অধ্যায় নয় : প্রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া
খিলাফত ও স্বরাজ আন্দোলন, পুনরায় ধর্মে মতি, ওয়ায়ে নূতনত্ব, পীরগিরির উপক্রম, নূতন পরিবেশ, মোল্লাকি-বিরোধী লীগ, মওলানা মলিহাবাদী, মোল্লা-বিরোধের প্রসারিত রূপ, আচার-সর্বস্বতার কুফল, ধর্মান্তর গ্রহণ অনাবশ্যক, ধর্মত্যাগ অসম্মানসূচক, ধর্মে-ধর্মে টলারেন্স, সর্বধর্ম-সমন্বয় বনাম সর্বধর্ম-পরিচয়, ইসলাম-হিতৈষী’ বনাম মুসলিম-হিতৈষী’।
অধ্যায় দশ : ‘অনিসলামি মুসলমান’
স্পর্শকাতর মুসলমান, চাল-চলনে গোঁড়ামি, মিঠাই বর্জন, বেশ্যা-বর্জিত, ফ্যাসটিডিয়াস, মুসলমানের পর্দা-প্রথা, ভিক্ষা বৃত্তি, মুসলিম-হিত বনাম হিন্দু-অহিত, ইসলাম বনাম মুসলমান, ধর্ম ও ঔষধ, শাঁস ও খোসা, ধর্ম বনাম ধর্মীয় দল, ধর্ম বনাম আল্লাহ, মানব বনাম মুসলমান।
অধ্যায় এগার : হক্কুল এবাদ
বুদ্ধির মুক্তির সামাজিক দিক, মুক্তবুদ্ধি বনাম চিন্তার অস্থিরতা, বিজ্ঞান ধর্মবিরোধী নয়, অন্ধভক্তি নয়, অর্জিত উপলব্ধি, শ্রেষ্ঠ মাবুদ, বিজ্ঞানী-শ্ৰেষ্ঠ আইনস্টাইন, ধর্ম-বোধের ভিত পাকা, ধর্মের রুহানিয়াত অব্যয়।
চতুর্থ খণ্ড : সাহিত্যিক জীবন (মামুলি)
অধ্যায় বার : প্রচলিত পথে অগ্রসর
কৈফিয়ত, শৈশবের খোরাক পুঁথি, পুঁথির নিশা, গদ্য সাহিত্যের সাথে পরিচয়, শৈশবে সম্পাদকতা, কৈলাস বাবুর প্রভাব, আতিকুল্লাহ, হাজী আহমদ আলী, আহমদিয়া লাইব্রেরি, বৃদ্ধ মিতাজির দোওয়া, উচ্চতর পরিবেশ, বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাব, কাব্য-সাধনা, মাইকেলের প্রভাব, পুস্তক বাইন্ডিং, চোরের উপর বাটপারি।
অধ্যায় তের : সাহিত্য-সাধনা
কবি হওয়ার অপচেষ্টা, গদ্যে প্রথম সাফল্য, অনুবাদ, আল এসলাম, পিওর আর্টের বিতর্ক, সাহিত্যিকদের সাথে প্রথম পরিচয়, প্রথম বইয়ের কপিরাইট, আরবি-ফারসি বনাম বাংলা শব্দ, প্রথম স্যাক্রিফাইস, দ্বিতীয় স্যাক্রিফাইস, সাহিত্য সমিতির সেক্রেটারি, চাদা আদায়, চাঁদা দান, সাহিত্য-জীবনের মুদ্দত ভাগ, অভিনব বিষয়বস্তু।
পঞ্চম খণ্ড : সাহিত্যিক জীবন (গরমামুলি)
অধ্যায় চৌদ্দ : গণভিত্তিক সাহিত্যিক মোড়
উৎপ্রেরণা-জাত জাতীয় চিন্তা, সাহিত্য-জীবন, খণ্ডতার সংগত কারণ, পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা, নূতন উপলব্ধি, জটিলতা বৃদ্ধি, আমার উভয়সংকট, পাকিস্তান সংগ্রামে মুসলিম সাহিত্যের দ্বিধাবিভক্তি।
অধ্যায় পনের : স্বাতন্ত্রের স্বীকৃতি
সোজা পথ সহজ না, প্রথম তিক্ত অভিজ্ঞতা, পশ্চিমাদের অদূরদর্শিতা, পূর্ব বাংলার দুধারী বিপদ, বাংলা সাহিত্যের মুসলমানি রূপ, বাংলা সাহিত্যের বাঙ্গাল রূপ, বিভ্রান্তির হেতু, আমাদের কথ্য ভাষার শক্তির উৎস, মনিব’ ও ‘চাকরের’ ভাষা, আমার একাকিত্ব’।
অধ্যায় ষোল : রাষ্ট্রিক বনাম কৃষ্টিক স্বাধীনতা
মার্কিন নজির, স্বাতন্ত্র-বোধের উন্মেষ, ওয়েবস্টারের দৃঢ়তা, দেশি শত্রুতা বনাম বিদেশি শত্রুতা, দূরদর্শী বিদেশির সদুপদেশ, উপলব্ধির বাস্তবায়ন, জনগণের জয়।
ষষ্ঠ খণ্ড : সাংবাদিক জীবন
অধ্যায় সতের : সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি
এক ঢিলে দুই পাখি, ‘ছোলতান’, ‘মোহাম্মদী’, ‘দি মুসলমান, ‘খাদেম, প্রথম পর্যায়ের সমাপ্তি।
অধ্যায় আঠার : দ্বিতীয় পর্যায়
‘দৈনিক কৃষক’, ‘কৃষক’-এর অর্থাভাব, ব্যক্তিগত বিপদ, অর্থাভাবের সংগত কারণ, খান বাহাদুর মোহাম্মদ জান, মি. এইচ দত্ত, নীতিগত বিরোধ, কৃষক’ ত্যাগ, সাংবাদিকতার নূতন জ্ঞান, সম্পাদক বনাম মালিক।
অধ্যায় উনিশ : তৃতীয় পর্যায়
‘নবযুগ’, বেনামী সম্পাদক, আমার রাজনীতিক সাংবাদিকতা, আমার ব্যক্তিগত সংকট, নজরুলের ধর্মে মতি, নজরুলের আধ্যাত্মিকতা, নজরুলের রোগ লক্ষণ, মি. দত্তের আবির্ভাব, লজ্জাকর দুর্ঘটনা, আগুনে ইন্ধন, নবযুগে চাকুরি খতম।
অধ্যায় বিশ : চতুর্থ পর্যায়
‘ইত্তেহাদ’, আমার চরম সাফল্য, মুসলিম সাংবাদিকতার অসুবিধা, সমাজ-প্রাণতা বনাম বাস্তববাদিতা, ‘ইত্তেহাদ’-এর প্রয়াস, ‘ইত্তেহাদ’-এর জনপ্রিয়তার কারণ, ‘পাঠকের মজলিস, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদারতা, ‘ইত্তেহাদ’-এর অপমৃত্যু, কলামিস্ট মাত্র।
সপ্তম খণ্ড : আমার সংসার-জীবন
অধ্যায় একুশ : দাম্পত্য জীবন
বিবাহ, বয়সের দূরত্ব লোপ, কচি ঘাড়ে ভারী বোঝা, কুশলী নিপুণা গিন্নি, কলিকাতার জীবন, সংকল্পে দৃঢ়তা, বিবিই জিতিলেন, বিবির প্রভাবের ব্যাপকতা, আমার স্বাস্থ্যের দিকে অতন্দ্র দৃষ্টি, সুখী দাম্পত্য জীবন।
অধ্যায় বাইশ : উকালতি জীবন
শুরুতে নৈরাশ্য, খান সাহেব সাহেব আলী, নূতন অভিজ্ঞতা, ‘অনুকিলী’-সততা, ফিস আদায়, টাউট প্রথা, ‘নোবল প্রফেশন’, মিথ্যাই সত্য, সত্যের জন্যে মিথ্যার ভূমিকা, আলীপুরে।
অধ্যায় তেইশ : বিষয়ী জীবন
বংশগত দুর্বলতা, উস্তাদের শিক্ষা, সাধু থাকা কঠিন না, নবাব সাহেবের উপদেশ, অর্থম-অনর্থম, চিত্রগুপ্তের বাজেট, নিজের বাড়ি, নিজের বাড়ি বনাম ভাড়াটিয়া বাড়ি, জ্ঞান ও বুদ্ধি, আহাম্মকের পাহারাদার তকদির, ‘অজাতশত্রু’, সততা ও তুকাব্বরি, শেষ কথা।
শেষ কথা
প্রথম খণ্ড – পটভূমি
অধ্যায় এক – বংশ-পরিচয়
১. জন্মস্থান
পাঠকগণ, ভুল বুঝিবেন না। এ বংশ-পরিচয় মানে কোনো ডাইনেটি বা শরিফ খান্দানের কুরসিনামা বা বংশলতা নয়। এ বংশ-পরিচয় পাড়াগাঁয়ের একটি সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কৃষক-পরিবারের অতি সাধারণ জীবনমানের ও দিনযাপনের সুখ-দুঃখের কথা। বর্তমান লেখক এমনই একটি কৃষক-পরিবারের সন্তান। সেজন্য তার আত্মজীবনী লেখার মধ্যে তার বংশের এবং আত্মীয়-স্বজনের কথা অমনি আসিয়া পড়ে। সব আত্মজীবনী-লেখকের বেলাতেই এটা সত্য। দুনিয়ার সব দেশের সর্ব শ্রেণীর আত্মজীবনী লেখকেরাই যে নিজেদের বংশ-পরিচয় দিয়া আত্মজীবনী শুরু করিয়াছেন, সেটা এই কারণেই। আত্মজীবনীকার অভিজাত বংশের সন্তানই হউন, আর সমাজের নিচের তলার সাধারণ মানুষের সন্তানই হউন, সবাই একই ধরনের বাপ-মার ঘরেই জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। নিতান্ত এতিম না হইলে বাপ-মার সংসার ও পরিবেশেই তিনি লালিত-পালিতও হইয়াছেন। অভিজাত বংশের সন্তান ও কৃষক-শ্রমিক বংশের সন্তানের মধ্যে সাধারণত গর্ব-অহংকার ও লজ্জা-সংকোচের যে একটা কমপ্লেক্স থাকা খুবই স্বাভাবিক, আত্মজীবনী লেখার অধিকারীদের অধিকাংশের মধ্যে ঐ বয়সে তেমন কোনো কমপ্লেক্স আর থাকে না। কৌলীন্যবোধ ও হীনম্মন্যতার উর্ধ্বে যারা উঠিতে পারেন, সাধারণত তাঁদের মধ্যেই আত্মজীবনী লেখার অধিকার ও ইচ্ছার উন্মেষ লাভ ঘটে। যে বয়সে আত্মজীবনী লেখার অধিকার ও বাসনা জন্মে, সেটা প্রায় জীবন-সন্ধ্যা। সে বয়সে বংশের উচ্চতা ও নীচতার কথা চিন্তা করার মত মনের অবস্থা অনেকেরই থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে তারা হন নিজেরাই এক একটি বংশের প্রতিষ্ঠাতা।