কাজী আকরাম হোসেন
১০৭. বিল্পব মানে আমূল পরিবর্তন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১০৮. মানুষ তখনই বিপ্লবে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যখন সে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
ডানিং
১০৯. বিপ্লব তৈরি হয় না, বিপ্লব ঘটে।
ওয়েনডেল ফিলিপস
১১০. যুদ্ধের মাঠে ভীতুর উপস্থিতি গণনার বাইরে।
ই. এম. রুট
১১১. মুমিনগণ, তোমারা সংগ্রামে ধৈর্য ধারণ করো, অন্যকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করো ও দৃঢ়তা প্রদর্শন করো। আল্লাহর ভয় অন্তরে স্থান দাও। অবশ্যই তোমরা জয়যুক্ত হবে।
–আল-কোরআন
১১২. যুদ্ধের সময় শত্রুকে ছোট করে না দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এ ছাড়া তার পন্থা ও মনের ভাব জানাও একান্ত আবশ্যক। তা জানা থাকলে আগেই তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে সময় থাকতে তাকে যথোচিতভাবে বাধা দেবার চেষ্টা করা যায়।
এলিডেল হান্ট
১১৩. পৃথিবীতে যে শক্তিমান কেবলমাত্র তারই পৃথিবী ভোগ করার অধিকার রয়েছে। দুনিয়াতে দুর্বলের কোনো স্থান নেই।
ইকবাল
১১৪. সংসার সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ় পণে
ভয়ে ভীত হয়ো না মানব।
কর যুদ্ধ বীর্যবান যায় যাবে যাক প্রাণ,
মহিমাই জগতে দুর্লভ।
–হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
১১৫. আমাদের এখন আবশ্যক শক্তিসঞ্চার। আমরা দুর্বল হইয়া পড়িয়াছি। সেইজন্যই আমাদের মধ্যে এই সকল গুপ্তবিদ্যা, ভুতুড়ে কাণ্ড সব আসিয়াছে। উহাদের মধ্যে অনেক মহান সত্য থাকিতে পারে, কিন্তু ঐগুলিতে আমাদিগকে প্রায় নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছে।
–স্বামী বিবেকানন্দ
১১৬. আমের মাঝখানটাতে থাকে আঁটি, সেটা মিষ্টিও নয়, নরমও নয়, খাদ্যও নয়, কিন্তু ঐ শক্তটাই সমস্ত আমের আশ্রয়, ওইটাতেই সে আকার পায়। –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১১৭. চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণীতল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চলরে চলরে চল
চল্ চল্ চল্।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত,
বাধার বিন্ধ্যাচল।
কাজী নজরুল ইসলাম
১১৮. যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতিই সবচেয়ে কার্যকরভাবে শান্তিরক্ষার উপায়।
জর্জ ওয়াশিংটন
১১৯. জীবনের মালিক তুমি–দুঃখ-বেদনা ও অভাবকে বাধা না মনে করে সেগুলিকে বরং আশীর্বাদরূপে ধরে নাও। কিছুই তোমার গতিকে রোধ করতে পারবে না। যেমন করে তোক তুমি বড় হবেই। বুক ভেঙে গেছে, ভয় নাই। ভাঙা বুক নিয়ে খোদা ভরসা করে দাঁড়াও।
–ডা. লুৎফর রহমান
১২০. পর্বতের উচ্চশৃঙ্গ আর খরস্রোতা নদী
তুচ্ছ তোমাদের কাছে,
ভুলিয়াং পর্বতমালা ঐ আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে,
ঐ আবার নামছে, ঢালু হয়ে চলে গেছে
অনস্ত ঢেউয়ের মতো।
চারদিকে সবুজ ঘাসে ঢাকা ভুমেং পর্বতের পাদদেশ
স্বর্ণালু নদীর ঢেউ আছড়ে পড়েছে
কঠিন পাহাড়ের গায়ে।
মাও সে-তুং
১২১. পাপের সহিত সংগ্রাম করিতে না পারিলে পুণ্যের বল বাড়ে না।
শিবনাথ শাস্ত্রী
১২২. ওঠো সম্মুখে এবার এগিয়ে চলো
কাঁদুনে গ্যাস ও বোমার আঘাত
যতই যাতনা দিক
মৃত্যুর মত চাবুক চলিতে দাও
কোথা প্রদীপ্ত বিজয় বলতো ত্যাগের মূল্য বিনা?
শত বয়সের আর দাসত্ব নয়
আর নয় একটিও দিন একটি ঘণ্টা নয়।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
১২৩. আমরা যদি পুঞ্জীভূত অন্যায় ও উৎপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই তবে সেজন্য আমাদের মূল্য দিতেই হবে। আমাদের তা সাধন করতে পরিশ্রম, কষ্ট ও ত্যাগ, এমনকি যদি প্রয়োজন হয় নিজের ও অন্যের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে হবে।
–ফ্রেডারিক ডগলাস
১২৪. কী করে চূর্ণ হবে আমার বিশ্বাস?
বুলেটে ওড়াবে?
অর্থহীন বৃথাই খরচ হবে গুলি।
হৃদয়ের অন্তস্তলে
অভেদ্য বর্মে ঢাকা বিশ্বাস আমার
এ বর্মভেদী বুলেট
এখনো তৈরি হয়নি
তৈরি হয়নি আজো।
–তাপৎসারোব (বুলগেরিয়ান কবি)
১২৫. কমরেড আজ নবযুগ আনবে না?
কুয়াশা কঠিন বাসর যে সম্মুখে।
লাল উল্কিতে পরস্পরকে চেনা–
দলের টানো হতবুদ্ধি ত্রিশঙ্কুকে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়
১২৬. তোমার বীভংস হাত দুটো ক্ষতের ওপর চাপা
যতক্ষণ না রক্ত বার হয়
দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে
দারুণ যন্ত্রণা দিয়ে সহ্য করো,
এখন আশা বলতে শুধুমাত্র
একটা কর্কশ চিৎকার
দাঁত আর নখ দিয়ে
ছিনিয়ে নিতে হবে জয়
আমরা কিছুই ক্ষমা করব না।
–নাজিম হিকমত
১২৭. আমি দেখেছি কর্মরত স্বেদসিক্ত খনি-শ্রমিক
এবং দেখেছি কেমন ফুটে উঠেছে
কোদালের হাতে কাঠে শক্ত হাতের পূর্ণছাপ।
–পাবলো নেরুদা
১২৮. বিদ্রোহ মানে কাউকে না মানা নয়, বিদ্রোহ মানে যেটা বুঝি না সেটাকে মাথা উঁচু করে ‘বুঝি না’ বলা। যে লোক তার নিজের জন্য নিজের কাছে লজ্জিত নয়, সে ক্রমে উচ্চ হতে উচ্চতর স্বর্গের পথে উঠে চলবে। আর যাকে পদে পদে ফাঁকি অর। মিথ্যার জন্য কুণ্ঠিত হয়ে চলতে হয় সে ক্রমইে নীচের দিকে নামতে থাকে, এটাই তো নরক যন্ত্রণা।
কাজী নজরুল ইসলাম
১২৯. পরাধীন দেশের বড় অভিশাপ এই যে, মুক্তিসংগ্রামে বিদেশীদের অপেক্ষা দেশের লোকের সঙ্গেই মানুষকে বেশি লড়াই করিতে হয়। এই লড়াইয়ের প্রয়োজন যেদিন শেষ হয়, শৃখল আপনি খসিয়া পড়ে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৩০. ভাই আমার : এই লড়াই চলবে
আমাদের লড়াই চলবে দেশময়,
তৃণ প্রান্তর অথবা সোনার খনি
কারখানা ও কৃষি-খামারে
সড়কে চৌরাস্তায় চলবে লড়াই।