২২৭। তোর শিল, তোর নোড়া
তোরই ভাঙি দাঁতের গোড়া।
২২৮। থাকরে কুকুর আমার পাশে,
ভাত দেব সেই পৌষ মাসে।
২২৯। থাকে যদি চুড়ো বাঁশি
মিলবে রাধা হেন কত দাসী।
২৩০। দক্ষিণদ্বারী ঘরের রাজা, পূর্বারী তার প্রজা,
পশ্চিমদ্বারীর মুখে ছাই, উত্তরদ্বারীর খাজনা নাই।
২৩১। দয়া আছে মায়া আছে গলা ধরে কাঁদি,
আধ পয়সার আটটি কলা পরান গেলে না দি।
২৩২. দয়া করে দেয় নুন, ভাত মারে তিনগুণ।
২৩৩। দল ভাঙলে যে, কৈ খাবে সে।
২৩৪। দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।
২৩৫। দশে যারে বলে ছি, তারে বাঁচায় কাজ কী?
২৩৬। দশের মুখে জয়, দশের মুখে ক্ষয়।
২৩৭। দাড়িকে মাঝি করা, মরা গাঙ্গে ডুবে মরা।
২৩৮। দাওয়া মারা যতদিন, বাপ খুড়ো ততদিন।
২৩৯। দায়ে বালি, কুড়লে খিল,
ভাল মানুষকে ভাল কথা বজ্জাতকে কিল।
২৪০। দিন গেল আলে ডালে,
রাত হলে চেরাগ জ্বলে।
২৪১। দিন থাকতে বাঁধে আল,
তবে খাবে নানা শাল।
২৪২। দিনে বাতি যার ঘরে, তার ভিটায় ঘুঘু চরে।
২৪৩। দিল্লিকা লাডডু, যো খায় সো পাস্তায়া,
যো নেহি খায় সো ভি পস্তায়া।
২৪৪। দুই সতীনের ঘরকন্না,
ঘরের গিন্নি ভাত পান না।
২৪৫। দুই স্ত্রী যার, বড় দুঃখ তার।
২৪৬। দুধ কলা দাও যত,
সাপের বিষ বাড়ে তত।
২৪৭। ধর্ম হয় না করলেই উপাস,
কোদাল পাড়লেই হয় না চাষ।
২৪৮। ধর্মের কল বাতাসে (আপনি) নড়ে
পাপ করলে ধরা পড়ে।
২৪৯। ধীর জাল ঘন কাটি, তবে বলি দুধ আউটি।
২৫০। ধীরে রাধে ধীরে খায়, তবে খাওয়ার মজা পায়।
২৫১। নখে কাটে কচি কালে, ঝুনো হলে দাঁত না চলে।
২৫২। ন চ বিদ্যাসমো বন্ধুৰ্নচ ব্যাধিসম্যে রিপুঃ।
ন চাপত্যসমঃ স্নেহোন চ দৈবাৎ পরং বলম।
(অনুবাদ ও বিদ্যার তুল্য বন্ধু নেই। ব্যাধির ন্যায় শত্রু নেই। অপত্য স্নেহের মতো কোনো স্নেহ হতে পারে না। দৈব বল সকল বলের শ্রেষ্ঠ।)
২৫৩। নদী, নারী, শৃঙ্গধারী–এ তিনে না বিশ্বাস করি।
২৫৪। নয় মণ তেলও,পুড়বে না,
রাধাও নাচবে না।
২৫৫। আচারো বিনয়ো বিদ্যা প্রতিষ্ঠা তীর্থ দর্শন।
নিষ্ঠা বৃত্তিস্থূপপা দানং, নবধা কুললক্ষণম্।।
(অনুবাদ ও সদাচার, বিনয়, বিদ্যা, খ্যাতি, তীর্থদর্শন, শাস্ত্রানুমোদিত ধর্মে আসক্তি, ব্রাহ্মণোচিত বৃত্তি (অর্থাৎ বেদ অধ্যয়ন প্রভৃতি), তপস্যা এবং দান–এই নয়টি সদ্বংশীয় ব্যক্তির লক্ষণ।)।
২৫৬। পিতা রক্ষতি কৌমারে, ভর্তা রক্ষতি যৌবনে।
পুত্রশ্চ স্থবিরে ভাবে, ন স্ত্রী স্বতন্ত্রমহতি।
(অনুবাদ : নারী বাল্যে পিতার, যৌবনে স্বামীর এবং বার্ধক্যে পুত্রের অধীন থাকবে। স্ত্রীগণের পক্ষে স্বাধীন হওয়া উচিত নয়। এখানে স্বাধীন বলতে যথেচ্ছাচারী বোঝানো হয়েছে।)
২৫৭। না দেওয়ার চাল, আজ না কাল।
২৫৮। না দেখে চলে যায়, পায় পায় হোঁচট খায়।
২৫৯। নাপিতের আসি, ধোপার বাসী।
২৬০। না বুঝে ছিলাম ভালো, অর্ধেক বুঝে পরান গেল।
২৬১। নামে ডাকে গুরুমশাই,
লেজা মুডোর জ্ঞান নাই।
২৬২। নারীর বল, চোখের জল।
২৬৩। নিতে পারি, খেতে পারি, দিতে পারি নে,
বলতে পারি, কইতে পারি, সইতে পারি নে।
২৬৪। নিত্য চাষার ঝি,
বেগুন ক্ষেত দেখে বলে, এ আবার কী?
২৬৫। মাতলো যস্য গোবিন্দঃ পিতা যস্য ধনঞ্জয়ঃ।
সোহভিমন্যঃ রণে শেতে, নিয়তিঃ কেন বাধ্যতে।
(অনুবাদ : যার মামা স্বায়ং শ্রীকৃঞ্চ, পিতা অর্জুন, সেই অভিমন্যুও যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন, সুতরাং নিয়তিকে কেউ অতিক্রম করতে পারে না।)
২৬৬। নণ পুরুষের তিনগুণ ঝাল,
পরনে গামছা, গায়ে ঠাকুরদাদার শাল।
২৬৭। নীরোগ শরীর যার, বৈদ্যে করবে কী।
পরের ভাতে বেগুন পোড়া, পান্তাভাতে ঘি।
২৬৮। নেকা, বোকা, ঢিলে (ঢলঢল) কাছা,
তিনে প্রত্যয় না করো বাছা।
২৬৯। নেবার বেলা পরিপাটি, দেবার বেলা ফাটাফাটি।
২৭০। লেবু কচলাবে যত, তেতো হবে তত।
২৭১। নেভবার আগে ক্ষণেক তরে,
দীপ জ্বলে ধপ করে।
২৭২। নেশাতে বুক ফাটে, কুকুরে মুখ চাটে।
২৭৩। পড়ল কথা সভার মাঝে,
যার কথা তার গায়ে বাজে।
২৭৪। পড়ক না পড়ক পো, সভার মাঝে নে থো।
২৭৫। পড়েছি তাফালে, যা থাকে কপালে।
২৭৬। পড়েছি মোগলের হাতে,
খানা খেতে হবে সাথে।
২৭৭। পতির পায়ে থাকে মতি,
তবে তারে বলে সতী।
২৭৮। পথে পেলাম কামার, দা গড়ে দে আমার।
২৭৯। লেখনী পুস্তিকা জায়া পরহস্তং গতাগত।
যদি মা পুনরায়তি ভ্ৰষ্টা চ মর্দিত।
(অনুবাদ : কলম, বই এবং পত্নী একবার হাতছাড়া হলে আর তাদেরকে ফিরে পাওয়ার আশা করা যায় না। যদিবা কখনো ফিরে পাওয়া যায়, তবে তা আগের অবস্থায় থাকে না–এরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফিরে আসে।)।
২৮০। পুস্তকস্থা চ যা বিদ্যা পরহস্তগতং ধনম্।
কার্যকালে সমুৎপন্নে ন সা বিদ্যান,তদ্ধন।
(অনুবাদ : যে-বিদ্যা কার্যকালে মনে পড়ে না ও যে-ধন কার্যকালে পাওয়া যায় না সে বিদ্যা বা ধনের প্রয়োজন নেই।).
২৮১। পরে তসর খায় ঘি, তার আবার ভাবনা কী?
২৮২। পরের কথায় লাথি চাপড়,
নিজের কথায় ভাত কাপড়।
২৮৩। পরের ঘরে খায় আয়,
আঠারো মাসে বছর যায়।
২৮৪। পরের চাল পরের ডাল, নদে করে বিয়ে।
২৮৫। পরের ছেলে (বা বিড়াল) খায়,
আর বনের পানে (পথ পানে) চায়।
২৮৬। পরের জন্য গর্ত খোড়ে, আপনি তাতে পড়ে মরে।
২৮৭। পরের জন্য ফাঁদ পাতে,
আপনি পড়ে মরে তাতে।