ডেমোক্রিটাস
১১২. নিদ্রায় দেখি এক মধুর স্বপন
কি সুন্দর মেলিনু আঁখি চমকিনু পুনঃ দেখি
কঠোর কর্তব্য ব্রত জীবন যাপন।
–এলেন এস. হুপার
১১৩. কর্মসাধনা পুণ্য মানুষকে বড় করে, শুধু প্রার্থনার আঁখি জলে নহে। খোদা শুধু আঁখিজলে ভোলেন না।
–ডা. লুৎফর রহমান
১১৪. একটিমাত্র কাজ দিয়ে কাউকে ভালো বা খারাপ বলা যায় না।
–টমাস ফুলার
১১৫. কিছু করার জন্য তোমার হাত যা-ই খুঁজে পাক না কেন, তা করো নিজের বলে।
–বাইবেল
১১৬. আমি আমার ভাগ্যকে বিশ্বাস করি, কর্মকে বিশ্বাস করি। মানুষকে শুধু মানুষ হিসেবে বিবেচনা কোরো না, তার কর্ম দ্বারা বিচার করো।
স্যার টমাস ব্রাউনি
১১৭. কর্মদক্ষতাই মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় বন্ধু।
–দাওয়ানি
১১৮. কর্মফল প্রত্যেককেই ভোগ করতে হবে।
স্যামুয়েল দানিয়েল
১১৯. দুনিয়ার কাজে এমনভাবে মশগুল হও যেন তুমি চিরকালই বাঁচিয়া থাকিবে এবং আখেরাতের জন্য এমনভাবে কাজ করিয়া যাও যেন আগামীকালই তোমার মৃত্যু হইবে।
–আল-হাদিস
১২০. অলসতার প্রতি আত্মসমর্পণ করার অর্থ নিজের অধিকার হতে স্বেচ্ছায় বঞ্চিত হওয়া।
–হযরত আলি (রা.)
১২১. একটি কর্তব্য শেষ করার পুরস্কারই হল কর্তব্য সম্পন্ন করার জন্য শক্তি অর্জন
–জর্জ এস. হুপার
১২২. কর্ম ও উপাসনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নাই–এই কথা যাহারা বলে তাহারা মানব-সমাজকে অধঃপতিত করে। কর্মকে উপাসনার মতো শুদ্ধ করিবার জন্য যে জীবন ব্যাপিয়া মানুষের ভিতর বাহিরে সংগ্রাম চলিবে, তাহাই মনুষ্যত্ব ও ধর্ম।
–ডা. লুৎফর রহমান
১২৩. অনেকক্ষেত্রে মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক। এরজন্য তার ভাগ্য দায়ী নয়, দায়ী তার কর্মফল।
–কার্লাইল
১২৪. কর্মী যে, সে কাজ করেই তৃপ্ত হয়; কাজ করে সে কতটুকু লাভবান হল সেটা তার কাছে বড় নয়।
–জেমস টমসন
১২৫. আমরা আমাদের কর্মকে যতটা নির্ধারণ করি, আমাদের কর্মও ঠিক ততটাই আমাদের নির্ধারণ করে।
জর্জ ইলিয়ন
১২৬. স্বর্গের সুখ বা পার্থিব কোনো পুরস্কারের আশায় তুমি কার্য করিও না। যাহা কর্তব্য, ন্যায্য, তাহা তুমি অবশ্যই সম্পাদন করিবে, কেননা যাহা তোমার পক্ষে ‘কর্তব্য’ ও ‘সঙ্গত’ তাহা না করাই তোমার অধর্ম।
–ইবনে রুশদ
১২৭. ধৈর্য ধর, ধৈর্য ধর, বাঁধ বাঁধ বুক
শত দিকে শত দুঃখ আসুক, আসুক
এ সংসার কর্মশালা
জ্বলন্ত কালান্ত জ্বালা
পুড়িতে হইবে খাদ থাকে যতটুক।
–গোবিন্দ দাস
১২৮. যেমন চিবিয়ে না খেলে খাদ্যটাকে খাদ্য বলেই মনে হয় না, তেমনি হুড়মুড় করে কাজ করাকে কর্তব্য বলে উপলব্ধি করা যায় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২৯. একটা দিনের খাটুনি হচ্ছে একদিনের খাটুনি, বেশিও না, কমও না। আর যে মানুষটি এই খাটুনি খাটে তার দরকার একটা দিনের খাদ্য, একটা রাতের বিশ্রাম এবং যথোচিত অবকাশ–সে চিত্রকরই হোক বা হলধরই হোক।
–জর্জ বার্নার্ড শ
১৩০. কর্মফল ত্যাজি যুক্ত বৈরাগ্য সাধন।
নৈষ্ঠকী শাস্তি সে, নহে সংসার বন্ধন।।।
ফল্গু বৈরাগ্য যে কামকারী ফল।
ফলকার্যে নিবন্ধন তাই সে দুর্বল।।
বাহ্যে সর্বকার্য করে অন্তরে সন্ন্যাস
সর্বকার্যে সুষ্ঠু করি সুখেতে নিবাস।।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা
১৩১. প্রয়োজন থেকে, অভাব থেকে আমরা যে কর্ম করি সেই কর্মই আমাদের বন্ধন, আনন্দ থেকে যা করি সে তো বন্ধন নয়–বস্তুত সেই কর্মই মুক্তি।………কর্মের মুক্তি আনন্দের মধ্যে এবং আনন্দের মুক্তি কর্মে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩২. কোথাকার জন্মভূমি কোথাকার দেশ? কল্যাণ কর্মীর পৃথী, খোদার নির্দেশ।
–আল-হাদিস
১৩৩. তাহারাই সকর্মী, যাহারা স্বীয় ক্রোধকে দমন করতে পারে এবং অপরকে ক্ষমা করতে পারে, যখন ক্ষমা করা বিধেয়।
–আল-কোরআন
১৩৪. মানুষের আয়ু কম, কাজ বেশি। বুদ্ধিমান লোক জরুরি কাজেই তার জীবন ব্যয় করে।
প্লেটো
১৩৫. সত্যের জন্য সংগ্রাম করা, দুঃস্থের সেবা করা–দুটিই সর্বোৎকৃষ্ট কাজ।
টেনিসন
১৩৬. তুমি যে কাজই কর না–লজ্জা নাই। লজ্জা হয় অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করায়, ভিক্ষা করায় কিংবা মূর্খ হয়ে থাকায়।
–ডাঃ লুৎফর রহমান
১৩৭. যার ঘুম নেই, তার মতো দুখি কেউ নেই।
অস্কার হ্যারল্ড
১৩৮. যার রাত্রে ঘুম হয় না, সে নিঃসন্দেহে সুন্দরী নয়।
–ক্রিস্টিনা রসেটি
১৩৯. ঘুম হচ্ছে মৃত্যুর সহোদর ভাই।
ফ্রামিস কারলিন
১৪০. পরিশ্রমী লোকের নিকট সবচেয়ে সুখপ্রদ জিনিস হচ্ছে ঘুম।
–জন বুলিয়ানা
১৪১. চাকুরিতে যশ, মান ও অর্থ আছে সত্য, কিন্তু অপমান ও লাঞ্ছনাও কম নয়।
–শেখ সাদি
১৪২. হর্স পাওয়ার দিয়ে ইঞ্জিনের দাম বাড়ে, সিলিন্ডার দিয়ে মোটরগাড়ির। হীরার মূল্য দ্যুতিতে, চাপরাশীর তার তকমায়। সাবালক বাঙালির দাম নিরূপিত হয় চাকরির ওজনে। তার পক্ষে পদবির চাইতে পদের বিবরণটা গুরুতর। সাব-ইনস্পেক্টরের চাইতে ইন্সস্পেক্টর, ডিরেক্টরের চাইতে ডিরেকটর জেনারেল। শুধু শব্দে নয়, অর্থেও। যাযাবর
১৪৩. যে ছুটি নিয়মিত, তাকে ভোগ করা, আর বাধা পশুকে শিকার করা একই কথা। ওতে ছুটির রস ফিকে হয়ে যায়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪৪. বিধাতা যেন আমাকে কাজের মধ্যেই ছুটি প্রদান করেন।
–জন গে
১৪৫. অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা।
অজ্ঞাত
১৪৬. স্নেহান্ধ হয়ে দায়িত্বকে এড়ানো অবিবেচকের কাজ।
–পল রিচটার