বার্নার্ড শ
৪৫. কোনোকিছু শোনামাত্রই যে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে–সে সবচেয়ে নির্বোধ। জ্ঞানীরা শোনামাত্রই বিশ্বাস করে না, খতিয়ে দেখে।
বুল বার্টন
৪৬. আমি এমন একটা রাজ্যের স্বপ্ন দেখি, যে-রাজ্যে বোকা নেই।
টমাস ফুলার
৪৭. অজ্ঞ থাকার চেয়ে না জন্মানোই ভালো, কারণ অজ্ঞতা সব দুর্ভোগের মূল স্বরূপ।
প্লেটো
৪৮. জ্ঞানী লোকেরা নিজেরা যেমন কম ভোগে, তেমনি তাদের সুপরামর্শ অন্যকেও কম ভুগতে সাহায্য করে।
হিউম
৪৯. বোকা বা নির্বোধের কাছ থেকে জ্ঞানী লোকেরা বেশি জ্ঞান লাভ করে এবং জ্ঞানী লোকদের দেখে বোকারা কম জ্ঞান লাভ করে।
বাটো
৫০. বোকারা দুর্ভাগ্যোর মাধ্যমেই জ্ঞান লাভ করে।
ডেমোক্রিটাস
৫১. ইচ্ছে করলে জ্ঞানী হওয়া যায় না, খুব বেশি হলে ধূর্ত হওয়া যায়।
স্যামুয়েল জনসন
৫২. যতদিন স্ত্রীশিক্ষা সমাজে প্রচলিত করা না হইতেছে, ততদিন মুসলমানদের মধ্যে কুসংস্কারের আবর্জনা দূর হইবে না, এবং তাহা না হইলে সমাজে উন্নতি একেবারেই অসম্ভব।
কাজী ইমদাদুল হক
৫৩. অজ্ঞ মানুষেরা নিয়ম মেনে চলে আর জ্ঞানবানরা নিয়ম তৈরি করে।
ক্লাইডিয়ান
৫৪. মূর্খতার চেয়ে বড় পাপ নেই।
সহল ইবনে আব্দুল্লাহ
৫৫. নতুন কিছু জানার যেমন যন্ত্রণা আছে, তেমনি আনন্দও আছে।
ক্রিস্টোফার মর্লি
৫৬. অবশ্য নবীগণ উত্তরাধিকার হিসাবে কোনো স্বর্ণ বা রৌপ্য রেখে যাননি, রেখে গেছেন শুধু জ্ঞান। সুতরাং যে জ্ঞানলাভ করে, সে-ই ভাগ্যবান।
–আল-হাদিস
৫৭. যখন থেকে কল হল বাণিজ্যের বাহন তখন থেকে বাণিজ্য হল শ্রীহীন। প্রাচীন ভেনিসের সঙ্গে আধুনিক ম্যাঞ্চেস্টারের তুলনা করলেই তফাতটা স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাবে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫৮. নির্ভুল কল ও ভ্রান্ত মানুষের মধ্যে যদি পছন্দ করিয়া লইতে হয় তবে মানুষকেই বাছিতে হয়। ভ্রম হইতে অনেক সময় সত্যের জন্ম হয়, কিন্তু কল হইতে কিছুতেই মানুষ বাহির হয় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫৯. কলমকে হৃদয়ের জিহ্বা বলা যায়।
কার্ভেন্টিস
৬০. অজানাকে জানার জন্য মানুষের কৌতূহল এবং এই কৌতূহল থেকেই বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু।
ইমারসন
৬১. হাতে কলম, পেটে বিদ্যা থাকলেই লেখা যায় না, প্রতিভা ও মগজ থাকা চাই।
গুন্টার গ্রাস
৬২. আমার মস্তিষ্ক আছে, হাতে আছে একখানা ভালো কলম, আমার ভাবনা কী?
ফ্রাঙ্কলিন
৬৩. কলম হল যন্ত্রপাতির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক; একটা তরবারির চেয়ে ধারালো, লাঠি বা লোহার শলাকার চেয়েও ভয়াবহ।
জন টেইলার
৬৪. অজ্ঞতা থেকেই সর্বপ্রকার কুসংস্কার জন্মে থাকে।
সক্রেটিস
৬৫. কুসংস্কারজনিত কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন যার জীবন, তার জীবনে আলোর প্রবেশ ঘটানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
উইলিয়াম হ্যাজলিট
৬৬. কুসংস্কার মানুষের জীবনে অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে। জর্জ লিলি
৬৭. কোনো চিন্তাবিদ বলেছেন–কুসংস্কার দূর করার চেয়ে পরমাণু বিচূর্ণ করা অনেক সহজতর।
গর্ডন এলপোর্ট
৬৮. অজ্ঞতার বাচ্চাকেই কুসংস্কার বলা হয়ে থাকে।
হেজলিট
৬৯. শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ব্যতীত কুসংস্কারের অন্ধকার দূর হয় না।
আবুল ফজল
৭০. সুশিক্ষিত মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অশিক্ষিত মানুষ সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট। যে-ব্যক্তি শিক্ষিতের সমাদর করে, সে আমাকেই (আল্লাহ) সমাদর করে।
–আল-হাদিস
৭১. জ্ঞানবানেরা যুক্তি ও বিবেক দ্বারা চালিত হয়। অজ্ঞ আর নির্বোধেরা আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়।
আবুল ফজল
৭২. আদর্শ বিদ্যালয় যদি স্থাপন করিতে হয় তবে লোকালয় হইতে দূরে নির্জন মুক্ত আকাশ ও উদার প্রান্তরে গাছপালার মধ্যে তার ব্যবস্থা করা চাই। সেখানে –অধ্যাপকগণ নিভৃতে অধ্যয়ন করা ও অধ্যাপনায় নিযুক্ত থাকিবেন এবং ছাত্রগণ সেই জ্ঞানচর্চার যজ্ঞক্ষেত্রের মধ্যেই বাড়িয়া উঠিতে থাকিবে।
অজ্ঞাত
৭৩. যদি সম্ভব হয় তবে এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে খানিকটা ফসলের জমি থাকা আবশ্যক। এই বিদ্যালয় হইতে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় আহার্য সংগ্রহ হইবে, ছাত্ররা চাষের কাজে সহায়তা করিবে। দুধ, ঘি প্রভৃতির জন্য গোরু থাকিবে এবং গো-পালনে ছাত্রদিগকে যোগ দিতে হইবে। পাঠের বিশ্রামকালে তাহারা স্বহস্তে বাগান করিবে, গাছের গোড়া খুঁড়িবে, গাছে জল দিবে, বেড়া বাধিবে। এইরূপে তাহারা প্রকৃতির সঙ্গে কেবল ভাবের নহে কাজের সম্বন্ধও পাতাইতে থাকিবে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৪. পাঠের অভ্যাস হচ্ছে একমাত্র আনন্দ যার মধ্যে কোনো খাদ নেই। অন্যসব আনন্দ যখন মিলিয়ে যায়, এ-আনন্দ তখনও টিকে থাকে।
অ্যান্থনি ট্রালোপ
৭৫. জ্ঞান মুসলমানদের হারানো ধন, যেখানে যে তা পাবে, সে তার পাওনাদার।
–আল-হাদিস
৭৬. মহৎ ব্যক্তিদের আত্মজীবনীগুলো প্রত্যেকের পাঠ করা উচিত।
ডোরান
৭৭. আমার ব্যাপারে যদি জিজ্ঞাসা কর তা হলে আমি জানি যে, আমি কিছুই জানি
সক্রেটিস
৭৮. মূর্থের উপাসনা অপেক্ষা জ্ঞানীর ন্দ্রিা শ্রেয়।
–আল-হাদিস
৭৯. দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ করো।
–আল-হাদিস
৮০. জ্ঞানসাধকের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চাইতেও পবিত্র।
–আল-হাদিস
৮১. কুসংসর্গে বাস করা অপেক্ষা একা বসিয়া থাকা শ্রেয় এবং একাকী বসিয়া থাকা অপেক্ষা সৎসঙ্গে থাকা ভালো। অসৎ বাক্যলাপ হইতে মৌনতাব্ৰত শ্রেয়তর এবং মৌব্রতের চাইতে বিদ্যানেষীর সহিত বাক্যালাপ শ্রেয়।