কত জায়গায় যাই, কত মানুষের সাথে মিশি, কত যে দৃশ্য চোখে ভাসে, রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ভাবি কাল সকালে আর যদি উঠতে না পারি আমার চাওয়াটা কী সত্যি হবে। কত কত মানুষের ভিড়ে নিজেকে আবার হারিয়ে ফেলব না তো? সত্যি এত প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাই না। অচেনা দেশে এক অচেনা মানুষ হয়ে আমি ঘুরে বেড়াই। স্মৃতি আমাকে ভবিষ্যতের পথে হাঁটতে শেখায়। আমার সন্তানের আঙুল ধরে অনেক দূর হেঁটে যেতে চাই মাইলের পর মাইল।
সন্তানের কথাই যখন এলো আরেকটি ঘটনা বলি- আমার সন্তানের জন্মদিন ১১ নভেম্বর ২০০৬। তখন দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। চারিদিকে মিছিল-মিটিং, হরতাল, অবরোধ কত কী। অবরোধের মধ্যেই পৃথিবীতে এলো আমার সন্তান। আমার বাবা-মা চুমকির মা, ভাইবোন সবাই হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। আমিও সেদিন প্রচণ্ড পেটের ব্যথা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছি। আমার অ্যাপেন্ডিসের ব্যথা। পরে অপারেশন হয়েছিল। লাক্স-চ্যানেল আই-র দুবাই যাওয়ার কথা সেটাও হলো না। ঈশিতার সাথে একটা নাচের রিহার্সেলও করেছিলাম। ঈশিতা খুব মন খারাপ করেছিল। পরে আবার মন ভালো হয়েছিল আমার সন্তান হবার খবর পাবার পর। যাই হোক হাসপাতালে আমি প্রচণ্ড টেনশন নিয়ে, যখন দৌড়াদৌড়ি করছি তখন অপারেশন থিয়েটারের সামনে আমার সমস্ত আত্মীয়-স্বজন অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমি ভয়ে সেখানে যাই না। কিসের ভয়, কেন ভয় আমি জানি না। সন্তান পৃথিবীতে আসার আগে বাবাদের কী এই ধরনের ভয় হয়? আমি ঠিক জানি না। আমি ভীত হয়ে দূরে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর দূরে শুনলাম, সিস্টার মীর সাব্বিরকে ডাকছে। আমি কাছে যাই না। আমার বড়বোন দীবা আপু চিৎকার করে বলছে- সাব্বির তোর ছেলে হয়েছে, ছেলে হয়েছে। আমি অনেক ভয়ে কেমন যেন কুঁকড়ে গেলাম। সবাই আমার সন্তানকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে গোল হয়ে। একটু পেছনে দু’পা উঁচু করে দাঁড়িয়ে দূর থেকে আমার সন্তানকে দেখতে লাগলাম। তারপর কি পরম ভালো লাগায় সিস্টার আমার সন্তানকে আমার কোলে তুলে দিলেন। বুকের ভেতরে নিয়ে যখন ওকে জড়িয়ে ধরলাম আমার সমস্ত ভয় শেষ হয়ে গেল। দুচোখে অনুভব করলাম কেমন যেন ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে। আমি কি কাঁদছিলাম তখন? জানি না, তবে সাহসী বীর মনে হলো আবার, আমাকে।
আমার ছেলে আর আমি। যুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমরা দুজন আর পৃথিবীর অন্যরা সবাই একসাথে ‘নো প্রবলেম। ’আমি মনে মনে একথা যখন ভাবছি তখন দেখলাম আমার আব্বা আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। আমার সন্তান আমার বুকের মধ্যে, আর পেছনে আমার বাবা। আমার মনে হলো আমি আরও অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক বেশি সাহসী। কারণ আমার সামনে আমার সন্তান, মাঝখানে আমি আর পেছনে আমার বাবা। এর চেয়ে বড় সত্য আর কী হতে পারে? এর চেয়ে বড় সাহস আর কী হতে পারে?
‘শেকড়ের টান বড় মারাত্মক,
শেকড়ের টান বড় ভয়ঙ্কর মায়া।’
ব্লেড সস্তা বলে দাড়ি নেই
ভালোবাসা কারে কয়?
–যদি আবার প্রেমে পড়া যেত, তাহলে বলা যেত ভালোবাসা কারে কয়। সময় সময় ভালোবাসার অর্থ বদলায়। তবে জ্যামিতিকভাবে ভালোবাসার সংজ্ঞা হতে পারে−একটি ছেলে ও একটি মেয়ের হাতের রেখা যদি পরস্পর একদিকে যায়, তবে তারা পরস্পর যে বিন্দুতে ছেদ করে, তাকেই ভালোবাসা বলে।
আপনাকে যদি ভ্যালেন্টাইনস ডেতে কোনো মেয়ে প্রেম নিবেদন করে, আপনি তাকে কী বলবেন?
–তাকে বুদ্ধিমতী হওয়ার পরামর্শ দেব।
আপনাকে এ শহরের মেয়র নির্বাচন করা হলে আপনি সর্বপ্রথম কী করবেন?
–এ শহরে প্রেমের কোনো আলাদা জায়গা নেই। প্রেমের জায়গা তৈরি করব। সর্বোপরি শহরটাকে এমন করব, যেন শহরে পা দেওয়া মাত্র মনে হয়, এ শহরে একজন ‘মেয়র’ আছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ কী বলে মনে হয়?
–অনেকে ভাবেন বুঝি, প্রেমিকার মন জয় করা। আসলে কিন্তু না। মন জয় করা প্রাথমিক একটি ধাপ কেবল। কঠিন হচ্ছে মন জয়ের পর তাকে ঠিকঠাক রাখা। ঝঃধনষব রাখা আরকি!
আপনার জীবনে সবচেয়ে রোমান্টিক মুহুর্ত কী ছিল?
–একজন আমাকে বলেছিল, ‘তোমার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে জীবনের এতগুলো দিন কেটে গেছে, ভাবাই যায় না।’ এটাই আমার কাছে এখন অবধি শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক মুহুর্ত।
সবচেয়ে বেশি ভয় পান কাকে?
–স্বামীমাত্রই যাকে ভয় পায়।
আপনার দাড়ি নেই কেন?
–ব্লেড তো এখনো বাজারে বেশ সস্তা!
প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর অবদান থাকে। আপনার ক্ষেত্রে তিনি কে?
–বলাটা তো খুব রিস্ক। আপনার কাছে দাবিদারদের কোনো তালিকা আছে?
বাংলাদেশ টেলিভিশন কথা বলে…।
–সাউন্ড অন থাকলে…।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনার মন কী চায়?
–ফাঁকা টয়লেট।
আপনার কাছে ভালোবাসা কী?
–শৈশবে বাবা-মা আর খেলনা; কৈশোরে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রিটনি স্পিয়ার্স, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি; যৌবনে মনের মানুষ, মাঝবয়সে স্ত্রী, সন্তান; শেষ বয়সে নিজের জীবন আর এই পৃথিবীটা।
নিজের লেখা বই কাকে উৎসর্গ করে সবচেয়ে আনন্দিত হয়েছিলেন?
–নিজেকে। উপনায়ক উপন্যাস নিজেকে নিজেই উৎসর্গ করেছিলাম।
আপনি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রেমের জন্য কী সুযোগ দিতেন?
–১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্রেমভাতা চালু করতাম।
ঝামেলা মনে হয়…।
–মাঝেমধ্যে যখন সত্যি কথা বলতে হয়।
ভাবতে ভালোই লাগে…।
–তাকে এখনো ভালোবাসি।
মিলন হবে কত দিনে…?
–আমি তো হয়েই আছি। যে আসবে তার ওপর। আমার দিক থেকে কোনো বাধা নেই।