ফলল রুদ্রাক্ষ খেলাম কিল।
৩৫০। বেদে কি জানে কর্পূরের গুণ,
এঁকে এঁকে বলে সৈন্ধব নুন।
৩৫১। বেহায়ার নাহি লাজ, নাহি অপমান,
সুজনকে এক কথা মরণ সমান।
৩৫২। বৈষ্ণব হইতে বড় হয়েছিল সাধ,
তৃণাদপি শুনে মনে লেগে গেছে তাক।
৩৫৩। ভক্তিহীন ভজন, আর লবণহীন ব্যঞ্জন।
৩৫৪। ভগবানের মার দুনিয়ার বার।
৩৫৫। ভাঁড়ে নেই ঘি, ঠকঠকালে হবে কী?
৩৫৬। ভাগাড়ে মড়া পড়ে, শকুনের টাক নড়ে।
৩৫৭। ভাগের ভাগ পেলে, না খেয়েও চিবিয়ে ফেলে।
৩৫৮। ভাগ্যবানের দুটি পুত,
একটি বাঁদর, একটি ভূত।
৩৫৯। ভাঙা ঘরে জোছনার আলো,
যেদিন যায় সেদিন ভালো।
৩৬০। ভাত পায় না কুঁড়ের নাগর,
আমানি খেয়ে পেটটা ডাগর।
৩৬১। ভাত রোচে না রোচে মোয়া
মণ্ডা রোচে না পোয়া পোয়া।
৩৬২। ভাবে ডগমগ তেলাকুচো,
হেসে মল কালো ছুঁচো।
৩৬৩। ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ গেল শল্য হল রথী,
চন্দ্র, সূর্য, অস্ত গেল জোনাকির পাছায় বাতি।
৩৬৪। চারৈ; পশ্যন্তি রাজান; শাস্ত্রৈ; পশ্যন্তি পণ্ডিতা;
গাব; পশ্যন্তি ঘ্রাণেন ভুতে পশ্যন্তি বর্বরা।
(অনুবাদ : রাজারা গুপ্তচরের সাহায্যে অপ্রত্যক্ষ ব্যাপার প্রত্যক্ষ করেন। পণ্ডিতগণ শাস্ত্রের সাহায্যে বস্তুর জ্ঞানলাভ করেন। গরু ঘ্রাণের সাহায্যে বুঝতে পারে। কিন্তু মূর্খ। ব্যক্তি শুধু অতীত ব্যাপারে জানে, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার কোনো জ্ঞান নেই।)
৩৬৫। মন চায় বাদশা হতে, খোদা দেয় না মেগে খেতে।
৩৬৬। মনটি শখের বটে, হাতে কিন্তু পয়সা নাই।
জোনাকি পোকার আলো দেখে গ্যাসবাতির শখ মিটাই।
৩৬৭। মরা মালঞ্চে ফুটল ফুল,
টেকো মাথায় উঠল চুল।
৩৬৮। মা ডাকলে খেলাম না,
বাবা ডাকলে গেলাম না,
সাত পুরুষের বেঁকি বলে, পান্তা খা, পান্তা খা।
৩৬৯। মা পায় না কাঁথা সেলাই করবার সুতা,
ব্যাটার পায়ে দ্যাখো চৌদ্দ সিকের জুতা।
৩৭০। মাতৃবৎ পরদারেষু পরদ্রব্যে লেষ্ট্রিবৎ।
আত্মবৎ সর্বভূতেষু য; পশ্যতি সে পণ্ডিতঃ।
(অনুবাদ পরস্ত্রীকে মায়ের মতো, পরের জিনিসকে মাটির ঢেলার মতো এবং সমস্ত প্রাণীকে নিজের ন্যায় জ্ঞান করাই প্রকৃত পণ্ডিতের লক্ষণ।)
৩৭১। মায়ের গলায় দিয়ে গড়ি,
বউকে পরাই ঢাকাই শাড়ি।
৩৭২। মায়ের পোড়ে না, মাসির পোড়ে,
পাড়া-পড়শির ধবলা ওড়ে।
৩৭৩। মুচি হয়ে শুচি হয় যদি হরি ভজে,
শুচি হয়ে মুচি হয় যদি হরি ত্যাজে।
৩৭৪। মূর্খ লোকে কেনে বই জ্ঞানবানে পড়ে,
ধনবানে কেনে ঘোড়া, বুদ্ধিমানে চড়ে।
৩৭৫। মেগে এনে বিলিয়ে খায়, হাতে হাতে স্বর্গ পায়।
৩৭৬। মেজে ঘষে হল ক্ষয়
মালা তবু ধনো নয়।
৩৭৭। যখন আদর জুটে, ফুটকলাই নিয়ে ফুটে,
যখন আদর টুটে, উেঁকি দিয়ে কুটে।।
৩৭৮। যখন বিধি মাপায়।
তখন উপরি উপরি চাপায়।
৩৭৯। যখন যার কপাল খোলে,
শুকনো ডাঙায় ডিঙি চলে।
৩৮০। যখন যার পড়তা হয়,
ধুলো মুঠা ধরে সোনা মুঠা হয়।
৩৮১। সকল পথ দৌড়াদৌড়ি, খেয়া ঘাটে গড়াগড়ি।
৩৮২। মাতা যস্য গৃহে পাস্তি, ভার্যা চ ব্যাভিচারিণী।
অরণ্যং তেন গন্তব্যং যথারণ্যং তথা গৃহম্।
(অনুবাদ : যার গৃহে মা নেই, স্ত্রী দুশ্চরিত্রা, তার পক্ষে বনগমন করা কর্তব্য। কারণ তার পক্ষে গৃহ অরণ্যতুল্য।)
৩৮৩। যদি থাকে আগে পিছে, কী করে শাকে মাছে।
৩৮৪। যদি দেখে আঁট আঁটি,
কাঁদিয়া ভিজায় মাটি।
৩৮৫। যদি হয় সুজন, তেঁতুল গাছে ন’জন।
৩৮৬। যদি হয় সোনার ভাগারি, তবু ধরে লোহার কাটারি।
৩৮৭। যদু ধোপা, মধু ধোপা, সব ধোপারই এক চোপা।
৩৮৮। যার দৌলতে চুয়া চন্দন,
তারি পাতে খোলার ব্যঞ্জন।
৩৮৯। যার নুন খাই তার গুণ গাই।
৩৯০। যারে না বামুন বলি, তার গায় নামাবলী।
৩৯১। যেখানে আঁটাআঁটি
সেখানেই লাঠালাঠি।
৩৯২। যেমন সরা তেমনি হাঁড়ি, গড়ে রেখেছে কুমার বাড়ি।
৩৯৩। রাজার রাজ্যপাট, গরিবের শাকভাত।
৩৯৪। রাম লক্ষ্মণ দুটি ভাই, রথে চড়ে স্বর্গে যাই।
৩৯৫। রূপে ঢলঢল গুণে পশরা,
কেঁদে মলো যত কালো ছেচরা।
৩৯৬। লঙ্কার রাবণ ম’ল
বেহুলা কেঁদে রাড়ি হল।
৩৯৭। লাউ শাকের বালি আর অন্তরের কালি।
৩৯৮। লাজের মাথায় পড়ক বাজ
সাঘো গিয়ে আপন কাজ।
৩৯৯। লাভ-লোকসান জেনে,
চাষ করে না বেনে।
৪০০। লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে,
মৎস্য মারিব খাইব সুখে।
৪০১। সজনে শাক বলে আমি সকল শাকের হেলা,
আমার খোঁজ করে কেবল টানাটানির বেলা।
৪০২। শঠের মায়া, তালের ছায়া।
৪০৩। শসা বেচুনি বেচে শসা, তার হয়েছে সুখের দশা।
৪০৪। অন্নং জীর্ণং হি প্রশংসেৎ, ভার্যা বিগত যৌবনাম।
রণাৎ প্রত্যাগতং শূরম, শস্যষ্ণ গৃহমাগতম।
(অনুবাদ : অন্ন জীর্ণ হলে তার প্রশংসা করা চলে, ভার্যা যৌবন অতিক্রান্ত হলে প্রশংসনীয়। শস্য গৃহে আসলে তবেই তার মূল্য। কার্য সমাধার পূর্বে প্রশংসার বিশেষ মূল্য নেই।
৪০৫। শাক অম্বল পান্তা–তিন ওষুধের হন্তা।
৪০৬। শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়ে, সেই বাঘে মানুষ মারে।
৪০৭। সখা যার সুদর্শন, তার সঙ্গে কি সাজে রণ?
৪০৮। সঙ্গ দোষে কী না হয়,
ছুঁচো ছুঁলে গন্ধ হয়।
৪০৯। সতী হল কবে? সে মরেছে যবে।
৪১০। সব কাজে যার হুঁশ, তারেই কয় মানুষ।
৪১১। সন্নাসীর অল্প ছিদ্র গায় সর্বজন,
শুভ্রবস্ত্রে মসীবিন্দু দেখায় যেমন।
৪১২। সময়ে সব হয়, বোন ভাগনা ভাই,
ঘরের স্ত্রী আপন নয়, যখন গাঁটে পয়সা নাই।