এবং যাহারা মিথ্যা বহন করে না এবং যখন অসত্যের নিকট দিয়া অতিক্রম করে তখন ভাবেই অতিক্রম করিয়া থাকে।
“যখন তাহাদিগকে তাহাদের নির্দেশনাবলী হৃদয়সঙ্গ করান হয়, তখন উহারা বধির ও অন্ধভাবে তাহাকে গ্রহণ করে না।” (সূরা ফোরকান, আঃ ৬৩-৭৩)।
কোরান মজিদের উপরোক্ত বর্ণনার দ্বারা শুধু তসবীহ ও সেজদার মধ্যে আবেদের এবাদতকে সীমাবদ্ধ করা হয় না। বরং বিশেষভাবে ৭২ নম্বর আয়াতের দ্বারা স্পষ্ট প্রতিপন্ন হচ্ছে যে, মানুষের মুখের দ্বারা যে কথাই উচ্চারণ হউক না কেন, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা
যে কাজই সম্পন্ন হউক না কেন, এবং তার মস্তিষ্কের দ্বারা সে যাহাই চিন্তা করুক না কেন, তাতে অন্যায়ের লেশ থাকবে না, এমনকি তাতে অন্যায়ের গন্ধও থাকবে না। যদি সে খোদার প্রকৃত আবেদ বলে নিজেকে পরিচয় দিতে চায়–যদি সে তা মানব-জীবনকে ধন্য করতে চায়। তাই বলে শুধু লেবাস, আবৃত্তি তসবিহ ও সামাজিক অনুন কোনো কাজ হবে না। মানব জীবনের উদ্দেশ্য খোদার দেওয়া জীবন ব্যবস্থা (দীন)-কে পূর্ণভাবে পালন। করে খোদার প্রকৃত আবেদ হওয়া–শয়তানের গোলাম হওয়া নহে।
আর এই জন্যেই খোদা আবার বলেছেন, (বল, আমরা গ্রহণ করিয়াছি। খোদার রং এবং রং-এ আল্লাহর চেয়ে ভালো কে আছে। এবং খোদার এবাদতকারী।