পাসকেল
১০৪. নিন্দা না থাকিলে পৃথিবীতে জীবনের গৌরব কি থাকিত? একটা ভালো কাজে হাত দিলাম, তাহার নিন্দা কেহ করে না, সে ভালো কাজের দাম কী!…শিকার কিছুমাত্র সুখের হইত না, যদি মৃগ যেখানে-সেখানে থাকিত এবং ব্যাধকে দেখিয়া পালাইয়া না যাইত!.. মানুষের চরিত্রে, বিশেষত তাহার দোষগুলি ঝোঁপঝাড়ের মধ্যেই থাকে এবং পায়ের শব্দ শুনিলেই দৌড় মারিতে চায়, এজন্যই নিন্দায় এত সুখ!… তুমি তোমার যে অংশটা দেখাইতে চাও না, আমি সেইটাকেই তাড়াইয়া ধরিয়াছি!.. যাহা লুকায় তাহাকে বাহির করা, যাথা পালায় তাহাকে বাঁধা, ইহার জন্য মানুষ কী না করে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০৫. আজ হয়তো এটি আগুন–কাল হয়ে যাবে ছাই।
আরবি প্রবাদ
১০৬. একিলিস বেঁচে আছে স্রেফ হোমারের দয়ায়। লেখায় সমস্ত শিল্পকৌশল মুছে ফেলা হোক পৃথিবী থেকে, হয়তো একই সঙ্গে মুছে যাবে তাঁর গৌরবও।
–শাতোব্রিয়ী
১০৭. যে না জেনে সম্মান দেখায় তার সম্মানে গর্ববোধ করার কিছু নেই।
স্যামুয়েল জনসন
১০৮. পরনিন্দা বড় পাপ। কিন্তু অত্যাচারিত ও নির্যাতিত ব্যক্তি অত্যাচারীর অত্যাচার সম্বন্ধে লোকের নিকট কিংবা বিচারকের নিকট নিন্দা করলে, বিচারক নরপতি বা নেতার অবিচার, অত্যাচার বা উৎকোচ গ্রহণ সম্বন্ধে লোকমুখে নিন্দা করলে, ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচার কার্যকারীর নিন্দা করলে পরনিন্দা হয় না!
–আল-হাদিস
১০৯. যাহারা সংসার হইতে চলিয়া গিয়াছে তাহাদের দোষকীর্তন করিও না।
–আল-হাদিস
১১০. একজন মহৎ ব্যক্তিত্বই নামের জন্য বাঁচতে চায় এবং নামের জন্য মরতে চায়।
জি. পি. ল্যাথরপ
১১১. জীবনের গৌরবময় একটি ঘণ্টা, নামহীন দীর্ঘ সময়ের চেয়ে শ্রেয়।
স্কট
১১২. যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ কর, তবুও অন্যকে সেটা বুঝতে দেবে না।
১১৩. অন্যকে অপমান করাটা কালো মুদ্রার মতো। এর দ্বারা আমরা কারও বা নিজের কোনো উপকার করতে পারি না।
সিনেকা
১১৪. যে অনেক বন্ধু পোষে, যে-কারও সঙ্গে দেখা হোক সবারই যে পিঠ চাপড়ায়, বুঝতে হবে তার কোনো বন্ধু নেই।
অ্যারিস্টটল
১১৫. অনেকের সঙ্গে যে মেশে, বহু অপছন্দের জিনিস মেনে নেয়ার জন্যে তাকে প্রস্তুত থাকতে হয়।
–জেমস বসওয়েল
১১৬. আমাদের সংস্কৃতিতে তাকেই সকলে পছন্দের লোক মনে করে, যর মধ্যে আছে জনপ্রিয় হওয়ার স্বভাব আর যৌন আবেদনের মিশ্রণ।
–এরিক ফ্রম
১১৭. অপমান হচ্ছে এমন এক ধরনের মুদ্রা যা দিয়ে কাউকে সাহায্য করা যায় না, নিজের জীবনেই যা প্রযোজ্য।
টিমন
১১৮. আপনারে বড় বলে বড় সে নয়,
লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
১১৯. আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে চেয়ো না বড় কিছু
আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে করো না নিজেরে নিচু।
কাজী নজরুল ইসলাম
১২০. তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ
তাই এক জীবনের রথ
পশ্চাতে ফেলিয়া যায় কীর্তিরে তোমার।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২১. বোকার গলায় ঘন্টা বাঁধার দরকার হয় না।
–ডেনিশ প্রবাদ
১২২. বোকার চুল কখনো পাকে না।
–ইংরেজি প্রবাদ
১২৩. এমন অনেকেই আছেন প্রতিবেশীরা কী ভাববে এই ভেবে যারা ভয় পান আত্মহত্যা করতে।
সিরিল কনোলি
১২৪. কোনো কাজ যদি আপনাকে পরিচিত না করে, সে-কাজ কখনো করবেন না।
ইমারসন
১২৫. জীবন এক প্রজন্মের, সুনাম চিরস্থায়ী।
জাপানি প্রবাদ
১২৬. মৃত্যু ছোট একটি শব্দ। কিন্তু মৃত্যুকে জয় করতে হলে এমন কিছু কাজ করে যেতে হবে, যাতে মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে।
–আর. এইচ. বারহাম
১২৭. আমি যা তার জন্যে আমি ঘৃণিত হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু আমি যা নই, তার জন্যে শ্রদ্ধাভাজন হতে চাই নে।
আদ্রে জিদ
১২৮. খ্যাতিকে ধরে রাখতে জানলে তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবেই।
টমাস স্পার্ট
১২৯. খ্যাতি হচ্ছে ঘূর্ণায়মান চাকতির উপর রক্ষিত গোলাকার বস্তুর মতো।
টমাস ফুলার
১৩০. পরিচিত অনেকেই হতে পারে, কিন্তু সুপরিচিত হতে অতিরিক্ত গুণের প্রয়োজন।
টমাস বুকম্যান
১৩১. প্রায়শই যোগ্যতা ছাড়াই খ্যাতি পাওয়া যায়, আর কোনো ত্রুটি ছাড়াই তা হারায়।
ইংরেজি প্রবাদ
১৩২. আমাদের নিজেদের জীবন ও অস্তিত্ব নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই; আমরা চাই অন্যদের কল্পনায় বাস করতে, আর তাই আমরা সাফল্য অর্জন করি।
–পাসকেল
১৩৩. কখনো সুখ্যাতি অর্জন না করার চাইতে তা হারানো অনেক বেশি লজ্জাজনক।
ইয়াদার
১৩৪. তুমি যদি তোমার নিজের খ্যাতিকে উচ্চমূল্য দাও, তবে সদ্গুণসম্পন্ন ব্যক্তিগণের সাথে মেশো। কারণ মন্দ সাহচর্যের চাইতে একাকীত্ব অনেক শ্রেয়।
জর্জ ওয়াশিংটন
১৩৫. প্রচুর ধনসম্পদের চাইতে বরং যশ বেশি পছন্দ হওয়া উচিত। বাইবেল ১৩৬. নিজেকে অন্যের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। –ডেল কার্নেগি ১৩৭. স্মৃতি হবার আশায় মানুষ বেঁচে থাকে।
আস্তোনিও পোরচিয়া
১৩৮. অর্থ ও যশ মানুষের জীবনে সব নয়। স
–স্কট
১৩৯. আত্মবিশ্বাস, আত্মজ্ঞান, আত্মনিয়ন্ত্রণ–শুধুমাত্র এই তিনটিতেই মানুষ রাজকীয় সম্মানের অধিকারী হতে পারে।
টেনিসন
১৪০. পৃথিবীতে দুটো কাজ খুবই শক্ত–একটা হচ্ছে নিজের জন্য খ্যাতি অর্জন করা, অপরটি হচ্ছে সেটা আগাগোড়া ধরে রাখা।
রবার্ট সুম্যান
১৪১. কেউ যদি জনপ্রিয় হতে চায়, তবে তাকে দুটি কাজ করতে হবে। একটি হচ্ছে সুনামের উচ্চ মূল্যায়নের জন্য যাবতীয় জনকল্যাণের কাজ করা এবং সদ্গুণান্বিত ব্যক্তিদের সাথে মেশা।