১১. মানুষ যখন স্বার্থে অন্ধ হয়ে যায় তখনই ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় এবং বিবেকের চেয়ে বুদ্ধির, সত্যের চেয়ে মিথ্যার মূল্য দেয় বেশি।
১২. দু-ধরনের মানুষকে নিয়ে মানুষের মধ্যে দলগত বিভেদ ও বিতর্ক চলতে পারে। এক, সুচতুর স্বার্থপর দ্বৈত চরিত্রের লোক; দুই, ক্ষণজন্মা প্রতিভাধর ব্যক্তি।
১৩. সংকীর্ণচিত্ত মানুষ উদারতার আনন্দ কাকে বলে জানে না। স্বার্থপরতা মানুষের দৃষ্টিকে উদার আকাশ থেকে ফিরিয়ে আনে, গৃহকোণে বন্দিত্ব স্বাধীনতাকে দূরে সরিয়ে দেয়। একমাত্র বীরেরাই স্বাধীনতার মহিমা বোঝে, স্বাধীনতার ব্যাখ্যা দিতে পারে এবং স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারে।
১৪. শত্রুকে শত্রুতা করার সুযোগ তো সৃষ্টি করে দেয় মানুষ নিজেই।
১৫. মানুষের ভুল সিদ্ধান্ত গোটা সভ্যতাকেই কলঙ্কিত করতে পারে, পারে নিন্দার ঝড় বইয়ে দিতে, মানবতার চূড়ান্ত সর্বনাশ করতে।
৩৪. নির্বাচনপ্রার্থী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে পার্থক্য এই যে, নির্বাচনপ্রার্থীরা জনগণকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন আর নির্বাচিতরা নিজেদের।
৩৫. সময়ের নায়কেরা, কখনো কখনো সমরনায়কেরাও, এমন অকস্মাৎ হারিয়ে যান যে, বিস্ময় প্রকাশ করার অবকাশ থাকে না– ভাগ্য এমন নির্মম!
৩৬. সময়ের দাবিতে রাজনীতিতে মৃতরা যেভাবে জীবিত হয়ে ওঠেন, জীবিতদের সাহায্য করেন, জীবিতদের মৃতে রূপান্তরিত করেন–অন্যকিছুতে তা সম্ভব নয়।
৩৭. সমকালীন রাজনীতি গণতন্ত্রের স্লোগানে মুখর হলেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াচ্ছে না–এটাই আমাদের জাতীয় রাজনীতির সবচাইতে বড় দুর্বলতা।
৩৮. ব্যক্তিস্বার্থপ্রবণ সব উচ্চাভিলাষী নেতাই জাতীয় স্বার্থের জন্যে কুম্ভিরাশ্রু বর্ষণ করে।
৩৯. যে-ব্যক্তির প্রতিষ্ঠার পেছনের চাটুকারিতা ও কূটকৌশল প্রধানভাবে ক্রিয়াশীল এবং মিথ্যা ও দুর্নীতি যার নিত্যকর্মের অন্যতম প্রধান শক্তি, কোনো শুভ শক্তির উচিত নয় তার সহযোগিতা করা।
৪০. যে-রাজনীতি গণতন্ত্রের বিকাশ ও সংস্কৃতিচর্চায় উৎসাহী নয়, কেবলই ক্ষমতামুখী–সে-রাজনীতিকে চরদখলের রাজনীতি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।
৪১. সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাতে কে কখন বিশ্ববাসীর পরিচিতি ও প্রিয়তম মানুষে পরিণত হবে, কেউ বলতে পারে না।
৪২. আলো যেমন ব্যক্তি ও বস্তুর ছায়া ফেলে, স্বৈরতাও তেমনি সর্বনাশের পথ তৈরি করে।
৪৩. বিজীয়কে সকলেই অভিনন্দন জানায়, বর্ণচোরা শত্রুরাও।
৪৪. মৃত্যুই মহৎ শিল্পার ঋণ পরিশোধের সুযোগ করে দিতে পারে।
৪৫. যে আনন্দের সাধনা করে সে কখনো আক্ষেপ করে না।
৪৬. কান্নার এক নাম পরাজয়, আর এক নাম আনন্দ।