মিলন : সঠিক কি বেঠিক জানি না৷ বাংলাদেশেটা এখন কিন্তু দাড়িয়ে আছে প্রবাসে আমাদের প্রায় ৮০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর৷ সুতরাং তাদের কল্যানেই তো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগনের একযোগে কাজ করা উচিত৷ কিনু আমাদের নীতিনির্ধারক হয়ে যারা মাথার উপর বসে আছেন৷ তারা প্রবাসীদের কথা চিন্তা করেন বলে মনে হয় না৷
মুন্সীগঞ্জ.কম : মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসীদের শারীরিক নির্যাতন সহ যেভাবে দেশে ফেরত্ পাঠাচ্ছে তাতে দেশের এর বিরূপ প্রভাব ফেলবে কি?
মিলন : অবশ্যই বিরূপ প্রভাব ফেলবে৷ অর্থনৈতিক, পারিবারিক এবং সামাজিক সব ক্ষেত্রেই এর বির্বপ প্রভাব প্রতিফলিত হবে৷
মুন্সীগঞ্জ.কম : সরকারের ব্যর্থতা কি এক্ষেত্রে কাজ করেছে?
মিলন : আমি মনে করি এই ব্যাপারটি যদি কুটনৈতিকভাবে হ্যান্ডেল করা বা এর সাথে জড়িত বিভাগ যদি সঠিক সময়ে দ্রুত এবং সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিত তা হলে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না৷ রাষ্ট্র যদি উদ্যোগ নিত তাহলে কোন বা কোন ভাবে এর সুরাহা হত৷ তারা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি৷ যার জন্য আমাদের লোকগুলিকে অমানবিকভাবে ফেরত্ আসতে হচ্ছে৷
মুন্সীগঞ্জ.কম : এই ক্ষেত্রে প্রবাসীদের কি করনীয় আছে বলে মনে করেন?
মিলন : আমাদের যে সব ভাইয়েরা প্রবাসে রহিয়াছেন তাদের সকলের উচিত সেই সেই দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রচলিত আইন মেনে চলা৷ এখন তুমি জাপান থাকো, তোমার উচিত হবে জাপানের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা৷
মুন্সীগঞ্জ.কম : প্রবাসীদের ভোটাধিকার আজও দেওয়া হেছ না৷ কি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন?
মিলন : কোন কারণই থাকা উচিত নয়৷ ভোটাধিকার অবশ্যই থাকতে হবে৷ প্রবাসীরা ও বাংলাদেশী৷ এমন কি যৌথ নাগরিক প্রাপ্তদের বেলায়ও৷ প্রবাসীদের কে অবশ্যই অবশ্যই ভোটাধিকার দিতে হবে৷
মুন্সীগঞ্জ.কম : রেমিট্যান্সের টাকা বাংলাদেশে পৌছুতে সময় লাগে প্রচুর অথচ অন্যান্য দেশে খুব দ্রুত সময়ে পেুৗছে যায়৷ কি পদক্ষেপ নিলে সহজতর হবে মনে করেন?
মিলন : আমি বা আমরা তো আমাদের ভাবনার কথাগুলি বলতে পারব৷ কিনু কাজ কতটুকু হবে? পৃথিবীর এমন কোন দেশ আছে বলে আমার জানা নেই যেখানে জাপান, আমেরিকা কিংবা অন্যান্য উন্নত দেশগুলি থেকে রেমিট্যান্স পাঠালে এতো সময় লাগে পেুৗছতে৷ বর্তমান অত্যাধুনিক উন্নত প্রযুক্তির যুগে এতোটা সময় লাগাটা তো একেবারেই অযৌক্তিক৷ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হওয়া বাঞ্চনীয়৷ অনলাইন ব্যাংকিং এর যুগে টাকা জমা দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে পেুৗছেছে কিনা৷ এখনকার পৃথিবী হচ্ছে কমপিউটারাইজড৷ সব কিছু হাতের মুঠোয়৷ কাজেই কোন মতেই এতোটা সময় লাগা উচিত্ নয়৷ এই সেক্টরে যারা কাজ করছেন তারা আসলে এই সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না৷ আমাদের নীতি নির্ধারকদের অযোগ্যতার জন্য সারা পৃথিবীর সাথে তাল মিলাতে পারছে না৷ আমরা সেই আগের স্থানেই রয়ে গেছি৷ এটা আমাদের দুর্ভাগ্য৷
মুন্সীগঞ্জ.কম : Munshigonj.com নামে অত্যন জনপ্রিয় একটি ওয়েব সাইট আছে, যেখানে সমস মুন্সীগঞ্জকে জানা যাবে মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে৷ এমনকি আপনাকেও৷ আপনি সাইটির কথা জানেন?
মিলন : আমি আসলে যন্ত্র (আধুনিক প্রযুক্তি) থেকে একটু দুরে থাকা মানুষ৷ এখনো সেই আগের আমলের হাতে লিখালিখি করি৷ এই যে আমার মোবাইল সেট দেখছো, আমি কেবল ফোন রিসিভ এবং ফোন করা ছাড়া আর কোন ব্যবহারই জানি না৷ অথচ আমি জানি আধুনিক প্রযুক্তির সব সুবিধাই এখানে দেওয়া আছে৷ আমার মাথায় ঢুকাতে পারি না৷ তবে আমি জানি যে, কাজগুলি হচ্ছে৷ কেউ না কেউ করছে৷ শুনতেও পাই৷ আজ তোমার এখানে এসে দেখলাম৷ এরপর থেকে নিয়মিত দেখার চেষ্টা করবো৷
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজ এলাকাকে পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যারা কাজ করে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল৷ এই কাজটি করার জন্য কমপিউটার এবং ওয়েব সাইটের কোন তুলনা নেই৷ আমি উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে শেখ তৈয়বকে তোমার মাধ্যমে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই৷
মুন্সীগঞ্জ.কম : মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর বাসীর প্রতি আপনার অনুরোধ থাকবে কি কি?
মিলন : আমি যেটা অনুরোধ করতে চাই তা হল মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরের লোকজন বেশ ধনী৷ এককভাবে কিছু না করে যৌথভাবে যদি করা যায় সেটা বিক্রমপুর বাসীর জন্য কাজে আসবে৷ একসময় অত্র এলাকা শিক্ষিতের হার খুব ভালো ছিল৷ এখন অনেক কম৷ ভালো স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে৷ মানুষের কল্যানে কাজ করবে যেমন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে৷
বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য প্রযুক্তির খাত খুব শক্তিশালী৷ এই খাতে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা৷ বিদেশ থেকে প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগকারী এনে এখানে আইটি ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করে লোকজনকে দক্ষ করে তুলে বিদেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ অদুর ভবিষ্যতে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে৷
মুন্সীগঞ্জ.কম : বিক্রমপুরবাসী হিসেবে সরকারের প্রতি আপনার কি অনুরোধ থাকবে?
মিলন : বিক্রমপুর নামটি কেবল মুখে মুখেই আছে৷ মানচিত্রে বা সরকারী নথিপত্রে কোথাও নেই৷ এমন কি নামেও৷ এই বিক্রমপুর নামটি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি কিছু লিখালিখি করেছিলাম৷ অনতপক্ষে জেলাটির নাম করন করা হউক মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর জেলা৷