সমাজ-জীবনে পুরুষের অপেক্ষা মেয়েদের ভূমিকার গুরুত্ব চিরকালই বেশি। এ যুগে তারতম্যটা আরও বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে চিরকালীন আদর্শগুলি দাঁড়াতে পাচ্ছে কোথায়?
কিন্তু দাঁড় করাতে তো হবেই।
আদর্শহীন সমাজ, বিগ্রহহীন মন্দিরের সমতুল্য। মন্দিরে বিগ্রহ স্থাপনের দরকার। দরকার– শুচিতার জন্য, পবিত্রতার জন্য, শান্তির জন্য।
সমাজ জীবনের মেরুদণ্ড যদি নারী, তো মানব জীবনের মেরুদণ্ড ঈশ্বর বিশ্বাস। ঈশ্বর বিশ্বাসহীন সমস্ত শিক্ষা সমস্ত প্রগতিই নিষ্ফলা। এই ঈশ্বর বিশ্বাসের বীজ আমাদের সন্তানদের মধ্যে যেন শৈশব থেকেই রোপন করতে সচেষ্ট থাকি আমরা।
দুঃখের বিষয়, আজ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষাধারার মধ্যে থেকে ধর্মকেই নির্বাসন দেওয়া হচ্ছে। অথচ সকল বোধ সকল বিশ্বাসের উন্মেষ ঘটে এই শৈশব কাল থেকেই।
এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না বলে ডিগ্রী সরবরাহের কারখানা বললেই ভাল হয়। …তবে আশার কথা, সব শিক্ষামন্দিরগুলিই এমন নয়। …তথাপি একথাও ঠিক, জীবনের যথার্থ শিক্ষার ক্ষেত্র মাতৃক্রোড়।
অস্ফুটবা শিশুও মায়ের দেখাদেখি হাতজোড় করে বলতে শেখে নমো নো। অতএব ঘুরে ফিরে সেই কথাই এসে পড়ে, পুরুষের অপেক্ষা মেয়েদের দায়িত্বের গুরুত্বের কথা। মেয়েদের হাতে কেবলমাত্র নিজের জীবনটিই নয়, সমগ্র জাতির জীবনও তার হাতে। তাই শুধু নিজেকে নিখুঁত করে গড়ে তুলতে পারলেই কর্তব্য শেষ হল না, মেয়েদের কর্তব্যের সীমা আরও ব্যাপক গভীর। তার হাতেই ভবিষ্যৎ জাতি। অথবা জাতির ভবিষ্যৎ।