কাজী নজরুল ইসলাম
১৬১. আমি একজন লুপ্তগর্ব রাজার তনয়
এত অন্যায় সহ্য করব কোনোমতে নয়–
তাই আমি যেতে চাই সেখানেই যেখানে পীড়ন
যেখানে ঝলসে উঠবে আমার অসির কিরণ।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
১৬২. দুর্বার তরঙ্গ এক বয়ে গেল তীব্র বেগে,
বলে গেল? আমি আছি যে মুহূর্তে আমি গতিমান;
যখনি হারায় গতি সে মুহূর্তে আমি আর নাই।
ইকবাল
১৬৩. শুনিতেছি আমি শোন ঐ দূরে তূর্যনাদ
ঘোষিছে নবীন ঊষার উদয় সুসংবাদ।
ওরে ত্বরা কর। ছুটে চল আগে আরো আগে।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৬৪. কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ
উদ্যাম বিহনে কার পুরে মনোরথ।
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
১৬৫. যে-হাতে সন্ধির সফেদ পতাকা রয়েছে তা বড়ই পবিত্র হাত। কিন্তু পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার তারই রয়েছে যার হাতে রক্তলোলুপ তরবারি রয়েছে। এটাই হচ্ছে সব জাতীয় জীবনের উৎস, ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সূত্র। মানবীয় হিংস্র ও কঠোরতার প্রতিকার এবং নিপীড়িতের আত্মরক্ষার একমাত্র ঢাল। মওলানা আবুল কালাম আজাদ
১৬৬. আমাদের ক্ষমতা আশাতীতভাবে আমাদের সাহায্য করে।
উইলিয়াম জেমস
১৬৭. নাহি ভয় নাহি ভয় আর–
পশুর পাশব-বল অজ্ঞানের শত অত্যাচার
অক্ষমের বক্ষ-হানা রুধিরক্ত ভীমখড়গ-ভার
দুঃখ-দুস্থ দুর্বলের হৃদি-রক্তপান
আজি তার চির অবসান।
–বেনজীর আহমদ
১৬৮. ভাগ্যের পায়ে দুর্বল প্রাণে ভিক্ষা না যেন যাচি
কিছু নাই ভয়, জানি নিশ্চয় তুমি আছ, আমি আছি।
উড়াব ঊর্ধ্বে প্রেমের নিশান দুর্গম পথ মাঝে
দুর্দম বেগে, দুঃসহতম কাজে।
রুক্ষ দিনের দুঃখ পাই তো পাব,
চাই না শান্তি, সান্ত্বনা নাহি চাব।
পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি ছিন্ন পালের কাছি।
মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব তুমি আছ, আমি আছি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৬৯. আগুনকে যে ভয় করে সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭০. আত্মবিশ্বাসহীন পাখায় ভর করে আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করা যায় না।
শেক্সপীয়ার
১৭১. আদর্শের লড়াইয়ে মানুষ কখনো পিছপা হতে পারে না। আর আদর্শের লড়াইই প্রকৃত লড়াই।
–এডমন্ড বার্ক
১৭২. আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোনো কাজেই কৃতিত্ব দেখানো যায় না।
থিওডোর মুর
১৭৩. আত্মবিশ্বাসই বীরত্বের মূলমন্ত্র।
ইমারসন
১৭৪. তুমি সবকিছু করিতে পার, অনন্ত শক্তিকে বিকশিত করিতে যথোচিত যত্নবান হও না বলিয়াই বিফল হও। যখনই কোনো ব্যক্তি বা জাতি আত্মবিশ্বাস হারায়, তখনই তাহার বিনাশ।
–স্বামী বিবেকানন্দ
১৭৫. অভিযান সেনা আমরা ছুটি দলে দলে
বনে নদীতটে গিরি সংকটে জলে-স্থলে
পতিত করিয়া শুষ্ক বৃদ্ধ অটবীরে
বাঁধ বাধি দুস্তর খরস্রোতা নীরে?
কাজী নজরুল ইসলাম
১৭৬. জীবনের সর্ব গ্লানি সকল জড়তা দৈন্য বাধা
বিচূর্ণিত করি
আবির্ভূত হও তুমি যত কিছু ক্লেদ বিঘ্ন
বাধা দূরে অপসরি।
রাধারানী দেবী
১৭৭. নিজের সঙ্গে যতক্ষণ না যুদ্ধ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আত্মোপলব্ধি ঘটে না।
জন গে
১৭৮. যে তার সুন্দর আকাঙ্ক্ষাগুলোকে চরিতার্থ করতে পারে সে-ই প্রকৃতপক্ষে সাহসী।
স্যামুয়েল রজার
১৭৯. জীবনকে গড়তে হলে ঝুঁকি নিতেই হবে।
উইলিয়াম ওয়াকার
১৮০. ধৈর্যই মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি সফলতা আনতে পারে।
–টেরেস
১৮১. যারা অধিকারের কথা বলে এবং অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে তারা সকলের নিকটই সহজবোধ্য।
–হেনরিক ইবসেন
১৮২. জীবনে যেমন উন্নতি আছে, তেমনি ভোগান্তিও থাকবে।
লিওনার্ড রাইট
১৮৩. যে সংগ্রাম করে সে পরাজিত হলেও মন খারাপ করে ন।
–রাবর্ট ফ্রস্ট
১৮৪. যার আত্মবিশ্বাস আছে, সে একদিন জয়ী ও কৃতকার্য হবেই।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৮৫. হয় অবিশ্রাম চলো এবং জীবনচর্চা করো, নয় বিশ্রাম করো এবং বিলুপ্ত হও, পৃথিবীর এইরূপ নিয়ম।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮৬. আলস্য ঝেড়ে ফ্যালো। উঠে দাঁড়াও। মন স্থির করে দৌড় দাও। তুমি অবশ্যই তোমার গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।
—ডেল কার্নেগি
১৮৭. আলস্য আমাদের পিছিয়ে দেয়। আলস্যের পায়ে কুড়াল মারো।
প্লেটো
১৮৮. লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাতেই গৌরব নিহিত, লক্ষ্যে পৌঁছানোতে নয়।
মহাত্মা গান্ধী
১৮৯. চতুর এবং বুদ্ধিমানেরাই চিরকাল জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়। সফল হয়। বোকারা কুয়োর মধ্যে পড়ে থেকে কেবলই হা-হুঁতাশ করে। চাঁচায়। অভিযোগ জানায়। কিন্তু তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পায় না।
–আলবার্তো মোরাভিয়া
১৯০. ফুলিঙ্গের সঙ্গে শিখার যে প্রভেদ উত্তেজনার সঙ্গে শক্তির সেই প্রভেদ। চকমকি ঠুকিয়া যে স্ফুলিঙ্গ বাহির হইতে থাকে, তাহাতে ঘরের অন্ধকার দূর হয় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯১. উত্তেজনা শক্তিকে ক্ষয় করে।
–আফরা বেন
১৯২. শক্তিকে সুলভ করিয়া তুলিবার চেষ্টায় মানুষ উত্তেজনার আশ্রয় অবলম্বন করে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৩. দুর্বলের পক্ষে সবলের অনুকরণ ভয়াবহ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৪. যারা ভীরু, কাপুরুষ–তারা কখনেই অগ্রসর হতে পারে না।
স্টমাস হার্ডি
১৯৫. অপর ব্যক্তির কোলে-পিঠে চড়িয়া অগ্রসর হওয়ার কোনো মাহাত্ম নাই– কারণ চলিবার শক্তি লাভই যথার্থ লাভ, অগ্রসর হওয়া মাত্র লাভ নহে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর