স্যার ওয়াল্টার স্কট
৭৫. ক্ষমতা না থাকলে শত্রুর সম্মুখীন হয়ো না।
–হযরত আলি (রা.)
৭৬. এদশে কৃষক আছে, এদেশে মজুর আছে জানি,
এদেশে বিপ্লবী আছে, জনরাজ্যে মুক্তির সন্ধানী।
দাসত্বের ধুলো ঝেড়ে তারা আজ আহ্বান পাঠাক,
ঘোষণা করুক তারা এ মাটিতে আসন্ন বৈশাখ।
তাই এ অবরুদ্ধ স্বপ্নহীন নিবিড় বাতাসে,
শব্দ হয় মনে হয়, রাত্রিশেষে ওরা যেন আসে।
ওরা আসে কান পেতে আমি তার পদধ্বনি শুনি।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
৭৭. সতেচনতা আমাদের সবাইকে কাপুরুষ বানিয়ে দিয়েছে।
শেক্সপীয়ার
৭৮. রাজা রাজত্বের জন্য সংগ্রাম করেন, আর একটি সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য, এক মুঠো ভাতের জন্য সংগ্রাম করে।
ম্যাকিউস
৭৯. মুক্ত মানুষের জীবন একটা চিরন্তন সংগ্রাম।
মুহম্মদ আকরাম খান
৮০. এ আগুন নির্ভীক
দাউ দাউ জ্বলবে
এ জীবন চায় আজ সংগ্রাম
দাসত্ব শৃঙ্খল ছিঁড়তে।
আহমদ মনসুর
৮১. গোলাপ জল দিয়ে না ধুয়ে কখনো সগ্রাম করা যায় না।
বুলওয়ার লিটন
৮২. শক্তিমানের শক্তির অধিকারের চেয়ে বড় অধিকার নাই। বিধাতা যে অধিকারের দাতা–শক্তিমানও সেই অধিকারে দণ্ডদাতা রাজা। সিংহ যে অধিকারে পশুরাজ–মানুষও সেই অধিকারে মানুষের ভাগ্যবিধাতা–প্রভু।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
৮৩. দৈন্য যদি আসে আসুক লজ্জা কিবা আছে?
মাথা উঁচু রাখিস।
সুখের সাথী মুখের পানে যদিও নাহি চাহে,
ধৈর্য ধরে থাকিস।
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
৮৪. মুক্ত করো ভয়
আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৫. অস্ত্র হচ্ছে যুদ্ধের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কিন্তু নির্ধারক উপাদান নয়, নির্ধারক উপাদান হচ্ছে মানুষ, বস্তু নয়। সামরিক ও অর্থনেতিক শক্তি অপরিহার্যরূপেই মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয়।
–মাও-সে-তুং
৮৬. আত্মসমর্পণ কখনো কখনো আত্মহননের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
লিউড বেকন
৮৭. ওহে দয়াময় কর আশীর্বাদ।
ঘুচে যাক কলহ বিবাদ
কোটি কোটি ভাই এক প্রাণ,
বরি দম্ভে করি আত্মবলিদান,
সাধি যেন সবে জাতীয় কল্যাণ,
হেন শক্তি আজি কর দান।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
৮৮. আমরা চলি পশ্চাতে ফেলি পচা অতীত
গিরিগুহা ছাড়ি খোলা প্রান্তরে গাহিব গীত
সৃজীব জগৎ বিচিত্রতর বীর্যবান,
তাজা জীবন্ত সে নবসৃষ্টি শ্রম-মহান
চলমান বেগে প্রাণ উচ্ছল।
কাজী নজরুল ইসলাম
৮৯. যে যুদ্ধ করে ও পালিয়ে যায়, সে অন্যদিকে যুদ্ধ করার জন্য বেঁচে থাকে। কিন্তু যে যুদ্ধে হত হয় সে আর কখনোই যুদ্ধ করতে পারে না।
অলিভার গোল্ডস্মিথ
৯০. আবু বকর ওসমান ওমর আলী হায়দার
দাঁড়ি এ যে তরণীর, নাই ওরে নাই ডর।
কাণ্ডারী এ তরণীর পাকা মাঝিমাল্লা
দাঁড়ী মুখে সারী গান ‘লা শরীক আল্লাহ্’।
কাজী নজরুল ইসলাম
৯১. জীবনসংগ্রামে ঘাত-প্রতিঘাত থাকবেই, তাই বলে মুষড়ে পড়াটা ভীরু, কাপুরুষতার লক্ষণ।
–বেকন
৯২. গতিই জীবন। গতির অভাব মৃত্যু। যুবশক্তি নিরন্তর গতিশীল। সেই যুবশক্তি জীবনের ভুয়োদর্শন দ্বারা পরিচালিত হলে পৃথিবীতে অসাধ্য সাধন করতে পারে।
–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
৯৩. অসত্যের আস্ফালন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু সত্য চিরকালের। বাংলাদেশের মানুষ একদিন সেই সত্যের জয়ধ্বনি করবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৯৪. হে নাবিক, আজ কোন্ সমুদ্রে
এল মহাঝড়,
তারি অদৃশ্য আঘাতে অবশ
মরু-প্রান্তর।
এই ভুবনের পথে চলবার
শেষ সম্বল
ফুরিয়েছে, তাই আজ নিরুক্ত
প্রাণ চঞ্চল।
আজ জীবনেতে নেই অবসাদ,
কেবল ধ্বংস; কেবল বিবাদ
এই জীবনের একী মহা উৎকর্ষ?
পথে যেতে যেতে পায়ে পায়ে সংঘর্ষ?
সুকান্ত ভট্টচার্য
৯৫. কারার ঐ লৌহ কপাট
ভেঙে ফেল কররে লোপাট,
রক্ত জমাট
শিকল পুজোর পাষাণ বেদী।
কাজী নজরুল ইসলাম
৯৬. রাজ্যের মধ্যে কখনো কখনো বিদ্রোহ দেখা দেওয়াটা ওষুধের মতো কাজ করে, এবং যে-কোনো সরকারকে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
জেফারসন
৯৭. বিপদ হল কঠোর শিক্ষাদাতা, অন্যের বিপদ দেখে বিপদ থেকে সাবধান হয়ে তোমার বিপদ যেন কারও শিক্ষার বিষয় না হয়।
শেখ সাদি
৯৮. যে-ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত হয় নাই সে প্রকৃত সহিষ্ণু হইতে পারে না, যেমন বহুদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা ব্যতীত কেহ সুচিকিৎসক হইতে পারে না।
–আল-হাদিস
৯৯. পৃথিবীর বহু পরাক্রান্ত জাতি ও সভ্যতা উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেও শুধুমাত্র দৈহিক শক্তিকে অবহেলা করার দরুন পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
রুডিয়ার্ড কিপলিং
১০০. রক্তে আমার লেগেছে আবার
সর্বনাশের নেশা
রুধীর-নদীর পার হতে ঐ
ডাকে বিপ্লব-হ্রেসা।
কাজী নজরুল ইসলাম
১০১. বিপদ ভয়কে ডেকে আনে ঠিকই, কিন্তু ভয়ই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিপদকে ডেকে আনে।
রিচার্ড বাক্সটার
১০২. বীরত্বের নির্যাস হল আত্মবিশ্বাস।
ইমারসন
১০৩. ভয় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ
১০৪. শত্রুকে যদি একবার ভয় কর তবে বন্ধুকে অন্তত দশবার ভয় করো, কারণ বন্ধু যদি কোনো সময় শক্র হয়, তখন তার কবল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না।
ইবনুল ফুরাত
১০৫. যে পেষণকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না সে নিজেকে ক্ষুদ্র কীটে রূপান্তরিত করে।
ইমানুয়েল কান্ট
১০৬. বিদ্রোহ? আগুন বিজলি মৃত্যু আন্ধি আমার নাম,
আছে পাছে শমন আমার হত্যালীলার নাই বিরাম,
জীবনের ওই বদনখানি মোর সম্মুখে হয় জরদ।
ক্রোধের আমার কুঞ্চনে নিখিল ভয়ে হয় সরদ।