কালিনিন
১৭. সংগ্রামী জীবনই যথার্থ জীবন।
সি. সি. কল্টন
১৮. ভিক্ষা না করে একখানি রশি নিয়ে পিঠে করে এক বোঝা কাঠ এনে বিক্রি করা অনেক ভালো।
–আল-হাদিস
১৯. আমার পরাজয় বোঝায় না যে বিজয় অসম্ভব। এভারেস্ট চূড়ায় চড়তে গিয়ে মার খেয়েছেন অনেকেই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এভারেস্ট বিজিত হয়েছিল।
চে গুয়েভারা
২০. নিজেকে জয় করাই সব জয় করার মতো বিজয়।
প্লেটো
২১. যারা বিশ্বাস করে যে, তারা জয় করতে পারে, তারাই জয় করতে পারে।
ড্রাইডেন
২২. যুবকরাই যুদ্ধের যোগ্য। লড়াই করা, নিজের জীবনের মায়া না করা ওদের স্বভাব। নিজে ছোট বা দুর্বল। পরাজয়ের বিপদ তার ভাগ্যেও ঘটতে পারে একথা সে মোটেই বিশ্বাস করে না।
–ডা. লুৎফর রহমান ২৩. যে-ব্যক্তি জীবনে শক্তির স্বাদ পায়নি, তার জীবন বৃথা।
সক্রেটিস
২৪. একটি সরল জীবন্ত যুবক সমাজের দরকার হইয়াছে। গণ্ডিছাড়া স্বাধীন শিক্ষালাভের জন্য উৎসুক কম্যোৎসাহে চিরনবীন যুবক সম্প্রদায় চাই। তাহারাই এদেশকে নূতন করিয়া গড়িবে, নূতন মহিমায় মহিমান্বিত করিয়া তুলিবে।
–আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়
২৫. দুঃখকষ্টে ভয়, এমনকি মৃত্যুভয়ও তরুণকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারে না, বরং তরুণবয়সে বিপদের মোহ হৃদয়কে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে।
হুমায়ূন কবীর
২৬. বিজয় মহান, কিন্তু বিজয়ের জন্য সংগ্রাম মহত্তর।
দ্য কুবার্তা
২৭. ভীরুরা ভয়ে পিছিয়ে পড়ে, সাহসীরা ভয়কে মাড়িয়ে এগিয়ে যায়।
–বদরুদ্দীন উমর
২৮. সৌভাগ্য প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রতীক্ষা করে, কিন্তু যে পরিশ্রম করে একমাত্র তার সঙ্গেই দেখা করে।
–সিনেকা
২৯. আমরা সবাই অবিরত জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বাঁচি।
গ্রাহাম গ্রীন
৩০. দুর্বলেরা ভাগ্য বিশ্বাস করে, সবলেরা ভাগ্য ছিনিয়ে আনে।
আগাস্টিন
৩১. যে ভাগ্য বিশ্বাস করে সে ভাগ্য গড়তে জানে না।
মেরি বেকার
৩২. সমস্যার মধ্যে বোকা এবং ভীরুরাই তলিয়ে যায়। সাহসী এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সমস্যার মোকাবেলা করে।
–বিল জোনস
৩৩. সমস্যা যত জটিল হোক না কেন, চেষ্টা এবং পথ জানা থাকলে সমাধান সহজেই হয়।
–ডিকেন্স
৩৪. আপনি যদি প্রতিভাবান হোন তো আপনার কাজ হবে লোকের অবজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে সামনে এগিয়ে চলা–আর প্রতিভাবান না হলে কাজ ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
বার্ট্রান্ড রাসেল
৩৫. সাহসী ও বুদ্ধিমানের সঙ্গে দেখা করার জন্য সৌভাগ্য ব্যাকুল হয়ে থাকে।
–লিও ওয়ালেস
৩৬. আজ সংগ্রাম নিজেকে চেনার
মানবতা নিয়ে বেচা ও কেনার
হাটের ভিড়ে,
সময় এসেছে সকল দেনার
সকল হিসাব মেটাতে ফিরে।
ফররুখ আহমদ
৩৭. নাই, নাই ভয়, হবে হবে জয় খুলে যাবে এই দ্বার–
জানি, জানি তোর বন্ধন ডোর ছিঁড়ে যায় বারে-বার।
ক্ষণে ক্ষণে তুই হারায়ে আপনা
সুপ্তি নিশীথ করিস যাপনা—
বারে বারে তোরে ফিরে পেতে হবে বিশ্বের অধিকার।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩৮. যে সাহসের দ্বারা পূর্ণ সে বিশ্বাসের দ্বারাও পূর্ণ।
সিসেরো
৩৯. লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাতেই গৌরব নিহিত, লক্ষ্যে পৌঁছানোতে নহে।।
মহাত্মা গান্ধী
৪০. ভায়েরা আমার, প্রস্তুত হও–এবারের সংগ্রাম মুক্তির সঙগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৪১. রক্ত যখন আমরা দিতে শিখেছি তখন আর আমাদের কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৪২. কোনো অবস্থাতেই তোমরা কাফেরদের আনুগত্য স্বীকার করিও না, বরং কোরআনের বিধান সম্মুখে লইয়া উহাদের সঙ্গে সর্বাত্মক জেহাদে অবতীর্ণ হও।
–আল-কোরআন
৪৩. নিশ্চয়ই নিজের মনের বিরুদ্ধে জেহাদ করাই শ্রেষ্ঠ জেহাদ।
–আল-কোরআন
৪৪. সম্মান, শৌর্য, জনপ্রিয়তা, ভালোবাসা অনেক সময় এমন দুর্বল লোকের নিকট আসে, যে তা ধরে রাখতে পারে না।
মিল্টন ৪৫. একমাত্র নির্ভীকতার ধর্ম সকলকে শিক্ষা দিতে হইবে। ভয়ই অধঃপতন ও পাপের কারণ। ভয় হইতেই আসে দুঃখ, অশুভ ও মৃত্যু।
স্বামী বিবেকানন্দ
৪৬. প্রতিবাদ, তর্ক ইত্যাদি করলে কখনো জয়লাভ হতে পারে, কিন্তু সে-জয়লাভের কোনো মূল্য থাকবে না, কারণ প্রতিপক্ষের হৃদয় তাতে পাওয়া যায় না।
ফ্রাংকলিন
৪৭. দুনিয়ার বুকে আমরা দেখি যে, কোনো বিদ্রোহীকে দুনিয়ার কোনো সরকারই প্রশ্রয় দেয় না। তদ্রুপ খোদ্যদ্রোহীদের জন্যও সৃষ্টির সকল কল্যাণের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যায়। তাদের কোনো প্রচারেই ফললাভ হয় না।
–আবুল কালাম আজাদ
৪৮. নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হয়।
মওলানা ভাসানী
৪৯. বিদ্রেহী হইলে মানুষ বিরক্ত হয়–বিরদ্ধে কথা শুনিলে উগ্র হওয়া মানুষের স্বভাব, ইহা সত্য, কিন্তু বিদ্রোহ ও সমালোচনা ব্যতীত মানবসমাজ বা জগতের কোনো কল্যাণ হয় না।
–ডা. লুৎফর রহমান
৫০. বিপদকে ভয় করা মানেই পৌরুষকে খর্ব করা।
বালগঙ্গাধর তিলক
৫১. জীবন যতক্ষণ আছে বিপদ ততক্ষণ থাকবেই।
–ইমারসন
৫২. রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেব, তবু দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ্।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৫৩. বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে,
আমি যাই তারি দিন-পঞ্জিকা লিখে,
এত বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ,
দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ;
স্বপ্ন-চূড়ার থেকে নেমে এসো সব–
শুনেছ? শুনছ উদ্দাম কলরব?
নয়া ইতিহাস লিখছে ধর্মঘট,
রক্তে রক্তে আঁকা প্রচ্ছদপট।