১৯৬. সাধনার কোনো কোনো ব্যাপারে যদি প্রথমবারে ব্যর্থমনোরথ হও,পরাশ্রুখ হয়ো না–বারে বারে আঘাত করো, দুয়ার ভেঙে যাবে। তাড়াতাড়ি না করে ধীরে ধীরে অগ্রসর হও, ধরে থাকো, ক্রমশ তোমার শক্তি ও সুবিধা বাড়তে থাকবে।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৯৭. অধিকারলাভের যে মর্যাদা আছে সেই মর্যদা রক্ষা করিতে হইলে অধিকার প্রয়োগকে সংযত করিতে হয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৮. যে মরিতে জানে, সুখের অধিকার তাহারই। জয় করা, ভোগ করা তাহাকেই সাজে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৯. দূরত্ব অতিক্রিম করার মতো সাহস ও শক্তি না থাকলে সে দূরত্বকে দূরত্বই মনে হবে।
অজ্ঞাত
২০০. অলসরাই অপারগতার কথা বলে। সবল যারা তারা ছিনিয়ে জয় করে আনে।
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
২০১. পারব না এটা একটা খোঁড়া যুক্তি। কেন পারব না এটা পুরুষকার যুক্তি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০২. যারা মূর্খ, যারা কোনকালেই কিছু করবে না, তারাই শুধু বলে অসম্ভব। এ জগতে মানুষের কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই, কিছু থাকতেও পারে না। পৃথিবীর কোথাও অসম্ভব নেই, আছে শুধু যারা মূর্খ, যারা অলস তাদের অভিধানে।
নেপোলিয়াম বোনাপার্ট
২০৩. ভীরু ও দ্বিধাগ্রস্তের কাছে সব কিছুই অসম্ভব বলে মনে হয়।
স্কট
২০৪. সব অসম্ভব একদিন সম্ভব হয়ে দেখা দেয়।
গ্যালিলিও
২০৫. প্রত্যেক মহৎ কাজের সূচনাতেই অসম্ভব এসে পথরোধ করে। যারা দক্ষ ও অধ্যবসায়ী, তাদের কাছে খুব কম জিনিসই অসম্ভব বলে মনে হয়।
স্যামুয়েল জনসন
২০৬. যাহারা মানুষকে দুর্গম পথে ডাকেন, মানুষ তাহাদিগকে শ্রদ্ধা করে, কেননা মানুষকে তাঁহারা শ্রদ্ধা করেন। তাঁহারা মানুষকে দীনাত্মা বলিয়া অবজ্ঞা করেন না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০৭. জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে এই সত্যের মধ্যে যে, জীবনকে একটি শর্তেই ধরতে হবে, সেটা এই যে, শেষ পর্যন্ত তার জন্য লড়াই করতে হবে।
ডিকেন্স
২০৮. যে-কোনো মহৎ কাজ সম্পন্ন করার পূর্বে তোমাকে প্রথমে সংগ্রাম করতে হবে।
–জে. জি. হল্যাণ্ড
২০৯. আত্মবিশ্বাসই হলো বীরত্বের নির্যাস।
ইমারসন
২১০. যাহার আত্মবিশ্বাস নাই, তাহার অন্য গুণ যতই থাকুক না কেন, চিরকাল আশ্রয়হীনা লতার ন্যায় শোচনীয় দুর্গতিগ্রস্ত হইয়াই কাল কাটাইবে।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
২১১. যখনই কোনো ব্যক্তি বা জাতি আত্মবিশ্বাস হারায় তখনই তাহার বিনাশ।
–ইসমাইল হোসেন সিরাজী
২১২. নিজের শক্তি-সামর্থ্যের ওপর যার বিশ্বাস নেই, সে ব্যর্থ হবেই।
রিজিয়া রহমান
২১৩. শক্তির চেয়ে আত্মবিশ্বাস বড়ো।
শংকর
২১৪. আত্মবিশ্বাসের কোনোই বিকল্প নেই জীবনে। আত্মবিশ্বাস কোনোদিন বালি বা দলাদলির উপর গড়ে ওঠে না।
বুদ্ধদেব গুহ
২১৫. যে পালায়, সে আবার লড়বে।
অরতুলিয়ান
২১৬. সংগ্রামের ইতিহাস হচ্ছে মূলত প্রতিরোধের ইতিহাস।
জন ম্যাকি
২১৭. গণসংগ্রাম সর্বোৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে দ্রুত পদ্ধতি, যদিও জনগণকে রাজনৈতিক শিক্ষাদান সম্ভবত একটি বেদনাদায়ক ব্যাপার।
–জওহরলাল নেহরু
৩০. যশ ও অপযশ
১. যশ হলো মহৎ কাজের সুগন্ধি।
সক্রেটিস
২. যা মানবজাতির সুখ বর্ধন করে, তেমন কর্মের ভিত্তি ছাড়া কোনো সত্যিকার খ্যাতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
চার্লস সামনার
৩. নিজেকে বড় মনে করা অন্যায়। কেননা, বড়ত্ব একমাত্র আল্লাহরই সম্পদ।
ইমাম গাজ্জালি (র.)
৪. প্রশংসা হচ্ছে আদর্শের ছায়া।
–এম. এফ. টুপার
৫. পরের প্রশংসা পেতে হলে, অপরকে প্রশংসা করতে হয়।
বি. সি. রায়
৬. কারও সীমাতিরিক্ত প্রশংসার নাম চাটুকারিতা এবং যতটুক প্রাপ্য তার কম প্রশংসা করার নাম হিংসা। সুতরাং যার যতটুকু প্রাপ্য ততটুকু প্রশংসাই করো, কমবেশি কোরো না।
–হযরত আলি (রা.)
৭. প্রত্যেকেই প্রশংসা চায়।
লিংকন
৮. যশ ধৈর্য ও সাধনার সন্তান।
–মেসফিল্ড
৯. বোকা লোকদের প্রশংসা থেকে তুমি আমাকে সর্বদা দূরে রেখো।
–বেন জনসন
১০. যে নিজের প্রশংসার পঞ্চমুখ, সে মস্ত আহাম্মক।
কুইন্টিলিয়ান
১১. সমস্ত নিকৃষ্ট কর্ম একত্রে করিলেও রসনার একটি নিন্দাবাদের প্রায়শ্চিত্ত হইবে।
–আল-হাদিস
১২. নাম মানুষকে বিখ্যাত করে না, বরং মানুষ বিখ্যাত হলেই তার নাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
ডেভিড এভারেট
১৩. আমরা সবাই চালিত হই প্রশংসিত হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছায়। আর উত্তম লোক তিনিই যিনি গৌরবময় হওয়ার ইচ্ছায় চালিত হয়েছেন বেশি। এমনকি দর্শনিকেরা পর্যন্ত, তাঁদের সুখ্যাতি পাওয়ার কামনায় লেখা বইগুলোতেও, তুলে ধরেছেন নিজের নিজের নাম।
সিসেরো
১৪. আপন শ্রদ্ধা অর্জনের অধিকতর সুযোগ লাভকারী ব্যক্তি সবচেয়ে সুখী।
স্যামুয়েল জনসন
১৫. গৌরব এলে স্মৃতি পালায়।
ফারাসি প্রবচন
১৬. গৌরবের পথ চলে কবরের দিকে।
টমাস গ্রে
১৭. আত্মমর্যাদা হারালেই লোকের শ্রদ্ধা হারাবে। উদার হও, লোকের হৃদয় জয় করতে পারবে। সত্যবাদী হও, লোকের বিশ্বাস পাবে।
কনফুসিয়াস
১৮. আমি আমার নিজের প্রশংসা নিজে করি না বলে, লোকে আমাকে সম্মান দেয় বেশি।
ক্যালডিরন
১৯. এমনকি বোকা লোকও যতক্ষণ চুপ করে থাকে, জ্ঞানবান বলে মর্যাদা পেয়ে থাকে।
বাইবেল
২০. সুনাম মূল্যবান মলম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
বাইবেল
২১. সুন্দর নির্মল ব্যবহার এবং অবিরাম কর্তব্যসাধনে মানুষ মৃত্যুর পরও নিজের স্থায়ী সিংহাসনে ইতিহাসের বুকে সমাসীন থাকে।