১৪৭. যে-ভূমি কাহারও নহে, তাহার মালিক ঐ ব্যক্তি যে স্বীয় পরিশ্রম দ্বারা তাহা আবাদ করিয়া দখল করে।
–আল-হাদিস
১৪৮. উত্তম উপার্জন হল শ্রমিকের উপার্জন, যদি সে মালিকের কল্যাণকামনার সাথে কাজ করে।
–আল-হাদিস
১৪৯. পরিশ্রম তা যে-ধরনের হোক, তার একটা মূল্য আছে।
–টমাস মিডলটন
১৫০. যে-জীবনে পরিশ্রম নেই, সে-জীবন যেন একটা গুরুতর অপরাধ এবং যে পরিশ্রম করায় আনন্দ নেই তা পশুত্ব।
–রাসকিন
১৫১. বিনা পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
ইমারসন
১৫২. যে পরিশ্রমী সে অন্যের সহানুভূতির প্রত্যাশী নয়।
–এডমন্ড বার্ক
১৫৩. পরিশ্রম হেদকে স্বাস্থ্যবান, মনকে স্বচ্ছ, হৃদয়কে পূর্ণ রাখে এবং আর্থিক সচ্ছলতা আনয়ন করে।
–সি. সিমসন
১৫৪. বিধাতা প্রত্যক পাখিরই খাদ্যের সংস্থান করেন; কিন্তু খাদ্যদ্রব্যাদি পাখির বাসায় পৌঁছে দেন না।
–জে. জি. হল্যান্ড
১৫৫. ঘুমন্ত সিংহের মুখে কখনো হরিণ প্রবেশ করে না। তাকে ছুটে গিয়ে শিকার করতে হয়।
বি. সি. রায়
১৫৬. অতিমাত্রায় বিশ্রাম আপনা থেকেই বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে।
–হোমার
১৫৭. কোনো কাজ না করে সারাদিন শুয়ে-বসে সময় কাটানোকে বিশ্রাম বলে না।
–টমাস লাভ পিকক
১৫৮. আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে, ফুল বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু মনীষীরা তাঁদের মহৎ কর্মের জন্য মানুষের হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকবেন।
–আলফ্রেড অস্টিন
১৫৯. অতীতে করা একটি মহৎ কাজের স্মৃতি আজীবন তৃপ্তিদান করে।
রবার্ট বার্টন
১৬০. শ্রমিকের শ্রম মানব সভ্যতার জনক। শ্রমকে তাই ভালবাসে শ্রমিক। আজকের দিনে যে ভয় তাদের সে ভয় শ্রমের নয়, সে ভয় তাদের নতুন “স্লেভ-ট্রেড” এর। যার ইভল্মশানে জন্ম নিয়েছে ধনিকের নতুন শোষণ। শ্বেতাঙ্গ ধনিক ও তাদের অনুচরেরা আজ আস্ত মানুষ চুরি করে বেচে না, আজ তারা কেনাবেচা করে তাদের শ্রম, চুরি করে তাদের মেহনত।
খন্দকার মোঃ ইলিয়াস
১৬১. ঈশ্বরের বিশ্বাসের পরেই আসে শ্রমে বিশ্বাস।
–ব্রোভো
১৬২. ব্যক্তি হিসেবে শ্রমিকদের কাজ বা চিন্তাধারা বিশেষ কিছু নয়, শ্ৰেণী হিসেবে শ্রমিকদের যে ঐতিহাসিক কর্তব্য সম্পাদন করতে হবে তার উপর তাদের বিশিষ্টতা নির্ভর করছে।
–কার্ল মার্কস
১৬৩. বিনা পরিশ্রমে অর্জিত সম্পদ দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে।
মহিউদ্দিন
১৬৪. শ্রম ব্যতীত কিছুই লাভ করা সম্ভব নয়।
–মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)
১৬৫. সকার্য উহাই, যার বিনিময়ে মানুষের নিকট কোনোকিছুর প্রত্যাশা করা হয়
–বাইবেল।
১৬৬. যে-জীবন সকার্যে ব্যয়িত নয়, সে-জীবন বিধাতার পছন্দ নয়।
–মার্গারেট জে. প্রিসটন
১৬৭. মানুষের সর্বোকৃষ্ট বন্ধু হল তার হাতের দশটি আঙুল।
রবার্ট কলিয়ার
১৬৮. যার জীবনে শ্রমের যন্ত্রণা নেই, তার কিছু প্রত্যাশা করা উচিত নয়।
–কাভেন্টিস
১৬৯. বিরাম কাজেরই অঙ্গ একসাথে গাঁথা,
নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭০. আলস্য সংক্রামক।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭১. পরিশ্রমের পরে যেটুকু বিশ্রাম পাওয়া যায় সেটুকুই পরিশ্রমের পুরস্কারস্বরূপ।
–জন রে
১৭২. যে পরিশ্রম করে, বিশ্রাম তারই জন্য আরামদায়ক।
বাটলার
১৭৩. যে-ব্যক্তি নিজের জন্য কিংবা পরের জন্য পরিশ্রম করিতে পরামুখ, সে খোদার পুরস্কার হইতে বঞ্চিত।
–আল-হাদিস
১৭৪. অতিরিক্ত পরিশ্রম জীবনে প্রতিষ্ঠা দেয় ঠিকই, কিন্তু আয়ুকে খর্ব করে।
–কট গ্রেভ
১৭৫. সব ধনসম্পদের মূল উৎপত্তি হয়েছে প্ররিশ্রম থেকে।
–জন লক
১৭৬. জ্ঞানীদের পরিশ্রমের কথা স্মরণ রাখতে হবে এবং তোমাদেরও তাঁদের মতো পরিশ্রম করতে হবে।
–চার্লস কিংসলে
১৭৭. জীবনে কাজ করতে হলে সহিষ্ণুতা চাই, খোদার উপর বিশ্বাস করে সহিষ্ণু হয়ে পরিশ্রম করো, দুঃখের মেঘ তোমার মাথার উপর হতে সরে যাবে।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৭৮. যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।
উইলিয়াম ল্যাংলেড
১৭৯. শরীরের পরিশ্রম অপেক্ষা মাথার পরিশ্রমের মূল্য বেশি। হাত-পাগুলি মাথার আদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বুদ্ধিহীন মাথার আদেশ পালন করতে গিয়ে হাত-পাগুলির পদে পদে দুঃখ আর বিড়ম্বনা ভোগ করতে হয়।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৮০. পরিশ্রমী মানুষের মুখ সবচেয়ে মিষ্টি।
–বাইবেল
১৮১. আমাদের একথা কখনোই ভুললে চলবে না যে, ভূমিকৰ্ষণই হচ্ছে মানুষের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ শ্রম।
ডানিয়েল ওয়েবস্টার
১৮২. প্রাণিজগতে সবচেয়ে সম্মানিত হল মৌমাছি, সে পরিশ্রম করে শুধু এজন্য নয়, কারণ সে অন্যের জন্য পরিশ্রম করে–সেইজন্য।
–সেন্ট ক্রাইশোসটম
১৮৩. ক্ষুধিত ও কর্মহীন ব্যক্তিরা ঈশ্বরের একমাত্র নির্দেশ মানিতে পারে যে, কর্মের বিনিময়ে খাদ্য পাওয়ার প্রতিশ্রুতি। ঈশ্বর মানুষকে শ্রম করিয়া খাদ্যসংগ্রহের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, যে কর্ম ব্যতীত আহার করে, সে চোর।
মহাত্মা গান্ধী
১৮৪. অবসর বিনোদন উন্নত ধরনের আনন্দ সম্ভোগ নয়, বরঞ্চ উপযুক্ত সময় ও স্থান-বিশেষে এটা প্রার্থনার সমতুল্য।
–এম, আই. প্রাইম
১৮৫. আমাদের অলসতাই আমাদেরকে যুগ যুগ ধরে অপরের দাস করে রাখে।
–হেনরি ফোর্ড
১৮৬. অলসদের পক্ষে পিপীলিকার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। কঠোর পরিশ্রম করে এরা জীবিকা সংগ্রহ করে এবং দুর্দিনের জন্য সঞ্চয়ও করে রাখে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে।