হযরত সোলায়মান (আ.)
১৮৭. অলসতা হল ভিক্ষাবৃত্তির চাবি ও অনিষ্টের মূলস্বরূপ।
সুরজিওন
১৮৮. উন্নতি বলতে বর্তমান কাজ এবং ভবিষ্যতের দৃঢ় প্রত্যয় বোঝায়।
–ইমারসন
১৮৯. হাজারো সমালোচকের মধ্যে যে সুষ্ঠুভাবে কাজ করে যায়, সে-ই যথার্থ কর্মী।
–এ. ডব্লিউ. হ্যারি
১৯০. যাহার জীবন দীর্ঘ ও সকল কর্মই পুণ্যময় হয়, সে-ই সর্বাপেক্ষা ভালো এবং যাহার জীবন দীর্ঘ এবং যাহার কর্ম অসৎ সে-ই সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি।
–আল-হাদিস
১৯১. যে-কার্যে তোমার হৃদয় অটলতা ও সমতা লাভ করে, তাহাই সকার্য এবং মনুষ্য হইতে নিষ্কৃতি পাইয়াও যে-কার্যে তুমি সংশয়ে নিপতিত হও, তাহাই অসকার্য।
–আল-হাদিস
১৯২. যে নিজের বা পরের জন্য কাজ করে না, সে আল্লাহর কোনো পুরস্কার পাবে
–আল-হাদিস
১৯৩. এ জগতে শুভ কাজের অন্তরায় অনেক। শুভের পশ্চাতে অশুভ, আলোরে পশ্চাতে অন্ধকারের ন্যায় প্রতিনিয়তই পরিভ্রমণ করিতেছে।
–মোজাম্মেল হক
১৯৪. কর্ম-উজ্জ্বল দিনগুলো প্রকৃতপক্ষে সোনালি দিন।
–মিলটন
১৯৫. নহে সমাপ্ত কর্ম তোমার,
অবসর কোথা বিশ্রামের?
উজ্জ্বল হয়ে ফুটে নাই আজও
সুবিমল জ্যোতি তৌহিদের।
–আল্লামা ইকবাল
১৯৬. ধর্ম রাগে রাগিয়া যদি
মানুষ কর্ম করে,
উদার প্রাণে বাধিতে পারে
নিখিল প্রেম ডোরে,
কীর্তি তাহার বিশ্বজোড়া
হবে না কভু লয়,
কোথায় লাগে দেবতা সখা?
কিসে করো ভয়।
–শেখ ফজলল করিম
১৯৭. এ জগতে যারা বড় হয়েছেন, যাদের নাম করে মানুষ ধন্য হয়–যাঁরা সংসারকে বহু কল্যাণসম্পদ দিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা জীবনে অনবরত কাজ করেছেন।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৯৮. তুমি যেদিন এ-পৃথিবীতে জন্মেছিলে তখন সবাই হেসেছিল, আর তুমি কেঁদেছিলে। তোমার কাজের দ্বারা এমন করো যাতে তুমি জগৎ হতে চলে যাওয়ার সময় কেউ হাসতে না পারে।
–ভক্ত কবির
১৯৯. কোনো বিষয়ে সাফল্যের চাচিকাঠি হল কাজ। কাজই বহন করে আনে তার সাফল্য।
হিটলার
২০০. বহু কিছু করার সংক্ষিপ্ত পথ হচ্ছে তৎক্ষণাৎ একটি কাজ শুরু করে দেওয়া।
–এস, স্কাইলস
২০১. পাপ, তাপ, শোক, দুঃখ, অভাব, দীনতা,
নর হয়ে নরে ঘৃণা, মোহ, অজ্ঞানতা,
জড়তা, ভীরুতা, হিংসা, নীচতা, মাৎসর্য
বদলিবে বিনাশিবে এই তব কার্য।
–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
২০২. শরীর তো যাবেই, কুঁড়েমিতে কেন যায়? মরচে পড়ে পড়ে মরার চেয়ে ক্ষয়ে মরা ভাল। মরে গেলেও হাড়ে হাড়ে ভেলকি খেলবে, তার ভাবনা কি?
–স্বামী বিবেকানন্দ
২০৩. কঠিন পরিশ্রমে মানুষ কখনো মরে না।
–অজ্ঞাত
২০৪. করো নয়তো মরো।
বার্নস
২০৫. প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে কাজের চিন্তা করাই বড় জিনিস।
ডেমোক্রিটাস
২০৬. দেখি এই চরাচরে
যে যেমন কর্ম করে।
তেমন সে ফল তার পায়।
যে চাষা আলস্য ভরে
বীজ না বপন করে
পক্ক শস্য পাবে সে কোথায়?
যদি তুমি ওহে ধীর
ব্যথিতের অশ্রুনীর
নিজ করে না কর মোচন,
তব অশ্রু নিরখিয়া
দুঃখী হবে কার হিয়া
কে করিবে তাহা নিবারণ।
–কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
২০৭. যে কাজ করে না, তার খাওয়া অন্যায়।
–সেন্ট পল
২০৮. অনেক কাজ একসঙ্গে করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল, এক একটা কাজ এক একবার করা।
সিসিলি
২০৯. যে রূপ করিবে কাজ কার্যেতে দেখাও
বৃথা গর্বে কেন তাহা বলিয়া বেড়াও?
পার করিতে যদি কর যাহা গান,
কোথা পাইবে লজ্জা রাখিবার স্থান?
–কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
২১০. যদি কাজ নিতে হয়, কত কাজ আছে
একা কি পারিব করিতে।
কাঁদে শিশির বিন্দু জগতের তৃষ্ণা হরিতে
কোন্ অকূল সাগরে জীবন সঁপিব
একেলা জীর্ণ তরীতে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১১. যে-কোনো কাজ করার সময় এই মনে করে তা ভালোভাবে শেষ করো যে, এটাই হয়তো তোমার জীবনের শেষ কাজ।
–জায়েজ
২১২. মানুষের শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে ভালো কাজ করা।
–সোফোক্লেস
২১৩. যে-কাজ আরম্ভ করিয়াছ তাহা শেষ করিতে প্রাণপণ চেষ্টা করো, ক্লান্তি আসিলেও দ্বিগুণ উদ্যমে আবার চেষ্টা করো, এইরূপে ভাগ্যলক্ষ্মী তোমার প্রতি সুপ্রসন্ন হইবে।
–মনুসংহীতা
২১৪. কাজের মতো সৎ সঙ্গী আর নেই। এই সঙ্গীই তোমার জীবনে প্রতিষ্ঠা আনতে সবচেয়ে সাহায্য করবে।
–উইলিয়াম ফুলউড
২১৫. বিনে মাইনের কাজ কাজও নয়, ছুটিও নয়, বারো আনা ফাঁকি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১৬. টাকা নিয়ে যারা কাজ করে তারা সেই টাকার পরিমাণেই কাজ করে।………. কাজেই তাদের ছুটি নেই।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১৭, তরুণদের দেবার মতো আমার তিনটি উপদেশ আছে–সে হচ্ছে, কাজ, কাজ আর কাজ করা।
–বিসমার্ক
২১৮. কাজ কর্মীর স্বভাবের প্রতিচ্ছবি।
স্যামুয়েল বাটলার
২১৯. জনসাধারণের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও মূল্যবান কাজগুলো নিঃসন্তান ও অবিবাহিত লোকদের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি এসেছে।
বেকন
২২০. তুমি যে-কাজে নিযুক্ত হবে সে-কাজ মন দিয়ে ভালো করে করবে। কাজ যত সামান্যই হোক না কেন, সৎ, পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান লোক সেই কাজের দ্বারাই উন্নতি লাভ করবে। কোনো কাজেই নিজের আত্মসম্মান ছোট হয়েছে মনে করা মহা অপরাধ।
বুকার টি, ওয়াশিংটন
২২১. ভগবান অতি উত্তমরূপে আপনাকে লুকিয়ে রেখেছেন, তাই তাঁর কাজ সর্বোত্তম। এইরূপ যিনি আপনাকে লুকিয়ে রাখতে পারেন, তিনিই সবচেয়ে বেশি কাজ করতে পারেন। নিজেকে জয় করো, তা হলেই সমুদয় তোমার পদতলে আসবে।