–পাবলো নেরুদা।
১৩১. দিনগুলি মেঘাচ্ছন্ন
মৃত্যুর খবর দিচ্ছে দিনগুলি
দুশমনেরা নিষ্ঠুর
হৃদয়হীন শয়তান
লড়াইতে প্রাণ দিচ্ছে আমাদের লোকগুলো
অথচ বাঁচবার কথা তাদেরই।
নামিজ হিকমত
১৩২. পৃথিবীতে বিপ্লবের কারণ বহুদূর পর্যন্ত ব্যাপক হয়ে থাকে; কিন্তু এরা একটা জায়গায় ঘনীভূত হয়ে ওঠে। সমস্ত শরীরের রক্ত দূষিত হয়ে উঠলে এক একটা দুর্বল জায়গায় ফোড়া হয়ে লাল হয়ে ওঠে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩৩. সংগ্রাম করে বাঁচাটাই সত্যিকার বাঁচা।
উইনস্টন চার্চিল
১৩৪. জীবনের সবচাইতে মূল্যবান জিনিস হচ্ছে সংগ্রাম। সাধনার সাফল্যে পৌঁছানোর চাইতেও প্রয়োজনীয়।
–ফ্রিৎস ল্যাং
১৩৫. ভয়ের কারণটাকে ভয় করা ভালো।
যতক্ষণ তাহা অনাগত,
ভয়ের কারণ যদি ঘাড়ে এসে পড়ে
নাশো তারে নির্ভীকের মতো।
চাণক্য পণ্ডিত
১৩৬. প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায়, কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।
এজন রে
১৩৭. প্রতিবাদ যে করতে জানে না, প্রতিকার তার আশা করা উচিত নয়।
জন অ্যাডামস
১৩৮. আমি অবিনশ্বর! আমাদের একজন যায়, একশত জন আসে। আমাদের এক বিন্দু রক্ত ভূতলে পড়লে এক লক্ষ বিদ্রোহী নাগশিশু বসুমতী বিদীর্ণ করে উঠে আসে।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৩৯. নও কারবালা বুকেতে অশ্রু ঝড়েছে ক্রন্দসীর
অসহায় জাতি ছিড়িবারে চায় জুলুমের জিঞ্জির।
আজিজুল হাকিম
১৪০. শোষকশ্রেণীর মুখের উপর সত্য ও ন্যায়ের কথা বলাটাই বিপ্লব।
রবার্ট হিথ
১৪১. মশা মেরে ঐ গরজে কামান–বিপ্লব মারিয়াছি
আমাদের ডান হাতে হাতকড়া বাম হাতে মারি মাছি।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৪২. ভীতুরা নিষ্ঠুর হয় কিন্তু সাহসীরা ক্ষমা করতে ও অন্যকে রক্ষা করতে জানে।
–জন গে
১৪৩. বাধা পেলে নিজেকে চিনতে পারে, চিনতে পারলেই আর ঠেকানো যায় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪৪. মহৎ কাজ করে যশ অর্জন করতে হলে প্রথম থেকেই সংগ্রাম করতে হবে।
–হোমার
১৪৫. ভালোই করেছো তোমরা এমনি করে
আমাদের ভয় দেখিয়ে নেহাৎ
বন্ধুর কাজ করেছে।
তোমরা ভয় না দেখালে
আমাদের ভয় ভাঙতো কেমন করে?
ভালোই করেছো তোমরা এমনি করে
আগুন জ্বালিয়ে ভালোই করেছে।
তোমরা আগুন না দিলে
আমরা রাগে ও ঘৃণায়
জ্বলে উঠতাম কখনো এমন করে?
ভালোই করেছো তোমরা এমনি করে
আমাদের মেরে পথ দেখিয়েছে।
তোমরা যদি না মারতে
আমরা এমন সহজে
মৃত্যুকে পার হতাম কেমন করে?
–আবুল হোসেন
১৪৬. মনের চাঞ্চল্য ও ধৈর্যশূন্যতা মানুষের অনিষ্টের মূল। বছরের পর বছর চলে যাক–পল্লীর শান্ত শীতল গৃহের বারান্দায় বসে তুমি তোমার পবিত্র নিরীহ জীবন, তোমার কার্য, তোমার জ্ঞানানুশীলনের সাধনা দিয়ে কাটিয়ে দাও। কি ব্যবসা ক্ষেত্রে, কি শারীরিক পরিশ্রমে, পাঠকার্যে কখনো ধৈর্য হারিও না। যেতে দাও বছরের পর বছর। তোমার জন্য গৌরব অপেক্ষা করছে।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৪৭. সাহস অসুবিধার হ্রাস ঘটায়।
–ডেমোক্রিটাস
১৪৮. সাহসী ব্যক্তিরা জয় করতে জানে, ক্ষমা করতে জানে, ভালোবাসতে জানে এবং আনন্দ দিতে জানে।
ম্যারিডন
১৪৯. পৃথিবীর অধিকারে বঞ্চিত যে ভিক্ষুকের দল–
জীবনের বন্যাবেগে তাহাদের করো বিচঞ্চল।
অসত্য অন্যায় যত ডুবে যাক, সত্যের প্রাসাদ
পিয়ে লভ অমৃতের স্বাদ।
অজস্র মৃত্যুরে লঙ্ঘি; হে নবীন, চলো অনায়াসে
মৃত্যুঞ্জয়ী জীবন-উল্লাসে।।
আব্দুল কাদির
১৫০. দুর্গম গিরি, কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার।
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?
কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।
তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান।
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৫২. যুদ্ধের সম্মুখীন হবার মতো সাহস যাদের আছে তাদের বরাতেই মহত্ত্বের চিহ্ন আঁকা হয়।
মুসোলিনি
১৫৩. আমরা চলি সম্মুখ পানে
কে আমাদের বাধবে রইল যারা পিছুর টানে,
কাদবে তারা কাঁদবে। ছিঁড়ব বাধা রক্তপায়ে,
চলব ছুটে রৌদ্রে ছায়ে,
জড়িয়ে ওরা আপন পায়ে
কেবল ফাঁদ ফাঁদবে।
কাঁদবে ওরা কাঁদবে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫৪. যে ক্ষমতাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না তার ক্ষমতা অর্থহীন।
হ্যারি উইলসন
১৫৫. একজনমাত্র সাহসী ব্যক্তি সংখ্যাগরিষ্ঠের সমতুল্য।
এন্ড্রু জ্যাকসন
১৫৬. সাহসীরা অন্যকে বিপদ থেকে রক্ষা করে আনন্দ পায়।
জন গে
১৫৭. সাহসীরা ক্ষমা করে এবং অন্যকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে বেশি আনন্দ পায়।
স্যালভিলি
১৫৮. কন্টকময় অরণ্য পার হতে কাটা পায়ে ফুটবেই
কিন্তু অরণ্য তো পার হতে হবেই।
টফিল
১৫৯. উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই,
নিঃশেষে প্রাণ, যে করিবে দান,
ক্ষয় নাই, তার ক্ষয় নাই।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৬০. মিথ্যাকে মিথ্যা বললে, অত্যাচারীকে অত্যাচারী বললে যদি নির্যাতন ভোগ করতে হয়, তাতে তোমার আসল নির্যাতন ঐ অন্তরের যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না। প্রাণের আত্মপ্রসাদ যখন বিপুল হয়ে ওঠে, নির্যাতনের আগুন ঐ আনন্দের এক ফুতে নিভে যায়।