- বইয়ের নামঃ এবার ভিন্ন কিছু হোক
- লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ
- বিভাগসমূহঃ আত্মোন্নয়নমূলক
এবার ভিন্ন কিছু হোক
নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন এবং আমার মরণ সবকিছু কেবল বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার জন্য।
.
পাঠকের মন্তব্য
[এক] বেলা ফুরাবার আগে আমার পড়া অনন্য এক আত্মান্নয়নমূলক বই। মুসলিম জীবনের নিয়মতান্ত্রিক টিপসগুলো এত সুন্দর উপস্থাপনায় আমি ইতোপূর্বে কখনো পড়িনি। জীবনমুখী বিষয়গুলো পড়তে গিয়ে বইয়ের পাতা থেকে আমি ইতিহাসেরও শিক্ষা নিয়েছি দারুণভাবে। পশ্চিমের আধুনিক জীবনের বিপরীতে কীভাবে জীবনটাকে প্র্যাক্টিসিং-জীবন হিসেবে সাজানো যায়, তার দারুণ অনুপ্রেরণা রয়েছে এই বইয়ে। আমাদের দুটো জীবন–এক. দুনিয়ার জীবন, দুই. আখিরাতের জীবন। দুনিয়ার জীবনপদ্ধতি হচ্ছে আখিরাতের জীবনের ইনভেস্টমেন্ট। মৃত্যুপরবর্তী জীবনের ইনভেস্টমেন্টের সিকিউরিটি নিশ্চিত করে কীভাবে দুনিয়ার জীবনকে উপভোগ্য এবং উপজীব্য করে অতিবাহিত করা যায়, সে বিষয়েরই প্রতিপাদ্য চিত্র বেলা ফুরাবার আগে। উদভ্রান্ত, উদাসীন সময়ের পাটাতন থেকে মানুষেরা ফিরছে জীবনের নতুন অনুচ্ছেদে। মুক্তির শীতল পরশে নতুন পৃথিবীর বার্তা বইছে। ভীষণ বেপরোয়া স্রোত এবার বাঁক নিয়েছে। জীবনের এই বেপরোয়া স্রোতকে আমরা নতুন জাগরণে উত্তাল করবো। আসুক তবে আদর্শের সেই কাঙ্ক্ষিত ঢেউ, আমরা তাতে হবো লীন।
–কাজী শাখাওয়াত হোসাইন
[দুই] সন্ধ্যেনামা মেঠোপথে সদাইপাতি নিয়ে শশব্যস্ত পা-চালানো পথিকের মতোই আমাদের জীবন। সূর্যাস্তের আগেই ঘরে ফিরবার তাড়া! অনন্তের জন্য সওদা গুছিয়ে জীবনের অলিগলি ধরে বিরামহীন পথচলা… ক্ষণস্থায়ী জীবনের সওদাটুকুই পরকালের সম্বল। জীবনের লেনাদেনায় সেটুকুন গোছাতে পারলেই সফলতা। জীবনের সওদা গোছানোর অনুপম পাঠ নিয়ে লেখা হয়েছিল বেলা ফুরাবার আগে বইটি। হৃদয়ছোঁয়া বইটির প্রতিটি পাঠেই কাষ্ঠকঠিন হৃদয়ে জেগেছে প্রশান্তিময় কুরআনি বসন্ত। মনের বিষণ্ণতার প্রহরগুলোতে প্রাণসঞ্চারের কোশেশ করেছে অনুপম এই বইটি। বইটির দ্বিতীয় সিকুয়েন্স আসছে শুনে আপ্লুত হয়েছি। বইটির দ্বিতীয় সিকুয়েন্সও পাঠকপ্রিয় হোক। বিশ্বাসী তারুণ্যকে শেখাক আসমানি শুদ্ধতার পাঠ। জীবনের উঠোনজুড়ে ছড়িয়ে দিক ফিরদাউসের খুশবু। আমাদের পাথরপ্রতিম হৃদয়ে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে ঝরুক প্রিয় লেখকের এই সিরিজটি।
–জোবায়ের বিন বায়েজীদ
[তিন] এ ছোট্টকায় জীবনে অনেক দেখেছি যে, সব জিনিসে দারুণ উপকার থাকলেও কিছু না কিছু অপকারিতাও থেকেই যায়। এই প্রথম কোনো বই পড়ে আমারও বেশ উপকার হয়েছে। কিন্তু তাজ্জবের বিষয়–এই বইটিতে কোনো অপকারিতা খুঁজে পাইনি আমি। অসম্ভব চমকপ্রদ ভাষাভঙ্গিতে লেখা বইটির নাম বেলা ফুরাবার আগে৷ বইটির ফিরিস্তি দেখেই খুলে ফেলি ৬৪ নম্বর পৃষ্ঠার ‘আমরা তো স্রেফ বন্ধু কেবল অধ্যায়টি। প্রবল মনোযোগে দেদারসে পড়তে লাগলাম। সেদিন শুধু এটাই পাঠোদ্ধার করতে পেরেছিলাম যে, আহ! যেমন জীবন পরিচালনা করছি তা তো মোটেও ঠিক নয়। সেদিনের পর থেকেই হারাম রিলেশনশিপের প্রতি আমার ভেতরে অনেকদিনের যে একটা আকর্ষণ জিইয়ে ছিল তা মুহূর্তেই উবে গেল। অধ্যায়টি এত ভালো লেগেছে যে, তারপর আমি সম্পূর্ণ বইটি একনাগাড়ে পড়ে ফেললাম। বইটি সবারই পড়া প্রয়োজন। প্রধানত তরুণ-তরুণীদের। তাই আমি আমার সামথ্যানুযায়ী এপর্যন্ত দশোধ্বজন তরুণ-তরুণীকে বইটি হাদিয়া দিয়েছি। রবের কাছে একটাই আরজি–তিনি যেন লেখকের হৃদয়-নিংড়ানো এ কাগুঁজে কথাগুলোকে তার জন্যে জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্ট মাধ্যম হিসেবে কবুল করে নেন, আমিন।
–কোহিনূর হাসান সাদিয়া
.
প্রকাশকের কথা
ইবলিসশয়তানের সাথে মানুষের শত্রুতা চিরন্তন।অভিশপ্তহওয়ার পর সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, কিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য সে তার সর্বোশক্তি প্রয়োগ করে সবরকমের চেষ্টা করে যাবে।
রন্দ্রে রন্ধ্রে ঘুরে বেড়ানো ইবলিসের খপ্পর থেকে সম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ আমাদের সামনে নেই। সে তার বাহারি ফাঁদ পেতে সর্বদা আমাদেরকে গন্তব্য থেকে বিচ্যুত করতে মরিয়া। সে আমাদের জান্নাতে নবি-রাসুলদের প্রতিবেশী হতে দিতে চায় না, আমাদের নিয়ে সে অনন্ত জাহান্নামে পুড়তে চায়। ইবলিসের ফাঁদে পড়ে আমরা পদে পদে বিভ্রান্ত হই। হওয়াই স্বাভাবিক। ইবলিসের শক্তির সাথে পেরে ওঠা আমাদের পক্ষে নিতান্তই অসম্ভব, যদি না আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সাহায্য করেন। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দাকে তখনই সাহায্য করেন, যখন বান্দা কায়মনোবাক্যে তাঁকে ডাকে। হৃদয়ের গভীর থেকে তাঁকে স্মরণ করে।
আল্লাহর নির্দেশিত একটা জীবনব্যবস্থা আমাদের সামনে রয়েছে, কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, শয়তানের কুমন্ত্রণায় পড়ে সেই জীবনপদ্ধতি থেকে বারবার আমরা ছিটকে যাই। আমরা নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো অথবা অন্যের বানানো জীবনপদ্ধতিকে আপন করে বাঁচতে শুরু করি। এভাবে আস্তে আস্তে আমাদের অন্তরগুলোতে মরিচা ধরে যায় এবং আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করি যে, আল্লাহ হয়তো আর কোনোদিনও আমাদের ক্ষমা করবেন না। আমরা হয়তো চিরতরে আল্লাহর ক্ষমা লাভের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি।