৪। তোমার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শরীরটা তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করো। তুমি জানো মাথাটা কোথায় থাকতে পারে, সেখান থেকে শুরু করো। তুমি জানো না কোথায় থাকতে পারে, সেখানে পৌঁছে শেষ করো। এইভাবে, একবার, দুবার, অনেক বার প্রতি সেকেণ্ডে একবার করে।
৫। এই ভঙ্গিতে শরীরটা তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করার সময়, বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করে এই রকম তিনটে অংশ নির্বাচন করো (বিরতি)।
৬। প্রতি সেকেওে একবার করে শরীর পরীক্ষা করার কাজটা চালিয়ে যাও, এবং বিশেষ ভাবে যে অংশগুলো তোমাকে আকৃষ্ট করছে জানাও আমাকে (বিরতি)।
৭। এটা একটা প্র্যাকটিস সেসন। তুমি যা উপলব্ধি আর অনুভব করছে, সব বেরিয়ে আসতে দাও।
৮। তোমার হয়তো মনে হতে পারে, সব নিজে থেকে বানাচ্ছো, তবু তোমার মাথায় যা আসে সব বলো আমাকে।
(এই পর্যায়ে সাইকিক অপারেটরকে কথা বলার জন্যে সব রকম উৎসাহ দিয়ে যান। তিনটে অংশ নির্বাচিত হওয়ার পর আবার শুরু করুন।)।
গ-১। আকৃষ্ট করছে এই রকম তিনটে অংশের ওপর সমস্ত মনোযোগ ঢেলে দাও এবার। এই তিনটে অংশ প্রতি সেকেণ্ডে একবার করে তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করো। এই তিনটের যে অংশটা সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে সেটাকে চিহ্নিত করো।
(একটা অংশ চিহ্নিত করা হয়ে গেলে, তারপর আবার শুরু করুন।)
২। চিহ্নিত করা অংশটাকে প্রতি সেকেণ্ডে একবার তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করো। এই অংশের কোন বিশেষ জায়গাটা তোমাকে টানছে লক্ষ্য করো। সেই জায়গাটা চিহ্নিত করো।
(জায়গাটা চিহ্নিত করা হয়ে গেলে, তারপর আবার শুরু করুন।)
৩। নির্বাচিত এই জায়গাটা নিজের সুবিধে মতো আকারে বড় করে নাও। এই জায়গায় যদি কোনো ত্রুটি বা অসুবিধে থাকে, তোমার মনকে বলো সেটা যেন ধরতে পারে, চিহ্নিত করতে পারে। মনে রেখো, সমস্যাগুলো একবার ধরতে পারলে সেগুলো তুমি সমাধান করতে পারবে।
৪। তদন্ত চালিয়ে যাও, সেই সাথে কথাও বলতে থাকো। তোমার যা বলতে ইচ্ছে করে, সব বলো আমাকে। কোনো কথা, তা যতোই হাস্যকর আর অপ্রাসঙ্গিক হোক, চেপে রেখো না। তোমার হয়তো মনে হচ্ছে, যা বলতে চাইছে তা সবই তোমার নিছক কল্পনা, বাস্তব নয়। আসলে, ঠিক এই অনুভূতিটাই তোমার হওয়ার কথা আর দরকার। সত্যি-মিথ্যে, আসল-নকল, ভুল-নির্ভুল–এসব ভাবতে যেয়ো না। তোমার মনে যা আসছে তাই বলো আমাকে।
(ওরিয়েন্টোলজিস্টের উদ্দেশে কয়েকটা কথাঃ তথ্যগুলো অধিবেশনের আগেই আপনাকে লিখে রাখতে হবে। শুরুতে যাই বলুক সাইকিক, আরো বলতে উৎসাহ দিন তাকে। সম্পূর্ণ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ভালো বা মন্দ কিছুই বলবেন না। সম্পূর্ণ। রিপোর্ট পাবার পর, সাইকিক বিটা লেভেলে উঠে আসার আগেই তার সাথে আপনার লেখা তথ্য এবং তার আবিষ্কার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করুন। যে কটা বিষয়ে সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে সে সেগুলোকে এক একটা রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে গণ্য করতে হবে। একটা করে সঠিক উত্তর বেছে নিন, এবং সাইকিককে বলুন, এই উত্তরটি দেয়ার সময় তার যেসব অনুভূতি হয়েছিল সেগুলো আবার একবার অনুভব করুক সে, অর্থাৎ ঘটনাটির আবার একবার পুনরাবৃত্তি করুক সে। এবার তার ভুল গুলো সম্পর্কে। তার উত্তর সঠিক হয়নি, সরাসরি এ-কথা বলার দরকার নেই। বলবেন, এ-ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই, তোমার কথা ঠিকও হতে পারে। আর, প্রতিটি উত্তরই যদি ভুল হয় বা আপনার লেখা তথ্যের সাথে না মেলে, মনে করতে হবে সাইকিক অন্য কোনো লোককে পরীক্ষা করেছে। সেক্ষেত্রে অন্য একটা কেস নিয়ে আবার নতুন করে অধিবেশন বসা দরকার। যে-সব সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবে সাইকিক, তাকে দিয়ে সেগুলো সংশোধন করিয়ে নিতে যেন ভুল না হয়। এই কাজ বিটায় উঠে আসার আগেই করতে হবে তাকে। তাকে বলবেন, তোমার মনের পর্দায় লোকটার সুস্থ, সবল এবং হাসিখুশি ছবি দেখতে ভুলো না। মনে মনে কামনা করো এবং বলো, তুমি সুস্থ থাকো, সবল থাকো, আনন্দে থাকো। নিচের কথাগুলো সাইকিককে বলতে হবে জোর গলায়, অধিবেশন শেষ করার আগে।)
ঘ-১। মানবাত্মার কল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়ে যখনই তুমি মনের এই গভীর স্তরে নেমে আসবে, এখন যেমন এসেছে, তখনই তোমার নিজেকে সাহায্য করা হবে। তোমার মেধা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে, এবং প্রতিবার আরো বেশি সঠিক হবে তোমার উত্তর। আজকের অধিবেশন এখানেই শেষ হতে যাচ্ছে।
২। ধন্যবাদ। এবার তুমি বিটা লেভেলে উঠে আসতে পারো। ১-২-৩-৪-৫ ৬-৭-৮-৯-১০। সম্পূর্ণ সজাগ অবস্থায় জেগে উঠেছো তুমি। আগের চেয়ে তাজা এবং ঝরঝরে, সুস্থ এবং সবল লাগছে নিজেকে তোমার। তোমার চোখে, কানে বা মাথায় কোনো অসুবিধে নেই। তোমার শরীরে কোথাও কোনো ব্যথা নেই। তুমি আগের চেয়ে ভালো আছো।
বিশেষ কয়েকটি নীতি
১। এই পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় করে তা ভালো করার জন্যে ওষুধ দেয়া হয় না। সে অধিকার এবং লাইসেন্স শুধু পাস করা ডাক্তারদেরই আছে। এই পদ্ধতিতে দূর থেকে সাইকিক তদন্ত পরিচালনা করা হয়, অস্বাভাবিক কিছু থাকলে তা চিহ্নিত এবং দূর করার জন্যে ব্যবহার করা হয় সাইকিক পাওয়ার।
২। এই পদ্ধতিতে একজন লোকের উপস্থিতিতে তার ওপর সাইকিক তদন্ত চালানো হয় না।
৩। এই পদ্ধতি চর্চার সময় যাঁরা উপস্থিত থাকেন কেন্স হিসেবে তাঁরা নিজেদের নাম উপস্থাপিত করতে পারেন না।