।–অ্যান্থনি বার্জেস

৩৫২. কেউ পড়ে চিন্তা করবে বলে–এরা হাতে গোনা; কেউ লিখবে বলে, এরা সাধারণ; আর কেউ কথা বলার জন্যে–এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। চার্লস কালেব কল্টন

৩৫৩. ভালো বইগুলো পড়া যেন-বা গত শতকের মহৎ লোকদের সঙ্গে আলাপ করার মতো।

–দেকার্তে

৩৫৪. শব্দ ও ভাষাগঠনের জন্য নির্ভরশীল হতে হবে লেখকের উপর। শক্তিশালী লেখক জন্ম দেন ভাষার, সৃষ্টি করেন নতুন নতুন শব্দের। আসলে সুন্দর ভাষার জন্ম হয় লেখকের সাধনায়।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৩৫৫. দ্যাখো, হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি কর এবং লেখো।

–টমাস মুর

৩৫৬. শিল্পসৃষ্টির জন্য আমি নারীর মতো গর্ভবতী থাকতে চাই। সবসময়ই প্রসব বেদনায় ভুগতে চাই।

অ্যান্থনি নিউলে

৩৫৭. আমার কাছে শিল্প রচনা করাটাই সোজা, জীবনটা কঠিন। লরেন্স ডারেল

৩৫৮. শিল্পে এবং সাহিত্যে সাধনা এবং একনিষ্ঠতার কোনো বিকল্প নাই। এখানে চুরি চলে না, ফাঁকি চলে না। চুরি এবং ফাঁকি চলে রাজনীতি, ব্যবসায় আর অর্থনীতিতে। সংগীতে শিল্পে আর সাহিত্যে নয়।

–আবুল ফজল

৩৫৯. যতদিন বাংলার আকাশ থাকবে, যতদিন বাংলার বাতাস থাকবে, ততদিন বাংলার সংস্কৃতি থাকবে।

–বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

৩৬০. মনুষত্ব তথা মানবধর্মের সাধনাই সংস্কৃতি এবং একমাত্র সাধনাই জীবনকে করতে পারে সুন্দর সুষ্ঠু।

–আবুল ফজল

৩৬১. যে-মানুষের হৃদয়ে সংগীতের সুর আছে, প্রেম ও প্রীতি বিনিময়ে সে অদ্বিতীয়।

–প্লেটো

৩৬২. ভাষা হচ্ছে বিজ্ঞানের একমাত্র বাহন। আর শব্দ কেবল ভাবনার ইশারা।

স্যামুয়েল জনসন

৩৬৩. যে সংগীতকে ভালোবাসে তার নিঃসঙ্গ সময় মধুরতর হবে।

–রাওল্যান্ডি হিল

৩৬৪. জীবন আর সংগীত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সংগীতের মাঝে মানুষ বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়।

সুইফট

৩৬৫. সাহিত্যের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মানবজীবনের সম্পর্ক। মানুষের মানষিক জীবনকর্ম কোনখানে? সেখানে আমাদের বুদ্ধি এবং হৃদয়, বাসনা এবং অভিজ্ঞতা সব গলে গিয়ে, মিশে গিয়ে একটি সম্পূর্ণ ঐক্য লাভ করেছে। সেখানে আমাদের বুদ্ধি, প্রবৃত্তি এবং রুচি সম্মিলিতভাবে কাজ করে। এক কথায় যেখানে আদত মানুষটিই আছে, সেইখানেই সাহিত্যের জন্মলাভ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৬৬. কাব্যের আনুষঙ্গিক ফল যাহাই হউক কাব্যের উদ্দেশ্য উপকার করিতে বসা নহে। যাহা সত্য, যাহা সুন্দর তাহাতে উপকার হইবার কথা। কিন্তু সেই উপকারিতার পরিমাণের উপর তাহার সত্যতা ও সৌন্দর্যের পরিমাণ নির্ভর করে না। সৌন্দর্য আমাদের উপকার করে বলিয়া সুন্দর নহে, সুন্দর বলিয়াই উপকার করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৬৭. সংসারে অন্যান্য যাবতীয় কর্মের মতো সাহিত্যসৃষ্টিও একটা কর্ম এবং এই অর্থে একজন সাহিত্যকর্মী একজন চাষী মজুরের সঙ্গে একই শ্রেণীতে দাঁড়ায়।

–অচিন্তেশ ঘোষ

৩৬৮. বইয়েরা নির্দোষ, কেননা সচেতনভাবে কেউ এদের দ্বারা আক্রান্ত হয় না।

টি. এস. এলিয়ট

৩৬৯. বাজে বই লেখা ভালো বই লেখার মতোই কঠিন; একই সতোর সঙ্গে লেখকের আত্মা থেকে জন্ম হয় এর।

–অলডাস হাক্সলি

৩৭০. ভালো বই পড়েও আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত সেটি ভালোমতো উপলব্ধি করি না, যতক্ষণ না লেখকের সঙ্গে একই তালে আমরা এগিয়ে যাই।

জন কীটস্

৩৭১. প্রিয় কবি হতে চাও লেখো ভালোবাসা যা পড়ে গলিয়া কবে পাঠকের মন, তার লাগি চাই কিন্তু দু’টি আয়োজন জোর করা ভাব আর ধার করা ভাষা।

–প্রমথ চৌধুরী

৩৭২. একজন লেখকের সবচেয়ে বড় পুরস্কার, সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে তাঁর পাঠক।

ইমদাদুল হক মিলন

৩৭৩. একজন ভাল কবিমাত্রই আত্মার শিল্পী।

–আইজ্যাক ডিজরেইলি

৩৭৪. মানুষের আন্তরিকতা ও তার দৃষ্টির গভীরতাই তাকে কবি করে তোলে।

–কার্লাইল

৩৭৫. কবি হল নিঃশব্দ কবিতা; আর কবিতা হল এমনি একটি ছবি যা কথা বলে।

–সিমোনিডোস

৩৭৬. সাহিত্য সবসময় সুগন্ধে পরিপূর্ণ।

–ওয়াল্ট হুইটম্যান

৩৭৭. যে মানুষ খুন করে, সে আসলে খুন করে যুক্তিশীল এক প্রাণীকে, ঈশ্বরের প্রতিমাকে; কিন্তু যখন কেউ ধ্বংস করে ফেলে কোনো বই, তখন সে খুন করে যুক্তিকে।

মিল্টন

৩৭৮. যে নির্জনে বসে সংগীত শোনে, সে-ই সংগীতকে হৃদয়-মন দিয়ে উপলব্ধি

–এডমন্ড স্মিথ

৩৭৯. শব্দহীন পরিবেশে সংগীত মনের ভাঁজে ভাঁজে সুর ছড়ায়।

–ওয়েলেন্স স্টিভেন্স

৩৮০. উচ্চারণ হল ভাষার আত্মার মতো; এর থেকেই অনুভূতি ও সাধ্য জন্ম নেয়।

–রুশো

৩৮১. কবিরা সমাজদেহের চক্ষু, বাগানের মুক্ত পাখি এবং সত্যের দর্পণ।

ইকবাল

৩৮২. লেখকের স্বাধীনতা যে শুধু লেখকের জন্য প্রয়োজন তা নয়, সমাজের বৃহত্তম কল্যাণের জন্যও তা অত্যাবশ্যক। ভাষার স্বাধীকারের সাথে লেখকের স্বাধীনতাও চাই।

–আবুল ফজল

৩৮৩. বই আমাদের পড়তেই হবে, কেননা বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই। ধর্মের চর্চা মন্দিরের বাইরেও করা চলে, দর্শনের চর্চা গুহায়, নীতির চর্চা ঘরে এবং বিজ্ঞানের চর্চা যাদুঘরে, কিন্তু সাহিত্যের চর্চার জন্য চাই গ্রন্থাগার। এই চর্চা মানুষ কারখানাতে করতে পারে না, চিড়িয়াখানাতেও নয়।

–প্রমথ চৌধুরী

৩৮৪. সমস্ত বই-ই হয় স্বপ্ন, নয় তলোয়ার।

–এ. সি. লাওয়েল

৩৮৫. বই কেনা শখটারে
দিয়ো নাকে প্রশ্রয়;
ধার নিয়ে ফিরিয়ো না,
তাতে নাহি দোষ রয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৮৬. শব্দ যদি কবিতা হয়, তবে তার উৎস হচ্ছে হৃদয়।

–আলফ্রেড লোয়ের্স

৩৮৭. পৃথিবীর সকল মানুষ মায়ের মুখের ভাষায়ই কথা বলে।

–বেগ লার্ড

৩৮৮. সমাজবিজ্ঞানী এবং গবেষকরা ছাড়াও সাহিত্যিকরা সমাজের ভেতরের একজন অনুসন্ধানী। তাই তাঁদের লেখায় সমাজচিত্র ফুটে উঠবেই।

–হুমায়ূন আহমেদ

৩৮৯. শিল্পকলায় যারা প্রভুত্ব অর্জন করেছে, আমি তাঁদের সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি।

আর্থার হুইটারম্যান

৩৯০. কবি তখনই দরিদ্র হবেন, যখন তিনি তাঁর শব্দ ব্যবহারে কৃপণতা করবেন।

–জর্জ অ্যাবি

৩৯১. যেদেশে শিল্পী নিগৃহীত হন, সেদেশে শোভন কিছু সৃষ্টি হতে পারে না।

–জেমস টমসন

৩৯২. আমি তোমাকে আমার সংগীতের মাধ্যমেই আনন্দ দিয়ে যাব।

–রাওল্যান্ড হিল

৩৯৩. বেশি বই পড়ার চেয়ে অল্প পড়েও মনে রাখা ভালো।

চার্লস ল্যাম

০৩. ধর্ম, দর্শন ও সৃষ্টিকর্তা

১. আল্লাহ ব্যতীত উপাস্য নাই।

–আল-কোরআন

২. সে-ই যথার্থ ধর্ম, যাতে সব মানুষের কল্যাণ নিহিত।

হান্নামুর

৩. ধর্ম একটাই, যদিও রয়েছে এর একশোটা রূপ।

জর্জ বার্নার্ড শ

৪. ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা।

স্টমাস ফুলার

৫. যারা ধর্মবিশ্বাসী তারাই যুবক এবং যারা অবিশ্বাসী তারাই বৃদ্ধ।

চ্যানি

৬. প্রত্যেক ধর্মই ভালো; কারণ প্রত্যেক ধর্মই মানুষকে ভালো হবার শিক্ষা দেয়।

–জর্জ ক্র্যাবি

৭. ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে তাদের ধর্মান্ধ না বলে স্বার্থান্বেষী বলা ভালো।

লর্ড হ্যালিফক্স

৮. একটি ধর্ম আরেকটি ধর্মের মতোই সত্য।

রবার্ট বার্টন

৯. ধর্ম অর্থ সৃষ্টিকর্তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা।

উইলিয়াম পেন

১০. তিনিই তোমাদের মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ করেছেন, তখন তোমরা কিছুই জানতে না। তিনিই তোমাদের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, বুদ্ধি এবং পরস্পরের প্রতি মায়া মমতা দিয়েছেন যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।

–আল-কোরআন

১১. সত্যই হল ভগবান, সত্য-সাধনাই হল তপস্যা, জগতের যা-কিছু শ্রেষ্ঠ কাজ তার মূলে সত্য; সত্যের চেয়ে বড় আর কিছুই নেই।

ব্যাসদেব

১২. মাহপুরুষেরা ধর্ম-সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করিয়া যান, আর আমরা তাহা হইতে সম্প্রদায়টাই লই, ধর্মটা লই না।

বরীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩. কোরআন একটি জানালা, যার দ্বারা আমরা পরবর্তী দুনিয়ার দৃশ্যাবলী দেখতে পাই।

ইবনে হাব্বল

১৪. ধর্মের গোঁড়ামি দরিদ্রকে আরও দরিদ্র করে তোলে।

সুইফ্ট

১৫. যারা তীর্থের পর তীর্থ পর্যটন করে বেড়ায়, তাদের মধ্যে কেবল আছে আত্মতাড়না, তারা দেবতার পিছনে পিছনে ছোটে, দেবত্বের স্পর্শ পায় না।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

১৬. সত্যবাদী ও ধর্মনিষ্ঠ বণিক ব্যতীত অন্যান্য বণিককে প্রতারক দলভুক্ত করা হবে।

–আল-হাদিস।

১৭. প্রত্যেক ধর্মেই অনেক ভালো জিনিস আছে। এইসকল ধর্মের মধ্যে যা সুন্দর তা গ্রহণ করে যা নিকৃষ্ট তা ত্যাগ করব।

আকবরনামা

১৮. ধর্মের মাঝে থেকেই মানুষ এত দুষ্টু আর বদমায়েশ হয়েছে; ধর্মের আবরণে যদি মানুষ না থাকত তা হলে তারা আরও কত দুষ্টু ও বদমায়েশ হত।

ফ্রাংকলিন

১৯. একটি গৃহে যদি ধর্মগ্রন্থ না থাকে, অথচ প্রতিদিন খাবারের নিমিত্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী থাকে, তাতে সে-গৃহের লোকদের দেহের খাদ্য হয় বটে, কিন্তু আত্মার খাদ্য থেকে এরা বঞ্চিত হয়।

সি. ভি. মেইজ

২০. মানুষকে অপমান কোরো না, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।

–শেখ সাদি

২১. পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়।

বাইবেল

২২. ধর্মীয় কুসংস্কারগুলো মানবজাতির পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকারক।

বার্ট্রান্ড রাসেল

২৩. নিশ্চয়ই অত্যাচারীরা পরস্পরের ভাই, কিন্তু যারা সৎ কাজ করে আল্লাহ্ তাদের বন্ধু।

–আল-কোরআন

২৪. যে-ব্যক্তি প্রতিশ্রুতি দেয় যে, সে মানুষের কাছে কিছুই চাইবে না, আমি তাকে বেহেশতের প্রতিশ্রুতি দিই।

–আল-কোরআন

২৫. সাবধান! লোককে দেখাইবার জন্য তাহাদের সাক্ষাতে তোমাদের ধর্মকর্ম করিও না। করিলে তোমাদের স্বর্গীয় পিতার নিকটে তোমাদের পুরস্কার নাই।

বাইবেল

২৬. তোমরা যখনই প্রার্থনা করিতে দাঁড়াও, যদি কাহারও বিরুদ্ধে তোমাদের কোনো কথা থাকে, তাহাকে ক্ষমা করিও, যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করেন।

বাইবেল

২৭. সামান্য মূল্যের বদলে আমার আয়াতগুলোকে বিক্রি কোরো না।

–আল-কোরআন

২৮. (কেয়ামতের দিন) কাহারও সুপারিশ কবুল হইবে না।

–আল-কোরআন

২৯. ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা শক্ত, কিন্তু তার চাইতেও বেশি শক্ত তাঁকে অবিশ্বাস করা। কতির বিস্ময়কর লীলা দেখে তাঁর প্রতি আমার বিশ্বাস জন্মেনি, বরং এ-বিশ্বাস জন্মেছে মানুষের প্রাণপ্রাচুর্য দেখে।

টেনিসন

৩০. যে-ঈশ্বর আমাদের জীবন দান করেছেন, তিনি একই সাথে আমাদের স্বাধীনতাও দান করেছেন।

টমাস জেফারসন

৩১. কোনো ভৃত্য দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না, কেননা সে হয় একজনকে ঘৃণা করিবে, অন্যকে প্রেম করিবে, নয়তো কজনে অনুরক্ত হইবে, অন্যকে তুচ্ছ করিবে।

বাইবেল

৩২. ধর্মমোহের চেয়ে নাস্তিকতা অনেক ভালো।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৩. মানবতাই মানুষের একমাত্র ধর্ম হওয়া উচিত।

বার্ট্রান্ড রাসেল

৩৪. চিত্তকে মিথ্যার বিরুদ্ধে স্বাধীন করে রাখাই ধর্ম।

–ডা. লুৎফর রহমান

৩৫. সবকিছু মেনে নেওয়ার অর্থাৎ আনুগত্যের নিয়মকানুন এসেছে ধর্মগ্রন্থ থেকে এবং মুক্তি বা স্বাধীনতার নিয়মকানুন এসেছে বিজ্ঞান বা মানুষের মন থেকে।

–ম্যাক্সিম গোর্কি

৩৬. ধর্ম অর্থ ঈশ্বরের এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা ব্যতীত কিছুই বোঝায় না।

–উইলিয়াম পেন

৩৭. ভয়ের তাড়া খেলেই ধর্মের মূঢ়তার পিছনে মানুষ লুকোতে চেষ্ট করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৮. মানুষের জন্য যাহা কল্যাণকর তাহাই ধর্ম। যে ধর্ম পালন করিতে গিয়া মানুষকে অকল্যাণ করিতে হয়, তাহা ধর্মের নামে কুসংস্কার মাত্র। মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।

প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ

৩৯. ধর্ম নিয়ে যারা কোন্দল করে, ধর্মের মর্ম তারা জানে না।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৪০. ধর্ম আর ধর্মবিশ্বাসের বেলায় মানুষ এত বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে যে, সে বিনা দ্বিধায় মনে করে তার নিজের ধর্মই পৃথিবীর সেরা আর তার ধর্মমতই অভ্রান্ত।

–আবুল ফজল

৪১. আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো পরিবর্তন নাই।

–আল-কোরআন

৪২. তোমাদের মনে যা আছে, তা প্রকাশ করো বা গোপন করো, আল্লাহ্ তা জানেন।

–আল-কোরআন

৪৩. অধিকাংশ ধর্ম এবং ধর্মের অধিকাংশ তথ্য অন্ধ-বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত।…. তাই বিজ্ঞানের ন্যায় ধর্মের উপর সকল লোকের অটল বিশ্বাস হয় না। ধর্মকে সন্দেহাতীত রূপে পাইতে হইলে উহাকে অন্ধবিশ্বাসের উপর রাখিলে চলিবে না। উহাকে খাঁটি বিশ্বাস অর্থাৎ জ্ঞানের উপর প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে।

আরজ আলি মাতুব্বর

৪৪. ভগ্নমনোরথ হয়ো না, নিরাশ হয়ো না, যদি মুমিন হও, বিশ্বাসী হও, জয়ী তুমি হবেই।

–আল-কোরআন

৪৫. মানুষ মহত্তম বলে অন্তরে যা ধারণ করে তা-ই ধর্ম। ধর্মের সঙ্গে কর্ম না-ও মিলতে পারে।

আবদুর রহামান শাদাব

৪৬. ধর্ম মানুষের প্রয়োজনেই সৃষ্ট, তাই ধর্ম মানুষের মঙ্গলের কথাই বলে।

–স্টেপ হেন

৪৭. অর্থের লোভে যে-ব্যক্তি কোরান পাঠ করে, সে অন্যের দুয়ারে ভিক্ষা করে।

হজরত আবু তোর

৪৮. যে-ব্যক্তি রোজা রাখিয়া মিথ্যাচার ও নিন্দাবাদ পরত্যাগ করে না, তাহার পান আহার ছাড়িয়া দেওয়াকে খোদাতাআলা গ্রাহ্য করেন না, অর্থাৎ তিনি তাহার রোজা গ্রহণ করেন না।

–আল-হাদিস

৪৯. আমার ধর্ম কোনো ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ নেই। আমার ধর্মের ভিত্তি হল ভালোবাসা এবং অহিংসা।

মহাত্মা গান্ধী

৫০. শয়তানের কোনো ক্ষমতা নাই তাহাদের উপর যাহারা ইমান আনিয়াছে এবং প্রভুর উপর নির্ভর করিয়াছে।

–আল-কোরআন

৫১. আল্লাহ্ কখনো কাফেরগণকে সৎপথ প্রদর্শন করেন না –আল-কোরআন

৫২. নামাজ চিৎকার করিয়া পড়িও না, চুপিচুপিও পড়িও না। বরং উহার মাঝামাঝি এক পথ ধরো।

–আল-কোরআন

৫৩. ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং রাজনীতিতে এর স্থান হওয়া অনুচিত।

–মহাত্মা গান্ধী

৫৪. আমার ধর্মের প্রতি আমি একান্ত অনুগত। এর জন্য আমি প্রাণ দিতে প্রস্তুত। তবে এ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ সম্বন্ধে রাষ্ট্রের কিছুই করণীয় নেই। ………. আপনার বা আমার ধর্ম সম্বন্ধে রাষ্ট্র কিছুই করবে না। এটা হল প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।

মহাত্মা গান্ধী

৫৫. ধর্মকে যারা সম্পূর্ণ উপলব্ধি না করিয়া প্রচার করিতে চেষ্টা করে, তাহারা ক্রমশই ধর্মকে জীবন হইতে দূরে ঠেলিয়া দিতে থাকে। ইহারা ধর্মকে বিশেষ গণ্ডি আঁকিয়া একটা বিশেষ সীমানার মধ্যে বদ্ধ করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৬. যে করে ধর্মের নামে
বিদ্বেষ সঞ্চিত
ঈশ্বরকে অর্ঘ্য হতে
সে করে বঞ্চিত।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৭. ভণ্ডরাই ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে।

–কমরেড মুজাফফর আহমেদ

৫৮. যারা সম্পদ বিপদে দান করে, রাগ দমন করে, লোকদের ক্ষমা করে, আল্লাহ্ এমন হিতকারীদের ভালোবাসেন।

–আল-কোরআন

৫৯. ক্ষমাশীল হও, ভালো কাজ করতে আদেশ করো এবং যারা লেখাপড়া শেখে, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকো।

–আল-কোরআন

৬০. তোমরা কি তাহাকে হেদায়েত করিতে চাওযাহাকে আল্লাহ বিপথে নিয়াছেন? বস্তুত আল্লাহ্ যাহাকে বিপথে নেন, তাহাদের জন্য তুমি পাইবে না কোনো পথ।

–আল-কোরআন

৬১. তাহারা (বিধর্মিগণ) আল্লাহকে ছাড়িয়া যাহাকে বন্দনা করিতেছে তোমরা তাহাদিগকে মন্দ বলিও না, কেননা তাহা হইলে তাহারা অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকে মন্দ বলিয়া ফেলিবে।

–আল-কোরআন

৬২. নাস্তিক হওয়া সহজ নয়। এ এক অনন্য শক্তিরই অভিব্যক্তি। কেননা, বিশেষ জ্ঞান, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা ও মনোবল না থাকলে নাস্তিক হওয়া যায় না। আশৈশব লালিত বিশ্বাস, সংস্কার, আচার-আচরণ, রীতিনীতি পরিহার করা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়, কেবল অসামান্য নৈতিক শক্তিধর যুক্তিবাদী পুরুষের পক্ষেই তা সহজ।

ড. আহমদ শরীফ

৬৩. যিনি যোগী, যাহার মন বিশুদ্ধ হইয়াছে, যিনি নিজের মনকে সম্পূর্ণ বশে রখিতে পারেন, যিনি জিতেন্দ্রিয়, সেই জ্ঞানী সকলকেই নিজের আত্মার মতো দেখেন, তাই কর্ম করিলেও তাঁহার আর কোনো পাপ-পুণ্য জন্মে না।

শ্রীশ্রীগীতা

৬৪. যদি কেহ একটি মুদ্রা ধর্মযুদ্ধে ব্যয় করে, একটি দ্বারা কোনো দাসকে মুক্ত করে, একটি দরিদ্রকে দান করে এবং একটি আপন পরিবারের জন্য ব্যয় করে, তবে শেষের কার্যের পুণ্য অপর তিনটি কার্যের পুণ্যসমষ্টি অপেক্ষা অধিক।

–আল-হাদিস

৬৫. যিনি নিয়মিতভাবে আহার-বিহার করেন, কাজকর্ম যিনি নিয়মিতভাবে করেন, আর যিনি নিয়মিতভাবে ঘুমান আর জাগিয়া থাকেন, তাঁহার পক্ষেই যোগ সার্থক হইয়া তাঁহার দুঃখ দূর করে।

শ্রীশ্রীগীতা

৬৬. যারা সৎপথ অবলম্বন করিয়া জীবিকা অর্জন করে,তাহারা খোদাতালার প্রিয় বন্ধু।

–আল-হাদিস

৬৭. যাহারা যেভাবে আমার ভজনা করে, আমি তাহাদিগকে সেইভাবেই দয়া করিয়া থাকি। লোকে সকল রকমেই আমার পথে চলিয়া থাকে।

শ্রীশ্রীগীতা

৬৮. দয়া, সত্য ও কল্যাণ–এই যদি মানুষের আদর্শ হয়, সমাজের প্রতি মানুষ যদি এই সাধনাকে গ্রহণ করে, তা হলে মানুষের জীবনে এমন কোনো সমস্যার কল্পনা করা যায় না, যা আপোসে শান্তিতে মীমাংসা হতে পারে না।

–আল-কোরআন

৬৯. যিনি আমাকে সব প্রাণীর মধ্যে দেখিতে (উপলব্ধি করিতে) পারেন এবং সকল প্রাণী আমারই মধ্যে আছে ইহা বুঝিতে পারেন, আমি তাঁহার কাছে প্রত্যক্ষ হই। আর তিনিও আমার কাছে অদৃশ্য থাকেন না।

–শ্রীশ্রীগীতা

৭০. ঈশ্বরপরায়ণতা চরিত্রলাভের জীবনস্বরূপ।

মানকুমারী বসু

৭১. ভক্তে বাঁচাও দয়া জানি,
সে যে গো তার পাওনা জানি,
পাপীরে লও বক্ষে টানি করুণাময় কইব তবে।

কাজী নজরুল ইসলাম

৭২. কর্মকার যেমন রজতের ময়লা দূরীভূত করে, সেরূপ মেধাবী ব্যক্তি ক্ষণে ক্ষণে অল্প অল্প করে আত্ম-মল ক্রমশ দূরীভূত করবেন।

ত্রিপিটক

৭৩. ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো তা-ই যা অতিরিক্ত নয়।

স্কাইলাস

৭৪. পরের লব্ধ বস্তুতে স্পৃহা করা ও লালায়িত হওয়া উচিত নয়। যে-ভিক্ষু পরবস্তুতে স্পৃহা করে ও লালায়িত হয়, সেই ভিক্ষু সমাধি লাভ করতে পারবে না।

–ত্রিপিটক

৭৫. সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকো না, আর জেনেশুনে সত্যকে গোপন কোরো না।

–আল-কোরআন

৭৬. সকল প্রাণীর মূল, নিত্য কারণ আমিই। আমিই বুদ্ধিমানের বুদ্ধি ও তেজস্বীর তেজ।

–অজ্ঞাত

৭৭. সকল জগৎ যাহার মধ্যে আছে, আর যিনি সকল জগৎ ব্যাপিয়া আছেন সেই পরম পুরুষকে শুধু একনিষ্ঠ ভক্তি দ্বারাই পাওয়া যায়।

শ্রীশ্রীগীতা

৭৮. নিজে সৎ না হয়ে অন্য লোককে সৎ হতে উপদেশ দেওয়া অর্থহীন।

–আল-কোরআন

৭৯. যে-ব্যক্তি প্রাণী হিংসা করে, সে কখনো আর্য হতে পারে না। যিনি সর্বজীবের প্রতি হিংসা ত্যাগ করে মৈত্রীভাবাপন্ন হয়েছেন তিনিই আর্য নামে অভিহিত হন।

ত্রিপিটক

৮০. যাঁহারা অন্য কামনা ত্যাগ করিয়া একমনে আমারই কথা ভাবেন আর সর্বদা আমারই উপাসনা করেন, সেই ভক্তদের আমি ইহলোকে কল্যাণ ও পরলোকে মুক্তির ব্যবস্থা করিয়া থাকি।

শ্রীশ্রীগীতা

৮১. রাষ্ট্রশাসনের ব্যাপারে জনসাধারণের মতামত প্রকাশ করতে দাও।

–আল-কোরআন

৮২. নিশ্চয় আল্লাহ্ কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাহারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে।

–আল-কোরআন

৮৩. যিনি ধর্মে আনন্দ লাভ করেন, যিনি সতত ধর্মে রত–ধর্মপথে অবস্থিত, যিনি ধর্মচিন্তায় আত্মনিয়োগ করেন এবং সতত ধর্মানুসরণ করেন, সেই ভিক্ষু কখনোই সদ্ধর্ম হতে পতিত হন না।

ত্রিপিটক

৮৪. নিশ্চয় আল্লাহ সীমা লংঘনকারীকে ভালোবাসেন না।

–আল-কোরআন

৮৫. অভ্যাসযোগের চেয়ে জ্ঞান বড়, জ্ঞানের চেয়ে ধ্যান বড়, ধ্যানের চেয়ে কর্মফল ত্যাগ করা বড়। সকল প্রকার কর্মফল ত্যাগ করিতে পারিলেই পরম শান্তি পাওয়া যায়।

শ্রীশ্রীগীতা

৮৬. নিশ্চয়ই নিজের মনের বিরুদ্ধে জেহাদ করাই শ্রেষ্ঠ জেহাদ।

–আল-কোরআন

৮৭. সকল প্রকারের কুসংস্কার ও অনাচার ছাড়িয়া দাও।

–আল-কোরআন

৮৮. চন্দ্র যেমন তারকারাজির উপর প্রধান–জ্ঞানী লোক তেমনি মূর্খ নামাজির উপর প্রধান।

–আল-হাদিস

৮৯. ধর্মের জন্য কোনো জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় সুপথ প্রকাশ্যভাবে কুপথ থেকে পৃথক হয়েছে।

–আল-কোরআন

৯০. যে-ব্যক্তি নিজের জন্য কাজ করে না এবং অপরের জন্য কাজ করে না, সে ব্যক্তি খোদার কাছ থেকে কোনো পুরস্কার আশা করতে পারে ন।

–আল-কোরআন

৯১. কিতাবপ্রাপ্ত জাতিদের সঙ্গে মহত্তর কারণ ব্যতীত বিবাদ কোরো না, বরং বলো–আমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আমরা বিশ্বাস করি এবং তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতেও আমরা বিশ্বাস পোষণ করি, আমাদের এবং তোমাদের আল্লাহ এক এবং তাঁর প্রতি আমরা নতি স্বীকার করে থাকি।

–আল-কোরআন

৯২. যে-নামাজে হৃদয় নম্র হয় না, সে-নামাজ খোদার নিকট নামাজ বলেই গণ্য হয় না।

–আল-হাদিস

৯৩. আমরা সবাই পরকালের গানে ছুটে চলেছি। প্রত্যেকেই আমরা এক-একজন মুসাফির ছাড়া আর কিছু নই। এই সফরের শুরু মায়ের কোল হতে, শেষ কবর পর্যন্ত। প্রতিটি দিন, মাস, বছর এই সফরের এক-একটি মনজিলবিশেষ। প্রতিটি নিশ্বাস এক একটি পদক্ষেপের মতো।

ইমাম গাজ্জালি (রহঃ)

৯৪. ছোট পাপকে ছোট বলিয়া অবহেলা করিও না, ছোটদের সমষ্টিই বড় হয়।

–হযরত আলি (রা.)

৯৫. ইসলামে সন্ন্যাসধর্ম নাই।

–আল-হাদিস

৯৬. আমরা ভক্তিপ্রবণ জাতি। ভক্তি করাকেই অমরা ধর্মাচরণ বলিয়া থাকি। কাহাকে ভক্তি করি তাহা বিচার করা আমাদের পক্ষে বাহুল্য।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯৭. অলৌকিকতার কাছে সবার আকৃতি ঝরে যায়।

শক্তি চট্টোপধ্যায়

৯৮. চান ভগবান প্রেম দিয়ে তাঁর
গড়া হবে দেবালয়,
মানুষ আকাশে উঁচু করে তোলে
ইট পাথরের জয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯৯. তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবি।

কাজী নজরুল ইসলাম

১০০. অন্য মানুষের পাপদর্শন ও বর্ণনা থেকে বিরত থাকো; তা তোমাদের মধ্যেও আছে।

–আল-হাদিস

১০১. ধার্মিক হতে চাইলে প্রতিদিন রাতে শোবার সময় প্রতিদিনের কর্মের হিসাব নিকাশ করবি অর্থাৎ ভাল কর্ম কী করেছিস এবং মন্দ কর্ম কী করেছিস, তা চিন্তা করে মন্দ কর্ম আর যাতে করতে না হয় সেজন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবি।

শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী

১০২. ঈশ্বর যদি থাকেন, তা হলে তার অস্তিত্ব অনুভব করার, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কোনো-না-কোনো পথ থাকবে। সে-পথ যতই দুর্গম হোক, আমি সে-পথে যাবার দৃঢ়সংকল্প করে বসেছি। হিন্দু ধর্ম বলে, নিজের শরীরে নিজের মনের মধ্যে সে-পথ আছে।

–ঋষি অরবিন্দ

১০৩. সব ধর্মের লোকে একজনকেই ডাকছে। কেউ বলছে ঈশ্বর, কেউ রাম, কেউ হরি, কেউ আল্লাহ্, কেউ ব্ৰহ্ম। নাম আলাদা, কিন্তু একই।

শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব

১০৪. ইসলাম শব্দের অর্থ সমৰ্পণ, শান্তি ও নিরাপত্তা। ধর্মীয় পরিভাষায় ইসলামের অর্থ বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহতাআলার নিকট আত্মসমর্পণ করা এবং তাঁহার যাবতীয় আদেশ মানিয়া লওয়া।

মাওলানা মোঃ আবদুস সাত্তার

১০৫. অলৌকিকতা আমাদের শেখায় ধর্মমতকে বিচার করতে। ধর্মমত বিচার করতে শেখায় অলৌকিকতাকে।

–প্যাসকেল

১০৬. ইসলাম একমাত্র ধর্ম, যা সকল যুগে সকল মানুষের ধর্ম অর্থাৎ বিশ্বজনীন ধর্মরূপে গণ্য হতে পারে।

–জর্জ বার্নার্ড শ

১০৭. তোমরা ভীত হইও না, তোমরা চিন্তিত হইও না। তোমরা আল্লাহর প্রতি দৃঢ় ইমান রাখিতে পার।

ভলতেয়ার

১০৮. সত্যি যদি ঈশ্বর বলে কিছু না থাকত তা হলে মানুষের প্রয়োজন হত তাঁকে আবিষ্কার করার।

ভলতেয়ার

১০৯. নিয়মিত ইবাদত করো। কারণ ইবাদত মানুষকে অন্যায় ও লজ্জাজনক কাজ থেকে রক্ষা করে এবং নিঃসন্দেহে আল্লাহুকে স্মরণ করা এক মহত্ত্বের কাজ।

–আল-কোরআন

১১০. কোরআনের অনুশাসনই একমাত্র সত্য এবং একমাত্র কোরআনই মানুষকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

নেপোলিয়ান বোনাপার্ট

১১১. বিজ্ঞান আর ধর্ম, ধর্ম আর বিজ্ঞান, যেভাবেই এদের সাজাই না কেন, ওরা একই পরকলার এপিঠ-ওপিষ্ঠ, দুদিক দিয়েই আমরা অন্ধকার দেখি, যে পর্যন্ত না দুটোর ফোকাস-বিন্দু সত্যের ওপর স্থাপিত হয়।

–পার্ল এস বাক

১১২. ধর্মহীন বিজ্ঞান পঙ্গু আর বিজ্ঞানবিহীন ধর্ম অন্ধ।

–আইনস্টাইন

১১৩. ধর্ম যখন বিজ্ঞানকে ভয় পায় তখন সে ঈশ্বরকে অসম্মান করে, আর ঢলে পড়ে আত্মহত্যায়।

ইমারসন

১১৪. সকলকেই আমি সমান ভালোবাসি। (বিশেষ) ভালোবাসা বিশেষ কাহারও প্রতি আমার নাই। কিন্তু যাহারা ভক্তি করিয়া আমার পূজা করে, আমি তাহাদের অনুগ্রহ করি তাহাদের ছাড়িয়া যাই না, আবার তাহারাও আমাকে ছাড়িয়া যায় না। (এটি আমার পক্ষপাত নয়, এটি আমার ভক্তির মহিমা মাত্র)।

শ্রীশ্রীগীতা

১১৫. তোমাদের প্রার্থনা আল্লাহতাআলা মঞ্জুর করিবেন–এইরূপ দৃঢ়বিশ্বাস লইয়া তাঁহার নিকট প্রার্থনা করো।

–আল-হাদিস

১১৬. ঈশ্বর জীবের জন্য কর্তৃত্ব, কর্ম বা কর্মের ফল কিছুই সৃষ্টি করেন না। মানুষ স্বভাববশতই (মায়ার প্রভাবে) কুর্ম করিতে আরম্ভ করে।

শ্রীশ্রীগীতা

১১৭. বহু বাক্য বললে পণ্ডিত হওয়া যায় না। যিনি নিরাপদ–মঙ্গলকারী, শত্রুহীন এবং যার কাছ থেকে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, তিনিই পণ্ডিত বলে কথিত হন।

ত্রিপিটক

১১৮. কাম, ক্রোধ ও লোভ–এই তিনটি নরকের দ্বারের মতো (এ-পথে চলিলে নরকে যাইতে হয়)। ইহাতে মানুষের সর্বনাশ হয়। তাই এই তিনটিকে ত্যাগ করিবে।

শ্রীশ্রীগীতা

১১৯. যে-ব্যক্তি প্রাণিহত্যা করে, মিথ্যা কথা বলে, চুরি করে, পরদার গমন করে, সুরা ইত্যাদি মদকদ্রব্য সেবন করে, এরূপ ব্যক্তি ইহলোকে আপনার কুশলকর্মের মূল খনন করে–অর্থাৎ নিজেই নিজের নিপাতের কারণ হয়।

ত্রিপিটক

১২০. যার যার নিজ নিজ কাজে যদি সকলে মনোযোগী হয়, তবে সকলেরই সিদ্ধিলাভ হয়।

শ্রীশ্রীগীতা

১২১. যে-ভিক্ষু অতি অল্প লাভ করেও তা অবজ্ঞা করেন না, সেই পবিত্র জীবিকাধারী নিরলস ভিক্ষুকেই দেবতারা প্রশংসা করেন।

–ত্রিপিটক

১২২. পরমেশ্বর সকল প্রাণীতে আছেন সমানভাবে, অথচ সকল কিছু নষ্ট হইয়া গেলেও তিনি নষ্ট হন না। তাঁহাকে এইরূপে যিনি জানিতে পারেন তিনিই প্রকৃত জ্ঞানী।

শ্রীশ্রীগীতা

১২৩. যিনি ইহলোকে পুণ্য ও পাপ অতিক্রম করে ব্রহ্মচর্যবান হন এবং পৃথিবীতে জ্ঞানপরায়ণ হয়ে বিচরণ করেন, তিনি নিশ্চয়ই ভিক্ষু বলে কথিত হন।

ত্রিপিটক

১২৪. আকাশ সকল বস্তু ব্যাপিয়া আছে কিন্তু অতি সূক্ষ্ম বুলিয়া আকাশে কোনো কিছু লাগিয়া থাকে না। তেমনি পরমাত্মা অত্যন্ত সূক্ষ্ম, তাই তিনি সকল স্থানে থাকিয়াও কোনোকিছুতে লিপ্ত হন না।

শ্রীশ্রীগীতা

১২৫. ঈর্ষাপরায়ণ ও শঠ ব্যক্তি কেবল মিষ্টি বাক্য দ্বারা কিংবা শরীরের সৌন্দর্যের দ্বারা সাধু হতে পারে না, কিন্তু যাঁর এসকল সমুচ্ছিন্ন ও সমূলে উৎপাটিত হয়েছে সেই নির্দোষ ও মেধাবী ব্যক্তি ‘সাধু’ বলে কথিত হন।

ত্রিপিটক

১২৬. আগুন যেমন ধোয়ায় ঢাকা থাকে, তেমনি সকল কাজই দোষে ভরা (কাজ করিলেই দোষ না থাকিয়া পারে না)। সুতরাং কর্মে কোনো দোষ থাকিলেও তাহা ত্যাগ করিতে নাই।

শ্রীশ্রীগীতা

১২৭. ক্রোধকে অক্রোধ (ক্ষমা) দ্বারা জয় করবে, অসাধুকে সাধুতা দ্বারা জয় করবে, কৃপণকে দান দ্বারা জয় করবে, মিথ্যাবাদীকে সত্য বাক্য দ্বারা জয় করবে।

–ত্রিপিটক

১২৮. যে বলে এ-জীবনে দুঃখকে বরিয়া লও, পরলোকে স্বর্গসুখ পাইবে, সে যেমন ভ্রান্ত, যে পরকালের নরকাগ্নির উল্লেখ করিয়া এ-জীবনের সুখরাশি বর্জন করিতে বলে, সেও তেমনি ভ্রান্ত। দুঃখের কষাঘাতে তুমি-আমি ধরাপৃষ্ঠ হইতে মুছিয়া গেলে অপর কোটি কোটি জীব এ-সৃষ্টিকে মুখরিত করিয়া রাখিবে। তুমি-আমি কে যে, এই পৃথিবীর বাহিরে, মরণের পরপারে আমাদের জন্য বিধাতা এক বিরাট স্বর্গপুরী গড়িয়া রাখিবেন! গৃহী হাঁড়ি লইয়া কার্য করে। হঠাৎ যখন কোনো আঘাতে সেটি ভাঙিয়া যায় সে উহা দূরে নিক্ষেপ করিয়া নতুন করিয়া কাজে লাগে। কবে সে ভগ্ন খোলার সুবর্ণ মন্দির গড়িয়াছে?

–ওমর খৈয়াম

১২৯. লৌহজাত দ্রব্য হতে উৎপন্ন মরিচা যেমন লৌহকেই নষ্ট করে ফেলে, সেরূপ নীতিধর্ম অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে নিজকৃত দুষ্কর্ম সকল দুর্গতিতে নিয়ে যায়। –ত্রিপিটক

১৩০. মূর্খতার চেয়ে বড় পাপ আর নাই।

সন ইবনে আবদুল্লাহ

১৩১. রাগ আসক্তির ন্যায় অগ্নি নেই, দ্বেষের ন্যায় গ্রাহ বা প্রাসকারী (হিংস্র জন্তু) নেই, মোহের ন্যায় জাল নেই ও তৃষ্ণার ন্যায় নদী নেই।

ত্রিপিটক

১৩২. যত প্রকার পাপ আছে মানুষের চিত্তে ব্যথা দেয়াই তার মাঝে বড় পাপ। এই মহাপাপ কেউ কোরো না।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৩৩. যে শাস্ত্রের ব্যবস্থা না মানিয়া ইচ্ছামতো কাজ করে, সে সিদ্ধিলাভ করিতে পারে না। ইহলোকেও তাহার সুখ হয় না, পরলোকেও তাহার উত্তম গতি হয় না।

শ্রীশ্রীগীতা

১৩৪. ভক্তি আপনার উন্নতির জন্য। যাহার ভক্তি নাই, তাহার চরিত্রের উন্নতি নাই।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৩৫. আমাদের রিপু সত্যের সম্পূর্ণ মূর্তিকে আচ্ছন্ন করে, কামে আমরা মাংসই দেখি, আত্মাকে দেখি নে; লোভে আমরা বস্তুই দেখি, মানুষকে দেখি নে; অহংকারে আমরা আপনাকেই দেখি, অন্যকে দেখি নে; একটা রিপু আছে যা এদের মতো উগ্র নয়। যা ফাঁকা তাকে বলে মোহ; সে হচ্ছে জড়তা, অসাড়তা। আমাদের চৈতন্যের আলো ম্লান করে দিয়ে সত্যকে আবৃত করে। সে বিঘ্ন নয়, সে আবরণ। অভ্যাস অনেক সময় সেই মোহরূপে আমাদের মনকে আকৃষ্ট করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৬. কোনো প্রকার পাপকর্ম না করা, কুশলকর্মের অনুষ্ঠান করা এবং অপন চিত্তকে পরিশুদ্ধ করে রাখা–এটাই বুদ্ধগণের অনুশাসন।

ত্রিপিটক

১৩৭. উপবাসপালন আত্মশুদ্ধি এবং সংযমের শ্রেষ্ঠতম একটা উপায়। এর মাধ্যমে স্রষ্টাকে লাভ করা যায়, স্বাস্থ্যকে রক্ষা করা যায়, হিংসা-দ্বেষ এবং নৃশংস স্বভাব থেকে দূরে সরে থাকা যায় এবং খুব সহজেই কুপ্রবৃত্তির ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখা যায়।

ডি. এস. ফোর্ড

১৩৮. চিত্তকে মিথ্যার বিরুদ্ধে স্বাধীন করে রাখার নামই ধর্ম।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৩৯. এই জগৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন, এখানে অল্প লোকেই উত্তমরূপে দেখতে পায়, অল্পসংখ্যক লোকই জালমুক্ত পাখির ন্যায় স্বর্গে গমন করে।

ত্রিপিটক ১৪০. মুসলমান একটি বিশেষ ধর্ম, কিন্তু হিন্দু কোনো বিশেষ ধর্ম নহে। হিন্দু ভারতবর্ষের ইতিহাসের একটি জাতিগত পরিণাম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪১. একটি মহৎ আত্মা সমুদ্রে ভাসমান জাহজের মতো।

–ফ্লেচার

১৪২. যার কৃত পাপকর্ম কুশলকর্ম দ্বারা আবৃত হয়, সে মেঘমুক্ত চন্দ্রের ন্যায় জগৎতেগ উজ্জ্বল করে।

ত্রিপিটক

১৪৩. ইমানের সঠিক অর্থ হচ্ছে এই যে, অন্তর দিয়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও মহত্ত্বের উপলব্ধি করবে এবং তার প্রতিটি নির্দেশকে যথাযথ পালন করবে।

হযরত ওমর ফারুক (রা.)

১৪৪. হীনধর্মের অনুসরণ কোরো না, প্রমত্তভাবে জীবনযাপন কোরো না, মিথ্যা দৃষ্টির সেবা কোরো না, সংসারবর্ধক হয়ো না।

ত্রিপিটক

১৪৫. ঈশ্বর উদাসীন বলেই তাঁকে পাবার জন্য আমাদের এত আগ্রহ, এত ব্যাকুলতা। দেবতা কথায় কথায় আমাদের করতলগত হলেই তার মূল্য যেত কমে, আমাদের কামনা ও কৌতূহল যেত থেমে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

১৪৬. স্রষ্টার সৃষ্টির দিকে চাহিয়া এক প্রহর ধ্যান করা সত্তর বৎসরের এবাদত অপেক্ষা শ্রেয়।

–আল-হাদিস

১৪৭. ওঠো, অলস হয়ে থেকো না, সদ্ধর্ম আচরণ করো। ধর্মাচারী ইহ এবং পর উভয় লোকেই সুখে থাকেন।

–ত্রিপিটক

১৪৮. ধর্মচিন্তার বিকাশের সঙ্গে বিজ্ঞানবুদ্ধির বিকাশ সমন্বিত না হলে তা মানুষের মৃত্যুভয়ই কেবল বাড়িয়ে তোলে।

সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন

১৪৯. সত্য হয়ে উঠতে চাইলেই মৃত্যু ঘটে ধর্মের। বিজ্ঞান মৃত ধর্মের তালিকা।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১৫০. বিজ্ঞান অন্বেষণ করে, ধর্ম করে ব্যাখ্যা। বিজ্ঞান দেয় জ্ঞান, যা ক্ষমতা; ধর্ম দেয় চিন্তা, যা নিয়ন্ত্রণ।

মার্টিন লুথার কিং

১৫১. অসাধু ও আপনার অহিতকর কর্ম করা সহজ; কিন্তু যা সাধু ও হিতকর, তা পালন করা অতিশয় দুষ্কর।

ত্রিপিটক

১৫২. কোরআন মজিদ কেবলমাত্র নামাজ আর অজুর বর্ণনা করার জন্য অবতীর্ণ হয়নি, বরং তা মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণের এক পরিপূর্ণ বিধান। মানবজীবনের কোনোদিকই তাতে বাদ পড়েনি। তাই মুললমানদের সব নীতি ও কাজ কোরআনের উপর ভিত্তি করে যদি পরিচালিত না হয়, তা হলে তা তাদের কোনো কল্যাণে আসবে না।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

১৫৩. মানুষের মনের ভিতর পাপ ও পুণ্যের দুইটি অনুভূতি আছে। পাপ ও পুণ্যের যে দ্বন্দ্ব মনের মধ্যে চলিতে থাকে, উহাদের জয়-পরাজয়য়ের উপর মানুষের ধর্ম বা অধর্ম নির্ভর করে।

ডা. লুর রহমান

১৫৪. যে ধর্ম বা ঈশ্বর বিধবার অমোচন করতে অথবা পিতৃ-মাতৃহীন অনাথের মুখে এক টুকরো খাবার দিতে পারে না, আমি সে-ধর্ম বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না।

–স্বামী বিবেকানন্দ

১৫৫. মিথ্যা পাপ, মিথ্যা নিন্দা আরও পাপ এবং স্বজাতির মিথ্যা নিন্দার মতো পাপ অল্পই আছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৬. পরার্থের বহু অনুরোধেও কোনো ব্যক্তির নিজ স্বার্থ পরিত্যাগ করা উচিত নয়, স্বকীয় কার্য উত্তমরূপে জেনে তাতে নিবিষ্ট থাকা কর্তব্য।

–ত্রিপিটক

১৫৭. রিপু যাকে শাসন করে, সে দাসদের মধ্যে অধম। ১৫. যখন অবসর পাও, সাধন করো আর তোমার প্রভুর প্রতি অনুরক্ত হও।

–আল-কোরআন

১৫৯. আমার পুত্র আছে, আমার ধন আছে, মূর্খেরা এভাবে চিন্তা করে যন্ত্রণা ভোগ করে। যথন আপনিই আপনার নয়, তখন পুত্র কিংবা ধন কীভাবে আপনার হবে?

ত্রিপিটক

১৬০. দার্শনিক হওয়া বলতে আসলে কী বোঝায়? ঘটনার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নেয়া নয় কি?

–এপিক্তেতাস

১৬১. দর্শন ছাড়া তুমি কিছুই করতে পার না; কেননা প্রতিটি বিষয়েরই আছে গোপন তাৎপর্য যা আমাদের জানা দরকার।

–ম্যক্সিম গোর্কি

১৬২. জ্ঞানহীন পুরুষ কেবল বলীবদের ন্যায় দেহমাংসে এবং বয়সে বর্ধিত হয়ে থাকে বটে, কিন্তু তার প্রজ্ঞা বর্ধিত হয় না।

–ত্রিপিটক

১৬৩. আত্মা যত মহৎ কাজও তত মহৎ হবে।

রবার্ট গ্রীন

১৬৪. ইসলাম একমাত্র ধর্ম যা জন্ম ও বর্ণবৈষম্যের সকল বাধা বিদূরিত করেছে।

–পারশিক ডাক্তার এস. এন. ধন্না

১৬৫. পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।

–আল-হাদিস

১৬৬. দণ্ডকে সকলেই ভয় করে। জীবন সকলেরই প্রিয়। অতএব নিজকে উপমাস্থলে রেখে কাউকে হত্যা করবে না কিংবা আঘাতও করবে না।

ত্রিপিটক

১৬৭. কোনো লোকের যদি আহারের জন্য খাদ্য, পরনের জন্য কাপড়, বসবাসের গৃহ না থাকে অথবা ঐ সমস্তের জন্য তার পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে, তবে তার পক্ষে আল্লাহর ইবাদত করতে যাওয়া মাতলামি ছাড়া কিছুই নয়।

ইমাম গাজ্জালি (রহঃ)

১৬৮. অন্তরীক্ষে, সমুদ্রমধ্যে কিংবা পর্বত-বিবরে–জগতে এমন কোনো স্থান বিদ্যমান নেই যেখানে অবস্থান করলে মৃত্যু আক্রমণ করতে পারে না।

ত্রিপিটক

১৬৯. কুরআন শরীফ কোন বৈজ্ঞানিক পুস্তক না হইলেও ইহা অবৈজ্ঞানিক নহে। কুরাআনে আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনার জন্য প্রাসঙ্গিক রূপে এরূপ অনেক কথা বলা হইয়াছে, যাহা আশ্চর্যরূপে আধুনিক বিজ্ঞানের সহিত মিলিয়া যায়। যদি দুই এক স্থানে সামান্য অমিল দেখা যায়, তাহা আধুনিক বিজ্ঞানের অসম্পূর্ণতাবশত।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

১৭০. সাংসারিক কর্তব্যপালনই প্রকৃতপক্ষে ধর্মকার্য। দুনিয়া চোখের সামনেই তো পড়ে রয়েছে। কেতাবের চেয়ে দুনিয়া থেকে মানুষের শিখবার আছে বেশি।

-আলমগির

১৭১. যে দুশ্চরিত্র ও অসমাহিত হয়ে শত বৎসর জীবিত থাকে, তার জীবন অপেক্ষা চরিত্রবান ধ্যানপরায়ণ ব্যক্তির একদিনের জীবনও শ্রেয়।

ত্রিপিটক

১৭২. ইচ্ছা করে কেউ পাপাঁচরণ করে না। পাপ অজ্ঞানতার ফল।

সক্রেটিস

১৭৩. মৃত্যুকে পরিহার করা বোধহয় কঠিন নয়, পাপকে পরিহার করাই অধিকতর কঠিন। কারণ পাপ মৃত্যু অপেক্ষা দ্রুতগামী।

সক্রেটিস

১৭৪. যার হাত ও জবান থেকে মানবজাতি নিরাপদ, তিনি খাঁটি মুসলমান।

–আল-হাদিস

১৭৫. তোমরা রোজা রাখিও, তাহা হইলে স্বাস্থ্য ভালো থাকিবে।

–আল-হাদিস

১৭৬. দেশের জন্য যারা নির্যাতন ভোগ করে তারা ফুলের মালা পায়। কিন্তু যারা এদেরকে ফুলের মালা পাওয়ার মতো করে গড়ে তুললেন তাঁরা মালা পান না। তারা সব সময় থাকেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। আল্লাহ্ যে এত বড় স্রষ্টা, তিনিও তাই মানুষের দেখার অতীত, কল্পনার অতীত, তিনি শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা। তাই তিনি সবচেয়ে বেশি গোপন।

কাজী নজরুল ইসলাম

১৭৭. ঈশ্বর একটি বৃত্তের মতো, যার কোনো নির্দিষ্ট কেন্দ্রবিন্দু নেই, কোনো অবস্থানও নেই।

–এস্কাডোক্লেস

১৭৮. মহৎ দার্শনিকেরা আসলে কবি যারা তাদের কবিতার বাস্তবতায় বিশ্বাস করে।

আন্তোনিয়ো মাচাদো

১৭৯. সমস্ত দর্শনই জীবনের একটি পর্যায়ের দর্শন।

নিৎসে

১৮০. কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বৰ্গনরক
মানুষেতে সুরাসুর।

–শেখ ফজলল করিম

১৮১. একমাত্র আল্লাহ্ সর্বযুগে, সর্বদেশে, সকল মুসলমানের উপাস্য; একমাত্র আল্লাহ্ অসীম, অপরূপ, অতুলনীয়; আল্লাহ্ চিন্ময়, অব্যয়, অদ্বিতীয়।

–এয়াকুব আলি চৌধুরী

১৮২. যার নিজের ধর্মে বিশ্বাস আছে, সে পরের ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না।

কাজী নজরুল ইসলাম

১৮৩. প্রত্যেক জিনিসের মরিচা পরিষ্কার করিবার এক-একটি সামগ্রী আছে। হৃদয় পরিষ্কারের একমাত্র উপায় আল্লাহ্তাআলার শরণ এবং তাহার শরণের ন্যায় কোনো উপায়ই নাই যাহা তাহাকে শাস্তি হইতে মুক্তি দিতে পারে।

আল-আদিস

১৮৪. একটি ক্ষুদ্র পাপই পারে অনেক বড় পাপের দ্বার খুলে দিতে।

টমাস এডওয়ার্ড

১৮৫. পাপাত্মা ঐ ব্যক্তি যে মানুষের মন্দ কাজ প্রকাশ করে আর ভালো কাজ গোপন রাখে।

–প্লেটো

১৮৬. যে পাপ করে সে সাধারণ মানুষ, যে পাপ করার জন্য অনুতাপ ও দুঃখ করে সে সাধু ব্যক্তি, যে পাপের বড়াই করে সে শয়তান।

টমাস মুলার

১৮৭. যে-কোনো কাজ তোমার ভেতর শক্তির উদ্রেক করে দেয়, তা-ই পুণ্য। আর যা তোমার শরীর ও মনকে দুর্বল করে তা-ই পাপ।

–স্বামী বিবেকানন্দ

১৮৮. যে সর্বাপেক্ষা কম পাপ করে, সে-ই উত্তম মানুষ। কেননা, কেউই নিষ্পাপ ও ত্রুটিমুক্ত নয়।

ইপিকারমার্স

১৮৯. একজন পাপী ও সাধুর মধ্যে পার্থক্য এই যে, প্রত্যেক সাধুর অতীত রয়েছে এবং প্রত্যে পাপীর ভবিষ্যৎ রয়েছে।

অস্কার ওয়াইল্ড

১৯০. আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে, আত্মা অবিনশ্বর এবং আত্মার কাজ নিরবধিকাল চলতে থাকবে। এটা অনেকটা সূর্যের মতো; যা আমাদের চোখে রাতে অস্তমিত বলে মনে হয়, কিন্তু যা বাস্তবে শুধু অন্য কোথাও আলোক বিতরণ করতে গেছে মাত্র।

গ্যেটে

১৯১. প্রতিটি দুঃখি আত্মা সতোর প্রতীক।

টমাস হার্ভে

১৯২. আমাদের আত্মার সন্তুষ্টির জন্য দেহের কাছ থেকে কিছু পারিশ্রমিক নিতে

ভার্জিল

১৯৩. মহাপ্রাণ ব্যক্তির সমাধিশায়িত দেহ প্রাণশক্তিহীন জীবিত মানুষপূর্ণ সমগ্র জগৎ থেকে শ্রেষ্ঠ। আত্মা যার জীবন্ত, তাঁর বিনাশ নেই; তার দেহের মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু নিজে অক্ষয় ও অমর।

–শেখ সাদি

১৯৪. ঈশ্বরের মতো তৃষ্ণার উপস্থিতিও দার্শনিকদের অবজ্ঞা করে। একে শোধিত করে দার্শনিক তার প্রতিশোধ নেন।

রেনে শ্যার

১৯৫. ধার্মিকদের কাছে পরকাল যেরকম, দার্শনিকদের কাছে উত্তরপূরুষেরা তেমনই।

–দেনিস দিদেরো

১৯৬. অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া গরিবদের আত্মাকে বিধাতা সাহায্য করেন।

–এডমন্ড ওয়ালার

১৯৭. আত্মা যে অমর, আত্মা যে অভয়, আত্মা সমস্ত সুখ-দুঃখ, ক্ষতি-লাভের চেয়ে বড়, অসীমের মধ্যেই যে আত্মার আনন্দ নিকেতন, এই কথাটি প্রকাশ করাই হচ্ছে। মানুষের সমস্ত জীবনের অর্থ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৮. প্রকৃত মু’মিন তাঁহারাই যাহারা আল্লাহর প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়শীল হন, তাহারা রসুলের অনুগত হন; আর এর মধ্যে কোনোপ্রকার সন্দেহ প্রকাশ করেন না, অথবা অন্তরে কোনো প্রকার দ্বিধা-দ্বন্দ্বকে স্থান দেন না; আর তাহারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করিয়া যান; তাহারাই প্রকৃত ইমানদার।

–আল-কোরআন

১৯৯. দার্শনিকেরা যা বলেন তার চেয়ে বিস্ময়কর ও অবিশ্বাস্য কিছুই আর নেই।

–দেকার্তে

২০০. দর্শনের আংশিক জ্ঞান মনকে টেনে নেয় নাস্তিকের দিকে; আর গভীর জ্ঞান মনকে নিয়ে আসে ধর্মের কাছে।

ফ্রান্সিস বেকন

২০১. এক সে স্রষ্টা সব সৃষ্টির
সে এক পরম প্রভু,
একের অধিক স্রষ্টা কোন্
সে ধর্ম কহে না কভু

কাজী নজরুল ইসলাম

২০২. যে-ঈশ্বর আমাদের জীবন দান করেছেন, তিনি একই সাথে আমাদের স্বাধীনতা দান করেছেন।

–জেফারসন

২০৩. পৃথিবীতে যা-কিছু ঘটে তা হচ্ছে সর্বকালের মধ্যে দিয়ে বর্তমান ঈশ্বরের এক মহাপরিকল্পনারই অংশ।

হেনরি ওয়ার্ড বিশার

২০৪. মানবতার সেবা করাই শ্রেষ্ঠ ইবাদত। আল্লাহ্র সৃষ্টি সম্বন্ধে গবেষণা করাও আল্লাহর ইবাদত। পুণ্য অর্জন অপেক্ষা পাপবর্জন শ্রেয়।

–হযরত আলি (রা.)

২০৫. আমি দেখতে পাই যে, বিশ্বের সর্বত্র বিচক্ষণ ও বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ধর্ম ছিল একটাই–সত্যনিষ্ঠ জীবনযাপন এবং অসত্যকে মোকাবিলা করার ধর্ম।

রালফ ওয়ালডো ইমারসন

২০৬. সূর্যের মতো স্নেহ, নদীর মতো বদান্যতা এবং মাটির মতো আতিথেয়তা যার মধ্যে আছে; সে-ই সত্যিকার অর্থে ধার্মিক।

–হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রা.)

২০৭. ধর্ম ছাড়া কেউ বাঁচিতে পারে না। এমন অনেকে আছেন যাঁহারা অহংকারের সহিত ঘোষণা করেন ধর্মের সহিত তাঁহাদের কোনো সম্পর্ক নাই–যদি কেহ বলে যে, সে নিশ্বাস নেয় অথচ তাহার নাক নাই, সেই শ্রেণীর কথা।

মহাত্মা গান্ধী

২০৮. মানুষের ভেতর যে-দেবত্ব আছে তারই প্রকাশসাধনকে বলে ধর্ম।

স্বামী বিবেকানন্দ

২০৯. হিন্দু, খ্রিস্টান, এ ভেদ মানুষের তৈরি। আমরা মানুষ একই বিধাতার হাতে গড়া মানুষ। শুধু সংকীর্ণ মন নিয়ে এই হিন্দু, খ্রিস্টানের ভেদ রচে মস্ত ব্যবধানের বেড়া গড়ে তুলেছি পরস্পরের মধ্যে। এ-ভেদ আমরা মানব না। মানুষে মানুষে মনের মিল চাই, প্রাণের মিল চাই; সেই মিল ঘটাতে পারলে এ-পৃথিবী সৃষ্টির সার্থকতায় ভরে উঠবে।

সৌরিন্দ্রমোহন

২১০. পাপকে ঠেকাবার জন্য কিছু না করাই তো পাপ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১১. মানুষ যতই গোপনে পাপ করুক না কেন, তার শাস্তি সে প্রকাশ্যেই পায়।

বেন জনসন

২১২. যদি পাপ করে থাক, কাতরকণ্ঠে তা প্রকাশ করো, শীঘ্র সান্ত্বনা পাবে। পাপকে গোপনে রেখো না, উত্তরোত্তর বর্ধিত হয়ে অতিসত্বর তোমাকে অধঃপাতের চরমে নিয়ে যাবে।

ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র

২১৩. আল্লাহই মুসলমানদের বন্ধু এবং সঙ্গী। তিনি তাদের অন্ধকার থেকে বার করে আলোকে নিয়ে আসেন।

–আল-কোরআন

২১৪. প্রাচীন ধর্ম বলছে, ঈশ্বরে যে বিশ্বাস করে না, সে নাস্তিক। নতুন ধর্ম বলছে, যে নিজেকে বিশ্বাস করে না, সে-ই নাস্তিক।

–স্বামী বিবেকানন্দ

২১৫. ঈশ্বরকে যত চিন্তা করবে, ততই সংসারে সামান্য ভোগের জিনিসে আসক্তি কমবে।

–শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব

২১৬. যে সত্যপথে চলে, কেউ তার কেশাগ্রও ছুঁতে পারে না, তোমরা সকলে মনে নিষ্ঠার সাথে হরিনাম কর, পবিত্রতার মধ্যে যাও।

–প্রভু জগদ্বন্ধু

২১৭. কুরআন, হাদিস সবাই বলে
পবিত্র সে বেহেশত নাকি
মিলবে সেথায় আসল শরাব
তন্বীনূরী ডাগর আঁখি?
শরাব এবং প্রিয়ায় নিয়ে
নিদ কাটে মোর দোষ কি তাতে?
বেহেশতে যা হারাম নহে
মর্ত্যে হবে হারাম তা কি?

কাজী নজরুল ইসলাম

২১৮. প্রকৃতি হল ঈশ্বরের জীবন্ত ও দৃশ্যমান পরিচ্ছেদ।

গ্যেটে

২১৯. নামায প্রত্যেক বয়স্ক নরনারীর জন্য অবশ্যকরণীয়; কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হুঁশিয়ার করা হয়েছে, কেবল পূর্বদিকে বা পশ্চিমদিকে মাথা নত করলে কোনো লাভ নাই–যদিনা তার পশ্চাতে থাকে উপাসনা উন্মুক্ত সত্য-সরল মন। সর্বপ্রকার সংস্কারের মোহমুক্ত তত্ত্বান্বেষী জ্ঞানোজ্জ্বল মন–এই-ই ইসলামের কাম্য।

প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ

২২০. আল্লাহর কাছে কখনো চেয়ো না
ক্ষুদ্র জিনিস কিছু
আল্লাহ্ ছাড়া কারো কাছে কভু
শির করিও না নিচু।

কাজী নজরুল ইসলাম

২২১. মহানবীর জীবন ও চিন্তাকে যে অনুসরণ করে না, যে শুধু ‘দরুদ’ (শান্তিবাদ) পাঠ করিয়াই প্রেমিক হইবার দাবি রাখে, সে মহানবীর কেহই নয়। ভণ্ড বলিয়া তাহার গায়ে ধূলি নিক্ষেপ করিলে আমার মনে দুঃখ হইবে না।

–ডা. লুৎফর রহমান

২২২. রথযাত্রা, লোকারণ্য–মহা ধুমধাম,
ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
পথ ভাবে আমি দেব’ রথ ভাবে ‘আমি’
মূর্তি ভাবে আমি দেব’ হাসে অন্তর্যামী।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২৩. ধর্ম মানব-প্রতিভার এক আশ্চর্য উদ্ভাবন। ধর্ম মানুষের প্রাণের উচ্ছলতা, কামনার উদ্দামতা, অভিলাষের অদম্যতা, আচরণের অবাধ্যতা, চিন্তার স্বাধীনতা, সম্ভাবনার বিচিত্রতা প্রভৃতি এক নিয়মিত খাতে পরিচালিত করে যান্ত্রিক পরিমিতিতে সীমিত রাখে।

ড. আহমদ শরীফ

২২৪. ধর্ম দুরাত্মাকে করে নিয়ন্ত্রিত, সু-আত্মাকে রাখে আড়ষ্ট, আনন্দকে করে দুর্লভ, অতৃপ্তিকে করে চিরন্তন, আকাঙ্ক্ষাকে করে বোবা, বেদনাকে করে অন্ধ, অনুভূতি হয় নিরবয়ব আর হয় সীমিত। সবল ও দুর্বল জ্ঞানী-মূর্খ, সাধক ও দুষ্ট সমভাবেই থাকে।

ড. আহমদ শরীফ

২২৫. ধর্মবোধ মানুষের অন্তরে এমন এক জীর্ণতা এনে দেয়, প্রাণশক্তির উৎসমুখে এমন এক বাঁধ নির্মাণ করে, এমন এক প্রত্যয় ও নিশ্চিত ভাব জাগায়, যার কবলমুক্ত হওয়া সম্ভব হয় না কারো পক্ষে।

ড. আহমদ শরীফ

২২৬. যাহার হৃদয়ে ক্ষুদ্র সষ্টপ (সরিষা) বীজের পরিমাণ ধর্মভাব আছে, সে কখনো দোযখে যাইবে না এবং যাহার হৃদয়ে তদনুরূপ অহংকার আছে, সে কখনো বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না।

–আল-হাদিস

২২৭. ধর্ম মানব-মনীষা আর উপলব্ধির এক দুর্লভ কৃতিত্ব আর সম্পদ। ধর্মের কাছে মানুষ পায় আত্মজ্ঞান, অতীন্দ্রিয় জিজ্ঞাসার প্রেরণা, আধ্যাত্মিক শান্তি ও সাধনা। ধর্ম মানুষকে দিয়েছে বিশ্বাস, ভক্তি, বিনয়, ক্ষমা, করুণা আর আত্মনিবেদনের পথে দিয়েছে শৃঙ্খলা আর সংযত জীবন দীক্ষা।

–আবুল ফজল

২২৮. ইসলামের সেবা এবং আল্লাহর আদেশকে আগামী দিনের জন্য স্থগিত রেখো না।

হযরত আবুবকর (রা.)

২২৯. পৃথিবীর সর্বপ্রকার অশান্তির একমাত্র সমাধান ইসলাম।

–স্যার টমাস আরনল্ড

২৩০. ইসলাম দুটি বিশিষ্ট জিনিস মানুষকে দিতে চেয়েছে। প্রথম, নিরাকার আল্লাহর সঙ্গে তার আত্মিক ও সামাজিক যোগসম্পন্ন প্রবৃত্তি। দ্বিতীয়, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য ও স্বাধীন মনোবৃত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষের স্বচ্ছ সদ্ব্যবহার।

–মোঃ ওয়াজেদ আলি

২৩১. যদি ইসলামের অর্থ ঈশ্বরে আত্মনিবেদন হয়, তবে আমরা সকলেই ইসলামে বাঁচি এবং মরি।

–গ্যেটে

২৩২. ইসলামের জাতীয়তা দেশের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নয়। সে সংকীর্ণ প্রাদেশিকতা ও ক্ষুদ্র জাতীয়তার বহু ঊর্ধ্বে।

ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

২৩৩. খোদাতাআলার আদেশসমূহের প্রতি প্রগাঢ় ভক্তি প্রদর্শন এবং যাবতীয় সৃষ্টি জীবের প্রতি সহানুভূতি হইবে ইসলাম।

–আল-হাদিস

২৩৪. ইসলামে নাই বড় ছোট
আশরাফ আতরাফ
এই ভেদ-জ্ঞান নিষ্ঠুর হাতে
কর মিসমার সাফ।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৩৫. ঈশ্বরকে ভয় করাই হল মহৎ জীবনের শুরু।

ওল্ড টেস্টামেন্ট (বাইবেল)

২৩৬. মানুষ যে সমস্ত পাপকাজ করে, আল্লাহ্ তার মধ্যে কতকগুলো মাফ করে থাকেন। কিন্তু যে-ব্যক্তি মাতাপিতার অবাধ্য হয়, তাঁদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে, তার পাপ কখনো ক্ষমা করে না।

–আল-হাদিস

২৩৭. ইমানদার পুরুষ ও ইমানদার স্ত্রীলোকেরাই প্রকৃতপক্ষে পরস্পর পরস্পররের বন্ধু ও দরদি। ইহাদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য এই যে, ইহারা ভাল কাজে আত্মদান করে, অন্যায় ও পাপ হইতে মানুষকে বিরত রাখে, যথারীতি নামাজ কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে, জীবন ভরিয়া আল্লাহর রসুলের বিধান পালন করিয়া চলে। প্রকৃতপক্ষে ইহাদের প্রতিই আল্লাহর রহমত বর্ষিত হইয়া থাকে।

–আল-কোরআন

২৩৮. ব্যাভিচারী হইতে ইমান দূরে পলায়ন করে। কিন্তু সে ব্যাভিচার ত্যাগ করিলেই ইমান আবার তাহার নিকট প্রত্যাবর্তন করিবে।

–আল-হাদিস

২৩৯. যে-কাজ দিয়ে তুমি নিজে তাপগ্রস্ত হও অথবা তোমার সমাজকে তাপগ্রস্ত কর সেটাই পাপকার্য।

–শ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারী

২৪০. সুষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে
তুমি আছ চোখ বুজে,
স্রষ্টারে খুঁজে-আপনারে তুমি
আপনি ফিরিছ খুঁজে,
ইচ্ছা অন্ধ! আখি খোল,
দেখ দর্পণে নিজ কায়া,
দেখিবে তোমারি সব অবয়বে
পড়েছে তাহার ছায়া।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৪১. মানবমনের মহত্তর কল্যাণ হচ্ছে ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞান।

সেনেকা

২৪২. অন্তর দিয়া সত্য উপলব্ধি করা, মুখ দিয়া প্রকাশ করা এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মারফত সেই অনুযায়ী কাজ করার নামই ইমান।

–আল-হাদিস

২৪৩. ঈসা-মুসাকে যেসব ধর্ম-মাতাল প্রহার করিয়াছিল, তাহাদেরই বংশধর আবার মারিতেছে মানুষকে।

–কাজী নজরুল ইসলাম

২৪৪. যারা নিজেদের সাহায্য করে, ঈশ্বর তাদের সাহায্য করে।

এলজারমন সিডনি

২৪৫. কোরআন শরিফের পাঁচটি অবয়ব আছে প্রথম বৈধ জিনিস, দ্বিতীয় অবৈধ জিনিস, তৃতীয় স্পষ্ট আদেশসমূহ, চতুর্থ রহস্যময় বাক্যসমূহ, পঞ্চম দৃষ্টান্তসমূহ। যেইগুলি বৈধ বলিয়া বলা হইয়াছে, সে সমুদয় বৈধ বলিয়া জানিও এবং যেগুলি অবৈধ বলা হইয়াছে তাহা অবৈধ বলিয়া জানিও। আজ্ঞাসমূহ পালন করিও। রহস্যসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করিও এবং দৃষ্টান্তসমূহ পড়িয়া সতর্কতা অবলম্বন করিও।

–আল-হাদিস

২৪৬. কোরআনের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে মানুষ। কিসে মানুষের কল্যাণ, কিসে অকল্যাণ বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন ভঙ্গিতে তারই আলোচনা করা হয়েছে কোরআনে।

মাওলানা আব্দুল মতিন জালালাবাদী

২৪৭. খোদাভীতি, খোদভক্তি সম্পর্কে অন্তরের সঙ্গে বাহ্যিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং কার্যকলাপের কোনো সম্পর্ক নাই।

হজরত ওমর (রা.)

২৪৮. টিকিত্ব হিন্দুত্ব নয়, ওটা পাণ্ডিত্য। তেমনি দাড়ি ইসলামত্ব নয়, ওটা মোল্লাত্ব।

কাজী নজরুল ইসলাম ২৪৯. মানুষের ভিতরে যে দেবত্ব আছে তারই প্রকাশ সাধনাকে বলে ধর্ম।

–স্বামী বিবেকানন্দ

২৫০. মানুষের কল্যাণের জন্য ঐসব ভজনালয়ের সৃষ্টি, ভজনালয়ের মঙ্গলের জন্য মানুষ সৃষ্টি হয় নাই। আজ যদি আমাদের মাতলামির দরুন ঐ ভজনালয়ই মানুষের অকল্যাণের হেতু হইয়া উঠে–যাহার হওয়া উচিত ছিল স্বৰ্গৰ্মতের সেতু–তবে ভাঙিয়া ফেল ঐ মন্দির মসজিদ। সকল মানুষ আসিয়া দাঁড়াইয়া বাঁচুক এক আকাশের ছত্রতলে, এক চন্দ্র-সূর্য-তারা-জ্বলা মহামন্দিরের আঙিনাতলে।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৫১. মুহম্মদকে যাহারা মারিয়াছিল, ঈসা-মুসাকে যে-সব ধর্মমাতাল প্রহার করিয়াছিল, তাহাদেরই বংশধর আবার মারিয়াছে মানুষকে ঈসা-মূসা-মুহম্মদের মতো মানুষকে।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৫২. এমনি করিয়া যুগে যুগে ইহারা মানুষে অবহেলা করিয়া ইট-পাথর লইয়া মাতামাতি করিয়াছে। মানুষ মারিয়া ইট-পাথর বাঁচাইছে। ইহারা মানুষের চাইতে ইট পাথরকে বেশি পবিত্র মনে করে। ইহারা ইট পূজা করে। ইহারা পাথর পূজারী।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৫৩. অবতার পয়গম্বর কেউ বলেননি আমি হিন্দুর জন্য এসেছি, মুসলমানের জন্য এসেছি, ক্রীশ্চানের জন্য এসেছি–তাঁরা বলেছেন আমরা মানুষের জন্য এসেছি–আলোর মত সকলের জন্য। কিন্তু কৃষ্ণের ভক্তেরা বললে কৃষ্ণ হিন্দুর, মুহম্মদের ভক্তেরা বললে মুহম্মদ মুসলমানের, খ্রীষ্টের শিষ্যেরা বললে খ্রীষ্ট ক্রীশ্চানদের, কৃষ্ণ মুহম্মদ খ্রীষ্ট হয়ে উঠলেন জাতির সম্পত্তি। আর এই সম্পত্তি নিয়েই যত বিপত্তি। আলো নিয়ে কখনও ঝগড়া করে না মানুষ, কিন্তু গরু-ছাগল নিয়ে করে।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৫৪. মানুষ তাহার পবিত্র পায়ে-দলা মাটি দিয়া তৈরি করিল ইট, রচনা করিল মন্দির মসজিদ। সেই মন্দির মসজিদের দুটো ইট খসিয়া পড়িল বলিয়া তাহার জন্য দুইশত মানুষের মাথা খসিয়া পড়িবে? যে এ কথা বলে, আগে তাহার বিচার হউক।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৫৫. দাসত্ব যদি অন্যায় না হয় তবে পৃথিবীতে অন্যায় বলে কিছু নেই।

–আব্রাহাম লিঙ্কন

২৫৬. স্বর্গে দাসত্ব করার চাইতে নরকে রাজত্ব করা শতগুণে শ্রেয়।

–মিল্টন

২৫৭. ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসাবে মানুষের সেবা করা।

–টমাস ফুলার

২৫৮. ধর্ম হচ্ছে জীবন, দর্শন হচ্ছে চিন্তন। ধর্ম নেত্রপাত করে উর্ধ্বে, সৌন্দর্য নেত্রপাত করে অন্তরে। চিন্তন জীবন উভয়ই আমাদের প্রয়োজন এবং আমাদের প্রয়োজন উভয়ের মধ্যে সুসামঞ্জস্যতা।

জেমস ফ্রিমান ক্লার্ক

২৫৯. প্রেম, আশা ও নির্ভর এই তিনটি ধার্মিকদিগের নিত্যসম্বল। যাহার অন্তর মৃত, যাহার হৃদয়ে প্রেম, আশা বা নির্ভর নাই, সে কখনও ধর্মপথে অবিচল থাকিতে পারে না। সুতরাং তাহার পতন অবশ্যম্ভাবী।

–শেখ ফজলল করিম

২৬০. ধর্মানুভূতির দ্বারাই মানবের সহজাত বৃত্তিসমূহ লাভ করে কোমলতা, মধুরতা, গভীরতা আর ব্যাপকতা। মানুষ লাভ করে অন্তদৃষ্টি।

–আগস্ত কোমত্রে

২৬১. যদি নিজের ধর্মকে নিজেই সৃষ্টি করে নিতে পারেন, তা হলে কোনো মার্কা দেয়া ধর্মই আপনার কোনো উপকারে আসবে না, উপকার করতে পারবে না, এটাই ঠিক। আপনি নিজেই সমস্ত জ্ঞান এবং কদর্যতার উৎস, নিজেই দেবতা এবং কন্টে। সুতরাং নিজের সৃষ্টি ভিন্ন আর কিছু কী করে আপনি স্বীকার করে গ্রহণ করতে পারেন? বিধাতাকে মানুষ গড়েছে নিজেরই অনুরূপ করে, নিজের মনের রূদ্ধ স্ফুর্ততার অনুপানে, আর একথা যে জাগতিক সত্য।

–ম্যাক্সিম গোর্কি

২৬২. পরমাত্মা-তত্ত্ব সদা করহ চিন্তন,
অনিত্য ধনের চিন্তা করহ বর্জন,
ক্ষণকাল সাধুসঙ্গ কেবল সংসারে
একমাত্র তরী ভবসিন্ধু তরিবারে।

শংকরাচার্য

২৬৩. যে-ব্যক্তি মুখে সাধু ও মিষ্টি কথা বলে, অথচ তদনুসারে কাজ করে না, তার সঙ্গ পরিত্যাগ করো।

–গৌতম বুদ্ধ

২৬৪. কেউ তোমাকে মুক্ত হবার জন্য সাহায্য করতে পারবে না, আপনার সাহায্য আপনি করো, নিজের প্রচেষ্টায় নিজমুক্তি সাধনের চেষ্টা করো।

–গৌতম বুদ্ধ

২৬৫. মূর্খ ও জ্ঞানহীন মানুষের ধার্মিক হইবার অধিকার নাই। সে ধার্মিক হইতে পারে না।

–ডা. লুৎফর রহমান

২৬৬. কোনো বিষয়ে মনের কেন্দ্রীয়করণের নামই ধ্যান। এক বিষয়ে একাগ্র করতে পারলেই সে-মনকে যে-কোনো বিষয়ে হোক না কেন, একাগ্র করতে পারা যায়।

–স্বামী বিবেকানন্দ

২৬৭. প্রাচীন ও আধুনিক দুনিয়ার প্রায় প্রত্যেক প্রখ্যাত নাস্তিকই সুজন, সুনাগরিক ও মনীষী। মানুষ হিসেবে এঁদের সামাজিক দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যবোধ ও কল্যাণবুদ্ধি অপরের চাইতে তীক্ষ্ণ ও তীব্র। কিন্তু বাঁধা-পথের যাত্রীদের চোখে এঁদের এ চেহারা ধরা পড়ে না।

ড. আহমদ শরীফ

২৬৮. পাপ পতনের পদক্ষেস্বরূপ।

রবার্ট বার্টন

২৬৯. পাপ তার নিজের জন্য নরক নিজেই তৈরি করে, আর পুণ্য তৈরি করে স্বর্গ।

মেরি বেকার হার্ডি

২৭০. পাপস্বীকার অনুশোচনার প্রথম স্তর।

–এডমণ্ড গাইটন

২৭১. বেদে সাপকে ঝাপির ভিতর পুরিয়া রাখে, তার বিষদাঁত ভাঙে, বিষের থলি গলাইয়া ফেলে, কিন্তু বিষের উৎস তাহার নিঃশেষ হয় না। দিনদিন আবার সে বিন্দু বিন্দু করিয়া সঞ্চয় করে। দুনিয়ার প্রচলিত বিধানে পাষাণের অবরোধে পাপীকে আবদ্ধ করিয়া শিকলের পেষণে শাসক তাহার পাপকে বিনাশ করিতে চায়। কিন্তু তা হয় না।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

২৭২. সৎ স্বভাব ও সুন্দর আচরণই পুণ্য। আর যে-বিষয় সম্পর্কে তোমার মনে দ্বিধা জাগে এবং লোকসমাজে যা প্রকাশ হওয়া তুমি অপছন্দ কর, তা-ই পাপ।

–আল-হাদিস

২৭৩. পুণ্য কাজ করা কষ্টকর, কিন্তু সে-কষ্টটা ক্ষণস্থায়ী, আর পুণ্য কাজটি চিরস্থায়ী। মন্দ কাজ সুখকর, কিন্তু এ-সুখটা ক্ষণস্থায়ী, আর মন্দ কাজটি দীর্ঘস্থায়ী।

প্লেটো

২৭৪. যারা বিশ্বাস করে খোদায় ও শেষ দিনে, আদেশ করে ভালো কাজে, নিষেধ করে মন্দ কাজে এবং হিতসাধনে তৎপর হয়, তারাই পুণ্যবান।

–আল-কোরআন

২৭৫. পুণ্য জিনিসটা কী? না, পুণ্য হচ্ছে একটি হ্যাঁন্ডনোট যাতে ভগবান আমাদের কাছে ঋণ স্বীকার করছেন, কোনো একরকম টাকায় তিনি কোনো এক সময় সেটা পরিশোধ করে দেবেন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭৬. হে আল্লাহ্, আমি অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কৃপণতা, অতি বৃদ্ধবয়স এবং কবরে আজাব হইতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। যে-বিদ্যায় কোনো উপকার হয় না তাহা হইতে, যে-হৃদয় নত নয় তাহা হইতে, যে-ইন্দ্রিয় সন্তুষ্ট হয় না তাহা হইতে, যে-প্রার্থনা কবুল হয় না তাহা হইতে তোমার আশ্রয় চাই।

–আল-হাদিস

২৭৭. হে খোদা আমার অন্তরের
একমাত্র আকাঙ্ক্ষা
ছড়িয়ে দাও আমার দৃষ্টির আলো সবার উপর।

–আল্লামা ইকবাল ২৭৮. আমি আল্লাহকে সবচেয়ে ভয় পাই। তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।

–শেখ সাদি

২৭৯. মুসলমানগণের মধ্যে যাহার স্বভাব সর্বাপেক্ষা ভালো সেই সর্বপেক্ষা খাঁটি মুসলমান এবং তোমাদের মধ্যে যাহারা আপন স্ত্রীর সহিত সর্বাপেক্ষা ভালো ব্যবহার করে তাহারাই তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি।

–আল-হাদিস

২৮০. একজন খাঁটি মুসলমান কা’বা ঘর হইতে উত্তম।

–আল-হাদিস

২৮১. আরব আমার ভারত আমার
চীনও আমার নহে গো পর
মুসলিম আমি সারা দুনিয়ায়
ছড়িয়ে রয়েছে আমার ঘর।

–আল্লামা ইকবাল

২৮২. যে যত বেশি দুর্বল, অসহায় ও অসমর্থ, তার জীবনে দৈবশক্তির প্রভাবও তত অধিক।

–ড. আহমদ শরীফ

২৮৩. ভগবানের কাজে সাহায্য করা মানুষের একটি প্রধান কর্তব্য। মানুষ যতই ক্ষুদ্র এবং তুচ্ছ জীব হউক না কেন, তাহার মধ্যে ঐশী শক্তির বিকাশ রহিয়াছে।

শ্রী ক্ষিতিনাথ ঘোষ

২৮৪. মানুষ নিজের জন্য, বিধাতা সকলের জন্য।

–কার্ভেন্টিস

২৮৫. যে বিপদে ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ্ তাকে উত্তমরূপে পুরস্কৃত করেন।

–আল-কোরআন

২৮৬. যে-নামাজে হৃদয় নম্র হয় না, সে-নামাজ আল্লাহর নিকট নামাজ বলিয়াই গণ্য হয় না।

–আল-হাদিস

২৮৭, খাঁটি অলৌকিকতা দেখায় মানুষেরাই, এখন তারা ব্যবহার করে ঈশ্বরের দেয়া সাহস আর বুদ্ধি।

জ্যাঁ আনুই

১৮৮. বিস্ময় সমস্ত দর্শনের ভিত্তি, অনুসন্ধান তার অগ্রগতি, আর অবজ্ঞায় সমাপ্তি।

মতেইন

১৮৯. ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসাবে মানুষের সেবা করা।

–টমাস ফুলার

১৯০. এ জগতে তুমি মানুষকে যা কিছু দাও না, জ্ঞান দান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ দান আর নেই। পতিতকে পথ দেখান, জ্ঞানান্ধকে জ্ঞান দান করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

–ডা. লুৎফর রহমান

০৪. মানুষ ও মনুষ্যত্ব

১. মানুষই হল একমাত্র প্রাণী যারা খাদ্যবস্তু রান্না করে খায়।

ব্রুক

২. মানুষ আপনাকে যা বলে জানে, মানুষ তা নয়; সেইজন্যই এত অঘটন ঘটে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩. নিজেদের পছন্দমাফিক সমাজ ব্যতীত মানুষ কখনও পরিতৃপ্ত হয় না।

–জেফারসন

৪. মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি পাওয়াকেই মানুষ হওয়া বলে।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫. বাঘকে খেয়ে বাঘ বড় হয় না; কেবল মানুষই মানুষকে খেয়ে ফুলে ওঠে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬. অন্যের নিকট হাত পাতার ফলে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়। সে সম্পদ হচ্ছে আত্মমর্যাদাবোধ।

–হযরত আলি (রা.)

৭. অভাবে যার স্বভাব ঠিক থাকে, সে-ই যথার্থ চরিত্রবান।

সিনেকা

৮. তুমি তোমার ব্যক্তিত্বকে দৃঢ় করে তোলো। কেউ তোমার উপর অন্যায় আধিপত্য করতে পারবে না।

–জন স্টুয়ার্ট মিল

৯. এক ঘণ্টা যদি গরিব লোকের দুঃখমোচনের জন্য ব্যয় করা হয়, তবে তা ছয়মাস মসজিদে বসে ইবাদত করার সমান।

–আল-হাদিস

১০. প্রতিটি মানুষের জীবনের পথ চিহ্নিত হয় তার নিজস্ব পছন্দের কবর দিয়ে।

–আলেকজান্ডার স্মিথ

১১. মানুষকে সমান করেই সৃষ্টি করা হয়েছে, স্রষ্টা তাকে কতিপয় অবিচ্ছেদ্য অধিকারে ভূষিত করেছেন। আর সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জীবন, স্বাধীনতা ও সুখ-শান্তির সন্ধান।

টমাস জেফারসন

১২. মানুষ একে অপরের ভাই।

–আল-হাদিস

১৩. সামান্য ব্যাপারে যে বিশ্বস্ত, বড় ব্যাপারেও সে বিশ্বস্ত হবে; সামান্য ব্যাপারে যে অবিশ্বস্ত, বড় ব্যাপারেও সে অবিশ্বস্ত।

বাইবেল

১৪. পরমুখাপেক্ষিতায় মানুষের ধর্ম শিথিল, বুদ্ধি দুর্বল এবং চক্ষুলজ্জা দূর হয়ে যায়।

হযরত লোকমান (রা.)

১৫. মানুষ নিজের মাত্র অর্ধাংশ, বাকি অর্ধেক তার অভিব্যক্তি।

–এমারসন

১৬. পরোপকারার্থে যদি জীবনের অবসান হয়, তবে তাহাতে আনন্দ ছাড়া নিরানন্দের কোনো কারণ নেই।

–স্বামী দয়ানন্দ অবধূত

১৭. যে-ব্যক্তি পাপের মতো পুণ্যকেও গোপন রাখে সেই খাঁটি লোক।

সুফি ইয়াকুব

১৮. পৃথিবীতে কিছুসংখ্যক লোক আছে, তাদের যতক্ষণ অনুগ্রহ করা যায় ততক্ষণই খুশি থাকে।

–আর্নল্ড বেনেট

১৯. আত্মজয়ের চেষ্টাই সর্বশ্রেষ্ঠ জেহাদ।

–আল-হাদিস

২০. ছাঁচেঢালা মনুষ্যত্ব কখনো টেঁকে না–সজীব মনের তত্ত্বের সঙ্গে বিদ্যার তত্ত্ব যদি না মেলে তা হলে হয় একদিন ছাঁচ হবে ফেটে চুরমার, নয় মানুষের মন যাবে মরে আড়ষ্ট হয়ে। কিম্বা কলের পুতুল হয়ে দাঁড়াবে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১. ভালোবাসা, আশা, দুঃখ এবং বিশ্বাস দিয়ে গড়া মানুষের চরিত্র।রাবর্ট ব্রাউনিং

২২. মানবসন্তান স্বাধীনভাবেই এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। কাজেই এই স্বাধীনতা মানুষমাত্রেরই জন্মগত অধিকার।

–আল-হাদিস

২৩. জটিলতা অক্ষমতারই পরিচয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪. মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে।…মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আরেক জন্ম সকলকে নিয়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫. উৎকৃষ্ট বীর থেকেই উত্তম বৃক্ষ জন্ম নেয়।

–জন গে

২৬. যেখানেই জন্মাক মানুষ মানুষই।

মার্টিন লুথার কিং

২৭. কোনো প্রাণীকেই নীচ প্রকৃতির বলা চলে না,–নীচতা হল কেবলমাত্র মানুষের বৈশিষ্ট্য।

–জিম করবেট

২৮. প্রত্যক মানুষের মধ্যেই কিছু পশুপ্রবৃত্তি থাকে। মাঝে মাঝে সে প্রবৃত্তির প্রকাশ হওয়া দরকার। যারা প্রথমের দিকে প্রকাশ করে না, চেপে রাখে, পরবর্তী জীবনে তারাই আগ্নেয়গিরির মতো ফেটে পড়ে।

নিমাই ভট্টাচার্য

২৯. আমরা যখন তৃষ্ণার্ত নই তখন জল পান করা এবং সকল মরসুমে ভালোবাসাবাসিতে মেতে থাকা–এসবই অন্যান্য পশুদের থেকে মানুষকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে।

–বিউমার কাইস

৩০. তোমার শত্রু যদি ক্ষুধিত হয়, তাহাকে আহার করাও, যদি সে পিপাসিত হয়, তাহাকে পান করাও।

বাইবেল

৩১. খাঁটি যে-মানুষ তার একার অন্তরের শক্তিকে পৃথিবীর কোনো সাম্রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীও হার মানাতে পারে না। সেই একটি মানুষই শেষ পর্যন্ত হবে জয়ী। ম্যাকসুইনি

৩২. মানুষমাত্রই মানবকল্যাণের কথা চিন্তা করতে পারে না। মানবকল্যাণের আদর্শে উদ্বুদ্ধ যিনি, কেবল তিনিই মানবকল্যাণের বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে সক্ষম।

–শোপেনহাওয়ার

৩৩. নম্রতা ও ভদ্রতাগুণ দুটো মানুষের জীবনের পুরাতন ঐশ্বর্য।

জন স্টুয়ার্ট মিল

৩৪. মনের উদারতার সাথে ঐশ্বর্যের তুলনা করা চলে না।

মার্শাল

৩৫. কর্তৃত্বের অধিকারই মনুষ্যত্যের অধিকার।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৬. মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।

রিচার্ড বাক্সটার

৩৭. খারাপ লোকেরা তাদের অন্যায় কাজকে বারবার ক্ষমা করতে থাকে আর ভালো লোকেরা পরিত্যাগ করে।

বেন জনসন

৩৮. সারা বিশ্বের জন্যে কারও পক্ষে কাঁদা সম্ভব নয়। ব্যাপারটা মানুষের ক্ষমতার বাইরে। মানুষকে তাই বেছে নিতেই হয়।

–জা সানুই

৩৯. পৃথিবী কণ্টকময় হচ্ছে তার অকৃতজ্ঞ সন্তানদের জন্য।

টামাস বার্থ

৪০. যে-ব্যক্তির বেশভূষার মধ্যে শৃঙ্খলা নেই, সে মানসিকভাবে অসুস্থ।

–বেন জনসন।

৪১. অকৃতজ্ঞ মানুষ পরিপূর্ণরূপে মানুষ নয়।

স্টামাস হার্ডি

৪২. মানুষের শ্রদ্ধার জন্য লালয়িত হয়ো না, তুমি শুধু তোমার কাজ করে যাবে। সাধনাপথে শ্রদ্ধা-সম্মানের জন্য লালায়িত হলে তোমার সাধনা পণ্ড হয়ে যাবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

৪৩. জীবনের মহৎ বিকাশের জন্য সুখ ও সম্পদ আমাদের সহায় নহে, কেবল আঘাত ও দুঃখ দ্বারাই মানুষ শক্তি সঞ্চয় করিয়া জগতের উপর তাহার প্রভাব বিস্তার করে।

–জগদীশচন্দ্র বসু

৪৪. দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধিগো
জলে ডুবি বাচি পাইলে ডাঙা।
কালো আর ধলো বাইরে কেবল
ভিতরে সবারি সমান রাঙা।

–সত্যেন্ত্রনাথ দত্ত

৪৫. জ্ঞান জীবনকে পূর্ণতা দান করে, সুখ জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী করে, শুভকর্ম জীবনকে মৃত্যুহীন করে।

–এন. টি. কোলরিজ

৪৬. অকৃতজ্ঞ হচ্ছে অহংকারের অন্যতম সন্তান।

–এস. গার্থ

৪৭. অকৃতজ্ঞ মানুষের মতো অকৃতজ্ঞ জাতিও আছে। যারা তাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সূর্য-সন্তানদের সম্মান করে না, তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্টতম অকৃতজ্ঞ জাতি।

–আহমদ শরীফ

৪৮. যে নিজেকে অপমানিত হতে দেয় সে অপমানিত হওয়ার যোগ্য।

কোরনেলি

৪৯. একজন মহান ব্যক্তিত্বকে বোঝা যায় ছোট ব্যক্তিদের সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক ব্যবহার দেখে।

—ডেল কার্নেগি

৫০. অপমানের প্রতিশোধ নেওয়াটা সহাসের বড়াই নয়, সঙ্গত।

–শরশ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫১. শ্রদ্ধা ও স্নেহের অভিনন্দন মন দিয়ে গ্রহণ করতে হয়, তার জবাব দিতে নেই।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫২. মানুষ অশান্তি চায় না, আবার মানুষই অশান্তির কারণ।

–আবু জাফর শামসুদ্দীন

৫৩. অসহায়কে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। কারণ মানুষমাত্রই জীবনের কোনো-না কোনো সময়ে অসহায়ত্বের শিকার হবে।

–গোল্ডস্মিথ

৫৪. গড়িয়া তুলিতে সংযম দরকার হয়, নষ্ট করিতে অসংযম। ধারণা করিতে সংযম চাই, আর মিথ্যা বুজিতেই অসংযম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৫. সাধারণের মধ্যে অসাধারণ–এ এক অনন্য গুণ।

–দিব্যেন্দু পালিত

৫৬. অহঙ্কারী ব্যক্তিমাত্রই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি।

–লর্ড হেলিফক্স

৫৭. অহঙ্কার থেকেই বেশির ভাগ অনিষ্টের সৃষ্টি হয়।

–টি. এ. কেম্পিস

৫৮. অহঙ্কার পতনের মূল।

প্রবাদ

৫৯. অহঙ্কার এবং দারিদ্র্য পাশাপাশি বাস করতেই পছন্দ করে।

–লর্ড হ্যালিফক্স

৬০. আমি স্বপ্নবিলাসী নহি। আমি নিজেকে একজন কুশলকর্মা আশীর্বাদী বলিয়া দাবি করি। অহিংসা কেবল ঋষি ও মুনিগণের ধর্ম নহে, ইহা সাধারণ মানুষের ধর্ম। বলপ্রয়োগ পশুর ধর্ম, মানুষের ধর্ম অহিংসা। পশুর মধ্যে আত্মিক শক্তি নিদ্রিত। সে বাহুবল ছাড়া আর কিছু বুঝে না; কিন্তু মানুষের মর্যাদা তাহাকে উচ্চতর নীতি ও আত্মিক শক্তি গ্রহণ করিতে প্রেরণা দেয়।

মহাত্মা গান্ধী

৬১. আমি বুঝতে শিখেছি যে, কেউ আর কারও কথা ভাবে না। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রাতঃরাশের আগে, প্রাতঃরাশের পরে, এমনকি মাঝরাতেও তারা নিজেদের কথাই ভাবে। নিজেদের মথায় যন্ত্রণা হলে তারা যতখানি ব্যস্ত হয়, আপনার মৃত্যুসংবাদও তাদের অতটা বিচলিত করতে পারে না।

—ডেল কার্নেগি

৬২. আত্মকেন্দ্রিক লোক দ্বারা সমাজের কোনো উপকার হয় না।

জর্জ ব্রো

৬৩. যার আত্মমর্যাদা বোধ নেই, সে পদে-পদে মাথা হেঁট করে চলতে পারে।

–ড. আহমদ শরীফ

৬৪. আদর্শ হচ্ছে এমন এক প্রহরী যা মানুষকে সৎ পথে চলতে শেখায়।

স্পেন্সর

৬৫. যে আদর্শ যথার্থ মহান তাহা কেবল কাল বিশেষ বা অবস্থা বিশেষের উপযোগী নহে। তাহা মনুষ্যকে মুনষ্যত্ব দান করে, সে মানুষ সকল কালে সকল অবস্থাতেই আপন শ্রেষ্ঠতা রাখিতে পারে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৬. মানুষ সবসময় সর্বাবস্থায় আমিকে খোঁজে। আমি কে, আমি কী, আমি কোথায়? এই আমিত্ব নিয়েই মানুষের জীবনসাধনা। যেখানে আমি নেই, যেখানে আমি স্বার্থ নেই, সেখানে মানুষমাত্রই নির্বিকার। সবকিছু তছনছ হয়ে গেলেও সেখানে মানুষ আগ্রহ প্রকাশকে অকারণ বলে মনে করে চরম উপেক্ষা দেখায়।

–ডেল কার্নেগি

৬৭. আমি আছি তো সব আছে। যেখানে আমি নেই সেখানে কিছুই নেই। মানুষমাত্রই এমন স্বার্থান্ধ।

সৈয়দ মুজতবা আলী

৬৮. একথা চিন্তা করে বার মিলিয়ন নিগ্রো অধিবাসীর লজ্জিত হওয়ার কোনো হেতু নেই যে, তারা ক্রীতদাসের বংশধর। ক্রীতদাস হওয়ার মধ্যে কোনো অগৌরব নেই, অগৌরব রয়েছে ক্রীতদাসের মালিক হওয়ায়।

মহাত্মা গান্ধী

৬৯. নিগ্রোদের সঙ্গে আমাদের গায়ের রঙ যে এক নয় তা নিশ্চিত সত্য। হয়তো আরও বহু কিছুতেই তারা এক নয়, কিন্তু সাদা-কালো নির্বিশেষে অন্যসব মানুষের মতো তাদেরও রুটিরুজির সংস্থানের অধিকার রয়েছে।

আব্রাহাম লিঙ্কন

৭০. যার বুদ্ধি নেই, তার থেকে কৃতজ্ঞতা আশা কোরো না।

–হযরত আলি (রা.)

৭১. মানুষকে বিশ্বাস করো, তারা তোমার প্রতি সৎ হবে, তাদের প্রতি মহৎ আচরণ করো, তারা তোমার প্রতি মহত্ত্ব দেখাবে।

–ইমারসন

৭২. দেশ বা জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায় মানুষের জন্য যত বড় সম্পদই হোক না কেন, মনুষ্যত্ব বা মানবধর্ম তার চেয়ে অনেক বড়, বহু উর্ধ্বে তার স্থান।

–আবুল ফজল

৭৩. মানুষ মানুষের অসহায়ত্বের কথা ভাববে, মানুষ মানুষের দুরবস্থায় চিন্তিত হবে, মানুষ মানুষের পরাজয়ে বেদনা বোধ করবে, মানুষ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, মানুষ মানুষের সুখের পথ বাতলে দেবে–এটাইতো মানবতা। এটাইতো মানবতন্ত্র।

মুস্তাফা নূরউল ইসলাম

৭৪. মানুষই মানুষের ভবিষ্যৎ। মানুষের বিকাশই মানুষের অস্তিত্ব। মানুষ তার নিজের অস্তিত্বের জন্য দায়ী। স্বীয় কর্মকাণ্ডের যোগফল ব্যতীত সে আর কিছু নয়।

–জাঁ পল সার্ত্র

৭৫. পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব সতীত্বের চেয়ে বড়।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৭৬. মানুষ পঙ্কিলতা বা সৌন্দর্য যার মধ্যেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সে মানুষই।

স্যার জন ডেভিস

৭৭. মানুষকেই বিদ্রোহ করতে হয়–কখনো নিজের জন্য, কখনো পরের জন্য।

–বার্নস

৭৮. আমরা যা করতে পারি তার তুলনায় কিছুই করা হয়ে ওঠেনি। বলা যায় আমরা অর্ধেক জেগে আছি মাত্র। আমাদের দৈহিক ও মানসিক ক্ষমতার সামান্য এক অংশকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। মানুষের মধ্যে প্রবল প্রচণ্ড এক শক্তি ঘুমিয়ে আছে, কিন্তু সহজে জাগে না।

–ডেল কার্নেগি

৭৯. আমি মুসলমান সমাজের বটে, কিন্তু তারও উপর আমি মানুষ; আমি ভারতবাসী বটে, কিন্তু তার উপর আমি মানুষ, আমি বাঙালী বটে, কিন্তু তারও উপর আমি মানুষ। একটা গোলাপের গাছ যেমন সাধারণ উদ্ভিদের ধর্ম অবহেলা করে গোলাপের গাছরূপে আত্মপ্রকাশ করতে পারে না, তেমনি একজন মানুষ মানুষের ধর্ম অবহেলা করে আদর্শ মুসলমান, আদর্শ ভারতবাসী কিংবা আদর্শ বাঙালী হতে পারে না।

–এস. ওয়াজেদ আলী

৮০. মা, মাটি, মানুষ ও মাতৃভূমিকে যে ভালোবাসে না, সে মানুষ নয়।

–জাহানারা ইমাম

৮১. মহৎ মানুষদের নিজস্ব একটা জাত আছে–যেখানে সহজে কেউ প্রবেশ করতে পারে না।

জন ওয়াল্টার

৮২. যার দ্বারা জগতের কল্যাণ সাধিত হয়, মানুষের মধ্যে সেই ব্যক্তিই মহীয়ান।

–জালালউদ্দিন রুমি

৮৩. একজন মানুষ যত বেশি মহৎ তত বেশি সুখী।

–ইয়ং

৮৪. মানুষকে বড় করে দেখা এবং মানুষকে ভালোবেসে তা কল্যাণচিন্তা করাটাই মানবতন্ত্র।

-–লেনিন

৮৫. পৃথিবীটা আমার দেশ, সমস্ত মানব জাতি আমার ভাই এবং সবার মঙ্গল করাই আমার ধর্ম।

–টমাস পেইন ৮৬. আমাদের মন্ত্র হবে মানবতন্ত্র। কোনো ধর্মের মহৎ শিক্ষাকেই আমরা বিসর্জন দেব না।

–আবুল ফজল ৮৭. ভুল করা কোনো সমস্যা নয়, কারণ যে ভুল করে না সে মানুষই নয়।

–ডেল কার্নেগি

৮৮. নিজের মর্যদা যে বোঝে না, তার শক্তিকেও সে বোঝে না। জন রাসেল ৮৯. সৎবিবেক শ্রেষ্ঠতম স্বর্গীয় গুণ।

–টমাস ফুলার

৯০. বংশবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা পশুদের বেলায় সত্য, কিন্তু স্মৃতিশক্তি, গুণ এবং মহৎ কাজ এসব হলো মানবজীবনের বৈশিষ্ট্য।

ফ্রান্সিস বেকন

৯১. মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুলের সৌরভের মতো।

চার্লস এম. স্কয়ার

৯২. সবার সঙ্গে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন। –মার্ক টোয়েন

৯৩. মানুষ আগের চাইতে খারাপ থাকার জন্য, আগের চাইতে কম অধিকার পাবার জন্য সমাজবদ্ধ হয়নি, বরং অধিকারের নিশ্চয়তার জন্যই সমাজবদ্ধ হয়েছে।

–টমাস পেইন

৯৪. সমাজ এবং সংসারের কাছ থেকে মানুষ অনেক কিছু আশা করে। সমাজব্যবস্থা তেমন হওয়া উচিত যাতে মানুষ আশা থেকে বঞ্চিত না হয়।

–ভিক্টর হুগো

৯৫. সমাজের মধ্যে মানুষ হারায় প্রাকৃতিক স্বাধীনতা আর সে যা-কিছু পেতে চায় কিংবা তার উপর অসীম অধিকার, কিন্তু তার বদলে পায় সভ্যতা স্বাধীনতা আর যা-কিছু তার আছে তার স্বত্বাধিকার।

–জা জ্যাক রুশো

৯৬. আমরা সমাজের মধ্যে বাস করি। সুতরাং যা-কিছু সমাজের জন্য ভালো নয়, তা আমাদের জন্যও ভালো নয়।

ভলতেয়ার

৯৭. পশুর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে আমাদের লাভ কি, যদি আমাদের গৌরব করার মতো কিছুই না থাকে।

–কাজী নজরুল ইসলাম

৯৮. সঙ্কীর্ণ মানসিকতা যতখানি অশান্তি ডেকে আনে, ততখানি আর কিছুতে আনে না।

ফ্রাঙ্ক পুটনার

৯৯. একজন সঙ্কীর্ণ সানসিকতাসম্পন্ন মানুষ সংসারে যতখানি অসুখী, ততখানি আর কেউ নয়।

–কিপলিং

১০০. পরিবারের জন্য উৎসর্গ করো ব্যক্তিকে,
আর সমাজের জন্য করো পরিবারকে,
সমাজকে করো দেশের জন্য উৎসর্গ,
কিন্তু আত্মার জন্য উৎসর্গ করো সারা বিশ্বকে।

সংস্কৃত আর্য উক্তি

১০১. আত্মমর্যাদাই মানুষের বড়ো গৌরব। সেই আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হলে তার বেঁচে থাকা অর্থহীন হয়ে ওঠে।

–মহাশ্বেতা দেবী

১০২. যার আত্মমর্যাদা বোধ আছে, সে অন্যায়ের কাছে মাথা হেঁট এবং অপরাধীর সাথে আপোস করতে পারে না।

বুদ্ধদেব বসু

১০৩. আত্মমর্যাদা হারাইলেই লোকের শ্রদ্ধা হারাইবে। উদার হও, লোকের হৃদয় জয় করিতে পারিবে। সত্যবাদী হও, লোকের বিশ্বাস পাইবে।

কনফুসিয়াস

১০৪. প্রত্যেকের আত্মমর্যাদাবোধ থাকা উচিত।

–কিপলিং

১০৫. আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে না পারলে তার জন্য মৃত্যুই শ্রেয়।

–ডেল কার্নেগি

১০৬. মানুষ বেশিক্ষণ আপনাকে দোষী করিয়া বসিয়া থাকিতে পারে না; এবং নিজের প্রতি দোষারোপ করিয়া অম্লানবদনে বসিয়া থাকাও তাহারা পক্ষে মঙ্গলজনক নহে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৭. নিজে ঠিক থাকলেই হল, লোকে কী বলে না-বলে তা নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত নয়।

রুজভেল্ট

১০৮. প্রতিজ্ঞার দিক দিয়ে প্রতিটি মানুষ সমান, তারা আলাদা কেবল তাদের কর্মে।

–মলিয়ের

১০৯. দ্ৰতা করা ভাল, কিন্তু তা যেন আন্তরিকতাবর্জিত না হয়। –জর্জ হার্বার্ট ১১০. বই অধ্যয়ন করার চেয়ে মানুষ অধ্যয়ন করাটাই সর্বাগ্রে প্রয়োজনীয়।

–জর্জ ব্রো

১১১. ভদ্রলোক মানে সদাশয় লোক। যিনি দয়ালু, যিনি নিজের উন্নতির চিন্তা করেন এবং পরের মঙ্গল কামনা করেন, তিনিই প্রকৃত ভদ্রলোক।

বুকার ওয়াশিংটন

১১২. সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরই খোদার কণ্ঠস্বর।

–অ্যালকুইন

১১৩. পৃথিবীতে মাত্র দুটি গুণের সমন্বয় দেখা যায়–যোগ্যতা আর অযোগ্যতা। আর দুটিমাত্র শ্রেণীর লোকও দেখা যায়–যোগ্য ও অযোগ্য ব্যক্তি।

জর্জ বার্নার্ড শ

১১৪. মানুষের সমস্ত প্রয়োজনকে দুরূহ করিয়া দিয়া ঈশ্বর মানুষের গৌরব বাড়াইয়াছেন। পশুর জন্য মাঠ ভরিয়া তৃণ পড়িয়া আছে, মানুষকে অন্নের জন্য প্রাণপণ করিয়া মরিতে হয়। আমাদের অন্নমুষ্টি আমাদের গৌরব। পশুর গাত্রবস্ত্রের অভাব একদিনের জন্যও নাই। গাত্রবস্ত্র মানুষের গৌবর। আত্মরক্ষার উপায় সঙ্গে লইয়া মানুষ ভূমিষ্ঠ হয় নাই। কোমল ত্বক এবং দুর্বল শরীর লইয়া মানুষ যে আজ সমস্ত প্রাণিসমাজের মধ্যে আপনাকে জয়ী করিয়াছে, ইহা মানবশক্তির গৌরব।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৫. খোদাতা’আলায় সম্পূর্ণরূপে আপনাকে অর্পণ করা, সেই মহাসম্রাটের দরবার হইতে যাহা কিছু আসে, ফুলুমনে তাহাই গ্রহণ করা–তাঁহারই ইচ্ছা–সিন্ধু নীরে আপন ইচ্ছাম্বুদ মিশাইয়া দেওয়া–ইহাই ইসলাম।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

১১৬. যাকে মান্য করা যায় তার কাছে নত হও।

টেনিস

১১৭. পরলোকে সেই অনন্ত শান্তি-রাজ্যে যদি সত্যসত্যই তোমার বিশ্বাস থাকিত, ধর্ম যদি তোমার নিকট সত্য জিনিস হইত, তবে কি সামান্য দুই হাত জমি লইয়া, একটা আল লইয়া মানুষ হইয়া মানুষের মাথায় লাঠি মারিতে?

শ্রীক্ষিতিনাথ ঘোষ

১১৮. যে কর্ম করে, কৃতকর্মের জন্য সে-ই দায়ী, কিন্তু কর্মের আর একটা দিক চিন্তা করিবার আছে। ব্যক্তিগত কর্ম ব্যতীত পারিবারিক কর্ম এবং জাতীয় কর্মের ফলও মানুষকে ভোগ করিতে হয়।

শ্রীক্ষিতিনাথ ঘোষ

১১৯. যারা আত্মপ্রসংশা করে, খোদা তাদের ঘৃণা করেন। সেন্ট ক্লিমেন্ট ১২০এ জগতে একজন সৎলোকই ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।

পোপ

১২১. সভ্যসমাজে শৃঙ্খলিতভাবে বাস করা, অসভ্যসমাজে স্বাধীনভাবে বাস করার চেয়ে ভালো।

–এডিট কলিন্স

১২২. যে ভদ্র, কথায় সে।

–হযরত আলি (রা.)

১২৩. মনুষ্যত্বকে যারা শ্রদ্ধা করতে শেখে নাই, তাদের স্বাধীনতা পাবার কোনো অধিকার নাই; মনুষ্যত্ব মানবজীবনের উচ্চাঙ্গের ভদ্রতা ছাড়া আর কিছু নয়।

–ড. লুৎফর রহমান

১২৪. একজন উৎকৃষ্ট ভদ্রলোক হতে হলে অনেক জিনিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু সবচেয়ে প্রথমে যে-জিনিসের প্রয়োজন হয় সে হচ্ছে নাপিতের। –গোল্ডস্মিথ

১২৫. যে সৎ ব্যক্তি অসৎ ব্যক্তির পেছনে ঘোরে, সে সত্যি করুণার পাত্র।

সক্রেটিস

১২৬. সূর্যের যেমন তাপ আছে, তেমনি সৎলোকের মধ্যেও নির্ভীক দীপ্তি আছে।

জন স্টিল

১২৭. পৃথিবীতে সৎলোকের সংখ্যা বড়ই নগণ্য।

–সুইফট

১২৮. যেদেশে অসংখ্য দরিদ্র লোক আছে, তাদের সভ্যজাতি বলে গর্ব করা উচিত নয়।

–জন ডেনহাম

১২৯. অরণ্যে পশু-সহবাসে স্বাধীন বিচরণ করা অপেক্ষা বান্ধবসমাজে শৃঙ্খলিত জীবন-যাপন সহস্র গুণে শ্রেয়।

–শেখ সাদি

১৩০. সমাজ ও সংসারের কাছ থেকে মানুষ অনেক কিছু আশা করে। সমাজব্যবস্থা তেমন হওয়া উচিত যাতে মানুষ তার আশা থেকে বঞ্চিত না হয়। ভিক্টর হুগো

১৩১. তুমি সমাজসেবা নিজ গৃহ থেকে শুরু করো, তা হলে সামগ্রিকভাবে দেশের কল্যাণ আসবে।

রিচার্ড গ্রেড

১৩২. যে-ব্যক্তি সমাজের অন্তর্ভুক্ত নয়, হয় সে দেবতা–নয়তো পশু।

–অ্যারিস্টটল

১৩৩. আমি একজন লর্ড তৈরি করতে পারি; কিন্তু বিধাতাই একজন ভদ্রলোক তৈরি করতে পারেন।

–জন সেলডন

১৩৪. একটি সুন্দর মুখের কুৎসিত কথার চেয়ে একটি কুৎসিত মুখের মধুর কথা অধিকতর সুন্দর।

-ইমারসন

১৩৫. ভদ্রতার আর এক নাম সহানুভূতি ও প্রেম। যে-পরিবারে ভদ্রতা নাই, সেই পরিবারের সদস্যরা সাধারণত নিষ্ঠুরহৃদয়, কাণ্ড-জ্ঞানহীন, স্বার্থপর, কটুভাষী ও অসহিষ্ণু।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৩৬. ঔদ্ধত্য মানুষের জীবনে দুঃখ আনে।

–টমাস ক্যাম্বেল

১৩৭. চরিত্রবল সৃষ্টি করতে হলে জনসমাজে মেলামেশা করো, কিন্তু যদি প্রতিভার সম্যক প্রস্ফুরণ তোমার কাম্য হয়, তবে সাধনা করো নির্জনে।

–গ্যেটে

১৩৮. কারও ধনসম্পদ নষ্ট হলে কিছুই ক্ষতি হয় না; স্বাস্থ্য নষ্ট হলে কিছুটা ক্ষতি হয়, সময় নষ্ট হলে আরও বেশি ক্ষতি হয়, চরিত্র নষ্ট হলে সবকিছুই নষ্ট হয় আর ক্ষতি হয়।

–অজ্ঞাত

১৩৯. মানুষকে যারা শ্রদ্ধা করতে শেখে নাই তাদের স্বাধীনতা পাবার কোনো অধিকার নেই, মনুষ্যত্ব মানবজীবনের উচ্চাঙ্গের ভদ্রতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

–ড. লুৎফর রহমান

১৪০. সমাজের সবচেয়ে বড় আশাই ব্যক্তিগত চরিত্র।

–চ্যানিং

১৪১. জনসাধারণের লজ্জা বা কৃতজ্ঞতা বলে কিছু নেই।

–হেজলিট

১৪২. জনতা সবচেয়ে জ্ঞানী সমালোচকের থেকেও বিজ্ঞ।

ব্যান ক্রোফট

১৪৩. মানুষের অনুধাবন করার মতো সাতটি প্রয়োজনীয় জিনিস আছে। যেমন : (ক) হাড়কিপটেমি করে অগাধ অর্থ লাভ করা যায় না। (খ) সবলকে দুর্বল করার মাধ্যমে দুর্বলকে সবল করা যায় না। (গ) বড় মানুষকে নিচে নামালেই নিচের মানুষকে উপরে তোলা যায় না। (ঘ) মালিকের বিনাশ করে শ্রমিককে ধনী করা সম্ভব নয়। (ঙ) মানুষের উৎসাহ ও স্বাধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের চরিত্রের ও সাহসের দ্বিকরণ সম্ভব নয়। (চ) ধনীকে মারলেই গরিব বেঁচে যাবে, এটা ঠিক নয়। (ছ) কাউকে চিরদিন সাহায্য করা সম্ভব নয়, যদি সেই লোক নিজেকে নিজে সাহায্য করে।

–Argonaut পত্রিকার সৌজন্যে

১৪৪. শ্রেষ্ঠ মানুষের তিনটি চিহ্ন থাকে, ধার্মিক হওয়ার দরুন তিনি দুশ্চিন্তামুক্ত, জ্ঞানী হওয়ার জন্য তিনি হতবুদ্ধিতা থেকে মুক্ত এবং সাহসী হওয়ার জন্য তিনি ভয়মুক্ত হয়ে থাকেন।

কনফুসিয়াস

১৪৫. জগত জুড়িয়া এক জাতি আছে,
সে জাতির নাম ‘মানুষ’ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি-শশী মোদের সাথী।

–সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

১৪৬. একজন ভালো আইনবিদ প্রতিবেশী হিসেবে ভালো নয়।

ফ্রাংকলিন

১৪৭. মৃত্যুর পরে যার জন্য মানুষ মানুষের হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকে, সে হচ্ছে তার ব্যবহার।

–এডওয়ার্ড জন

১৪৮. সংসারে প্রত্যেকের সাথে ভালো ব্যবহার করো; কারণ কখন কার সাহায্য তোমার প্রয়োজন হয়ে পড়বে বলা যায় না।

–কিমার

১৪৯. ভদ্র হতে হলে নম্র হতে হবে। কেননা, বীজ মাটিতে না পড়লে অঙ্কুরোদগম হয় না।

–শেখ সাদি

১৫০. শ্রদ্ধা করতে জানলেই অন্যের শ্রদ্ধাভাজন হওয়া যায়।

–জন রে

১৫১. শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং শ্রেষ্ঠ সত্য সবসময়ই সরল হয়ে থাকে।

–এ. ডব্লিউ. হেয়ার

১৫২. লোক যদি তোমাকে অভদ্র বলে তবে তোমার শিক্ষা, আভিজাত্য ও অর্থের কোনো মূল্যই রইল না।

–জি. জে. নর্থান

১৫৩. সুন্দর পোশাক পরিহিত ব্যক্তিমাত্রই ভদ্রলোক নয়।

–জন রে

১৫৪. কোনো মহৎ ব্যক্তির জীবনই নিরর্থক নয়। পৃথিবীর ইতিহাস বৃহৎ ব্যক্তিবর্গের ইতিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।

–কার্লাইল

১৫৫. কোনো মহৎ লোকের জীবনই বৃথা যায় না, সেখানে কেউ সহজে প্রবেশ করতে পারে না।

–জন ড্রিংক ওয়াটার

১৫৬. মর্যাদা লাভ হয় জ্ঞানের মাধ্যমে, রক্ত-সম্পর্কের মাধ্যমে নয়; সৌন্দর্যের সুষমা বিকশিত হয় শিষ্টাচারের মাধ্যমে, উত্তম পোশাকে নয়।

–ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

১৫৭. যে বিশ্বমানবের হিতসাধন করে সে-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ।

–আল-হাদিস

১৫৮. আমি আমার পরিবার-পরিজনের চাইতে আমার দেশকে অধিক ভালবাসি; আর ততোধিক ভালোবাসি মানবজাতিকে।

ফেনিলোনা

১৫৯. অভাবেও যার স্বভাব ঠিক থাকে, সে-ই যথার্থ চরিত্রবান।

–সেনেকো

১৬০. চরিত্র ছাড়া মানুষের গৌরব করার কিছুই নেই। মানুষের শ্রদ্ধা যদি মানুষের প্রাপ্য হয়, মানুষ যদি মানুষকে শ্রদ্ধা করে, সে শুধু চরিত্রের জন্য। অন্য কোনো কারণে মানুষের মাথা মানুষের সামনে নত হবার দরকার নেই।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৬১. তোমার প্রতিবেশীর ঘরে যখন আগুন জ্বলে, তোমার নিজেরই নিরাপত্তা তখন বিপন্ন।

–হোরেস

১৬২. যে-প্রতিবেশী তোমার নিকট শান্তি প্রত্যাশা করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ো না।

-হযরত সোলায়মান (আ.)

১৬৩. অপরের জন্য উৎসর্গীকৃত জীবনই হচ্ছে সার্থক জীবন।

–আইনস্টাইন

১৬৪. মহৎ কারণে যার মৃত্যু ঘটে, সে অপরাজেয়।

–বায়রন

১৬৫. সূর্য যেমন অনন্তকাল ধরে মাথার উপরে আলো দান করে যাচ্ছে, তেমনি মহৎ কাজ চিরদিন মানুষের মনে শ্রদ্ধার সঙ্গে বিরাজ করবে।

লঙফেলো

১৬৬. যা ন্যায় নয়, তেমন কোনোকিছুই সত্যিকারভাবে মহৎ হতে পারে না।

–জনসন

১৬৭. মানুষের প্রধান লক্ষণ এই যে, মানুষ একলা নয়। প্রত্যেক মানুষ বহু মানুষের সঙ্গে যুক্ত, বহু মানুষের হাতে তৈরি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৮. তুমি যদি অভুক্ত কোনো কুকুরকে তুলে নাও এবং তাকে আদরযত্ন করে সমৃদ্ধ কর তা হলে সে তোমাকে কামড়াবে না। এখানেই মানুষ ও কুকুরের সাথে আদর্শগত পার্থক্য।

–মার্ক টোয়েন

১৬৯. আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক অধিকারের মধ্যে নিহিত রয়েছে একটা দায়িত্ব। প্রত্যেক সুযোগ-সুবিধার মধ্যে একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা, প্রত্যেক স্বত্বাধিকারের মধ্যে একটা কর্তব্য।

জন. ডি. রকফেলার জুনিয়র

১৭০. মানুষকে সমান করে সৃষ্টি করা হয়েছে। স্রষ্টা তাকে কতিপয় অবিচ্ছেদ্য অধিকারে ভূষিত করেছেন; আর তাদের মধ্যে রয়েছে জীবন, স্বাধীনতা ও সুখ-শান্তির সন্ধান।

–টমাস জেফারসন

১৭১. মানুষ যখন কষ্ট সহ্য করতে পারবে, তখনই মনে করতে হবে সে নৈতিক চরিত্রের দিক দিয়ে অনেক উন্নততর হয়েছে।

–জন স্টুয়ার্ট মিল

১৭২. চরিত্রগঠনের কাজ শিশুকাল থেকে মরণের আগ পর্যন্ত চলতে থাকে।

–মিসেস ফ্রাংকলিন ডি. রুজভেল্ট

১৭৩. প্রত্যেক ব্যক্তির প্রত্যহ কমপক্ষে একটি গান শোনা, একটি কবিতা পড়া, একটি সুন্দর চিত্র দেখা এবং সম্ভব হলে কিছু সৎ বাক্য বলা উচিত।

গ্যেটে

১৭৪. শত্রুর সঙ্গে সবসময় ভালো ব্যবহার করলে সে একদিন বন্ধুতে পরিণত হবে।

–এডমন্ড বার্ক

১৭৫. বন্ধুর সাথে এরূপ ব্যবহার করো যাতে বিচারকের শরণাপন্ন হতে না হয়, আর শত্রুর সাথে এরূপ ব্যবহার করো যাতে বিচারকের দ্বারস্থ হলে তুমিই জয়ী হও।

–প্লেটো

১৭৬. মানুষের সাথে নিষ্ঠুর ব্যবহার করে যে খোদার সাথে প্রেম করতে চায়, তার বুদ্ধি খুব কম।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৭৭. ভালো ব্যবহার করতে গেলে ছোট ছোট স্বার্থ ত্যাগ করতেই হবে।

–ইমারসন

১৭৮. ধার্মিক হবার আগে ভদ্র হবার চেষ্টা করুন।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৭৯. তুমি যদি অন্য কোনো কাজ করতে না পার তবে প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে জল তুলতে সাহায্য করো।

–ওয়েন মেরিডিল

১৮০. মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই অকৃতজ্ঞ, অবিশ্বাসী, ধোঁকাবাজ, মিথ্যাবাদী ও স্বার্থান্বেষী হতে চায়।

–মেকিয়াভেলি

১৮১. মানুষ হল রাজনৈতিক জীব।

–প্লেটো

১৮২. এমন কোনো মানুষ নেই, যাকে দুঃখ এবং রোগ স্পর্শ করেনি।

ইউরিপাইডাস

১৮৩. যে মানুষ হিসেবে ভালো, সে নাগরিক হিসেবেও ভালো।

সুইনবার্ন

১৮৪. প্রত্যেক মানুষই অদ্ভুত।

–শেক্সপীয়ার

১৮৫. ঈশ্বর নিশ্চয়ই সাধারণ লোককে ভালোবাসেন, এজন্য তিনি তাদের এত বেশি করে তৈরি করেছেন।

লিংকন

১৮৬. মানুষ চার ধরনের হয়ে থাকে। যে লোক অজ্ঞ এবং সে জানে না যে সে অজ্ঞ–সে বেওকুফ, তাকে পরিত্যাগ করো। যে অজ্ঞ এবং যে জানে যে সে অজ্ঞ–সে। সরল লোক। যে জানে এবং সে জানে যে সে জানে–সে জ্ঞানী; তাকে অনুসরণ করো।

আরবি প্রবাদ

১৮৭. কিছুটা পাগলামো ছাড়া বড় কোনো প্রতিভাবানের দেখা মেলে না।

অ্যারিস্টটল

১৮৮. নশ্বরদের মধ্যে প্রতিভাবানরা সবচেয়ে ভাগ্যবান এজন্যে যে তারা যা অবশ্যই করবে তারা সবাই সেটিই করতে চায়।

ডব্লিউ. এইচ. অডেন

১৮৯. জীবনেই হোক, জীবনাবসানেই হোক, একজন উত্তম ব্যক্তির মন্দ কিছুই ঘটতে পারে না।

সক্রেটিস

১৯০. ব্যক্তিত্ব গঠন এবং মর্যাদাপ্রাপ্তির সর্বোত্তম পন্থা হল উদারতা।

–হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ)

১৯১. উকিল বা ডাক্তারদের ট্রজেডি এই যে, মামলা জেতার পর কিংবা রোগ সেরে যাওয়ার পর মক্কেল বা রোগীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না।

–শংকর

১৯২. যারা দোকানে বসে খায়, ধর্মশালায় গিয়ে ঘুমোয়, প্রমোদাগারে গিয়ে লীলাবিলাস করে, যথেচ্ছ ভ্রমণে বেরোয়, রুগ্ন অবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়, তারা স্বাধীন হতে পারে, কিন্তু তারা দুর্ভাগা।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

১৯৩. প্রতিটি মানুষ চাঁদের মতো যার একটা অন্ধকার দিক আছে, সেদিক সে কাউকে দেখাতে চায় না।

–মার্ক টোয়েন

১৯৪. মানুষ যতই ছোট হোক, যতই সে অবজ্ঞাত হয়ে থাকুক–তার মধ্যে অসীম ক্ষমতা, অনন্ত প্রতিভা ঘুমিয়ে আছে–অনুকূল পরিবেশ পেলে তার ভেতরকার রূপ ও মহিমা অনন্ত শিখায় ফুটে উঠবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৯৫. মানবতা শিক্ষা দেবার বড় শিক্ষক হল মহাপুরুষদের জীবন।

ফাউলার

১৯৬. ভীরুরা তাদের প্রকৃত মৃত্যুর আগেই বহুবার মরে। কিন্তু সাহসীরা জীবনে মাত্র একবারই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে থাকে।

শেক্সপীয়ার

১৯৭. জগতে যে-সকল মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের গৌরবের মূল এই চরিত্রশক্তি। তুমি চরিত্রবান লোক–একথার অর্থ এই নয় যে, তুমি শুধু লম্পট নও। তুমি সত্যবাদী, বিনয়ী এবং স্বাধীনতাপ্রিয় চরিত্রবান মানে এই।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৯৮. আমরা নিজেদের ক্ষতি না করে কখনো অন্যের ক্ষতিসাধন করতে পারি না।

ডেসম্যাহিস

১৯৯. মাটির সারই হল মানুষ।

–কাশতকার

২০০. ধনে কি মানুষ বড় মানুষ হয়? ধনের বড় মানুষ কখনোই মনের বড় মানুষ নহে। আমি ধন দেখিয়া তোমাকে সমাদর করিব না, বাহুবলের জন্য তোমাকে সম্ভ্রম করিব না, কেবল মন দেখিয়াই পূজা করিব।

–ডা. লুৎফর রহমান

২০১. পরশ্রীকাতর লোভী ব্যক্তি কখনো শান্তি পায় না।

রাবেয়া বসরি (রহ.)

২০২. একজনমাত্র সাহসী ব্যক্তি সংখাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার সমতুল্য।

এন্ড্রু জ্যাকসন

২০৩. পৃথিবীতে জনমত-নির্বিশেষে তিনটি জিনিস সব মানুষকে প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করে চলে। তা হল : (ক) যৌনসম্পর্ক। নর-নারীর যৌনসম্পর্কিত বিষয়। (খ) বিষয়, সম্পদ, অর্থ। (গ) ধর্ম বা ধর্মীয় বিষয়মূলক চেতনার বিশ্লেষণ।

–ডেল কার্নেগি

২০৪. আমি মানুষের সঙ্গ পছন্দ করি। তাই নিজেকে দুর্বোধ্য করে তুলতে চাই না।

–সি. কলিন্স

২০৫. সময় এবং পরিবেশ মানুষের দৃষ্টিকে প্রসারিত করে।

এলবার্ট হার্বার্ট

২০৬. সুস্থ চিন্তা নিয়ে অসুস্থ সমাজে বাস করেও তৃপ্তি আছে। স্যা

মুয়েল লাডার

২০৭. বৃদ্ধবয়সের জীবনদান অনেক বেশি রহস্যময়।

–জন ড্রিংক ওয়াটার

২০৮. হিংসুক ব্যক্তি তিন প্রকার কষ্টে নিপতিত হয় ও আত্মদহন, মানুষের ঘৃণা এবং আল্লাহর গজব।

-ইবনে মুয়াইদ

২০৯. মানুষের মনটা মাটির মতো, কিন্তু তা থেকেই ক্রমশ অদ্ভুত এবং সুন্দরতম জিনিস আসে।

–ডব্লিউ. জে. টারনার

২১০. ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি প্রতিটি মানুষের জীবনেই আনন্দ আনে।

টমসন

২১১. কোনো মহৎ লোকের জীবন বৃথা যেতে পারে না। ইতিহাস তাকে পূর্ণ মর্যাদা দান করবে।

কার্লাইল

২১২. অতিরিক্ত পরিশ্রম জীবনে পূর্ণতা আনে সত্যই, কিন্তু আয়ুকে খর্ব করে।

স্কট

২১৩. তোমরা পিতৃ-পিতামহের তাঁবুতে পড়ে থেকে নিদ্রা যেয়ো না। পৃথিবী এগিয়ে চলছে, তার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যাও।

–ম্যাজিনি

২১৪. সন্দেহপ্রবণ মন সবসময় পাথরের মতো ভারী থাকে।

ফ্রান্সিস কোয়ারলেস

২১৫. দুনিয়ার সব মানুষ মাটির ভাষায় কথা বলে।

ফ্রিম্যান

২১৬. সমাজসেবার নামে মানুষকে ঠকিও না, এর চেয়ে বড় অন্যায় নেই।

অস্টন

২১৭. মানুষ একই রকম থেকে যায়। এমনকি যখন তার চেহারা শত খণ্ডে ভেঙে পড়ে তখনও।

–বেট্রোল্ট ব্রেখট ২১৮. মানুষ কদাচিৎ একই সঙ্গে সৌভাগ্য ও শুভবুদ্ধি আশীর্বাদস্বরূপ লাভ করে।

–লিভি ২১৯. তিনটি বিশেষ সময়ে তিন প্রকার লোকের প্রয়োজন দেখা যায়? যুদ্ধে বীরপুরুষের, ব্যাপক সংকটের সময় ধৈর্যশীলের এবং বিপদে ভ্রাতার।

ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

২২০. আনন্দের সময় মানুষের মুখে খই ফোটে; কিন্তু দুঃখের ক্ষণে কথার/সব হারিয়ে যায়।

–হেসেন হান্ট জ্যাকসন

২২১. অনাবিল সুন্দরের প্রত্যাশা নিয়েই পৃথিবীতে একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে।

–ক্রিস্টোফার মারলে

২২২. মানুষেরাও একধরনের কয়েদি; কারণ তারা যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারে না।

প্লেটো

২২৩. জীবন হচ্ছে সামান্য জিনিসের বৃহৎ বন্ধন।

–ও. ডব্লিউ হোমস

২২৪. মানুষের বড় সম্পদ হল তার সুনাম।

–শেক্সপীয়ার

২২৫. অসৎলোকের জনপ্রিয়তা নিজের সঙ্গে প্রতারণা করার মতোই দুর্বিষহ।

–রবার্ট লুজেন্টে

২২৬. বিধাতার জন্য কিছু করতে চাইলে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করো।

–আর. জি. ইংগার সেলি

২২৭. মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।

-উইলিয়াম ওয়াটসন

২২৮. তিনটি অভ্যাস মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তোলে–(১) জ্ঞানীর সাহচর্য (২) ব্যবহারের আমায়িকতা ও (৩) খরচের ভারসাম্য রক্ষা করা।

জুহাইর

২২৯. অভ্যাসই অভ্যাসকে অতিক্রম করতে পারে।

–আইজ্যাক উইলিয়াম

২৩০. অন্যের কল্যাণ করবার সময় অন্তরে বিশ্বাস রেখো যে, তুমি নিজেরই কল্যাণ সাধন করছ।

–ফারাবি

২৩১. সঙ্গীসাথিরা খারাপ হলে অপরাধপ্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

–রবার্ট ই. শেরউড

২৩২. হিংসা মানুষকে এমনভাবে ধ্বংস করে, যেভাবে মরিচা লোহাকে ধ্বংস করে।

–ইবনুল খাতিব

২৩৩. একজন লোভী এবং অহংকারী মানুষকে বিধাতা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন।

–জন রে

২৩৪. যার ব্যক্তিত্ব নেই, তাকে কখনো অনুসরণ করার চেষ্টা করবে না।

–লুইস ক্যারল

২৩৫. মাধুর্যমণ্ডিত ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে থেকেও যদি তোমার ব্যবহার মধুর না হয়, তবে তা দুঃখজনক।

–জে. এ. গুডচাইল্ড

২৩৬. যারা নিজেদের নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত সমাজ, তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করতে পারে না।

–ডা, লুৎফর রহমান

২৩৭. আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী ‘পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।

কামিনী রায়

২৩৮. তুমি সবকিছু করে ফেলার পর রয়ে যাও অবিকল তুমি।

–গ্যেটে

২৩৯. তুমি যা তা-ই হও; নিজের চেয়ে উন্নত হওয়ার এটাই প্রথম ধাপ।

–জুলিয়াস হেয়ার এবং অগাস্টাস হেয়ার

২৪০. তুমি কী হতে চাও, সেটা বড় নয়; তুমি কী, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

–পাবলিলিয়াস সাইরাস

২৪১.–আমার ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা
আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই
যে মোরে করেছে পর।

জসীম উদ্দীন

২৪২. প্রতিভাবান ব্যক্তিরাই ধৈর্য ধারণ করতে পারে।

ই. সি. স্টেটম্যান

২৪৩. মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন পাওয়া যায় তাদের ভেতরের গুণাবলি থেকে; আর পশু-পক্ষীর শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন পাওয়া যায় তাদের বাইরের গুণাবলি থেকে।

–রাশিয়ান প্রবাদ

২৪৪. আমি দোষবর্জিত মানুষ নই; আমি অন্যায় করতে পারি–এ-চিন্তা সর্বক্ষণ স্মরণ করতে হবে।

ডব্লিউ. জি. বেনহাম

২৪৫. শান্তিতে প্রতিবেশীর সঙ্গে বসবাস করতে হলে সবসময় তার খোঁজখবর রাখতে হবে।

–জন ক্লার্ক ২৪৬. অসৎ ব্যক্তি সৎ ব্যক্তির কাজের মধ্যে মহৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পায় না।

–জন বেকার

২৪৭. পৃথিবীতে দু-ধরনের মানুষ আছে। এদের একদল বেঁচে থাকার জন্য খায়: আর একদল আছে, যারা খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকে। পৃথিবীর যা-কিছু মহৎ কাজ, তা প্রথম দলের লোকেরাই করে।

বি. সি. রায়।

২৪৮. সব মানুষেরই কান আছে, কিন্তু সবাই সুষ্ঠুভাবে শুনতে পায় না। তার ফলেই পৃথিবীতে এত অশান্তি।

সিসতো

২৪৯. কুলীনের ঘরে জন্মিলেই সে প্রকৃত কুলীন নয়। যে সব কুলীন করতে পেরেছে–সে-ই প্রকৃত কুলীন।

–আরবি সাহিত্য থেকে

২৫০. মানুষের মধ্যে যদি কৃতজ্ঞতাবোধের অভাব থাকে, তবে সে মানুষ হিসেবে পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না।

–ওয়াল্ট হুইটম্যান

২৫১. সে-ই যথার্থ মানুষ, যে জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখেছে এবং পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে।

বায়রন

২৫২. বুড়ো মানুষকে কথা বলতে দেওয়া ভালো, তাতে তাদের মনে হবে তারাও বুঝি সংসারের কলে দম দিচ্ছে। বেচারারা জানতে পারে না, তাদের রসনা যেখানে চলছে, সংসার তার থেকে অনেক দূরে চলছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৩. অন্য লোকে মানুষকে যত ঠকায়, মানুষ নিজেই নিজেকে তার চেয়ে বেশি ঠকায়।

গ্রিভিল

২৫৪. নাম মানুষকে বড়ো করে না, মানুষই নামকে জাঁকাইয়া তোলে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৫. তিন কারণে মানুষের চরিত্রে পরিবর্তন হয় : রাজার সঙ্গলাভ, ক্ষমতালাভ, দারিদ্রের পর প্রচুর ধনলাভ। এই তিন অবস্থার কোনো এক বা একাধিক অবস্থাসম্পন্ন। হয়েও যদি কোনো ব্যক্তির চরিত্রে পরিবর্তন না হয়, তবে জানবে সে-ব্যক্তি বুদ্ধিমান।

–হযরত আলি (রা.)

২৫৬. মানুষ তার প্রভুত্বকে জাহির করতে ভালোবাসে আর জীবজন্তুরা তা গোপন রাখাই পছন্দ করে।

রাশিয়ান প্রবাদ

২৫৭. মানুষই একমাত্র প্রাণী যে খিদে না পেলেও খায় এবং তৃষ্ণা না পেলেও পানি পান করে।

–অলিভার কুক

২৫৮. মানুষের মধ্যে সাদা-কালোর কোনো তফাত নেই; নেই কোনো তফাত রক্তগত কিংবা বংশগত আভিজাত্যের। কেননা, সব মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি।

–আল-হাদিস

২৫৯. মানুষ বুড়ো হলেও তার দুটি বিষয় বুড়ো হয় না–ধনসম্পত্তি উপার্জনের লোভ এবং জীবনের আশা।

–আল-হাদিস

২৬০. যুবকেরাই বৃদ্ধদের অবহেলা করে বেশি, শিশুরা তাদের অত্যধিক পছন্দ করে।

–কুপার

২৬১. প্রভাবশালী লোককে সবাই ভয় পায়, কিন্তু কেউ শ্রদ্ধা করে না।

–জন রে

২৬২. মানুষের মৃত্যু আমাকে আঘাত করে না। কিন্তু মনুষ্যত্বের মৃত্যুকে আমি সইতে পারি না।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২৬৩. মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্ত শিক্ষাটাই তার অধীন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৪. ভালুক ধরার আগে তার চামড়া বেচো না।

–টমাস ফুলার

২৬৫. রাত নামার আগে প্রশংসা কোরো না দিনের।

–টমাস ফুলার

২৬৬. দূর থেকে মহাপুরুষদের যতই বড় দেখাক না কেন, আমরা যতই তাদের নিকটে আসি এবং যতই তাঁদের সংস্পর্শে আসি, ততই বেশি করে আমরা বুঝতে পারি যে, তাঁরা আমাদের মতোই মানুষ।

–আব্রু ইরে

২৬৭. মানুষের শ্রেণিবিন্যাস একমাত্র তার মর্যাদানুসারেই করা উচিত।

–আর. জি. ট্রেস

২৬৮. মানবতার সেবায় যিনি নিজের জীবন নিঃশেষে বিলিয়ে দিতে পারেন, তিনিই মহামানব।

–আল-হাদিস

২৬৯. পৃথিবীটা আমার দেশ, সমস্ত মানবজাতি আমার ভাই এবং সবার ভালো করাই আমার ধর্ম।

–টমাস পেইন

২৭০. মানুষ নির্মাণ করে প্রয়োজনে, সৃষ্টি করে আনন্দে, বুদ্ধির পরিচয় দেয় জ্ঞানের বিষয়ে, যোগ্যতার পরিচয় দেয় কৃতিত্বে এবং আপনার পরিচয় দেয় সৃষ্টিতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭১. একজন মানুষের কাছে তার একমাত্র পথপ্রদর্শক হচ্ছে তার বিবেক। তার মরণোত্তর খ্যাতির একমাত্র ধর্ম হচ্ছে তার সততা এবং তার আচরণের আন্তরিকতা।

–চার্চিল

২৭২. মানুষ যতই ছোট হোক, যতই সে অবজ্ঞাত হয়ে থাকুক, তার মধ্যে অসীম ক্ষমতা, অনন্ত প্রতিভা ঘুমিয়ে রয়েছে–অনুকূল পরিবেশ পেলে তার ভেতরকার রূপ ও মহিমা অনন্ত শিখায় ফুটে উঠবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

২৭৩. মানুষকে জানো এবং তাকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে শেখো।

–শেলি

২৭৪. নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রেষ্ঠভাবে গড়েছি। তারপর তাকে নীচতম স্তরেও নামিয়েছি। যারা আমাকে বিশ্বাস করে ভালো কাজ করবে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য পুরস্কার থাকবে।

–আল-কোরআন

২৭৫. আমি মানুষকে তার কাজের দ্বারা বিচার করতে চাই।

ম্যান কেন

২৭৬. শুধু মানুষেরে পায় না মানুষ
নাহি কারো অধিকার,
মানুষ সবারে পাইল এ ভবে
মানুষ হ’ল না কার।

জসীম উদ্দীন

২৭৭. মানুষমাত্রই আল্লাহর সৈনিক। অসুন্দর পৃথিবীকে সুন্দর করতে, সব নির্যাতন, সব অশান্তি থেকে মুক্ত করতেই মানুষের জন্ম।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৭৮. বৃদ্ধ বয়স ও সময়ের অগ্রগতি মানুষকে অনেককিছু শেখায়। –

-সোফোক্লেস

২৭৯. বাপ-মা তোমার যে-নাম রেখেছেন সে শুধু অন্যের থেকে পৃথক করে ডাকবার উপায়। পৃথিবীর কাছে তোমর মনুষ্যত্বের পরিচয় হচ্ছে তোমার সত্যিকারের নাম।

–পারস্য উপদেশ

২৮০. ব্যক্তিগত স্বাধীনতা মানুষের সুখ ও মর্যাদার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।

বুলওয়ার লিটন

২৮১. আমাদের কোনো ভরসা নেই। প্রাকৃতিক বিশ্বে আমাদের জন্য এতটুকু সুখের স্থান নেই। তথাপি মানুষ হয়ে জন্মেছি বলে আমরা দুঃখিত নই। পশু হিসেবে বেঁচে থাকার চেয়ে মানুষ হিসেবে মরে যাওয়া অনেক ভালো।

কুচ

২৮২. উপরে উঠতে হলে আগে নিচে নামুন।

–জর্জ এড

২৮৩. মানুষ কোনো বিষয় থেকে বাস্তবতাকে মুছে দিয়ে তাকে সংস্কার করে, এরপর আর বুঝতে পারে না এই অলীক জিনিসটা নিয়ে সে কী করবে।

–জি. কে. চেস্টারটন

২৮৪. জাতি ধর্ম রাষ্ট্র ন্যায়
যে মানুষের তরে।
মানুষ সবার উর্ধ্বে,
নহে কিছু তার অধিক।

–সুফী মোতাহার হোসেন

২৮৫. যুবকরাই হচ্ছে গোটা সমাজের সবচেয়ে সক্রিয় আর সবচেয়ে সজীব শক্তি। তবে অবশ্যই বৃদ্ধ ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে যুবকদের শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।

–মাও সে-তুং

২৮৬. আয় ছুটে ভাই, হিন্দু-মুসলমান,
ঐ দেখ ঝরছে মায়ের দু’নয়ান।
আজ এক করে দে সন্ধ্যা নামায
মিশিয়ে দে আজ, বেদ-কোরান।

–রজনীকান্ত সেন

২৮৭. যে-লোক মানবতার শর্তগুলো নিয়ে সবসময় পীড়িত, হয় তার নিজের কোনো সমস্যা নেই, নয়তো সেটির মুখোমুখি হতে চায় না।

–হেনরি মিলার

২৮৮. দানবের সঙ্গে যে যুদ্ধ করে তার খেয়াল রাখা উচিত এভাবে যেন সে নিজেই দানব না হয়ে ওঠে।

–নিৎসে

২৮৯. আজকের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সর্বজাতীয় সমঝোতার। মানুষে-মানুষে বোঝাঁপড়া যেমন প্রয়োজন, তার চেয়ে বহুগুণে বেশি প্রয়োজন তেমনি জাতিতে জাতিতে বোঝাঁপড়া।

মুহাম্মদ মনসুরউদ্দীন

২৯০. সমাজসংস্কারকদের সবসময় গোড়ার দিকে দৃষ্টি রাখতে হয়। কারণ মূল উৎপাটন করতে না পারলে কোনো সমস্যার সমাধান স্থায়ী হয় না।

–জেফারসন

২৯১. কোনো মানুষেরই মনটা ষোল আনা তার নিজের নয়, তবে তার পনের আনা সমাজের।

–নরেশ গুপ্ত

২৯২. সমাজ যতই অগ্রসর হয় ততই অনধিকারী এবং অধিকারী, রসিক এবং অরসিক–এই দুই সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হতে থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৯৩. বাল্যকাল দেখলেই বোঝা যায় ছেলেটি ভবিষ্যতে কী ধরনের মানুষ হবে, যেমন সকাল দেখলেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে।

–মিল্টন

২৯৪. একজন লোককে খুন করলে কোনো ব্যক্তি খুনি বলে চিহ্নিত হয়, কিন্তু যে শত মানুষ খুন করে সে বীররূপে আখ্যায়িত হয়।

–পোরটেস

২৯৫. প্রাণী হিসেবে মানুষ একটা Species বা প্রজাতি। এ কারণে মানুষমাত্রেরই জীবন-চেতনায় কতকগুলো মৌলিক ঐক্য রয়েছে। ঘৃণায় ও ভালোবাসায়, লোভে ও ত্যাগে, ক্ষমায় ও প্রতিহিংসায়, সমাজবিরোধে ও সহযোগিতায়, দায়িত্ব সচেতনতায় ও কর্তব্যবোধে, দ্বন্দ্বে ও সংগ্রামে মানুষ প্রায় সর্বত্রই অভিন্ন। জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বোধের তারতম্য বা মতভেদ আছে মাত্র।

–ড. আহমেদ শরীফ

২৯৬. অভিজ্ঞতা আমাদের দুটো জিনিস শিক্ষা দেয়। প্রথমটি হল, শুধরে নেয়ার জন্যে বহু জিনিস বাকি রয়ে গেছে আমাদের; দ্বিতীয়টি হল, খুব বেশি পরিমাণে শোধরানো আমাদের উচিত নয়।

দেলাক্রোয়া

২৯৭. লোকদের সুখী করবার জন্যে যারা নিজেরাই দায়িত্ব তুলে নেয়, প্রতিবেশীদের জীবন তারাই দুর্বিষহ করে তোলে সবচেয়ে বেশি।

–আনাতোল ফ্রাস

২৯৮. কিছু-কিছু ভুল আছে যা প্রতিটি রক্তমাংসের মানুষই করে থাকে। স্যামুয়েল ২৯৯. চরম ধ্বংসের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ মহৎ দৃষ্টান্ত রেখে যেতে পারে।

হান্নামুর

৩০০. যিনি ভালো লোক নন, তিনি কখনোই মহৎ লোক হতে পারেন না।

শেক্সপীয়ার

৩০১. কিছু লোক আছে যারা মহৎ হয়েই জন্মায়, কিছু লোক আছে যারা মহত্ত্ব অর্জন করে এবং কিছু লোক আছে যাদের উপর মহত্ত্ব অর্পিত হয়।

শেক্সপীয়ার

৩০২. মানুষকে তার প্রকৃত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত কোরো না। আর কুকাজ করে দেশে কোনোরকম অশান্তি সৃষ্টি করবে না।

–আল-কোরআন

৩০৩. মানুষের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম, যে উপদেশসমূহ অনুসরণ করে চলে।

জুবার্ট

৩০৪. সমস্ত সংস্কারই চরিত্র পায় উৎকাল্পনিক রণকৌশল আর কূটকৌশলগত সুযোগ-সন্ধানের মধ্য দিয়ে।

–ফরাসি ছাত্র বিদ্রোহীদের দেয়াল-লিখন

৩০৫. অন্যদের যদি তুমি পরিচ্ছন্ন করতে চাও, তা হলে নিজেই ক্ষয়ে যাবে, সাবানের মতো।

মাদাগাস্কারীয় প্রবাদ

৩০৬. হে খোদা, তুমি দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের উপর করুণাবর্ষণ করো। কারণ, যারা ভালো, তারা তোমার করুণা ছাড়া ভালো হয়নি।

–শেখ সাদি

৩০৭. আমি সেরকমই মানুষ, যেরকম করে আমার মা আমাকে তৈরি করেছেন।

ইমারসন

৩০৮. মানুষের জীবন সংক্ষিপ্ত আর কর্ম ব্যাপক।

–জন গে

৩০৯. মানুষের মধ্যে যখন লজ্জা বলতে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না, তখনই সে পশুতে পরিণত হয়।

–এডিউ ল্যাং

৩১০. যুগের দুঃসময় তখনই আসে যখন সমাজ যুবকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ব্যথা বেদনা স্বপ্নকে উপেক্ষা করতে থাকে।

–জর্জ চ্যাপমেন

৩১১. মানুষের পরশেরে, প্রতিদিন
ঠেকাইয়া দূরে,
ঘৃণা করেছ তুমি মানুষের প্রাণের ঠাকুরে।
বিধাতার রুদ্ররোষে
দুর্ভিক্ষের দ্বারে বসে
ভাগ করে খেতে হবে সকলের সাথে অন্ন পান
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩১২. মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে মানুষ প্রকৃতি শত্রুতা করলে তার বিনিময়ে সে কিছু দেয়। কিন্তু মানুষের শত্রুতা মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়।

স্যার রিচার্ড বার্টন

৩১৩. সকল মানুষই একে অপরের অঙ্গবিশেষ। কেননা তারা একই উপাদানে সৃষ্ট।

–শেখ সাদি

৩১৪. বিকাশের প্রধানতম শর্ত নিহিত থাকে মানবীর পছন্দের ভেতরে।

–জর্জ এলিয়ট

৩১৫. সর্পের চক্ষুর আকর্ষণে আকৃষ্ট হইয়া বনের পশু যেমন অবশভাবে তাহার দিকে ছুটিয়া যায়, তেমনি উড্রান্ত হইয়া সংসারের মানুষ দিনরাত স্বার্থের পশ্চাতে ছুটিয়া বেড়াইতেছে।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

৩১৬. ধর্ম নাই, পাপ-পুণ্য নাই, ন্যায় নাই, বিচার নাই, সকাল ছয়টা হইতে রাত দশটা পর্যন্ত সংসারের মানুষ পৃথিবীর বুকে রক্তলোলুপ ব্যাঘ্রের ন্যায় ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইতেছে–কিসে সংসারে দু’টি পয়সা আয় হয়–কিসে বড় হওয়া যায়।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

৩১৭. মানুষের যত প্রকার শক্তি আছে, তন্মধ্যে চিন্তাশক্তি প্রধান। এই শক্তির দ্বারা মানুষ দেবত্ব লাভ করিতে পারে–অসাধ্য সাধন করিতে পারে এবং সর্বজয়ী হইতে পারে। চিন্তার গভীরতা এবং ঐকান্তিকতার উপর তাহার ফলাফল নির্ভর করে।

শ্রীক্ষিতিনাথ ঘোষ

৩১৮. যে-ব্যক্তি সাম্প্রদায়িকতা করে সে মনুষ্য নামের উপযোগী নয়।

–বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

৩১৯. অন্যের নিকট হাত পাতার ফলে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়। সে-সম্পদ হচ্ছে আত্মমর্যাবোধ।

–হযরত আলি (রা.)

৩২০. মনের মানুষ মেলে না সংসারে, মানুষের মন তাই সঙ্গীহীন। আসলে আমরা সবাই একা। মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলন হয় বাইরের প্রয়োজনে–বন্ধুত্বের প্রয়োজনে, সৃষ্টির প্রয়োজনে, স্বার্থের প্রয়োজনে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

০৫. দেশ, জাতি ও ইতিহাস

১. শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনণের রায়ই শেষ কথা।

–হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি

২. দেশের জন্য একবিন্দু রক্তদান করার মতো মহৎ কাজ আর নেই।

জর্জ ক্যানিং

৩. আমার মনে হয় একমাত্র দেশকেই অন্ধের মতো ভালোবাসা যায়।

ব্রাউডিন

৪. একটি গণতন্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতা সমগ্র জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে।

অ্যারিস্টটল

৫. নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে জাতির সহায়তায়। মহত্ত্ব নিয়ে অনাসক্ত হয়ে ব্যক্তিসত্তার স্বকীয়তা ভুলতে হবে, লুপ্ত করে দিতে হবে। জাতির স্বার্থই হবে ব্যক্তির স্বার্থ। জাতির কল্যাণেই হবে ব্যক্তির কল্যাণ।

–এ. কে. ফজলুল হক

৬. আমি একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক; এর চাইতে বড় গৌরব আর কিসে হতে পারে?

–জে. আর. লাওয়েল

৭. ঢেঁকি যেমন স্বর্গেও ঢেঁকি তেমনি ইংরেজ সর্বত্রই খাড়া ইংরেজ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮. সমাজকল্যাণ হচ্ছে একটা ক্ষেত্র, যেখানে রাষ্ট্র, সমাজ এবং ব্যক্তি প্রত্যেকেরই সুনির্দিষ্ট ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে।

–কোপার

৯. সাধারণভাবে সরকারের কৌশলই হল একদল নাগরিকের কাছ থেকে যত পারা যায় টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্যদের কাছে তুলে দেয়া।

–ভলতেয়ার

১০. ইতিহাস পড়া ভালো, তবে ইতিহাস সৃষ্টিতেই মানুষের মহত্ত্ব।

নেহরু

১১. হাজার বছরের ঘূণেধরা এ সমাজব্যবস্থার উপর এমন আঘাত হানতে চাই যেমন হেনেছিলাম ‘৭১ সনে পাক-হানাদারবাহিনীর উপর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

১২. যখন কোনো ইউরোপীয় নিউ ইয়র্ক ও শিকাগোতে যায়, তখন সে দেখতে পায় ভবিষ্যৎকে; আর যখন এশিয়ায় যায়, তখন সে দেখতে পায় অতীতকে।

বার্ট্রান্ড রাসেল

১৩. প্রজাতন্ত্রের সরকার হচ্ছে জনগণ, আর বাজেট তাদের চাহিদার প্রতিফলন।

জন. এফ. কেনেডি

১৪. জনগণের ভাগ্য যদি তাদের সম্মিলিত ইচ্ছা দ্বারাই সৃষ্ট ও পালিত না হয়, তবে সেটা হয় খাঁচা, দানাপানি সেখানে ভালো মিলতেও পারে, কিন্তু তাকে নীড় বলা চলে না। সেখানে থাকতে থাকতে পাখা যায় আড়ষ্ট হয়ে। একনায়কতা শাস্ত্রের মধ্যেই থাক, শুরুর মধ্যেই আর রাষ্ট্রনেতার মধ্যেই থাক, মনুষ্যত্বহানির পক্ষে, এমন উপদ্রব আর ক্লিছুই নেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫. একজন ঐতিহাসিককে এমন ভূতের সঙ্গে তুলনা করা চলে, যে নাকি অতীতের কথা বলে।

হলম্যান

১৬. কোনো জাতির প্রচারপত্রের নমুনা দেখে সে-জাতির আদর্শের কথা বলা যেতে পারে।

ডগলাস

১৭. ঐতিহাসিক ঘটনার জনশ্রুতিতে বাস্তব ঘটনার সহিত মানব-মন মিশ্রিত হইয়া যে পদার্থ উদ্ভূত হয় তাহাই ঐতিহাসিক সত্য। সেই সত্যের বিবরণই মানবের নিকট চিরন্তন কৌতুকাবহ এবং শিক্ষার বিষয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮. গণতন্ত্র হল স্বাধীনতা, সাম্য, ব্যক্তিমূল্য ও সামাজিক চাহিদার সমন্বয়।

টমাস রো

১৯. গণতন্ত্রের চেয়ে গুণতন্ত্র ভালো। কিন্তু গুণের পুঁজি দিয়ে নিজের কাজ করলে তাতে গণের লাভ হয় না। তাই গুণে খাটো হলেও বেশি লোক যার ভাগীদার হবে গণতন্ত্রে তারই জয় ঘোষিত হয়।

আবদুর রহমান শাদাব

২০. সভ্যতা আর গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত পরমতসহিষ্ণুতা।

আবুল ফজল

২১. সে-ই সবচাইতে সুখী, যে নিজের দেশকে স্বর্গের মতো ভাবে।

ভার্জিল

২২. আইন ছাড়া সরকার টিকে থাকতে পারে, কিন্তু সরকার ছাড়া আইন বেঁচে থাকতে পারে না।

–বার্ট্রান্ড রাসেল

২৩. যে কালি দিয়ে ইতিহাস লেখা হয়, তা আসলে তরল সংস্কার।

–মার্ক টোয়েন

২৪. মানুষের ইতিহাস ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে শিক্ষা আর বিপর্যয়ের প্রতিযোগিতা।

–এইচ. জি. ওয়েস

২৫. মানুষ মরে যায় পূর্ণভাবে সে জন্ম নেয়ার আগেই।

–এরিকফ্রম

২৬. তৃষ্ণার্ত আত্মার জন্য স্নিগ্ধ জল যেমন, দূর প্রবাসে অবস্থানকালে স্বদেশ থেকে আগত সুসংবাদ ঠিক তেমনি।

বাইবেল

২৭. রাষ্ট্রে অসন্তোষের একটি কারণ হচ্ছে সেই অবস্থা যেখানে বিদ্বান বেশি কিন্তু চাকরি কম।

ফ্রন্সিস বেকন

২৮. চিরদিন অপরের কথা শুনিয়া আমরা নিজেদের পরিচয় ভুলিয়া গিয়াছিলাম, একবার চেষ্টা করিয়া দেখা গেল আমাদের ভাণ্ডে পরিচয় দিবার উপযোগী অমূল্য রত্ন যথেষ্ট রহিয়াছে। এতদিন শুধু তা অগ্রাহ্য করিয়া পরের নিকট হাত পাতিয়াছি।

কায়কোবাদ

২৯. যে-দেশে গণতন্ত্র নেই, সে-দেশে নিরাপত্তা নেই।

জে. আর. লাওয়েল

৩০. গণতন্ত্র যেখানে নেই, স্বস্তি সেখানে থাকার কথা নয়। –এস. বলডউইন

৩১. গণতন্ত্র মাথা গোনে, মস্তক অর্থাৎ ঘিলুর খোঁজ নেয় না।

অজ্ঞাত

৩২. ভেজাল গণতন্ত্র হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে লজ্জাহীন বস্তু।

এডমন্ড বার্ক

৩৩. গণতন্ত্র ও হিংসা একসঙ্গে চলতে পারে না।

–হুমায়ুন আজাদ

৩৪. একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সকল সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে।

অ্যারিস্টটল

৩৫. গণতন্ত্র হল পারস্পরিক মর্যাদার এক তীর্থভূমি।

ল্যাসওয়েল

৩৬. প্রকৃতিগত দিক থেকে গণতন্ত্র একটি আত্মহিতকর বা আত্মবিনাশক পদ্ধতি পরিণামে যার ফলাফল শূন্য ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না।

টমাস কার্লাইল

৩৭. এ-বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিকদের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় সংখ্যালঘুর ওপর চরমতম নিষ্ঠুর উৎপীড়ন চালাতে সক্ষম।

–এডমন্ড বার্ক

৩৮. গণতন্ত্রের মুল বীজ হল এই মতবাদ–আত্মবিশ্লেষণ করো এবং আত্মমর্যাদা বোধ জাগিয়ে তোলো।

ইমারসন

৩৯. গণতন্ত্রের সব চাইতে বড় শত্রু স্বৈরতন্ত্র নয়, তা হচ্ছে বল্গাহীন ব্যক্তিস্বাধীনতা।

–অটোকান

৪০. ধনতন্ত্রের দুষ্টগ্রহ দ্বারা সকল মানুষের কল্যাণসাধন সম্ভব নয়। সমাজতন্ত্রই একমাত্র মানবকল্যাণের উৎকৃষ্ট আদর্শ।

–ফিদেল ক্যাস্ট্রো

৪১. গণতন্ত্রে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের সমান মর্যাদা।

লেসিং

৪২. গবর্নমেন্ট শব্দটা শুনিবামাত্র হঠাৎ ভ্রম হয় যেন তাহা মানবধর্ম বিবর্জিত নির্গুণ পদার্থ। যেন তাহা রাগদ্বেষবিহীন। যেন তাহা স্তবে বিচলিত হয় না, বাহ্য চাকচিক্যে ভোলে না, যেন তাহার আত্মপর বিচার নাই, যেন তাহা নিরপেক্ষ কটাক্ষের দ্বারা মন্ত্র বলে মানবচরিত্রের রহস্য ভেদ করিতে পারে ……।

অজ্ঞাত

৪৩. কিন্তু আমরা নিশ্চয় জানি গবর্নমেন্ট আমাদেরই ন্যায় অনেকটা রক্তে-মাংসে গঠিত। উক্ত গবর্নমেন্ট নিমন্ত্রণে যান, বিনীত সম্ভাষণে আপ্যায়িত হন, লনটেনিস খেলেন, মহিলাদের সহিত মধুরালাপ করেন এবং অধম আমাদেরই মতো সামাজিক স্তুতিনিন্দায় বহুল পরিমাণে বিচলিত হইয়া থাকেন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৪. স্কুল-কলেজের ছাত্রদের পাঠ্যাবস্থাতেও দেশের কাজে যোগ দেবার–দেশের স্বাধীনতা-পরাধীনতার বিষয় চিন্তা করবার অধিকার আছে। এবং এই অধিকারের কথাটা মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করবারও অধিকার আছে।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৪৫. বয়স কখনও দেশের কাজ থেকে কাউকে আটকে রাখতে পারে না।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৪৬. সকল জাতির সঙ্গে শান্তি, বাণিজ্য এবং সৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে কারও সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

–জেফারসন

৪৭. দেশমাতৃকার জন্য যারা জীবন দান করেন, তারাই সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী।

–জর্জ হার্বার্ট

৪৮. জগতে এমন কোনো রাজশক্তি নেই, যা সমবেত জনগণের অপ্রতিহত বেগ রোধ করতে পারে।

–দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন

৪৯. দেশসেবা জিনিসটা যতদিন ধর্ম না হয়ে দাঁড়ায়, ততদিন তার মধ্যে খানিকটা ফাঁকি থেকে যায়। আবার ধর্ম যখন দেশের মাথা ছাড়িয়ে ওঠে, তখনও ঘটে বিপদ।

–শরৎচন্দ্র চট্টেপাধ্যায়

৫০. যদি মৃত্যুহীন হতে চাও, তোমাকে সত্তাবে দেশের কাজ করতে হবে।

জে. জি. হল্যান্ড

৫১. যে নিজের দেশের সেবা করে, তার পরিচয়ের জন্য পূর্বপুরুষদের পরিচয়ের ফিরিস্তির জের টানতে হয় না।

–ভলতেয়ার

৫২. যে-মায়ের সন্তান দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, তার মাতৃত্ব-গৌরব চিরভাস্বর।

জ্যাকসন

৫৩. বুদ্ধিজীবীদের কাছে তার দেশ এবং সেবিকার কাছে তার রুগীর একই ভূমিকা হওয়া উচিত।

–ওয়ালেস রাইস

৫৪. দেশের জন্য একবিন্দু রক্ত দান করার মতো মহৎ কাজ আর নেই।

–জর্জ ক্যানিং

৫৫. আমার দেশ হচ্ছে সমগ্র পৃথিবী এবং আমার ধর্ম হচ্ছে মানুষের কল্যাণসাধন করা।

–টমাস পেইন

৫৬. একজন বদমায়েশ দেশপ্রেমকে তার শেষ আশ্রয় হিসাবে প্রয়োগ করে।

–জনসন

৫৭. দেশকে ভালো না বাসলে তাকে ভালো করে জানবার ধৈর্য থাকে না, তাকে না জানলে তার ভালো করতে চাইলেও তার ভালো করা যায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৮. যে-পর্যন্ত মানুষের ভিতর থেকে দেশপ্রেমিকতাকে নিংড়ে ফেলে দিতে না পারা যাবে, সে-পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর কল্পনা করা যায় না।

বার্নার্ড শ

৫৯. যে-দেশপ্রেমিক নিজের ঘরকে ভালোবাসে না, তাকে যথার্থ দেশপ্রেমিক বলা যাবে না।

–এস. টি. কোলরিজ

৬০. যারা স্বদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে, তারা কোনোকালেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না। তারা দেশদ্রোহী।

নেলসন ম্যান্ডেলা

৬১. সামগ্রিকভাবে দেশের কল্যাণ তখনই আসবে, যখন সমাজসেবা নিজ গৃহ থেকে শুরু করবে।

রিচার্ড গ্রেভ

৬২. ধনী ও ক্ষুধার্ত লক্ষ লক্ষ জনসাধারণের ভিতর যে-পার্থক্য রয়েছে তা যতদিন থাকবে ততদিন অহিংস শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা কোনোমতেই সম্ভব হবে না।

মহাত্মা গান্ধী

৬৩. বলিষ্ঠ রাজনীতি কখনো কামনাকে ভয় পায় না।

–ওয়েডেল ফিলিপ

৬৪. তিক্ত বড়িকে মিষ্টি আকারে গেলানো রাজনীতির নৈপুণ্য।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৫. কোনো রাজনৈতিক দল বামপন্থি, কোনোটা ডানপন্থি, কোনোটা মধ্যপন্থি– কিন্তু জনগণের কল্যাণ করবে যারা, সেই সম্মুখপন্থি তথা প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের বড় অভাব এ-বিশ্বে।

–গুন্টার গ্রাস

৬৬. একটি লোক জানে না এবং সে মনে করে সে জানে–রাজনৈতিক উন্নতির জন্য এটিই দরকার।

বার্নার্ড শ

১০০

৬৭. যারা ভাবে তাদের নিজেদের দলীয় নীতিতেই সকল সততা আছে, সমস্ত কিছুকেই তারা চূড়ান্তে নিয়ে যায়; তারা স্বীকার করে না সামঞ্জস্যহীনতা রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে ফেলে।

অ্যারিস্টটল

৬৮. স্বাধীনতা সেই জিনিস যা রাজনীতির বাইরে থেকে রাজনীতি আহরণ করতে চায়।

–স্টিভেনসন

৬৯. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরোধী প্রতিটি দলই যে দেশ পরিচালনার অযোগ্য এটা প্রমাণ করতে গিয়েই প্রতিটি দল বেশির ভাগ শক্তি ক্ষয় করে ফেলে। প্রতিটি দলই তা করতে সমর্থ হয় এবং তারা প্রত্যেকেই সঠিক।

–এইচ. এল. মেনকেন

৭০. প্রতিটি দেশে দুটোর বেশি রাজনৈতিক দল থাকা উচিত নয়। একটি ক্ষমতাসীন

অন্যটি বিরোধী দল।

–জেমস্ হারমেস

৭১. রাজনীতিক দল বড় ভয়ানক জিনিস। কাজের চেয়ে কথা বেশি, কথার চেয়ে বেশি ঝগড়া এবং ঝগড়ার চেয়ে বেশি দলাদলি। আজকাল আবার দলাদলিকে ছাড়িয়ে গেছে ষড়যন্ত্র।

প্রবোধকুমার সান্যাল

৭২. রাষ্ট্রদূত হলো একজন ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি–যাঁকে তাঁর স্বদেশের স্বার্থে পাঠানো হয়ে থাকে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের জন্য।

–স্যার হেনরি ওটন

৭৩. জনগণের শুভেচ্ছাই একজন শাসকের প্রত্যাশা হওয়া উচিত।

জে. সি. হেয়ার

৭৪. অযোগ্য শাসনকর্তার মতো দেশ ও জাতির কেউ ক্ষতি করতে পারে না।

–অ্যারিস্টটল

৭৫. যে-দেশে দয়ালু শাসক, ন্যায়বিচার, দক্ষ চিকিৎসক, সুন্দর বাজার এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই–সে-দেশে বসবাস কোরো না।

–আবু আলি সিনা

৭৬. একজন জ্ঞানী প্রশাসক সময়োপযোগী শাসন করেন।

সিডনি লেনিয়ার

৭৭. শাসক আর বিচারকরা যতই শক্তিমান হোন ঘড়ির কাঁটাকে পিছিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তাঁদেরও নেই।

–আবুল ফজল

৭৮. সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর জীব হচ্ছে স্বেচ্ছাচারী শাসক এবং তার তোষামোদকারী পার্শ্বচর।

–নিজামুল মুল

৭৯. স্বৈরাচারী শাসকেরা সবসময় চারিদিকে ষড়যন্ত্র আর কুচক্রী দ্যাখে।

–শেখ হাসিনা

৮০. কেবল কষ্টে থাকার সময়ই ইংরেজরা নিজেদের নৈতিক মনে করে।

জর্জ বার্নার্ড শ

৮১. দেশ শাসনভার আল্লাহতাআলার নিকট থেকে আমানত।

–আল-হাদিস

৮২. ইতিহাসের একমাত্র শিক্ষা এই যে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।

অজানা

৮৩. ইতিহাস অসংখ্য জীবনীর সারমর্ম।

টমাস কার্লাইল

৮৪. যে শাসন কাঠামো দিয়ে মানুষকে শাসন করা হয়, তার সম্বন্ধে মতামত দেওয়া, আলোচনা-সমালোচনা করার অধিকার তার থাকা চাই। মানুষকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে শাসনতন্ত্র জড়যন্ত্রে পরিণত হতে বাধ্য। তখন বিচারক আর ফাঁসির রজ্জুতে কোনো তফাত থাকবে না।

–আবুল ফজল

৮৫. হয় সত্যদ্রষ্টা দার্শনিকের রাজনৈতিক শক্তির অধিকারী হতে হবে, নয়তো এমন আশ্চর্য কোনো ঘটনা ঘটা দরকার যাতে রাজনীতিকগণই দার্শনিকে পরিণত হবেন। তা না হলে এই নোংরা ঘৃণ্য সমাজ-ব্যবস্থায় মানুষের টিকে থাকা সম্ভব হবে না।

প্লেটো

৮৬. সেই সমাজই শ্রেষ্ঠ যেখানে মানুষ তাদের উৎপদিত দ্রব্যের মানকেই বেশি গুরুত্ব দেয় পণ্যের সংখ্যার চাইতে।

–লিন্ডন বি. জনসন

৮৭. সমাজ পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনাই উপযুক্ত মনে হয় না কেবল মিথ্যাচার ছাড়া, যতক্ষণ পর্যন্ত সমাজ নিজের পরিবর্তনের জন্যে মরিয়া না হয়ে উঠছে।

টি. এস. এলিয়ট

৮৮. সমাজের মুখের ভেতর আছে অসংখ অসুস্থ দাঁত, যা চোয়ালের হাড় পর্যন্ত পচা। কিন্তু সমাজ তাদের উপড়ে ফেলে স্বস্তি পেতে চায় না। সে সন্তুষ্ট থাকে সোনার ফিলিং নিয়ে।

খলিল জিবরান

৮৯. সমাজতন্ত্রই শোষিত জনগণের মুক্তির একমাত্র পথ।

লেনিন

৯০. মানুষকে, নিপীড়িত জনসাধারণকে যিনি ভালোবাসেন, সমাজতান্ত্রিক মতবাদকে তিনি শ্রেষ্ঠ ও শ্রেয় জ্ঞান না করে পারেন না।

–জ্যোতি বসু

৯১. সমাজতন্ত্রের কাছে একদিন সকল মতবাদকে নতজানু হতেই হবে।

–আবুল ফজল

৯২. সমাজতন্ত্রবাদ হচ্ছে স্ফটিকের ন্যায় শুদ্ধ। সুতরাং একে অর্জন করার জন্য স্ফটিকবৎ পন্থা অবলম্বন করা উচিত।

মহাত্মা গান্ধী

৯৩. সমাজতন্ত্র আধুনিক বিশ্বের মুক্তি সনদ।

–আবু জাফর শামসুদ্দীন

৯৪. যে-দেশে অসংখ্য দরিদ্র লোক আছে তাদের সভ্য জাতি বলে গর্ব করা উচিত নয়।

–জন ডেনহাম

৯৫. ব্যক্তির মতো জাতি বাঁচে ও মরে, কিন্তু সভ্যতা টিকে থাকে।

–মাজিন

৯৬. আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকার মানে এখনও বহুর বিরুদ্ধে গুটিকয়েকের সেই পুরানো ষড়যন্ত্রই, তবে তা এখন নতুন রূপ গ্রহণ করেছে।

বেবফ

৯৭. জনগণের মঙ্গলের জন্যই সরকার। কিন্তু অনুন্নত দেশের সরকার তার আখের গোছাতে গিয়ে জনগণের কথা বেমালুম ভুলে যায়।

সুভাষ মুখোপাধ্যায়

৯৮. যে-দেশের জনগণ শিক্ষিত ও সচেতন, সে-দেশের সরকার জনবিরোধী পদক্ষেপ নিতে ভয় পায়।

–সৈয়দ সব্যসাচী

৯৯. আমেরিকাকে দেখে কখনোই তরুণ সপ্রাণ মনে হয়নি আমার কাছে বরং মনে হয়েছে অকালবৃদ্ধের মতো, যেন পাকার সুযোগ পাওয়ার আগেই পচে গেছে কোনো ফল।

–হেনরি মিলার

১০০. মার্কিনি মনের চেয়ে বিবর্তনশীল কিছু নেই।

ওয়াল্ট হুইটম্যান

১০১. মাতৃভূমিকে যে ভালোবাসতে পারে না, তার পক্ষে অন্যকিছুকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।

বায়রন

১০২. আধুনিক রাষ্ট্রনীতির প্রেরণাশক্তি বীর্যাভিমান নয়, সে হচ্ছে ধনের লোভ, এই তত্ত্বটি মনে রাখা চাই। রাজগৌরবের সঙ্গে প্রজাদের একটা মানসিক সম্বন্ধ থাকে, কিন্তু ধনলোভের সঙ্গে তা থাকতেই পারে না। ধন নির্মম, নৈর্ব্যত্তিক। যে মুরগি সোনার ডিম পাড়ে, লোভ যে কেবল তার ডিমগুলোকেই ঝুড়িতে তোলে তা নয়, মুরগিটাকে সুদ্ধ সে জবাই করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৩. কোনটা ইতিহাস তাহা স্থির করিবার পূর্বে কোনটা ইতিহাস নহে তাহা নির্ণয় করা বিপুল পরিশ্রমের ও বিচক্ষণতার কাজ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৪. ইতিহাসের সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করা বড়ো কঠিন।… শোনা গেছে ইতিহাসের গান অমিত্রাক্ষর হয় না, এর চরণে চরণে মিল।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৫. ইতিহাস এমন একটি বিষয় যা কখনো ঘটেনি এবং এমন লোকের দ্বারা লিখিত যে কখনো সেখানে ছিল না।

যাযাবর

১০৬. গুজবের চোলাই করা অংশই হল ইতিহাস।

কার্লাইল

১০৭. বস্তুত ইতিহাস একটি স্বীকৃত উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

নেপোলিয়ান

১০৮. ইতিহাস মাত্রই যে বহুল পরিমাণে লেখকের অনুমান ও পাঠকের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, তাহাতে সন্দেহ নাই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৯. পৃথিবীর ইতিহাস হল মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য অন্বেষণের (রুটি ও মাখনের) তালিকা-বিশেষ।

ভ্যান লুন

১১০. কোনো ইতিহাসই কোনোকালে প্রশ্ন ও বিচারের অতীত হইতে পারে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১১. কী করে সেই দেশশাসনের আশা কর যেখানে পনিরই আছে দুইশো ছিচল্লিশ রকমের?

শার্ল দ্য গল

১১২. এমন ভালো কাজ এবং মন্দ কাজ নেই যা ইংরেজ করবে না। কিন্তু তুমি কখনোই তাদের অন্যায় বা ভুল করেছ বলতে পারবে না। ইংরেজের প্রতিটি কাজের পিছনে তার একটি আদর্শ থাকে। তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় দেশপ্রেমিকতার আদর্শে যুদ্ধ করবে, সে যদি তোমার সর্বস্ব লুণ্ঠন করে নেয়, তা হলে তা ব্যবসা করার আদর্শেই করবে এবং তোমাকে দাস বানিয়ে দাসত্ব করাতে হলে তার রাজকীয় আদর্শেই তা করবে।

বার্নার্ড শ

১১৩. ঈশ্বর স্বাধীনতা মঞ্জুর করে থাকেন তাদের যারা স্বাধীনতাকে ভালোবাসেন এবং সর্বদা সেটাকে পাহারা দিতে ও রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকেন।

দানিয়েল ওয়েবস্টার

১১৪. সংসারে যেখান হইতে ইতিহাস শুরু হয় তাহার অনেক পরের অধ্যায় হইতে লিখিত হইয়া থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৫. সব ইতিহাসই বাইরের দিকে অন্ন নিয়ে যুদ্ধ, আর ভিতরের দিকে তত্ত্ব নিয়ে

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৬. ইতিহাস হল অসংখ্য জীবনীর নির্যাস।

–বোলিংক

১১৭. ইতিহাস যে যার ইচ্ছা, আদর্শ ও চিন্তা অনুযায়ী লেখে, তাই সঠিক ইতিহাস বিরল।

ক্যানিং

১১৮. যদি এজন নিগ্রো দাসও তোমাদের শাসনকর্তারূপে নিযুক্ত হয়, তাহা হইলেও তাহার কথা শুনিও এবং তাহাকে মানিয়া চলিও। সে (ইমাম) যে-পর্যন্ত পাপকার্য বা অবৈধ কার্য করিতে না বলে সে-পর্যন্ত ইমামের কথা শুনা ও ইমামের হুকুম তামিল করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য। অত্যাচারী শাসনকর্তা কেয়ামতে (শেষবিচারের দিন) খোদাতা’আলার নিকট সর্বাপেক্ষা অধম হইবে।

–আল-হাদিস

১১৯. সেই দেশই সুখী যে-দেশের প্রতিটি মানুষই সর্বক্ষেত্রে তার অধিকার ভোগ করে চলেছে।

শেখ মোঃ আবদু

১২০. সরকার হচ্ছে একটি ট্রাস্ট আর সরকারের কর্মচারীরা ট্রাস্টরক্ষক এবং উভয়ই জনগণের কল্যাণের জন্য সৃষ্ট।

–হেনরি ক্লে

১২১. শাসনব্যবস্থার চারটি স্তর–ধর্ম, ন্যায়বিচার, মন্ত্রণা ও সম্পদ।

বেকন

১২২. জনতাকে কখনো উপদেশ দিতে যেও না।

আরবি প্রবাদ

১২৩. অধস্তন লোকদের দ্বারা শাসিত হওয়া কষ্টকর।

–ডেমোক্রিটাস

১২৪. মার্কিনি সমাজে উপাদান বেশ চঞ্চল, কারণ এর মানুষ আর বস্তু বদলে যাচ্ছে সব সময়; কিন্তু এও বড় একঘেয়ে, কারণ বদলগুলোও একই ধরনের।

আলেক্সি দ্য তকভিল

১২৫. আমেরিকা ছোট্ট একটা ঘরে বিশাল এক ভক্ত কুকুরের মতো। যতবারই সে লেজ দোলায়, চেয়ারে গিয়ে আঘাত লাগে।

–আর্নল্ড টয়েনবি

১২৬. অযোগ্য শাসনকর্তার মতো দেশ ও জাতির বড় ক্ষতি আর কেউ করতে পারে।

অ্যারিস্টটল

১২৭. বাজেট হচ্ছে পৌরাণিক শিমের থলে। সাংসদরা ভোট দিয়ে ভরিয়ে তোলে একে। এরপর হাত চালিয়ে বেছে তোলে আসল শিমগুলো।

উইলিয়াম রর্জাস

১২৮. সত্যিকার আযাদী অজ্ঞানতা হইতে আযাদী, সত্যিকার আযাদী মূর্খতা হইতে আযাদী। দেশের অজ্ঞানতা দূর করিতে হইবে। মূর্খতা বিনাশ করিতে হইবে। মানুষ জন্তুকে বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন ফেরেশতা স্বভাব–শ্রেষ্ঠ খাঁটি মানুষ বানাইতে হইবে।

ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

১২৯. ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদাদানই হলো গণত্রন্ত্রের প্রথম কথা। মানবপ্রকৃতির সাম্যের বিভক্তিতে গঠিত এই মর্যাদা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ভাবে সকল ব্যক্তির মধ্যে সমানভাবে বর্তমান। সুতরাং সাম্যই গণতন্ত্রের মুখ্য আদর্শ।

ইকুয়েলিটি (১৮৯৭) এডওয়ার্ড বেলামি

১৩০. ব্যাক্তি জন্ম নেয় এক মুষ্টি ধূলি থেকে
সরল দীন ব্যক্তির অন্তর থেকে জন্ম নেয় একটি জাতি।

ইকবাল

১৩১. ভালো ভালো কথা, কর্মসূচীপূর্ণ ভাষণ দেয়া সহজ। তা বাস্তবায়ন করা সহজ নয়।

–উড্র ইউলসন

১৩২. একটি জাতিকে সর্বপ্রথম মানবতার নিকট থেকে নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হবে। তারপর সে কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করবে।

ম্যাসিজান

১৩৩. স্বাধীন দেশের লোকদের নিকট বুলেটের চেয়ে ব্যালটের মূল্যই বেশি।

জেমস হগ

১৩৪. আমলাতন্ত্র কুরসি কুর্নিশ করে।

আতাউর রহমান খান

১৩৫. জীবনচরিতই একমাত্র সত্যিকারের ইতিহাস।

–কার্লাইল

১৩৬. গণতন্ত্র হল পারস্পরিক মর্যাদার এক তীর্থভূমি।

হ্যারল্ড ল্যাসওয়েল

১৩৭. একমাত্র গণতন্ত্রই পৃথিবীকে নিরাপদ করে তুলতে পারে।

উইলসন

১৩৮. গণতন্ত্রই হচ্ছে এমনই এক ধরনের সরকার যা জনগণের এবং জনগণের দ্বারা জনগণের জন্যই তৈরি।

আব্রাহাম লিংকন

১৩৯. গণতন্ত্র হল স্বাধীনতা ও সাম্যের এবং ব্যক্তিমূল্য ও সমাজের চাহিদার সমন্বয়।

টমাস রো

১৪০. চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে, কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, কাজের স্বাধীনতা থাকবে এবং উপাসনার স্বাধীনতা থাকবে–এই হল গণতান্ত্রিক মতাদর্শ।

থিউডোর পার্কার

১৪১. যে-দেশে গণতন্ত্র নেই, সে-দেশে নিরাপত্তাও নেই।

–জে. আর. লাওয়েল

১৪২. নিজেকে এবং জাতিকে বড় করতে হলে তোমাদের সমস্ত শক্তির পূর্ণ ব্যবহার চাই। তোমার নিজের বড় হওয়ার উপরেই জাতির বড় হওয়া নির্ভর করে। তুমি ছাড়া জাতি স্বতন্ত্র নয়। সকলে নিজেকে টেনে তোলো, জাতি বড় হবে। জাতির জাগরণ, জাতিকে আহ্বান করার অর্থ তোমাকে আহ্বান করা।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৪৩. কাকে বলে ইতিহাস? ইতিহাস কতগুলো সত্য, শেষমেষ যা মিথ্যে হয়ে যায়; আর উপকথা হচ্ছে সেইসব মিথ্যে, শেষে হয়ে যায় ইতিহাস।

জঁ ককতো

১৪৪. বঙ্গদেশ গোঁফে তেল, গাছে কাঁঠালের দেশ। যত বড় না মুখ, তত বড় কথার দেশ। পেটে পিলে, কানে কলম ও মাথায় শ্যামলার দেশ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৫. জনগণ আর সরকার ইতিহাস থেকে কখনোই কিছু শেখেনি, আর ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসা নীতি মেনে কোনো কাজও করেনি।

–হেগেল

১৪৬. কোন দেশেতে তরুলতা
সকল দেশের চাইতে শ্যামল,
কোন দেশেতে চলতে গেলে
দলতে হয় রে দূর্বাকোমল?
কোথায় ফলে সোনার ফসল
সোনার ফসল ফোটে রে?
সে আমার বাংলাদেশ
আমাদেরি বাংলারে।

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

১৪৭. সংখ্যালঘুদের চিন্তাভাবনা সবসময়েই নিরপেক্ষ হয়।

ইবসেন

১৪৮. পৃথিবীর ইতিহাস মানে সুযোগ পাওয়া সংখ্যালঘুদের ইতিহাস।

হেনরি মিলার

১৪৯. আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালী। এটি কোন আদর্শের কথা নয়, এটি একটি বাস্তব কথা। মা প্রকৃতি নিজের হাতে আমাদের। চেহারায় ও ভাষায় বাঙালীত্বের এমন ছাপ মেরে দিয়েছেন যে, মালা, তিলক, টিকিতে কিংবা টুপি, লুঙ্গি দাড়িতে তা ঢাকবার জো-টি নেই।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

১৫০. যে-রাজা তার দেশের জনগণের জন্য যুদ্ধ করে, সে প্রকৃতপক্ষে নিজের জন্যই যুদ্ধ করে।

–মেরিই বুয়েল

১৫১. শান্তির সময় পুত্র পিতাকে সমাধিস্থ করে, কিন্তু যুদ্ধের সময় পিতা পুত্রকে সমাধিস্থ করে।

বেকন

১৫২. রাজনীতি সবচেয়ে বড় জুয়াখেলা।

ডিজরেইলি

১৫৩. একজন রাজনীতিচর্চাকারীর পরবর্তী নির্বাচন সম্বন্ধে চিন্তা করেন, আর রাজনীতিজ্ঞ ব্যক্তি ভাবেন ভাবী প্রজন্ম সম্বন্ধে।

–জেমস্ ফ্রিমের ক্লার্ক

১৫৪. স্বর্গে গোলামি করার চেয়ে নরকে রাজত্ব করা ভালো।

মিল্টন

১৫৫. ফরাসি আর ইংরেজদের স্বাজাত্যবোধের একটি পার্থক্য হল? একজন ভাবে, যারা সবসময় সত্য জিনিসটিই চিন্তা করে, তারা ফরাসি; অন্যেরা ভাবে, যারা সবসময় ভুল জিনিসটি চিন্তা করে, তারা ইংরেজ নয়।

ইউলিয়াম হ্যাজলিট

১৫৬. কোনো ইংরেজ যখন নিজের মুখ বন্ধ রাখে, তখনকার মতো স্বাভাবিক সে আর কখনোই নয়।

–হেনরি জেমস

১৫৭. রসবোধই একমাত্র জিনিস যার ব্যাপারে ইংরেজরা চূড়ান্তরকম সিরিয়াস।

ম্যালকম মাগেরিশ

১৫৮. একজন ভালো প্রশাসকই একজন ভালো রাজা হতে পারেন।

মিচেল জিন

১৫৯. রাজা রাজত্ব করে, কিন্তু শাসন করে না।

বিসমার্ক

১৬০. জনগণ যে-রাজাকে ভালোবাসে, বিধাতা তাঁকে রক্ষা করেন।

–বেন জনসন

১৬১. মানুষের যেমন রাষ্ট্রগুলোরও তেমনি, মানুষগুলোর চরিত্রের মধ্য থেকেই রাষ্ট্রগুলো গড়ে ওঠে।

–প্লেটো

১৬২. রাষ্ট্রদূতেরা রাষ্ট্রের চক্ষু ও কর্ণস্বরূপ।

দুই ফের ডিনি

১৬৩. সুশাসকের পক্ষে হেরেমের রেশমি শয্যা অপেক্ষা অশ্বপৃষ্ঠ অধিক প্রিয়।

ইমামউদ্দিন জঙ্গি

১৬৪. ইংরেজরা গান নাও পছন্দ করতে পারে, এর ফলে যে গোলমেলে আওয়াজটা তৈরি হয় সেটার প্রতি তাদের অসম্ভব ভালোবাসা।

টমাস বিচাস

১৬৫. এমন নয় যে ইংরেজদের অনুভূতি নেই–আসলে তারা অনুভব করতে ভয় পায়, বিদ্যালয়গুলোতে তাদের শেখানো হয়, অনুভব করা খুব বাজে ব্যাপার। তীব্র আনন্দ বা দুঃখ কখনোই তার প্রকাশ করা উচিত নয়, এমনকি কথা বলার সময় মুখও বেশি ফাঁক করা ঠিক নয়; তার কারণ এতে মুখ থেকে সিগারেট খসে পড়ে যেতে পারে।

ই. এম, ফর্স্টার

১৬৬. সার্কাসের শিক্ষিত ঘোড়াদের মতোই ইংরেজদের চলন আইনমাফিক। আইনের বোধ তাদের হাড়েমজ্জায়।

ম্যাক্সিম গোর্কি

১৬৭. অন্যকে শাসন করবার পূর্বে নিজেকে সচেতন হতে হবে।

ডব্লিউ. জি. বেনহাম

১৬৮. যে-সরকার দেশের অধিকাংশ জনগণের কথা চিন্তা করে না, সে-সরকার আদৌ কোনো সরকার নয়।

এডওয়ার্ড ফেয়ার ফক্স

১৬৯. উদর যখন শূন্য থাকে তখন যতবেশি করেই রাজনৈতিক স্বাধীনতা আসুক-না কেন, তাতে জনতার তৃপ্তি আসতে পারে না।

লেনিন

১৭০. রাজনীতিবিদদের ঘৃণাও কোরো না, আবার ভালোও বেসো না।

–পুটাস

১৭১. রাজনীতিবিদদের জন্য ভালোবাসা ও ঘৃণা দুটোই জমা থাকে।

ড্রাইডেন

১৭২. আমরা দুই লাখ গোসলখানাওলা এক জাতি, যার প্রতিটি টাবে আছে একজন করে মানবতন্ত্রী।

ম্যারি ম্যাককার্থি

১৭৩. ভোট দেয়ার বয়সে পৌঁছুনোর চেয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার বয়সে পৌঁছুনের ব্যাপারে মার্কিনি যুবকরা গুরুত্ব দেয় বেশি।

মার্শাল ম্যাকলুহান

১৭৪. মার্কিনি পুরুষরা যদি টাকার প্রতি মোহগ্রস্ত হয়, মার্কিনি মহিলারা তা হলে ওজন নিয়ে মোহগ্রস্ত। পুরুষরা বকবক করে কামানো নিয়ে, মহিলারা করে হারানো নিয়ে। কোনটা বেশি একঘেয়ে আমি বলতে পারবো না।

মারিয়া ম্যান

১৭৫. শাসকগণ জমিনের বুকে আল্লাহর তরফ থেকে নিয়োজিত দারোয়ান বিশেষ।

–হযরত আলি (রা.)

১৭৬. অন্যকে কোনো ব্যাপারে শাসন করার পূর্বে নিজেকে সে-ব্যাপারে অভিজ্ঞ হতে হবে।

বেকন

১৭৭. সর্বাপেক্ষা জঘন্য শাসক সে-ব্যক্তি, যে প্রবল প্রতিপক্ষের প্রতি তোয়াজ করে, দুর্বল প্রজাসাধারণের উপর জুলুম চালায়।

হযরত ইমাম হোসেন (রা.)

১৭৮. স্বাধীন দেশের সরকারের একটিমাত্র উদ্দেশ্য থাকা উচিত–তা হচ্ছে মানবতার কল্যাণ করা।

–উইলবার এল. ক্রস

১৭৯. দেশের সত্যিকার কল্যাণ যে চায়, সে-ই প্রকৃতপক্ষে দেশকে ভালোবাসে।

স্যামুয়েল লাভার

১৮০. আমেরিকার স্বভাব স্বৈরতান্ত্রিক, সে বলে, ‘আমি তর্ক করছি না, বলছি।’

–এরিস্ট এইচ ইরকসন

১৮১. খালিপেটে কোনো লোকই দেশপ্রেমিক হতে পারে না।

ডব্লিউ সি.ব্রান

১৮২. দেশপ্রেমিকের রক্তই স্বাধীনতা-বৃক্ষের বীজস্বরূপ।

টমাস ক্যাম্পবেল

১৮৩. নিজেদের স্বার্থ যদি দূর না হয়, তবে রাজনৈতিক পরিবর্তন কখনো শুভ হবে না।

–ওয়েন ডেল ফিলিপ

১৮৪. দেশকে ভালো না বাসলে তাকে ভালো করে জানবার ধৈর্য থাকে না, তাকে না জানলে তার ভালো করতে চাইলেও তার ভালো করা যায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮৫. কোনো অসৎ ব্যক্তিই স্বাধীন নয়। স্বাধীনতা ও প্রভুত্ব সহজে সংযুক্ত হয় না।

স্ট্যাসিটস

১৮৬. স্বাধীনতার ইতিহাস হচ্ছে প্রতিরোধের ইতিহাস।

টমাস উইলিয়াম

১৮৭. স্বাধীনতা, তোমার নামে কত অপরাধই-না করা হচ্ছে!

মাদামোয়াজেল জিন রোল্যান্ড

১৮৮. একমাত্র রক্ত দিয়েই স্বাধীনতার মূল্য দেয়া সম্ভব। আমাকে তোমরা রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

১৮৯. স্বাধীনতাই শক্তি।

জন কুইন্স অ্যাডামস

১৯০. দেশপ্রেমিক ও অত্যাচারীর রক্ত হতেই স্বাধীনতা-বৃক্ষকে মাঝে মাঝে অবশ্যই সঞ্জীবনী শক্তি গ্রহণ করতে হবে।

জেফারসন

১৯১. স্বাধীনতা সুন্দর, কিন্তু সহজ নয়।

দানিয়েল ডেফো

১৯২. স্বাধীনতা মানে দায়িত্ব, তাই স্বাধীন দেশের নাগরিক অবশ্যই দায়িত্ববান হবেন।

–জে. এস. মিল

১৯৩. কখনো ককনো মনে হয় আমেরিকা বিশ্বাস করে যে যদি আপনি চিন্তাবিদ হয়ে থাকেন তা হলে নির্ঘাত আপনি একজন ভুরু কোঁচকানো একঘেয়ে লোক। কারণ চিন্তা করাটা বেশ গম্ভীর একটা ব্যাপার।

জ্যাক মারিত্যা

১৯৪. কোনো মহাসাগর পৃথিবী থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করেনি–করেছে কোনোকিছুর দিকে তাকানোর জন্যে আমাদের মার্কিনি দৃষ্টিভঙ্গি। হেনরি মিলার।

১৯৫. আমেরিকাতে কোনো নারী নেই, আছে পণ্যবিক্রয়কারিণী।

ল্যাডন মিচেল

১৯৬. চিন্তার স্বাধীনতাই আত্মার শক্তি।

–ভলতেয়ার

১৯৭. দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে পারলে জীবন সুখ ও শান্তিময় হয়ে ওঠে।

এডওয়ার্ড ইয়ং

১৯৮. দেশ কেবল ভৌগোলিক নয়, দেশ মানসিক।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৯. দেশ মানুষের সৃষ্টি। দেশ মৃন্ময় নয়, সে চিন্ময়। মানুষ যদি প্রকাশমান হয় তবেই দেশ প্রকাশিত। দেশ মাটিতে তৈরি নয়, দেশ মানুষের তৈরি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২০০. গুপ্তঘাতক দ্বারা হত্যাতে বিশ্বের ইতিহাসের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ডিজরেইলি

২০১. সব ইতিহাস একটি মিথ্যা।

–স্যার রবার্ট ওয়ালপোল

২০২. ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়–মানুষের বিপদ ও দুঃখ-দুর্দশা যেখানে কিছুমাত্র লাঘব করা হয়–কেবল সেখানেই গণতন্ত্র বিকাশলাভের সুযোগ পায়।

–পার্ল এস বাক

২০৩. সংস্কৃতির বহুমুখী ধারার মতো গণতন্ত্রের সংগ্রামও বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত রাখতে হবে। –জনৈতিক, অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক, শিক্ষাসংক্রান্ত, বৈজ্ঞানিক, কথা। বিষয়ক ও ধর্মীয়।

জন ডিউই

২০৪. ফ্রান্সে শীত নেই, গ্রীষ্ম নেই, নীতি নেই–এই ত্রুটিগুলো ছাড়া বেশ ভালো দেশ এটি।

–মার্ক টোয়েন

২০৫. গণতন্ত্রের মূল বীজ হল এই মতবাদ ও আত্মবিশ্লেষণ করো ও আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তোলো।

র‍্যালফ ওয়ালডো ইমারসন

২০৬. (গণতন্ত্রের অর্থ) সর্বোৎকৃষ্ট ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের অধীনে সব ব্যাপারে সকলের উন্নতি।

–গিউ সেপ্লে মার্জনি

২০৭. গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একমাত্র সৈনিকই জয়ী হতে পারে।

ডব্লিউ জি. মার্চেলা

২০৮. সহজ কথায় গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের দ্বারা জনগণের জন্য জনগণের ঠোকাঠুকি হানাহানি।

অস্কারওয়াইল্ড

২০৯. এদেশ হিন্দুর নয়, মুসলমানদেরও নয়, এদশকে যে নিজের বলে ভাববে এদেশ তার। এদেশের কল্যাণ দেখে যার মন আনন্দে ভরে উঠবে এদেশ তার। এদেশের দুঃখে কাঁদবে যে এদেশ তার। আর তার এবং তাদের এদেশ যারা এদেশের সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছে ও ভবিষ্যতেও দেবে।

–এ. কে. ফজলুল হক

২১০. বন্দুকের নল নয়; জনগণই ক্ষমতার উৎস।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

২১১. তুমি দেশকে যে যথার্থ ভালোবাস তাহার চরম পরীক্ষা, তুমি দেশের জন্য মরিতে পার কি না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১২. যে-মায়ের সন্তান দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, তার মাতৃত্বের গৌরব চিরভাস্বর।

জ্যাকসন

২১৩. আমি আমার নিজের দেশে দরিদ্র হিসেবে জীবন কাটাতে চাই, অন্যদেশে সম্পদশালী হিসেবে জীবন কাটাতে আমি একটুও আগ্রহী নই।

সিডনি স্মিথ

২১৪. বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত–শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

২১৫. যে কখনো বিদেশে যায়নি, সে কখনো দেশের মমত্ব বুঝতে পারে না।

–জর্জ ব্রো

২১৬. কি করিলে ভাল হয় কর বিবেচনা।
স্বদেশের হিতাহিত কর আলোচনা ॥
মনে মনে স্থিরভাবে কর প্রণিধান।
যাহাতে দেশের হয় কুশল বিধান ॥

–ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

২১৭. সত্যিকার দেশপ্রেমিক যারা তারা কোনো দল করে না।

ইউলিয়াম ওয়াটসন

২১৮. প্রকৃতিগত দিক থেকে গণতন্ত্র একটি আত্মহিতকর বা আত্মবিনাশক পদ্ধতি পরিণামে যার ফলাফল শূন্য ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না।

কার্লাইল

২১৯. আমি এই ভবিষ্যদ্বাণী করছি ও গণতন্ত্রকে যদি পরাভূত করা না যায় তা হলে মানব-সভ্যতার প্রসার তো ঘটবেই না, বরং তা বিলুপ্ত হবে।

হিটলার

২২০. সূক্ষ্ম ও যথার্থ অর্থে পূর্ণ গণতন্ত্রের অস্তিত্ব কখনো ছিল না এবং থাকবেও না। বহুজনে শাসন করবে এবং স্বল্প কয়েকজন শাসিত হবে, এমন নিয়ম প্রকৃতির বিরুদ্ধে।

রুশো

২২১. যে-পর্যন্ত মানুষের ভেতর থেকে দেশপ্রেমিকতাকে নিংড়ে ফেলে দিতে না পারা যাবে সে-পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর কল্পনা করা যায় না।

জর্জ বার্নার্ড শ

২২২. বুদ্ধিজীবীর কাছে তাঁর দেশ এবং সেবিকার কাছে তার রোগীর এক ভূমিকা হওয়া উচিত।

–ওয়ালেস রাইস

২২৩. যে-দেশে দয়ালু শাসক, ন্যায় বিচারক দক্ষ চিকিৎসক, সুন্দর বাজার এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই, সে-দেশে কখনো বাস কোরো না।

–আবু আলি সিনা

২২৪. স্বাধীনতা লাভ করা যেমন কঠিন, স্বাধীনতা রক্ষা করাও তেমনি কঠিন। আজ আমাদের অস্ত্রের সংগ্রাম শেষ হয়েছে। এবার স্বাধীনতার সংগ্রামকে দেশগড়ার সংগ্রামে রূপান্তরিত করতে হবে। মুক্তিসংগ্রামের চেয়েও দেশগড়ার সংগ্রাম কঠিন। তাই দেশগড়ার কাজে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

২২৫. ভ্রাতৃভাব ভাবি মনে
দেখ দেশবাসীগণে
প্রেমপূর্ণ নয়ন মেলিয়া।
কতরূপ যত্ন করি
দেশের কুকুর ধরি,
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।

–ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

২২৬. ফরাসিরা অভিযোগ করে সবকিছু নিয়ে, প্রত্যেকটা সময়।

নেপোলিয়ন

২২৭. ফরাসিদের রাজনীতিচিন্তা হয় স্মৃতিমেদুর, নয় উকাল্পনিক।

রেমঁদ আরঁ

২২৮. কোনো জাতিকে দীর্ঘকাল কেউ যুদ্ধে লিপ্ত রাখতে পারেনি যতক্ষণ না সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।

স্যালভাদর ডি মাদাররিয়েগা

২২৯. দেশে যুদ্ধ যখন শেষ হয়ে যায়, পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষের ভাগ্যে জোটে করের বোঝা, রাশি রাশি বিধবা আর কাঠের পা ও ঋণ।

ফ্রান্সিস মুর

২৩০. যুদ্ধ করো, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কোরো না।

–আল-হাদিস

২৩১. অন্ধের দেশে একচক্ষুবিশিষ্ট লোকই রাজা।

ইমারসন

২৩২. রাজধর্মে ভ্রাতৃধর্ম বন্ধুধর্ম নাই; শুধু জয়ধর্ম আছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৩৩. যে রাজ্যে রাজত্বটা নেই, সেই রাজ্যই সকল রাজ্যের সেরা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৩৪. রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করার অর্থই হচ্ছে সংগ্রাম করা।

–ডিজরেইলি

২৩৫. এক কম্বলে দশ দরবেশেরও জায়গা মেলে; কিন্তু এক রাজ্যে কখনো দুই রাজার শাসন চলে না।

–শেখ সাদি

২৩৬. দেশশাসন করার আগে রাষ্ট্রপতিকে সমস্ত গুণাবলির অধিকারী হতে হবে।

ফিলিপ ম্যাসিঞ্জার

২৩৭. শুধু সে-ই নিশ্চিন্তে শাসন করতে পারে, যে দৃঢ়চিত্তে আইনের নির্দেশ পালন করতে শিখেছে।

কেমপিস

২৩৮. স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইলে একটি সরকারের অধীনে আইনের মাধ্যমে বাঁচতে হবে।

উইলিয়াম মুর

২৩৯. স্বাধীনতা হচ্ছে উন্নতির শ্বাসপ্রশ্বাস।

আর. জি. ইন্দারসোল

২৪০. স্বাধীনতাকামী সংগ্রামীদের দেহ থেকে যখন রক্ত ঝরতে শুরু করবে, একমাত্র তখনই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হব।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

২৪১. কোনো জাতি বা দেশকে শুধু তার সীমান্ত রক্ষা করলেই চলবে না, তার শুভবুদ্ধিকেও রক্ষা করতে হবে। জাতি তার স্বাধীনতা রক্ষা করবে আর শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরা রক্ষা করবে চিন্তার ও আত্মার স্বাধীনতা।

রম্যাঁ রলাঁ

২৪২. গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই স্বাধীন মানুষেরা বসবাসের ইচ্ছা করে।

প্লেটো

২৪৩. আপনারা জেনে রাখুন, যেখানে জনগণ সরকারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে একমাত্র সেখানেই স্বাধীনতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

উড্রো উইলসন

২৪৪. স্বদেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ।

–আল-হাদিস

২৪৫. একতার ফলে ছোট ছোট রাষ্ট্র সমৃদ্ধিশালী হয়, বিবাদের দ্বারা বড় বড় রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে যায়।

–সেলাস্ট

২৪৬. এদেশের নাড়িতে নাড়িতে অস্থিমজ্জায় যে পচন ধরেছে, তাতে এর একেবারে ধ্বংস না হলে নতুন জাত গড়ে উঠবে না। যার ভিত্তি পড়ে গেছে, তাকে একদম উপড়ে ফেলে নতুন করে ভিত্তি না গাঁথলে তার উপর ইমারত যতবারই খাড়া করা যাবে ততবারই তা পড়ে যাবে।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৪৭. হিন্দু না ওরা মুসলিম!
ওই জিজ্ঞাসে কোন্ জন?
কাণ্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ
সন্তান মোর মা’র।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৪৮. জনতাকে একটা ভল্লুকের সঙ্গে তুলনা করা চলে। যখন তুমি এটাকে নাকে দড়ি লাগিয়ে নিজের আয়ত্তে রাখবে তখন তোমার অভিমতমতো এটা নাচবে। কিন্তু যদি তোমার হাত থেকে দড়িটা ফসকে যায় ও ভল্লুক তোমার হাতছাড়া হয়ে যায় তা হলে সেই পশুটি তোমাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলবে।

জেইল পোটার

২৪৯. এটা সত্যিকারভাবে সত্যি কথা যে, জনতার অনেক মাথা আছ; কিন্তু তাতে কোনো মগজ নেই।

বিবারোল

২৫০. রাজা আর প্রজার মাঝখানে পরগাছার মতো ঘুণদরা আভিজাত্যের অহমিকায়। দাম্ভিক যে-দলটি বাদুড়ের মতো ঝুলছে, তারাই আমাদের দেশে জমিদারশ্রেণী নামে পরিচিত।

এ. কে. ফজলুল হক

২৫১. সৎ এবং চরিত্রবান নাগরিক দেশের গর্ব।

ড্রাইডেন

২৫২. সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

২৫৩. তোমার পতাকা যারে দাও
তারে বহিবারে দাও শকতি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৪. পার্লামেন্ট বেশ কিছুসংখ্যক অলস লোক নিয়ে অনুষ্ঠিত এবং বৃহৎ সভা ছাড়া আর কিছু নয়।

–এফ, লকাম

২৫৫. কতকগুলো আদর্শবান লোকের সম্মিলিত সভা ছাড়া পার্লামেন্ট আর কিছুই নয়।

জুলিয়াস

২৫৬. বিদেশের মাটি যতই সচ্ছলতা দান করুক, নিরাপত্তা দিতে পারে না।

ম্যাসিঞ্জার

২৫৭. বাংলাদেশ রাজনৈতিক দিক থেকে দুভাগ হয়েছে সত্যি, কিন্তু ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে উভয় বঙ্গে কোনো ফারাক নেই। রাজনীতিকরা দেশটাকে দুভাগ করে এই সাংস্কৃতিক ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারেননি, ভবিষ্যতেও কোনোদিন পারবেন না।

এ. কে. ফজলুল হক

২৫৮. বাঙালি অখণ্ড জাতি, তারা একই ভাষায় কথা বলে এবং তাদের আদর্শ এক, জীবনের উদ্দেশ্য এক, জীবনধারণের পদ্ধতিও এক। দেশ-বিভাগ সত্ত্বেও দুই বাংলা মিলিতভাবে অনেক বিষয়ে সারা দেশকে পথ দেখাতে পারে।

–এ. কে. ফজলুল হক

২৫৯. আমাকে কুচি কুচি করে কাটলেও
রক্তমাংস সবটুকুই
বাঙালি
হৃদয়ের দুঃখ শোক শ্ৰেম শান্তি সবটুকুই
বাঙালি।

–নিয়াম হোসেন

২৬০. যত বেশি দেশ ঘুরেছি, নিজের দেশের প্রতি মমত্ব বাড়ছে।

–মার্ক টোয়েন

২৬১. স্নেহময়ী মাতৃভূমি হাসিত অধর
তার চেয়ে বেশি কিছু আছে কি সুন্দর?

–আকরাম হোসেন

২৬২. রাজার জাকে বা গণতন্ত্রের প্রদর্শনেই হোক, রাজনীতি থেকে ধর্ম যদি বিযুক্ত হয়, শুধুমাত্র চেঙ্গিসের শাসনই কায়েম থাকে তখন।

মহাকবি ইকবাল

২৬৩. আমার দেশ আজকের নয়, আগামীকালের।

রোম্যাঁ রলাঁ

২৬৪. স্বদেশ বলিতে বুঝেছি কেবল
দেশের পাহাড় মাটি বায়ুজল
দেশের মানুষে ঘৃণা করি
চাই করিতে দেশ স্বাধীন
যত যেতে চাই তত পথে ভাই
হই মা ধূলি-বিলীন।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৬৫. আমার এই আফসোস যে দেশের তরে দেবার মতো আমার শুধুমাত্র একটি জীবনই রয়েছে।

মাথন হেইল

২৬৬. পৃথিবীতে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে গণতন্ত্র নিরাপদ থাকে।

উড্রো ইউলসন

২৬৭. সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালবেসে,
জানিনে তোর ধনরত্ন আছে কিনা রাণীর মতন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৮. একটি দেশের সরকারের প্রধান কর্তব্য হল দেশে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করা যাতে যে-কোনো লোক অনায়াসে একটি ভালো কাজ করতে পারে এবং একটি দুষ্ট লোক সহজে কোনো মন্দ কাজ করতে না পারে।

ল্যাডস্টোন

২৬৯. রাজ্য রাখতে গেলে রাজ্য বাড়াতে হবে। ও যেন মানুষের দেহের মতো, বৃদ্ধি যেমনি বন্ধ হয়, ক্ষয়ও তেমনি শুরু হতে থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭০. হিন্দু সভ্যতার মূলে সমাজ; ইউরোপীয় সভ্যতার মূলে রাষ্ট্রনীতি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭১. সভ্যতার ইতিহাস মানবজাতির ধীরগতি ও বেদনাপূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের ইতিহাস।

রবার্ট জি. ইনগারসন

২৭২. সভ্যতার সম্মুখে বর্তমানে সবচেয়ে বড় কর্তব্য যন্ত্রকে মানুষের প্রভু করার পরিবর্তে যন্ত্রের যা হওয়া উচিত অর্থাৎ যন্ত্রকে দাসে পরিণত করা।

হ্যাভলক এলিস

২৭৩. প্রত্যেক স্বাধীন নাগরিকের সৈনিক হওয়া উচিত। গ্রীক ও রোমানদের বেলায় এ ছিল সত্য এবং এটা প্রত্যেক স্বাধীন রাষ্ট্রের ব্যাপারেও সত্য হওয়া উচিত।

জেফারসন

২৭৪. যারা ইতিহাস রচনা করেন তারা ইতিহাস লেখার সময় পান না।

ম্যাটারনিক

২৭৫. স্বাধীনতা হল সৈকতবিহীন একটি প্রস্তরময় দ্বীপের মতো।

নেপেলিয়ন

২৭৬. একটি সুন্দর মুখের জন্য যেমন প্রসাধনের দরকার নেই, তেমনি একটি দেশপ্রেমিক জাতির জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

জন লিলি

২৭৭. পৃথিবী আমার দেশ, সমগ্র মানবজাতি আমার ভাই এবং মানুষের মঙ্গল করাই আমার ধর্ম।

টমাস পেইন

২৭৮. মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার প্রতি যারা অনুরাগহীন তাহারা পশু বিশেষ। মাতৃভাষা মাতৃস্তনের ন্যায়। বিদেশী ভাষার মাধ্যমে শিক্ষায় তোতা পাখীর মত মুখস্থ শক্তি যেমন বাড়ে সে পরিমাণে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ে না।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

০৬. ধনী ও ধনসম্পদ

১. তোমাদের ধনসম্পদ ও পুত্রকন্যা আমার নৈকট্যলাভের সহায়ক হবে না।

–আল-কোরআন

২. যার ধনলিপ্সা যত বেশি, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস তার তত কম।

–হযরত আলি (রা.)

৩. সে-ই সবচেয়ে বড় ধনী যার নিজস্ব বলতে কিছু নেই। ফরাসি প্রবাদ

৪. অল্প দ্রব্য দান করিতে লজ্জিত হইও না; কেননা, বিমুখ করা অপেক্ষা অল্প দান ভালো।

–হযরত আলি (রা.)

৫. কষ্টার্জিত স্বল্প ধন হইতে যাহা দেওয়া যায় তাহা সর্বশ্রেষ্ঠ দান। –আল-হাদিস ৬. অর্থ যেখানে নেই, ভালোবাসা সেখানে দুর্বল।

স্যার টমাস ব্রাউন

৭. অর্থ মানুষকে পিশাচ করে তোলে, আবার অর্থ মানুষকে মহৎও করে তোলে।

ক্যাম্বেল ৮. মানুষ ব্যয় করে বাঁধা নিয়মে, অপব্যয় করে নিজের খেয়ালে। –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯. সমাজ দুই ধরনের লোক নিয়ে গঠিত–যারা তাদের আহারের রুচি বা ক্ষুধার তুলনায় অনেক বেশি ভোজ পায়, আর যারা ক্ষুধার তুলনায় খুব কম ভোজ পায়।

–রোস নিকোলাস চেমস ফোর্ড

১০. অহংকার ও দারিদ্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু, পাশাপাশি থাকতেই পছন্দ করে।

লর্ড হ্যালিফাক্স

১১. অভাব-অভিযোগ এমন একটা সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো।

পিথাগোরাস

১২. যতক্ষণ টাকাই পারে জবাব দিতে ততক্ষণ জীবন বাজি রাখা নিরর্থক।

–শেখ সাদি

১৩. বিপদ আর বিলাসের জন্ম একই বৃন্তে।

ইংরেজি প্রবাদ

১৪. অমিতব্যয়ী লোকের জীবনে কখন দুর্দশা ঘনিয়ে আসবে, কেউ তা বলতে পারে।

সিনেকা

১৫. যিনি অতিশয় ধনী লোক, তাঁর পক্ষেও নিজের সংসারের আয়-ব্যয়ের খুঁটিনাটি দেখাতে হীনতা বলে কিছু থাকতে পারে না।

ফ্রান্সিস বেকন

১৬. সব রকমের খরচের বেলাতেই যদি কেউ সমানভাবে মুক্তহস্ত হতে চায়, তা হলে তাকে অতি অল্প সময়ে নিঃস্ব হতে হবে।

–ফ্রান্সিস বেকন।

১৭. যে-সম্পদ কারও চোখে পড়ে না তা-ই মানুষকে সুখী ও ঈর্ষান্বিত করে তোলে।

বেকন

১৮. এখন আর আগেকার মতো বংশগৌরবের আভিজাত্য নয়, টাকার শক্তিই শ্রেষ্ঠ আভিজাত্য।

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

১৯. বাড়তি সম্পদ শিশুর হাতে ছুরির মতো। এটা যে-কারও ঠোঁট কাটতে পারে।

হ্যারল্ড লাস্কি

২০. আয় যত বৃদ্ধি পায় সঙ্কুলান ততই কঠিন হয়ে পড়ে।

হোয়াইট লী

২১. যে যত ঐশ্বর্যের অধিকারী, সে তত পরমুখাপেক্ষী।

–শেখ সাদি

২২. প্রকৃত ঐশ্বর্য হৃদয়ে, ধনে নয়–পূর্ণতা জ্ঞানে, বয়সে নয়।

–শেখ সাদি

২৩. সন্তান উৎপাদনের যেমন একটিমাত্র প্রক্রিয়াই রয়েছে তেমনি কোটিপতি হওয়া যায় একটিমাত্র পন্থাতেই চৌর্যবৃত্তি ও দুর্নীতির মাধ্যমে।

জহুর হোসেন চৌধুরী

২৪. বুদ্ধি থাকলে অর্থোপার্জন এবং অন্তর থাকলে তা খচর করা যায়।

উইলিয়াম হুইটিয়ার

২৫. টাকা কখনো কখনো মানুষকে হাস্যাস্পদ করে তোলে।

জর্জ মুর

২৬. যার টাকার চাহিদা বেশি তার সংসারে সবকিছুরই চাহিদা বেশি।

–টমাস ফুলার

২৭. অনেক কিছুর মায়া কাটিয়েছে মানুষ, কিন্তু একটি জিনিসের মায়া কাটাতে পারেনি? সেটা টাকা। আর সবকিছু না হলেও চলে, টাকা না হলে চলে না। টাকার ক্ষেত্রে আর কেউ ঠোঁট উলটে বলে না, আরে ভাই এই তো জীবন–কী হবে টাকা দিয়ে! বেঁচে থাকতে হলেই টাকার প্রয়োজন। যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ টাকা আয় কমে তো আয়ু কমে।

ডি. এইচ. লরেন্স

২৮. হাতে যদি অর্থ না থাকে, তা হলে পরদুঃখকাতর হইয়া লাভ নেই।

ডা. লুৎফর রহমান

২৯. মানুষের পয়সা যে অনুপাতে বাড়তে থাকে ঠিক সেই অনুপাতেই কমে।

বুদ্ধদেব গুহ

৩০. আর্থিক সচ্ছলতা বন্ধু আনে, কিন্তু ভালোবাসা আনে না।

জোসেফ কনরাড

৩১. কম টাকা হলেও চলে যদি বুদ্ধি থাকে ও উদ্যম থাকে, যদি নিজের ওপর ভরসা থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩২. টাকার প্রশ্নে সবাই এক ধর্মাবলম্বী।

–ভলতেয়ার

৩৩. লাভ করিব এ লক্ষ্য করিয়াও টাকা করা যায়, কল্যাণ করিব এ লক্ষ্য করিয়াও টাকা করা যায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৪. যে-মানুষ টাকা খরচ করে ও টাকা জমায় বা সঞ্চয় করে সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি। কারণ দুটি কাজ করারই পুলক সে অনুভব করতে পারে।

–স্যামুয়েল জনসন

৩৫. টাকা বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে, এই টাকা আবার বন্ধুত্ব নষ্টও করে।

–পিয়েরে সেলডন

৩৬. যে সবচেয়ে বেশি দেয়, সে-ই সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকে।

রামকৃষ্ণ

৩৭. দানের সঙ্গে শ্রদ্ধা বা প্রেম মিললেই তবে তা সুন্দর ও পূর্ণ হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৮. দারিদ্র্য, নির্মম দারিদ্র্য, মানুষের জীবনের সমস্ত মাধুর্যকে তুমি নিমেষে নিঃশেষ করে দাও।

–এস. ল্যান্ডার

৩৯. মানুষ ইচ্ছে করে ছোট ও দরিদ্র হয়।

–ডা. লুৎফর রহমান

৪০. দারিদ্রের যন্ত্রণা দরিদ্রকে যে-কোনো দুষ্কর্মে প্ররোচিত করে।

বার্নার্ড শ

৪১. দরিদ্রকে দয়া-দাক্ষিণ্য দেখানো অমানবিক কর্ম। দরিদ্রের দারিদ্র্য মোচনের পথ দেখানোই মানব্য তথা মানবিক।

বীরেন্দ্র দত্ত

৪২. পার্থিব বস্তুর আধিক্যকে ধন বলা যায় না। মানসিক সন্তোষই প্রধান ধন।

–আল-হাদিস

৪৩. ধনের ধর্মই অসমান্য। জ্ঞানধর্ম কলাসৌন্দর্য পাঁচজনের সঙ্গে ভাগ করিলে বাড়ে বই কমে না, কিন্তু ধন জিনিসটা পাঁচজনের কাছ হইতে শোষণ করিয়া লইয়া, পাঁচজনের হাত হইতে তাহাকে রক্ষা না করিলে সে বেঁকে না। এইজন্য ধনকামী নিজের গরজে দারিদ্র্য সৃষ্টি করিয়া থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৪. তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্যলাভ করবে না।

–আল-কোরআন

৪৫. একজন গরিব ব্যক্তির কাছে ধনী ব্যক্তির ধনগৌরবের চাইতে ঘৃণ্য আর কিছুই নেই।

–কাম্বারল্যান্ড

৪৬. ধনলিপ্সা মানুষের মনের সুকোমল বৃত্তিগুলোকে নষ্ট করে তাকে পশুতে পরিণত

–টমসন।

৪৭. সমাজে দুধরনের লোকের দাপট বেশি। একদল হচ্ছে যাদের ঘরে খাবার বেশি আছে এবং আরেক দল আছে যাদের ঘরে খাবার প্রয়োজনের তুলনায় কম আছে।

—ডেল কার্নেগি

৪৮. টাকাওয়ালাদের দরদ টাকাওয়ালাদের পরেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৯. বড়লোক হবার শেষ্ঠ উপায় হচ্ছে টাকা খরচ না করা।

ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়

৫০. ধনী হওয়ার অর্থ তো কেবল সংগ্রহ করাই নয়। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীকেও তেমনি ধনহীন করে তোলাও এর অন্য উদ্দেশ্য, নইলে নিজে ধনী হওয়ার কোনো মানেই থাকে না।

শরৎচন্দ্র চট্টেপাধ্যায়

৫১. সে-ই সবচেয়ে ধনী যার নিজস্ব বলতে কিছু নেই।

ফরাসি প্রবাদ

৫২. যতটা পাওয়া যায় ততটা লইয়া টানাটানি করা কাঙালকেই শোভা পায়–ভোগ খর্ব করিলেই সম্পদের যথার্থ গৌরব।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৩. অতিরিক্ত ধনলিপ্সা বয়সকে অস্বীকার করার মতো পাপ।

ব্যানক্র্যাক্ট

৫৪. ঐশ্বর্যের মাঝে থেকেও দারিদ্র্যের মাঝে চলার মতো করে নিজেকে গড়ে নিও, কারণ ঐশ্বর্য ক্ষণস্থায়ী।

জন সেলডন

৫৫. সম্পদ যেমন দায়িত্ব বৃদ্ধি করে, তেমনি উত্তরাধিকারীকেও সুপ্রতিষ্ঠিত করে।

–আর্থার ইয়ং

৫৬. সম্পদ সভ্যতা আনে না, কিন্তু সভ্যতা সম্পদ আনে।

হেনরি বিশার

৫৭. সম্পদ নিশ্চিতভাবে ভোগের জন্য।

–বেনিন

৫৮. বেশিরভাগ বড়লোকদের সাহসের বেশিটাই তাদের সম্পত্তিসস্তৃত।

–বুদ্ধদেব গুহ

৫৯. উত্তরাধিকারসূত্রে যে ধনবান, সে মর্যাদাবান নয়।

এডমন্ড বার্ক

৬০. বুদ্ধিহীনের সুখ্যাতি ও সম্পদ ভয়ংকর সম্পদ বিশেষ।

ডেমোক্রিটাস

৬১. যে আয় ভোগে লাগে না, তা থেকেও নেই।

আবদুর রহমান শাদাব

৬২. উপার্জিত টাকার চেয়ে খরচ যার বেশি হয়, সে কখনো ধনী হতে পারে না, আর সে কখনোই দরিদ্র নয়, যার খরচ তার উপার্জনের চেয়ে কম।

হ্যালি বার্টন

৬৩. আয়ের চেয়ে ব্যয়ের কৌশল রপ্ত করা অনেক বেশি কঠিন। স্বর্ণ-বৃষ্টির সময় কেউ টুপি পেতে ধনী হতে পারে, কিন্তু সুরুচি এবং পাকা অভিজ্ঞতা না থাকলে সার্থক খরচ করতে পারে না। মানুষ অর্থ দিয়ে যে অনর্থ কেনে তা দারিদ্র্যের চেয়েও ভয়ঙ্কর।

আবদুর রহমান শাদাব

৬৪. যোগ্যতা যতই থাক, অবস্থা অনুকূল না হলে আয় হয় না। কিন্তু স্বেচ্ছাব্যয়ের সমস্ত দায়িত্বটাই নিজের। কে কীভাবে ব্যয় করে, তাতে নির্ণীত হয় তার জীবনের রূপ।

আবদুর রহমান শাদাব

৬৫. যে-ব্যক্তি স্বহস্তে আয় করে, হাতেম তাই-এর দান তাকে খাটো করতে পারে

–শেখ সাদি

৬৬. পাপপথে পয়সা অর্জন করার চেয়ে একজন স্ত্রীলোকের দাস হওয়া অনেক ভালো।

শেখ সাদি

৬৭. কসাইয়ের তাগাদা অপেক্ষা সে-গোশত্ না খেয়ে মরা ভালো।

শেখ সাদি

৬৮. মন যখন যা চায়, তা-ই খাওয়া অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

হযরত ইমাম হোসেন (রা.)

৬৯. আমাদের কী আছে তা কম সময়েই ভাবি, আমাদের অধিকাংশ চিন্তা কী নেই তা-ই নিয়ে।

শপেনহাওয়ার

৭০. পরের দুঃখের কথা করিলে চিন্তন
নিজের অভাব ক্ষোভ থাকে কতক্ষণ?

রজনীকান্ত সেন

৭১. অপব্যয়ী লোক তাদের উত্তরাধিকারীদের সর্বস্বান্ত করে আর কৃপণ করে নিজেকে সর্বস্বান্ত।

ব্রুইয়ের

৭২. যখন উপাসনা শেষ হবে, তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর দান অনুসন্ধানে ব্যাপৃত থাকবে।

–আল-কোরআন

৭৩. উপার্জন না করলে পরমুখাপেক্ষিতা আসে, পরমুখাপেক্ষিতায় মানুষের ধর্ম শিথিল, বুদ্ধি দুর্বল এবং চুক্ষলজ্জা দূর হয়ে যায়।

হযরত লোকমান (আ.)

৭৪. ঋণ পরিশোধের পন্থা ঠিক না করে ঋণ কোরো না।

সক্রেটিস

৭৫. টাকার স্থূপের ওপরে যারা বসে থাকে আমাদের সংস্কৃতি নায়ক বানায় তাদেরকেই। আর নিজেদের কর্মক্ষেত্রের যোগ্যতার বিষয়ে তারা যা বলে, শুধু সেগুলোই আমরা শুনি না, জগতের বিভিন্ন বিষয়ে তাদের জ্ঞানগর্ভ বাণীও আমরা মনোযোগের সঙ্গে শুনি।

ম্যাক্স লার্নার

৭৬. ধার করা ভিক্ষা অপেক্ষা অধিকতর উন্নত নয়।

–লেস সিং

৭৭. অর্থই সকল অনর্থের মুল।

প্রবাদ

৭৮. পৃথিবীর সকল সম্পত্তিতে পৃথিবীর সকল মানুষের অধিকার সমান।

লেনিন

৭৯. অপচয়কারীরা ক্ষণিকের সুখ আনন্দের মোহে তাদের নিজের যেমন তেমনি সন্তানদের ভবিষ্যও নষ্ট করে।

বার্ট্রান্ড রাসেল

৮০. মানুষ ব্যয় করে বাঁধা নিয়মে, অপব্যয় করে নিজের খেয়ালে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮১. ধনী হওয়া ধনের উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে মনের তৃপ্তির উপর।

–আল-হাদিস

৮২. জীবনের সর্বক্ষেত্র থেকে অনাবশ্যক সবকিছু হেঁটে ফেলাই শ্রেয়।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৮৩. অপব্যয় কোনো সুনাম বা ধনাট্যের প্রমাণ নয়–তা নেহাতই বোকামি।

টমাস হার্ডি

৮৪. অপব্যয়কারী প্রয়োজনের সময় প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে পারে না।

কোরনেলি

৮৫. অমিতব্যয়ী লোকের জীবনে কখন দুর্দশা ঘনিয়ে আসে, বোঝা যায় না।

সিনেকা

৮৬. পৃথিবীতে অভাব আর অসত্য থাকিবেই, উচ্চ অবস্থা অতি অল্প লোকেরই ভাগ্যে ঘটে; বাকি সকলেই যদি অবস্থাপন্ন লোকের সহিত ভাগ্য তুলনা করিয়া মনে মনে অমর্যাদা অনুভব করে, তবে তাহা আপন দীনতায় যথার্থ ক্ষুদ্র হইয়া।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৭. পূর্বপুরুষের অতুল সম্পদের আস্ফালনে ভিক্ষাজীবী বংশধরের লাভ?

–ড. আহমদ শরীফ

৮৮. ঐশ্বর্য মানুষের একমাত্র স্বপ্ন। ঐশ্বর্যের পদপ্রান্তে পাপ ও পুণ্য ধর্ম ও অনাচার, সভ্যতা ও বর্বরতা, প্রেম ও প্রবঞ্চনা ভিড় করিয়া দাঁড়াইয়াছে। ঐশ্বর্য এমন একটি বস্তু যাহার জাত বিচার নাই। শাঠ্য ও সভ্যতা, নীচতা, ন্যায়, মাৎসর্য ও মানবতা সবকিছুকেই সে একসঙ্গে আলিঙ্গন করিয়াছে। ঐশ্বর্যই কীর্তি, ঐশ্বর্যই ধ্বংসের প্রতীক।

প্রবোধকুমার সান্যাল

৮৯. যেদেশে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই চোর, যেখানে সরকারি কর্মচারীরা অধিকাংশ ঘুষখোর, সেখানে নিয়ন্ত্রণ করা মাত্রই কালোবাজারের সৃষ্টি করে।

–বনফুল

৯০. কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে।

–হযরত আলি (রা.)

৯১. মুখে অনেকেই টাকা অতি তুচ্ছ, অর্থ অনর্থের মূল বলিয়া থাকেন কিন্তু জগৎ এমন ভয়ানক স্থান যে, টাকা না থাকিলে তাহার স্থান সমাজে নাই, কোথাও নাই। স্বজাতির নিকটে, জ্ঞাতির নিকটে, ভ্রাতা-ভগ্নির নিকটে কথাটির প্রত্যাশা নাই অর্থাৎ টাকা না থাকিলে স্ত্রী-পুত্র, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব কেহই ভালোবাসে না, সাধারণ মান্য করে না, বিপদে জ্ঞান থাকে না। জন্ম মাত্র টাকা, জীবনে টাকা, জীবনান্তে টাকা, জগতে টাকারই খেলা।

মীর মোশাররফ হোসেন

৯২. টাকাকড়ির মূল্য যে কত তা যদি যাচাই করতে চাও, তা হলে কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিতে চেষ্টা করো।

ফ্রাংকলিন

৯৩. টাকা টাকা আনতে পারে, কিন্তু সম্মান আনতে পারে না।

স্কট

৯৪. নগদ টাকা আলাদিনের চেরাগের তুল্য।

বায়রন

৯৫. যার পকেটে টাকা নেই, তার পকেটে অবশ্যই মধু থাকতে হবে।

র‍্যাল্যান্ড আটকিন

৯৬. মেয়েছেলে টাকার দাম বুঝতে শেখে যখন রোজগার করে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৯৭. দারিদ্রের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা, ইহার অভিশাপ মানুষকে কাফেরে পরিণত করে।

–আল-হাদিস

৯৮. দরিদ্রদের নিয়ে ভাবে অনেকে, কিন্তু তাদের জন্য কিছু করে খুব স্বল্পসংখ্যক লোক।

রবার্ট বার্টন

৯৯. বিধাতার সৃষ্ট জীবের মধ্যে মানুষই একমাত্র দরিদ্র।

টমাস লোয়েন

১০০. টাকা মানুষের শ্রম আর সত্তার বিচ্ছিন্ন সারমর্ম; এই সারমর্ম নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে, আর মানুষ একে করে উপাসনা।

কার্ল মার্কস

১০১. টাকা যখন থাকে, সত্য থাকে নীরব।

রুশি প্রবাদ

১০২. কিছু না থাকার অর্থ দরিদ্র নয়।

–জন গাওয়ার

১০৩. দারিদ্রকে যে মাথা পেতে গ্রহণ করে, সে ব্যক্তিত্বহীন পুরুষ।

লঙফেলো

১০৪. দক্ষিণ হস্ত যাহা প্রদান করে বাম হস্ত তাহা জানিতে পারে না, এইরূপ দানই সর্বোৎকৃষ্ট।

–আল-হাদিস

১০৫. দানের সঙ্গে শ্রদ্ধা বা প্রেম মিলিয়ে তবেই তাহা সুন্দর ও সমগ্র হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৬. দরিদ্রকে দান করিলে সেই দানের জন্য একটি পুরুস্কার আছে। কিন্তু অভাবগ্রস্ত আত্মীয়স্বজনকে দান করিলে সেই দানের জন্য দুইটি পুরস্কার আছে, একটি দানের জন্য, অন্যটি আত্মীয়কে সাহায্য করার জন্য।

–আল-হাদিস

১০৭. সকলের কিছু-না-কিছু দান করিবার চেষ্টা করা উচিত। তবে একটা কথা আছে দিব বলিয়া না দেওয়া, না দেওয়ার চেয়েও দোষাবহ।

ভূদেব মুখোপাধ্যায়

১০৮. খোয়া যাওয়া আর কিছুই নয়, নিছক পরিবর্তন; আর পরিবর্তন প্রকৃতির আনন্দ।

মার্কাস অরেলিয়ার

১০৯. এমন অনেক সময় আসে যখন কিছু অর্জন করার চাইতে কছু হারানো ভালো।

–পুটাস

১১০. যে খোয়া যাওয়ার কথা অজানা, সেটা খোয়া যাওয়াই নয়।

–পাবলিলিয়াস সাইরাস

১১১. যা-কিছু তুমি খোয়াতে পার, তাকে পাত্তা দিয়ো না।

–পাবলিলিয়াস সাইরাস

১১২. অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু সে দান নহে।

–হযরত আলি (রা.)

১১৩. উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে।

–আল-হাদিস

১১৪. অভাবগ্রস্ত যে, তার চিত্তে স্বাধীনতা থাকে না। তুমি মিতব্যয়ী হও, তোমার মনের স্বাধীনতা বেড়ে যাবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

১১৫. আয় যত বেশি বাড়ে ব্যয়সংকুলান ততই কঠিন হয়ে পড়ে। হোয়াটলি ১১৬. ব্যবসা কর, শিল্প ধর, চাকুরীর মায়া ছাড়।

–আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়

১১৭. ব্যবসার আত্মা হচ্ছে তৎপরতা।

–চেস্টারফিল্ড

১১৮. ব্যবসায়ীদের নিজস্ব কোনো দেশ নেই।

–জেফারসন

১১৯. মানুষ যদি হিসেবী হত তা হলে জগতের পনেরো আনা দুঃখ কমে যেত, জগতে এত দরিদ্র লোক থাকত না। মানুষের এত হাহাকার শোনা যেত না।

ডা. লুঃফর রহমান

১২০. ছোট ছোট ব্যয় সম্বন্ধে সাবধান হও। একটি ছোট ছিদ্র মস্তবড় জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে।

ফ্রাংকলিন

১২১. স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বড় সুখ আর কিছু নেই।

–হযরত আলি (রা.)

১২২. সম্পদ কোনোদিন সভ্যতা আনতে না, কিন্তু সভ্যতা সম্পদ আনয়ন করতে

হেনরি ওয়ার্ড

১২৩. সম্পদ যে অর্জন করে তার নয়, যে ভোগ করে তার।

জেমস হাওয়েল

১২৪. সম্পত্তিই শক্তিশালী লোকদের দুর্বলের উপর শোষণ চালাতে সাহায্য করে।

–প্রুধো

১২৫. বুদ্ধিহীনের সুখ্যাতি ও সম্পদ ভয়ংকর সম্পদবিশেষ।

ডেমোক্রিটাস

১২৬. অর্থ জিনিসটাকে তুচ্ছ বলে অবজ্ঞা করা চলে তখনই যখন তাতে দিনপাত হয় মাত্র। যখন তার চূড়াকে সমুচ্চ করে তোলা যায় তখনই জনসাধারণ তাকে শ্রদ্ধা করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৭. অর্থ ও ক্ষমতার লোভে মানুষ যে-কোনো পর্যায়ে নেমে যেতে পারে।

টমাস ফুলার

১২৮. অর্থ থেকে সদ্‌গুণ জন্মে না, বরং অর্থ ও আন্যান্য কাম্য বিষয় সদ্‌গুণ থেকেই জন্মগ্রহণ করে।

সক্রেটিস

১২৯. মানস-প্রতিমা আমাদের বেঁধে রাখে খোয়া যাওয়া গুপ্তধনের সঙ্গে, কিন্তু খোয়া যাওয়ার ফলেই তৈরি হয় সেই প্রতিমা।

–কোলে

১৩০. ভোজন করো এবং পান করো, কিন্তু অপচয় করিও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে ভালোবাসেন না।

–আল-কোরআন

১৩১. শিক্ষার অভাবেব সঙ্গে প্রাচুর্যের অভাব ঘটলে মানুষ কাঙ্গাল হয়। নইলে হয় চোর। আবার প্রাচুর্যের আধিক্যও বিপদ। চোর-ডাকাতের ভয় লেগে থাকে।

–খোন্দকার মোঃ ইলিয়াস

১৩২. তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী উপভোগ করো।

–পি. জে. বেইলি

১৩৩. কর্জ পৃথিবীতে খোদাতালার দণ্ডস্বরূপ। যখন তিনি কোনো লোককে অপমানিত করতে চান, তখন তাহার ঘাড়ে কর্জের বোঝা চাপাইয়া দেন।

–আল-হাদিস

১৩৪. মুসলমান যে-পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ না করে, সে-পর্যন্ত বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না এবং পুণ্যাত্মাদের সঙ্গে মিলিত হইতে পারিবে না।

–আল-হাদিস

১৩৫. ঋণ করার অভ্যাসই হচ্ছে নিকৃষ্টতম দরিদ্রের লক্ষণ।

টমাস ফুলার

১৩৬. অর্থ ও যশ মানুষের জীবনের সব নয়।

স্কট

১৩৭. নিজ অর্জিত অর্থ ব্যয় করে যে-আনন্দ পাওয়া যায়, অন্যের প্রদত্ত অর্থে তার বিন্দুমাত্রও পাওয়া যায় ন।

স্যামুয়েল রোজার

১৩৮. পুণ্যবান হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার হৃদয় এবং অর্থ দুটোই আছে; কারণ সে শেষোক্তকে ভালোভাবে কাজে লাগায়।

মানান্ডার

১৩৯. যে অপব্যয় করে আজ, গতকালের দৌলতের বড়াই করে, পরশু তার কিছুই থাকবে না নিজের বলে বলবার।

সম্রাট শিষোয়াংশি

১৪০. উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাজেই বেশি সুখ নিহিত।

টিনা

১৪১. সকালবেলায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জাগ্রত হওয়ার বিড়ম্বনার চেয়ে রাত্রিতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শয়ন করা অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।

ফকরি

১৪২. যদি কারও সাথে বন্ধুত্ব রাখতে হয়, তা হলে সবচেয়ে ভালো উপায় হল তাদের কোনো ধার না দেওয়া বা তাদের থেকে কোনোকিছু ধার না নেওয়া।

–পলড়ি কোক

১৪৩. এ জগতে নিঃসম্বল দরিদ্রের আছে মহত্ত্ব, অমিতব্যয়ী ধনীর আছে ঔদার্য। ব্যয়কুণ্ঠ বিত্তবানের নেই কোনোটাই।

যাযাবর

১৪৪. কৃপণতা সকল বদভ্যাসের সম্মিলিত রূপ। এটা এমনি এক লাগাম যা দ্বারা যে-কোনো অন্যায়ের দিকে টেনে নেওয়া চলে।

–হযরত আলি (রা.)

১৪৫. যে টাকা চায় সে পৃথিবীর সবকিছু চায়।

বিরন

১৪৬. বিদ্যা যতই বাড়ে ততই জানা যায় যে কিছুই জানি না, টাকারও সে-ই দশা। টাকা যতই বাড়ে ততই মনে হয়, টাকা নাই বলিলেই চলে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৭. টাকা রোজগার করতে মাথা, আর টাকা খরচ করতে হৃদয় লাগে।

ফারকুহার

১৪৮. টাকা সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

–আর্থার হুগ

১৪৯. টাকা যখন কথা বলে তখন সত্য চুপ করে থাকে। রাশিয়ান প্রবাদ ১৫০. টাকা হাতে থাকলে সবাই ভাই বলে ডাকে।

–পোল্যান্ডের প্রবাদ

১৫১. পা ফাঁক করো তোমার কম্বলের মাপের অনুপাতে।

–পারস্য প্রবাদ

১৫২. এমন কোনো ফল নেই পাকার আগে যা তেতো না থাকে।

–পাবলিলিয়াস সাইরাস

১৫৩. ধনী লোকদের পাকস্থলী সাধরণত সুস্থ থাকে না।

ওয়াল্টার হুইটম্যান

১৫৪. যার কাছে ধন থাকে, ধন তার নয়, যে ধন খরচ করে ধন তারই হয়।

ফ্রাংকলিন

১৫৫. ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যম, কষ্টের উপলক্ষ এবং বিপদ আপদের বাহন।

–হযরত আলি (রা.)

১৫৬. ধনলিপ্সা মানুষের মনের সুকোমল বৃত্তিগুলোকে নষ্ট করে তাকে পশুতে পরিণত করে।

টমসন

১৫৭. অত্যন্ত সাধারণ পয়সা, হাটে হাটে হাতে হাতে ঘুরে ক্ষয়ে যাওয়া, মলিন হয়ে যাওয়া পয়সা, তাম্রগন্ধী পয়সা, কুবেবের আদিম স্বরূপ, যা রুপোর সোনার কাগজে দলিলে নানা মূর্তি পরিগ্রহ করে মানুষের মনকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৮. তোমার সুসজ্জিত গৃহে যতখানি প্রাচুর্য আছে, ততখানি আনন্দ থাকবে, এমন কোনো কথা নেই।

উইলিয়াম ম্যাসন

১৫৯. অন্যায় পন্থা অবলম্বন করে যে-সম্পদ অর্জন করা হয় তা নিঃশেষ হতে থাকে, আর সৎ পন্থায় পরিশ্রম করে যা অর্জিত হয়, তা বাড়তে থাকে।

হযরত সুলায়মান (আ.)

১৬০. প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ কোনো মানুষের জীবনেই মঙ্গল আনতে পারে না।

নীহাররঞ্জন গুপ্ত

১৬১. অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।

–শেক্সপীয়ার

১৬২. কৃপণের ধন উঠে আসে মাটির তলা থেকে, আর কৃপণ নিজে গিয়ে ঢেকে মাটির তলায়।

–শেখ সাদি

১৬৩. কৃপণের আঙুলের ফাঁক দিয়ে পানি গড়ায় না।

মালয়ী প্রবাদ

১৬৪. জীবনটার পরিধি খুব ছোট। যতশীঘ্র মানুষ তার ধনসম্পদ ভোগ করতে আরম্ভ করে তার ততই মঙ্গল।

স্যামুয়েল জনসন

১৬৫. কৃপণেরা নিজেদের পেট আর পিঠ পকেটে ঢুকিয়ে রাখে।

টমাস ফুলার

১৬৬. মরার আগ পর্যন্ত কৃপণ আর মোয়োর কোনো কাজে আসে না।

ফরাসি প্রবাদ

১৬৭. মানুষের প্রয়োজন যাতে
বিধি তাহা দিলেন সকলি
মনগড়া অভাব সৃজিয়া
দুঃখ পাই আমরা কেবলি।

–পঙ্কজিনী বসু

১৬৮. যে-ব্যক্তি তার প্রয়োজন মেটানোর মতো উপার্জনে সন্তুষ্ট থাকে, তার চাইতে নিরুদ্বিগ্ন জীবন আর কারও হতে পারে না।

–হযরত আলি (রা.)

১৬৯. হাজার পয়সা দানের চেয়ে এক পয়সা ঋণ পরিশোধ বেশি মূল্যবান।

হযরত আবদুল-বিন মোবারক (রা.)

১৭০. কৃপণ ব্যক্তি খোদা হইতে দূরে, লোকসমাজে ঘৃণিত ও দোজখের নিকটবর্তী।

–আল-হাদিস

১৭১. টাকা ছাড়া একজন লোক তীরছাড়া ধনুকের মতো।

জন ব্রে

১৭২. টাকা হারানো খুব সহজ ব্যাপার, কিন্তু টাকা উপার্জন করাটা মারাত্মক কঠিন।

সিসেরো

১৭৩. টাকার পেছনে ছুটলে টাকা পাওয়া যায় না। টাকা যখন আসার ঠিক তখনই আসে।

–সৈকত চৌধুরী

১৭৪. ছিল মোর টাকা কড়ি
ছিল মোর বন্ধুও বিস্তর
দিলাম সে টাকা কড়ি
বন্ধুগণে ধার অতঃপর;
চাহিলাম ফিরে মোর
টাকা সব বন্ধুর নিকট,
টাকাতো গেলই মোর
দিল সব বন্ধুই চম্পট।

কার্তিকচন্দ্র

১৭৫. দারিদ্র্যটা মানুষের গৌরব নয়,তার লজ্জা। অভাবের জ্বালায় মানুষ রুখে দাঁড়ায়; তখন তার অর্থ এই নয় যে, সারা দুনিয়াকে তারা গরিব করে দেবে। সকলের বড়লোক হওয়ার দরকার আছে বলে কয়েকজন অতি বড়লোকের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই।

–নারায়ণ সান্যাল

১৭৬ হে দরিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান!
তুমি মোরে দানিয়াছ খৃস্টের সম্মান
কণ্টক মুকুট শোভা।

কাজী নজরুল ইসলাম

১৭৭. দারিদ্র্যে লজ্জার কিছু নেই। লজ্জা আছে দারিদ্র্যকে কেন্দ্র করে অন্যের করুণাভিক্ষায়।

স্যার আর্থার হেলপ

১৭৮. দারিদ্র্য পাপ নয়, কিন্তু দারিদ্র্য যেন চরিত্রের মাধুর্যকে নষ্ট না করে।

টমাস ফুলার

১৭৯. হাতের দান হাতে-হাতেই চুকিয়ে দাও … হৃদয়ের দান, যত অপেক্ষা করবে তত তার দান বাড়বে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮০. জগতে সর্বদাই দাতার আসন গ্রহণ করো। সর্বস্ব দিয়ে দাও। আর ফিরে কিছু চেয়ো না। ভালোবাসা দাও, সাহায্য দাও, সেবা এতটুকু যা তোমার দেবার আছে দিয়ে যাও। কিন্তু সাবধান, বিনিময়ে কিছু চেয়ো না।

স্বামী বিবেকানন্দ

১৮১. ধনী লোকের ধন তার স্বাস্থ্যের বড় শত্রু।

জর্জ ওয়েস্ট স্টোন

১৮২. আমাদের অনেকেই প্রথম উদ্যমে ব্যবসায়ে প্রবেশ করে অল্পদিনের মধ্যে সফলতা লাভের জন্য অধীর হয়ে ওঠেন। আর যদি প্রথমে কিছু লোকসান হয় তো অমনি ব্যবসায় ছেড়ে দিয়ে হা চাকুরী, হা চাকুরী করে বেড়ান। কিন্তু স্থিরভাবে লেগে থাকতে না পারলে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সফলতা লাভের আশা দুরাশা মাত্র।

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়

১৮৩. প্রাচুর্য মানুষের প্রয়োজন মেটায়, অতিরিক্ত সম্পদ মানুষকে উন্নাসিক করে তোলে।

টমাস ফুলসার

১৮৪. যে-সমস্ত মানুষ বেহিসেবি হয়ে রসনাকে সংযত করতে জানে না, মূর্থের মতো খেয়াল চাপে আর খরচ করে, তারা মনুষ্যত্বর অবমাননা করে, দুঃখের পর দুঃখ, অশান্তি ও বেদনা তাদের জীবনের অনেক শক্তি নষ্ট করে দয়ে। –ডা. লুৎফর রহমান

১৮৫. বিনাশ্রমে অর্জিত সম্পদ দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে।

মহিউদ্দিন

১৮৬. সম্পদের মালিক হবার পর যারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকে, তাদের সেই সম্পদ স্থায়ী থাকে। আর যারা দায়িত্ব ভুলে যায়, তারা নিজের হাতেই সম্পদের ধ্বংস ডেকে আনে।

–হযরত আলি (রা.)

১৮৭. অর্থ উপার্জনের যদিও নানা ধরনের উৎস আছে, কিন্তু অর্থব্যয়ের ক্ষেত্রে বিধিবন্ধ নিয়ম মেনে চলা ভালো।

গোল্ডস্মিথ

১৮৮. মানুষ ইচ্ছা করেই ছোট ও দরিদ্র হয়। তার ছোট ও দরিদ্র হবার কোনো কথাই নাই। তার শুধু সহিষ্ণু পরিশ্রম চাই। জয়ের জন্য শুধু আল্লাহর দিকে চেয়ে থেকো না। তোমার বাহুতে যে শক্তি আছে, তোমার মাথায় যে বুদ্ধি আছে তার ব্যবহার করো তুমি।

ডা. লুৎফর রহমান

১৮৯. দরিদ্রের সমাজ নেই, দরিদ্রের ধর্ম নেই, দরিদ্রের জীবননীতি কোথাও কিছু নেই। তাদের এক ও অদ্বিতীয় পরিচয় তারা সর্বহারা নিঃস্ব।

–প্রাবাধকুমার সান্যাল

১৯০. পাখি উড়াল দেয়ার আগে ডিমের খোলস অবশ্যই ভাঙতে হয়।

–লর্ড টেনিসন

১৯১. যে উড়তে শেখে আগে তাকে অবশ্যই শিখে নিতে হয় দাঁড়ানো; আর হাঁটা আর দৌড়ানো আর আরোহণ আর নাচ; কেবলমাত্র উড়েই বড় শেখা যায় না।

নিৎসে

১৯২. মানুষকে দান করো কিন্তু দান করার জন্যই কি দান করতে হবে? দেখতে হবে, প্রদত্ত পয়সায় দানপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রকৃত উপকার হবে কি না। যার আছে তাকে আরও দিলে পয়সার অপব্যবহার করা হয় না কি?

–ডা. লুৎফর রহমান

১৯৩. কৃপণতা মর্যাদাহানি করে। কাপুরুষতা পূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের পথে বৃহৎ অন্তরায়। দরিদ্র মহাজ্ঞানীকেও অনেক সময় প্রতিপক্ষের সামনে মৌন করে দেয়। অপাত্রে বিনয় বিপদ ডেকে আনে। ধৈর্যই প্রকৃত সম্পদ।

–হযরত আলি (রা.)

১৯৪. কোনো জ্ঞানী বলিয়াছেন আত্মার ঐশ্বর্য থাকিলে দরিদ্রতা কাহারও ক্ষতি করিতে পারে না এবং মানুষের আত্মা দরিদ্র হইলে ঐশ্বর্য দ্বারা তাহার কোনো উপকার সাধিত হয় ন।

অজ্ঞাত

১৯৫. যে তোমার সহিত মন্দ ব্যবহার করে তাহার সহিত তুমি ভালো ব্যবহার করিও–তাহা হইলে সকলের উপরে জয়লাভ করিতে পারিবে। কাহারও ঐশ্বর্যে ঈর্ষা করিও না–তাহাতেই শান্তি লাভ হইবে। বন্ধুলাভ করিতে হইলে স্বার্থপর হইও না। সরলতা বা আন্তরিকতার সহিত কাজ করিও, তাহার পুরস্কার পাইবে।

ইমাম পাজ্জালি (রা.)

১৯৬. লক্ষ্মী হলেন এক, আর কুবের হল আর এক–অনেক তফাত। লক্ষ্মীর অন্তরের কথাটি হল কল্যাণ, সেই কল্যাণের দ্বারা ধন শ্রীলাভ করে। কুবেরের অন্তরের কথাটি হচ্ছে সংগ্রহ, সেই সংগ্রহের দ্বারা ধন বহুত্ব লাভ করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৭. দানশীলতা বেহেস্তের একটি গাছ। দানশীল ব্যক্তি ঐ গাছের একটি ডাল ধরল, যা যতক্ষণ তাকে বেহেশতে দাখিল না করবে, ততক্ষণ সে ছাড়বে না। কৃপণতা দোজখের একটি ডাল। কৃপণ ব্যক্তি এমনি একটি ডাল ধরল যা তাকে দোজখে নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত ছাড়বে না।

–আল-হাদিস

১৯৮. টাকা হল মুদ্রাশাসিত মুক্তি, আর একইভাবে পরাধীনের কাছে এটি দশ গুণ ভয়ঙ্কর। যদি পকেটে ঝনঝন করতে থাকে টাকা, সে অর্ধবন্দি, এর পরও সে টাকা খরচ করতে পারে না।

ফিওদর দস্তায়েভস্কি

১৯৯. যে-গাধার পিঠ স্বর্ণে বোঝাই, সে গিয়ে ওঠে দুর্গের চূড়ায়।

ইংরেজি প্রবাদ

২০০. টাকা জ্ঞানীলোকের বর্ম।

ইউরিপিদেস

২০১. টাকা থাকা মানে দয়ালু, সৎ সুন্দর আর রসিক হওয়া। আর যার নেই সে বিচ্ছিরি, বিরক্তিকর, মূর্খ এবং অকর্মা।

–জ্যাঁ জিরাদু

২০২. সুন্দরী স্ত্রী এবং পেছনের দরজা যে-কোনো মুহূর্তে একজন ধনী লোককে গরিব করতে পারে।

টি. এ. পিকক

২০৩. টাকা অনেকটা বাহু এবং পায়ের মতো, তাকে ব্যবহার করো অথবা পদদলিত করো।

–হেনরি ফোর্ড

২০৪. অর্থমন্ত্রীরা হলেন আইনসম্মত পকেটমার।

–পল রামাদিয়ে

২০৫. প্রজাতন্ত্রের টাকা যে-মুহূর্তে বেশি বেশি করে খরচ করতে শুরু করবেন, মনে হবে ওগুলো গৌরী সেনের।

–আইসেন হাওয়ার

২০৬. অর্থ গেলেই বুদ্ধি যায়।
যা-ই করে তা-ই ব্যর্থ হয়।….
মিত্র তার, জ্ঞাতি তার ঘরে যার ধন
‘পুরুষ’ ও ‘পণ্ডিত’ আখ্যা পায় সে জন।

চাণক্য পন্ডিত

২০৭. যে আমার টাকা চুরি করেছে সে শুধু আমার টাকই চুরি করেনি, বিশ্বাসও চুরি করেছে।

–বেন জনসন

২০৮. দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, সর্বাপেক্ষা সজ্জন ব্যক্তির হাতে যখন টাকা এল, সে প্রথম খোয়াল সৌজন্য। সাধুর হাতে যখন টাকা এল, তখনই তার সাধুতার প্রশ্ন উঠল। নিঃস্বার্থ দেশসেবকের যখন টাকা হল, সে নিজে গড়ে উঠল স্বার্থপরের মতো। এ ছাড়া চেয়ে দেখো আন্যদিকে রাষ্ট্র যখন ধনবান হয়ে উঠছে দিনে দিনে তখন তার শাসকমহল অর্থনীতির তলায় তলিয়ে যাচ্ছে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

২০৯. আমাকে ধনসম্পদ বেশি দিও না এবং কমও দিও না। পুষ্টিকর খাদ্য এবং সুস্থ মানসিকতা নিয়ে আমাকে বাঁচতে দাও।

জন কলিন্স

২১০. আমাদের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট তাকা উচিত। কখনই যা আমরা হতে পারি না তা নিয়ে নয়।

–ম্যাকিন্টস

২১১. পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে কুঁড়েঘরে থাকাও ভালো; অতৃপ্তি নিয়ে বিরাট অট্টালিকায় বাস করায় কোনো সার্থকতা সেই।

উইলিয়াম ডেভিস

২১২. যা তুমি দেখাও তার চেয়ে বেশি তোমার থাকা উচিত, যা তুমি জান তার তুলনায় তোমার কম কথা বলা উচিত।

শেক্সপীয়ার

২১৩. দারিদ্র এক ধরনের ঘৃণা আশীর্বাদ।

রবার্ট বার্টন

২১৪. সত্যিকারের গরিব কে জানেন? নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাকে ভিন্ন ধরনের জীবনাপন করতে হয়।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

২১৫. টাকা হয়ে উঠেছে যৌনতার সমান। তুমি কিছুই ভাবতে পার না যদি তোমার টাকা না থাকে, যদি থাকে তবে এটি ছাড়া আর সবকিছু নিয়েই ভাবতে পার।

–জেমস বলডুইন

২১৬. রাজ্য দখলের চেয়ে বড় রাজ্য দান
গ্রহণের চেয়ে দান অনেক মহান।

মিল্টন

২১৭. একটি মানুষকে তখনই ধনী বলা যায়, যখন অন্যের তুলনায় তার নিজের জন্য অনেক ধরনের জিনিস সে কিনতে পারে বা ব্যবহার করতে পারে।

খোরো

২১৮. টাকা ধার দিলে ক্ষতি হয় : হয় টাকাটা হারানো যায়, নচেৎ একজন শত্রুলাভ হয়।

–আলবেনীয় প্রবাদ

২১৯. যদি টাকার মূল্য নিরূপণ করতে চাও তা হলে টাকা ধার করার চেষ্টা করে দেখো। যে ধার করে সে দুঃখ-দুর্দশাকেই আমন্ত্রণ জানায়।

ফ্রাংকলিন

২২০. বন্ধু খোয়াতে চাও? তবে তাকে কিছু টাকা ধার দাও।

এস্টোনিয়ান প্রবাদ

২২১. অনেক ধনসম্পদের চেয়ে একটা সুন্দর নাম ভালো।

কার্ভেন্টিস

২২২. একজন কুঁড়েঘরের দরিদ্র লোক যতবেশি নিশ্চিন্ত, একজন রাজা তত বেশি উদ্বিগ্ন।

জর্জ ম্যারিটন

২২৩. ধনসম্পদ ভালো জিনিস সন্দেহ নেই, তবে আর্থিক সম্পদের চাইতে স্বাস্থ্যের সম্পদ অনেক বেশি মূল্যবান। আবার শারীরিক সুস্থতার চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান অন্তরের পরিচ্ছন্নতা।

–হযরত আলি (রা.)

২২৪. ধনী ঘরে ছেলে জন্মগ্রহণ করে বটে, কিন্তু ধনীর ছেলে বলিয়া বিশেষ কিছু লইয়া কেহ জন্মায় না। ধনীর ছেলে ধনী এবং দরিদ্রের কোনো প্রভেদ লইয়া আসে না। জন্মের পরদিন হইতে মানুষ সেই প্রভেদ নিজের হাতে তৈরি করিয়া তুলিতে থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২৫. যে-প্রাচুর্য কুপথে টানে, দারিদ্র তদপেক্ষা অনেক শ্রেয়। –হযরত আলি (রা.)

২২৬. ভালোবাসা মানুষকে শিল্পী করতে পারে; কিন্তু প্রাচুর্য বাধার সৃষ্টি করে।

ওয়াশিংটন অনল্টন

২২৭. ধনের যদি সদ্ব্যবহার করা হয়, তবে ইহা সুখের কারণ এবং সদুপায়ে ধনবৃদ্ধি করিতে সকলেই বৈধভাবে চেষ্টা করিতে পারে।

–আল-হাদিস

২২৮. আর্থিক সঙ্গতি না থাকলে অনেক সময় মনের সঙ্গতি থাকে না।

উইলিয়াম শার্প

২২৯. আর্থিক সচ্ছলতা বন্ধু আনে, কিন্তু ভালোবাসা আনে না।

–জোসেফ কনরাড

২৩০. সামর্থ্যই হল গরিব লোকের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

–এম. ওরেন

২৩১. তৎপরতা হল ব্যবসায়ে আত্মার মতো।

–এম. চেস্টারফিল্ড

২৩২. অর্থ হল এমন একটি চমৎকার জিনিস, যা থাকলে হাতে আসে ক্ষমতা, মনে আসে শান্তি আর স্বাধীনতা।

–জে. আর. লাওয়েল

২৩৩. জামার পকেটের তলিতে যদি একটি ফুটো থাকে তা হলে মুদ্রা দিয়ে পকেট বোঝাই করার কোনোই অর্থ হয় না।

ইলিয়ট

২৩৪. টাকা নিয়ে জগদীশ্বরের কী ধারণা জানতে চাইলে যাদের তিনি বস্তুটি দিয়েছেন তাদের দিকে তাকাও।

মরিস ব্যারিং

২৩৫. প্রত্যেকে, এমনকি ধনী কুমিররা পর্যন্ত, যতটা নির্দ্বিধায় চেক কেটে দিতে পারে, তত সহজে একটি পয়সা দিতে পারে না।

ম্যাক্স বিয়ারবোম

২৩৬. অর্থপ্রেমই সমস্ত শয়তানির মূল।

বাইবেল

২৩৭. জীবন বড় ছোট, আর টাকাও তেমনই।

–বের্টোল্ড ব্রেখট

২৩৮. দরিদ্রর জন্য কিছু সঞ্চয় করা এবং তাদের জন্য ভাবা মানুষ হিসাবে প্রত্যেকেরই কর্তব্য।

–জন ওজেল

২৩৯. যৌবনকালে অর্ধেক খাও, আর অর্ধেক সঞ্চয় করো। যৌবনের সঞ্চয় বৃদ্ধকালের অবলম্বন।

সক্রেটিস

২৪০. সঞ্চয় থাকতে রেখে দাও। বেলা থাকতে হেঁটে যাও।

শচীন্দ্রমোহন রায়

২৪১. সম্পদ যেমন দায়িত্ব বৃদ্ধি করে তেমনি অধিকারকেও সুপ্রতিষ্টিত করে।

আর্থার ইয়ং

২৪২. আলো ও বাতাসের উপর পৃথিবীর সবার অধিকার যেমন সমান, তেমনি পৃথিবীর সকল সম্পত্তির উপর মানুষের অধিকার সমান।

মার্কল

২৪৩. দরিদ্রের সমস্ত দিনই একঘেয়ে ও বৈচিত্র্যহীন।

জন লিডগোট

২৪৪. সম্পত্তিই সারা দুনিয়ার মানুষকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছে; সমস্ত যুদ্ধ, রক্তপাত ও দ্বন্দ্বের মূলেই এই সম্পত্তি। আবার যেদিন এ-পৃথিবী সকলের সাধারণ ধনভাণ্ডারে পরিণত হবে এবং একদিন তা হবেই, সেই দিনই দুনিয়াজোড়া এই দ্বন্দ্বের মীমাংসা হবে।

উইন স্ট্যানলি

২৪৫. টাকার জন্য চারটি নিয়ম :
যতটা পাওনা–পার তো সব আদায় করো।
যতটা পার–সঞ্চয় করো।
দেনা–যতটা পার মিটিয়ে ফেলো।
খাটাও–যতটা খাটানো সম্ভব।

হার্বাট ক্যাশন

২৪৬. নিজের টাকা দিয়ে লোকেরা যেমন খুশি থাকতে পারে–নিজের রুবলটি ভাইয়ের চেয়েও বেশি আপন।

–ম্যাক্সিম গোর্কি

২৪৭. যাও, রাস্তায় নেমে পড়ো। কাউকে থামিয়ে নীতি নিয়ে ভাষণ দাও একটা, অন্য আরেকজনের মুঠোয় গুঁজে দাও কিছু পয়সা, এরপর দ্যাখো কে বেশি শ্রদ্ধা করে।

স্যামুয়েল জনসন

২৪৮. ব্যাংক -অধ্যক্ষ এমন একজন লোক, যিনি ভালো আবহাওয়ার সময় আপনাকে ছাতা ধার দেন এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যখন বৃষ্টি পড়তে থাকে তখন ছাতাটা কেড়ে নেন।

অজ্ঞাত

২৪৯. আদম যখন চষত জমি,
ইভ কাটিত সুতা,
তখন কে ছিল ধনী কে ছিল গরিব
এসব সকলি ছুতা।

–জন বল

২৫০. মানুষ যদি একটু বুঝেসুঝে খরচ করে তা হলে তার দুঃখ অনেকটা কমে যায়। মানুষ নিজের দুঃখ নিজেই রচনা করে নিজেকে নিজেইে দরিদ্র করে।

–ডা. লুৎফর রহমান

 ০৭. জীবন ও মন

১. পার্থিব জীবন ছলনাময়।

–আল-কোরআন

২. মানুষের জীবন এক ব্যস্ত মানচিত্র, যা কাজ এবং যুক্তিতর্ক ও পরামর্শে পূর্ণ।

কুপার

৩. জীবন হচ্ছে সমুদ্রের মতো তরঙ্গবহুল। কিন্তু সতর্কতার সাথে সাঁতার কাটলে খুব সহজেই তার কূল পাওয়া যায়।

–জন হার্তে

৪. মানুষের জীবন এক চমৎকার উপকথা,যা বিধাতা নিজে লিখেছেন।

হান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন

৫. জীবন মানেই অনিশ্চিত ভ্রমণ।

শেক্সপীয়ার

৬. জীবন হচ্ছে সাদা কাগজের পাতা। তার মধ্যে আমাদের কেউ কেউ লিখতে পারে তার দু-একটা কথা, তার পরই নেমে আসে রাত্রি।

–জে. আর. লাওয়েল

৭. জীবন হচ্ছে একমাত্র সত্য ইতিহাস।

কার্লাইল

৮. জীবন এমন একটা স্তম্ভ, যা আমরা একা বহন করতে পারি না।

জ্যাকুইন মিলার

৯. জীবন হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনার বৃহৎ সমষ্টি মাত্র।

জন ম্যানফিল্ড

১০. জীবন সামান্য জিনিসের বৃহৎ বন্ধন।

–এ. ডব্লিউ, হালমস

১১. জীবন একটা রঙ্গমঞ্চ; সুতরাং তোমার ভূমিকাভিনয় করতে শিখে নাও, গাম্ভীর্যকে এক পাশে সরিয়ে রেখে। নতুবা জীবনের মর্মবেদনা বহন করতে শেখা অপরের মঙ্গল করতে শেখার চেয়ে প্রায়শই ঢের বেশি কঠিন।

জসুয়া লথ লিয়েবম্যান

১২. মানুষের মন আকাশের চেয়ে বড়, সমুদ্রের চেয়ে গম্ভীর হতে পারে।

টমাস চ্যাম্পিয়ান

১৩. যে-জীবনে পরিশ্রম নেই, সে-জীবন যেন একটা গুরুতর অপরাধ। এবং যে পরিশ্রমে আর্টের আনন্দ নেই তা পশুত্ব।

রাস্কিন

১৪. দুনিয়াতে মানুষের মনই বোধহয় সবচেয়ে দুর্গম ও দুয়ে।

মুহম্মদ আবদুল হাই

১৫. দিন কতকের মেয়াদের শুধু

ধার করা এই জীবন মোর, হাস্য মুখে ফেরত দেব সময়টুকু হলেই ভোর।

–ওমর খৈয়াম

১৬. মানুষের জীবন যেন কোনো অদৃশ্য চিত্রকরের স্বহস্তে রচনা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭. মানুষের জীবন মানচিত্রের মতো।

–শংকর

১৮. এসো সব, আশার দালান গড়া বালির উপরে আনো মদ, জীবন তো বাতাসের হঠাৎ প্রবাহ।

–হাফিজ

১৯. মৃতদের জন্য কাঁদো, কেননা, সে আলো থেকে বঞ্জিত। বোকাঁদের জন্য কাঁদো, কেননা, সে বুদ্ধি থেকে বঞ্চিত; মৃতদের জন্যে কাঁদো কম শোকে, কেননা, সে আছে বিশ্রামে, কিন্তু বোকার জীবন মৃতের চেয়েও বাজে।

বাইবেল

২০. আমরা কথার অধীন, প্রথার অধীন, অসংখ্য প্রবৃত্তির অধীন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১. মানুষের মনের সব থেকে বড় শত্রু হলো তার সংশয়, অবিশ্বাস, সন্দেহ।

সমরেশ বসু

২২. বয়েসের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনের অনুভূতিও পরিবর্তিত হয়।

সিডনি স্মিথ

২৩. তিনটি অভ্যাস মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তোলে : (১) জ্ঞানীর সাহচর্য, (২) ব্যবহারে অমায়িকতা (৩) খরচের ভারসম্য রক্ষা করা।

জুবাইর

২৪. অভ্যাস উৎকৃষ্ট চাকরের মতো নতুবা নিকৃষ্ট মনিবের মতো হয়ে থাকে।

ইমনোস

২৫. অভ্যাসই অভ্যাসকে অতিক্রম করতে পারে। –

-আইজ্যাক ইউলিয়ামস

২৬. মনের অসন্তোষকে দীর্ঘদিন জিইয়ে রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

আফরাবেন

২৭. অস্থির মানসিকতা স্বাস্থ্য এবং শান্তি দুটোতেই বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

–ডেল কার্নেগি

২৮. জীবনে আশা সূর্যকিরণের মতো বারবার ফিরে আসে।

জুভেনাল

২৯. সর্বোৎকৃষ্টের জন্য আশা করো আর সর্বনিকৃষ্টের জন্য তৈরি থাকো।

–ইংরেজি প্রবাদ

৩০. কেবল নিজের উপরই আস্থা রাখুন, অন্যেরা আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবে না।

টমাস ফুলার

৩১. এমন কেউ নেই যে কিছু হারায়নি, জীবনভর শুধু পেয়ে গেছে।

জন ক্লার্ক

৩২. আত্মহত্যা নয়, আত্মসমৃদ্ধিই জীবনের উদ্দেশ্য। আর তা কেবলমাত্র সম্ভব জীবন উপভোগের মাধ্যমে।

বার্ট্রান্ড রাসেল

৩৩. চেষ্টা করলেই মানুষ ইচ্ছানুযায়ী আনন্দ উপভোগ করতে পারে। লিঙ্কন ৩৪. জীবন ক্ষণস্থায়ী, কাজেই উপার্জনের পাশাপাশি তা ভোগ করে যাওয়া উচিত।

স্যামুয়েল জনসন

৩৫. কল্পনা বাস্তবের অভাব পূরণ। উদ্ভট কল্পনায় মন ক্যাঙ্গারুর মতো লাফিয়ে লাফিয়ে চলে।

আব্দুর রহমান শাদাব

৩৬. মানুষের কল্পনাশক্তি না থাকলে পৃথিবীর এত উন্নতি সাধিত হত না।

–মার্শাল

৩৭. জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। তোমার সমস্ত কাজ ঠিক সময়মতো করে ফ্যালো।

–জর্জ আর্নল্ড

৩৮. প্রাণের অবস্থাটি খুব কোমল করিতে হইবে। কাদামাটির ন্যায় মনকে গঠন করা চাই। তাহা হইলে ঐ মনের দ্বারা অনেক সুন্দর নতুন জিনিস প্রস্তুত হইতে পারে।

স্বামী দয়ানন্দ অবধূত

৩৯. মন যেন পিঞ্জরার পাখি। কল্পনায় সে ডানা মেলে উড়ে যায়। কল্পনা না থাকলে মানুষ অন্য জীবের মতো বাস্তবে বন্দি হয়ে থাকত।

আব্দুর রহমান শাদাব

৪০. দুর্ভাগ্যের শিক্ষালয়ে নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা করতে হয়।

মহাত্মা গান্ধী

৪১. নিষ্ঠার সাথে পরিচর্যা করলে জীবনের লালিত্য বৃদ্ধি পাবে।

রিচার্ড হেনরি

৪২. পরিবর্তন মানে প্রগতি। প্রগতিই জীবন।

রাহাত খান

৪৩. ভয় মানুষকে মুত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

বায়রন

৪৪. মানুষের জীবনটাই অগণিত ভুলের যোগফল।

–হোমারক্রয়

৪৫. যে-মানুষ ভুল করে না, বস্তুত সে কিছুই করে না।

–এ.জে. ফিলিপস

৪৬. জীবন ভোগের জন্য।

–চার্লস ল্যাম

৪৭. জীবনের পরিধি খুবই ক্ষুদ্র। যত শীঘ্র মানুষ তার ধনসম্পদ ভোগ করতে শুরু করে, ততই তার মঙ্গল।

–স্যামুয়েল জনসন

৪৮. যৌবনই ভোগের কাল, বার্ধক্য স্মৃতিচারণের।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৯. মনের সৌন্দর্যকে যে অগ্রাধিকার দেয়, সংসারে সে-ই জয়লাভ করে।

–শেক্সপীয়ার

৫০. সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে তোমার দুটো জিনিস দরকার, তা হচ্ছে–বুদ্ধি এবং রুচিবোধ।

–জে. জি. হুইটিয়ার

৫১. কুৎসিত মন একটি সুন্দর মুখের সমস্ত সৌন্দর্য কেড়ে নেয়।

লটমাস নুন

৫২. সন্দেহপ্রবণ মন এক বৃহৎ বোঝাস্বরূপ।

ফ্রান্সিস ফুয়ারেলস

৫৩. যে-মন সুখী এবং পরিতৃপ্ত সেই মনই মহৎ।

ফার্গুসন

৫৪. আমার মনই আমার ধর্মশালা।

–টমাস পেইন

৫৫. সন্দেহপ্রবণ মন ভালো কাজের অন্তরায়।

–রবার্ট ব্রাউনিং

৫৬. খাঁটি, সরল ও সুস্থ হচ্ছে সেই মন, যে ছোট বড় সকল বস্তুকে সমভাবে গ্রহণ করতে পারে।

–স্যামুয়েল জনসন

৫৭. মানুষের মনের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো সংশয়, অবিশ্বাস আর সন্দেহ।

–সমরেশ বসু

৫৮. তুমি যদি মনের সজীবতা ধরে রাখতে চাও, তা হলে সবকিছুকে সহজভাবে গ্রহণ করতে শেখো।

টমাস হুড

৫৯. যে মনের দিক থেকে বৃদ্ধ নয়, বার্ধক্য তার জীবনে আসে না।

–ফিলিপ ম্যাসিঞ্জার

৬০. যদি ভালোভাবে বাঁচতে চান তা হলে মনে রাখবেন–সমস্যাকে তুচ্ছজ্ঞান করতে হবে, আশীর্বাদকে গণ্য করতে হবে।

—ডেল কার্নেগি

৬১. জীবনকে যদি তুমি ভালোবাস তা হলে সময়ের অপচয় কোরো না। কেননা জীবনটা সময়ের সমষ্টি দ্বারা সৃষ্ট।

–ফ্রাঙ্কলিন

৬২. সময়ের সমুদ্রে আছি, কিন্তু এক মুহূর্ত সময় নেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৩. মৃত্যুর চেয়ে কঠিন হচ্ছে জীবন। কেননা দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ কেবল জীবনেই ভোগ করতে হয়, মৃত্যু তা থেকে মুক্তি দেয়।

সক্রেটিস

৬৪. নদীতে স্রোত আছে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময়।

–টমাস মূর

৬৫. কর্মহীন জীবন হতাশার কাফনে জড়ানো একটি জীবন্ত লাশ।

–ডেল কার্নেগি

৬৬. আমাদের জীবন আমাদের ইচ্ছার উপর নয়, আমাদের কর্মের উপর দণ্ডায়মান।

–লিথা গোরাম

৬৭. মনের উপর কারও হাত নেই। মনের উপর জোর খাটানোর চেষ্টা করা বৃথা।

–ম্যাকডোনাল্ড

৬৮. শিশুদের মনটা স্বর্গীয় ফুলের মতোই সুন্দর।

–এডমন্ড ওয়ালার

৬৯. অসি দিয়া নয়, নির্ভীক করে
মন দিয়া রণ জয়,
অস্ত্রে যুদ্ধ জয় করা সাজে
দেশ জয় নাহি হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম

৭০. শরীর ও শরীরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মনের কার্য অনেক। মন কারিগর যেমন গড়ে শরীর তেমনি হয়। মন যদি শরীর সম্বন্ধে কুৎসিত ভাবনা করে শরীর কুৎসিত হয়।

শ্রীসরলা দেবী

৭১. একটি সুখের সংসার ধ্বংস করার জন্য শয়তান যতগুলো অস্ত্র আবিষ্কার করেছে, তার মধ্যে মারাত্মক অস্ত্র স্ত্রীর ঘ্যানর ঘ্যানর।

—ডেল কার্নেগি

৭২. আনন্দ মাধুর্যহীন জীবন জীবনই নয়।

–মেসিল্ডার

৭৩. জীবন আমাদের ইচ্ছাধীন নয়।

–সমরেশ বসু

৭৪. যা পচে গেছে, যা মরে গেছে তাকে সিল্কের কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখলে লাভ কী? তাতে আর নবজীবন আসবে না। আজ যাতে জীবন নেই, যাতে থেমে গেছে জীবনের স্পন্দন, তা যেমন নিজেকে চালাতে পারে না, তেমনি অপরকেও চালাতে পারে না। তেমন জিনিস যদি আমাদের অতি প্রিয় জিনিসও হয়, তবু তাকে কবর দিয়ে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে। জীবন মানে এগিয়ে চলা।

–কামাল আতাতুর্ক

৭৫. দীর্ঘ আয়ু দীর্ঘ অভিশাপ,
বিচ্ছেদের তাপ নাশে সেই বড়ো তাপ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৬. তেরো-চৌদ্দ বৎসরের ছেলের মতো পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই। শোভাও নাই, কোনো কাজেও লাগে না …. তাহার মুখে আধো-আধা কথাও ন্যাকামি, পাকা কথাও জ্যাঠামি এবং কথামাত্রই প্রগলভতা। শৈশব এবং যৌবনের অনেক দোষ মাপ করা যায়, কিন্তু এই সময়ে কোনো স্বাভাবিক অনিবার্য ক্রটিও যেন অসুহ বোধ হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৭. আগন্তুককে গালি দেয়ার জন্যে সবাই মুখিয়ে থাকে।

ইস্কিলাস

৭৮. বিদেশি সবকিছুই শ্রদ্ধেয়। একটি কারণ এটি অজানা জায়গা থেকে আসে, অন্য কারণ এটি তৈরি আর নিখুঁত।

–বালতাসার প্রাসিয়া

৭৯. মানুষ যাকে চেনে না, তার কাছে সে মানুষ নয়, চিতাবাঘ।

–পুটাস

৮০. বেঁচে থাকি, আশা করি, কষ্ট পাই, কাদি, লড়ি, আর সবশেষে ভুলে যাওয়া ..যেন কোনোদিন ছিলামই না।

–মেরি বাশকিরভ সেভ

৮১. পিঁপড়ে আর বুনোরা আগন্তুককে অক্কা পাইয়ে ছাড়ে।

বার্ট্রান্ড রাসেল

৮২. আগন্তুকের অশ্রু পানি ছাড়া কিছু নয়।

–রুশি প্রবাদ

৮৩. আগন্তুকের কোনো বন্ধু নেই, আরেকজন আগন্তুক ছাড়া।

–শেখ সাদি

৮৪. ধূসর মরুর ঊষর বুকে
বিশাল যদি শহর গড়ো
একটি জীবন সফল করা
তার চাইতে অনেক বড়ো
একটি উদাস হৃদয় যদি
বাঁধতে পারো প্রেমের ডোরে,
বন্দী শতক মুক্তিদানের
চাইতে সে যে শ্রেষ্ঠ ওরে।

–ওরম খৈয়াম

৮৫. আমি বৃদ্ধ হতে চাই না, ও-বয়সটা সুখকর নয়।

–আঁদ্রে মরোয়া

৮৬. যুবকদের তুলনায় বুড়োদের রোগব্যাধি অনেক কম। কিন্তু যা থাকে, তা আমরণ সাথি হিসেবেই বিদ্যমান থাকে।

–প্লেটো

৮৭. জরা আসে যৌবনের শেষে,
অকারণ আসে না সে, আসে সে ত কুঞ্জবীর বেশে,
আসে সে যে হৃদয়ের বোধনের শোধনের তরে
বিধাতার শাপে নয়, বরে।

কালীদাস রায়

৮৮. যৌবনটা একটা মস্ত ভুল, জীবনটা একটা সংগ্রাম আর বার্ধক্য এক বিরাট আক্ষেপের সমষ্টি।

–ডিজরেইলি

৮৯. আমার মনই আমার ধর্মশালা।

–টমাস পেইন

৯০. মনের দিক থেকে যে দুর্বল, কর্মক্ষেত্রেও সে দুর্বল।

–জন রে

৯১. জীবনে একটি দিন চলে যাওয়া মানে আয়ু হ্রাস পাওয়া, কাজেই প্রতিটি দিনকে অর্থবহ করে তোলা উচিত।

–টমাস উইলম্বন

৯২. বয়স ভালোবাসার মতো লুকিয়ে রাখা যায় না।

–টমাস ডেক্কার

৯৩. তোমার বয়স যত বছর তত বছর কি তুমি বেঁচেছিলে?

–সুইফট

৯৪. নারীর বয়স তার দেহে, পুরুষের তার মনে।

–অজ্ঞাত

৯৫. মন্দ কাজ হতে আত্মরক্ষার জন্য পরিচ্ছন্ন মনের প্রয়োজন। মন পরিচ্ছন্ন থাকলে দেহও পরিচ্ছন্ন থাকে।

–ইমাম গাজ্জালি (রা.)

৯৬. দুনিয়াতে মানুষের চেয়ে বড় আর কিছু নেই; আর মানুষের মাঝে মনের চেয়ে বড় নেই।

–স্যার উইলিয়াম হ্যামিলন

৯৭. মন যদি চোখকে শাসন করে তবে কখনো চোখ ভুল করবে না।

–পাবলিয়াস সিরাস

৯৮. ধনের মানুষ মানুষ নয়, মনের মানুষই মানুষ। আমি ধন দেখিয়া তোমার সমাদর করিব না, জন দেখিয়া তোমার আদর করিব না, সিংহাসন দেখিয়া তোমার সম্মান করিব না, বাহুবলের জন্য তোমার সম্মান করিব না, কেবল মন দেখিয়াই তোমার পূজা করিব। তুমি যদি স্বয়ং অমানুষ হও, অথচ দণ্ডধর হইয়া আমাকে দণ্ডকরণে উদ্যত হও তথাচ আমি দণ্ড ভয়ে কদাচ তোমাকে দণ্ডবৎ করিব না। কিন্তু তুমি যদি পবিত্র চিত্তে সাধুভাবে ভিক্ষার ঝুলি ধারণ করিয়া আগমন কর, তবে তোমার দর্শনমাত্র তৎক্ষণাৎ আমি ধূলিধূসরিতাঙ্গ হইয়া পদতলে প্রণত হইব। অতএব যদি মানুষ হইবার অভিপ্রায় থাকে, তবে মনকে বিকল কর ও সরল হও। আপনি ছোট হইলেও বড় হইবে, বড় হইলে কখনও বড় হইতে পারিবে না।

–ঈশ্বর গুপ্ত

৯৯. জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়–জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি, জটিল করি।

হুমায়ূন আহমেদ

১০০. জীবনকে সহজভাবে নিতে জানলে জীবন কখনো দুঃসহ হয়ে ওঠে না।

লুইস ক্যারল

১০১. জীবনকে এক পেয়ালা চায়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যতই তৃপ্তি সহকারে আমরা তা পান করি, ততই দ্রুত তলার দিকে অগ্রসর হতে থাকি।

–ক্রিনেট

১০২. দুঃখমুক্ত জীবনযাপনের ইচ্ছা না থাকলে, যা ঘটতে যাচ্ছে তাকে ঘটেই গেছে। বলে মনে করতে হবে।

–এপিকটেটাস

১০৩. জীবনের অর্থ হল গতি, অর্থাৎ কিনা ছোটাছুটি। প্রাণপণে ছোটার নাম হল বেঁচে থাকা, চুপচাপ থেমে থাকার নাম মরে যাওয়া। ছোটাছুটি না করে যারা বেঁচে আছে, তারা মরে বেঁচে আছে।

অবধূত

১০৪. জীবনকে ঘৃণা কোরো না, ভালোবাসতে শেখো। ভালোবাসা দিয়ে এবং ভালোবাসা পেয়ে তোমার জীবনকে স্বর্গীয় সুষমায় উদ্ভাসিত করে তোলো।

–মিলটন

১০৫. জীবনের মহৎ পরিণতি অভিজ্ঞতায় নয় কর্মে।

–টি, এইচ, হাক্সলি

১০৬. নদীতে স্রোত আসে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময়।

টমাস মুর

১০৭. জীবনকে যে ভালোবাসে না, তার কাছে সম্পদ স্বাস্থ্য অর্থহীন।

জুভেনাল

১০৮. জীবনে যদি অগ্রগতি না থাকে, সে-জীবন অবাঞ্ছিত। –রোম্যাঁ রোলাঁ

১০৯. সকল মানসিক দুর্বলতার মধ্যে জীবনের প্রতি ভালোবাসা সবচেয়ে শক্তিশালী।

মলিয়ের

১১০. জীবনের কোনো মূল্য তখনই থাকে যখন এর লক্ষ্য হিসাবে মূল্যবান কিছু থাকে।

হেগেল

১১১. আমরা যা নই তা হবার এবং আমরা যা করতে পারি না তা করবার জন্য অবিরাম সগ্রামই হল জীবন।

উইলিয়াম হ্যাজলিট

১১২. জীবনের জন্য প্রস্তুতির শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে জীবনযাপন শুরু করা।

এলবার্ট ডুবার্ট

১১৩. বেশি যারা ভাবে তারা জীবনকে উপভোগ করতে পারে না।

বুদ্ধদেব গুহ

১১৪. সর্বদুঃখহর জীবনদর্শন বলে কিছু নেই। যখন যে সমস্যা দেখা দেয় তখন তার সমাধান করাই আমাদের সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য জ্ঞান অবস্থানুযায়ী ব্যবস্থা করার যোগ্যতা।

আব্দুর রহমান শাদাব

১১৫. শিশুর ব্যক্তিত্বের প্রতি বিশ্বাসী হোন, তার উপর মাত্রাতিরিক্ত অভিভাবকত্ব করবেন না, শিশুর রাজ্যে অনধিকার প্রবেশও তার মানসিকতার পক্ষে শুভ নয়।

–ইমারসন

১১৬. শিশুরা ঈশ্বরের দূত, দিনের পর দিন যারা প্রেম, আশা আর শক্তি সম্পর্কে প্রচারের জন্য প্রেরিত হয়।

–জেমস রাসেল লোভেল

১১৭. শিশুর প্রকাশের মাধ্যম অনেক। তার ভাষার প্রয়োজন হয় না।

–চার্লস ডিকেন্স

১১৮. ফুটন্ত কলির মত শিশু মনোরম
তার চেয়ে বেশি কিছু আছে কি সুন্দর?

–আকরাম হোসেন

১১৯. আমার হৃদয় আমার হৃদয়
বেচি নি তো তাহা কাহারো কাছে
ভাঙা চোরা হোক, যা হোক তা হোক
আমার হৃদয় আমারি আছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২০. কাব্য নয়, চিত্র নয় প্রতিমূর্তি নয়
এ ধরণী চাহিছে শুধু হৃদয় হৃদয়।

–অক্ষয়কুমার বড়াল

১২১. ভালো করিয়া দেখিতে গেলে শিশুর মতো পুরাতন আর কিছু নাই। দেশকাল শিক্ষা প্রথা অনুসারে বয়স্ক মানবের কত নূতন পরিবর্তন হইয়াছে, কিন্তু শিশু শতসহস্র বৎসর পূর্বে যেমন ছিল আজও তেমন আছে, সেই অপরিবর্তনীয় পুরাতন বারম্বার মানবের ঘরে শিশুমূর্তি ধরিয়া জন্মগ্রহণ করিতেছে, অথচ সর্বপ্রথম দিন সে যেমন নবীন, যেমন সুকুমার, যেমন মূঢ়, যেমন মধুর ছিল; আজও তেমনি আছে। এই চির নবীনত্বের কারণ এই যে, শিশু প্রকৃতির সৃজন, কিন্তু বয়স্ক মানুষ বহুল পরিমাণে মানুষের নিজকৃত রচনা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২২. খোকা মাকে শুধায় ডেকে
এলেম আমি কোথা থেকে
কোথায় তুমি কুড়িয়ে পেলে আমারে?
মা তারে কয় হেসে কেঁদে
খোকারে তার বুকে বেঁধে
ইচ্ছে হয়ে ছিলি মনের মাঝারে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৩. আশার তপন নব যুবগণ
সমাজের ভাবী গৌরব কেতন,
তোমাদের ‘পরে জাতীয় জীবন
তোমাদের ‘পরে উত্থান পতন,
নির্ভর করিছে জানিও সবে।

–সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী

১২৪. উৎকৃষ্ট বীজ থেকেই উত্তম বৃক্ষ জন্ম নেয়।

–জন গে

১২৫. সম্ভবত পলিমাটির দেশ বলিয়াই আমাদের জীবনের কোনো বাগে কোনো বুনিয়াদ পাকা হইতে পারে না। মাটির উপরেও যেমন কোনো চিহ্ন থাকে না, মনের ভিতরও কোনো স্মৃতি পুষিয়া রাখি না।

–মোহিতলাল মজুমদার

১২৬. একটি সুন্দর মন থাকা একটি সুন্দর রাজ্যে বসবাস করার আনন্দের মতো।

–জন ওয়েসলে

১২৭. দুর্বল দেহ মনকে দুর্বল করে দেয়।

রুশো

১২৮. একটি মহৎ অন্তর, পৃথিবীর সমস্ত মাথার চেয়ে ভালো।

বুলার লিটন

১২৯. যুবকদের জন্য চল্লিশ বয়স্ক হওয়াটাই বার্ধক্য, কিন্তু বৃদ্ধদের জন্য পঞ্চাশ বছর বয়সটাই পূর্ণ যৌবন।

ভিক্টর হুগো

১৩০. জীবন ছোট বলেই মহান।

–ডিজরেইলি

১৩১. সংগ্রামী জীবন দীর্ঘ এবং আনন্দপূর্ণ জীবন প্রায়শই ক্ষণিকের হয়।

জ্যাকব এ. রিস

১৩২. জীবনের প্রতি মানুষের মায়া অপরিসীম। জীবনকে ভালোবাসে বলেই এত দুঃখ-কষ্ট সংগ্রামের মধ্যেও মানুষ বেঁচে থাকে।

–জর্জ হারবার্ট

১৩৩. জীবন মানেই সাফল্য এবং সাফল্য মানেই দুর্ভোগ।

–এইচ. ডব্লিউ. ভ্যানলুন

১৩৪. শান্ত এবং পরিচ্ছন্ন জীবন স্বাস্থ্যরক্ষার উৎকৃষ্ট খাদ্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

–উইলিয়াম ল্যাং ল্যান্ড

১৩৫. জীবনের পিছে মরণ দাঁড়ায়ে
আশার পিছনে ভয়
ডাকিনীর মতো রজনী ভ্ৰমিছে
চিরদিন ধরে দিবসের পিছে
সমস্ত ধরণীময়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৬. এই তো জীবন
পাওয়া আর হারানোর
–তবু হাত বাড়ানোর
ভুল আশা-নিরাশার কাঁটার দহন।

দীনেশ গঙ্গোপাধ্যায়

১৩৭. জীবন যতক্ষণ আছে, বিপদ ততক্ষণ থাকবেই।

ইমারসন

১৩৮. জীবনের নিগূঢ় সত্যটি হচ্ছে, কখনো এমন কোনো আবেগকে প্রশ্রয় না দেওয়া যা অশোভন।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১৩৯. আজ যারা নবীন, যাদের চোখে নতুন আলো, নব উদ্যম ও অনুপ্রেরণা, কাল তারা পকূকেশ ও প্রবীণ; সংসার থেকে তাদের প্রয়োজন নিঃশেষে ফুরিয়ে গেল, তারা আবার ছুটল মৃত্যুর গর্ভে। দুরন্ত উল্লাসে বারেবারে ছুটে আসে, দুর্দান্ত তাড়নায় বারেবারে তারা ছুটে পালায়। এর নাম জীবন।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

১৪০. খাও, পান করো আর ভালবাসো। কারণ জীন ক্ষণস্থায়ী।

বায়রন

১৪১. মানুষের জীবনে বিশ বছর পর্যন্ত ইচ্ছার রাজত্ব চলে, তিরিশ বছর বয়স পর্যন্ত চলে বুদ্ধির রাজত্ব এবং চল্লিশ বছর বয়সে আসে বিচার-বিবেচনার রাজত্ব।

ফ্রাংকলিন

১৪২. একটা সুন্দর মন অন্ধকারে আলোর মতো, যার মাধ্যমে কলুষতার মাঝেও নিজের অস্তিত্বকে মর্যাদাসম্পন্ন রাখা যায়।

দানিয়েল

১৪৩. মন যখন ঘুরে বেড়ায়, কান আর চোখ তখন অকেজো হয়ে দাঁড়ায়।

অজ্ঞাত

১৪৪. একটা মন আর একটা মনকে খুঁজিতেছে নিজের ভাবনার ভার নামাইয়া দিবার জন্য, নিজের মনের ভাবকে অন্যের মনে ভাবিত করিবার জন্য।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৫. আত্মা কুলুষিত হতে আরম্ভ করলেই মন আকারে সরু হতে থাকে।

–রুশো

১৪৬. মনের অনেক দরোজা আছে, সেখান দিয়ে অসংখ্যজন প্রবেশ করে এবং বের হয়ে যায়, তাই সবাইকে মনে রাখা সম্ভব হয় না।

–টমাস কেসি

১৪৭. যৌবন করে না ক্ষমা

প্রতি অঙ্গে অঙ্গীকার করে মনোরমা বিশ্বের নারীরে। অপরূপ উপহারে কখন সাজায় বোঝাও না যায়।

–বুদ্ধদেব বসু

১৪৮. ছোট ছোট হাসি মুখ, জানে না ধরার দুখ,
হেসে আসে তোমাদের দ্বারে।
নবীন নয়ন তুলি, কৌতুকেতে দুলি দুলি
চেয়ে চেয়ে দেখে চারিধারে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৯. শিশুদের ভালো করতে হলে তাদের সুখী করতে হবে।

অস্কার ওয়াইল্ড

১৫০. হয়তো হারানো মণি ফিরে তারা পায়,
কিন্তু হায়, যে অভাগা হৃদয় হারায়
হারায় সে চিরতরে! এ জনমে তার
দিশা নাহি মিলে বন্ধু।

কাজী নজরুল ইসলাম

১৫১. আহত হৃদয় নিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে, কিন্তু তাকে বাঁচা বলে না।

–ডব্লিউ. বি. ইয়েমে

১৫২. অল্পবয়সি মনটা হিসেবে বড় হতে পারে যদি সে সময় নষ্ট না করে। বেকন ১৫৩. যেমন কর্তব্যরত নয় সে-মন অনুপভোগ্য।

বেভো

১৫৪. মানুষ দ্বিমনা। তার ভেতরে দুইটি মন আছে, একটা খোলা মন, একটা ভালো মন; তার একটা অবজাত, একটা অভিজাত, তাদের একজন ছোটলোক, একজন ভদ্রলোক।

–শ্রীসরলা দেবী

১৫৫. মন দিয়ে মন বোঝা যায়
গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা
টেনে নিয়ে আসে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৬. শিয়ালের মতো একশো বছর জীবন ধারণ করার চাইতে সিংহের মতো একদিন বাঁচাও ভাল।

–টিপু সুলতান

১৫৭. ছোট ছোট মুধর কর্মেভরা একটি প্রেমময় জীবনই আমার অধিক কাম্য।

সুইনবার্ন

১৫৮. জীবনকে ঘৃণা কোরো না, জীবনকে ভালবাসতে শেখো। ভালবাসা দিয়ে এবং ভালবাসা পেয়ে তোমার ক্ষণিক জীবন স্বর্গীয় সুষমায় উদ্ভাসিত করে তোলো।

–মিল্টন

১৫৯. মানুষের জীবন কত সংক্ষিপ্ত আর বিশ্বাস কত ক্ষণভঙ্গুর!

–জন গে

১৬০. মানুষ বলে–নিমেষে শেষে জীবন কিছু নয়,
রক্ত-রাঙ্গা মেঘের মতো ক্ষণিকে পায় লয়।

শেখ ফজলল করিম

১৬১. আমি সংক্ষিপ্ত অথচ আনন্দমুখর জীবন চাই।

–আব্রাহাম কাওলে

১৬২. তোমার জীবন একটি জাজ্বল্যমান বিরাট গ্রন্থ, যাহার অক্ষর হইতে গুপ্ত তথ্যসমূহ প্রকাশ পায়।

–আল-হাদিস

১৬৩. বৃদ্ধেরা জীবনকে যত বেশি ভালবাসে, যুবকেরা ততখানি বসে না।

–ক্রেডিক হার্বার্ট

১৬৪. মানুষের সুখ আর পরিশ্রম তার জীবন গড়ে তোলে।

টলস্টয়

১৬৫. যৌবনের শেষে শুভ্র শরৎকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৬. আমি তোমাকে চোখ দ্বারা দেখি, কিন্তু বুঝি মন দ্বারা।

–জন স্টিল

১৬৭. বৃদ্ধ হওয়ার সুখ অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, কিন্তু সকলেই বার্ধক্য সম্পর্কে ভীত।

–জন উভরে

১৬৮. বয়সকে বেশিদিন গোপন করে রাখা যায় না।

স্কট

১৬৯. বিশ্বে দুটি শক্তি রয়েছে–এগুলো হচ্ছে অসি ও মন। কিন্তু পরিণামে এ দুয়ের দ্বন্দ্বে মনের কাছে অসি শেষ পর্যন্ত পর্যদুস্ত হয়।

–নেপোলিয়ন

১৭০. পাঁচটি ঘটনার পূর্বে পাঁচটি জিনিসকে মূল্যবান মনে করবে? তোমার বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দরিদ্রতার পূর্বে সচ্ছলতাকে, কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে।

–আল-হাদিস

১৭১. যুবকদের গায়ের জোরে আস্থা খুব বেশি। বিচার বুদ্ধি বিবেকের দাবি তাদের কাছে নাই। ঔদ্ধত্য প্রকাশ তাদের স্ব-প্রকৃত।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৭২. সৃষ্টির কালই হল যৌবনকাল।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৭৩. মা ছেলেকে স্নেহ দিয়া মানুষ করিয়া তোলে, যুগে যুগে গৌরবগাথা তাই সকল জনমনের বার্তায় ব্যক্ত। কিন্তু শিশু যা মাকে দেয়, তা কি কম? সে নিঃস্ব আসে বটে, কিন্তু তার মন কাড়িয়া লওয়া হাসি, শৈশবতারল্য চাঁদ-ছানিয়া গড়া মুখ, আধ আধ আবোল-তাবোল বকুনির দাম কে দেয়? ওই তার ঐশ্বর্য, ওরই বদলে সে সেবা নেয়, রিক্ত হাতে ভিক্ষুকের মতো সে নেয় না।

–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

১৭৪. নতুন কিছু করাই তরুণের ধর্ম।

–জর্জ বার্নার্ড শ

১৭৫. আমি যৌবনের লাগি করিব তপস্যা ঘোর
কালে না করিবে ক্ষয় জীবন-বসন্ত মোর,
জীবনের অবসান যেদিন হোক হবে
যাবৎ জীবন মোর তাবৎ যৌবন রবে।

–মানকুমারী বসু

১৭৬. চোখ কতটুকুই দেখে, কান কতটুকুই শোনে, স্পর্শ কতটুকুই বোধ করে। কিন্তু মন এই আপন ক্ষুদ্রতাকে কেবলই ছড়িয়ে যাচ্ছে–অর্থাৎ সে যা, সে তার চেয়ে অনেক বড়ো।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৭. মনের কলুষতাই মানুষের আত্মা ও দৃষ্টিকে কদর্যতা দান করে এবং সেই কদর্যতাই নিজের এবং পরিবারের লোকদের জীবনকে বিভীষিকাময় করে তোলে।

স্যার জন ফিলিপস

১৭৮. বৃদ্ধেরা সবকিছুই বিশ্বাস করে, মধ্যবয়সি লোক সবকিছুতে সন্দেহ প্রকাশ করে, আর কমবয়সি লোকেরা সবই জানে।

অস্কার ওয়াইল্ড

১৭৯. পরলোকের ভরসায় জীবনকে সুখ হইতে বঞ্চিত করিও না। মহূর্ত পরমহূর্তের ভিতর দিয়া জীবন ক্রমে নিঃশেষ হইয়া আসিতেছে। এ-জীবন সার্থক করো। প্রতি মুহূর্তটি আঁকড়িয়া ধরিয়া উপভোগ করো, ফুর্তি করো, আনন্দ করো। যে-মুহূর্ত পিছনে পড়িল উহা আর ফিরিয়া আসিবে না, উহার জন্য অনুশোচনা করিও না।

–ওমর খৈয়াম

১৮০. মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে জীবন, এবং এই জীবন তাকে একবারই ধারণ করতে দেয়া হয়। তাকে এমনভাবে বাঁচতে হবে, যেন বছরের পর বছর অনর্থক অনুতাপ ভোগ করতে না হয়, জঘন্য ও নিকৃষ্ট অতীতের জন্যে কখনো গ্লানি বোধ করতে না হয়; এমনভাবে বাঁচতে হবে যেন মৃত্যুর সময় সে বলতে পারে, আমার সমগ্র শক্তি আমি উৎসর্গ করেছি বিশ্বের সুন্দরতম আদর্শের জন্য মানুষের মুক্তির সংগ্রামে।

–এন, অস্ত্রোভস্কি

১৮১. বৃক্ষের সার্থকতা যেমন ফল ধারণে, সেইরকম নৈতিক গুণাবলির সার্থকতা শান্তিলাভে। চরম ও পরম শান্তিলাভের পথ হচ্ছে ক্রমাগত সৎ জীবনযাপন করা।

–আল-ফারাবি

১৮২. গৌরবময় জীবনের একটি মুহূর্ত সাধারণ জীবনের বিরাট অংশ হতে অনেক বেশি মূল্যবান।

১৮৩. শৈশবে লজ্জা, যৌবনে ভারসাম্য এবং বার্ধক্যে ব্যয়সংকোচন ও দূরদর্শিতার প্রয়োজন।

সক্রেটিস

১৮৪. জীবন ও মৃত্যু একটা ব্যাপারের-ই বিভিন্ন নাম মাত্র। একই টাকার এপিঠ ওপিঠ। উভয়েই মায়া। এ-অবস্থাটাকে পরিষ্কার করে বোঝাবার জো নেই। একসময় বাঁচাবার চেষ্টা হচ্ছে, আবার পর মুহূর্তেই বিনাশ বা মৃত্যুর চেষ্টা।

স্বামী বিবেকানন্দ

১৮৫. মাটির ঢেলা, মাটির ঢেলা,
রক্ত দিলে কে তোমার গায়ে?
গড়লে তোরে কোন আদলের ছাঁচে?
ভুখ দিলে যে বুক দিলে যে
দুখ দিতে সে ভুলল না,
মৃত্যু দিলে লেলিয়ে পাছে পাছে।

–প্রেমেন্দ্র মিত্র

১৮৬. আমাদের জীবনকে এরূপভাবে পরিচালিত করব যেন আমাদের মৃত্যুর পর ভৃত্যটিও অশ্রুবর্ষণ করে।

–মার্ক টোয়েন

১৮৭. বৃদ্ধেরা যেহেতু অন্যায় বা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কোনো কাজ করতে পারে না, সেজন্যই নিজেদেরকে সান্তনাদানের উদ্দেশ্যে অন্য লোককে তারা সৎ উপদেশ বিতরণের শখ পূরণে লিপ্ত হয়।

–লাডলে ফোকাল।

১৮৮. দোষ, গুণ, ভুল, ভ্রান্তি মিলেই মানুষের জীবন। অন্যকে ক্ষমা করার মতো মহৎ মন প্রত্যেকের থাকা চাই।

রবার্ট ক্যাম্বারস

১৮৯. যৌবনকালটাই মাধুর্যমণ্ডিত, যদিও এই সময়েই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় বেশি।

–প্রিন্সেস এমিলিয়া

১৯০. নিম্নশ্রেণীর জন্তুরা ভূমিষ্ঠকাল অবধি মানবশিশুর অপেক্ষা অধিকতর পরিণত। মানবশিশু একান্ত অসহায়। ছাগশিশুকে চলিবার আগে পড়িতে হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯১. বন্ধু, হৃদয় এমনি অবুঝ কারো সে অধীন নয়।
যারে চায় শুধু তারেই চায় নাহি মানে লাজ ভয়।

কাজী নজরুল ইসলাম

১৯২. মন যদি পরিষ্কার হয় তবে চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ হবে।

–টমাস পেইন

১৯৩. বৃদ্ধ লোকের মতো কেউ জীবনকে ভালোবাসে না।

–সোফোক্লেস

১৯৪. বংশের বৈশিষ্ট্য লইয়া প্রত্যেককে জীবনযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইতে হয়। প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সহিত যুদ্ধ করিতে করিতে তাহার এই উত্তরাধিকার বিনষ্ট হইতে পারে, সমৃদ্ধ হইতে পারে, ঈষৎ পরিবর্তিত হইতে পারে, কিংবা যেমন ছিল তেমনি থাকিতে পারে। কিন্তু এই উত্তরাধিকারের প্রভাব অতিক্রম করিবার উপায় নাই।

–বনফুল

১৯৫. যৌবন যার সৎ, সুন্দর ও কর্মময়, তার বৃদ্ধবয়সকে স্বর্ণযুগ বলা যায়।

–জর্জ গ্রসভিল

১৯৬. জীবনটাকে হরি ঘোষের গোয়ালের মতো দুষ্ট গরুর উৎপাতে ফেলো না। জন্মগতসূত্রে মানসিক গুণাবলি যা পেয়েছে তার মর্যাদা দাও। মরে গিয়েও যেন তোমার মনে না হয়, তোমার জীবনের জন্য তুমি লজ্জিত।

ইলা. কে. মেইলার্ট

১৯৭. জীবনের যত পূজা হল না সারা;
জানি হে জানি তাও হয় নি হারা।
যে ফুল না ফুটিতে ঝরেছে ধরণীতে
যে নদী মরুপথে হারাল ধারা।
জানি হে জানি তাও হয়নি হারা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৮. তোমার যদি পরিতৃপ্ত মন থাকে তবেই তুমি জীবনকে উপলদ্ধি করতে পারবে।

–পুটাস

১৯৯. কারও কারও জীবনে বসন্ত একান্ত নিভৃতে আসে, বাইরে প্রকাশ পায় না। তার আমেজে সে নিজেই পুলকিত হয়।

–জন ফ্রেচার

২০০. কল্পনাশক্তিই পৃথিবীকে শাসন করে।

নেপোলিয়ন

২০১. কল্পনাশক্তিই হল আত্মার দৃষ্টিশক্তি।

–জোবার্ট

২০২. মন হল সবচেয়ে বড় তর্কশাস্ত্রবিদ।

–ওয়েন্ডেল ফিলিপস

২০৩. জীবন তৃপ্তি দেয় যতটু, অতৃপ্তি দেয় তার চেয়ে বেশি।

ক্রিস্টিনা রসোর্ট

২০৪. জীবনকে যেমন মৃত্যুকে তেমনি স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে হবে।

–শহীদুল্লাহ কায়সার

২০৫. বলির পাঁঠারা সবসময়েই ধারণ করেছে মানুষের অত্যাচার, দুর্নীতি আর নষ্ট করার হিংস্র প্রবণতাকে মুক্তি দেয়ার রহস্যময় ক্ষমতা।

ফ্রাঁসোয়া মারিয়াক

২০৬. হোটেলের সেরা ব্যাপার হলো এটি নিজের ঘর নয়। জর্জ বার্নার্ড শ

২০৭. সকল সাধুই মাজেজা দেখাতে পারেন, কিন্তু খুব কম সাধুই আছেন যারা হোটেল চালাতে সক্ষম।

–মার্ক টোয়েন

 ০৮. সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্না

১. এক-একটি মানুষের কাছে সুখের সংজ্ঞা এক-এক রকম।

–জন উইলসন

২. যে সুখ দিতে জানে, সে কখনো দুঃখ পায় না।

–জরিম বেনথ হার্ম

৩. সুখের সবচেয়ে গোপন গূঢ় কথাই হল ত্যাগ।

–এন্ড্রু কার্নেগি

৪. মনের বেদনা দৈহিক বেদনা থেকে আরও খারাপ।

সাইরাস

৫. বেদনা ও আনন্দ অন্ধকার ও আলোর মতো অনুক্রমিকভাবে দেখা দিয়ে থাকে।

লরেন্স এস্টান

৬. কৌতুকের ব্যাপারে যে কৌতুক করে সে যদি সবার আগে হাসে তা হলে কৌতুক নিরর্থক হয়ে থাকে।

সিলার

৭. দুখি মানুষের কান্নাই একমাত্র সম্বল; কিন্তু যে-দুখি মানুষটি কাঁদতে ভুলে গেছে, সে সুখ-দুঃখের অনেক উর্ধ্বে।

–জন কিপলিংং

৮. কান্না চোখের একটি মহৎ ভাষা।

–রবার্ট হেরিক

৯. অনেক আনন্দের মাঝে বেদনা লুকিয়ে থাকে।

–উইলিয়াম আর্নেস্ট

১০. মহা আনন্দও মানুষকে কাঁদায়, আবার মহা দুঃখও মানুষকে হাসায়।

–জোসেফ রউস্ক

১১. জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দই হল, তুমি যে-কাজ পার না বলে লোকে বলে সেই কাজ করা।

–ওয়াল্টার বাগিহাট

১২. তোমার পিরিত বেদনার অশ্রু
যাহা ঝরায় লোকে,
রতন তাহা, লোকে ভাবে অশ্রু,
তাকে ভুলের ঝোঁকে।

–কবি রুমি

১৩. হাসি ও কান্না দুটো একই অনুভূতির ভিন্ন প্রকাশ। একটি বায়বীয় অন্যটা জলীয়।

–অলিভার ওয়েভেস হোমস

১৪. এমন দুঃখ আছে যাকে ভোলার মতো দুঃখ আর নেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫. দুঃখকষ্ট নিয়েই মানুষের জীবন। কিন্তু দুঃখের পাশাপাশি সুখ আসবে এটাও ধ্রুব সত্য।

–এডওয়ার্ড ইয়ং

১৬. স্বেচ্ছায় নেওয়া দুঃখকে ঐশ্বর্যের মতোই ভোগ করা যায়।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৭. দুঃখের একমাত্র মৌন ভাষাই হল অশ্রু।

–ভলতেয়ার

১৮. আগুনে পুড়লে সোনা খাঁটি কি না বোঝা যায়, আর দুঃখকষ্টে পুড়লে মানুষ সাহসী কি না বোঝা যায়।

–সেনেকা

১৯. অতি দুঃখে মুষড়ে পোড়ো না। কারণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুঃখই মুক্তি আনতে পারে।

পেট্রোনিয়াম

২০. দুঃখের মূলে রয়েছে কর্মহীন অবসর, যে-অবসর বা বিশ্রামকালে মানুষ ভাবার সুযোগ পায় যে সে সুখী কিংবা অসুখী।

–বার্নার্ড শ

২১. পৃথিবীটা আনন্দের বাজার হলেও, দুঃখ আর বিষাদের মাধ্যমেই তা পূর্ণতা লাভ করে।

-–এলান সিজার

২২. কান্না শত্রুদের উৎসাহের উদ্রেক করে।

রিচার্ড ক্রাশ

২৩. এমন কৌতুক করা উচিত নয়, যা নির্মম।

–উইলিয়াম ক্যামডেন

২৪. যে কখনো রোদন করে নাই, সে মনুষ্যের মধ্যে অধম। তাহাকে কখনও বিশ্বাস করিও না। নিশ্চিত জানিও, সে পৃথিবীর সুখ কখনও ভোগ করে নাই। পরের সুখ কখনও তাহার সহ্য হয় না। এমন হইতে পারে যে কোনো আত্মচিত্ত বিজয়ী মহাত্মা, বিনা বাষ্পমোচনে গুরুতর মনঃপীড়া সহ্য করিতেছেন এবং করিয়া থাকেন, কিন্তু তিনি যদি কস্মিনকালে, একদিন বিরলে একবিন্দু অশ্রুজলে পৃথিবী সিক্ত না করিয়া থাকেন, তবে তিনি চিত্তজয়ী মহাত্মা হইলে হইতে পারেন; কিন্তু আমি বরং চোরের সহিত প্রণয় করিব তথাপি তাহার সঙ্গে নহে।

–বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২৫. তুমি যদি পর দুঃখে
না হও দুঃখিত,
মানব তোমার নাম
নাহওয়া উচিত।

–শেখ সাদি

২৬. ভালো কৌতুক সমাজে পরিধানের জন্য উৎকৃষ্ট বস্ত্রস্বরূপ।

থ্যাকারে

২৭. ধন কহে ‘দুঃখ তুমি পরম মঙ্গল’
তোমারি দহনে আমি হয়েছি উজ্জল।

কুমুদরঞ্জন মল্লিক

২৮. অশান্তি যুদ্ধ হতেও গুরুতর।

–আল-কোরআন

২৯. অসুখী লোকদের জীবনে আশাও নেই, আবার হতাশাও নেই।

জুভেনাল

৩০. এমনি তো ধরা। আমি শুধু যাবো চলে।
দু’ফোঁটা অশ্রুর মত মুছে যাব নাম
জীবন মধ্যাহ্নে আজ শেষের সংগ্রাম
চলে কত বর্ষ ধরে। শেষ? কেবা বলে?

–সিরাজউদ্দিন চৌধুরী

৩১. সেই আনন্দই যথার্থ আনন্দ, যা দুঃখকে অতিক্রম করে আমাদের কাছে আসে।

–নিক্সন ওয়াটারমার

৩২. আনন্দ পেতে হলে আনন্দের ক্ষেত্রে ছন্দপতনকেও সহজভাবে মেনে নিতে হবে।

–জন হেইড

৩৩. সবচেয়ে ছোট আনন্দগুলো সবচেয়ে মধুর।

–ফারকুহার

৩৪. কোনো পাপী ব্যক্তি যদি সুখী হয় তবে বুঝতে হবে তার মধ্যে আর কোনো অপরাধপ্রবণতা নেই।

–বেনসন

৩৫. আমার দিন কাটে আনন্দে, কিন্তু আমার আত্মা গান করে বিষাদের।

ড্রাইডেন

৩৬. যে-পৃথিবীতে এত বসন্ত আছে, নদী আছে, ঝরনা আছে, সেখানে এত দুঃখ কেন?

সিসেরো

৩৭. অভিজাত আনন্দলাভের জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।

জর্জ সানতানিয়ান

৩৮. বেদনা এবং আনন্দ অন্ধকার ও আলোর মতো অনুক্রমিকভাবে দেখা দিয়ে থাকে।

লরেন্স এস্টন

৩৯. এ-বসন্তে যা আনন্দের আগামী বসন্তে তা বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

–মেট্রোডোরাস

৪০. আনন্দ এমন একটা ফল, যা অনুন্নত দেশে দুষ্প্রাপ্য।

–জন কেনড্রিক

৪১. করুণার মাধ্যমে আমরা অন্যের দুঃখকষ্টকে নিজের করি। আর সেগুলোকে হালকা করার মধ্য দিয়ে হালকা করি নিজেদেরকেও।

টমাস ব্রাউন

৪২. বাঁচতে হলে হাসি ও আনন্দের মথ্যে বাঁচো।

সিডনি সেন্ডন

৪৩. জীবনে কেবল তিনটি অনাবিল ও স্থায়ী আনন্দ রয়েছে, আর সবগুলোই পাওয়া যায় অচেতন পদার্থ থেকে। যেমন গ্রন্থ, আলেখ্য এবং প্রকৃতির আনন্দ।

উইলিয়াম হ্যাজলিট

৪৪. এমন সৌভাগ্যবান নেই যাকে দুঃখ এবং মৃত্যু স্পর্শ করে না।

ইউরিপাইডস

৪৫. আনন্দ বিশ্রামহীন জীবনের মতো, শান্তি নীরব সুষমামণ্ডিত রাত্রির মতো।

উইলিয়াম শার্প

৪৬. একটি বেদনাদায়ক আনন্দ পরবর্তীতে একটি বেদনাদায়ক যন্ত্রণায় পরিণত হয়।

–স্যার চার্লস সিউলে

৪৭. কান্নায় অনন্ত সুখ আছে। তাইতো কাঁদতে আমি ভালোবাসি।

কীটস

৪৮. যৌবনে দুঃখ ছাড়া কান্না থাকে আর বার্ধক্যে থাকে কান্না ছাড়া দুঃখ।

জোসেফ রক্সি

৪৯. কৌতুক করার প্রবৃত্তিও মানুষের স্বভাবজাত। তবে কৌতুকের কারণ হয়তো সকলের এক নয়। কেউ স্কুল, কেউ মাঝারি, কেউ অতি সূক্ষ্ম রসিকতায় মজা পায়। যারা খোঁচা দিয়ে, আঘাত করে মজা পায়, তাদের সংখ্যাই পৃথিবীতে অনেক বেশি। কারণ অধিকাংশ মানুষ এখনও সভ্যতার নিম্নস্তরে রয়েছে।

অজিত দত্ত

৫০. ধনীলোকের কৌতুকই সর্বদা উপভোগ্য হয়ে থাকে। গোল্ডস্মিথ ৫১. সবাইকে খুশি রাখা পৃথিবীতে সবচেয়ে দুরূহ কাজ।

–রবার্ট লুজেন্ট

৫২. যে-মানুষের বৃত্ত যত বেশি বিস্তৃত, সে তত বেশি দুখি। আশ্চর্য এই যে, সেকথা জেনেও মানুষ তার গণ্ডির রেখা দূর থেকে দূরান্তরে টেনে নিয়ে চলেছে।

–জরাসন্ধ

৫৩. দুঃখ এড়াবার আশা
নাই এ জীবনে।
দুঃখ সহিবার শক্তি যেন পাই মনে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৪. দুঃখই জগতে একমাত্র সকল পদার্থের মূল্য। মাতৃস্নেহের মূল্য দুঃখে, পব্ৰিত্যের মূল্য দুঃখে, বীর্যের মূল্য দুঃখে, পুণ্যের মূল্য দুঃখে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৫. সুখের চারটি পাখা–তাই সে দ্রুত উড়ে পালায়।

সিডনি স্মিথ

৫৬. পরের দুঃখে যারা কষ্ট পায় তাদের দুঃখ কখনোই মোচন হয় না।

–রবার্ট হেরিক

৫৭. তোমাকে সুখের প্রতি বিশ্বস্ত হতে হবে, নচেৎ সুখ তোমার কাছে ধরা দেবে না।

সিডনি স্মিথ

৫৮. সে-ই সবচাইতে সুখী যে নিজের দেশকে ভালবাসতে পারে।

–জে. জে. বেড

৫৯. সংসারে সুখী হওয়ার দুটি উপায় রোজগার বাড়ানো অথবা চাহিদা কমানো।

শংকর

৬০. দেহ ধারণ করা দুঃখ। এসব দুঃখ সবাইকে ভোগ করতে হয়। জ্ঞানী ভোগ করে জ্ঞানে আর মূর্খ ভোগ করে কেঁদে কেঁদে। লক্ষ্যের দিকে সব তাকিয়ে থাকে; কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারে না। সব তীর শেষ হয়ে গেলে তখন ধনু ফেলে চলে যায়।

ভক্ত কবির

৬১. রাতের পরে দিন আসবেই এটা যেমন অবধারিত, তেমনি করে কিন্তু দুঃখের পরে সুখ আসবেই এটা নির্ধারিত হয়।

বি. সি. রায়

৬২. দুঃখকে লাভের দিক দিয়া স্বীকার করার মধ্যে আধ্যাত্মিকতা নাই। দুঃখকে প্রেমের দিক দিয়া স্বীকার করাই আধ্যাত্মিকতা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৩. কর্মী তোক প্রায় দুর্বৃত্ত, আর সৎলোক প্রায়ই অকর্মণ্য, এই বিচিত্র হেরফেরের জন্যই সংসারে বারো আনা দুর্দশা।

–প্রমথনাথ বিশী

৬৪. যে দুর্ভাগ্যকে সহ্য করতে পারে না, সে সত্যি হতভাগ্য।

টেরেন্স

৬৫. দুশ্চিন্তা মানুষের মনোযোগ দেবার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

ক্যারিয়ার

৬৬. অপরের দুর্ভাগ্য সহ্য করার মতো যথেষ্ট সহিষ্ণুতা আমাদের সকলেরই আছে।

–লা রোচি ফুকে

৬৭. প্রফুল্লতাই স্বাস্থ্য আর এর বিপরীত হল বিষাদ, যার অর্থ অসুস্থতা।

–হিলি বাটন

৬৮. বেদনা হচ্ছে পাপের শাস্তি।

–বুদ্ধদেব

৬৯. দুঃখ কখনো একা আসে না, সে দল বেঁধে আসে।

–শেক্সপীয়ার

৭০. অভাগীরে! হাসতে এসে কাঁদিয়ে গেলি,
নিজেও শেষে বিদায় নিলি কেঁদে,
ব্যথা দেওয়ার ছলে, নিজেই সইলি ব্যথা রে
সেই কথাটাই কাঁটার মতন বেঁধে।

কাজী নজরুল ইসলাম

৭১. মনের যাতনা দেহের যাতনার চেয়ে বেশি।

–উইলিয়াম হ্যাজলিট

৭২. শান্তির জন্য তখনই মানুষ চিৎকার করে যখন কোথাও শান্তি থাকে না।

লর্ড পামার স্টোন

৭৩. নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে
বিষাক্ত নিশ্বাস,
শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে
ব্যর্থ পরিহাস–।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৪. শান্তির প্রকাশ সবসময়েই সুন্দর ও সহজ হয়।

–ওয়াল্ট হুইটম্যান

৭৫. অসাধু লোকেরা কখনো শান্তি পাবে না।

টমাস হার্ডি

৭৬. পরশ্রীকাতর এবং লোভী ব্যক্তি কখনো শান্তিলাভ করে না।

রাবেয়া বসরি (র.)

৭৭. নানা নদনদীর জল সমুদ্রে আসিয়া পড়ে বটে, কিন্তু তাহাতে সমুদ্রের কিছু পরিবর্তন হয় না। তেমনি রূপ, রস ইত্যাদি বিষয়গুলি যে-ব্যক্তির অন্তরে প্রবেশ করিয়াও তাহাকে বিচলিত করিতে পারে না, তিনি প্রকৃত শান্তি পান, কিন্তু যে ভোগের ইচ্ছা করে তাহার শান্তি হইতে পারে না।

শ্রীমদ্ভগবদগীতা

৭৮. যার গৃহে শান্তি বজায় থাকে তাকে ভগবান ভালোবাসেন।

কার্ভেন্টিস

৭৯. নিজের কাছে দুঃখ-সুখের প্রমাণ করিবার প্রয়োজন হয় না–পরের কাছে তাহা প্রমাণ করিতে হয়। সুতরাং শোক প্রকাশের জন্য যেটুকু কান্না স্বাভাবিক শোক প্রমাণের জন্য তাহার চেয়ে সুর চড়াইয়া না দিলে চলে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮০. সন্তোষ মনেতে যার
সম্পত্তি কিবা তার নাই?
পায়েতে থাকিলে জুতা
চর্মাবৃত যেন ধরাটাই।

চাণক্য পণ্ডিত

৮১. যে অল্পেতে সন্তুষ্ট হয়, তার ধ্বংস নেই।

–হেরিক

৮২. ভবিষ্যৎ সুখ সুনিশ্চিত করার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে আজ ন্যায়সঙ্গতভাবে যতটা সম্ভব ততটা সুখী হওয়া।

চার্লস ডব্লিউ ইলিয়ট

৮৩. সেই ব্যক্তিই সুখী যে দুনিয়াকে জানে এবং তার তোয়াক্কা করে না।

–জোসেফ হল

৮৪. সুখের সাগরে ডুব দিয়ে দুঃখ উপলব্ধি করা যায় না।

অ্যারিস্টটল

৮৫. যদি তুমি সুখী হতে চাও তবে তোমাকে অবশ্যই সৎ হতে হবে।

ডগলাস মেল

৮৬. দুঃখময় জীবনেও একধরুনের আলোর দীপ্তি থাকে, যা অত্যন্ত দুর্লভ।

–টেরেন্স

৮৭. ধনসুখ আছে যার ভাণ্ডারে
দান সুখে তার সুখ আরো বাড়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৮. সুখ সুখ বলে তুমি,
কেন কর হাহুতাশ
সুখ ত পাবে না,
বৃথা সে সুখের আশা।

কায়কোবাদ

৮৯. সুখী হবার মাত্র একটি উপায় আছে, তা হল আমাদের আত্মশক্তির বাইরের কোনো জিনিস সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা না করা।

–কে, টি. কেলার

৯০. দুনিয়াতে প্রত্যেকেই সুখ খুঁজছে এবং তাকে খুঁজে পাওয়ার একটি নিশ্চিত পথ রয়েছে, অর্থাৎ তোমার ভাবনাগুলোকে সামনে রেখে। সুখ বাইরের অবস্থার ওপর নির্ভর করে না, এটা নির্ভর করে অভ্যন্তরীণ অবস্থার ওপর। তোমার কী আছে বা তুমি কে বা তুমি কোথায় আছ বা তুমি কী করছ এটাই তোমাকে সুখী বা অসুখী করে না। তুমি সুখ সম্পর্কে যা ভাব সুখ হচ্ছে তা-ই।

–ডেল কার্নেগি

৯১. অন্ধ হয়ে থাকা দুঃখের নয়–দুঃখের কথা হল অন্ধত্বকে সহ্য করার শক্তি না থাকা।

–জন মিল্টন

৯২. অন্যের দুর্ভাগ্যে শুধু সান্ত্বনাই দিও না, নিজেও সাবধান হয়ো।

সিসেরো

৯৩. পৃথিবীর সমস্ত অসুখেরই হয় ওষুধ আছে, নয়তো নেই, যদি থাকে তা হলে খোঁজাই শ্রেয়, না থাকে তো চিন্তা নেই।

ডীন হকস

৯৪. ঈশ্বর আমায় এই প্রশান্তি দিন, যেন আমি যা বদলাতে পারি না তা সহ্য করতে পারি। আর যা বদলানো সম্ভব তা বদলানোর সাহস দিন। আর আমি যেন এই দুই-এর পার্থক্য বুঝতে পারি।

–ড, রাইনোল্ড লাইবুর

৯৫. অল্পে যে তৃপ্ত নয়, কিছুই তাকে তৃপ্তি দিতে পারে না।

গ্রীসীয় প্রবাদ

৯৬. যার তৃপ্তি নেই সে-ই সবচেয়ে দরিদ্র।

জাপানি প্রবাদ

৯৭. যে-ব্যক্তি জাতির মনে শান্তি দিতে পারে, সে নিঃসন্দেহে মহামানব।

ওয়ালপেপাল

৯৮. গৃহের শান্তি স্বর্গের শান্তির চেয়ে কম নয়।

–গোল্ডস্মিথ

৯৯. শান্তি এমন মূল্যবান মণিমাণিক্য বিশেষ, একমাত্র সত্য ছাড়া আমি সবকিছু এর পরিবর্তে দিয়ে দিতে পারি।

–এন. হেনরি

১০০. একজন মানুষকে সবসময় সন্তুষ্ট রাখা সম্ভব নয়।

ইয়ং

১০১. কী পেলাম আর কী পেলাম না, তার হিসেবনিকেশ না করে যা পাচ্ছি তাতে সন্তুষ্ট থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

–জি. এস. হিলার্ড

১০২. স্বল্পে সন্তুষ্ট হওয়ার মতো সুখ এবং স্বাস্থ্যের চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছুই নেই।

টমাস রাইট

১০৩. মন যখন রাজত্ব করে তখন সে আপনার সুখ আপনি সৃষ্টি করিতে পারে; কিন্তু ধন যখন সুখ সঞ্চয়ের ভার নেয় তখন মনের আর কাজ থাকে না। তখন সুখের পরিবর্তে কেবল সামগ্রী পাওয়া যায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৪. মানুষের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তিনি সুখী ছিলেন কি না, একথা কেউ বলতে পারে না।

–সোলন

১০৫. প্রকৃত সুখ কোথায়? পরকে ফাঁকি দিয়ে নিজের সুখটুকু ভোগ করে নেওয়াতে কি সত্যিকারের সুখ আছে? আত্মার সাত্ত্বিক তৃপ্তির কাছে জড়দেহের ভোগ সুখের মূল্য কিছুই না; যতদিন না মানুষ পরকে সুখ দিতে আনন্দবোধ করবে; ততদিন তার যথার্থ কল্যাণ নাই।

–ডা. লুৎফর রহমান

১০৬. সুখ ক্ষণিকের আনন্দের ফসল নয়–অধিকাংশ সময়েই এটা দুর্লভ।

–ইমারসন

১০৭. সুখ কী এ বিষয়ে যার যথার্থ জ্ঞান নেই, সে কোনোদিন সুখী হতে পারবে না।

ফুলার

১০৮. যে অল্প নিয়ে সুখী সে-ই ভাগ্যবান, আর বিত্তশালী হয়েও যে অসুখী যে দুর্ভাগাই বটে।

–ডেমোক্রিটাস

১০৯. যার আছে সন্তুষ্টি, সৌভাগ্য তারই জন্যে। সমস্ত পৃথিবীই কি সেই লোকের কাছে চামড়ায় ঢাকা নয় যার নিজের পায়ে আছে জুতো?

–পঞ্চতন্ত্র

১১০. তোমার যা নেই তার পেছনে ছুটে যা আছে তা নষ্ট কোরো না; মনে রেখো, আজকে তোমার যা আছে, গতকাল তুমি সেটার পেছনে ছুটেছিলে।

–এপিকিউরাস

১১১. সন্তানদের নিয়ে যে সুখী, সে যথার্থই সুখী।

-বেয়ার্ড টেলর

১১২. পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও;
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।

কামিনী রায়

১১৩. ঈশ্বর মানুষকে সবকিছু দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, একমাত্র সুখ নামক পদার্থটি ছাড়া।

বি. সি. রায়

১১৪. আল্লাহ যাকে অল্পে তুষ্টি ও পুণ্যবতী স্ত্রী দান করেছেন, সে-ই সবচেয়ে বেশি সুখী।

–হযরত আলি (রা.)

১১৫. চণ্ডীদাস বাণী শুন বিনোদিনী
সুখ-দুখ দুটি ভাই।
সুখলাভ তরে পিরিতি যে করে
দুখ যায় তার ঠাঁই।

বড়ু চণ্ডীদাস

১১৬. আমরা যদি সুখী হতে চাই তা হলে কৃতজ্ঞতা বা অকৃতজ্ঞতার কথা ভুলে যাওয়া ভালো, আর দান করার আনন্দেই দান করা উচিত।

–ডেল কার্নেগি

১১৭. বিধাতা মানুষকে সুখ দিয়ে তাকে ধৈর্যের সঙ্গে পরীক্ষা করেন।

ক্লাউডিয়ান

১১৮. ভোগে প্রকৃত সুখ নাই, কর্ম সম্পাদন করাতেই সুখ।

ভূদেব মুখোপাধ্যায়

১১৯. নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হলেই দোষমুক্ত হওয়া যায়।

কল্টন

১২০. দুঃখ, ঘৃণা এবং ভয়কে পরিহার করতে জানলে সংসারের অনেক অশান্তি দূর হয়।

–জেফারসন

১২১. আনন্দ এবং কাজ সময়কে সংক্ষিপ্ত করে।

শেক্সপীয়ার

১২২. নারী, টাকা এবং মদ যাদের কাছে আনন্দের সামগ্রী, পরবর্তী সময়ে তাদের কাছে তা বিষ হয়ে দাঁড়ায়।

ফ্রাংকলিন অ্যাডামস

১২৩. মনের আনন্দই দেহের শক্তির উৎস।

ফারকুহার

১২৪. খাদ্যের অভাবে জাতি মরে না, তার যথার্থ মৃত্যু ঘটে আনন্দের অভাবে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৫. আনন্দের যেমন মধুর ভাষা আছে, তেমনি মেঘাচ্ছন্ন আকাশও আছে।

–ডব্লিউ. এইচ. ডেভিস

১২৬. তোমার জীবনের প্রতিটি আনন্দময় মুহূর্তের দাম লাখ টাকা।

–জন বেল

১২৭. কান্নার চেয়ে কোনো কিছু এত শীঘ্র শুকায় না।

রবার্ট ব্রাউনিং

১২৮. কোনো কোনো কৌতুক নির্মম হয়ে অন্যের বুকে আঘাত হানে।

–এস. টি. কোলরিজ

১২৯. দুঃখ তুমি আমার প্রিয়তমা
দুঃখ তুমি কাছে কাছেই থাকো
মিথ্যা সুখের অনেক গ্লানি জমা
জ্বরতপ্ত কপালে হাত রাখো।

আলাউদ্দিন আল-আজাদ

১৩০.সুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা যাদের আছে, তাদের কাছে দুঃখ বড় হয়ে দেখা দেয় না।

স্পেনসার

১৩১. দুঃখ যখন যাবে সুখ তখন তাকে অনুসরণ করবে।

ইমারসন

১৩২. অর্থ দিয়ে সুখ কিনতে পারেন, শান্তি কিনতে পারেন না।

শচীন ভৌমিক

১৩৩. অসৎ মানুষের হাসি নির্মল হয় না।

উড্রো উইলসন

১৩৪. পরের দুঃখ নিয়ে যারা চিন্তা করে, তাদের নিজেদের দুঃখ বলে কিছু থাকে।

জর্জ ক্যানিং

১৩৫. দুঃখীর দুঃখ যিনি যতটা অনুভব করেন, তিনি তত বড় মানুষ।

ডাঃ লুৎফর রহমান

১৩৬. দুঃখরা তাড়াহুড়া করে আসে, আর সুখরা নূপুর পায়ে নেচে নেচে আসে।

–মেরি কেরোনিন ডেভিস

১৩৭. নিজের দুঃখের কথা
যারে তারে কয়ো না,
অপবাদ উপহাস
মিছামিছি সয়ো না।

–শেখ সাদি

১৩৮. শিশুরা কেঁদে তাদের দুঃখের কথা বলতে পারে, বয়স্করা কাঁদতে পারে, কিন্তু সবসময় তার দুঃখের কথা অন্যের নিকট বলতে পারে না।

সিডনি ডোবেল

১৩৯. দুঃখ পুরোপুরি জানানো হয়ে গেলে থামিয়ে দাও বিলাপ।

কনফুসিয়াস

১৪০. মৃতেরা নয়, শোকাতুর হয় জীবিতরাই।

স্টমাস ফুলার

১৪১. জগতের শোকগৃহ অন্ধকারে সাজানো, আর এরই ভেতরে আছে আনন্দভবন।

উইলিয়াম ডিন হাওয়েলস

১৪২. প্রিয় কেউ মারা গেলে সেই মুহূর্তগুলো স্মরণ করে আমরা অশ্রু ফেলি যখন ততটা ভালো আমরা বাসিনি।

মরিস মেটারলিঙ্ক

১৪৩. দুঃখ যত বড়ই হোক, সময় তা নরম করে আনে ও কমিয়ে দেয়।

–সিসেরো

১৪৪. দুখিদের মনে জোর কম থাকে।

রবার্ট হেরিক

১৪৫. দুঃখকে আজকে যতটা পাষাণ মনে হচ্ছে, আগামীদিন ততটা মনে হবে না এবং অচিরেই দুঃখ মিলিয়ে যাবে হাওয়ায় ভর করে।

জেরিথ টেলর

১৪৬. যেখানে দুঃখ আছে, তার পাশেই একটা পবিত্র অঙ্গন আছে।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১৪৭. তোমারে চিনেছি দুঃখ। তুমি রাখ মোরে
আবরিয়া কি অপূর্ব প্রেয়সীর মতো
সংসারে সর্ব সুখ হতে।

চিত্তরঞ্জন দাস

১৪৮. দুঃখ ভোলার মোক্ষম উপায় হচ্ছে দুঃখকে দুঃখ বলে আমল না দেওয়া।

–উইলিয়াম ওয়ালস

১৪৯. দুঃখ বেদনা পাপের প্রতিফল।

বুদ্ধদেব

১৫০. দুঃখের মতো নির্বাক কিছু আছে কি? চোখের জলেও তার প্রকাশ হয় না। দুঃখ যখন বড়ই গভীর আর মর্মন্তুদ হয়, তখন আহা উঁহু গেলাম মলাম বলতে পারা দূরে থাক, তার অসহ্য যন্ত্রণা হাস করে এক ফোঁটা চোখের জলও যে পড়ে না। সমস্ত জীবনের সব রঙ পুড়ে খাক হয়ে যায়, মাথার চুল দু’দিনে সাদা হয়ে ওঠে। গভীর দুঃখ অন্তরে সমাহিত হয়ে থাকে, তার বহিঃপ্রকাশ নাই বলে সে মনের মধ্যকার সব মালিন্য ছড়িয়ে নিঃশেষ করে সব খাদ মিটিয়ে শুধু খাঁটিটুকু বজায় রাখে।

প্রিয়ম্বদা দেবী

১৫১. আপনাকে বিলাইয়া
দীন দুঃখীদের মাঝে,
দূরিলে পর দুঃখ
সকালে বিকালে সাঁঝে
তবেই পাইবে সুখ।
আত্মার ভিতরে তুমি
যা রুপিবে–তাই পাবে,
সংসার যে কর্মভূমি।

কায়কোবাদ

১৫২. দুঃখে মাথার চুল ছেঁড়া বোকামি, কেননা চুলহীন টেকো মাথার সাহায্যে দুঃখের লাঘব হয় না।

এসিসেরো

১৫৩. জবরদস্তির দ্বারা শান্তি রক্ষিত হতে পারে না। কেবল সমঝোতা দ্বারাই এটা অর্জন করা যেতে পারে।

–আইনস্টাইন

১৫৪. বিশ্বাস নয়ন জল
মানবের শোকানল
একটু একটু ক্রমশঃ নিভায়
স্মৃতি শুধু জেগে রহে,
অতীত কাহিনী কহে,
লাগে গত নিশীথে স্বপনের প্রায়
আর দিন চলে যায়।

কামিনী রায়

১৫৫. অল্পেতে সন্তুষ্ট থাকতে পারলেই জীবনকে মধুময় মনে হয়।

টলস্টয়

১৫৬. অসম্ভব বেদনার সঙ্গে মিশে রয়ে গেছে অমোঘ আমোদ।

জীবনানন্দ দাশ

১৫৭. বেদনার পরেরকার আনন্দই উপভোগ্য।

জন ড্রাইডেন

১৫৮. সুখ বলে যাহা চাই সুখ তাহা নয়,
কী যে চাই জানি না আপনি,
আঁধারে জ্বলিছে ওই, ওরে কারো ভয়,
ভুজঙ্গের মাথার ও মণি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৯. অশ্রু বড্ড তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। বিশেষ করে সেই অশ্রু যদি ঝরে অন্যের দুঃখে।

–সিসেরো

১৬০. সুখ জীবনকে দীর্ঘায়িত করে, কর্মস্পৃহা বাড়ায়।

ইস্টার সোল

১৬১. জ্ঞানী লোক কখনো সুখের সন্ধান করে না, তাঁরা কামনা করেন দুঃখকষ্ট থেকে অব্যাহতি।

অ্যারিস্টটল

১৬২. নির্মল হাসি গৃহে সূর্যকিরণের মতো।

–মেনেভার

১৬৩. অভিজ্ঞ লোকেরা অল্প হাসে, বোকারা না বুঝেও হাসে।

উইলিয়াম হারভে

১৬৪. সব ছেলের কাছেই তার মার মুখের হাসিটি হচ্ছে একান্ত নিজস্ব সম্পদ, যার সঙ্গে অন্য কারও মায়ের হাসিই মেলে না।

অবধূত

১৬৫. আপনি যদি বুদ্ধিমান হন তবে হাসুন।

মার্শাল

১৬৬. একটি রাজ্যের রাজা হওয়ার চেয়ে হাস্যোজ্জ্বল বালকের জীবন আমার বেশি পছন্দ।

অলিভার ওয়েল্ডার হোমস

১৬৭. হাসতে যে কার্পণ্য করে মনের কালিমা তার কখনো পুরোপুরিভাবে ঘোচে না।

জন উইলসন

১৬৮. যে হাসে, সে বেশিদিন বাঁচে।

ডা. জোয়েল ওম্যান

১৬৯. যে-প্রকারেই হোক, হাসাটা ভালো, আর একটা শুকনো খড়ও যদি একটা মানুষকে সুড়সুড়ি দেয়, ওটা তবে আনন্দের একটা বাদ্যযন্ত্র।

ড্রাইডেন

১৭০. উচ্চস্বরে হাসি খোলা প্রাণের পরিচায়ক।

ক্যাসটুলিয়াস

১৭১. হসিমুখে কথা বলা শুভ সূচনা। কেউ মূল্য না দিক, তুমি সকার্য করবে।

–হযরত আলি (রা.)

১৭২. জাতি-দেশ-বর্ণ-ধর্ম ভেদ নাই
শিশুর হাসির কাছে,
সবি পড়ে থাকে পাছে,
যেখানে যখন দেখি এমনি জুড়াই।

–হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

১৭৩. হাসিতে যেন বিধি গড়েছে সে কামিনী;
হাসি তার ওষ্ঠাধরে
হাসি যে কপোল ‘পরে–
হসি তার দুটি চক্ষে খেলে যেন দামিনী।

–গোপালকৃষ্ণ ঘোষ

১৭৪. পুরুষ জাতিকে পক্ষপাতী বিধাতা বিনা কৌতুকে হাসিবার ক্ষমতা দেন নাই, কিন্তু মেয়েরা হাসে কী জন্য তাহা দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যঃ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৫. অসৎ মানুষের হাসি নির্মল নয়।

উড্রো উইলসন

১৭৬. সে-ই সত্যিকারের সুখী যে অন্যের দোষকে সহজে গোপন রাখতে এবং ক্ষমা করতে পারে।

টমাস উইলসন

১৭৭, মানুষ তার পাপ, হত্যাকাণ্ড, দুর্বলতা, নকল দাঁত, আলগা চুল–স্বীকার করে নেবে সবই। কিন্তু কে আছে এমন, যে বলবে তার রসবোধ নেই?

ফ্রাঙ্ক মুর কলবি

১৭৮. কখনো কখনো গাম্ভীর্যের চেয়ে একটি সকৌতুক উক্তি কোনো বিষয়কে গুরুত্ববহ করে তুলতে পারে আনন্দ আর নিশ্চয়তার সঙ্গে।

–হোরেস

১৭৯. সামান্য কিছু বিষয় আছে যেগুলো মানুষের মধ্যে করুণার জন্ম দেয়, সংখ্যায় তা বেশ কম। তবে সমস্যা হল বহুবার ব্যবহৃত হওয়ার পর সেগুলো আর কাজ করে না।

ব্রেখট

১৮০. আমি নিজেকে সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি বলে মনে করি এবং তাতে আমার লাভ ছাড়া ক্ষতি হয় না।

পি. জে. বেইলি

১৮১. যত কম চাইবেন, তত বেশি পাবেন, বেশি কামনা করলেই কম পাওয়া যাবে, সুখতত্ত্বের এই গোড়ার কথাটা মনে না রাখলে সুখী হওয়া যায় না।

বার্ট্রান্ড রাসেল

১৮২. সংসারে দুঃখের পাশাপাশি সুখ আসবেই, কিন্তু সুখের আতিশয্যে আত্মহারা না হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

–লেডি বেসিংটন

১৮৩. হাসির বিনিময়মূল্য নেই, কিন্তু তাৎপর্য আছে।

বুলিয়ান

১৮৪. মনে কি করেছে বধূ ও হাসি এতই মধু।
প্রেম না দিলেও চলে শুধু হাসি দিলে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮৫. স্বাস্থ্য এবং হাসি পৃথিবীকে সুন্দর করে তোলে।

স্কট

১৮৬. আমরা সুখী বলেই হাসি না বরং হাসি বলেই সুখী।

উইলিয়াম জেমস

১৮৭. যে হাসতে পারে সে গরিব নয়।

–হেমন্ড হিকেক

১৮৮. সবাইকে সুখী করতে চেষ্টা করো, নিজের যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে। তা হলে দেখবে জীবনটা দুর্বিষহ মনে হবে না।

আটিমুস ওয়ার্ড

১৮৯. আনন্দ ও গতি সময়কে খুব সংক্ষিপ্ত করে দেয়।

–শেক্সপীয়ার

১৯০. জীবনকে যদি ভালোবাস তা হলে সময়ের অপচয় কোরো না, কারণ জীবনটা সময়ের সমষ্টি দ্বারা তৈরি।

ফ্রাঙ্কলিন

১৯১. এমনকি হাসির সময়েও হৃদয় বেদনাতুর থাকে; আর আনন্দের শেষে আসে ভারাক্রান্ততা।

বাইবেল

১৯২. আমাদের সবচেয়ে অপচয়িত দিন হল সেটি যেদিন আমরা হাসি না।

–শফোর

১৯৩. কোনো লোক যখন হাসে তখন তাকে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এর পরে। সে তার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে ফেলে।

ইমারসন

১৯৪. লোককে নিয়ে যখন আপনি হাসেন তখন আপনি তার ওপর ক্রুদ্ধ নন। রসবোধ সহিষ্ণুতা শেখায়।

সমারসেট মম

১৯৫. ক্রোধ দিয়ে নয়, হাসি দিয়ে একজন অন্যজনকে হত্যা করতে পারে।

নিৎসে

১৯৬. তুমি যদি নিজেকে অর্ধেক সুখী মনে কর তবে মনে করবে বিধাতার অসীম আশিস তোমার জন্য রয়েছে।

জন লিভগেট

১৯৭. পরের কারণে মরণেও সুখ
‘সুখ, সুখ’ করি কেঁদ না আর,
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয় ভার।

কামিনী রায়

১৯৮. সুখ শুধু পাওয়া যায় সুখ না চাহিলে,
প্রেম দিলে প্রেমে পুরে প্রাণ,
নিশিদিন আপনার ক্রন্দন গাহিলে
ক্রন্দনের নাহি অবসান।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৯. যিনি সহজ-সরল জীবনযাপন করেন, সত্যিকার সুখ তাঁর কাছে অত্যন্ত সুলভ।

–উইলিয়াম আলেকজান্ডার

২০০. রাজার ঐশ্বর্যের সাথে তুলনা করা চলে (শষ্যক্ষেতে দাঁড়ানো) চাষির মনের সুখের।

ভার্জিল

২০১. কোনো মানুষ একই সাথে দুজন প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না।

টমাস ফোর্ড

২০২. স্বার্থের প্রশ্ন যেখানে জড়িত, সেখানে সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় না।

চার্লস ডিকেন্স

২০৩. একমাত্র মনের শান্তিই পারে জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলতে।

–আর. আর. সুইটারম্যান

২০৪. সাহিত্যের হাসি শুধু মুখে হাসি নয়, মনেরও হাসি। এ হাসি হচ্ছে সামাজিক জড়তার প্রতি প্রাণের বক্রোক্তি, সামাজিক মিথ্যার প্রতি সত্যের দৃষ্টি।

–প্রমথ চৌধুরী

২০৫. অতি উচ্চহাস্য শূন্য মনের পরিচায়ক।

–গোল্ডস্মিথ

২০৬. যারা হাসতে জানে, তারা হাসতে পারে না, এমন লোকের চেয়ে বেশিদিন বাঁচে। খুব কম লোকই জানে হাসতে পারার ওপর স্বাস্থ্যের গতিপ্রকৃতি অনেক নির্ভরশীল।

ড. জেমস. জে. ওয়ালস

২০৭. যে-ব্যক্তি শিশুর হাসি ঘৃণা করে তার কাছ থেকে সাবধান থাকবে।

লাতাতার

২০৮. উচ্চহাস্য গালে টোল খাওয়াবে, ভ্রকে কুঞ্চিত করবে না। ঠাট্টা এমন হওয়া চাই যাতে তজ্জনিত হাসিতে সকলেই যোগদান করতে পারে; কিন্তু আসরের একজনকে যদি তা শক্তভাবে আঘাত করে তা হলে সেটা তার চিড় খাওয়ার মতো সংগীতে এনে দেয় একটা যতি।

–ওয়েল ফেলথাম

২০৯. যে খুব বেশি হাসে তার চেয়ে বেশি বিষাদাপন্ন আর কেউ নয়।

জাঁ পল রিশটার

২১০. বন্ধুত্ব শুরুর জন্যে হাসি মোটেই খারাপ নয়, আর শেষ করার জন্যেও এটি শ্রেষ্ঠ।

অস্কার ওয়াইল্ড

২১১. অতিরিক্ত দুঃখ হাসে। অতিরিক্ত আনন্দ কাঁদে।

উইলিয়াম ব্রেক

২১২. যারা মৃদু হাসে তাদের চেয়ে যারা ফুঁপিয়ে কাঁদে তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।

জ্যাঁ জিরাদু

২১৩. যে একবার আন্তরিকভাবে হেসেছে সেরকম কোনো লোক কখনোই পুরোপুরি খারাপ হতে পারে না।

টমাস কার্লাইল

২১৪. যে-দিনটিতে হাসা গেল না, সে-দিনটাই সবচেয়ে ব্যর্থ।

–নিকোলাস চ্যামফোর্ট

২১৫. হাসি রোগ আরোগ্য নাও করতে পারে, কিন্তু ব্যথা লাঘব করে, সংকটের বোঝা করে লাঘব, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, আর এ-জিনিস পয়সা দিয়ে কিনতে হয় না।

লরেন্স পিটার

২১৬. দুঃখ আনন্দকে ঘৃণা করে, আনন্দ ঘৃণা করে দুঃখকে, ত্বরিত ধীরকে এবং অলস কর্মতৎপরতাকে ঘৃণা করে।

হরেফ

২১৭. উত্তম হাস্যরস আত্মার জন্য স্বাস্থ্যকর, বিষণ্ণতা আত্মার পক্ষে বিষসদৃশ।

–স্টেসিস

২১৮. প্রেম ও উচ্চহাস্যকে বাদ দিয়ে কোনো আনন্দ নেই, প্রেম এবং উচ্চহাস্যের মধ্যে বাঁচো।

–হোরেস

২১৯. মন খুলে যে হাসতে পারে না, সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী ব্যক্তি।

জন লিলি

২২০. সুন্দর চিন্তা করা এবং সুন্দরভাবে হাসা পৃথিবীতে সবচেয়ে সহজ কাজ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২১. মানুষই একমাত্র সৃষ্টি, যাকে ঈশ্বর হাসার শক্তি দিয়েছেন।

গ্রিভাইল

২২২. একজন সুখী মানুষ সাদা কাকের মতোই দুর্লভ।

জুভেনাল

২২৩. সম্পদ বৃদ্ধি না করে যেমন এটা গ্রাস করার অধিকার আমাদের নেই, তেমনি সুখ বৃদ্ধি না করে এটাও গ্রাস করার অধিকার আমাদের নেই।

জর্জ বার্নার্ড শ

২২৪. আমি দুঃখ জানি।
তাই হে প্রিয় আমার।
বুঝিয়াছি মর্মে মর্মে
সুখের গৌরব।

–চিত্তরঞ্জন দাস

২২৫. তোমকে সুখের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, নচেৎ সুখ কোনোদিন তোমার কাছে আসবে না।

উইলিয়াম জেমস

২২৬. সুখেতে আসক্তি যার
আনন্দ তারে করে ঘৃণা
কঠিন বীর্যের তারে
বাঁধা আছে সম্ভোগের বীণা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২৭. ভালো স্বাস্থ্য এবং কম স্মরণশক্তিই মানুষকে সুখী করতে পারে।

–ইনগ্রিড বার্গম্যান

২২৮. প্রচুর ধনসম্পত্তির ভিতর সুখ নাই, মনের সুখই প্রকৃত সুখ।

–আল-হাদিস

২২৯. দূরে দূরে তুমি কেন খুঁজে মরো?
সুখ তো আছে হাতের কাছে,
শিখে নাও শুধু তারে ধরিবারে,
সুখ সে তো রয় সদা কাছে কাছে।

গ্যোটে

২৩০. সেই ব্যক্তিই সুখী, যে দুনিয়াকে জানে এবং তার তোয়াক্কা করে না।

–জোসেফ হল

২৩১. কোনো মানুষই সুখী হতে পারে না, যদি না সে নিজেকে সুখী মনে করে।

মার্কাস এন্টেনিয়াস

২৩২. তিনিই সত্যিকারের সুখী যিনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আশা করেন না।

ভার্জিল

২৩৩. দেখাশেষে উচ্চাহাসি হাসার চেয়ে দেখামাত্র মুচকি হাসি হাসা অনেক ভালো।

–থিওডোর এডওয়ার্ড

২৩৪. হাসি মানুষের প্রাণকে সজীব রাখে, মনকে সতেজ করে, আমরা যাকে ভালবাসি, তার মুখে হাসি ফোঁটাবার জন্য কতই না চেষ্ট করি।

অজিত দত্ত

২৩৫. তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার তবে সে তোমাকে পছন্দও করবে, বিশ্বাসও করবে।

–আল ফ্রেই স্মিথ

২৩৬. যে হাসতে জানে না, সে হতে পারে বিশ্বাসঘাতক, করতে পারে ছলচাতুরী, জীবনটাই তার বিশ্বাসঘাতকতা আর ছলচাতুরীপূর্ণ।

টমাস কার্লাইল

২৩৭, কখনো কখনো দুঃখই মুক্তি আনতে পারে।

–পেট্রোনিয়াম

২৩৮. যে তার দুঃখ লুকাতে পারে তার তুলানায় যে তার আনন্দ লুকাতে পারে সে বড়।

ল্যাভেটার

২৩৯. তোমার দুঃখ সে তো দুঃখের ছায়ামাত্র। সত্যিকারের দুঃখ তো তুমি দেখনি।

স্কট

২৪০. মানুষকে দুঃখ দিয়ে ঈশ্বর মানুষকে সার্থক করেছেন। তাকে নিজের পূর্ণশক্তি অনুভব করবার অধিকারী করেছেন।

জনসন

২৪১. দুঃখ পাবার রহস্য হল আপনি সুখী না দুখি ভাবতে পারার মতো সময় থাকাটা।

–জর্জ বার্নার্ড শ

২৪২. একান্ত দুঃখ নিবৃত্তিকেই তো মানুষ পরম লক্ষ্য বলে ধরে নিতে পারে না। সে যে তার স্বভাবই নয়। ……..অনেক সময় গায়ে পড়ে সে দুঃখকে বরণ করে নেয়। ……তার কারণ দুঃখের সম্বন্ধে মানুষের একটা স্পর্ধা আছে। আমি দুঃখ সইতে পারি, আমার মধ্যে সেই শক্তি আছে–একথা মানুষ নিজেকে এবং অন্যকে জানাতে চায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪৩. দুঃখের ব্যথার বেদনা থেকে বাঁচতে হলে কাজের ভিতর দিয়ে বাঁচতে হবে।

–জিএইচ. লিউএস

২৪৪. সুখের কথা বলো না আর, বুঝেছি সুখ কেবল ফাঁকি,
দুঃখে আছি, আছি ভাল, দুঃখেই আমি ভাল থাকি।

–দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

২৪৫. তুমি আমি, আমরা সবাই মানুষ। আমাদের দুঃখকষ্টকে পরস্পরের মধ্যে ভাগ করে নেয়াই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?

টমাস হুড

২৪৬. যতদিন ভবে না হবে, না হবে,
তোমার অবস্থা আমার সম,
ঈষৎ হাসিবে, শুনে না শুনিবে,
বুঝে না বুঝিবে, যাতনা মম।

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

২৪৭. যাহা আমরা বীর্যের দ্বারা না পাই, অশ্রুর দ্বারা না পাই, তাহা আমরা সম্পূর্ণ পাই। যাহাকে দুঃখের মধ্য দিয়া কঠিনভাবে লাভ করি, হৃদয় তাহাকেই নিবিড়ভাবে, সমগ্রভাবে প্রাপ্ত হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪৮. এমন কোনো রাত নেই যা ভোর হবে না, এমন কোনো দুঃখ নেই যা সময়ে ফিকে হয়ে আসবে না।

বার্নার্ড জোসেফ

২৪৯. হে অন্তহীন দুঃখ, তোমাকে জানাই আমার অন্তরের আহ্বান। পৃথিবীর যত সুখ, যত আনন্দ, যত কোলাহল–তোমরা আমার কাছ থেকে দূরে চলে যাও, তোমাদের আমি চাই না। দুঃখ, তুমি হয়তো অচঞ্চল, হয়তো রণকেশ–কিন্তু তোমার মধ্যে আছে সত্যিকারের নিষ্কাম গভীরতা, পবিত্রতা।

–জন মিল্টন

২৫০. কথা শেষ করার পর হাসো, সেটাই যথার্থ হাসি।

জন ওজেল

২৫১. শত কষ্টের মধ্যে একটুখানি হাসি অনেক দামি।

–চার্লস ল্যাম

২৫২. যেদিন নিজেকে নিয়ে সত্যিকারের হাসি হাসতে পারবে, সেইদিন বুঝবে তুমি বড় হয়েছ।

ইথেল ব্যারিমোরা

২৫৩. জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দের জিনিস হচ্ছে হাসি।

–জোসেফ এডিসন

২৫৪. যে-তরুণ কখনো কাঁদেনি, সে বর্বর; আর যে-বৃদ্ধ হাসে না সে বোকা।

–জর্জ স্যানাটায়ান

২৫৫. সুখটা হাস্যকর কিছু নয়।

টমাস হুড

২৫৬. আসক্তিশূন্য হইয়া কাজ করিলে অশান্তি বা দুঃখ কখনোই আসিবে না।

–স্বামী বিবেকানন্দ

২৫৭. সে-আনন্দই যথার্থভাবে উপভোগ্য যা বেদনার মধ্যে জন্ম নেয়।

স্যার চার্লস বুচলে

২৫৮. সত্যের রসই হচ্ছে আনন্দ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৯. পৃথিবী এক বৃহৎ বাজার, এখানে আনন্দের মূল্য সবচেয়ে বেশি।

–এলেন সীজার

২৬০. মনের আনন্দই দেহের শক্তির উৎস।

–মিকেলাঞ্জেলো

২৬১. আনন্দকে ভাগ করলে দুটো জিনিস পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং আর একটি প্রেম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬২. আনন্দ আসে, কিন্তু কখনো দাঁড়াতে চায় না। আবার কখনো কখনো চলতে চলতেই হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়।

–এ. ডব্লিউ. হেয়ার

২৬৩. আনন্দ সঙ্গীময় আর দুঃখ সঙ্গীবিহীন।

রবার্ট নাথন

২৬৪. সুখের সঙ্গে আনন্দের প্রভেদ এই যে, সুখের বিপরীত দুঃখ, কিন্তু আনন্দের বিপরীত দুঃখ নহে। শিব যেমন করিয়া হলাহল পান করিয়াছিলেন, আনন্দ তেমনি করিয়া দুঃখকে অনায়াসেই গ্রহণ করে।…আপনার পূর্ণতাকে উপলব্ধি করে। তাই দুঃখের তপস্যা আনন্দের তপস্যা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৫. মানুষ নিজের সুখের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃত্রিমতার আশ্রয় নেয়।

হার্বার্ট স্পেন্সর

২৬৬. রাত্রে যেমন তারার প্রকাশ ঘটে; দুঃখ তেমনি সত্যের সন্ধান দেয়।

–এডওয়ার্ড মুর

২৬৭. যেখানে দুঃখ আছে তার পাশেই একটা পবিত্র অঙ্গন আছে।অস্কার ওয়াইল্ড

২৬৮. হাসিখুশি মানুষকে বিধাতাও পছন্দ করেন।

–জন ওয়েল

২৬৯. সে কখনো সুখী হতে পারবে না, যে নিজেকে সুখী মনে করে না।

–পাবলিয়াস সিয়াস

২৭০. দুঃখ ও নিঃসঙ্গতা ভীষণ ক্ষমতাবান।

–বেয়ার্ড টেলর

২৭১. যদি তুমি দীর্ঘজীবী হতে চাও তবে আনন্দে অবগাহন করতে শেখো।

–উইলিয়াম উইন্টার

২৭২. যে-মানুষটি তোমার আনন্দের সঙ্গী, সে তোমার দুঃখের সঙ্গী না-ও হতে পারে।

–মেরিলা এমরিকার

২৭৩. যে অন্যায় করে, সে না পায় সুখ, না পায় স্বস্তি।

জুভেনাল

২৭৪. যুদ্ধ, মৃগয়া আর প্রেমের একটি আনন্দের বিপরীতে আছে হাজার বেদনা।

হিস্পানি প্রবাদ

২৭৫. আনন্দ যায়, দুঃখ আসে, কীভাবে আসে কীভাবে যায় বোঝা যায় না।

–জন বেল

২৭৬. একলা একলা দুঃখ ভোগ করা যায়, আনন্দ উপভোগ সম্ভব নয়।

নিমাই ভট্টাচার্য

২৭৭. প্রতি দশটি রসিকতার বিনিময়ে তুমি অর্জন করো একশো জন শত্রু।

লরেন্স স্টার্ন

২৭৮. হাসি আরোগ্য নাও করতে পারে কিন্তু ব্যথা লাঘব করে, সংকটের বোঝা করে লাঘব, এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই আর এই জিনিস পয়সা দিয়ে কিনতে হয় না।

লরেন্স পিটার

২৭৯. দুখী মানুষের কান্নাই একমাত্র সম্বল কিন্তু যে দুখী মানুষটি কাঁদতে ভুলে গেছে, সে সুখ-দুঃখের অনেক উর্ধ্বে।

–জন কিপলিং

২৮০. সুখের স্রষ্টা হচ্ছে পেট।

ভলতেয়ার

২৮১. দুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা যাদের আছে, তাদের কাছে দুঃখ বড় হয়ে দেখা দেয়।

–স্পেনসার

০৯. জন্ম ও মৃত্যু

১. প্রত্যেক মানুষকেই মরিতে হইবে।

–আল-কোরআন

২. প্রতিদিন জীবগণ যায় যম ঘরে,
শেষ থাকে যারা তারা এই মনে করে
আমরা তো চিরজীবী নাহি হব ক্ষয়,
ইহা হতে কী আশ্চর্য কহ মহাশয়।

মহাভারত

৩. নগ্ন জন্ম নিয়েছি মায়ের কোলে, আর নগ্নই আমি ফিরে যাব।

বাইবেল

৪. তরুণ মরতে পারে, কিন্তু বৃদ্ধ অবশ্যই মরবে।

–লঙফেলো

৫. এ-জগতে একটি শিশু জন্মলাভ করা মাত্রই ধরে নেয়া যায় মৃত্যু তার চরম ও শেষ পরিণতি।

স্যার জেমস জীনস

৬. মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দুটোরই শুরু এবং শেষ হয় যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে।

–উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলি

৭. বেশি আয়ু পেলেই মানুষ বেশি সুখী হতে পারে না।

উইলিঙ্কি ৮. যুদ্ধ করার চেয়ে সন্ধি করার বিদ্যাটা ঢের দুরূহ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৯. মানুষ বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি বয়স ক্রমাগত কমে।

ক্যানিং

১০. মৃতেরা ঘুমিয়ে থাকে অমাবস্যায়, আমার দরকার জীবিতদের।

ইমারসন

১১. জন্মদিনের উৎসব করাটা বোকামি। জীবন থেকে একটা বছর ঝরে গেল, সেজন্যে অনুতাপ করাই উচিত।

–নরম্যান বি. হল

১২. জীবন যাদের অন্তঃসারশূন্য তারাও পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।

স্যার ফিলিপ

১৩. জীবন হচ্ছে মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

কোলরিজ

১৪. মৃত্যু ছোট্ট একটি শব্দ, কিন্তু মৃত্যুকে জয় করতে হলে এমন কিছু কাজ করে যেতে হয়, যাতে মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে।

–আর. এইচ. বারহাম

১৫. অতিরিক্ত পরিশ্রমে মৃত্যু হয় না। মানুষ মারা যায় বিশৃঙ্খলায় আর দুর্ভাবনায়।

—ডেল কার্নেগি

১৬. মহৎ কারণে যার মৃত্যু ঘটে সে অপরাজেয়।

ভার্জিল

১৭. মৃত্যুর চেয়ে মৃত্যুভয় বেশি ক্ষতিকর।

রবার্ট হ্যারিক

১৮. মানুষের জন্ম ও মৃত্যুও প্রকৃতির গোপন বিষয়।

টি. সি. উইলিয়াম

১৯. মৃত্যু নয়, মুমূর্ষ অবস্থাই হল আমার আতঙ্কের কারণ।

–মন্টেন

২০. জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?
চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে?

–মাইকেল মধুসূদন দত্ত

২১. হয় বাঁচো, না হয় মরে যাও হও ডুবে যাও, না হয় সঁতার কাটো।

–জর্জ পেল

২২. তুমি যতদিন বাঁচ-না কেন, ভালোভাবে বাঁচার পথ তোমাকেই জানতে হবে।

–উইলিয়াম মরিস

২৩. মরিতে না হইলে বাচিয়া থাকিবার কোনো মর্যাদাই থাকিত না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪. যদি মৃত্যু না থাকিত, জগতের যেখানকার যাহা তাহা চিরকাল সেখানেই যদি অবিকৃতভাবে দাঁড়াইয়া থাকিত, তবে জগন্টা একটা চিরস্থায়ী সমাধি মন্দিরের মতো অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ, অত্যন্ত কঠিন, অত্যন্ত বদ্ধ হইয়া রহিত। …….. মৃত্যুর অভাবে কোনো বিষয়ে কোথাও দাঁড়ি দিবার জো থাকিত না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫. আমার জীবনের যেখানে নিশ্চয়তা নেই, তখন কী নিয়ে অহংকার করব।

–আর্থার গুইটারম্যান

২৬. মৃত্যুকে যে এড়িয়ে চলে মৃত্যু তারেই টানে,
মৃত্যু যারা বুক পেতে লয় বাঁচতে তারাই জানে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৮. মৃত্যুহীনদের কাছেই একমাত্র মহান মৃত্যু আসে।

–জোসেফ হল

২৯. ফুলের ছোট্ট জীবন–অথচ কী মহিমাময়!

–জন ডুইট

৩০. ফুলের জীবন স্বল্প সময়ের, অথচ কতো মহিমাময়।

লরেন্স হোপ

৩১. মরে যাওয়াটাই শেষ কথা নয়–তার পরেও বেঁচে থাকা চাই।

–এইচ. জি. ভন

৩২. পৃথিবীতে কিছু লোক বেঁচে থাকে, আর বেশির ভাগ বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।

মিন্টু ব্রন সটন

৩৩. মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের
মূল্য দিতে হয়
সে প্রাণ অমৃত লোক
মৃত্যু করে জয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৪. মৃত্যুর জন্য নির্ধারিত সময়ের অব্যর্থতা সম্পর্কে সঠিক ধারণায় পৌঁছতে পারলে মানুষের নিকট সকল আশাই দুরাশায় পরিণত হত।

–হযরত আলি (রা.)

৩৫. মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে। মৃত্যুর দূত তোমার ঘরের কাছে দাঁড়াইয়া আছে। তাহার ডাক দিবার পর আর প্রস্তুত হইবার অবসর পাইবে না।

–হযরত আলি (রা.)

৩৬. মানুষ মৃত্যুকে ঘৃণা করে। কিন্তু মৃত্যুই পারে তার সব জ্বালা-যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে।

ওমর খৈয়াম

৩৭. তাঁহাদের তোমরা মৃত বলিও না, যাহারা আল্লাহর পথে শহীদ হইয়াছেন। তাঁহারা জীবিতই রহিয়াছেন–তোমরা শুধু তাহা বুঝিতে পারিতেছ না। –আল-কোরআন

৩৮. তবু মরিতে হবে এও সত্যি জানি
মোর বাণী
একদিন এ বাতাসে ফুটিবে না,
মোর আঁখি এ আলোকে লুটিবে না,
মোর হিয়া ছুটিবে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৯. মৃত্যু, তবু মৃত্যু নয়। নিল যারা শহীদ শপথ,
মৃত্যু বিভীষিকা মাঝে পেল যারা প্রাণের সঞ্চয়।

ফররুখ আহমদ

৪০. প্রাণ দিবার শক্তি তাহাদের ছিল, লজ্জায় হোক, ধর্মোৎসাহে হোক, প্রাণ তাহারা দিয়াছিলেন। বাংলার সেই প্রাণ বিসর্জনপরায়ণা পিতামহীকে আজ আমরা প্রণাম করি। তুমি যেমন দিবাবসানে সংসারের কাজ শেষ করিয়া নিঃশব্দে পতির পালঙ্কে আরোহণ করিতে, দাম্পত্য লীলার অবসান দিনে সংসারের কার্যক্ষেত্র হইতে বিদায় লইয়া তুমি তেমনি সহজে বধূবেশে সংসারে মঙ্গল সিন্দুর পরিয়া পতির চিতায় আরোহণ করিয়াছ, মৃত্যুকে তুমি সুন্দর করিয়াছ, শুভ করিয়াছ, পবিত্র করিয়াছ, চিত্তকে তুমি বিবাহশয্যার ন্যায় আনন্দময় করিয়াছ, কল্যাণময় করিয়াছ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪১. না ফুরাতে আশা ভাষা; না মিটিতে ক্ষুধা
না ফুরাতে ধরণীর মৃৎ-পাত্রসুধা,
না পুরিতে জীবনের সকল আস্বাদ–
মধ্যাহ্নে আসিল দূত! যত তৃষ্ণা সাধ
কাঁদিল আঁকড়ি ধরা যেতে নাহি চায়।
ছেড়ে যেতে যেন সব স্নায়ু ছিঁড়ে যায়!
ধরার নাড়ীতে পড়ে টান! তরুলতা
জলবায়ু মাটি সব কয় যেন কথা।
যেয়োনাক যেয়োনাক যেন সবে বলে–

কাজী নজরুল ইসলাম

৪২. তরুণরা বারবার করে মৃত্যুবরণ করতে পারে, বৃদ্ধেরা একবারই মরে।

জন রে

৪৩. তুমি পাশে আসি বসো অচপল
ওগো অতি মৃদুগতি চরণ।
আমি বুঝি না যে কী কথা কও,
ওগো মরণ হে মোর মরণ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৪. সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো, না হলে মরে যাও।

মেরিডিথ

৪৫. যতদিন বাঁচব ততদিন অন্যের চোখে সুন্দর হয়ে বাঁচব।

রবার্ট বার্নস

৪৬. সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা একটা আর্ট, যার জন্য সাধনার প্রয়োজন হয়।

জন ম্যাকি

৪৭. সেতো সেদিনের কথা বাক্যহীন যবে
এসেছিনু প্রবাসীর মতো এই ভবে
বিনা কোনো পরিচয়, রিক্ত, শূন্য হাতে,
একমাত্র ক্রন্দন সম্বল লয়ে হাতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৮. সমাধিই যেন মানুষের প্রকৃত আশ্রয়স্থল। যেখানে যাবার জন্য মানুষকে জন্মের পর থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।

–বি. এফ, ওয়েস্টম্যান

৪৯. জীবনটা নিজের হলেও এ-জীবন নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। আত্মহত্যা নীতির চোখে অন্যায়, আইনের চোখে অপরাধ। আত্মহত্যা ব্যক্তি পরিবার গোষ্ঠী তথা সমাজে বিশৃঙ্খলা এনে দেয়।

সুনীলকুমার নাগ

৫০. আত্মহত্যাই জীবনের সবচেয়ে বড় কাপুরুষতার পরিচয়।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৫১. নতুন জন্মদিনে
পুরাতন অন্তরেতে
নতুন লও চিনে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫২. মনরে মনে কর শেষের সেদিন ভয়ংকর
অন্যে কথা কইবে কিন্তু তুমি রৈবে নিরুত্তর।

রামমোহন রায়

৫৩. একদিন হবে যদি অবশ্য মরণ,
এত দম্ভ অহংকার কর কি কারণ।
এই যে মানব দেহ,
যারে এত কর স্নেহ
ভস্মসার তার মস্তক চরণ।

রামমোহন রায়

৫৪. মৃত্যু আর এক জীবন, সম্মানের সাথে আমরা তার নিকট মাথা নত করি।

আলেকজান্ডার

৫৫. যে সবসমসয় মৃত্যুর কথা ভাবে, জীবনের প্রতি মমত্ববোধ তার জন্মে না।

এস. টি. কোলরিজ

৫৬. ভীরু মৃত্যুকে পালাবার পথ বলে মনে করছ কেন? মৃত্যু সবচেয়ে নিশ্চিত জীবনের গতিস্রোতের চরম সমুদ্র, সব সত্য-মিথ্যা ভালো-মন্দর নিঃশেষ সমন্বয় তার। মধ্যে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৭. মানুষের ভাগ্য, মানুষের ভবিষ্যৎ আর মানুষের সভ্যতার রূপান্তর সবকিছু নির্ভর করছে মৃত্যুকে আয়ত্তে আনার উপর।

আবুল ফজল

৫৮. মৃত্যুটা শিশুদের কাছে তেমন ভয়াবহ নয়, ওরা যে কেবলি পেরিয়ে এসেছে জীবন-মৃত্যুর সীমানা। বয়সের সঙ্গে মৃত্যুভয় বাড়ে, সীমানাটা ক্রমে দূরে চলে যায় কিনা। বৃদ্ধের মতো মৃত্যুভীতি কার।

–প্রমথনাথ বিশী

৪৭. সেতো সেদিনের কথা বাক্যহীন যবে
এসেছিনু প্রবাসীর মতো এই ভবে
বিনা কোনো পরিচয়, রিক্ত, শূন্য হাতে,
একমাত্র ক্রন্দন সম্বল লয়ে হাতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৮. সমাধিই যেন মানুষের প্রকৃত আশ্রয়স্থল। যেখানে যাবার জন্য মানুষকে জন্মের পর থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।

–বি. এফ. ওয়েস্টম্যান

৪৯. জীবনটা নিজের হলেও এ-জীবন নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। আত্মহত্যা নীতির চোখে অন্যায়, আইনের চোখে অপরাধ। আত্মহত্যা ব্যক্তি পরিবার গোষ্ঠী তথা সমাজে বিশৃঙ্খলা এনে দেয়।

সুনীলকুমার নাগ

৫০. আত্মহত্যাই জীবনের সবচেয়ে বড় কাপুরুষতার পরিচয়।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৫১. নতুন জন্মদিনে
পুরাতন অন্তরেতে নতুন লও চিনে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫২. মনরে মনে কর শেষের সেদিন ভয়ংকর
অন্যে কথা কইবে কিন্তু তুমি রৈবে নিরুত্তর।

রামমোহন রায়

৫৩ একদিন হবে যদি অবশ্য মরণ,
এত দম্ভ অহংকার কর কি কারণ।
এই যে মানব দেহ,
যারে এত কর স্নেহ
ভস্মসার তার মস্তক চরণ।

রামমোহন রায়

৫৪. মৃত্যু আর এক জীবন, সম্মানের সাথে আমরা তার নিকট মাথা নত করি।

–আলেকজান্ডার

৫৫. যে সবসমসয় মৃত্যুর কথা ভাবে, জীবনের প্রতি মমত্ববোধ তার জন্মে না।

এস. টি. কোলরিজ

৫৬. ভীরু মৃত্যুকে পালাবার পথ বলে মনে করছ কেন? মৃত্যু সবচেয়ে নিশ্চিত। জীবনের গতিস্রোতের চরম সমুদ্র, সব সত্য-মিথ্যা ভালো-মন্দর নিঃশেষ সমন্বয় তার মধ্যে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৭. মানুষের ভাগ্য, মানুষের ভবিষ্যৎ আর মানুষের সভ্যতার রূপান্তর সবকিছু নির্ভর করছে মৃত্যুকে আয়ত্তে আনার উপর।

আবুল ফজল

৫৮. মৃত্যুটা শিশুদের কাছে তেমন ভয়াবহ নয়, ওরা যে কেবলি পেরিয়ে এসেছে জীবন-মৃত্যুর সীমানা। বয়সের সঙ্গে মৃত্যুভয় বাড়ে, সীমানাটা ক্রমে দূরে চলে যায় কিনা। বৃদ্ধের মতো মৃত্যুভীতি কার।

–প্রমথনাথ বিশী

৫৯. যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে
তার মুখে খবর পেলুম।
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,
নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার
জন্মমাত্র সুতীব্র চীকারে।
খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত
উত্তোলিত, উদ্ভাসিত
কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায়।
সে ভাষা বোঝে না কেউ,
কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার

সুকান্ত ভট্টাচার্য

৬০. যখন জীবনকে শত্রু এবং আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বধির মনে হয়, তখনই মানুষ পৃথিবীর আকর্ষণ ছেড়ে মৃত্যুর পরপারে যাওয়ার বাসনা প্রকাশ করে।

–আর্থার গুইটারম্যান

৬১. সংসারতাপক্লিষ্ট হইয়া কাহারও মৃত্যু কামনা করা উচিত নয়। যদি তদ্রুপ কেহ থাকে, তবে তাহার এরূপ বলা উচিত–প্রভু, জীবনধারণ করা যদি আমার জন্য ভালোই বিবেচনা কর; তবে আমাকে জীবিত রাখো। কিন্তু মরণই যদি আমার জন্য শ্রেয় হইয়া থাকে তবে আমার নিকট মৃত্যুদূত প্রেরণ করো।

–আল-হাদিস

৬২. মৃত্যু প্রতি দিবস ঘটনা;
তাহে কেন এত শোক?
সবাই মরিবে সবাই মরেছে,
চিরজীবী কোন লোক?

–অক্ষয়কুমার বড়াল

৬৩. মৃত্যুর মধ্যে যে তত্ত্ব আছে সে আর কিছুই নয়, সে এই–যারা জন্মায়নি তাদেরকে জায়গা ছেড়ে দেবার জন্য যারা জন্মিয়েছে তারা মরবে। সমাজকে তাই হয় দুর্ভিক্ষের জন্য, নয় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়–দুর্ভিক্ষের মরা তিলে তিলে, যুদ্ধের মরা এক নিমিষে। দুর্ভিক্ষে যারা মরে তারা আগে থাকতে দুর্বল, তারা সাধারণত বৃদ্ধ কিংবা শিশু কিংবা স্ত্রীলোক। আর যুদ্ধে যারা মরে তারা যুবা, সবচেয়ে বলবান, সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান পুরুষ।

অন্নদাশঙ্কর রায়

৬৪. মৃত্যুই অনন্ত পথযাত্রার প্রারম্ভ।

–আল-হাদিস

৬৫. মৃত্যুটা জন্মানোর মতোই স্বাভাবিক।

বেকন

৬৬. অসীমের দরজা খোলার স্বর্ণচাবি হচ্ছে মৃত্যু। হচ্ছে মত।

মিল্টন

৬৭. এত সাজসজ্জা, এত বিলাস, এত ভোগ ও তিতিক্ষা, এত দুঃখ ও প্রেম–সমস্ত আয়োজন মৃত্যুর দিকেই, সকল উপকরণ দিয়ে একদিন আত্মবলি দিতেই হবে মৃত্যুর পদতলে। অজ্ঞান মানুষের স্থায়িত্বের প্রতি তাই এত প্রলোভন। কেউ গড়ে তাজমহল, কেউ পিরামিড, কেউবা মহাপ্রাচীর। মৃত্যুর কোনো সান্ত্বনা নেই, সে অকরুণ, তার ষোল আনা প্রাপ্য এক সময় চুকিয়ে নেবেই। আশি লক্ষ জীবের সঙ্গে মানুষও তার চোখে সমান। মানুষ বলে কোনো বিশেষ সম্মান অথবা পক্ষপাতিত্ব তার কাছে নেই, তার ধ্বংসের সম্মার্জনী ঝেটিয়ে সবাইকে এক একবার সাফ করে দিচ্ছে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৬৮. পূজা-আয়োজন সব সারা হবে একদিন,
প্রস্তুত হয়ে রবো,
নীরবে বাড়ায়ে বাহু দুটি সেই গৃহহীন
অতিথিকে বরি লব।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৯. কবরে গিয়ে সবার পথের শেষ হয় এবং কবর ধনী-দরিদ্র সকলকে সমানভাবে স্বাগত জানায়।

রজার নর্থ

৭০. আত্মহত্যা খুনের চেয়েও নিকৃষ্টতম কাজ, কারণ এতে অনুশোচনার কোনো সুযোগ থাকে না।

রবার্ট ব্লয়ার

৭১. মৃত্যু যেন বাগানের একট পুরাতন দরজা।

-ন্যান্সি টার্নার

৭২. ওহে মৃত্যু! তুমি মোরে কি দেখাও ভয়, ও ভয়ে কম্পিত নয় আমার হৃদয়।

–কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

৭৩. মৃত্যু মুসলমানের নিকট উপঢৌকাসদৃশ। মৃত ব্যক্তিদিগকে সর্বদা স্মরণ করিও, তাহাদের গুণকীর্তন করিও এবং তাহাদের সম্বন্ধে মন্দবাক্য বলিও না।

–আল-হাদিস

৭৪. শ্যেনসম অকস্মাৎ করে উর্ধ্বে লয়ে যাও
পঙ্ক কুণ্ড হতে
মহান মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি করে দাও মোরে
বজ্রের আলোতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৫. আল্লাহ্ সকলকে তার নির্দিষ্ট সময়ে মৃত্যুদান করেন। তাঁর হুকুম ব্যতীত কেহই মৃত্যুবরণ করতে পারে না।

–আল-কোরআন

৭৬. মৃত্যুকে ভয়ভাব কেন? জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দুঃসাহসিক ঘটনাই তো হচ্ছে মৃত্যু।

চার্লস ফ্ৰোহম্যান

৭৭. ভাল লোক কখনোই মরে না।

ক্যালিমাচাস

৭৮. জগতে সমস্ত কিশোর-কিশোরীরাই অন্তরে কামনা, জন্মদিনটা আরও ঘনঘন আসুক। আর তারা তো কল্পনা করতে পারে না যে তাদের জীবনেই এমন এক সময় আসবে যখন প্রতি জন্মদিনের মধ্যেই থাকবে আসন্ন বার্ধক্যের ক্রমিক পদক্ষেপ। সেটা তখন যৌবনের ফেয়ারওয়েল পার্টি; জরার ট্রাফিক সিগন্যাল। বয়স বাড়ছে এ অনুভূতি জীবনের পূর্বাহ্বে যেমনই আনন্দদায়ক অপরাহ্বে তেমনি অপ্রীতিকর। দাদার চেয়ে অনেক বড় হওয়ার সাধ বড় হয়ে বাবার মত হলে আপনিই উবে যায়।

যাযাবর

৭৯. মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে …..। মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আরেক জন্ম সকলকে নিয়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮০. অনেকের জীবনে আনন্দ যেমন আকস্মিকভাবে আসে, মৃত্যুও তেমনি আকস্মিকভাবে আসে।

–ওয়াল্ট হুইটম্যান

৮১. মুত্যু-দরজা সবসময় খোলা থাকে, বন্ধ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।

দানিয়েল ডিফো

৮২. জীবন আমার,
এত ভালবাসি বলে হয়েছে প্রত্যয়,
মৃত্যুরে এমনি ভালবসিব নিশ্চয়।
স্তন হতে তুলে নিলে কাঁদে শিশু ডরে,
মুহূর্তে আশ্বাস পায় গিয়া স্তনান্তরে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৩. পার্থিব সুখ বিনাশকারী মৃত্যুর কথা সর্বদা স্মরণ রাখিও।

–আল-হাদিস

৮৪. মাথা পেতে নিতে হবে
বিধির বিধান
পর তরে খালি করে
দিতে হবে স্থান।

জসীম উদ্দীন

৮৫. আমার মৃত্যুর পর থেমে যাবে কথার গুঞ্জন
বুকের স্পন্দনটুকু মূর্ত হবে ঝিল্লির ঝংকারে
জীবনের পথপ্রান্তে ভুলে যাব মৃত্যুর শঙ্কারে
উজ্জ্বল আলোর চোখে আঁকা হবে আঁধার অঞ্জন।

সুকান্ত ভট্টাচার্য

৮৬. মৃত্যু একটা প্রকাণ্ড কালো কঠিন কষ্টিপাথরের মতো, ইহারই গায়ে কষিয়া সংসারের সমস্ত খাঁটি সোনার পরীক্ষা হইয়া থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৭. একটি মানুষ না মরা পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে জন্মলাভ করে না।

ফ্রাংকলিন

৮৮. আমাকে সবসময় মনে রাখতে হবে–আমার জন্মটা যেন মৃত্যুর মধ্যেই শেষ না হয়ে যায়।

–এস. টি. কোলরিজ

৮৯. মৃত্যুশয্যায় শায়িত একজন সম্রাটও বড় অসহায়।

কার্লাইল

৯০. জীবনমাত্রই একদিন মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করবে।

–আল-কোরআন

৯১. সকল মৃত্যুর মধ্যে শহীদি মৃত্যুই সর্বাপেক্ষা উত্তম।

–আল-কোরআন

৯২. গোলামীর চেয়ে শহীদী দরজা অনেক ঊর্ধ্বে জেনো,
চাপরাশির ওই তকমার চেয়ে তলোয়ার বড় মেনো।

কাজী নজরুল ইসলাম

৯৩. মৃত্যুর কারণই একজনকে শহীদের মর্যাদা দেয়, মৃত্যু নহে।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৯৪. যদি জগতে মানুষের মতো বাঁচতে সক্ষম না হও, তবে বীর মুজাহিদের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেই জীবনের প্রকৃত মর্যাদা লাভ করো।

ইকবাল

৯৫. একটি মৃত সিংহের চেয়ে একটি জীবিত কুকুর অনেক শ্রেয়।

বাইবেল

৯৬. দেহধারী জীবের এই দেহেই যেমন বাল্য, যৌবন ও বার্ধক্য দেখা যায়, আত্মার অন্য দেহে চলিয়া যাওয়া অর্থাৎ মৃত্যুও তেমনি। তাহাতে জ্ঞানী ব্যক্তিরা দুঃখ করেন না।

শ্রীশ্রীগীতা

৯৭. মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। তাই শেষ বিন্দু পর্যন্ত জীবনকে উপভোগ করো।

–মোরাভিয়া

৯৮. চাঁদ যখন পূর্ণ নয়, তারা তখনই উজ্জ্বল।

বিদেশি প্রবাদ

৯৯. মরণশীলতারও স্তোকবাক্য আছে : প্রথমত সব কুশ্রীতাই সাময়িক; অন্যটি হল, সুসময় আসতে পারে।

জর্জ সান্তয়ন

১০০. যে জন্মিবে, তাহার মরণ হইবেই; আবার যে মরিয়াছে, তাহারও আবার জন্ম। হইবেই। ইহা এড়ানো যায় না, হইবেই হইবে, তাই এই বিষয়ে দুঃখ করা উচিত নহে।

শ্রীশ্রীগীতা

১০১. আইস, আমরা পান ও ভোজন করি; যেহেতু আগামীকালই আমাদের মৃত্যু।

–বাইবেল : পুরনো নিয়ম

১০২. একটি ঝরে পড়া পাতা জীবিতের জন্যে ফিসফিস করে একটি বার্তা।

ইংরেজি প্রবাদ

১০৩. এই শ্মশানে আসিলে সকলেই সমান হয়। পণ্ডিত, মূর্খ, ধনী, দরিদ্র, সুন্দর, কুৎসিত, মহৎ, ব্রাহ্মণ, শূদ্র, ইংরেজ, বাঙালি এইখানে সকলেই সমান। নৈসর্গিক, অনৈসর্গিক সকল বৈষম্য এখানে তিরোহিত হয়।

চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়

১০৪. জন্মের মতো মৃত্যুও প্রকৃতির গোপন বিষয়। টি. সি. উইলিয়ামস

১০৫. নিজের জন্মদিন বৎসরের অন্য ৩৬৪ দিনের চেয়ে নিজের কাছে কিছুমাত্র বড় নয়। যদি অন্যের কাছে তার মূল্য থাকে তবেই তার মূল্য।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৬. জ্ঞানী ব্যক্তিরা মৃত বা জীবিত, কাহারও জন্য শোক করেন না।

শ্রীশ্রীগীতা

১০৭. তোমার শুভ জন্মদিনের
সোনার আলো চোখে মাখি,
আশা আমার ডাকবে কভু
এই জীবনে সোনার পাখি।

আবদুল হাই মাশরেকী

১০৮. মরণের কোল বুঝি
দুখহরা শান্তিময়
সব জ্বালা দূর হয়।

অজ্ঞাত

১০৯. যার মহৎ কারণে মৃত্যুবরণ করে তারা কখনো ব্যর্থ হয় না।

বায়রন

১১০. মৃত্যু হচ্ছে বৃহত্তম এক শান্তির সমুদ্র।

জহীর হায়দার

১১১. মৃত্যু ছোট্ট একটি শব্দ, কিন্তু মৃত্যুকে জয় করতে হলে এমন কিছু কাজ করে যেতে হয়, যাতে মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে।

–আর. এইচ. বারহাম

১১২. মরণ রে
তুহু মম শ্যাম সমান।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০. হিংসা-বিদ্বেষ

১. ঈর্ষা, ক্রোধ, ভয় জীবনের পরম শত্রু।

স্কট

২. কোনো হিংসুটে লোকের পাশে বাস করার চাইতে হিংস্র বাঘের প্রতিবেশী হওয়া অনেক ভালো।

–ইবনে হাজার

৩. শক্তি যার নাই
নিজের বড় হইবারে
বড়োকে করিতে ছোট
তাই কি সে পারে?

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪. শত্রুতা করে শত্ৰু কখনো নষ্ট করা যায় না, শত্রু নষ্ট করতে শত্রুতাকে আগে ত্যাগ করতে হবে।

–বৌদ্ধ ধর্মপদ

৫. যে আঘাত করে সে শত্রু নয়; বরং যে আঘাত করার মনোভাব পোষণ করে সে-ই শত্রু।

ডেমোক্রিটাস

৬. যে-শত্রুকে আমরা সন্দেহ করি না তারাই বিপজ্জনক হয়ে থাকে।

রোজার্স

৭. মানুষ শত্রুমুক্ত নয়।

আরবি প্রবাদ

৮. শত্রুকে ভালোবাসবে এইজন্য যে, একমাত্র সে-ই তোমার ভুলত্রুটিকে তুলে ধরবে।

ফ্রাংকলিন

৯. মানুষই মানুষের নিকৃষ্টতম শত্রু।

–সিসেরো

১০. শক্রর জন্য আগুন যেন এত বেশি না হয়, যাতে নিজের পা পুড়ে যায়।

শেক্সপীয়ার

১১. তোমার শত্রু তোমার মেঝেতে, দেয়ালেও ছিদ্র খুঁজে পাবে।

জন ব্রাইট

১২. যে-ব্যক্তি ক্রোধ দমন করিয়া রাখে, খোদাতা’আলা তাহার হৃদয় ইমান ও শান্তি দ্বারা পূর্ণ করেন।

আল-হদিস

১৩. রাগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হল বিলম্ব করা।

–সেনেকা

১৪. রাগিলেও সাধু চিত্ত
বিকৃতি না পায়।
তাপে কি সাগর বারি
তৃণাগ্নি শিখায়?

চাণক্য পণ্ডিত

১৫. ক্রোধ মনুষ্যত্বের আলোকশিখা নির্বাপিত করে দেয়।

ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

১৬. রাগান্বিত অবস্থায় কখনোই চিঠির উত্তর দিতে নেই।

চীনা প্রবাদ

১৭. মেজাজ ঠাণ্ডা রাখো; তা হলে সবাইকে তুমি শাসন করতে পারবে।

–সেন্ট জাস্ট

১৮. ক্রোধের শুরুতে থাকে উন্মত্ততা এবং তার পরিণতি হল আক্ষেপ।

ইবনে আবু ওবাই

১৯. ধৈর্যশীল লোকের ক্রোধ হতে সাবধান হও।

ড্রাইডেন

২০. দুষ্ট লোকেরা তাদের গড়া নরকেই বাস করে।

টমাস ফুলার

২১. যারা ঝগড়াটে তারা নাক দিয়ে শুঁকে ঝগড়ার গন্ধ নেয়।

ক্রিস্টোফার স্মার্ট

২২. ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও।

–হযরত সেলায়মান (আ.)

২৩. আল্লাহর পথে জেহাদ করো, অর্থাৎ যারা তোমাদেরকে আক্রমণ করে, তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রথমে তাদের আক্রমণ কোরো না। কারণ আল্লাহ্ আক্রমণকারীদের ভালোবসেন না।

–আল-কোরআন

২৪. শয়তান আর রিপুর সাথে
‘জেহাদ’ কর বিরোধ কর
তাদের সকল মধুর বাণী
মিথ্যা হতে মিথ্যা ধর।

–আবু শরফুদ্দিন

২৫. কাউকে ঘৃণা কোরো না; তাদের পাপকে ঘৃণা করো; তাদের ঘৃণা কোরো না।

–জে. সি. সি. ব্রেইনার্ড

২৬. পাপকে ঘৃণা করিও, পাপীকে ঘৃণা করিও না।

বাইবেল

২৭. অসৎ ব্যক্তির মন কাঁকড়াবিছায় পরিপূর্ণ।

–শেক্সপীয়ার

২৮. ঘৃণা ঘৃণাকে জন্ম দেয়, গোঁড়ামি জন্ম দেয় গোঁড়ামির।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

২৯. ঘৃণার আয়ু লম্বা আর বিষাক্ত।

কৃষণ চন্দর

৩০. কথা দিয়ে কথার কলি
চরণ তলে দলবে না।
ইচ্ছা করে কুৎসা কারো
মুখে তোমার বলবে না।

হযরত কিরমানি (রহ.)

৩১. সমর্থ ব্যক্তির কাছে কিবা গুরুভার,
ব্যবসায়ী যেই জন কিবা দূর তার।
বিদ্বানের কাছে কিবা স্বদেশ-বিদেশ,
মিষ্টভাষী জনে কেবা করে হিংসা-দ্বেষ।

চাণক্য পণ্ডিত

৩২. মনের উদারতার সঙ্গে ঐশ্বর্যের তুলনা করা চলে না।

–মার্শাল

৩৩. ঈর্ষা, অসূয়া (পরশ্রীকাতরতা) হইতে দূরে অবস্থান করিবে; কারণ অগ্নি যেমন কাষ্ঠকে পোড়ইয়া খাইয়া ফেলে, সেইরূপ ঈর্ষাও সকার্য আহার করিয়া নিঃশেষ করিয়া ফেলে।

–আল-হাদিস

৩৪. হিংসা দিয়ে কখনো হিংসাকে হত্য করা যায় না। আগুন নেভাতে যেমন জলের প্রয়োজন, হিংসাকে জয় করতে তেমনি প্রেমের প্রয়োজন।

–ডন জুয়ান

৩৫. অহমিকা থেকেই অশান্তির সৃষ্টি হয়।

ই. আর. শীল

৩৬. ওরা মরুভূমি বানিয়ে তার নাম রাখে শান্তি।

স্ট্যাসিটাস

৩৭. যুদ্ধকে যতদিন পর্যন্ত অশুভ বলা হবে, তার সম্মোহও থেকে যাবে ততদিন। অশ্লীলভাবে দেখতে পারলেই কেবল জনপ্রিয়তা হারাবে এটি।

অস্কার ওয়াইল্ড

৩৮. শয়তান আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে, তরবারির আঘাতে তাদের মস্তক দ্বিখণ্ডিত করিয়া দিবে। স্ত্রীলোক, ছেলেপিলে ও বৃদ্ধলোকের গায়ে কখনো হাত উঠাইও না। খেজুর বা অন্য যে-কোনো বৃক্ষ ছেদন করিও না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করিও না।

–আল-হাদিস

৩৯. ক্রোধ প্রদর্শন করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি উহা দমন করিয়া রাখ তবে আল্লাহতা’আলা তজ্জন্য তোমাকে পুরস্কৃত করবেন।

–আল-হাদিস

৪০. মানুষ ক্রোধের বশবর্তী হয়ে যা বলে তা হালকাভাবে গ্রহণ করো।

রানি মেরি

৪১. রাগ বোকামি থেকে উদ্ভূত হয় এবং অনুতাপে শেষ হয়।

পিথাগোরাস

৪২. হঠাৎ করে কাউকে শত্রু ভাবতে নেই, তাতে শত্রুর সংখ্যাই বৃদ্ধি পায়।

লর্ড হ্যালিফাক্স

৪৩. মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে মানুষ।

রবার্ট বার্টন

৪৪. তোমরা শত্রুদের প্রতি লক্ষ রাখো, কারণ তারাই প্রথমে তোমার দোষ খুঁজে বের করবে।

–এনটিন থেনেস

৪৫. অস্ত্রের জোরে তুমি সারা পৃথিবী জয় করতে পার, কিন্তু পারবে না একটা গ্রামের মানুষেরও মন বশীভূত করতে।

কি ভলতেয়ার

৪৬. পরের অস্ত্র কাড়িয়া লইলে নিজের অস্ত্র নিয়ে উচ্ছঙ্খল হইয়া উঠে।

রবীন্দ্রনাথ ঠকুর

৪৭. তোমরা আপন আপন শত্রুগণকে প্রেম করিও এবং যাহারা তোমাদিগকে তাড়না করে তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও।

বাইবেল

৪৮. পরস্পর পরস্পরকে উপহার দেবে। কেননা উপহার দেওয়া-নেওয়া মানুষকে হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দূরে রাখে।

–আল-হাদিস

৪৯. মন্দের বিনিময়ে কাহারো মন্ত করিও না, সকল মানুষের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া-চিন্তিয়া তাহাই করো।

বাইবেল

৫০. যুদ্ধে শোণিত, পরিশ্রম, অশ্রু এবং ঘাম ছাড়া আর কিছুই দেবার নেই।

–উইনস্টন চার্চিল

৫১. একের বিরুদ্ধে অপরের বিদ্বেষের কথা যে লাগায়, সে আগুনে ইন্ধন যোগায়।

শেখ সাদি

৫২. চোগলখোরের অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই। ঈশ্বর ক্ষমা করলেও আমি তাকে ক্ষমা করতে পারি না।

–আইজ্যাক ল্যাম

৫৩. দুষ্টু লোককে তার দুষ্টুমিই গ্রাস করবে। আপন পাপরশিতেই সে বাঁধা পড়বে।

–হযরত সোলায়মান (আ.)

৫৪. মেয়েরা মেয়েদের বেশি হিংসা করে, একে অন্যের সুখে ঈর্ষান্বিত হয়।

অজ্ঞাত

৫৫. মানুষ আজ পশুতে পরিণত হয়েছে, তাদের চিরন্তন আত্মীয়তা ভুলেছে। পশুর ল্যাজ গজিয়েছে ওদের মাথার উপর, ওদের সারা মুখে। ওরা মারছে লুকিয়ে, মারছে লেঙ্গোটিকে, মারছে টিকিকে, দাড়িকে। বাইরের চিহ্ন নিয়ে এই মূর্খদের মারামারির কি অবসান নেই?

কাজী নজরুল ইসলাম

৫৬. ঝগড়ার পথ হতে সরে থাকাই সম্মানরক্ষার প্রকৃষ্ট পন্থা। মূর্খেরাই সাধারণত বিবাদ তালাশ করে।

মহিউদ্দিন

৫৭. যুদ্ধের ধ্বংস হতে পারে কেবল যুদ্ধের মাধ্যমে, আর অস্ত্র পরিত্যাগ করার জন্যে হাতে তুলে নিতে হয় অস্ত্র।

মাও সে-তুং

৫৮. আমরা খুন করি কারণ নিজের ছায়াকে আমরা ভয় পাই; ভয় পাই কারণ সামান্য কাণ্ডজ্ঞান খাটালেই আমাদের মহান নীতিগুলোর ফাঁকফোকর সব ন্যাংটো হয়ে পড়বে।

–হেনরি মিলার

৫৯. যুদ্ধ একই সঙ্গে আগের বিকৃতিগুলোর উৎপাদন এবং পরবর্তী বিকৃতির উৎপাদক।

লুইস মামফোর্ড

৬০. বাজে সঙ্গীত আর বাজে যুক্তিগুলো কী চমৎকারই-না লাগে যখন শত্রুর দিকে এগিয়ে যায় কুচকাওয়াজ।

–নিৎসে

৬১. যুদ্ধ থামানোর সেরা উপায় হল হেরে যাওয়া।

জর্জ অরওয়েল

৬২. ঘৃণা আপনা থেকে অকারণে জন্মায় না।

কৃষণ চন্দর

৬৩. যাকে মানুষ আহত করে তাকে ঘৃণা করাই মনুষ্যস্বভাব।

টেনিসাস

৬৪. ঈর্ষা হতে আত্মরক্ষা করা উচিত। কিন্তু যে-ঈর্ষায় আত্মশুদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, তা কিছুতেই পরিত্যাগ করা উচিত নয়।

অ্যারিস্টটল

৬৫. মানুষের অনুকম্পা পাওয়ার চেয়ে মানুষের ঈর্ষা পাওয়া শ্রেয়।

–হেরোডোটাস

৬৬. একজন অহংকারী মহিলা সংসারের পুরো কাঠামোটা বিনষ্ট করে দেয়।

–পিনিরো

৬৭. কোনো কারণ ছাড়াই যে অন্যকে ঘৃণা করে, সে প্রকৃত অহংকারী।

মার্শাল

৬৮. যাকে ঘৃণা করবে তাকে ভয়ও করবে। কারও নাম-যশ শুনেই বিভ্রান্ত হয়ো না।

হযরত ওমর (রা.)

৬৯. একজন খাঁটি মানুষ কখনো অন্যকে ঘৃণা করে না।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৭০. হৃদয়ের পাগলামো হচ্ছে ঈর্ষা।

বায়রন

৭১. আমি তাকে ঘৃণা করি–এর অর্থ তার কাজকে ঘৃণা করি।

–জে. আর. লাওয়েল

৭২. যখন আমরা ঝগড়া করি, তখন ক্রোধে অন্ধ হয়ে যাই।

–ইমারসন

৭৩. মানুষের কল্যাণের জন্য ঐসব ভজনালয়ের সৃষ্টি, ভজনালয়ের মঙ্গলের জন্য মানুষ সৃষ্টি হয় নাই। আজ যদি আমাদের মাতলামির দরুন ঐ ভজনালয়ই মানুষের অকল্যাণের হেতু হইয়া ওঠেযাহার হওয়া উচিত ছিল স্বর্গ-মর্ত্যের সেতু-তবে ভাঙ্গিয়া ফেল ঐ মন্দির-মসজিদ। সকল মানুষ আসিয়া দাঁড়াইয়া বাঁচুক এক আকাশের ছত্রতলে এক চন্দ্র-সূর্য-তারা জ্বলা মহামন্দিরের আঙ্গিনা তলে।

কাজী নজরুল ইসলাম

৭৪. হিংসা থেকেই অধিকাংশ কুৎসা রচিত হয়।

মারিয়া এডওয়ার্থ

৭৫. যে-ব্যক্তি ভূমির উপর অন্যকে আছড়াইয়া মারিয়া ফেলিতে পারে, সে কখনো বলবান বা ক্ষমতাশালী নহে; কিন্তু যে-ব্যক্তি আপনার ক্রোধ দমন করিতে পারে, সে-ই প্রকৃত বলবান।

–আল-হাদিস

৭৬. কথাবার্তায় ক্রোধের পরিমাণ আহার্যের লবণের মতো হওয়া উচিত। পরিমিত হলে রুচিৎকারক, আর অপরিমিত হলে ক্ষতিকারক।

প্লেটো

৭৭. সময় ও পরিবেশ বুঝে রাগান্বিত হওয়া উচিত। যিনি রাগকে সংযত করতে জানেন, তিনি জীবনে সুখী হতে পারেন।

–সিডনি স্মিথ

৭৮. যার কোনো শত্রু নেই, সে নিঃসন্দেহে একজন অকর্মণ্য ব্যক্তি।

–এডমণ্ড বার্ক

৭৯. শত্রু মরে গেছে বলে আনন্দ কোরো না, কারণ পুনরায় শক্র হবেই।

ওল পিয়াট

৮০. একজন লোকের জন্য একজন শক্রই যথেষ্ট।

টমাস মিডল্টন

৮১. রাগান্বিত মানুষ তার মুখ খোলা রাখে এবং চোখ দুটো বন্ধ রাখে। কাটো।

৮২. রাগ বস্তুটা মূল্যবান বিলাসিতা এবং বিশেষ আয়সম্পন্ন লোকেরাই পুষতে পারে।

ভি. ডব্লিউ. কারটিস

৮৩. কখনো কখনো একজনের নিষ্ঠুরতা অন্যের আনন্দের খোরাক হয়ে দাঁড়ায়।

জন ওল্ডহাম

৮৪. ঈর্ষা জিনিসটার মধ্যে একটি সত্য আছে, সে হচ্ছে এই যে, যা-কিছু সুখের সেটি সকলের পাওয়া উচিত ছিল।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৫. হিংসুকের নিন্দায় ক্ষুণ্ণ হবার কারণ নেই। তুলনায় যে ভালো আছে, তাকেই লোক হিংসা করে।

আব্দুর রহমান শাদাব

৮৬. যে আদর্শ অন্য আদর্শের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ, তাহা আদর্শই নহে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৭. কারও বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা সবচেয়ে খারাপ কাজ।

চার্লস ল্যাম

৮৮. রাগ করা অর্থাৎ সাময়িকভাবে পাগল হওয়া, তাই তোমার ক্রোধকে আয়ত্তে রাখো। নচেৎ ক্রোধই তোমাকে আয়ত্ত করবে।

হোরেস

৮৯. যুদ্ধ একান্ত পাশবিক। অথচ পশুর চেয়ে মানুষই যুদ্ধ করে সশি। আবার মানুষই যুদ্ধকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে।

৯০. যুদ্ধ একটি ধ্বংসের বিজ্ঞান।

জন. এম. সি. অ্যাবট

৯১. মানুষ মানুষকে যে ঘৃণা করে, তার কারণ কি? যার মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই, যে মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড, নিষ্ঠুর ও স্বার্থপর, যার ব্যবহার মিথ্যার সঙ্গে জড়িত–বল দেখি লোকে যদি তাকে ঘৃণা করে, তা হলে কি তাদের দোষ দেওয়া যায়?

–ডা. লুৎফর রহমান

৯২. যুদ্ধ-বিষদাঁত দিয়ে রাজনীতির গেরো খোলার পদ্ধতি যা কখনো জিহ্বা পর্যন্ত পৌঁছায় না।

অ্যামব্রোস বিয়ার্স

৯৩. যুদ্ধ ঠিক প্রেমের মতো, সবসময় ছুতো খোঁজে।

–বের্টোল্ড ব্রেখট

৯৪. শেষ বিচারে সৈনিকের বোঝা বন্দির শিকলের মতো অতটা ভারী নয়।

আইসেন হাওয়ার

৯৫. প্রতিটি জাতির ফুল ঝরিয়ে দেয় বলেই যে যুদ্ধকে আমি ঘৃণা করি, তা নয়। করি এজন্যে যে এটি আত্মিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গে বস্তুগত মূল্যবোধও ধ্বংস করে ফেলে।

ইলিয়া এরেনবুর্গ

৯৬. বন থেকে এসে মানুষ মরুর দিকে এগোয়।

-ফরাসি ছাত্র বিদ্রোহীদের দেয়াল-লিখন

৯৭. ক্ষমতা না থাকিলে শত্রুর সম্মুখীন হইও না।

–হযরত আলি (রা.)

৯৮. বিধাতার নিকট আমার প্রার্থনা এই যে, আমাকে শুধু তুমি বন্ধু দিও না, শক্রও দিও, যাতে আমি আমার ভুলভ্রান্তিগুলো ধরতে পারি।

–জন ম্যাক

৯৯. দুই শত্রুর মধ্যে এমনভাবে কথাবার্তা বলো, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।

শেখ সাদি

১০০. অপরিচিত লোক অপেক্ষা আত্মীয়ের শক্রতা অধিক দুঃখজনক।

–ডেমোক্রিটাস

১০১. মানুষকে ঘৃণা করাটা হল ইঁদুর তাড়ানোর জন্য নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো।

হ্যারি ইমারন

১০২. যে ঘৃণা করতে জানে না, সে ভালোবাসতেও জানে না।

কনজাভ

১০৩. ঘৃণার সাহায্যে ঘৃণা কখনো মুছে ফেলা যায় না।

বুদ্ধদেব

১০৪. আল্লাহর এবং মা-কালীর ‘প্রেস্টিজ’ রক্ষার জন্য যাহারা এতক্ষণ মাতাল হইয়া চিৎকার করিতেছিল তাহারাই যখন মার খাইয়া পড়িয়া যাইতে লাগিল, দেখিলাম–তখন আর তাহারা আল্লা মিঞা বা কালী ঠাকুরাণীর নাম লইতেছে না। হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি পড়িয়া থাকিয়া এক ভাষায় আর্তনাদ করিতেছে—’বাবা গো, মা গো’–মাতৃপরিত্যক্ত দুটি বিভিন্ন ধর্মের শিশু যেমন করিয়া একস্বরে কাঁদিয়া তাদের মাকে ডাকে।

কাজী নজরুল ইসলাম

১০৫. প্রতিশোধ নেবার কাজটি শক্রমিত্র উভয়কেই সমপর্যায়ে আনে, আর প্রতিশোধ নেয়ার কথা ভুলে গেলে, প্রতিশোধগ্রহণকারী উন্নত ও মহত্তর আদর্শের পরিচয় দেন।

–বেকন

১০৬. সদুপদেশ গ্রহণ করার জন্য অন্তরে আগ্রহ সৃষ্টি না হওয়া এবং নিজের অভিমত খণ্ডিত হতে দেখেই অন্তরে ক্রোধের সৃষ্টি হওয়ার নামই অহংকার। আত্মপ্রশস্তি ও অহংকার মানুষকে নিম্নস্তরে নিয়ে যায়।

ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

১০৭, পৃথিবীতে ভালো যুদ্ধ বা খারাপ শান্তি বলে কিছু নেই।

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন

১০৮. যুদ্ধের সময় দোজখের ভেতরে শয়তান আরও বেশি বেশি করে ঘর তোলে।

জার্মান প্রবাদ

১০৯. যুবকেরা যুদ্ধের প্রথম বলি; শান্তির প্রথম কদম ফুল। একটি মানুষ গড়তে লাগে বিশ বা তারও চেয়ে বেশি বছর; মাত্র বিশ সেকেণ্ডের যুদ্ধ খুঁড়িয়ে দিতে পারে

বলডুইন

১১০. পৃথিবীর লোকের কাছে একথা প্রচারিত যে আমরা হিন্দু-মুসলমান কাটাকাটি মারামারি করি; অতএব ইত্যাদি। কিন্তু ইউরোপেও একটা সম্প্রদায়ে কাটাকাটি মারামাটি চলত–গেল কী উপায়ে। কেবলমাত্র শিক্ষা বিস্তারের দ্বারা। আমাদের দেশেও সেই উপায়েই যেত। কিন্তু শতাধিক বৎসরের ইংরেজ শাসনের পরে দেশে শতকরা পাঁচজনের কপালে শিক্ষা জুটেছে, সে শিক্ষাও শিক্ষার বিড়ম্বনা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১১. শাস্তি দেয়ার জন্য যারা যুদ্ধ করে আর যুদ্ধের ক্লেশ যারা ভোগ করে যুদ্ধটা তাদের উভয়ের জন্যই শাস্তিস্বরূপ।

জেফারসন

১১২. হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী
নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব;
ঘোর কুটিল পন্থ তাহার;
লোভে জটিল বন্ধ।
নতুন তব জন্ম লাগি,
কাতর যত প্রাণী,
কর ত্রাণ মহপ্রাণ,
আন অমৃত বাণী।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৩. যে মানব! তুমি বৃহস্পতিতুল্য পণ্ডিত হও, ব্রহ্মের ন্যায় কবি হও, জনকের ন্যায় জ্ঞানী হও, কুবেরের ন্যায় ধনী, বারির ন্যায় দাতা হও, ভীমের ন্যায় বীর হও এবং শশাগড়া পৃথিবীর অধিপতি হও; কিন্তু মনে কিঞ্চিত্মাত্র অভিমান ও অহংকার থাকিলে সকলই বৃথা হইবে, তোমার সেই বিদ্যা, বুদ্ধি, পাণ্ডিত্য, সভ্যতা, বল, বিক্রম, বিভব, রাজত্ব, প্রভুত্ব কিছুতেই কিছু করিবে না। তুমি পৰ্বৰ্ততুল্য উচ্চ হইলেও গর্বদোষে খর্ব হইবে, ইহা বিচিত্র নহে।

১১৪. অহংকারী ও উদ্ধত ব্যক্তিগণ কখনো বেহেশতে প্রবেশাধিকার পাইবে না।

–আল হাদিস

১১৫. হিংসা তোমাকে ধ্বসের শেষ ধাপে নিয়ে যাবে।

–এইচ, জি ওয়েলস

১১৬. এমনকি মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যও আমি হিংসার আশ্রয় গ্রহণ করার ঘোর বিরোধী।

মহাত্মা গান্ধী

১১৭. হিংসুক লোক শত্রুর মতো নিজেকেই উৎপীড়ন করে।

ডেমোক্রিটাস

১১৮. ইতিহাসের পাতা খুলে দেখা যায় হিংসা এবং পরশ্রীকাতরতা মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ এবং হানাহানিতে লিপ্ত করেছে।

আর, ডব্লিউ. গিল্ডার

১১৯. একজন হিংসুক মহিলা তার গৃহ এবং পরিচিত পরিবেশের মধ্যে যে-কোনো মুহূর্তে আগুন জ্বালাতে পারে।

–পাবলিয়াস সিরাস

১২০. হিংসুক ব্যক্তি সর্বদা তিন প্রকার কষ্টে নিপতিত থাকে–আত্মদহন, মানুষের ঘৃণা এবং আল্লাহর গজব।

ইবনে মুয়াইদ ১২১. দুনিয়ায় কেউ মৃত ব্যক্তির উপর হিংসা করে না, কাজেই জীবিত ব্যক্তির প্রতি হিংসা করা কর্তব্য নয়। কেননা জীবিতও একদিন মৃত হবে।

ইমাম শাফেয়ি (রা.)

১২২. অভ্যেসগত উত্তেজনা হল অপরাধের সারসংক্ষেপ।

–জেরলস

১২৩. অপমানের আঘাত অপেক্ষা শারীরিক আঘাত অনেক সহজে ভোলা যায়।

–লর্ড চেস্টারফিল্ড

১২৪. শয়তানের মস্তিষ্ক সবচেয়ে প্রখর।

–ভলতেয়ার

১২৫. কেউ নিজের ক্ষতি না করে কখনো অন্যের ক্ষতি করতে পারে না।

ডেসম্যাথিস

১২৬. আক্রমণকারী শত্রু অপেক্ষা তোষামোদকারী বন্ধুকে বেশি ভয় করো।

–জি. ওব্রেয়ন

১২৭. ভঙ্গুর বরফের মতো ক্রোধ সময় হলে আপনি গলে যায়।

অভিদ

১২৮. অশোভন আবেগকে জীবনে কখনো প্রশ্রয় দিও না।

অস্কার ওয়াইল্ড

১২৯. একজন মহিলা যখন ভালোবাসে এবং যখন ঘৃণা করে উভয় ক্ষেত্রেই চরম পর্যায়ে যায়।

রিচার্ড আল ডিংকটন

১৩০. মরিচা লোহাকে বিনষ্ট করে দেয়, তেমনি হিংসা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।

ইবনুল খতিব

১৩১. তোমরা হিংসা পরিত্যাগ করো, কেননা অগ্নি যেরূপ জ্বালানী কাষ্ঠকে ধ্বংস করে হিংসা তদ্রুপ সৎগুণাবলীকে ধ্বংস করে।

–আবু দাউদ

১৩২. কোন অকাট কৃপণের হাত হতে স্বর্ণ-রৌপ্য খসানো যেতে পারে কিন্তু হিংসুকের মুখ থেকে কারো প্রশংসাবাণী বের করা সত্য সত্যই কঠিন।

বাহাউদ্দিন

১১. প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা

১. প্রেম হচ্ছে সবকিছুর শুরু, মধ্য এবং অন্ত।

–লাকর্ডেয়ার

২. প্রেম আর ধূম হচ্ছে এমন দুটো জিনিস যা চোখে দেখা যায় না।

ফরাসি প্রবাদ

৩. নারীর প্রেমে মিলনের গান বাজে, পুরুষের প্রেমে বিচ্ছেদের বেদনা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪. ভালোবাসা যা দেয়, তার চেয়ে বেশি কেড়ে নেয়।

টেনিসন

৫. বিচ্ছেদের মুখে প্রেমের বেগ বাড়িয়া উঠে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬. স্বার্থসিদ্ধির চরমতম অভিব্যক্তি প্রেম।

হক জ্যাকসন

৭. প্রেমের পরশে প্রত্যেকে কবি হয়ে ওঠে।

প্লেটো

৮. প্রেম মানুষের একটি শাশ্বত ও মহান প্রয়োজন।

আনাতোল ফ্রাঁস

৯. চুমুতে চিনি নেই, মধুও মেশানো থাকে না–তবুও চুমুর মতো মধুর স্বাদ জগতে আর কিছুতে নেই।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

১০. শব্দ যখন নিরর্থক হয়ে ওঠে, তখন কথা বন্ধ করার জন্য প্রকৃতি চুম্বনের মধুর ফন্দি বার করেছে।

ইনগ্রিড বার্গম্যান

১১. চুম্বনও একটা আর্ট। সবাই চুমু খেতে পারে না। গাঢ় গভীর আশ্লেষ চুম্বন দ্বারা অনেক সুখ অনেক তৃপ্তি আদায় করে নেওয়া যায়। অথচ কী আশ্চর্য! অনেক নারী-পুরুষ এই সুখ থেকে স্বেচ্ছায় নিজেদের বঞ্চিত করে।

হেলিনস্কি

১২. চোখ মনের কথা বলে। সবাই চোখের ভাষা বুঝতে পারে না। প্রাণের সাথে যার প্রাণের মিল আছে, টান আছে, কেবল তারাই একে অপরের চোখের ভাষা বুঝতে পারে।

প্রফুল্ল রায়

১৩. যখন মুখের ভাষা বন্ধ হয়ে যায়, তখন প্রেমিক-প্রেমিকারা চোখের ভাষায় কথা বলে। যখন চোখও কথা বলে না, তখন হৃদয়ে-হৃদয়ে বাণী বিনিময় হয়। এলান বার্গার

১৪. যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক,
তারা তো পারে না জানিতে
তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছ
আমার হৃদয় খনিতে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫. সৌভাগ্যের দুর্ঘটনায় একজন মানুষ পৃথিবীকে একবার শাসন করতে পারেন, কিন্তু ভালোবাসার দ্বারা তিনি পৃথিবীকে চিরকাল শাসন করতে পারেন।

লাও সী

১৬. গভীর ভালোবাসার কোনো ছিদ্রপথ নেই।

–জন হেউড

১৭. প্রেমে পড়লে নাকি বোকা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে, বুদ্ধিমান বোকা হয়ে যায়।

নুট হামসুন

১৮. প্রেম নারীর লজ্জাশীলতাকে গ্রাস করে, পুরুষের বাড়ায়।

–জা পল বিশার

১৯. অর্থের জন্য প্রেম করা আর নিজের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা একই জিনিস।

জন ক্রাউন

২০. ধনসম্পদ উড়ে যায়, আরাম-আয়েশ অন্তর্হিত হয়, আশা যায় শুকিয়ে, কিন্তু প্রেম থেকে যায় আমাদের সাথে। প্রেম হচ্ছে ঈশ্বরী।

লিউ ওয়ালেস

২১. প্রেমের সুখ হল কর্মে ও অপরের জন্য কাজ করার ইচ্ছাই ভালোবাসার প্রমাণ।

লিউ ওয়ালার

২২. যাকে খুবই ভালোবাসা যেতে পারত, তাকে ভালোবাসবার অবসর যদি কোনো একটা বাধায় ঠেকে ফসকে যায়, তখন সেটা না-ভালোবাসায় দাঁড়ায় না–সেটা দাঁড়ায় একটা অন্ধবিদ্বেষে, ভালোবাসারই উলটো পিঠে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৩. সবাইকে ভালোবাসো, বিশ্বাস করো অল্প কয়েকজনকে। শেক্সপীয়ার ২৪. বন্ধুত্বের সারাৎসার হচ্ছে সমগ্রতা, পূর্ণ মহানুভবতা আর বিশ্বাস। ইমারসন ২৫. প্রেম সর্বদাই কামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

বার্ট্রান্ড রাসেল

২৬. আস্থাই বন্ধুত্বের একমাত্র বন্ধনসূত্র।

সাইরাস

২৭. বিস্তারই জীবন, সঙ্কোচনই মৃত্যু। প্রেমই জীবন, দ্বেষই মৃত্যু।

স্বামী বিবেকানন্দ

২৮. ভালোবাসার ট্রাজেডি ঘটে সেইখানেই যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারে নি–নিজের ইচ্ছেকে অন্যের ইচ্ছে করবার জন্য যেখানে জুলুম যেখানে মনে করি, আপন মনের মতো করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করব।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৯. তোমার প্রেমকে মনুষ্যত্বে ব্যাপ্ত কর, সান্ত্বনা পাবে। বিশ্বপ্রেম প্রতিদান চায় না; যোগ্য অযোগ্য বিচার করে না, সে সেবা করেই সুখী।

–দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

৩০. তারেই বলে প্রেম
যথন থাকে না Future-এর চিন্তা
থাকে নাক Shame
তারেই বলে প্রেম।

–দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

৩১. যেখানে আনন্দ সেখানেই প্রেম এবং যেখানেই প্রেম সেইখানেই আনন্দ। আনন্দ ভিন্ন প্রেম হয় না এবং প্রেম ভিন্নও আনন্দ নাই।

–অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ

৩২. প্রেম না থাকলে শরীরসম্ভোগ অনির্বচনীয় মাধুর্যমণ্ডিত হয় না।

মহাশ্বেতা দেবী

৩৩. সকল জীবের মধ্যে প্রেম করার এবং প্রেমের সুখ উপলব্ধি করার ক্ষমতা কেবল মানুষেরই আছে।

–আবুল ফজল

৩৪. নিজের দীর্ঘায়ু সম্পর্কে যেমন নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না, তেমনি প্রেমে আবদ্ধ থাকা কিংবা না থাকার বিষয়েও শপথ করা যায় না। শুধুমাত্র জীবন এবং প্রেম সম্বন্ধে যত্নবান থাকার শপথ করা যায়।

–এলিন কে.

৩৫. যেখানে অর্থ নেই, সেখানে ভালোবাসাও দুর্লভ।

স্যার টমাস ব্রাউন

৩৬. নিরবচ্ছিন্ন মিলনে প্রেমের মর্যাদা স্লান হইয়া যায়। সোহাগ বেসুর লাগে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৭. স্বামীরা প্রেমিক অবশ্যই হতে রাজি, তবে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে নয়। স্ত্রীর প্রেমিকের ভূমিকায় তারা নিজেদের ভাবতেই পারে না।

নবনীতা দেব সেন

৩৮. ধর্মের পর জ্ঞানের প্রধান অংশ হচ্ছে মানবপ্রেম–আর পাপী পুণ্যবান নির্বিশেষে মানুষের মঙ্গলসাধন।

–আল-হাদিস

৩৯. প্রেমিক-প্রেমিকারাই অলস-মধুর সময় কাটাতে পারে।

ফ্রান্সিস বেকন

৪০. আল্লাহকে ভালোবাসার ইচ্ছা থাকলে প্রথমে মানুষকে ভালোবাসতে শেখো।

–আল-হাদিস

৪১. মানবপ্রেমই প্রেমের শ্রেষ্ঠ ও শেষতম পর্যায়।

–গুন্টার গ্রাস

৪২. একমাত্র প্রেম বিপ্লবের ক্ষেত্রে মানুষ ভীরুতার দেয়াল টপকিয়ে দুর্জয় সাহসী হতে পারে।

–সৈয়দ শামসুল হক

৪৩. যারা গভীরভাবে ভালোবাসতে জানে, বয়স তাদের জন্য কোনো বাধা নয়।

–পিনেরো

৪৪. তুমি যদি কোনো লোককে জানতে চাও,তা হলে তাকে প্রথমে ভালোবাসতে শেখো।

লেনিন

৪৫. ত্যাগের সঙ্গে প্রেমের ভারি একটা সম্বন্ধ আছে–এমন সম্বন্ধ যে, কে আগে কে পরে তা ঠিক করাই দায়। প্রেম ছাড়া ত্যাগ হয় না, আবার ত্যাগ ছাড়া প্রেম হতে পারে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৬. যাকে শ্রদ্ধা করা যায় না, তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসাও যায় না।

সুইফট

৪৭. পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর আবেগগুলোই প্রেমের মাত্র একটি কর্মের তুলনায় ওজনে খাটো।

জেমস্ রাসেল লাওয়েল

৪৮. প্রেমিক-প্রেমিকা কলঙ্ক রটনাকে ভয় পেয়ে থাকলে বুঝতে হবে তাদের প্রেম খাঁটি নয়।

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

৪৯. মা বোন স্ত্রী অথবা কন্যা–যে-রূপেই হোক না কেন, নারীর প্রেম পুরুষের প্রেম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও পবিত্র।

–এইচ. জি. লরেন্স

৫০. বন্ধনের মধ্যে জন্ম হলেও নারী পুরুষ উভয়েই স্বাধীন প্রাণী হিসাবে সৃষ্টি হয়েছে।

–উইলিয়াম উইন্টার

৫১. কলঙ্ক হবে–এই ভয়ে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবতী প্রেমিকা প্রেমিকের হাত ধরে গৃহত্যাগ করতে ইতস্তত করে না। প্রেম ভয়কে ভয় পায় না। কলঙ্ককে ডরায় না।

–অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

৫২. সবাই আত্মকল্যাণ চায়, মানুষ এমনই স্বার্থপর।

–গ্রীন গর্ডন

৫৩. নিঃস্বার্থ জনদরদিরাই কেবল মানবকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হতে পারেন। স্বার্থপর যে, মানবকল্যাণের কথা বৃথাই তার চিন্তা করা।

হো চি মিন

৫৪. দুঃখ ও যন্ত্রণা জয়ের উৎকৃষ্ট টনিক হচ্ছে সার্থক প্রেম।

–হেররিক

৫৫. পূর্ণ বিবেচনা ও বিচক্ষণতাপ্রসূত মাতৃত্ব অর্জন করবার জন্যে স্বভাবতই যে কোনো মেয়ের পক্ষে খাঁটি ও হৃদয়বান পুরুষের প্রেমের প্রয়োজন। রোমা রোলা

৫৬. কামের মধ্যে প্রেমের মূল না থাকিলে ভোগের বিকাশ পরিপূর্ণ এবং স্থায়ী হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৭. পথিবীতে ভালোবাসার একটি মাত্র উপায় আছে….. সে হল প্রতিদানের আশা না করে ভালোবেসে যাওয়া।

—ডেল কার্নেগি

৫৮. ভালোবাসা দেবার চেয়ে নেয় বেশি।

–টেনিসন

৫৯. ভালোবাসার জগতে সে-ই বুদ্ধিমান যে ভালোবাসে বেশি কিন্তু প্রকাশ করে

–টেনিসন

৬০. স্বার্থসিদ্ধির চরম অভিব্যক্তি প্রেম।

ব্রুক জ্যাকসন

৬১. সৌভাগ্য ও প্রেম নির্ভীকের সঙ্গী।

–আনাতোল ফ্রাঁস

৬২. ভালোবাসতে শেখো, ভালোবাসা দিতে শেখো–তা হলে তোমার জীবনে ভালোবাসার অভাব হবে না।

–টমাস ফুলার

৬৩. ভালোবাসা শুধু সুখ দেয় না, জীবনকে মধুময় ও দীর্ঘায়ু করে।

প্রফুল্ল রায়

৬৪. কামনা ও প্রেম একসঙ্গে চলে, কোনোদিন বিচ্ছেদ হয় না।

–সমরেশ মজুমদার

৬৫. প্রেম শব্দটার মধ্যে মস্ত এক রহস্য লুকিয়ে আছে নিশ্চয়। তা না হলে প্রেম শব্দটা শুনে মানুষ এমন রোমাঞ্চিত হয় কী কারণে?

–বনফুল

৬৬. প্রেম ব্যতীত কোনো নারীর সঙ্গে মিলিত হওয়া আর বাজারের স্বৈরিণীর সঙ্গে মিলিত হওয়া সমান।

–বার্ট্রান্ড রাসেল

৬৭. আমরা যেহেতু মানুষ সেইজন্য আমাদের একমাত্র মানুষকেই ভালোবাসা কর্তব্য।

–-লেনিন

৬৮. প্রেমের আনন্দ থাকে
শুধু স্বল্পক্ষণ
প্রেমের বেদনা থাকে
সমস্ত জীবন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৯. প্রেম গাছ-থেকে-পড়া অন্ধ ডালের মতো, কার ঘাড়ে গিয়ে যে কখন পড়ে– তা আগেভাগে বুঝতে পারা যায় না।

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

৭০. ভালোবাসা ভেঙে যাওয়া সে যে হাহাকার
তার চেয়ে ব্যথা নাই, হায়;
প্রেম টুটিবার আগে প্রেমের আধার
টুটে যাওয়া ভালো বসুধায়।

–সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

৭১. যে-প্রেমিক কাণ্ডজ্ঞানের পরিচয় দেয়, সে মোটেই প্রেমিক নয়।

নর্মান ডগলাস

৭২. অনিত্য এই ধরায় জেনো
কিছুই বড় টিকতে নারে,
ভালোবাসাই হেথায় শুধু
অমর হয়ে থাকতে পারে।

–ওমর খৈয়াম

৭৩. আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু সে-ই যে আমার কল্যাণ কামনা করে কেবল আমার কল্যাণেরই জন্যে।

–অ্যারিস্টটল

৭৪. বন্ধুত্ব টাকার মতো, রক্ষা করার চাইতে তৈরি করা সহজ।

বাটলার

৭৫. সারাজীবনে একজন বন্ধু থাকা যথেষ্ট, দুজন হলে অনেক, আর তিনজন হওয়া প্রায় অসম্ভব।

–হেনরি অ্যাডামস

৭৬. প্রকৃত প্রেম যতই দুর্লভ হোক, প্রকৃত বন্ধুত্বের চাইতে তা কম দুর্লভ।

–লা রোচি ফুঁকো।

৭৭. একজন সহানুভূতিশীল বন্ধু ভাইয়ের মতোই প্রিয় হতে পারে।

–হোমার

৭৮. আমরা আমাদের বন্ধুদের গুণের চাইতে বরং তাদের ত্রুটিগুলো দিয়ে চিনে থাকি।

–সমারসেট মম

৭৯. যে-বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যেতে পারে, তা আসলে কখনো সত্যি সত্যি শুরুই হয় না।

–পাবিলিয়াস সাইরাস

৮০. তোমার বন্ধু হচ্ছে সে-ই যে তোমার সম্পর্কে সবকিছু জানে এবং তবুও তোমাকে পছন্দ করে।

অ্যালবার্ট হুবার্ড

৮১. একজন নিষ্ঠাবান বন্ধু সহস্র আত্মীয়ের চেয়ে শ্রেয়।

ইউরিপিডিস

৮২. একজন সত্যিকারের বন্ধু কখনো বন্ধুর আচরণে ক্ষুণ্ণ হয় না।

চার্লস ল্যাম

৮৩. যে-বন্ধু সুদিনে ভাগ বসায় এবং দুর্দিনে ত্যাগ করে চলে যায়, সে-ই তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু।

ইমাম গাজ্জালি

৮৪. কারও প্রেয়সী কখনও কুৎসিত হয় না।

–জে. জে. জেভ

৮৫. একটি পুরুষ আর একটি নারীকে যদি একত্রে কোথাও রাখ, অল্প কিছু জিনিসই তাদের করার থাকে। তারা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে। উষ্ণ করে তোলে একে অপরকে। বাকি থাকে সবই শূন্য আর মৃত।

উগো বেত্তি

৮৬. প্রেম পুরুষের জীবনে কেবল একটা অণুকাহিনী মাত্র, নারীর জীবনে তা সমগ্র ইতিহাস।

মাদাম দ্য স্তায়েল

৮৭. হে প্রেম, তোমার শক্তি অপ্রতিরোধ্য, তুমি মরণের পরেও হয়েছ জয়ী।

–সোফোক্লেস

৮৮. প্রেমের নীরব স্বপ্ন যত মধুর, তার অর্ধেক মধুরতাও জীবনে আর কিছুতে নেই।

–টমাস মুর

৮৯. যেখানে প্রেম নেই, সেখানে সত্য নেই। কেবলমাত্র তারই মূল্য আছে যে কোনো-কিছুকে ভালোবাসে। ভালোবাসা না থাকলে নিজের অস্তিত্ব না থাকারই শামিল।

–ফয়েরবাখ

৯০. ভালোবাসার অর্থ হল, যাকে তুমি ভোবাস তার মতো জীবনযাপন করা।

টলস্টয়

৯১. কামনা আর প্রেম এ দুটো হচ্ছে সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা আর প্রেম হচ্ছে ধীর, প্রশান্ত ও চিরন্তন।

কাজী নজরুল ইসলাম

৯২. সার্থক ভালোবাসা দুঃখ-যন্ত্রণা জয়ের এক উৎকৃষ্ট টনিক।

–হেররিকা

৯৩. ভালোবাসা একটি সাময়িক রোগের সমাধি।

–প্লেটো

৯৪. প্রেম মানুষকে শান্তি দেয়, কিন্তু স্বস্তি দেয় না। প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯৫. খ্যাতির চেয়ে ভালোবাসা ভালো।

বেয়ার্ড টেলর

৯৬. একজন প্রেমিক প্যাঁচার চেয়েও অন্ধ।

–স্পেন্সর

৯৭. বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রেমপত্রগুলো মহৎ মহিলাদের উদ্দেশেই রচিত হয়েছিল।

অ্যালবার্ট হার্বার্ট

৯৮. যে চিরদিনের জন্য ভালোবাসে না, সে আসলে প্রেমিক নয়।

–এভিউ ল্যাংসে

৯৯. প্রেম হয় দুজনের মধ্যে, জন্ম দেয় তৃতীয় জনের, একটি নতুন জীবনের। এখানে রয়েছে জন্মস্বার্থ। এখানেই উৎপত্তি সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের।

ক্লারা জেকিন

১০০. অপরের প্রতি প্রেমের বিস্তার মাৎসর্য্যের পরম ওষুধ। অশ্বিনীকুমার দত্ত

১০১. দুটি জিনিস ছাড়া মানুষ সব লুকোতে পারে। এ দুটি হচ্ছে, যদি সে মাতাল হয়, আর যদি সে প্রেমে পড়ে।

এন. টি. ফেন্স

১০২. একটা শিশুকে দাও যদি সামান্য একটুখানি ভালোবাসা, তোমাকে সে ফিরিয়ে দেবে অকেকখানি।

–রাসকিন

১০৩. ভালোবাসা বিফল হয় না। আজই হউক, কালই হউক, শত শত যুগ পরে হউক, প্রেমের জয় হবেই।

–স্বামী বিবেকানন্দ

১০৪. মানুষের জীবনের একটি শাশ্বত ও মহান প্রয়োজন হল প্রেম।

–আনাতোল ফ্রাঁস

১০৫. প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা, কিন্তু প্রবঞ্চিতকে দেয় কী? তাকে দেয় দাহ!

যাযাবর

১০৬. প্রেমের ক্ষেত্রে জয়ী হয়ে কেউ শিল্পী হতে পারে না, বড়জোর বিয়ে করতে পারে।

–ওয়াশিংটন অলস্টন

১০৭. গভীর ভালবাসা শুধু কাছে টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১০৮. মেয়েরা স্বভাবত সাবধানী: তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর বাঁধে। ছেলেরা স্বভাবতই বেপরোয়া, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর ভাঙে। প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌরে শাড়ির মতো নিতান্তই সাধারণ, তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিস্ময়, না আছে উচ্ছলতা। ছেলেদের পক্ষে প্রেম দুর্লভ বিলাস, গরিবের ঘরে বেনারসি শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় অনেক দাম দিয়েই পায়। তাই প্রেমে একমাত্র পুরুষেরাই করতে পারে দুরূহ ত্যাগ এবং দুঃসাধ্য সাধনা।

যাযাবর

১০৯. জ্ঞানী ব্যক্তি পাগলের মতো প্রেম করতে পারেন, কিন্তু বোকার মতো নয়।

এফ. না রোশে ফা কোলদ।

১১০. প্রেম অনেক সময় যুক্তিবাদী মানুষকে যুক্তিহীন করে দেয়, আর যুক্তিহীন মানুষকেও যুক্তিবাদী করে তোলে।

দিদারো

১১১. ভালোবাসার কোনো অর্থ নেই, কোনো পরিমাপ নেই।

–সেন্ট জিরোথি

১১২. ভালোবাসা যত শীঘ্র উত্তপ্ত হয়, তত শীঘ্র শীতল হয়।

–এলিজাবেথ মারবুরি

১১৩. ভালোবাসার ক্ষেত্রে সে-ই জ্ঞানী, যে ভালোবাসে বেশি কিন্তু প্রকাশ করে কম।

–জর্জ ডেভিডসন

১১৪. মেয়েমানুষের ভালোবাসা সবুর করতে পারে না, বিধাতা তার হাতে সে অবসর দেননি। পুরুষ অনেক ঠেকে ঘা খেয়ে তারপর ভালোবাসতে শেখে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৫. যাকে সত্যিকার ভালোবাসা যায় সে অতি অপমান, আঘাত করলে, হাজার ব্যথা দিলেও তাকে ভোলা যায় না।

কাজী নজরুল ইসলাম

১১৬. ব্যতিক্রমই বোধহয় মানুষকে আকর্ষণ করে বেশি।

সমরেশ বসু

১১৭. যাহাকে ভালোবাস তাহাকে চোখের অন্তরাল করিও না।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১১৮. ভালোবাসা যে পেল না, আর ভালোবাসা যে কাউকে দিতে পারল না, সংসারে তার মতো দুর্ভাগা আর নেই।

–কীটস

১১৯. অন্ধভাবে কাউকে ভালোবেসো না, তার ফল শুভ হবে না।

কার্লাইল

১২০. ভালোবাসতে শেখো, ভালোবাসা দিতে শেখো, তা হলে তোমার জীবনে ভালোবাসার অভাব হবে না।

–টমাস ফুলার

১২১. প্রেম হল জ্বলন্ত সিগারেটের মতো, যার শুরু আগুন দিয়ে আর পরিণতি ছাইয়ে।

–জর্জ বার্নার্ড শ

১২২. ভালোবাসা যখন পরিতৃপ্ত হয়, তখন তার মাধুর্য অনেক কমে আসে।

আব্রাহাম কাওলে

১২৩. ভালোবাসাকে যে অবমাননা করে সেও জীবনে আর ভালোবাসা পায় না, তখন তার জীবন বড় দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।

কাজী নজরুল ইসলাম

১২৪. ভালোবাসা তালাবদ্ধ হৃদয়ের দুয়ার মুহূর্তে খুলে দেয়।

–টমাস মিডলটন

১২৫. যে ভালোবাসা দুজনের দেহকে দুদিক থেকে আকর্ষণ করে মিলিয়ে দেয় সে ভালোবাসা নয়, সেটা অন্য কিছু বা মোহ আর কামনা।

কাজী নজরুল ইসলাম

১২৬. ভালোবাসা অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হয়, সেক্ষেত্রে ভাষার প্রয়োজন হয় না।

–পুসকিন

১২৭. ভালাবাসা সুখকে হত্যা করে আর সুখ ভালোবাসাকে হত্যা করে।

জর্জ গ্রানভিলার

১২৮. ভালোবাসা দিয়েই একমাত্র ভালোবাসার মূল্য পরিশোধ করা যায়।

–আলেকজান্ডার ব্রাকলে

১২৯. আমরা যাহাকে ভালোবাসি কেবল তাহারই মধ্যে অনন্তের পরিচয় পাই। এমনকি জীবনের মধ্যে অনন্তকে অনুভব করিবার অন্য নাম ভালোবাসা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩০. প্রেম ভীষণ এক মানসিক ব্যাধি।

–প্লেটো

১৩১. ভালোবাসার কোনো অর্থ নেই, কোনো পরিমাপ নেই।

–সেন্ট জিরোথি

১৩২. ভালোবাসা বদ্ধ হৃদয়ের দরজা খুলে দেয়।

–টমাস মিডলটন

১৩৩. যে-ভালোবাসা মানসিক আশা-আকাঙ্ক্ষাকে প্রতারিত করে না, সেই ভালবাসাই প্রকৃত ভালোবাসা।

–অনরৈ দ্য বালজাক

১৩৪. পৃথিবীতে ভয়কে যদি কেহ সম্পূর্ণ অতিক্রম করিতে পারে, বিপদকে তুচ্ছ করিতে পারে, ক্ষতিকে অগ্রাহ্য করিতে পারে, মৃত্যুকে উপেক্ষা করিতে পারে, তবে তাহা প্রেম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৫. সবার চেয়ে মধুর জেনো
প্রেমিক জনের দীর্ঘশ্বাস,
তার তুলনা তুচ্ছ অতি
ভক্ত হৃদয়ের মুক্তির আশ।

–ওমর খৈয়াম

১৩৬. কলঙ্কী বলিয়া ডাকে সব লোকে
তাহাতে নাহিক দুখ।
তোমার লাগিয়া কলঙ্কের হার
গলায় পরিতে সুখ।

চণ্ডীদাস

১৩৭. দুটি বস্তু মেয়েদের দ্বিতীয় জন্ম দেয়, সুন্দর পোশাক এবং প্রেমপত্র।

–বালজাক

১৩৮. এও কি বুঝতে হয়
প্রেম যদি নাহি হয়,
হাসিয়া সোহাগ করা।
শুধু অপমান?

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৯. সই কে বলে পিরীতি ভাল।
হাসিতে হাসিতে পিরীত করিয়া
কান্দিতে জনম গেল।

–দ্বিজ চণ্ডীদাস

১৪০ খ্যাতি এবং ভালোবাসা একে অন্যের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে।

–শেলি

১৪১. বৃথাই দেওয়া হিত উপদেশ
পৌঁছাবে না তা আমার কানে
সত্যিকারের প্রেমিক বধির
উপদেশের হয় না মানে।

–আবু শরফুদ্দিন

১৪২. দোহাই তোদের একটুকু চুপ কর
ভালোবাসিবারে দে আমারে অবসর।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৩. সে কেবল ছিল ভালবাসা
তুমি জানো আমি জানি
ছিল দুটি থরো থরো মন,
ভালোবাসি তবু কেউ বলিনি তখন
ভুলে গেছি পৃথিবীর ভাষা।

সঞ্জয় ভট্টাচার্য

১৪৪. তাই তো শরীর ছুঁতে ইচ্ছে হয়,
এসো শরীর তোমায় আদর করি।
এসো শরীর তোমায় ছাপার অক্ষরের মতো স্পষ্টভাবে চুম্বন করি।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

১৪৫. এমন পিরীতি কভু নাহি দেখি শুনি
দুহুঁ কোরে দুহুঁ কান্দে বিচ্ছেদ ভাবিয়া
তিল আধ না দেখিলে যায় যে মরিয়া।

দ্বিজ চণ্ডীদাস

১৪৬. যে ঘৃণা করতে জানে, সে ভালোবাসতেও জানে।

কনজার্ড

১৪৭. প্রেম হচ্ছে বন্ধুত্বের জীবন এবং চিঠি হচ্ছে প্রেমের জীবন।

–জেমস হাওয়েল

১৪৮. চুমু হল সেই জিনিসটা যা কানে কানে বলা যেত–না বলে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলা।

–এডমন্ড রোস্ট্যান্ড

১৪৮. অধরের কোণে যেন অধরের ভাষা,
দোঁহার হৃদয় যেন দোঁহে পান করে,
গৃহ ছেড়ে নিরুদ্দেশ দুটি ভালোবাসা
তীর্থযাত্রা করিয়াছে অধর সঙ্গমে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৯. চুমু খেলে কোনো কোনো মেয়ে লাল হয়ে ওঠে, কেউ কেউ পুলিশ ডাকে, কেউ কেউ গালাগালি করে, কেউ কামড়ে দেয়। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ তারাই যারা হোহো করে হেসে ওঠে।

–উইলিয়াম বাই

১৫০. মুখের চুমু সবসময় হৃদয় ছুঁতে পারে না।

জন বিলিং

১৫১. প্রাণ যদি মোর দেয় ফিরি সে
তুর্কি সওয়ার মনচোরা
পিয়ার মোহন চাঁদ কপোল
একটি কালো তিলের তরে
দিই বিলিয়ে সমরকন্দ ও রত্নখচা
এই বোখারা।

হাফিজ

১৫২. আমি আমার ভালবাসায় যে দুঃখ কুড়োই তার নাম তুমি।

দাউদ হায়দার

১৫৩. শক্তিসাধনা ছেড়ে দিয়েছি, শক্তিও আমাকে ছেড়ে দিয়েছেন, প্রেমের সাধনা করি। কিন্তু যেখানে শক্তি নেই সেখানে প্রেমও থাকে না, সংকীর্ণতা ক্ষুদ্রতা আসে; ক্ষুদ্র সংকীর্ণ মনে প্রেমের স্থান নেই।

–অরবিন্দ

১৫৪. রাত ফুরোলেই মাতাল চেতনা ফিরে পায়, কিন্তু প্রেমের নেশা প্রাণ থাকতে কাটে না।

–শেখ সাদি

১৫৫. কিছু-কিছু গোপনীয়তা রক্ষা না করলে কোনো বন্ধুত্বই অটুট থাকে না।

–ডব্লিউ এস ল্যান্ডার

১৫৬. মিলনে আছিল বাধা
শুধু এক ঠাঁই, বিরহে টুটিয়া বাধা।
আজি বিশ্বময় ব্যাপ্ত হয়ে গেছ প্রিয়ে,
তোমরে দেখিতে পাই
সর্বত্র চাহিয়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৭. নারী জাতি যুক্তি বোঝে না, ওরা সর্বক্ষেত্রে কেঁদে জিততে চায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৮. এ যে সখি হৃদয়ের প্রেম
সুখ-দুঃখ বেদনার আদি অন্ত নাহি কর
চির দৈন্য চির পূর্ণ হেম
নব নব ব্যাকুলতা জাগে দিবারাত
তাই আমি না পারি বুঝিতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৯. রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।
হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কান্দে
পরান পুতুলি মোর স্থির নাহি বান্ধে।

জ্ঞানদাস

১৬০. আমার তৃষ্ণা, তোমার সুধা,
তোমার তৃপ্তি, আমার ক্ষুধা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬১. সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু
অনলে পুড়িয়া গেল।
অমিয় সাগরে সিনান করিতে
সকলি গরল ভেল।

জ্ঞানদাস

১৬২. আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল
প্রেমের স্রোতে
অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা
কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহ মধুর নয়ন সলিলে
বিমল মধুর লাজে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৩. হৃদয়টা মশালের মতো নয়, যা দিয়ে তুমি সকল মানুষের মন আলোকিত করবে।

–ওসেমফোর্ড

১৬৪. প্রেমের আকাক্ষা আনন্দ, জীবনের আকাঙ্ক্ষা শান্তি আর আত্মার আকাঙ্ক্ষা স্বর্গ।

–উইলিয়াম শার্প

১৬৫. প্রেম প্রাণের মতোই, একবার গেলে আর আসে না।

সন্তোষকুমার ঘোষ

১৬৬. স্ত্রী অথবা মা হিসেবে অল্পবয়স্কা একজন তরুণী কোনোটাতেই ভালো নয়।

–জন অ্যাডামস

১৬৭. যে প্রেম সম্মুখ পানে
চলিতে চালাতে নাহি জানে,
যে প্রেম পথের মধ্যে পেতে ছিল
নিজ সিংহাসন।
তার বিলাপের সম্ভাষণ
পথের ধুলার মতো জড়ায়ে
ধরেছে তব পায়ে………..।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৮. সব মেয়ের কাছে সব পুরুষ ছেলেমানুষ, যাদের তারা ভালবাসে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৯. তোমার হৃদয়ের যতটা আমাকে দিতে পার, তার বেশি তো আমি চাইতে পারি না।

ফিওদর দস্তয়েভস্কি

১৭০. চাওয়াই হচ্ছে পাওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত।

বুদ্ধদেব বসু

১৭১. দুনিয়ায় লক্ষ-কোটি মানুষ, কিন্তু ভালোবাসার মানুষ একটি, দুটি।

মনোজ বসু

১৭২. সেইসব মেয়েরাই ভাগ্যবতী, যাদের একজন বাল্যপ্রেমিক থাকে, কিন্তু তার সঙ্গে বিয়ে হয় না, বিয়ে হয় একজন বেশ স্বাস্থ্যবান, সচ্ছল, নির্ভরযোগ্য মানুষের সঙ্গে, তারপর বাকি জীবন সেই বাল্যপ্রেমিকটির সঙ্গে কাছাকাছি বা দূরত্বের মধুর সম্মান থেকে যায়।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

১৭৩. সে চুম্বন, আলিঙ্গন, প্রেম-সম্ভাষণ,
অতৃপ্ত হৃদয় মূলে
ভীষণ ঝটিকা তুলে,
উন্মত্ততা, মাদকতা ভরা অনুক্ষণ,
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন।

কায়কোবাদ

১৭৪. আমাকে চুমো খেলে
দেহর স্বাদ পেলে,
নরম লাল ঠোঁটে
কি কথা কেঁপে ওঠে।

–ওমর আলী

১৭৫. মিলন হইতে দেবী বরঞ্চ বিরহ ভাল,
দেখিব বলিয়া আশা থাকে চিরকাল।

–গোবিন্দচন্দ্র দাস

১৭৬. গোপনে চুমো খাওয়াই সবচেয়ে মিষ্টি।

–লেইফ হান্ট

১৭৭. একজন মেয়ের পক্ষে অবশ্যই বিয়ে করা উচিত প্রেমের জন্য। এবং যতদিন সে সেই প্রেম না পায় ততদিন তার একের পর এক বিয়ে করে যাওয়া উচিত।

সা সা গ্যাবর

১৭৮. কোনো মেয়ের কাছে প্রেম করার অর্থ হচ্ছে পুরুষকে এটি আবিষ্কার করতে সাহায্য করা যে, সে তাকে (মেয়েটিকে) বিয়ে করতে যাচ্ছে।

চার্লিন মিল্টন

১৭৯. আমি মনে করি, প্রেমের জন্য রহস্যময়তা, গোপনীয়তা ও নৈঃশব্দের প্রয়োজন রয়েছে।

–ব্রিজিত বার্দোত

১৮০. শ্বেত মিথ্যারা লাল গোলাপের মতো : রোমাঞ্চের জন্য দুটোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

–সোফিয়া লোরেন

১৮১. প্রেম হল অন্ধ। প্রেমিকরা তাদের প্রিয়জনের দোষগুলো দেখতে পায় না, অথচ তারা নিজেরাই এমন দোষ করে থাকে।

১৮২. তোমার প্রেম যে বইতে পারি
এমন সাধ্য নাই।
এ সংসারে তোমার আমার
মাঝখানেতে তাই।
কৃপা করে রেখেছে নাথ
অনেক ব্যবধান
দুঃখ সুখের অনেক বেড়া
ধন জন মান।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮৩. ভালোবাসাটা হচ্ছে একধরনের প্রতিজ্ঞা।

–কৃষণ চন্দর

১৮৪. পুরুষেরা সর্বদাই চায় নারীর প্রেমাস্পদ হতে আর নারী হতে চায় পুরুষের শেষ প্রণয়িনী।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১৮৫নারী তাকে ভালোবাসার জন্য পুরুষকে ঘৃণা করে, যদি-না সে তার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে পারে।

–এলিজাবেথ স্টান্ডার্ড

১৮৬. নারীরা সুন্দরী, লাবণ্যময়ী বা বুদ্ধিমতী কিংবা উচ্চবংশীয়, এ-সমস্ত কারণে নয়–নারীরা নারী বলেই ভালোবাসা পেতে চায়।

হেনরি ফ্রেডারিক আমিয়েল

১৮৭. নারীর সাহচর্যে পুরুষেরা চিন্তাশীলতা ও সচেতনতায় নবসমাজের নির্মাণে সুদৃঢ় হতে পারে।

–লেনিন

১৮৮. ভগবানের এই এক আশ্চর্য আর নিষ্ঠুর বিধান যে আমাদের মন, বা আত্মা বা যাই হোক না, যে চায় আকাশ, অসীম অমৃত ইত্যাদি অনেক কিছু–সেই মন যখন ভালোবাসে তখন তার যন্ত্র হিসেবে, ভাষা হিসেবে, উপায় হিসেবে বেছে নেয় এই শরীরটাকেই, এই ছোট নোংরা বুড়ো হওয়া ঘেন্নায় ভরা শরীরটা।

–বুদ্ধদেব বসু

১৮৯. প্রেম চোখ দিয়ে দেখে না, হৃদয় দিয়ে অনুভব করে।

শেক্সপীয়ার

১৯০. চলে নীল শাড়ী নিঙাড়ি নিঙাড়ি
পরান সহিতে মোর।
সেই হৈতে মোর হিয়া নহে থির
মন্মথ-স্বরে ভোর।

চণ্ডীদাস

১৯১. কিছুসংখ্যক ডাক্তারের মতে প্রেম স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা ছাড়া কিছু নয়।

–অজ্ঞাত

১৯২. যে-নারীকে আমি ভালোবাসি তার সাহায্য-সমর্থন ছাড়া আমি যেমনটি চাই তেমনিভাবে নৃপতিরূপে আমার দায়িত্বের গুরুভার বহন এবং আমার কর্তব্যপালন আমার সাধ্যের অতীত বলে আমার মনে হয়েছে।

অষ্টম এডওয়ার্ড

১৯৩. প্রেম ব্যথা দারুণ
ঔষধে না যায় কখন
যায় বেড়ে দিনে দিনে
যতই বেশি লও যতন।

হাফিজ

১৯৪. শারীরিক ক্ষুধার তাড়নাই পুরুষকে নারীর প্রতি আকর্ষণ করে, এই আকর্ষণ নারী বিশেষের প্রতি নয়–নারী সাধারণের প্রতি। ক্ষুধার সময় মৃগমাংস ও মেষমাংস যেরূপ সমান, প্রিয় নারী সম্বন্ধেও তাহাই। কোনও প্রভেদ নাই। কেবল সুস্বাদু-খাদ্য দেখিয়া যেরূপ লোকে লুব্ধ হয়, সুন্দরী নারী দেখিয়াও সেইরূপে লালায়িত হয়। এই লালসাকে প্রেম বলিতে চাও বলিতে পার, কিন্তু তাহা ভ্রম। বস্তুতঃ প্রেম বলিয়া কিছু নাই, মানুষ বংশানুক্রমে আত্ম-প্রতারণা করিয়া এই প্রেমরূপ সংস্কারের উদ্ভব করিয়াছে।

শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়

১৯৫. প্রেম নিষ্কপট হোক। যা মন্দ তা নিতান্তই ঘৃণা করো, যা ভালো তাতে আসক্ত হও। ভ্রাতৃপ্রেমে স্নেহশীল হও, সমাদরে একজন অন্যজনকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করো।

–বাইবেল

১৯৬. প্রেমের মাঝে এক অনন্ত অসীমতা আছে। একমাত্র প্রকৃত প্রেমিকই সেই অনন্তের সন্ধান পায়।

ড্রাইডেন

১৯৭. যোগাযোগ না থাকলে তো আকর্ষণ থাকে না। লাটাইয়ে বাঁধা ঘুড়ি। ঘুড়ি মাটিতে পড়ে লাটাইও মাটিতে পড়ে–টানটা কোথায়? টান থাকলে ঘুড়ি বোঝে লাটাই আমার আপনজন, লাটাইও বোঝে ঘুড়িই আমায় টানছে, ওই আমার স্নেহের ধন।

–তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

১৯৮. পাপ করি ভাল লাগে যে পাপ,
নাই অনুবিলাপ,
প্রেম শুধু ফাঁকি প্রলাপ,
দৈহিক প্রয়োজন।

–অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

১৯৯. অলস লোকেদের কাছে প্রেম হচ্ছে একটি জরুরি কাজ, কিন্তু যোদ্ধার জীবনে প্রেম আনে ধ্বংস আর রাজন্যের সার্বভৌমত্বে সৃষ্টি করে প্রস্তরবৎ বাধা।

নেপোলিয়ান বোনাপার্ট

২০০. ভালোবাসা মানে এই যে, তুমি কখনো দুঃখিত হবে না।

–এরিখ সেগাল

২০১. বয়সের ক্ষেত্রে প্রবীণ্য আসুক, কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে যেন পরিপূর্ণতা না। আসে।

–অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

২০২. প্রেম আর হত্যা কখনো লুকিয়ে রাখা যায় না।

কনকর্ড

২০৩. মেয়ের মধ্যে ফরাসিরা চোখ দেখে, ইংরেজরা পা দেখে, আমেরিকানরা বুক দেখে, রাশিয়ানরা হাত দেখে, ইতালিয়ানরা গায়ের রঙ দেখে, নরোয়েজিয়ানরা দাঁত দেখে, আর আমরা আমরা মাল দেখি।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

২০৪. মেয়েমানুষ চিনেছেন বলে অহংকার করবেন না। কেননা আপনি জানেন না, আর একটি মেয়ে আপনাকে কী শিক্ষা দেবে।

–জিলেন বাগেস

২০৫. নারী হেসে ওঠার আগ পর্যন্ত পৃথিবী ছিল বিষণ্ণ, বাগান হয়েছিল জঙ্গল আর পুরুষ ছিল সন্ন্যাসী।

ক্যাম্পবেল

২০৬. মেয়েদের সান্নিধ্য সমাজজীবনের একটি প্রয়োজনীয় অপ্রীতিকর ব্যাপার, যতটুকু সম্ভব এদের এড়িয়ে চলো।

–লিও টলস্টয়

২০৭. সবাই কহয়ে পিরীত কাহিনী
কে বলে পিরীতি ভাল।
কানুর পিরীতি ভাবিতে ভাবিতে
পাঁজর ধ্বসিয়া গেল।

জ্ঞানদাস

২০৮. ছোট ছোট বিচ্ছেদ প্রেমকে গভীর করে আর দীর্ঘ বিচ্ছেদ প্রেমকে হত্যা করে।

–মিরবো

২০৯. নারীর প্রেম হল পেশা, নরের প্রেম হল নেশা। ভালোবাসার মধ্যে নারীর আছে দেহ-মন জীবনের খোরাক; পুরুষের আছে ক্ষণিকের স্মৃতি, ক্ষণিকের উন্মাদনা–ক্ষণিকের তুষ্টি ক্ষণিকের বিস্মৃতি।

–নৃপেন্দ্রকুমার বসু

২১০. পুরুষের প্রেম নারীকে কাঁদায়, আর নারীর প্রেম পুরুষকে করে উন্নত। যে পুরুষ নারীর প্রেরণা পায়নি, সে কোনোদিন উন্নতি করতে পারে না। –আলিম, ২১১. যে দিন তাজমহল তৈরি শেষ হল সেইদিন মমতাজের মৃত্যুর জন্য শাহজাহান খুশি হয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্নকে অমর করবার জন্য শাহজাহান খুশি হয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্নকে অমর করবার জন্য এ মৃত্যুর দরকার ছিল। এই মৃত্যুই মমতাজের সবচাইতে বড়, প্রেমের দান। তাজমহলে শাহজাহানের শোক প্রকাশ পায়নি, তাঁর আনন্দ, রূপ ধরেছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১২. শ্যাম বঁধু, আমার পরান তুমি
কোন শুভদিনে দেখা তোমা সনে
পাশরিতে পারি আমি।
যখন দেখিয়ে ও চাঁদ বদনে
ধৈরজ ধরিতে নারি।
অভাগীর প্রাণ করে আনচান দণ্ডে দশবার মরি।

–সৈয়দ মর্তুজা

২১৩. বধূ তোমার গরবে গরবিনী নাম
রূপসী তোমার রূপে
হেন মনে হয় ও দুটি চরণ
সদা নিয়ে রাখি বুকে।

জ্ঞানদাস

২১৪. প্রেমহীন হৃদয় কী পদবাচ্য? মরুভূমিকে কি নন্দনকানন বলা উচিত?

নজম নদভি

২১৫. এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা
কেমনে আইল বাটে
আঙিনায় বঁধুয়া ভিজিছে
দেখিয়া পরান ফাটে।
সই কি আর বলিব তোরে।

–চণ্ডীদাস

২১৬. যখন রাত আসে তখন ঘুম আসে, যখন ঘুম আসে তখন স্বপ্ন আসে, যখন স্বপ্ন আসে তখন তুমি আসো–যখন তুমি আসো তখন ঘুমও আসে না, স্বপ্নও আসে না।

নিমাই ভট্টাচার্য

২১৭. জেলাস মেয়েরা খুব ভালো বউ আর মা হয়।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

২১৮. অল্প বয়সে এক ধরনের মন থাকে, চনমনে চাঙ্গা থাকে অব্যবহৃত শরীর, হঠাৎ একজনের সবকিছুই ভালো লেগে যায়, অন্যসব মানুষ থেকে আলাদা করে নিই তাকে, মনে হয় তাকে পেলে আর কিছু চাই না–কিন্তু যখন তাকে পাওয়া গেলো, ধরা যাক তারই সঙ্গে বিয়ে হলো যখন, তখন সেই মোহাচ্ছন্ন ভাবটা এক গ্রীষ্মেই ঝরে পরে, এক বর্ষার জলেই ধুয়ে যায়।

–বুদ্ধদেব বসু

২১৯. ধোয়া, টাকা আর প্রেম কিছুতেই চেপে রাখা যায় না। ঠিক ফুটে বেরুবেই।

–শংকর

২২০. প্রেমে পড়া বিয়ে কখনোই দীর্ঘস্থায়ী শুভ পরিণাম আনতে পারে না, যদিনা পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সেটা গড়ে ওঠে; যেখানে প্রেম নেই সেখানে বিবাহ একটা আনুষ্ঠানিকতা। নিষ্প্রাণ আয়োজনের মধ্যেই শেষ হয়। এবং নিছক ভণ্ডামির মতোই ঈশ্বরের কাছে নিরানন্দময়, অপ্রীতিকর বস্তু।

–মিল্টন

২২১. পরিণয় দুটি হৃদয়কে মিলিয়ে দেয় কিন্তু এই মিলন আবিষ্কার করবার জন্যই চলে সারাজীবন জুড়ে তীব্র সংগ্রাম।

অজ্ঞাত

২২২. একমাত্র প্রেমই বিবাহকে পবিত্র করতে পারে। আর একমাত্র অকৃত্রিম বিবাহ হচ্ছে সেটা যেটা প্রেমের দ্বারা পবিত্র।

লিও টলস্টয়

২২৩. এ জীবনের আঁধার পথে
পাও যদি কেউ এমন প্রাণ,
যে তোমাকেই ভালোবেসে
আপন হৃদয় করবে দান,
প্রাণ খুলে তায় ভালোবাসা
জড়িয়ে ধরো বক্ষে তাকে,
ত্যাগ করে সব তার খাতিরে
তুচ্ছ করো জগতটাকে।

–ওমর খৈয়াম

২২৪. ভালোবাসা এমনি একটা প্ল্যাটফরম যেখানে সবশ্রেণীর লোকই দাঁড়াতে পারে।

–টমাস মিডল্টন

২২৫. যায় যদি লুপ্ত হয়ে যাক,
শুধু থাক এক বিন্দু নয়নের জল,
কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল
এ তাজমহল।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২৬. ভালো লাগা ভালোবাসা নয়।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

২২৭. ভালোবাসায় আশা এবং আনন্দ চেহারায় এক অনুপম দীপ্তি আনে।

–মেনেন্ডার

২২৮. ভালোবাসা নিজেই তার ক্ষেত্রবিচারের পথ করে নেয়।

–টমাস মিডল্টন

২২৯. ভালোবাসার চোখকে ফাঁকি দেয়া যায় না।

জন ক্রাউন

২৩০. আমার অভাব যদি তুমি বুঝতে না পার তবে তোমার সঙ্গে আমার বন্ধন কখনো দৃঢ় হবে না।

–কালস্যান্ডবার্গ

২৩১. মেয়েদের চরিত্রের মাধুর্য পাওয়া যায় কুমারী অবস্থায়।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

২৩২. যে পুরুষ অসংশয়ে অকুণ্ঠিতভাবে নিজেকে প্রচার করিতে পারে–সেই সমর্থ পুরুষ সহজেই নারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৩৩. একজন পুরুষ সর্বদা অর্থ উপার্জনের ধান্ধায় থাকে, আর একজন মহিলা তার দেহগঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

–বাটলার

২৩৪. শুধু পরনারীর সঙ্গ নিয়ে সারা জীবন কাটানো যায় না।

যাযাবর

২৩৫. পুরুষ শেষ অবধি চায় না মেয়ের মধ্যে পুরুষের অনুকরণ, যেমন মেয়ে চায় না মেয়েলি পুরুষ।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

২৩৬. যে-পুরুষ কখনো দুঃখকষ্ট ভোগ করেনি এবং পোড়-খাওয়া মানুষ নয়, মেয়েদের কাছে সে তেমন বাঞ্ছনীয় হয় না। কারণ দুঃখকষ্ট পুরুষকে দরদি ও সহনশীল করে তোলে।

–ডেনিস রবিনস

২৩৭. একজন দরিদ্র লোকও ভালোবাসতে এবং ভালো থাকার জন্যে প্রার্থনা করতে পারে।

কোলরিজ

২৩৮. আত্মপ্রেম অন্যায় নয়। সূর্যের আলোর মতো শাশ্বত, উজ্জ্বল এবং সত্য। নিজেকে কে না ভালোবাসে?

–জর্জ ব্রো

২৩৯. ভালোবাসা রঙিন প্রজপতির মতো উড়ে উড়ে ছন্দ তুলে যায়। কিন্তু চলে যাওয়া মাত্রই সেখানে এক বিবর্ণ বিষণ্ণতা নেমে আসে।

জন ম্যান্সফিল্ড

২৪০. ভালোবাসাহীন জীবন বোঝাস্বরূপ। একে বয়ে নিয়ে যাওয়া দুর্বিষহ।

–জর্জ গ্যাবি

২৪১. আমি খ্যাতির পেছনে দ্রুত ছুটতে গিয়ে ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেছি।

–এডমন্ড গুজ

২৪২. ভালোবাসাহীন কর্তব্যপালনে আনন্দ নেই।

–জন ফ্লোরিও

২৪৩. কোনো জেল জুলুমই কোনোদিন আমাকে টলাতে পারেনি, কিন্তু মানুষের ভারোবাসাই আমাকে বিব্রত করে তুলেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

২৪৪. একমাত্র ভালোবাসাই সারাতে পারে সমস্ত রোগ। ভালোবাসার আকাশেই জ্বলে হৃদয়ের শুকতারা। প্রেম জীবনে ধ্রুবতারা।

–গ্যেটে

২৪৫. আশীর্বাদ কীরকম উজ্জ্বল হয়ে ওঠে হারিয়ে যাবার কালে।

–এডওয়ার্ড ইয়ং

২৪৬. ভালোবাসা হারানোই সবচেয়ে খারাপ, যারা বলে মৃত্যু আরও খারাপ তারা মিছে বলে।

–কাউন্টি কালেন

২৪৭. সোনায় যেমন একটু পানি মিশিয়ে না নিলে গহনা মজবুত হয় না, সেইরকম ভালোবাসার সঙ্গে একটু শ্রদ্ধা, ভক্তি না মিশালে সে ভালোবাসাও দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

–নিমাই ভট্টাচার্য

২৪৮. লুকোচুরিই তো প্রেমের রোমান্স। প্রেম যেদিন স্বীকৃতি পেয়ে যায় সেদিন থেকেই প্রেমের মজাও নষ্ট হয়ে যায়।

–আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

২৪৯. স্বার্থসিদ্ধির চরমতম অভিব্যক্তি প্রেম।

ব্রুক জ্যাকসন

২৫০. ভালোবাসা দীন ভিখারিকেও রাজা করে।

নিমাই ভট্টাচার্য

২৫১. প্রেম একটি লাল গোলাপ।

রশীদ করিম

২৫২. চিঠি লেখার প্রতিভা সবচেয়ে বিকশিত হয় প্রেমে পড়লে। প্রেমপত্র তাই সবদেশে এত আদরের।

–শংকর

২৫৩. যৌবনে যার জীবনে প্রেম হল না তার জীবন বৃথা।

–শংকর

২৫৪. একটি মহৎ হৃদয় যার আছে, তিনি অতুলনীয় ঐশ্বর্যের অধিকারী।

নিকোলাস রাড

২৫৫. একটি মহৎ হৃদয়ই হচ্ছে আমার প্রিয় উপাসনালয়।

–পি. জি. বেইলি

২৫৬. পবিত্র প্রেমের সৌগন্ধ অনন্ত অসীমতার পানে ধায়।

বিষ্ণু দে

 ১২. নারী ও পুরুষ

১. নারী হচ্ছে একটা আনন্দদায়ক বাদ্যযন্ত্র, প্রেম যার ছড় আর নর শিল্পী।

স্টেনডাল

২. একজন নারী হয় ভালোবাসে অথবা ঘৃণা করে, এ ছাড়া জানে না তৃতীয় কোনো পন্থা।

পিউবিলিয়াসসিরাস

৩. প্রাণকে নারী পূর্ণতা দেয়, এইজন্যই নারী মৃত্যুকেও মহীয়ান করতে পারে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪. মেয়েমানুষের কান্নার পেছনে সবসময় কারণ বা যুক্তি থাকে না।

–হোমার

৫. কর্মরতা নারীকে ঈশ্বর রক্ষা করেন।

এডগার স্মিথ

৬. ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের কাছে পুরুষ কখনোই পারে না।

বালজাক

৭. নারীকে প্রকৃতি সর্বপ্রথম সৌন্দর্য দিয়ে মণ্ডিত করে এবং সবচেয়ে আগে তা তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

–মেরে

৮. মেয়েদের ছায়ার সাথে তুলনা করা যায়–তাকে যদি অনুসরণ করা যায় সে তোমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াবে, আর যদি তার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াও সে তোমাকে অনুসরণ করবে।

–চেম্পফোর্ড

৯. মেয়েদের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০. মেয়েরা সব ব্যাপারে খুব ভালো অভিনয় করতে পারে।

বালজাক

১১. সুন্দরী মেয়ে বহু পাওয়া যায় কিন্তু সঠিক মেয়ে পাওয়া কষ্টকর।

–ভিক্টর হুগো

১২. যে-মহিলা তার বয়স প্রকাশ করে তার আর কিছুই অপ্রকাশিত থাকে না।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১৩. যে-নারীকে ভালোবাসি তার জন্য জীবন দেয়া যত সহজ, তার সঙ্গে ঘর করা তত সহজ নয়।

বায়রন

১৪. মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত মেয়েদের দৌড় বাপের বাড়ি পর্যন্ত।

প্রবাদ

১৫. অর্থের অস্তিত্বটা নারীর কাছে যথেষ্ট নয়, তাই প্রমাণটা যথোচিত পরিমাণে পরিস্ফুট না হলে তার তৃপ্তি নেই। তাই জড়োয়া গহনা সিন্দুকে থাকলেই মেয়েরা খুশি নয়, নিজের সর্বাঙ্গে ঐশ্বর্যের বিজ্ঞপ্তি বহন করে, আপন ধনসম্ভারের প্রচারকার্যে তাদের দুর্জয় আসক্তি।

যাযাবর

১৬. দুষ্টু মেয়েমানুষের মতো আর অশুভ কিছু নেই এবং সৎ মেয়েমানুষের মতো ঈশ্বর আর কিছু সৃষ্টি করতে পারেননি।

ইউরিপিডিস

১৭. পুরুষমানুষ বেদনা সহ্য করে অবাঞ্ছিত শাস্তি হিসেবে, আর স্ত্রীলোক বেদনাকে গ্রহণ করে স্বাভাবিক উত্তরাধিকার হিসেবে।

অজ্ঞাত

১৮. পুরুষের বুদ্ধি খড়গের মতো; শান বেশি না দিলেও কেরল ভারে অনেক কাজ করতে পারে। মেয়েদের বুদ্ধি কলম-কাটা ছুরির মতো; যতই ধার দাওনা কেন, তাতে বৃহৎ কাজ চলে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯. সৎ পুরুষ ঈশ্বরের সৃষ্টি।

–পোল

২০. পুরুষ পরিবেশের দাস নয়, পরিবেশই পুরুষের দাস।

ডিজরেইলি

২১. রমণী অনর্থক হাসে …… তাহা দেখিয়া অনেক পুরুষ অনর্থক কাঁদে, অনেক পুরুষ ছন্দ মিলাইতে বসে, অনেক পুরুষ গলায় দড়ি দিয়া মরে। –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২. মেয়েরা যা অনুমান করে, তা পুরুষদের নিশ্চয়তার চেয়ে অনেক বেশি ঠিক।

–কিপলিং

২৩. পুরুষেরা সবসময় চায় নারীর প্রথম প্রেমাস্পদ হতে। এটা হচ্ছে তাদের একটা দুর্বোধ্য অহংকার। আমাদের (নারীদের) এ বিষয়ে আরও সূক্ষ্মসহজাত ধারণা রয়েছে। আমরা (নারীরা) হতে চাই পুরুষের শেষ প্রণয়িনী।

–অস্কার ওয়াইল্ড

২৪. দেশের কল্যাণ স্ত্রীজাতির অভ্যুদয় না হলে সম্ভাবনা নেই, একপক্ষ পক্ষীর উত্থান সম্ভব নয়।

স্বামী বিবেকানন্দ

২৫. নারীর শরীরই তার নিয়তি, দৈহিক ও মানসিক উভয় প্রয়োজনেই পুরুষের উপর অবলম্বন করা ব্যতীত উপায় নেই।

–ফ্রয়েড

২৬. দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হেঁয়ালি হচ্ছে মেয়েদের মন।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৭. একজন ভালো স্বামী তার স্ত্রীকে ভালোভাবে গড়ে নিতে পারে।

রবার্ট বার্টন

২৮. মেয়েরা লেখাপড়া শিখে যত উঁচুতে উঠুক, প্রেমের চেয়ে অলংকার উপহার বা টাকাপয়সাই তারা চেনে বেশি।

–আবু জাফর

২৯. পুরুষমানুষের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার অধিকার মেয়েদের নেই। তাদের উপযুক্ত স্থান হচ্ছে ঘরের মধ্যে রান্নাঘরে।

বায়রন

৩০. নারীর গতি মিলনের পথে, পুরুষের গতি বিরহলোকে। নারী চলেছে পরমপুরুষের পায়ে আত্মদান করতে, পুরুষ চলেছে জ্যোতির্ময়ীকে আবিষ্কার করতে। মিলনের আনন্দে নারী অতিক্রম করে নিজেকে, আবিষ্কারের আনন্দে পুরুষ অতিক্রম করে জীবনকে। নারী সৃজন করেছে প্রেমে সুকোমল মতলোক, পুরুষ সৃষ্টি করেছে বিরহের সুদূর স্বর্গলোক। নারীর তপস্যা আনন্দময় বন্ধন, পুরুষের দুঃখময় মুক্তি।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৩১. পুরুষের প্রেম নারীকে কাঁদায়, নারীর প্রেম পুরুষকে উন্নত করে। যে পুরুষ জীবনে উন্নতি করিতে পারে নাই, তাহার জীবনে নারীর প্রেমের প্রেরণার অভাব। নারী তাহার আসক্তিকে তৃপ্ত করিয়াছে, হৃদয়কে পরিতৃপ্ত করে নাই। নারী পুরুষের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শক্তি সঞ্চার করে তাই নারীর নাম শক্তি। সকল ঐশ্বর্য আহরণের মূলে নারীর প্রেরণা, নারীর উৎসাহ লইয়া যাহারা যুদ্ধে যাত্রা করে, তাহারা হয় যুদ্ধে প্রাণ দেয়, নয়তো যুদ্ধে জয় করিয়া আসে। যে জাতির নারীশক্তি জাগ্রত হয় নাই, সে জাতির পুরুষগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা সুদূরপরাহত। নারীর কার্যকলাপ জাতীয় স্বাস্থ্য ও শক্তির পরিচায়ক।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৩২. অলঙ্কার মাত্রই অত্যুক্তি। সে তো বিধাতার তৈরি নয়। মানুষের বানানো। পশুর চেয়ে মানুষের এইখানে শ্রেষ্ঠত্ব, আবার পুরুষের চেয়ে মেয়েদের শ্রেষ্ঠতাও এইখানে– মেয়েদেরই বিস্তর অলংকার সাজে এবং বিস্তর মিথ্যাও মানায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৩. পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই তো নারীর সাজগোজ, সৌন্দর্যচর্চা।

দিব্যেন্দু পালিত

৩৪. নারী পুরুষের জননী, ভগিনী ও অর্ধাঙ্গিনী। সে বিপদে বন্ধু, সম্পদে সুখ, গৃহে শান্তিরক্ষাকত্রী।

–আল-হাদিস

৩৫. যদি ইন্দ্রিয় দমন করিতে না পারে, তবে বিবাহ করুক–কেননা আগুনে জ্বলা অপেক্ষা বরং বিবাহ করা ভালো।

বাইবেল

৩৬. মেয়েরা ভালো করেই জানে যে তারা যতবেশি আজ্ঞাপালন করবে ততবেশি আজ্ঞাদানের ক্ষমতা তারা লাভ করবে।

–মিচিলেট

৩৭. আল্লাহ তোমাদের চেহারা দিয়েছে একরকম, তোমরা তাকে বানিয়েছ আরেক রকম।

–শেক্সপীয়ার

৩৮. নারীকে নিয়ন্ত্রণে রেখে পুরুষ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার চায়–এর চেয়ে স্ববিরোধিতা হয় না।

বেগম সুফিয়া কামাল

৩৯. মহিলাদের কৌতূহল সাধারণত কিছু-কিছু জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকে।

–জন পোল

৪০. একমাত্র নারী ছাড়া জগতে সকলেরই আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আছে। নারীর স্বাধীনতা পুরুষ কখনোই অনুমোদন করতে চায় না।

সমীরণ মজুমদার

৪১. নারী যখন আপন প্রতিষ্ঠা থেকে ভ্রষ্ট হয়, তখন সংসারে সে ভয়ংকর বিপদ হয়ে দেখা দেয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪২. বেশির ভাগ পুরুষই এমন কুমারীকে কামনা করে, যারা বেশ্যার মতো।

–এডোয়ার্ড ড্যালবার্গ

৪৩. ঈশ্বর আদমকে সৃষ্টি করেছিলেন বিরক্তিকর একঘেয়েমিতে অতিষ্ঠ হয়ে। আদম যখন দেখল একা থাকা বিরক্তিকর, তখন সে চাইল হাওয়াকে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বিরক্ত হল, তখন খেলো তারা নিষিদ্ধ ফল। সেই থেকে বিরক্তি নিরন্তর তাড়া করে বেড়াচ্ছে আমাদের।

–কিয়ের্কেগার্ড

৪৪. পুরুষ হইল শৌর্য, নারী হইল সৌন্দর্য। পুরুষের বৈশিষ্ট হইল বিচার ও শক্তি এবং ইহার দ্বারাই সে সবকিছুর পরিচালনা করে। নারীর বৈশিষ্ট হইল ঘরের সামঞ্জস্যবিধান এবং পুরুষের বিচারবুদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করা।

বেদ

৪৫. সুন্দর মেয়ে বহু পাওয়া যায় কিন্তু সঠিক মেয়ে পাওয়া কষ্টকর।

ভিক্টর হুগো

৪৬. সাধারণত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল, লঙ্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৭. মানবদেহে যেমন দুই চোখ, দুই হাত, দুই পা, সমাজদেহে তেমনি নর ও নারী। যে-দেহে এক চোখ কানা, এক হাত নুলা, এক পা খোঁড়া সে দেহ বিকলাঙ্গ। নারীজাতির সুষ্ঠু উন্নতি ব্যতীত সমাজকে সমুন্নত বলা যায় না।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৪৮. এক লোককে বলতে শুনেছি দস্যুরা অর্থ অথবা জীবন যে-কোনো একটা দাবি করে মেয়েদের প্রয়োজন দুটোই।

বাটলার

৪৯. মেয়েরা আমাদের সেই মহৎ স্বপ্নে অনুপ্রাণিত করে যা বাস্তবায়নে তারা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

দুমা

৫০. নারীর আশ্চর্য মেধা থাকলেও প্রতিভা থাকে না। প্রতিভা অর্থাৎ সৃষ্টি করার ক্ষমতা। কারণ সবসময়ই তারা অন্তর্মুখী থেকে যায়।

–শোপেনহাওয়ার

৫১. এ দেশের পুরুষ রমণীকে হাত-পা বাঁধিয়া ঠেঙায়, সে বেচারি নড়িতে চড়িতে পারে না। তাই পুরুষ বাহিরে আস্ফালন করিয়া বলিতে পারে, এ দেশের নারীর মত সহিষ্ণু জীব জগতে আর কোথাও আছে?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫২. আশ্চর্য, নারগর্ভজাত পুরুষ চিরদিনই চরম অসম্মান করে এল এই নারীকে; তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল স্ত্রীলোককে মায়ের জাতি বলে খোঁটা দেওয়া।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৫৩. বিজ্ঞ ও জ্ঞানী লোকদের তাদের অনুপস্থিতিতে প্রশংসা করো–কিন্তু মেয়েদের প্রশংসা করতে হলে তাদের মুখের ওপর তা করতে হবে।

–বালজাক

৫৪. মেয়েরা অল্প কারণে ক