“….. not even the most purity defensive forms of possessiveness are in themselves admirable; indeed as soon as they are strong, they become hostile to the creative impulses.”Take no thought, saying what shall we eat? or what shall we drink, or wherewithal shall we be clothed?” “ Whoever has known a strong creative impulse has known the value of this precept in its exact and literal sense. It is preoccupation with possession more than anything else, that prevents men from living freely and nobly?”
সাধক সাধনার দ্বারা যাহা দান করিয়া যায়, তম্মধ্যে তাহার ব্যক্তিত্বই প্রধান। ইহা খণ্ড-সৃষ্টি নয়, সম্পূর্ণ সত্তা। সমস্ত খণ্ড-সৃষ্টি ইহার মধ্যে বিধৃত। এই ব্যক্তিত্ব সে শুধু তাহার পুত্র-কন্যাকে দান করিয়া যায় না, সমস্ত মানব-সম্প্রদায়ই তাহার উত্তরাধিকারী; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাহার পুত্র-কন্যাই তাহা হইতে বিশেষভাবে বঞ্চিত হয়। অত্যন্ত নিকট হইতে দেখে বলিয়া অনেক সময় তাহারা তাহার সৌন্দর্য ও মহত্ত্ব উপলব্ধি করিতে পারে না।
সাধকের চিন্তা ও কর্ম যেখানে সকলের, সেখানে সে নৈর্ব্যক্তিক। চিন্তা ও কর্মের ক্ষেত্রে সাধক যতই নৈর্ব্যক্তিক হইতে থাকে, ততই তাহার ক্ষুদ্র ‘আমি’ ক্ষুদ্রতম হইয়া, বৃহৎ ‘আমি’ বৃহত্তর হইতে থাকে। নৈর্ব্যক্তিক হইবার সহায়ক বলিয়াই আল্লাহর আরাধনা মানবচিত্তের পক্ষে এত কল্যাণকর। তিনি অনন্ত, অসীম ও প্রেমময়। সকলকে লইয়াই তিনি জাগিতেছেন কিন্তু সকলকে অতিক্রম করিয়াও আছেন, তিনি অবিনশ্বর আর সকলে নম্বর। এই মনোভাব মানুষকে যতটা ঔদার্য ও বিশালতা দান করিতে পারে, আর কোনো মনোভাব ততটা পারে না। এইখানেই ঈশ্বরের ধারণার শ্রেষ্ঠতা। ডিমোক্রেসি বলো, এনার্কিজম বলো, কোনোকিছুতেই তুমি এতবড় সার্থকতা লাভ করিতে পারো না, এমন বিপুলভাবে পরিপূর্ণ হইতে পারো না। কিন্তু যেখানে এই চারিত্রিক প্রভাব নাই, সেখানে তাহার আরাধনা শুধুই নাম-পূজা, শুধু অভিনয়। তোমার গুণ গাহিলাম, কিন্তু গুণে গুণান্বিত হইলাম না; তোমার নাম করিলাম, কিন্তু চরিত্রের দ্বারা প্রভাবান্বিত হইলাম না ইহার মতো বড় রকমের ঠাট্টা আর কী হইতে পারে, ধারণা করা কঠিন। আল্লাহ যদি সবাক হইতেন তবে নিশ্চয়ই চিৎকার করিয়া বলিতেন বন্ধ করো তোমার পূজা, শুনিতে চাই না ঐ অনুপযুক্ত মুখে আমার নাম গান। কিন্তু তিনি নীরব বলিয়াই ভঁহাকে ফাঁকি দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হইতেছে।
অনেকে ব্যক্তিত্বকে প্রভুত্বের সঙ্গে এক করিয়া দেখে প্রতাপশালীকে ব্যক্তিত্বশালী বলিয়া ভুল করে। কিন্তু বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলে দেখা যাইবে, সে অত্যন্ত সাধারণ, তাহার কোনো বিকাশ নাই, সুতরাং ব্যক্তিত্বও নাই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোথাও তাহার তিলমাত্র প্রভেদ নাই। ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আসলে সেবার সম্পর্কই বেশি। সেবার ভাব না আসিলে নৈর্ব্যক্তিক হওয়া যায় না, আর নৈর্ব্যক্তিক না হইলে ব্যক্তিত্ব বিশাল ও গম্ভীর হয় না। সেবার ভাব না জাগিলে শুধু ‘আমি’র কারাগারে বন্দী থাকিতে হয় বলিয়া জীবনের পরিপূর্ণ আস্বাদ লাভ করা অসম্ভব হইয়া পড়ে।
তোষামোদকারীর নৈর্ব্যক্তিক সাধনা নাই বলিয়া তাহার ব্যক্তিত্বও নাই। তাহার প্রতাপ থাকিতে পারে, কিন্তু প্রভাব নাই। যেটুকু থাকে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তাহা শেষ হইয়া যায়। সাধকের ব্যক্তিত্ব কিন্তু তাহার মৃত্যুর পরেও বহু বৎসর বাঁচিয়া থাকিয়া তাহাকে পৃথিবীতে অমর করিয়া রাখে। নৈসর্গিক দ্রব্যের মতো ব্যবহারে লাগাইয়া মানুষ তাহা হইতে প্রচুর উপকার লাভ করিতে পারে। তবে এ কথা সত্য যে, মৃত্যুর পরে বাঁচিয়া থাকিবার জন্যই সাধক সাধনা করে না, কীর্তিমান হইবার জন্যই কীর্তি গড়া তাহার উদ্দেশ্য নয়। এই সাধনাতেই তাহার আনন্দ ও তৃপ্তি বলিয়া সে তাহা করিয়া যায়। ফাল্গুনীর যুবকের ভাষায় সাধকের মর্মবাণী : “কীর্তি? নদী কি নিজের ফেনাকে গ্রাহ্য করে? কীর্তি তো আমাদের ফেনা–ছড়াতে ছড়াতে চলে যাব। ফিরে তাকাব না।”
.
০৬.
সাধকের প্রথম ও প্রধান শত্রু লোভ–চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি টান। দ্বিতীয় শত্রু প্রতিযোগিতা। উভয়ের সম্মিলিত অত্যাচারে তাহার জীবন দুর্বিষহ হইয়া ওঠে। লোভ ও প্রতিযোগিতা প্রথমে তাহার ভিতর হইতে জাগে না, অন্যে জাগাইয়া দেয়। তাহাকে সাবধান করিয়া দিয়া তাহার শুভানুধ্যায়ী বন্ধুগণ যে তাহার অপকারই করে, তাহা তাহারা বুঝিতে পারে না। পারে না বলিয়াই ক্ষমার পাত্র। নইলে তাহাদের বিরুদ্ধে শত্রুতা সাধনের অভিযোগ আনা সহজ হইত। সাধককে তাহার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সচেতন করিলে তাহার ভিতরের আনন্দের উৎসটি নষ্ট করিয়া দেওয়া হয়। তখন সে অথর্ব ও পঙ্গু হইয়া পড়ে। ইচ্ছাবৃত্তির দ্বারা সৃজনাবেগকে ধ্বংস করিতে করিতে সে ক্রমাগত তিক্ত ও বিরক্ত হইয়া ওঠে, তাহার জীবনের পূর্ণতা ও চরিত্রের অটুটভাব নষ্ট হইয়া যায়। রাসেল এ সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, তাহা এখানে উল্লেখযোগ্য :
The worst things are those to which will assents. Often, chiefly from the failure of self-knowledge, a man’s will is on lower level than his impulse; his impulse is towards some kind of creation, while his will is towards a conventional career, with a sufficient income and the respect of his contemporaries. …Because the impulse is deep and dumb, because what is called commonsense is often against it, because a young man can only follow it if he is willing to set-up his own obscure feeling against the wisdom and prudent maxims of elders and friends. It happens in ninety-nine cases of a hundred that a creative impulse, out of which a free and vigorous life might have sprung, is checked and thwarted at the very outset : the young man consents to become a tool, not on independent workman, a mere means to the fulfilment of others, not the artificer of what his own nature feels to be good. In the moment when he makes this act of consent something dies within him. He can never again become a whole man, never again have the undamaged self-respect, the upright pride, which might have kept him happy in his soul inspite of all outward troubles and difficulties……