২৮৮। পরের দুধে দিয়ে ফুঁ, পুড়িয়ে এলেন আপন মু’।
২৮৯। পরের দেখে তোলে হাই, যা আছে তাও নাই।
২৯০। পরের ধনে পোদ্দারি, লোকে বলে লক্ষ্মীশ্বরী।
২৯১। পরের পিঠে, বড় মিঠে।
২৯২। পরের মাথায় দিয়ে হাত, কিরা করে নির্ঘাত।
২৯৩। পরের লেজে পড়লে পা তুলোপানা ঠেকে,
নিজের লেজে পড়লে পা কেঁক করে ডাকে।
২৯৪। পরের সোনা দিও না কানে,
কেড়ে নেবে হঁচকা টানে।
২৯৫। পরের হাতে ধন, পেতে কতক্ষণ।
২৯৬। পচ পাগলের ঘর,
খোদায় রক্ষা কর।
২৯৭। পাগল কি গাছে ফলে,
আক্কেলেতে পাগল বলে।
২৯৮। পিঠা খায় মিঠার জোরে,
হাত নেড়ে বেড়ায় নানির জোরে।
২৯৯। মার আর ধর আমি পিঠে বেঁধেছি কুলো।
বকো আর ঝকো, আমি কানে দিয়েছি তুলো।
৩০০। পিসি বল, মাসি বল, মার বাড়া নাই,
পিঠে বল, মিঠে বল, ভাতের বাড়া নাই।
৩০১। পুঁটি মাছের প্রাণ, দেখতে দেখতে যান।
৩০২। পুতুল যেমন পুতুল কাঁচে,
যেমন নাচায় তেমনি নাচে।
৩০৩। পুরান বসন ভাতি, অবলাজনের জাতি।
৩০৪। পুরুষের দশ দশা, কখনো হাতি কখনো মশা।
৩০৫। পূর্বে হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ,
উত্তরে কলা, দক্ষিণে মেলা।
৩০৬। পেট জ্বলে ভাতের তরে,
সোনার আংটি হাতে পরে।
৩০৭। পেটের বাছা আর বাড়ির গাছা।
৩০৮। পোড়া কপালে সুখ নাই,
বিয়ে বাড়িতে ভাত নাই।
৩০৯। ফকিরে ফকিরে ভাই ভাই,
ফকিরের রাজত্ব সব ঠাঁই।
৩১০। ফাল্গুনে আগুন, চৈতে মাটি,
বাঁশ রেখে বাঁশের ঠাকুরদাকে কাটি।
৩১১। ফুটনির মামা, ভিতরে কপিল উপরে জামা।
৩১২। ফুরাল বাগানের আম, কী খাবিরে হনুমান।
৩১৩। ফুলের নাই গন্ধ, চোখ থাকতে অন্ধ।
৩১৪। ফুলে শোভা ভোমরা
গাই-এর শোভা চামড়া।
৩১৫। বউ-এর রাগ বিড়ালের উপর,
বিড়ালের রাগ বেড়ার উপর।
৩১৬। বউ ভাঙলে সরা, গেল পাড়া পাড়া,
গিন্নি ভাঙলে নাদা, ও কিছু নয় দাদা।
৩১৭। ফেন দিয়ে ভাত খায়; গল্পে মারে দই,
মেটে হুঁকোয় তামাক খায় গুড়গুড়িটা কই?
৩১৮। বজ্ৰাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি।
লোকোত্তরাণাং চেতাংসি কোহি বিজ্ঞাতুমীশ্বরঃ।
( অনুবাদ : অসামান্য ব্যক্তিগণের মন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বজ্রের মতো কঠোর এবং অবস্থাবিশেষে ফুলের মতো কোমল হয়। সাধারণ মানুষ তাদের স্বরূপ বুঝতে পারে না।)
৩১৯। বড় ঘরের বড় কথা, গরিবের ছেঁড়া কাঁথা,
বড় ঘরের বড় কথা, বললে কাটা যায় মাথা।
৩২০। বড় বড় বানরের বড় বড় পেট,
লংকা ডিঙাতে সব মাথা করে হেঁট।
৩২১। বড়র পিরিতি বালির বাঁধ,
ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেকে চাঁদ।
৩২২। বন পোড়ে সবাই দেখে, মন পোড়ে কেউ না দেখে।
৩২৩। বল বুদ্ধি ভরসা, তিন তিরিশে ফরসা।
৩২৪। বসতে জায়গা পেলে, শোবার জায়গা মেলে।
৩২৫। বসে খেলে কুলোয় না,
করে খেলে ফুরোয় না।
৩২৬। বাইরে হাসিখুশি ভেতরে গরল বাঁশি।
৩২৭। বাঘ ভালুকের রাজ্যে থাকি,
মনের কথা মনেই রাখি।
৩২৮। বাঘে মহিষে যুদ্ধ হয়, নল খাগড়ার প্রাণ যায়।
৩২৯। বাছার আমার এত বাড়,
ছ’ আনার কাপড়ে ন’ আনার পাড়।
৩৩০। বড় গাছের তলায় রাস,
ডাল ভাঙলেই সর্বনাশ।
৩৩১। বাড়িতে পায় না শাক সজিনা,
ডাক দিয়ে বলে ঘি আন না।
৩৩২। বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীস্তদর্ধং কৃষি কর্মনি।
দতধং রাজসেবায়াৎ ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ।
(অনুবাদ : বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়। কৃষিকার্যে তার অর্ধেক লাভ হয়। রাজকার্যে [সরকারি চাকরিতে] তার অর্ধেক। ভিক্ষায় কখনো সম্পদ লাভ করা যায় না।)
৩৩৩। বাপকা বেটা সেপাইকা ঘোড়া,
কুচ নেহি তো থোড়া থোড়া।
৩৩৪। বাপের জন্মে নেই কো চাষ,
ধানকে বলে দূর্বাঘাস।
৩৩৫। বামুন গেল ঘর, তো লাঙ্গল তুলে ধর।
৩৩৬। বারো কাঁদি নারিকেল, তের কাঁদি কলা,
আজ আমাদের ছোট রানির উপবাসের পালা।
৩৩৭। বারোটা ঝাড়লুম তেরোটা মল,
তুই না মরে অপযশ হল।
৩৩৮। বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান,
এইবার তোমার আমি বধিব পরান।
৩৩৯। বারো রাজপুত্রের তেরো হাঁড়ি,
কেউ খায় না কারো বাড়ি।
৩৪০। জ্ঞাতিভিৰ্বণ্টতে নৈব, চৌরেণাপি ন নীয়তে।
দানেন ন ক্ষয়ং যাতি বিদ্যারত্নং মহাধনম্।
(অনুবাদ : বিদ্যা শ্রেষ্ঠ রত্ন, কারণ এটা জ্ঞাতিগণ ভাগ করে নিতে পারে না, চোরে চুরি করে নিতে পারে না, অথবা দান করলে [বৃদ্ধি ছাড়া] ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না!)
৩৪১। বিদ্বত্তঞ্চ নৈব তুল্যং কদাচন।
স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।
(অনুবাদ : বিদ্বান ব্যক্তি রাজা অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ, যেহেতু রাজা কেবল নিজের দেশে। পূজা পান; কিন্তু বিদ্বান সর্বত্র সমাদর লাভ করেন)।
৩৪২। বিধি যদি বিপরীত, কেবা করে কার হিত।
বিধির লিখন, না যায় খণ্ডন।
৩৪৩। বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি, পুকুরের সৃষ্টি।
৩৪৪। বিপদে শিবের গোঁড়া, সম্পদে শিবত নোড়া।
৩৪৫। বিয়ে ফুরোলে বাজনা, কিস্তি ফুরোলে খাজনা।
৩৪৬। পরোক্ষে কার্য-হন্তারং প্রত্যক্ষে প্রিয়বাদিন।
বর্জয়েৎ তাদৃশং বন্ধুং বিষকুম্ভং পয়োমুখনম্।।
(অনুবাদ : যিনি সামনে প্রিয় বাক্য বলেন, কিন্তু পরোক্ষে ক্ষতি করেন, তিনি বন্ধু হলেও উপরে দুধ দেওয়া ও ভিতরে বিষ-ভরা দুধের কলসির ন্যায়। সুতরাং তাদেরকে সযত্নে বর্জন করবে।)
৩৪৭। বুঝতে নারি সেকরার ঠার, বলে এক করে আর।
৩৪৮। বুদ্ধিগুণে হা-ভাত, বুদ্ধিগুণে খা ভাত।
৩৪৯। বুনলাম ধান হল তিল,