দু’দিন পর চার্চের ওই শিক্ষক ভদ্রলোক ডিককে টেলিফোন করলেন। পাণ্ডুলিপিটা কিভাবে তাঁর অফিসের ডেস্কে এলো, ডিককে তিনি ব্যাখ্যা করে বোঝালেন। তাঁর ব্যাখ্যা আর ছাত্রটির পরামর্শদাতার ব্যাখ্যা, দুটোর মধ্যে কোনো অমিল খুঁজে পাওয়া গেল না।
.
কারো কারো মতে, এ-ধরনের কেস নিয়ে কাজ করে যে রেজাল্ট পাওয়া যায় সেটা পর্যালোচনা করলে কারো বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় যে গোটা ব্যাপারটাই আসলে থট ট্রান্সফারেন্স।
তাই কি?
এর আগে উদাহরণ হিসেবে যে কেসটা ব্যবহার করেছি–যার একটা ফুসফুস ছিলো না-ওটা একটা বাস্তব কেস ছিলো। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, সাইকিক অপারেটর ভাঙা গোড়ালির কথা বললেও, সাইকো ওরিয়েন্টোলজিস্ট তাকে জানালো, গোড়ালি সম্পর্কে এখানে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
পরে, যার কেস নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল, তার সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, বেশ অনেক বছর আগে সে তার গোড়ালি ভেঙে ফেলে, ঠাণ্ডার দিনে খুব কষ্ট দেয়। এই ভাঙা গোড়ালি। থট ট্রান্সফারেন্স? থট ট্রান্সফারেন্স বলতে সাধারণত আমরা যা বুঝি, সে অর্থে নয়। ওরিয়েন্টোলজিস্টের মাথায় চিন্তাটা ছিলো না, কারণ ভাঙা গোড়ালি সম্পর্কে কিছুই জানতো না সে। এবং ঠিক সেই মুহূর্তে কেসের মনেও চিন্তাটা ছিলো কিনা সন্দেহ আছে।
আপনি প্রতিবাদ করে বলতে পারেন, লোকটার মনে চিন্তাটা হয়তো ছিলো। হ্যাঁ, হয়তো।
আরেকটা কেস। এক ছাত্র কেসটা নিয়ে কাজ করার সময় জানালো, এক মহিলার কনুইয়ে একটা দাগ রয়েছে, ওখানে হাড় ফেটে যাওয়ায় দাগটা হয়েছে। ওরিয়েন্টো লজিস্টের কাছে এ-বিষয়ে কোনো তথ্য ছিলো না, তাই মহিলার সাথে যোগাযোগ করতে হলো তাকে। মহিলা তাকে জানালো, না, কনুইয়ে তিনি কখনো ব্যথা পাননি। এর দিন কয়েক পর মহিলা ব্যাপারটা তার মাকে জানায়। মা তখন বললেন, হ্যাঁ, ছোটোবেলায়, তিন বছর বয়সে, পড়ে গিয়ে কনুইয়ে ব্যথা পেয়েছিল সে। এ কি থট ট্রান্সফারেন্স?
পরীক্ষায় দেখা গেছে, বড়দের চেয়ে ছোটোদের অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা বেশি। বিটা লেভেলে কি সম্ভব তার একটা সীমা দেয়া আছে। এই সীমা গ্রাহ্য করার মধ্যে ছোটোরা নেই। বিটা লেভেলে যেটাকে অসম্ভব বলে মনে করা হয়, ছোটোরা সেটাকে নিঃসংশয়ে সম্ভব বলে বিশ্বাস করে বসে থাকে। তাছাড়া, বাস্তবতা সম্পর্কে তাদের চেতনা এখনো এতোটা প্রখর হয়নি যে শুধুমাত্র যুক্তিসঙ্গত ব্যাপারগুলো বিশ্বাস করবে।
এখানে একটা এক্সপেরিমেন্ট সম্পর্কে বলা হলো।
দুই বাচ্চা, টিমি আর জিমি। মূল অনুশীলনগুলো চর্চা করানো হয়েছিল ওদেরকে। দু’জনকে দুটো আলাদা ঘরে রাখা হলো, প্রত্যেকের সাথে থাকলো একজন পরীক্ষক, যাকে ওরিয়েন্টোলজিস্ট বলা হয়। জিমিকে বলা হলো, নিজের লেভেলে চলে গিয়ে তার যা খুশি, কল্পনার সাহায্যে কিছু একটা তৈরি করুক।
ওদিকে, আরেক কামরায়, টিমিকে বলা হলো, নিজের লেভেলে চলে গিয়ে কল্পনার সাহায্যে দেখো তো, জিমি কি তৈরি করছে।
জিমি তার পরীক্ষককে বললো, ‘আমি ছোটো একটা ট্রাক তৈরি করছি। ট্রাকের বডির রঙ সবুজ, চাকার রঙ লাল।
টিমির পরীক্ষক জানতে চাইলো, বলোতো, টিমি, জিমি কি তৈরি করছে?
জিমি? ও তো একটা ট্রাক তৈরি করছে।
তাই? বেশ বেশ। ট্রাকটা কি রকম দেখতে হচ্ছে, বলতে পারবে?
হ্যাঁ। ট্রাকের শরীরটা সবুজ রঙের, চাকাগুলো লাল।’
মন-নিয়ন্ত্রণ শেখার ক্লাসে বড়দের নিয়ে পরীক্ষা চালাবার সময় যে লেভেল ব্যবহার করা হয় এই লেভেল তার চেয়ে অনেক বেশি সূক্ষ্ম এবং গভীর। ছোটোদের। মতো গভীর স্তরে যেতে হলে বড়দের অনেক চর্চা দরকার হয়।
.
এবার একটা কেস বা সাবজেক্ট নিয়ে কাজ করার অনুশীলন। এখানে শুধু স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করা হবে। নিচের অনুশীলনটা ওরিয়েন্টোলজিস্টের জন্যে দেয়া হলো। যারা সাইকিক ইনভেস্টিগেশন শিখতে চায়, এই পদ্ধতিতে তাকে শিখতে সাহায্য করবে সে। যারা শিখতে চায় তাদেরকে সাইকিক অপারেটর বলা হয়।
ক-১। তিন–এক বা দশ–এক পদ্ধতির সাহায্যে তোমার লেভেলে এবং তোমার ল্যাবরেটরীতে চলে যাও তুমি।
২। এর আগে কোনো কেস বা সাবজেক্ট নিয়ে যদি নিখুঁত আর সঠিকভাবে কাজ করে থাকো, নতুন একটা কাজে হাত দেয়ার আগে সেই ঘটনাটা ভালো করে পর্যালোচনা করে নাও।
৩। তুমি তৈরি হলে, আমাকে জানাবে তৈরি হলে, কাজ শুরু করো।)।
৪। একটু পরই তোমাকে আমি একটা সাবজেক্ট সম্পর্কে তথ্য এবং সমস্যা দেবো। নিখুঁত এবং সঠিক উত্তর দিতে হলে নির্দিষ্ট একটা লেভেলে পৌঁছুতে হবে তোমাকে। সেখানে পৌঁছুবার জন্যে তোমাকে সময় এবং সুযোগ দেয়ার উদ্দেশে দশ থেকে এক পর্যন্ত গুণবো আমি। ১০-৯-৮-৭-৬-৫-৪-৩-২-১। এই নির্দিষ্ট লেভেলে তোমার মন এখন নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। একটু পরই তোমাকে আমি একটা সাবজেক্ট সম্পর্কে তথ্য এবং সমস্যা দেবো, এই লেভেল থেকে তুমি নিখুঁত এবং সঠিক উত্তর দিতে পারবে।
খ- ১। আমি তিন পর্যন্ত গুণলে তোমার পর্দায় সাবজেক্টের নাম, বয়স, ঠিকানা, লিঙ্গ উল্লেখ করুন) প্রতিবিম্ব পড়বে।
২। ১-২-৩ (ঝট করে আঙুল খাড়া করুন)। তোমার পর্দায় সাবজেক্টের (নাম, বয়স, ঠিকানা, লিঙ্গ) প্রতিচ্ছায়া পড়েছে।
৩। ওটাকে অনুভব করো, (বিরতি) উপলব্ধি করো, (বিরতি) চাক্ষুষ করো, {বিরতি) কল্পনা করো, (বিরতি) তৈরি করো, (বিরতি) জানো সে ওখানে আছে, নিঃসন্দেহে ধরে নাও সে ওখানে আছে।