সিটিটা পাওয়া যাবে নাসা ভয়েজার ইমেজ ২০৬৩৭.০২ ও ২০৬৩৭.২৯ এ।
অধ্যায় ১৯ : মানবজাতির পাগলামি
মানবজাতিকে খান যে আংশিক উন্মাদ বলেছিল সেটা ভালভাবে দেখার জন্য মিটিং মেরির ২২ পর্ব দেখুন, আমার টেলিভিশন সিরিজ আর্থার সি ক্লার্কস মিস্টিরিয়াস ইউনিভার্সেস এ। এও মনে রাখবেন, খ্রিস্টধর্ম আমাদের প্রজাতির খুব সামান্য অংশেরই প্রতিনিধিত্ব করে। এ ধর্মের মানুষেরা মাতা মেরিকে যতটা অন্ধ হয়ে পূজা করেছে তার চেয়ে কোনো অংশে কম পূজিত হননি রাম, কালি, শিব, থর, উটান, জুপিটার, অসিরিস, ইত্যাদি, ইত্যাদি….
সবচে অবাক করা ব্যাপার, সবচে বেশি মেধাবীরাও যে ধর্মের পথে গোড়ামি করতে পারেন তার উদাহরণ আর্থার কোনান ডয়েল। শার্লক হোমসের স্রষ্টা এ পৃথিবী কাঁপানো লেখক ও গোয়েন্দা-দিকনির্দেশকের লেখায় তেমন সুর পাওয়া যায়।
কার্ল সাগানের অসাধারণ লেখা ডেমন হান্টেড ওয়ার্ল্ড এ দেখা যাবে এসব নিদর্শন, দেখা যাবে মার্টিনের বইগুলোতেও। আমার মতে এমন সব বই প্রত্যেক হাই স্কুল ও কলেজে অবশ্যপাঠ্য করা উচিৎ।
অন্তত আমেরিকার ইমিগ্রেশন বিভাগ এক ধর্ম প্রভাবিত বর্বরতার বিপক্ষে কাজ করা শুরু করেছে। টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, যেসব মেয়ে তার জন্মভূমিতে লৈঙ্গিক মিউটিলেশনের সম্মুখিন হতে পারে তাদের জন্য আশ্রম তৈরি করা এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আমি এ অধ্যায়টা লেখার পর ফিট অব ক্লে: দ্য পাওয়ার এ্যান্ড ক্যারিশমা অব গুরুজ এ এ্যান্থনি স্টোর এর লেখায় দেখতে পাই, এক গুরুর তিরানব্বইটা রোলস রয়েস ছিল যার তিরাশি ভাগ শিষ্যই অন্তত কলেজগামী! এজন্যই বলা হয়, কেউ কেউ তার বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে পড়াশোনা করে।
অধ্যায় ২৬: জিয়াংভিল
১৯৮২ সালে ২০১০; ওডিসি টু’র প্রাক-কথনে ইউরোপায় অবতরণ করা চৈনিক স্পেসশিপটার নাম ডক্টর জিয়াং সু-সেন এর নামে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছি। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আর চিনা রকেট প্রোগ্রামের জনক।
জন্ম ১৯১১ সালে। ১৯৩৫ সালে একটা স্কলারশিপ পেয়ে চিন থেকে আমেরিকায় চলে আসে জিয়াং। সেখানে বিখ্যাত হাঙ্গেরিয় এ্যারোডাইনামিসিস্ট থিওডোর ভ্যান কারম্যানের ছাত্র ছিলেন; পরে সহকর্মী হন। ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রথম গদার প্রফেসর হিসাবে তিনি গাগেনহেইম এ্যারোনটিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করেন। প্যাসাডেনার বিখ্যাত জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি তৈরি হয় সরাসরি এ প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে।
১৯৫০ সালের দিকে খুব গোপনে তিনি আমেরিকান রকেট রিসার্চে যোগদান করেন। এ প্রজেক্টে তার অবদান ছিল অনেক। কিন্তু নিজের দেশে একবার ঘুরে আসার দায়ে তাকে বন্দি হতে হয়। লম্বা বন্দিদশা আর বিচার আচারের পর নিজ দেশে ফিরে যেতে দেয়া হয় তার সাথে করে যায় অতুল রকেটবিদ্যার জ্ঞান। তার সঙ্গীদের মতে, আমেরিকার করা সবচে বোকামিপূর্ণ কাজের মধ্যে তাকে হয়রানি করা একটা।
পরে দেখা যায়, তিনি শূন্য থেকে চৈনিক রকেটবিদ্যাকে অনেক বছর এগিয়ে নিয়ে যান, তাকে ছাড়া চাইনিজ টেকনোলজি বিশ বছর পিছিয়ে থাকত। তারই হাত থেকে বেরোয় সিল্কওয়ার্ম এ্যান্টিশিপ মিসাইল ও লংমার্চ স্যাটেলাইট লঞ্চার।
এ উপন্যাস শেষ করার পর পরই ইন্টারন্যাশনাল এ্যাকাডেমি অব এ্যাস্ট্রোনটিক্স আমাকে ফন কারম্যান এ্যাওয়ার্ড দেয়- সেটা দেয়া হবে বেইজিংয়ে। উপহারটা পাশ কাটানোর কোনো উপায় ছিল না, কারণ ডক্টর জিয়াং এখন সে নগরীর অধিবাসী। দূর্ভাগ্য, যখন গেলাম, জানা গেল তিনি হাসপাতালে, ডাক্তাররা কোনো দর্শনার্থীকে ঢুকতে দিচ্ছে না।
আমি তার পার্সোনাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মেজর জেনারেল ওয়াং শেউনের প্রতি কৃতজ্ঞ, তিনি ২০১০ ও ২০৬১’র কপি দিয়েছিলেন তাকে। বিনিময়ে মেজর জেনারেল আমাকে সুবিশাল কালেক্টেড ওয়ার্কস অব এইচ এস জিয়াং: ১৯৩৮ ১৯৫৬ দেন। দারুণ সংগ্রহ। গুরু ও সহকর্মীদের সাথে রকেট নিয়ে আলোচনা ও পরে প্রকাশিত পেপারগুলো স্থান পেয়েছে।
বেইজিং ছাড়ার আগ মুহূর্তে জানতে পারি, ৮৫ বছর বয়সেও কাজ করছেন। আশা করি ফাইনাল ওডিসির কপিও পাঠাব।
অধ্যায় ৩৬ : আতঙ্কের কুঠরি
১৯৯৯ সালে কম্পিউটার সিকিউরিটির উপর সিনেটের লম্বা আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন ১৩০১০ তম এক্সকুসিভ অর্ডারে স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে সাইবার টেররিজমের উপর একটা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। সি আই এ, এন এস এ, প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি থাকবে এখানে।
পিকো, আসছি আমরা…
উপরের প্যারা লেখার সময়টায় আমি জানতে পারি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে’র চুড়ান্ত অংশে কম্পিউটার ভাইরাস ট্রোজান হর্সের কথা আছে।
.
এ সিরিজের আগের বইগুলো থেকে বড় ধরনের পরিবর্তন সহ নিচের অংশগুলো নেয়া হয়েছে।
২০০১: আ স্পেস ওডিসি থেকে: অধ্যায় ১৮; অধ্যায় ৩৭।
২০১০: ওডিসি টু থেকে: অধ্যায় ১১; অধ্যায় ৩৬; অধ্যায় ৩৮।
.
কৃতজ্ঞতা
আই বি এম কে ধন্যবাদ। তারা আমাকে দারুণ এক থিকপ্যাড দিয়েছে ৭৫৫সিডি। এটাতেই এ বই কম্পোজ হয়। আমি একটা গুজব দেশে বছরের পর বর প্রতে হয়েছি- এইচ এ এল-হাল নামটা আই বি এম এর এক অক্ষর পিছনে পিছনে আসে। ২০১০ এ ডক্টর চন্দ্রর মাধ্যমে ব্যাপারটাকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারলাম, এতে বিব্রত নয়, বিগ আনন্দিত। আরবানার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ১২ মার্চ ১৯৯৭হালের জন্মদিন পালন করছে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।