স্বামী বিবেকানন্দ
২২২. গরম থাকতে লোহার উপর ঘা মারো–কুঁড়েমির কাজ নয়। ঈর্ষা, অহমিকাভাব গঙ্গাজলে জন্মের মতো বিসর্জন দাও। মহাশক্তিতে কার্যক্ষেত্রে অবতরণ করো ও মহাবলে কাজে লেগে যাও। কাজ, কাজ, কাজ–এই হল মূলমন্ত্র।
–স্বামী বিবেকানন্দ
২২৩. যে বেশি ঘুমায়, ভাগ্য তাকে দূর থেকে বিদ্রূপ করে।
–জন ভ্যান্স
২২৪. সুন্দর ঘুম সবরকমের যন্ত্রনার মহৌষধ।
–শেলি
২২৫. সমস্ত বছরটাই যদি ছুটির দিন হত তা হলে খেলাধুলার কাজটাই কঠিন কাজের ব্যাপার হয়ে দেখ দিত।
–শেক্সপীয়ার
২২৬. অবসরটা হল একটি সুন্দর পোশাকের মতো এবং সবসময় পরিধান করার জন্য নয়।
–অজ্ঞাত
২২৭. একটি মেশিনের দ্বারা ৫০টি সাধারণ লোকের কাজ করা যেতে পারে। কিন্তু কোনো মেশিনের সাহায্যে একটি অসাধারণ লোকের কাজ করা যেতে পারে না।
অ্যালবার্ট হার্বার্ট
২২৮. আল্লাহর চোখে ছোটবড় সবাই সমান। তিনি লোকের পদমর্যাদা দেখে বিচার করেন না, তাদের কাজ দেখে বিচার করেন।
–হযরত আলি (রা.)
২২৯. স্বাস্থ্য আর আনন্দ একজন আরেকজনের পরম বন্ধু।
–এডিসন
২৩০. তিনি গেছেন যেথায় মাটি ভেঙে
করছে চাষা চাষ,
পাথর ভেঙে কাটছে যেথায় পথ
খাটছে বারো মাস।
রোদ্রে জলে আছেন সবার সাথে
ধুলা তাহার লেগেছে দুই হাতে
তারি মতন শুচি বসন ছাড়ি
আয়রে ধুলার পারে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৩১. তোমার হাতকে খারাপ কাজে ব্যবহার না করে অন্যকে সাহায্যের কাজে ব্যবহার করো, তোমার ঠোঁটকে অন্যের কুৎসা রটনার কাজে ব্যবহার না করে প্রার্থনার কাজে ব্যবহার করো।
–অলিভার গোল্ডস্মিথ
২৩২. তুমি শার্টের প্রথম বোতামটি লাগাতে যদি ভুল কর তবে সঠিকভাবে বোতাম লাগানো আর সম্ভব হবে না।
–জন এ শো
২৩৩. নিজের হাত ও পায়ের ওপর যে ভরসা করে, সে কোনোদিন ঠকে না।
জন রে
২৩৪. কাজ-পাগল লোক কাজের মধ্যে যত আনন্দ পায় তত আর কিছুতেই পায়
বেকন
২৩৫. যথেষ্ট নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও পরিশ্রম থাকা সত্ত্বেও আমি আমার জীবনটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারলাম না।
–অলিভার গোল্ডস্মিথ
২৩৬. আমাকে বুঝতে দাও আমার ভেতরে ক্ষমতা কতখানি, তা হলেই পায়ে জোর ফিরে পাব।
–জন ম্যান্সফিল্ড
২৩৭. সবশ্রেণীর মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটাই যথার্থ পারা।
এডমন্ড স্পেনসার
২৩৮. যার বশ্যতার মধ্যে তোমার স্বার্থ নিহিত তার সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ো না।
অ্যারিস্টটল
২৩৯. আত্মত্যাগের মনোভাব যাদের নেই মহৎ কাজ তারা করতে পারবে না।
–ফ্রেডারিক ভন
২৪০. দেহের বার্ধক্য তাকে দূর থেকে কুর্নিশ করে যার মনের বার্ধক্য আসেনি।
জর্জ গ্রানভিল
২৪১. কর্মফল খোঁড়া হলেও সে একদিন আসবেই।
ড্যানিয়েল ডিফো
২৪২. সুকর্মের সুগন্ধ স্থায়ী, তাই সহজেই হারিয়ে যায় না।
–বেসিল
২৪৩. তুমি কোনোকিছু শেষ করতে চাইলে তার শুরুটা যথার্থভাবে করতে হবে।
এমিল
২৪৪. সামান্য বিশ্রাম নাও, এবং মাইলের পর মাইল অতিক্রম করো।
ডব্লিউ জি. বেনহাম
২৪৫. বিজ্ঞ ব্যক্তিরা কখনো অস্বাভাবিক কিছু করার উদ্যোগ নেন না।
–মেসিংগার রেনে গ্যাডো
২৪৬. অলসতা হল মনের নিদ্রা।
বাল ভেনারগাস
২৪৭. একজন মহৎ ব্যক্তির কাজ হল ঈশ্বরেরই মহৎ কাজ।
পোপ
২৪৮. মহৎ কাজ কখনো হারিয়ে যায় না।
ব্যাসিল
২৪৯. আমাদের প্রথমে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পরে অভ্যাসই আমাদেরকে গড়ে তুলবে।
ড্রাইডেন
২৫০. ভালো কাজ করা হল মানুষের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
–সোফোক্লেস
২৫১. কল্পনায় বড় না হয়ে কাজে বড় হও।
–শেক্সপীয়ার
২৫২. যে যা বলে বলুক, তুমি তোমার নিজের পথে চলো।
দান্তে
২৫৩. চন্দ্র কহে বিশ্বে আলো দিয়াছি ছড়ায়ে,
কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৫৪. কে লইবে মোর কার্য, কহে সন্ধ্যা রবি–
শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি।
মাটির প্রদীপ ছিল; সে কহিল, স্বামী;
আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৫৫. আজকের কাজ কালকের জন্য রেখে দিও না। কালকের কাজ আরও গুরুতর হয়ে দেখা দিতে পারে।
সক্রেটিস
২৫৬. কোনো কাজ আরম্ভ করলে শেষ করতে দেরি হয় না।
ক্যানিং
২৫৭. পরিশ্রম তা সে যে-ধরনেরই হোক না কেন, তার একটা মূল্য আছে।
–টমাস মিডলটন
২৫৮. বিনা পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ইমারসন
২৫৯. হে বৎস! এই দুনিয়ায় প্রথম যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার উপরেই আমাদের পরবর্তী দিনগুলো নির্ভর করে।
–ভলতেয়ার
২৬০. সামান্য বিষ মুহূর্তে মানুষের জীবনাবসান ঘটাতে পারে। অথচ বেঁচে থাকার জন্য জীবনব্যাপী মানুষকে কী সংগ্রামই না করতে হয়!
–হেনরি হ্যারিসন
২৬১. আত্মাকে পরিপুষ্ট করার ক্ষমতা যার আছে, সে-ই যথার্থ অবসর ভোগ করে।
স্যামুয়েল স্মালই
২৬২. অবসরকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ভরিয়ে তুলতে পারাই হচ্ছে সভ্যতার শেষ অবদান।
বার্ট্রান্ড রাসেল
২৬৩. অবসর হচ্ছে মূল্যবান কিছু চিন্তা করার উৎকৃষ্ট সময়।
ক্রিস্টোফার
২৬৪. কর্মব্যস্ত সমাজে অবসর দান বা গ্রহণ প্রচলিত রীতি। কিন্তু যার নির্দিষ্ট কাজ নেই তার কর্ম-সমাপ্তির প্রশ্ন ওঠে না। দায় থাকলে দায়িত্বপালনের সমস্যা, দায়মুক্ত হলে কিংকর্তব্য হয় চিন্তার বিষয়।
আবদুর রহমান শাদাব
২৬৫. অবসর মানে যথাকর্তব্য সমাপনের পর মনোভার মুক্তি।
–আবদুর রহমান শাদাব
২৬৬. বিকৃত ক্ষুধার তাড়নায় ছুটোছুটি করার পর আত্মস্থ হওয়া কর্মক্লান্ত মানুষের নন্দিত অবসর।