–আল-হাদিস
৮২. বিদ্যার মতো চক্ষু আর নেই, সত্যের চেয়ে বড় তপস্যা আর নেই।
–আল-হাদিস
৮৩. মূখের জ্ঞান শোনার চেয়ে জ্ঞানীর ভৎর্সনাও অনেক ভালো।
বাইবেল
৮৪. অজ্ঞতা যে কষ্ট আনে, অজ্ঞ লোকেরা অজ্ঞতার কারণে তা বুঝতে পারে না।
অজ্ঞাত
৮৫. আমরা যতই অধ্যয়ন করি, ততই আমরা আমাদের অজ্ঞতাকে আবিষ্কার করি।
শেলি
৮৬. একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করতে পারে না।
শেখ সাদি
৮৭. পৃথিবীতে মানুষ কী করিয়াছে ও কী করিতে পারে, তাহা না জানা মানুষের শোচনীয় অজ্ঞতা।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৮. অজ্ঞতার দ্বারা কোনো প্রশ্নের মীমাংসা হয় না।
ডিজরেইলি
৮৯. অভিধান-ব্যাকরণ অর্থের লোহার সিন্দুক–তাহারা অর্থ দিতে পারে না, বহন করিতে পারে মাত্র। চাবি লাগাইয়া সেই অর্থ লইতে হয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯০. এ জগতে তুমি মানুষকে যা কিছু দাও না, জ্ঞান দান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ দান আর নেই। পতিতকে পথ দেখানো, জ্ঞানান্ধকে জ্ঞান দান করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
–ডা. লুৎফর রহমান
৯১. ধারণা আগে, তারপর আবিস্কার তথা বৈজ্ঞানিক সত্য।
অ্যারিস্টটল
৯২. আমাদের মধ্যে যাহা কিছু অমর এবং আমাদিগকে যাহা কিছু অমর করিবে সেই সকল মহাশক্তিকে ধারণ করিবার, পোষণ করিবার, প্রকাশ করিবার এবং সর্বত্র প্রচার করিবার একমাত্র উপায় মাতৃভাষা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯৩. শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯৪. মায়ের মুখের ভাষাকে আমি যেমন শ্রদ্ধা করি, তেমনি তার অশ্লীল প্রয়োগকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করি।
টমাস ডিব ডিন
৯৫. মাতৃভাষা হচ্ছে মন্দিরের মতো পবিত্র, যার পবিত্রতা রক্ষার জন্য জীবন পণ করতে দ্বিধা করা উচিত নয়।
আরসি. ট্রেন্স
৯৬. মাতৃভাষার দাবি স্বভাবের দাবি, ন্যায়ের দাবি, সত্যের দাবি–এ দাবির লড়াইয়ে, কোনো আপোস চলে না। মৃত্যুর কুটি উপেক্ষা করেই তার সম্মুখীন হতে হয়।
আবুল ফজল
৯৭. তুমি যত বড় পণ্ডিত ব্যক্তি হও না কেন, নিজের জীবনে তার প্রতিফলন ব্যতীত তুমি মূর্খ।
–শেখ সাদি
৯৮. যারা লেখপড়া জানে না, তারাই শুধু মূর্খ নয়, যারা জানতে বুঝতে চায় না, যারা প্রশ্ন করতে পারে না, যাদের জ্ঞানতৃষ্ণা নেই–তারাও মূর্খ।
মহাশ্বেতা দেবী
৯৯. মূখের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না, সে তোমার উপকারের চেষ্টা করে তোমার ক্ষতি করবে।
–হযরত আলি (রা.)
১০০. যারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী, তারা শিক্ষিত হলেও মূর্খ।
–এডি ফিশার
১০১. মানুষের সত্যজ্ঞান এক-একটি মতবাদকে আশ্রয় করে নিজেকে প্রকাশ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু সেই মতবাদটি সত্যের শরীর, সুতরাং এক হিসাবে সত্যের চেয়ে অনেক ছোট এবং অসম্পূর্ণ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০২. কোনো মতবাদই দাবি করতে পারে না যে একমাত্র তাদের বিচারবুদ্ধি অভ্রান্ত। আমরা সকলেই ভুল করতে পারি এবং প্রায়ই আমাদের পূর্বের অভিমত পালটাতে হয়।
–মাহাত্মা গান্ধী
১০৩. মতবাদীকে হত্যা করা যায়, মতবাদকে নয়।
–ড. আহমদ শরীফ
১০৪. মনের সত্যিকার ঔষধ হচ্ছে দর্শন।
সিসেরো
১০৫. কোনো ধারণাই এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অন্তরিত হবার সময় পরিবর্তিত হয়ে পারে না।
মিগুয়েল দে উনামুনো
১০৬. সকল মহৎ ধারণাই বিপজ্জনক।
–অস্কার ওয়াইল্ড
১০৭. চিন্তাকারী মারা যায়, কিন্তু তার চিন্তাসমূহ অবিনশ্বর। মানুষ মরণশীল, কিন্তু ধারণাসমূহ অমর।
–ওয়াল্টার লিপম্যান
১০৮. একজন লোক মারা যেতে পারে, জাতিসমূহের উত্থান ও পতন ঘটতে পারে, কিন্তু একটি ধারণা বেঁচে থাকে।
–জন এফ কেনেডি
১০৯. খারাপ ধারণার বিরুদ্ধে একমাত্র নিশ্চিত অস্ত্র হচ্ছে উন্নততর ধারণা।
হুইটনি গ্রিসওল্ড
১১০. ধারণা নিয়ত পরিবর্তনশীল। তবু বৈজ্ঞানিক সত্য সন্ধানে ধারণার গুরুত্ব অপরিসীম।
বার্ট্রান্ড রাসেল
১১১. দেখবার জন্য আমাদের চোখের যেমন আলোর প্রয়োজন, ঠিক তেমনি কোনো প্রত্যয় অর্জন করবার জন্য আমাদের ভাবনায় প্রয়োজন ধারণা।
–নিকোলাস খাব্রাশ
১১২. ধারণা কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয়, তবু কেউ কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক বৈজ্ঞানিক ধারণাকে বৈজ্ঞানিক সত্য বলে চালিয়ে দিতে চায়, যা নাকি পরবর্তীকালে অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে, হতে পারে বা হয়।
–জন লক
১১৩. যদি তা সঠিক হয় তবে মাত্র একটি ধারণা আমাদের বহুসংখ্যক অভিজ্ঞতা অর্জনের শ্রম থেকে বাঁচিয়ে দেয়।
–জ্যাক মারিতা
১১৪. সার্বিক ও বিমূর্ত ধারণাগুলো মানবজাতির সবচেয়ে ভুলের উৎস।
–রুশো
১১৫. মহৎ ধারণাগুলো দাঁতব্য নয়।
–আরি দ্য থারলা
১১৬. অজানাকে জানতে চাওয়া, অদেখাকে দেখতে পাওয়া, অশ্রুতকে শুনতে পারা, অভাবিতকে ভাবতে পারা, অস্বাভাবিককে স্বাভাবিক করে তোলা, গোঁড়ামি, অন্ধতা ও কুসংস্কার থেকে মানুষকে মুক্তির পথ বাতলানো–একমাত্র দার্শনিকের পক্ষেই সম্ভব।
আবুল ফজল
১১৭, দুর্যোগের পূর্বাভাস দানের ক্ষমতা–এ বিজ্ঞান ও মানুষেরই জয়যাত্রার প্রমাণ।
–কাম্বারল্যান্ড
১১৮. সত্যিকার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সেই ব্যক্তি যার কোনো সুচিন্তা নেই।
–ওসমান হারুনি
১১৯. কোনো বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ না করে তা অনুসরণ করা উচিত নয়।
কার্লাইল
১২০. প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা অদৃশ্যকেও দেখতে পান।
–এলিনস্কি
১২১. অন্ধ লোকের ছুটির দিনও অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।