১৬। অতি বড় সোদর,
তিন দিন করবে আদর।
১৭। অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙে যাবে।
অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়াবে।
১৮। অনেক কালের ছিল পাপ,
ছেলে হল সতীনের বাপ।
১৯। অনেক খাবে তো অল্প খাও,
অল্প খাবে তো অনেক খাও।
২০। অল্প দেখে দেবে ঘি,
পাত্র দেখে দেবে ঝি।
২১। অন্ন নাই যার ঘরে,
তার মানে কিবা করে।
২২। অন্ন বিনা চর্ম গড়ি,
তৈল বিনা গায়ে খড়ি।
২৩। অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা,
একদিনে লাগে তালা।
২৪। অবাক কল্লে না নাকের নথে,
কাজ কি আমার কানবালাতে।
২৫। অবুঝে বুঝাব কত বুঝ নাহি মানে,
পেঁকিরে বুঝাব কত নিত্য ধান ভানে।
২৬। অবোধারে মারে বোধায়,
বোধারে মারে খোদায়।
২৭। অভদ্রা বরষা কাল, হরিণী চাটে বাঘের গাল,
শোনরে হরিণী তোরে কই, সময় গুণে সবই সই।
২৮। অভাগা চোর যে বাড়ি যায়।
হয় কুকুর ডাকে নয় রাত পোহায়।
২৯। অভাগার ঘোড়া মরে।
ভাগ্যবানের মাগ (স্ত্রী) মরে।
৩০। অভাগিনীর দুটো পুত,
একটা কানা, একটা ভূত।
৩১। অরাধুনির হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে,
জানি রাঁধুনি মোর কেমন করে রাধে।
৩২। অলক্ষ্মীর নিদ্রা বেশি কাঙালের ক্ষুধা বেশি।
৩৩। অল্প বৃষ্টিতে কাদা হয়,
বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয়।
৩৪। অশ্বথের ছায়াই ছায়া,
মায়ের মায়াই মায়া।
৩৫। আগে আপন সামাল কর,
শেষে পরকে গিয়ে ধর।
৩৬। আগে না বুঝলে বাছা যৌবনের ভরে,
পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে।
৩৭। আগে ভাল ছিল জেলে জাল দড়া বুনে,
কী কাজ করিল জেলে এঁড়ে গরু কিনে।
৩৮। আগে হাতে দিয়ে খোলা,
এখন হলে মনভোলা।
৩৯। অপদার্থে ধনং রক্ষেৎ দারান রক্ষেদ্ধনৈরপি।
আত্মানং সততং রক্ষেৎ দারৈরপি ধনৈরপি।
(অনুবাদ : বোকা লোকেরা আগে নিজের ধনসম্পদ রক্ষায় ও পরে স্ত্রীরক্ষায় সচেষ্ট হয়, কিন্তু বুদ্ধিমানেরা আগে নিজেকে রক্ষা করে, তা হলে ধন ও স্ত্রী দুটো আপনা থেকেই রক্ষা পায়।)
৪০। অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।
৪১। অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
৪২। আনসতীনে নাড়েচড়ে,
বোন সতীনে পুড়িয়ে মারে।
(বোন যদি সতীন হয় তা হলে যন্ত্রণার শেষ থাকে না।)
৪৩। নিম তিত, নিশিন্দে তিত, তিত মাকাল ফল,
তার চেয়ে তিত কন্যে বোন সতীনের ঘর।
৪৪। আপন কোটে পাই, চিড়ে কুটে খাই।
(হাতের নাগালে পেলে শাস্তি দেওয়া সহজ।)
৪৫। আপনার চেয়ে পর ভাল,
পরের চেয়ে জঙ্গল ভাল।
৪৬। আপন বুদ্ধিতে ফকির হই,
পর বুদ্ধিতে বাদশা নই।
৪৭। আপন বেলা চাপন চোপন,
পরের বেলা ঝুরঝুরে মাপন।
৪৮। আপনার মান আপনি রাখ,
কাটা কান চুল দিয়ে ঢাক।
৪৯। আপনার হাত জগন্নাথ,
পরের হাত এঁটো পাত।
৫০। আপনার ছেলেটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন ঠাকুরটি,
পরের ছেলেটা খায় এতটা, বেড়ায় যেন বাঁদরটি।
৫১। আপন ধন পরকে দিয়ে,
দৈবকী মরে মাথায় হাত দিয়ে।
৫২। আবর তাঁতি গোবর খায়,
স্ত্রীর বাক্যে মরতে যায়।
৫৩। আম শুকোলে আমসি,
বয়স গেলে কাঁদতে বসি।
৫৪। আমি করি ভাই ভাই,
দাদার কিন্তু মনে নাই।
৫৫। আমি কি নাচতে জানিনে,
মাজার ব্যথায় পারিনে।
৫৬। আর গাব খাব না,
গাবতলা দিয়ে যাব না,
গাব খাব না খাব কি,
গাবের তুল্য আছে কি?
৫৭। আশা আর বাসা,
ছোট করে মরে চাষা।
৫৮। আশার চেয়ে নিরাশা ভাল,
হয়ে গেল তো, হয়ে গেল।
৫৯। আষাঢ়ে না হলে সূত; হা সূত যো সূত,
মোলতে না হলে পুত হা পুত যো পুত।
৬০। আষাঢ়ে পান চাষাড়ে খায়,
গুয়াবনে পান গড়াগড়ি যায়।
৬১। ইঁদুর গর্ত খুঁড়ে মরে,
সাপ এসে দখল করে।
৬২। বাহিরে কোচার পত্তন,
ভিতরে ছুঁচোর কেত্তন।
৬৩। উই, ইঁদুর, কুজন, ডাল ভাঙে তিনজন,
সুচ, সোহাগা, সুজন, ভাল করে তিনজন।
৬৪। উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট,
উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট।
৬৫। উদ্যমেন হি সিধ্যন্তি কার্যানিন মনোরথৈঃ।
নহি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ।
(অনুবাদ : কেবল সংকল্পের দ্বারা কার্য সিদ্ধ হয় না, কার্যের জন্য চেষ্টা থাকাও দরকার। সিংহ নিদ্রিত থাকলে শিকার কখনো তার মুখে আপনা থেকে প্রবেশ করে না।)
৬৬। উপোস করলে যাবে দিন,
ধার করলে হবে ঋণ।
৬৭। যাবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ।
ভস্মীভূতস্য দেহস্য পুনরাগমনং কুতঃ।।
(অনুবাদ : যতদিন জীবিত থাকবে, ঋণ করে হলেও ঘি খাবে। কারণ এই দেহ মৃত্যুর পর ভস্মীভূত করে ফেললে আর কখনো ফিরে আসবে না।)
৬৮। ঋণ কর্তা পিতা শক্ৰমাতা চ ব্যাভিচারিণী।
ভাৰ্য্য রূপবতী শত্রু পুত্র শত্রুরপণ্ডিতঃ।
(অনুবাদ : ঋণকারী পিতা, কুলটা মাতা, রূপবতী স্ত্রী এবং মূর্খ পুত্র–এরা পরমাত্মীয় হলেও মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু।)
৬৯। এই বেলা নাও ঘর ছেয়ে,
আকাশে দেখ মেঘ চেয়ে।
৭০। এঁটে ধরলে চিচি করে,
ছেড়ে দিলে লম্ফ মারে।
৭১। এক কলসি জল তুলে কাকালে দিলে হাত,
এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত।
৭২। এক কাটে ভারে, আর কাটে ধারে।
৭৩। এক কান কাটা শহরের বার দে যায়,
দু’কান কাটা গায়ের ভিতর দে যায়।
৭৪। এককাল ঠেকেছে, তিনকাল গিয়ে,
তবু আবার করবে বিয়ে।
৭৫। এক গাঁয়ের কুকুর, আর গাঁয়ের ঠাকুর।
৭৬। একচোখো মাসি, কারে ভালোবাসি।
৭৭। এক ছেলে যার, বাপের ঠাকুর তার।
৭৮। এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা।
৭৯। এক ঝিকরে মাছ বেঁধে সে-ই বা কেমন বড়শি
এক ডাকেতে সাড়া দেয় না, সে-ই বা কেমন পড়শি।