১৪৯। গতর নেই চোপায় দড়,
মেঙ্গে খায় তার পালি বড়।
১৫০। গব্য থাকলে আগে পাছে,
কী করবে তার শাকেমাছে।
১৫১। গরু, জরু (স্ত্রী), ধান রাখ বিদ্যমান।
১৫২। গা বড়, তার মাঝের পাড়া,
নাক নেই তার নথ নাড়া।
১৫৩। গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন।
১৫৪। গাঙ্গে গাঙ্গে দেখা হয়, বোনে বোনে দেখা নয়।
১৫৫। গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচশত,
যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত।
১৫৬। গাছে ওঠে পড়তে, জামিন হয় মরতে।
১৫৭। গাজনের নেই ঠিক-ঠিকানা,
ডেকে বলে ঢাক বাজনা।
১৫৮। গাধা সকল বইতে পারে,
ভাতের কাঠি বইতে নারে।
১৫৯। গিন্নির ওপর গিন্নিপনা
ভাঙা পিড়েয় আলপনা।
১৬০। গুটিপোকা গুট করে, নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে।
১৬১। গৃহ স্থির আগে করে,
গৃহিণী স্থির তার পরে।
১৬২। গোঁফ নেইকো কোনো কালে,
দাড়ি রেখেছেন তোবড়া গালে।
১৬৩। ঘটির তলায় দিয়ে আঠা,
যোগেযাগে কাল কাটা।
১৬৪। ঘন দুধের ফোঁটা, বড় মাছের কাঁটা।
১৬৫। ঘরজামায়ের পোড়া মুখ
মরা-বাঁচা সমান সুখ।
১৬৬। ঘরদোর নেই যার, আগুনে কী ভয় তার?
১৬৭। ঘরে নেই ভাত, কেঁচা তিন হাত।
১৬৮। ঘরে থাকতে নানা বিধি,
খেতে দেয় না দারুণ বিধি।
১৬৯। গরে নেই ঘটিবাটি, কোমরে মেলাই চাবিকাঠি।
১৭০। ঘরে বসিয়ে মাইনে দেয়
এমন মনিব কোথায় পায়।
১৭১। ঘরে বাইরে এক মন, তবে হয় কৃষ্ণ ভজন।
১৭২। ঘরের ভাত দিয়ে শুকনি পোষে,
গোয়ালের গরু টেকে বসে।
১৭৩। ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাতা,
তবু যায় না জাতের জাতা।
১৭৪। ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে; তোমার একদিন আছে শেষে।
১৭৫। চক্ষে দেখলে শুনতে চায়,
এমন বোকা আছে কোথায়?
১৭৬। চন্দ্র-সূর্য অস্ত গেল, জোনাকি ধরে বাতি।
মুঘল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি।
১৭৭। আকাশে মেঘের ছায়া,
মিছে কর তার মায়া।
১৭৮। চাল নেই ধুচুনি নাড়া
নাক নেই তার নথ নাড়া।
১৭৯। চালে খড় নেই, ঘরে বাতি,
বিছানা নেই, পোহায় রাতি।
১৮০। চাষার চাষ দেখে চাষ করলে গোয়াল,
ধানের সঙ্গে খোঁজ নেই, বোঝা বোঝা পোয়াল।
১৮১। চুরি বিদ্যে বড় বিদ্যে, যদি না পড়ে ধরা,
যদি পড়ে ধরা, তবে হাতে-পায়ে কড়া।
১৮২। চোর হেঁচড় চোপায় দড়,
আগে দৌড়ায় ঠাকুর ঘর।
১৮৩। চোর-ডাকাতের ভয়, পেটে পুরলে রয়।
১৮৪। ছাঁচের ঘরে খাবি খায়।
সমুদ্র পার হতে চায়।
১৮৫। ঘূদন দড়ি, গোদা বাড়ি
যে আমার আমি তারি।
১৮৬। ছাগলে বলে আলুনি খেলাম
গেরস্ত বলে পরানে মলাম।
১৮৭। ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনি, পুড়ে পুড়ে রাঁধুনি।
১৮৮। ছিল না কথা, দিল গাল,
আজ না হয়, হবে কাল।
১৮৯। ছুঁচোয় যদি আতর মাখে,
তবু কি তার গন্ধ ঢাকে?
১৯০। ছুঁচোর গোলাম চামচিকে,
তার মাইনে চৌদ্দ সিকে।
১৯১। হেঁদো কথা মাথার জটা,
খুলতে গেলেই বিষম ল্যাঠা।
১৯২। ছোট কাঁটাটি ফুটে পায়,
তুলে ফেল নইলে দায়।
১৯৩। ছোট শরাটি ভেঙে গেছে, বড় শরাটি আছে,
নাচ কোদ কেন বউ আমার হাতে আন্দাজ আছে।
১৯৪। জন, জামাই, ভাগনা–তিন নয় আপনা।
১৯৫। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে–তিন বিধাতা নিয়ে।
১৯৬। জপ তপ কর কি, মরতে জানলে ডর কী?
১৯৭। জল জল বৃষ্টির জল, বল বল বাহুর বল।
১৯৮। জলের শক্র পানা, আর মানুষের শত্রু কানা।
১৯৯। জামায়ের জন্য মারে হংস,
গুষ্টিসুদ্ধ খায় মাংস।
২০০। জিব পুড়ল আপন দোষে
কী করবে মোর হরিহর দাসে।
২০১। জেলের পরনে তেনা, নিকারির কানে সোনা।
২০২। জোছনাতে ফটিক ফোটে,
চোরের মায়ের বুক ফাটে।
২০৩। জ্বালা দিতে নেই ঠাঁই,
জ্বালা দেয় সতীনের ভাই।
২০৪। ঝাঁটা দিয়ে বিষ (ভূত) ঝাড়ানো
ঝিকে মেরে বউকে শেখানো।
২০৫। ঝি জব্দ কিলে, বউ জব্দ শিলে,
পাড়া-পড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে।
২০৬। ঝোলে ঝালে অম্বলে
বেগুন সব ঠাঁই চলে।
২০৭। টক টেশো আঁটি সারা
শাসশূন্য আঁশ ভরা
এই আম বিলাবার ধারা।
২০৮। টকের জ্বালায় দেশ ছাড়লাম,
তেঁতুল তলায় বাঁশ গাড়লাম।
২০৯। টাকা তুমি যাচ্ছ কোথা? পিরিতি যথা,
আসিবে কবে? বিচ্ছেদ যবে।
২১০। ঠাকুরকে দেখিয়ে কলা,
নৈবিদ্যি নে’ ছুটে পালা।
২১১। ঠেটা লোকের মুখে আট,
বাইরে থেকে কাটে গাঁট।
২১২। ডাকলে ডাক, বসলে ক্রোশ,
পথ বলে মোর কিসের দোষ?
২১৩. ডুব দিয়ে খাই পানি,
আল্লাহ জানে আর আমি জানি।
২১৪। ঢেঁকিশালে যদি মানিক পাই
তবে কেন পর্বতে যাই।
২১৫। ঢের দেখেছি চুরি করতে,
এমন দেখিনি ধুকড়ি পরতে।
২১৬. তাঁতি রাগে কাপড় ছেড়ে
আপনার ক্ষতি আপনি করে।
২১৭। তাল, তেঁতুল, মাদার,
তিনে দেখায় আঁধার।
২১৮। তাল বাড়ে ঝোপে,
আর খেজুর বাড়ে কোপে।
২১৯। তিন মাথা যার, বুদ্ধি নেবে তার। ২
২০। তুক তাক ছয় মাস, কপালে যা বারো মাস।
২২১। তুফানে যে হাল ধরে না, সেই বা কেমন নেয়ে,
কথা পাড়লে বুঝতে পারে না, সে-ই কেমন মেয়ে।
২২২। মূলে নেই লক্ষ্মীপূজা একেবারে দশভুজা।
২২৩। অবংশো পতিততা রাজা মূর্খ পুত্ৰশ্চ পণ্ডিতঃ
অধনশ্চ ধনং প্রাপ্য তৃণবন্নন্যতে জগৎ।
(অনুবাদ : নীচ বংশজাত ব্যক্তি যদি রাজা হয়, মূর্খ ব্যক্তির পুত্র যদি পণ্ডিত হয়, দরিদ্র যদি হঠাৎ প্রচুর ধনলাভ করে, তবে তারা জগৎকে তৃণের ন্যায় অগ্রাহ্য করে।)।
২২৪। তেলা মাথায় ঢাল তেল,
রুখু মাথায় ভাঙ বেল।
২২৫। তোমারে বধিবে যে,
গোকুলে বাড়িছে সে।
২২৬। তোর পায় গড় না,
তোর কাজের পায়ে গড়।