–টি. এইচ. বেইলি
৭১. ওরে বি. এ. এম. এ. পাশ করে
নোকরী যদি নাহি মিলে।
ভাবনা কেন কিসের ভয়
মিশে যাওনা চাষার দলে
মুকুন্দচন্দ্র দাস
৭২. চাকরি বাঙালিকে কায়িকশ্রমে বিমুখ, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনুৎসাহী ও দুঃসাহসিকতায় পশ্চাৎপদ করেছে–এ অভিযোগ অতি পুরাতন ও বহুশ্রুত। সবচেয়ে শোকাবহ এই যে, নিশ্চিত আয়ের নিরাপদ ছত্রচ্ছায়ার মোহ দিয়ে চাকরি তাকে করেছে রিক্ততেজ, হতোদ্যম, ঐক্যহীন ও বাক্যসার।
যাযাবর
৭৩. কর্মিষ্ঠ লোকের দোষ এই, অন্য লোকের কর্মপটুতার উপরে তাহাদের বড়ো একটা বিশ্বাস থাকে না। তাহাদের ভয় হয়, যে কাজ তাহারা নিজে না করিবে সেই কাজ অন্যে করিলেই পাছে সমস্ত নষ্ট করিয়া দেয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৪. কাজকে ভালোবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। –মার্শাল ৭৫. খুব ভাবিয়া-চিন্তিয়া কাজ করাকেই খোদাতা’আলা ভালোবাসেন।
–আল-হাদিস
৭৬. এ ধরণী কর্মক্ষেত্র। কর্মের বর্ম পরি’
তোমায় এগুতে হবে, বিধাতায় স্মরি’
আপনার লক্ষ্য পানে! ওরে অন্ধ নর
জীবন ব্যয়িত কর কর্মে নিরন্তর।
সদরউদ্দিন
৭৭. তুমি কোথাও কোনো ভালো কাজ করো, উপকার করো, তবেই লোকে তোমার বদনাম করিবে। আমগাছে ফল ধরে বলিয়াই লোকে ঢিল মারে। ফজলি আম গাছে আরও বেশি মারে। শেওড়া গাছে কেউ ঢিল মারে না।
–শেরে বাংলা
৭৮. হাতের কাছে যা পাও, তা-ই করো। বসে থাকার চাইতে ভোঁতা কাজও ভালো।
–চার্লস কিংসলে
৭৯. কাজের মধ্যেই মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে।
–টমাস ফুলার
৮০. বিনা কষ্টে ও শ্রমে কেনা যায় এমন কিছুই নেই সত্যিকার দামি।
এডিসন
৮১. কর্ম থেকে কর্তৃত্বকে যতই দূরে পাঠানো যাবে, কর্ম ততই মজুরির বোঝা হয়ে মানুষকে চেপে মারবে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮২. কর্ম মানবজীবনের অনিবার্য পরিবেশ, মানবকল্যাণের প্রকৃত উৎস।
টলস্টয়
৮৩. কর্মই বিরক্তি, পাপ ও দারিদ্র–এ তিনটি অমঙ্গল দূরীভূত করে।
–ভলতেয়ার
৮৪. আমি আমার কর্তব্য করতে করতে ক্লান্ত, সেজন্য আমি সুখী এবং বিধাতাকে ধন্যবাদ জানাই।
–জোসেফ হুফার
৮৫. হে মানুষ! হে মানুষ!
কঠোর কর্তবব্রত বয়ে নিতে জীবনে তোমার
কখনো কোরো না অস্বীকার
কেননা এ পথে আছে বেহেশতের আস্বাদ অক্ষয়
এ পথে স্রষ্টার চির সান্নিধ্য নৈকট্য মধুময়।
ইকবাল
৮৬. যা-কিছু করা হয় ভালোবাসার প্রেরণায়, সেসব ঘটে শুভ আর অশুভের বাইরে।
–নিৎসে
৮৭. মহৎ কর্ম তখনই সক্ষম যখন তা গোপন।
–পাস্কাল
৮৮. ভালো জেনে লাভ নেই, যদি ভালো কর্মকে অবহেলা করা হয়।
–পাবলিলিয়াস সাইরাস
৮৯. যা তোমার কর্মে আছে সেইটুকু তোমার অস্তিত্ব। তোমার কর্ম তোমার সত্তা, অন্য কোনো সত্তা তোমার নেই।
–যা এক্সপারি
৯০. বুড়োরা যা বলে তুমি তা করতে পার না, নিজে যা পার সেটি খুঁজে বের করো। বুড়োর কর্ম বুড়োদের, নতুন কর্ম নতুনদের।
–থরু
৯১. বিধাতার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য কিছু
বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন
৯২. কাজে যে নিষ্ঠ, ব্যবহারে যে মার্জিত–জীবনে উন্নতি তার হবেই।
–শিলার
৯৩. কর্মঠ লোক রাজা হবে, কিন্তু অলস চিরদিনই প্রজা থাকবে।
হযরত সোলায়মান (আ.)
৯৪. তোমার বন্ধুজনকে দাও সময়, দয়িতাকে দাও অবসর, মনকে দাও আরাম, আর কে বিশ্রাম–যাতে তোমার অভ্যস্ত কর্মগুলো আরও ভালোভাবে সম্পাদন করতে পার।
–ফাত্রদাসা
৯৫. অবকাশকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ভরিয়ে তুলতে পারাই হচ্ছে সভ্যতার শেষ অবদান।
বার্ট্রান্ড রাসেল
৯৬. অবসরময় জীবন আর অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস।
–বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন
৯৭. আমাদের কর্ম নিশ্চিত করে আমাদের, যতটা না আমরা নিশ্চিত করি আমাদের কর্ম।
–জর্জ এলিয়ট
৯৮. নিজেদের মহৎ কর্ম নিয়ে মানুষ ঘোষণা করে তাদের অহং, যদিও ওগুলোর বেশিরভাগই কোনো পরম নকশার নয়, আপতনের ফল।
লা রাশফুকো
৯৯. বলা এক ব্যাপার, করা আরেক। আমাদের বোঝা উচিত শ্লোক আর ব্রাহ্মণের মধ্যে পার্থক্য কোথায়।
–মতেইন
১০০. কাজের মধ্যে মধ্যে অবকাশ মেলে, কিন্তু পুরো অবকাশের মধ্যে অবকাশ বড় দুর্লভ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০১. অবসর হচ্ছে এমন একটা সময় যে-সময়ে প্রয়োজনীয় কিছু করে রাখা যায়।
টমাস হুড
১০২. শক্তিসম্পন্ন ও কার্যে সক্ষম হইয়াও যে নিজের জন্য পরিশ্রম বা অপরের কোনো কার্য সম্পাদন করে না, আল্লাহ্ তাহার উপর প্রসন্ন নহেন।
–আল-হাদিস
১০৩. একজন অলস মানুষ স্বভাবতই একজন খারাপ মানুষ।
–এস. টি. কোলরিজ
১০৪. নিদ্রা, তন্দ্রা, ভয়, অলসতা আর রোষ,
কার্যে বৃথা কাল ব্যয়–এই ছয় দোষ
অবশ্যই পরিত্যাগ করিবে সে জন,
এভাবে লভিতে লক্ষ্মী আছে যার মন।
–তারাকুমার
১০৫. নির্দয় হবে না; কিন্তু কর্তব্যের বেলা নির্মম হতে হবে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০৬. সর্বদা তা-ই করো, যা করতে তুমি ভয় পাও।
ইমারসন
১০৭. কর্মব্যস্ত লোকের জীবনে স্বপ্ন বলে কিছু থাকে না।
ডব্লিউ. বি. রাটস
১০৮. যাদের কাজেকর্মে কোনো উৎসাহ নেই, তাদের সুন্দর স্বাস্থ্য সমাজ ও সংসারের কোনো কাজে আসে না।
–এডমন্ড বার্ক
১০৯. কর্তব্য কী? যা একজন অন্যের নিকট আশা করে।
–অস্কার ওয়াইল্ড
১১০. জনসাধারণের কর্তব্য করার সময় ব্যক্তিগত কোনো প্রয়োজনীয়তায় পথরোধ করে দাঁড়াবে না।
ইউলিসেস এস. গ্রান্ট
১১১. কর্তব্য মনে করে অপরাধমুক্ত হও, ভয় দ্বারা নয়।