৮০। এক পয়সা নাই থলিতে
লাফিয়ে বেড়ায় গলিতে।
৮১। এক পাগলে রক্ষা নেই, সাত পাগলের মেলা।
৮২। এক পুতের আশ, নদীর কুলে বাস;
ভাবনা বারো মাস।
৮৩। এক বুড়ির নাসা দোষ,
নাকের উপর হল খোস।
৮৪। এক মায়ের এক পুত,
খায় দায় যত দূত।
৮৫। এক লাউ-এর বিচি
কেউবা করে কচর কচর, কেউবা বলে কচি।
৮৬। একলা ঘরের গিন্নি হব,
চাবিকাঠি ঝুলিয়ে যাব।
৮৭। এক হেঁসেলে তিন রাধুনি,
পুড়ে মরে তার ফেন গালুনি।
৮৮। এক ঘরের একা ভাই (বউ) খেতে বড় সুখ,
মারতে (মরতে)এলে ধরতে নাই, তাই বড় দুখ।
৮৯। এ কী বিধির লীলাখেলা,
কাকের গলায় তুলসীমালা।
৯০। এ কী মোর জ্বালা মেয়ে চামকাটা ডালা,
কানে দুটো ঘুরঘুরে লায় মতির মালা।
৯১। একুশ কেঁড়া গুনে খান,
ফুলের ঘায়ে মূৰ্ছা যান।
৯২। একে তো হনুমান,
তায় আবার রামের বাণ।
৯৩। একে গুন্ গুন্ দুয়ে পাঠ,
তিনে গোলমাল, চারে হাট।
৯৪। এত যদি সুখ কপালে,
তবে কেন তোর কথা বগলে।
৯৫। ঔষধার্থে সুরাপান
পান না বাড়ালেই থাকে মান।
৯৬। কইতে কইতে মুখ বাড়ে,
খাইতে খাইতে পেট বাড়ে।
৯৭। কইতে জানলে ঠকি না।
বলতে জানলে উঠি না।
৯৮। পয়সা দিয়ে কিনব দই,
গোয়ালিনী মোর কিসের সই?
৯৯। কড়ি লবে গুনে, পথ চলবে জেনে।
১০০। কতই-বা দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার।
১০১। কতই সাধ হায়রে চিতে, ফোকলা দাঁতে মিশি দিতে।
১০২। কত ব্রত করলি যশী,
বাকি ভূমি-একাদশী।
১০৩। কত সাধ যায়রে চিতে
বেগুন গাছে আঁকশি দিতে।
১০৪। কপট প্রেমে লুকোচুরি,
মুখে মধু প্রাণে ছুরি।
১০৫। কপালে নেই ঘি, ঠকঠকালে হবে কী?
১০৬। কপালের লিখন, না যায় খণ্ডন।
১০৭। কর যদি তাড়াতাড়ি,
ভুলের হবে বাড়াবাড়ি।
১০৮। কর্ম না বাধ্যতে বুদ্ধি বুদ্ধ্যা বাধ্যতে
সুবুদ্ধিরপি যদ্ৰামো হৈমং হরিণমালগাৎ।
(অনুবাদ ও বুদ্ধি কর্মের বশ হয়, কিন্তু কর্ম বুদ্ধির বশ হয় না, যেমন–রামচন্দ্র বুদ্ধিমান হয়েও সোনার হরিণের অনুসরণ করেছিলেন।)।
১০৯। কাঁটা বিনা কমল নাই,
কলঙ্ক বিনা চাঁদ নাই।
১১০। কাকের ডিমও সাদা হয়,
বিদ্বানের ছেলেও গাধা হয়।
১১১। কাকের বাসায় কোকিলের ছা’
জাত স্বভাবে করে রা’।
১১২। কাকের মাংস কাকে খায় না,
জোকের গায়ে জোক বসে না।
১১৩। কাছা দিতে কেঁচা আঁটে না,
কোঁচা দিতে কাছা আঁটে না।
১১৪। কাজ নেই কাজ করে,
ধানেচালে এক করে।
১১৫। কাজে কুঁড়ে ভোজনে দেড়ে,
বচনে মারে তেড়ে ফুড়ে।
১১৬। কাজের বেলা কাজি, কাজ ফুরুলে পাজি।
১১৭। কাজের বেলা ভাগে, খাবার বেলায় আগে।
১১৮। কাজের মধ্যে চাষ, রোগের মধ্যে কাশ।
১১৯। কাজের মধ্যে দুই, ভাত খাই আর শুই।
১২০। কাপড়ের দাগ যায় ধুলে,
মনের দাগ যায় মলে।
১২১। কার শ্রাদ্ধ কেবা করে, খোলা কেটে বামুন মরে।
১২২। কালো কাড়র রুক্ষু মাথা,
লক্ষ্মী বলেন থাকব কোথা!
১২৩। কালা বলে গায় ভালো
কানা বলে নাচে ভালো।
১২৪। কালি কলম পাত, তবে অক্ষরের জাত।
১২৫। কারে কত দেখব আর,
ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার।
১২৬। কালে কালে কতই হল,
পুলিপিঠের লেজ গজাল।
১২৭। কী দেব কী দেব খোঁটা।
গয়ায় মরছে বাপ বেটা।
১২৮। কিবা জ্যেষ্ঠ, কি কনিষ্ঠ
যেই বুঝে সেই শ্রেষ্ঠ।
১২৯। চলচ্চিত্তং জলদ্বিত্তং চলজ্জীবনযৌবন
চলাচলমিদং সর্বং কীর্ত্যিস্য সংজীবতি।
(অনুবাদ ও চিত্ত, বিত্ত, জীবন ও যৌবন সমস্তই চঞ্চল ও অস্থায়ী, কিন্তু যার কীর্তি আছে তিনিই অমর।)
১৩০। কুঁড়েঘরে বাস, খাট পালঙ্কের আশ।
১৩১। কুপুত্র যদ্যাপি, কু-মাতা কখনো নয়।
১৩২। কৃপণের ধন বর্বরে খায়,
কৃপণ করে হায় হায়।
১৩৩। কোনো কালে নাইক গাই,
চালুনি নিয়ে দুইতে যাই।
১৩৪। ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পুণ্য নাই।
১৩৫। বনানী দহতে! বহ্নেঃ সভা ভবতি মারুতঃ।
সব দীপনাশায় ক্ষীণে কস্যাস্তি গৌরবম।
(অনুবাদ ও অগ্নি যখন বন দগ্ধ করে, তখন বায়ু তার সহায় হয়, কিন্তু সেই অগ্নি যখন ক্ষীণ হয়ে প্রদীপের ন্যায় হয়, তখন বায়ু শত্রু হয়ে তাকে নিভিয়ে দেয়।)
১৩৬। খাওয়াবে হাতির ভোগে,
দেখবে বাঘের চোখে।
১৩৭। খাটে খাটায় লাভের গতি
তার অর্ধেক মাথায় ছাতি ঘরে বসে পুছে বাত।
তার কপালে হা-ভাত।
১৩৮। খাব না খাব না অনিচ্ছে,
তিনি রেক চলে এক উচ্ছে।
১৩৯। খাবার আছে চাবার নেই,
দেবার আছে নেবার নেই।
১৪০। খাবার বেলায় মা, ছেলে ধরতে কেউ না।
১৪১। খাবার বেলায় মস্ত,
উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা।
১৪২। খায়দায় পাখিটি, বনের দিকে আঁখিটি।
১৪৩। গুরু নিন্দা বনে যায়।
বনের বাঘে ধইর্যা খায়।
১৪৪। খায় না খায় সকালে নায়
হয় না হয় দুবার যায়
তার কড়ি কি বৈদ্যে খায়?
১৪৫। খেতে পায় না পচা পুঁটি
হাতে পরে হীরের আংটি।
১৪৬। খোঁয়াড়ে পড়লে হাতি
চামচিকেতেও মারে লাথি।
১৪৭। গঙ্গার জল গঙ্গায় বলল,
পিতৃ পুরুষ উদ্ধার হল।
১৪৮। আগচ্ছতি যদা লক্ষ্মীনারিকেল ফলাধুবৎ।
নির্গেচ্ছতি যদা লক্ষ্মী গর্জভুক্ত কপিণ্ডবৎ।
(অনুবাদ ও লক্ষ্মী যখন আসেন, তখন নারিকেলের জলের মতো কোথা হতে আসে তা বোঝা যায় না। সেইরূপ সম্পদ যখন চলে যায়, তখন গজকীট কর্তৃক ভক্ষিত অন্তঃসারশূন্য কয়েতবেলের মতো মানুষকে কীভাবে নিঃস্ব করে, তা লক্ষ করা যায় না। ‘গজ’ শব্দের অর্থ এখানে হাতি নয়, একপ্রকার কীট।)